Header Ads

Header ADS

172 কাবা ঘরের ইতিহাস 


  কাবা ঘরের ইতিহাস


إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ


(আল ইমরান - ৯৬)

নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।


* ফেরেশতাদের কাবা ‘বায়তুল মামুর’এর পরিচয়ঃ

মিরাজের রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭ম আসমানে বায়তুল মামুরে

ঠেস দিয়ে বসাবস্থায় হযরত ইবরাহীম (আঃ) কে দেখেছিলেন।

হযরত কাতাদাহ, রবী ইবনে আনাস ও সুদ্দী (রহ:) বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করা হয়েছে যে, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বলেছেন,

”তোমরা কি জান, বায়তুল মামুর কী? তাঁরা বললেন, মহান আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

(বায়তুল মামুর) হল- ৭ম আসমানে একটি মসজিদ আছে কা’বা ঘরের সোজাসুজি (উপরে)

তা যদি পড়ে যায়, তাহলে তা কাবারই উপরে পড়বে।

তাতে প্রত্যেক দিন সত্তর হাজার ফেরেশতা নামাজ পড়ে ও তাওয়াফ করে ।

তাঁরা যখন সেখান থেকে একবার বেরিয়ে যায়, তখন তারা আর সেখানে

প্রবেশের সুযোগ পায় না। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)

হযরত আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, ”বায়তুল মামুর কী? তিনি বলেন, ৭ম আকাশের উপর আরশের নিচে একটি ঘর, যাকে যূরাহ বলা হয়। এরই অপর নাম হল বায়তুল মামুর।”

(তাফসীরে কুরতুবী)


*  কাবা ঘর ভাংতে আসলে আবরাহার গোষ্টি খতম

সূরা ফিল,

 وَهَـٰذَا الْبَلَدِ الْأَمِينِ


(আত ত্বীন - ৩)

এবং এই নিরাপদ নগরীর।


*  আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মানব সৃষ্টিরও পূর্বে কাবা ঘর সর্বপ্রথম তৈরী করেন ফেরেশতাগণ। এরপর আদি মানব হজরত আদম (আঃ) এটি পূণঃনির্মাণ করেন। হজরত নূহ (আঃ) এর সময়ে মহাপ্লাবনে কাবা ঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। তখন আল্লাহ তায়ালা ওহীর মাধ্যমে হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কে কাবার স্থান দেখিয়ে দেন এবং পুণঃনির্মাণের নির্দেশ দেন। নির্দেশমতো হজরত ইব্রাহিম (আঃ) স্বীয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আঃ) কে সাথে নিয়ে কাবা ঘর পুণঃনির্মাণ করেন। এরপর হজরত জিবরাইল (আঃ) জান্নাত থেকে হজরে আসওয়াদ পাথর নিয়ে এসে এটিকে কাবা ঘরে স্থাপনের নির্দেশ দেন। জান্নাতের এই পবিত্র পাথরটি তখন বরফ খন্ড বা দুধের মতো ধবধবে সাদা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মানুষের পাপের ষ্পর্শ নিতে নিতে এটি কালো রং ধারণ করেছে।

যাই হোক, হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক পুণঃনির্মাণের তিরিশ বছর পর জনৈক মহিলা কর্তৃক কাবা ঘরে সুগন্ধি দানকালে আগর বাতির ধোঁয়া থেকে অগ্নিকান্ডে কাবা ঘরের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। তখন কুরাইশরা কাবা ঘরের সংস্কার সাধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক স্থাপিত ভিত্তির কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে। হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কর্তৃক নির্মিত কাবা ঘরের দরজা ছিল দুটি। একটি কাবা ঘরে প্রবেশের জন্য আর অন্যটি পশ্চাৎমুখী হয়ে কাবা ঘর থেকে বের হবার জন্য। কিন্তু কুরাইশরা সংস্কারের সময় কাবা ঘরের শুধু পূর্ব দিকের দরজাটি খোলা রাখে। তাছাড়া ঐ সময় কাবা ঘরের দরজা অনেক উঁচুতে তৈরী করা হয় যাতে যে কেউ যখন ইচ্ছে বিনা অনুমতিতে কাবা ঘরে প্রবেশ করতে না পারে।

পরবর্তীতে মক্কা বিজয়ের পর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) কাবা ঘর থেকে সমস্ত মূর্তি অপসারণ করেন এবং এটাকে ধূয়ে-মুছে পরিস্কার করে পবিত্র গিলাফ দিয়ে ঢেকে দেন।


