* হাত পা চোখ চারদিকে যা দেখি সব নিয়ামত যা গুনে শেষ করা যাবে না
* #অক্সিজেন নেয়ামত
৬ আল-আনয়াম ১৬২
قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ
* বেহেস্তে যেতে লাগবে আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহর সন্তুষ্টি না থাকলে বস্তাভর্তি আমলে ও লাভ হবেনা
৩৯ আয-যুমার, আয়াত: ৪৭
وَ بَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ یَكُوْنُوْا یَحْتَسِبُوْنَ
২৫ আল-ফুরকান, আয়াত: ২৩
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا
* #দুধে পরিনত করে দাও। আর কোন দিন আমি মদ পান করবোনা।
* #হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাওয়াফ করছিলেন, তিনি দেখলেন এক অন্ধ লোক কাবা ঘরের সামনে বসে বসে দোয়া করছেন ‘আল্লাহ আমাকে দৃষ্টি দাও’,
* আমরা আল্লাহকে ডাকি সময় শেষ করে। সময় থাকতে নেক আমল আমাদের কাছে কোন মূল্য নাই
* এই দুনিয়া নেক আমলের মূল্য আমাদের কাছে নাই যার জন্য দুনিয়াকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু একদিন নেক আমলের মূল্য যে কতো তা বুঝে আসবে
* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে। টাকা
______________________________________________________________
৬ আল-আনয়াম, আয়াত: ১৬২
قُلْ اِنَّ صَلَاتِیْ وَ نُسُكِیْ وَ مَحْیَایَ وَ مَمَاتِیْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَۙ
বলো, আমার নামায, আমার ইবাদাতের সমস্ত অনুষ্ঠান, আমার জীবন ও মৃত্যু সবকিছু আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য,
৩৯ আয-যুমার, আয়াত: ৪৭
وَ بَدَا لَهُمْ مِّنَ اللّٰهِ مَا لَمْ یَكُوْنُوْا یَحْتَسِبُوْنَ
সেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু তাদের সামনে আসবে যা তারা কোন দিন অনুমানও করেনি।
২৫ আল-ফুরকান, আয়াত: ২৩
وَ قَدِمْنَاۤ اِلٰى مَا عَمِلُوْا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنٰهُ هَبَآءً مَّنْثُوْرًا
এবং তাদের সমস্ত কৃতকর্ম নিয়ে আমি ধূলোর মতো উড়িয়ে দেবো।
🕋হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাওয়াফ করছিলেন, তিনি দেখলেন এক অন্ধ লোক কাবা ঘরের সামনে বসে বসে দোয়া করছেন ‘আল্লাহ আমাকে দৃষ্টি দাও’, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তার সামনে গিয়ে বলল হে অন্ধ! তুমি কি জান, আমি কে? সে বলল আপনি কে? হাজ্জাজ বলল আমি হলাম বাদশাহ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ছিলেন খুবই কঠোর প্রকৃতির মানুষ, সকলেই তার ব্যপারে জানত।তিনি যা বলতেন তাই করতেন, অন্ধ লোকটি হাজ্জাজের নাম শুনে ভয় পেয়ে গেল। হাজ্জাজ অন্ধকে বলল আমি শুনলাম তুমি দৃষ্টির জন্য কবাঘরে বসে বসে দোয়া করছ, এখন আমি তাওয়াফ করছি আমার তাওয়াফ শেষ হওয়ার আগে আগে যদি তোমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে না আসে তাহলে আমি তোমাকে কতল করার হকুম দিব। এ কথা বলে অন্ধের পাশে ২ জন পুলিশ দাঁড় করিয়ে দিলেন যেন অন্ধ সেখান থেকে পালাতে না পারে, এরপর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাওয়াফে লেগে গেলেন,
