192 আল্লাহর ক্ষমতা অসীম মানুষের ক্ষমতা সিমাবদ্ধ
ইজ্জত ক্ষমতা দিয়ে আদায় করা যায় না
* আল্লাহ পাকের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সূরা মুলক ১, আলে-ইমরান, আয়াত: ২৬
قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِی الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَ تَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ ٘ وَ تُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ ؕ بِیَدِكَ الْخَیْرُ ؕ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ
تُوْلِجُ الَّیْلَ فِی النَّهَارِ وَ تُوْلِجُ النَّهَارَ فِی الَّیْلِ ٘ وَ تُخْرِجُ الْحَیَّ مِنَ الْمَیِّتِ وَ تُخْرِجُ الْمَیِّتَ مِنَ الْحَیِّ ٘ وَ تَرْزُقُ مَنْ تَشَآءُ بِغَیْرِ حِسَابٍ
* তুমি বাঁচাও তুমি মারো অবিরত ক্ষমা কর,
ধরার যেজন তাকেই ধর,তোমার মোঠেই
সবই আল্লাহ..সুবহানআল্লাহ।
তোমার রিযিক খেয়ে পরে অবাধ্য হই কেমন করে
খুঁজে না পায় কোন ভাষা শোকরগুজার করার আল্লাহ।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানআল্লাহ! সুবহানআল্লাহ!
* ন্যায় পরায়ণ ও যালিম শাসক কখন ক্ষমতায় আসে
* সুতরাং সম্মান আর অপমান হওয়ার চাবিকাঠি তার হাতে
* #মানুষ মানুষকে ভালবাসা ও ঘৃণা করা সিদ্ধান্ত উপর থেকে আসে । আল্লাহ যখন কোন ব্যক্তিকে ভালবাসেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসি,মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৫
* ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, যারা আমার মর্যাদার খাতিরে পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করেছে, তারা কোথায়? মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৬)।
إِنَّ اللهَ يَقُوْلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّوْنَ بِجَلاَلِى الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِىْ ظِلِّىْ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلِّىْ.
* এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাক্ষাতের জন্য অন্য এক গ্রামে গেল। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৪৩
________________________________________________
* আল্লাহর ক্ষমতা অসীম মানুষের ক্ষমতা সিমাবদ্ধ
* আল্লাহ পাকের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। সূরা মুলক ১, আলে-ইমরান, আয়াত: ২৬
قُلِ اللّٰهُمَّ مٰلِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِی الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَ تَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ ٘ وَ تُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ ؕ بِیَدِكَ الْخَیْرُ ؕ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ
শব্দার্থ: قُلِ = তুমি বল, اللَّهُمَّ = হেআল্লাহ, مَالِكَ = মালিক, الْمُلْكِ = রাজত্বের, تُؤْتِي = দাও তুমি , الْمُلْكَ = শাসনক্ষমতা, مَنْ = যাকে , تَشَاءُ = তুমি ইচ্ছেকর, وَتَنْزِعُ = আরকেড়েনাও, الْمُلْكَ = শাসনক্ষমতা, مِمَّنْ = যারথেকে, تَشَاءُ = ইচ্ছেকর তুমি , وَتُعِزُّ = এবং তুমি দাওইজ্জত, مَنْ = যাকে , تَشَاءُ = তুমি ইচ্ছেকর, وَتُذِلُّ = আরলাঞ্ছিতকর, مَنْ = যাকে , تَشَاءُ = তুমি ইচ্ছেকর, بِيَدِكَ = তোমারইহাতে, الْخَيْرُ = সবকল্যাণ, إِنَّكَ = তুমি নিশ্চয়, عَلَىٰ = উপর , كُلِّ = সব, شَيْءٍ = কিছুর, قَدِيرٌ = ক্ষমতাবান,
অনুবাদ: বলোঃ হে আল্লাহ! বিশ্ব–জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্ছিত ও হেয় করো। কল্যাণ তোমার হাতেই নিহিত। নিঃসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী।
* তুমি বাঁচাও তুমি মারো অবিরত ক্ষমা কর,
ধরার যেজন তাকেই ধর,তোমার মোঠেই
সবই আল্লাহ..সুবহানআল্লাহ।
তোমার রিযিক খেয়ে পরে অবাধ্য হই কেমন করে
খুঁজে না পায় কোন ভাষা শোকরগুজার করার আল্লাহ।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানআল্লাহ! সুবহানআল্লাহ!
