Header Ads

Header ADS

 ঈদুল আজহা 

মূল্যহীন দুনিয়া 

*  কোরবানির প্রচলন হয় আদি পিতা হজরত আদম (আ:)-এর সময় থেকে।মায়িদাহ-২৭

وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ بِالْحَقِّ إِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ أَحَدِهِمَا وَلَمْ يُتَقَبَّلْ مِنَ الْآخَرِ قَالَ لَأَقْتُلَنَّكَ ۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ اللَّهُ مِنَ الْمُتَّقِينَ

*  সহীহ নিয়্যাত পরিক্ষা করেন সপ্নে

* জাহেলী যুগে কুরবানীর গোস্ত রক্ত কাবার সামনে পেশ করতো

لَنْ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوْمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰكِنْ یَّنَالُهُ التَّقْوٰى مِنْكُمْ

*  আল্লাহ কারো জেসমের দিকে তাকান না-রিয়াদুস সলেহিন-১৫৭৮,সহীহুল বুখারী ৫১৪৪, ৬০৬৪

إِنَّ اللهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ، وَلاَ إِلَى صُوَرِكُمْ، وَلكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعْمَالِكُمْ

*  আগে নামায পরে কুরবানীর কথা বলেছেন,নামায ও কোরবানীর বিনিময়ে রয়েছে হাউজে কাউসার,১০৮: আল-কাউসার:২,

اِنَّاۤ اَعْطَیْنٰكَ الْكَوْثَرَؕ -- فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَ انْحَرْؕ -- اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ۠

এখানেও আগে নামাজের কথা বলা হয়েছে 

قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ

*  কুরবানীর ফজিলত

১। সহীহ নিয়্যাত। কোন মানুষের নামে নয় আল্লাহর নামে হবে। ফেসবুকে পোস্ট নয়।

قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ

২। হালাল উপার্জন। 

* যে ব্যক্তি অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে, সেই অর্থের প্রকৃত মালিক সে নিজে নয়, অন্য কেও। আর অন্যের টাকা দিয়ে নিজে সওয়াব অর্জন করার চেষ্টা করা বড় রকমের বোকামি ছাড়া কিছু নয়।হারাম জানার পরও হারাম টাকা দিয়ে কোরবানী করে সওয়াবেহর আশায়,ঐ চোরের মত ,যে চোর গরু চুরি করে কোরবানী করে সওয়াব অর্জন করতে চায়

৩। মুত্তাকি হওয়া ।আল্লাহ তাআলা মুত্তাক্বীদের কুরবানী কবুল করবেন ৫  আল-মায়িদাহ, আয়াত: ২৭

وَ اتْلُ عَلَیْهِمْ نَبَاَ ابْنَیْ اٰدَمَ بِالْحَقِّ١ۘ اِذْ قَرَّبَا قُرْبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنْ اَحَدِهِمَا وَ لَمْ یُتَقَبَّلْ مِنَ الْاٰخَرِ١ؕ قَالَ لَاَقْتُلَنَّكَ١ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰهُ مِنَ الْمُتَّقِیْنَ