🏵 এতক্ষন অন্ধ অমনোযোগিতার সাথে দৃষ্টির জন্য দোয়া করছিল, কিন্তু যখন কতলের কথা শুনল সে ভয়ে কাপতে শুরু করল, আর দু চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরতে লাগল, আর এত আন্তরিকভাবে দোয়া করতে লাগল ‘হে আল্লাহ এতক্ষন আমি দৃষ্টির জন্য দোয়া করেছি, এখনতো আমার জীবন নিয়ে টানা টানি শুরু হয়েছে’, সে অল্প সময়ে এত কাকুতির সাথে দোয়া করল যে হাজ্জাজ তাওয়াফ শেষ করে আসার আগে আগেই আল্লাহ তায়ালা তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন। ♥সুবহানাল্লাহ। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এসে দেখলেন অন্ধ সত্যি সত্যি দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেয়েছেন। তখন হাজ্জাজ অন্ধকে বললেন, আমি কতলের হুমকি দেয়ার আগে তুমি বসে বসে যে ভাবে দোয়া করছিলে আন্তরিকতা ছাড়া সে স্টাইলে যদি তুমি কাবার সামনে বসে বসে তোমার পুরা জীবন দোয়া করতে তাহলে সে দোয়া কবুল হত না, কারন তোমার সে দোয়া শুধু তোমার মুখ থেকে বের হচ্ছিল তাতে আন্তরিকতা ছিল না। যখন জীবনের ভয় হল তখন তুমি যে দোয়া করেছ তা তোমার হৃদয়ের গভীর থেকে করেছ, আর অন্তরের গভীর থেকে যে দোয়া করা হয় তা আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন।
🤲🤲সুতরাং যখনই আমরা দোয়া করব তখন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাকুতিমিনতির সাথে দোয়া করব। তাহলে তার ফলাফল আমরা দেখতে পাব।
🕋ইনশাআল্লাহ🕋
* দুধে পরিনত করে দাও। আর কোন দিন আমি মদ পান করবোনা।
হযরত উমর (রাঃ) এর শাসনামলেরই একটি ঘটনা
এক লোক মদের বোতল হাতে মদীনার কোন এক পথ দিয়ে যাচ্ছিল।হঠাৎ লক্ষ্য করল সামনের দিক থেকে হযরত উমর(রাঃ) তার দিকেই আসতেছেন।তাই দেখে তার ভয়ে শরীরব্যাপী কম্পন শুরু হয়ে গেল। সে ভাবতে লাগলো আমিরুল মুমিনিন হযরত উমর (রাঃ) যদি আমার হাতে মদের বোতল দেখেন তাহলে উপায় নেই জীবনে আমাকে মেরেই ফেলবেন। লোকটি ভয়ের সাথে বোতলটি পিছনের দিকে লুকিয়ে ফেললেন। আর মনে মনে আল্লাহর কাছে বলতে লাগলেন হে আল্লাহ এখন তুমি ছারা আমার আর কোনো উপায় নেই হে আল্লাহ তুমি আমার ইজ্জত রক্ষা করো। আল্লাহ আমি বড় পাপি তাতে সন্দেহ নেই। ঠিক তুমিই আমার আল্লাহ তুমিই আমার খালেক তুমিই সবচেয়ে দয়াময় তুমমিই আমাকে সৃষ্টি করছো তাতেও কোন সন্দেহ নেই।
ওগো দয়াময় আল্লাহ তুমি এই মদকে খাটি দুধে পরিনত করে দাও।আর কোন দিন আমি মদ পান করবোনা।
হযরত উমর(রাঃ)কে দেখে মনে মনে কাতর সুরে আল্লাহর কাছে লোকটি এই দোয়া করছিল। এরই মধ্যে হযরত উমর(রাঃ) এসে হজির। গম্ভীর কন্ঠে বললেন কি লুকিয়েছো পিছনে বের করো।লোকটি ভয়ে বললেন।হজুর বোতলে দুধ। উমর(রাঃ) বললেন দেখাও। হাতে নিয়ে খুলে দেখে বোতলে সত্যি সত্যি দুধ রাখা আছে।