(3:27)
تُوْلِجُ الَّیْلَ فِی النَّهَارِ وَ تُوْلِجُ النَّهَارَ فِی الَّیْلِ ٘ وَ تُخْرِجُ الْحَیَّ مِنَ الْمَیِّتِ وَ تُخْرِجُ الْمَیِّتَ مِنَ الْحَیِّ ٘ وَ تَرْزُقُ مَنْ تَشَآءُ بِغَیْرِ حِسَابٍ
শব্দার্থ: تُولِجُ = তুমি প্রবেশ করাও, اللَّيْلَ = রাতকে, فِي = মধ্যে, النَّهَارِ = দিনের, وَتُولِجُ = আবার তুমি প্রবেশ করাও, النَّهَارَ = দিনকে, فِي = মধ্যে, اللَّيْلِ = রাতের, وَتُخْرِجُ = এবং তুমি বেরকর, الْحَيَّ = জীবন্তকে, مِنَ = হতে, الْمَيِّتِ = মৃত, وَتُخْرِجُ = আবারবেরকর তুমি , الْمَيِّتَ = মৃতকে, مِنَ = হতে, الْحَيِّ = জীবন্ত, وَتَرْزُقُ = এবং রিয্কদাও তুমি , مَنْ = যাকে , تَشَاءُ = তুমি ইচ্ছেকর, بِغَيْرِ = ছাড়াই, حِسَابٍ = কোনহিসেব,
অনুবাদ: তুমি রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করাও এবং দিনকে রাতের মধ্যে। জীবনহীন থেকে জীবন্তের আবির্ভাব ঘটাও এবং জীবন্ত থেকে জীবনহীনের। আর যাকে চাও তাকে তুমি বেহিসেব রিযিক দান করো।
''''সুতরাং সম্মান আর অপমান হওয়ার চাবিকাঠি তার হাতে
* মানুষ মানুষকে ভালবাসা ও ঘৃণা করা সিদ্ধান্ত উপর থেকে আসে । আল্লাহ যখন কোন ব্যক্তিকে ভালবাসেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসি,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إِنَّ اللهَ إِذَا أَحَبَّ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيْلَ فَقَالَ إِنِّىْ أُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبَّهُ، قَالَ فَيُحِبُّهُ جِبْرِيْلُ ثُمَّ يُنَادِى فِى السَّمَاءِ فَيَقُوْلُ إِنَّ اللهَ يُحِبُّ فُلاَنًا فَأَحِبُّوْهُ. فَيُحِبُّهُ أَهْلُ السَّمَاءِ، قَالَ ثُمَّ يُوْضَعُ لَهُ الْقَبُوْلُ فِى الأَرْضِ. وَإِذَا أَبْغَضَ عَبْدًا دَعَا جِبْرِيْلَ فَيَقُوْلُ إِنِّىْ أُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضْهُ، قَالَ فَيُبْغِضُهُ جِبْرِيْلُ ثُمَّ يُنَادِىْ فِىْ أَهْلِ السَّمَاءِ إِنَّ اللهَ يُبْغِضُ فُلاَنًا فَأَبْغِضُوْهُ، قَالَ فَيُبْغِضُوْنَهُ ثُمَّ تُوْضَعُ لَهُ الْبَغْضَاءُ فِى الأَرْضِ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোন ব্যক্তিকে ভালবাসেন, তখন জিবরীলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালবাস। অতঃপর জিবরাঈল (আঃ) তাকে ভালবাসতে থাকেন। তারপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালবাসেন। অতএব তোমরা তাকে ভালবাস। তখন আকাশের সকল ফেরেশতা তাকে ভালবাসতে থাকেন। অতঃপর সে ব্যক্তির জন্য যমীনেও জনপ্রিয়তা দান করা হয়। আর আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ঘৃণা করেন তখন জিবরাঈলকে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা কর। তখন জিবরাঈলও তাকে ঘৃণা করেন। এরপর আকাশবাসীকে বলে দেন যে, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন, তোমরাও তাকে ঘৃণা কর। তখন আকাশবাসীরা তাকে ঘৃণা করতে থাকে। অতঃপর তার জন্য যমীনেও মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করা হয়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৫)।
ঊপদেশ, হাদিস নং ২১৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com
* ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, যারা আমার মর্যাদার খাতিরে পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করেছে, তারা কোথায়?’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৬)।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم: إِنَّ اللهَ يَقُوْلُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّوْنَ بِجَلاَلِى الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِىْ ظِلِّىْ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلِّىْ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, যারা আমার মর্যাদার খাতিরে পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করেছে, তারা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় স্থান দিব। আজ এমন দিন, আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫০০৬)।
ঊপদেশ, হাদিস নং ২১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com
* এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাক্ষাতের জন্য অন্য এক গ্রামে গেল। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৪৩
حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " أَنَّ رَجُلاً زَارَ أَخًا لَهُ فِي قَرْيَةٍ أُخْرَى فَأَرْصَدَ اللَّهُ لَهُ عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكًا فَلَمَّا أَتَى عَلَيْهِ قَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قَالَ أُرِيدُ أَخًا لِي فِي هَذِهِ الْقَرْيَةِ . قَالَ هَلْ لَكَ عَلَيْهِ مِنْ نِعْمَةٍ تَرُبُّهَا قَالَ لاَ غَيْرَ أَنِّي أَحْبَبْتُهُ فِي اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ . قَالَ فَإِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكَ بِأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أَحْبَبْتَهُ فِيهِ " .
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাক্ষাতের জন্য অন্য এক গ্রামে গেল। আল্লাহ তা’আলা তার জন্য পথিমধ্যে এক জন ফেরেশ্তা নিযুক্ত করলেন। সে ব্যক্তি যখন ফেরেশ্তার কাছে পৌছল, তখন ফেরেশতা জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছো? সে বলল, আমি এ গ্রামে আমার এক ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য যেতে চাই। ফেরেশ্তা বললেন, তার কাছে কি তোমার কোন অবদান আছে, যা তুমি আরো প্রবৃদ্ধি করতে চাও? সে বলল, না। আমি তো শুধু আল্লাহর জন্যই তাকে ভালবাসি। ফেরেশতা বললেন, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে (তাঁর দূত হয়ে) তোমার কাছে অবহিত করার জন্য এসেছি যে, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভালবেসেছ। (ই.ফা. ৬৩১৬, ই.সে. ৬৩৬৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৪৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ, irdfoundation․com
No comments