*  সূদ খেয়ে মুত্তাকি হওয়া যাবে না গুনাহ কে ঘৃনার সাথে বর্জন করতে হবে 

*  #মুত্তাকী হওয়ার জন্য নামাজ লাগবে আল্লাহর পথে ব্যয় করতে হবে সূরা বাকারা ২-৪


______________________________________________


*  মূল ঘটনা হলো: যখন আদম ও হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে আগমন করেন এবং তাদের সন্তান প্রজনন ও বংশ বিস্তার আরম্ভ হয়, তখন হাওয়া (আ.) এর প্রতি গর্ভ থেকে জোড়া জোড়া (জময) অর্থাৎ একসাথে একটি পুত্র ও একটি কন্যা এরূপ জময সন্তান জন্মগ্রহণ করত। কেবল শীস (আ.) ব্যতিরেকে। কারণ, তিনি একা ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। তখন ভাই-বোন ছাড়া আদম (আ.) এর আর কোন সন্তান ছিল না। অথচ ভাই-বোন পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারে না। তাই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা উপস্থিত প্রয়োজনের খাতিরে আদম (আ.) এর শরীয়তে বিশেষভাবে এ নির্দেশ জারি করেন যে, একই গর্ভ থেকে যে যমজ পুত্র ও কন্যা জন্মগ্রহণ করবে, তারা পরস্পর সহোদর ভাই-বোন হিসেবে গণ্য হবে। তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক হারাম। কিন্তু পরবর্তী গর্ভ থেকে জন্মগ্রহনকারী পুত্রের জন্য প্রথম গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণকারীনি কন্যা সহোদরা বোন হিসেবে গণ্য হবে না। তাদের মধ্যে পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ। সুতরাং সে সময় আদম (আ.) একটি জোড়ার মেয়ের সাথে অন্য জোড়ার ছেলের বিয়ে দিতেন। ঘটনাক্রমে কাবীলের সাথে যে সহোদরা জন্ম নিয়েছিল সে ছিল পরমা সুন্দরী। তার নাম ছিল আকলিমা। কিন্তু হাবিলের সাথে যে সহোদরা জন্ম নিয়েছিল সে দেখতে অতটা সুন্দরী ছিল না। সে ছিল কুশ্রী ও কদাকার। তার নাম ছিল লিওযা। বিবাহের সময় হলে শরয়ী নিয়মানুযায়ী হাবীলের সহোদরা কুশ্রী বোন কাবীলের ভাগে পড়ল। কিন্তু কাবীল সে নিয়ম না মেনে তার সহোদর সুন্দরী আকলিমা বিয়ে করতে চাইলো। আদম (আ.) তৎকালীন শরীয়তের আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কাবীলের আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন এবং তাকে তার নির্দেশ মানতে বললেন। কিন্তু সে তা মানল না। এবার তিনি তাকে বকাঝকা করলেন। তবুও কাবীল ঐ বকাঝকায় কান দিল না। অবশেষে আদম (আ.) তার এ দুসস্তান হাবীল ও কাবীলের মতভেদ দূর করার উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা উভয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি পেশ কর, যার কোরবানি গৃহীত হবে, তার সাথেই আকলিমার বিয়ে দেয়া হবে। সে সময় কোরবানি গৃহীত হওয়ার একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল যে, আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে সে কোরবানিকে ভষ্মীভূত করে ফেলত। আর যার কোরবানি কবূল হতো না তারটা পড়ে থকত। যাহোক, তাদের কোরবানির পদ্ধতি সম্পর্কে যা জানা যায় তা হলো- কাবীল ছিল চাষী। তাই তিনি গমের শীষ থেকে ভাল ভাল মালগুলো বের করে নিয়ে বাজে মালগুলোর একটি আটি কোরবানির জন্য পেশ করল। আর হাবীল ছিল পশুপালনকারী। তাই সে তার জন্তুর মধ্যে থেকে সবচেয়ে সেরা একটি দুম্বা কোরবানির জন্য পেশ করল। এরপর নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে অগ্নিশিখা এসে হাবীলের কোরবানিটি ভষ্মীভুত করে দিল। [ফতহুল ক্বাদীরের বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, হাবীলের পেশকৃত দুম্বাটি জান্নাতে উঠিয়ে নেয়া হয় এবং তা জান্নাতে বিচরণ করতে থাকে। অবশেষে ইসমাঈল যাবিহুল্লাহ (আ.) কে ঐ দুম্বাটি পাঠিয়ে বাঁচিয়ে দেয়া হয়।] আর কাবীলের কোরবানি যথাস্থানেই পড়ে থাকল। অর্থাৎ হাবীলেরটি গৃহীত হলো আর কাবীলেরটি হলো না। কিন্তু কাবীল এ আসমানী সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারল না। এ অকৃতকার্যতায় কাবীলের দুঃখ ও ক্ষোভ আরো বেড়ে গেল। সে আত্মসংবরণ করতে পারল না এবং প্রকাশ্যে তার ভাইকে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। হাবিল তখন ক্রোধের জবাবে ক্রোধ প্রদর্শন না করে একটি মার্জিত ও নীতিগত বাক্য উচ্চারণ করল, এতে কাবীলের প্রতি তার সহানুভূতি ও শুভেচ্ছা ফুটে উঠেছিল। হাবীল বলেছিল, তিনি মুত্তাক্বীর কর্মই গ্রহণ করেন। সুতরাং তুমি তাক্বওয়ার কর্মই গ্রহণ করো। তুমি তাক্বওয়া অবলম্বন করলে তোমার কোরবানিও গৃহীত হতো। তুমি তা করোনি, তাই তোমার কোরবানি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এতে আমার দোষ কোথায়? তবুও এক পর্যায়ে কাবীল হাবীল কে হত্যা করে ফেলল। (তাফসীর ইবনু কাসীর, দুররে মনসূর, ফতহুল বায়ান, ৩/৪৫ ও ফতহুল ক্বাদীর, ২/২৮-২৯) কুরআনে বর্ণিত হাবীল ও কাবীল কর্তৃক সম্পাদিত কোরবানির এ ঘটনা থেকেই মূলত কোরবানির ইতিহাসের গোড়াপত্তন হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা দেখতে পেলাম যে, কোরবানি দাতা হাবীল, যিনি মনের ঐকান্তিক আগ্রহ সহকারে আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের জন্যে একটি সুন্দর দুম্বা কোরবানি হিসেবে পেশ করেন। ফলে তার কোরবানি কবূল হয়। পক্ষান্তরে কাবীল, সে অমনোযোগী অবস্থায় কিছু খাদ্যশস্য কোরবানি হিসেবে পেশ করে। ফলে তার কোরবানি কবূল হয়নি। সুতরাং প্রমাণিত হলো কোরবানি মনের ঐকান্তিক আগ্রহ ছাড়া কবূল হয় না।

No comments

Powered by Blogger.