লোকটির খাটি তওবার উছিলায় আল্লাহ মদকে দুধে পরিনত করে দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের সকল কে অনেক অনেক দয়া করেন ভালোবাসেন। আল্লাহ তার রহমাতের চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছেন আমাদের সবাইকে। তাইতো আল্লহ বলেছেন। হে আমার বান্দা বান্দি গন। তোমরা যারা নিজদের প্রতি অবিচার করেছ।তারা আল্লহর রহমাত থেকে নিরাশ হইয়োনা।নিশ্চয়ই তিনি সকল গুনা মাফ করে দিবেন।আল্লাহ আমাদের সকলকে তার কাছে খাটি তওবা করার এবং গুনার কাজ থেকে ফিরে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
* আমরা আল্লাহকে ডাকি সময় শেষ করে। সময় থাকতে নেক আমল আমাদের কাছে কোন মূল্য নাই
* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে
দুনিয়াদারের লোভ ও তার সাথে আযরাঈলের সাক্ষাৎ :- ভায়েরা আমার ! যারা দুনিয়ার মোহ ও ভোগ - বিলাসে লিপ্ত তারাই মৃত্যু থেকে গাফেল থাকে , মৃত্যুর পরের অবস্থা সম্পর্কে কোন ভ্রুক্ষেপই করে না । ফ্রান্সের এক তাবলীগী ভায়ের মুখে এর একটি দৃষ্টান্ত শুনেছিলাম তা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে , সাথে ভোজের খাদ্যদ্রব্য , ভোগ সামগ্রী সবই বিদ্যমান । গাড়ী চলছে , হঠাৎ গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি বলতে লাগল গাড়ী থামাও , আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও । দুনিয়াদার বলছে না গাড়িতে জায়গা নেই , তোমাকে নেয়া যাবে না । তখন পথিক বলল , আমাকে নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । দুনিয়াদার জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ?
বলল , আমি টাকা বলল , আরে হা আমার টাকার প্রয়োজন । স্ত্রীকে বলল , তুমি পেছনে যাও আর টাকাকে বলল , তুমি আমার পাশে বস , তোমাকে আমার দরকার আছে । গাড়ী , চলল আবার কিছুক্ষণ যেতেই আরেক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাৎ , বলছে ভাই আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাও । বলল , না জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি রিয়াল দুনিয়াদার বলল , আরে আমার তো রিয়ালের প্রয়োজন আছে । টাকাকে পিছনে দিয়ে রিয়ালকে পাশে বসাল । অত : পর আবারো গাড়ী চলল কিছু যেতেই আবারো এক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ বলল , ভাই আমাকে তোমাদের সাথে নিয়ে যাও , বলল না নেয়া যাবে না জায়গা নেই গাড়ী ভরপুর । বলল , নিয়ে যাওনা এতে তোমার উপকার হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি ইউ এস ডলার । তখন দুনিয়াদার বলল আরে আমার তো ডলারের বড্ড প্রয়োজন আছে । এই তোরা পিছে যা , তাদেরকে আরো পিছনে দিয়ে ডলারকে পাশে বসালো । এবার গাড়ী আরো দ্রুত চলছে , একটু এগুতেই আরেক পথিকের সাথে সাক্ষাৎ । বলল , ভাই তোমাদের সাথে আমাকে নিয়ে যাও । একই কথা , জায়গা নেই প্রয়োজন নেই । বলল , নিয়ে যাও তাহলে লাভবান হবে , লোভীর চোখ ও মনের লোভ শেষ হয় না । জিজ্ঞাসা করল , তুমি কে ? বলল , আমি ইউরো , দুনিয়াদার চমকে বলল , আরে আমার তো তোমাকে যথেষ্ট প্রয়োজন । এই তোরা সব পিছে যা প্রয়োজনে বক্সে ঢুকে পড় তবুও আমাকে ইউরো নিতে হবে । পাশেই বসালো । বলল , তুমি তো আমার বন্ধু । এবার গাড়ী খুব স্পীডে চলল , দুনিয়ার সম্পদ মোটামোটি সবই আছে । কোন জিনিসের আর অভাব নেই , সাথে আর কিছুরই প্রয়োজন নেই , মনের আনন্দে গাড়ী চলল । একটু যেতে না যেতেই আওয়াজ আসল থাম, আমাকে সাথে নিয়ে যাও মালিক বলল, না ডিষ্টার্ব করো না । সময় নেই , জায়গাও নেই , নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে যাও না , এতে তুমি ভাল লাভবান হবে । জিজ্ঞাসা করলো তুমি কে ? বলল , আমি পাউন্ড । পাউন্ডের নাম শুনতেই ব্রেক করে বলল , আরে পাউন্ডের তো আমার সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন , তোমাকে তো আমি মনে মনে খুঁজছি , এই তোরা সব পিছে যা । যেভাবে হোক পাউন্ড আমাকে নিতে হবেই । এতক্ষণে স্ত্রী , ছেলে - মেয়ের সম্পর্কও কিছুটা লোপ পেয়েছে । কেননা , অতি সম্পদ মানুষকে অন্ধ আর বধির করে দেয় এবং স্ত্রী - সন্তানের মায়া কমিয়ে দেয় । পাউন্ডকে পাশে বসালো এবার গাড়ী চলল দিব্যি আরামে , মনের সুখে , কোন জিনিষের আর অভাব নেই , সবই যে আছে , বিধায় আর কারো জন্য গাড়ী থামবে না । একটু যেতেই আরেক পথিকের সাক্ষাৎ , আমাকেও তোমাদের সাথে নিয়ে যাওনা না কোন অবস্থাতেই নেয়া যাবে না । বলল , নিয়ে দেখনা লাভই হবে । জিজ্ঞাসা করল কে তুমি ? বলল , আমি দুনিয়া , গাড়ী থেমে গেল বলল , আমার দুনিয়ারও বড্ড প্রয়োজন আছে । তুমি না হলেই নয় , উঠ ! সব পিছনে ঠেলে দিয়ে তাকে পাশেই বসাল । এবার জীবনে আর কোন অভাব নেই , দু : খ নেই , চিন্তা নেই যা মানুষের জীবনে দরকার সবই বিদ্যমান আর কোন কিছুর প্রয়োজন নেই । এবার সুখ সাগরে পাড়ি জমাল ফুল স্পীডে গাড়ী চলল । আর গাড়ী থামবে না কাউকে উঠাবে না , মনের সুখে গাড়ী চলবে । কিছুক্ষণ অগ্রসর হতেই এক পথিক বলছে ভাই অনেক কিছুই নিলা আমাকেও নিয়ে যাও । গাড়ী থেকে আওয়াজ আসলো না না না জায়গা নেই , সময় নেই , আর কারো অবকাশ নেই । কিন্তু কে তুমি কি তোমার পরিচয় ? বলল , আমি নেক আমল , আমি তোমার আখেরাত তথা পরকালে কাজে আসব । দুনিয়াদার জবাব দিল , আরে রাখ আখেরাত , তা পরে দেখা যাবে আগে দুনিয়া ভোগ শেষ হউক । নেক আমলকে তুচ্ছ - তাচ্ছিল্য করে পথেই রেখে গেল , সাথে আর নেয়া হল না । গন্তব্য স্থলে পৌঁছেই দুনিয়ার ভোগ আর উপভোগে মত্ত হয়ে উঠবে এই নেশা ও আশায় দুর্বার গতিতে গাড়ী চলল । একটু এগুতেই #বিশাল আকৃতির এক পথিক চিৎকার করে বলল , আরে থাম ! আমাকে নিয়ে যাও ! গাড়ী থেকে জবাব আসছে না ? দেখ গাড়ীতে একেবারেই জায়গা নেই , নেয়া যাবে না । পথ ছেড়ে দাও আমাদেরকে সুখ সাগরে পাড়ি দিতে দাও । অনেক দূরে যেতে হবে , সেখানে পৌঁছে বহু আশা ভরসা পুরা হবে । পথিক বলল , এক কদম এগুতে দেয়া হবে না । দুনিয়াদার বলল , আরে তোমার এত দাপট , আমার আর কোন জিনিষের প্রয়োজন নেই । সরে যাও আমার সবই আছে পথ ছাড় । পথিক নাছোড় বান্দা ! আমাকে নিয়ে যেতে হবে । না হয় তোমাকে আমি নিয়ে যাব । দুনিয়াদার , আরে আশ্চর্য সাহস দেখছি , কে তুমি ? তোমার এত বড় স্পর্ধা ? আমার সাথে দুনিয়ার সব সম্পদ আছে , এরপরও তুমি আমার সাথে এতবড় শক্তি দেখাচ্ছ । আচ্ছা বলতো দেখি , কে তুমি ? কি - ই বা তোমার পরিচয় ? পথিক এবার জোর গলায় বলল , আমি তোমার যমদূত আযরাঈল । এক্ষুনি তোমার জান কবজ করে নিয়ে যাবো । দুনিয়াদার , আরে তুমি আমাকে নিও না , এই দেখ টাকা থেকে শুরু করে দুনিয়া পর্যন্ত সব আমার সাথে আছে । তুমি যা চাও তাই তোমাকে দিয়ে দিব । প্রয়োজনে ছেলে , মেয়ে , স্ত্রীও নিয়ে যাও তবুও তুমি আমাকে নিও না । যমদূত বললো এগুলো আমার কোন প্রয়োজন নেই । তোমার জান এক্ষুনি আমি কবজ করছি , তবে জানতে চাই তোমার সাথে নেক আমল এনেছ কি ? তখন দুনিয়াদার বললো , আরে নেক আমল তো পিছনে রেখে এসেছি , একটু সুযোগ দাও এই তো তা নিয়ে আসছি । আযরাঈল ( আ :) বললো , আর এক মুহুর্তও সুযোগ দেয়া যাবে না । দুনিয়ার মোহে পরে পরকাল ও নেক আমলের কথা ভুলে গিয়েছিলে , এবার মজা বুঝবে । দুনিয়াতে তো ভোগ করা হলো না শুধু জমা - ই করলে । আর পরকালের কঠিন শাস্তি ও তিরস্কার তোমার জন্য অপেক্ষা করছে । এই বলে আযরাঈল গাড়ীতে সব রেখে তার জান কবজ করে নিয়ে যায় । সবই আপন আপন জায়গায় পড়ে রইল । কিন্তু তাকে সব ছেড়ে খালি হাতে চলে যেতে হল । ধোকা সবই ধোকা , দুনিয়াটা চোখের ভেলকির মত। (মাওয়ায়েজে সিরাজী- ৫ম পৃ:-৫১)
* লোকটির বয়স 78 হয়েছে। শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে রিয়াদের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে নাকে 24 ঘন্টা অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রেখেছিল।
এতে বৃদ্ধ সুস্থতা অনুভব করলে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করতে চাইলেন । আর ওই দিকে ডাক্তার রোবটের মত এক চিলতে বিলের স্লিপ তার হাতে ধরিয়ে দিলেন।
বিলের কাগজের একবারে নিচের লাইনে চোখ বুলিয়ে বৃদ্ধ হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন।
ডাক্তার তাকে কাঁদতে বারন করে বললেন --- বিলের টাকা নিয়ে চিন্তা করবেন না।
বৃদ্ধ বলল ------
আমি বিলের টাকা নিয়ে চিন্তা করে কাঁদছিনা।
এই টাকা পরিশোধ করার মত আর্থিক সচ্ছলতা আমার আছে ।
আমি কাঁদছি এটা চিন্তা করে যে ---
24 ঘন্টার এই অক্সিজেনের বিল 600 রিয়াল -- আর আমি এই নির্মল অক্সিজেন বিগত 78 বছর হতে আল্লাহর কাছ থেকে সম্পুর্ণ বিনা পয়সায় ভোগ করে আসছি। এর জন্য আমাকে একটি রিয়ালও আল্লাহকে দিতে হয়নি।
ডাক্তার সাহেব আপনি কি জানেন, এই হিসাবে আমি আল্লাহর কাছে কত রিয়াল ঋণী ❓😢
বৃদ্ধের কথা শুনে ডাক্তার মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন !!
এটা কতো বড়ো সত্য কথা যে, আমরা সারাজীবন সম্পুর্ণ বিনে পয়সায় স্বাস্থ্যকর অক্সিজেন উপভোগ করে আসছি এর জন্য আমাদেরকে একটি টাকাও আল্লাহকে পরিশোধ করতে হয় নি।
No comments