*  তাওয়াফের সূচনা: 

পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আঃ) দুনিয়ার বুকে প্রেরিত হয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একমাত্র নিদর্শনস্বরূপ এই কাবা ঘরকেই পেয়েছিলেন।

n ( পর আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কাবা ঘর তাওয়াফের নির্দেশ দেন।

n হজরত আদম (আঃ) হচ্ছেন সর্ব প্রথম মানব যিনি কাবা ঘর তাওয়াফ করেন।


যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মানুষ বাইতুল্লাহ শরীফের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী প্রতিষ্ঠিত ও সংরক্ষিত থাকবে। কিন্তু যদি এমন হয় এক বৎসর ধরে একজন মানুষও কাবা ঘর তাওয়াফ করল না কিংবা বাইতুল্লাহ শরীফের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করলনা তাহলে পৃথিবীতে ব্যাপক আযাব নেমে আসবে। অন্য একটি হাদীছে আছে পবিত্র কাবা ঘরের সম্মান যেদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে সেদিন পৃথিবীকেও বিলুপ্ত করে দেয়া হবে।


*  ইবন ইসহাক (র) বলেন, অতঃপর আবরাহা সানআ নগরীতে কুলায়স নামে একটি গীর্জা

নির্মাণ করে ৷ ঐ যুগে এমন উন্নতমানের প্রাসাদ দ্বিতীয়টি ছিল না ৷ সে নাজ্জাশীর নিকট এ মর্মে

পত্র লিখে যে, আপনার জন্যে আমি একটি গীর্জা নির্মাণ করেছি ৷ আপনার পুর্বে কোন রজাের

জন্যে এমন প্রাসাদ নির্মিত হয়নি ৷ আরবদের হজ্জ এখানে স্থানান্তরিত না করা পর্যন্ত আমি ক্ষাম্ভ

হয় না ৷

সুহায়লী বলেন, এই ঘৃণ্য উপাসনালয় নির্মাপ করতে গিয়ে আবরাহা ইয়ামানের

অধিবাসীদেরকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছে ৷ কেউ সুার্ঘদয়ের পুর্ব থেকে কাজ শুরু না করলে

সে তার হাত কেটে ফেলত ৷ বিলকীসের শাহী প্রাসাদ :’-রুকে শ্বেত পাথর, মর্মর ও অন্যান্য

অমুল্য রত্যুবলী খুলে এনে ঐ গীর্জায় সংযোজন করে ৷ তার মিম্বার ছিল পজদণ্ড ও আবলুস কাঠে

তৈরী ৷ এর ছাদ ছিল অনেক উচু আয়তন, বিশাল বিন্তুত ৷

আবরাহা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর হড়াবশীগণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৷ এরপর

কোন ব্যক্তি ঐ গীর্জার আসবাব পত্র কিৎবা ঘর দরজা খুলে নিতে চাইলে সে জিনদের

আক্রমণের শিকার হত ৷ কারণ ঐ পীর্জা নির্মিত হয়েছিল দৃ’টো প্ৰতিমার নামে ৷ প্ৰতিমাণ দুটি

ছিল আয়ব ও তার ত্রীর ৷ এ দুটো প্ৰতিমড়ার প্রত্যেকটির উচ্চতা ছিল ৬০ গজ করে ৷ অতঃপর

ইয়ামানবাসিগণ পীর্জাটিকে ঐ অবস্থায় রেখে দেয় ৷ প্রথম আব্বাসী খলীফা সাফ্ফাহ্র এর

সময় পর্যন্ত সেটি ঐ অবন্থায়ই ছিল ৷ সাফ্ফাহ একদল সাহসী, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী গুণী লোক

পাঠালেন ৷ তারা একে একে সকল পাথর খুলে নিয়ে সেটি ভেঙ্গে ফেলেন ৷ অতঃপর তা’

নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, নাজাশীর প্রতি প্রেরিত আবরাহার পত্র সম্পর্কে আরবদের মধ্যে

আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় ৷ কিনানা গোত্রের জনৈক লোক একথা শুনে ভীষণভাবে ক্ষেপে

যায় ৷ যারা যুদ্ধ নিষিদ্ধ মাসগুলােকে যুদ্ধ সিদ্ধ মাসের দিকে ঠেলে দিতে এসেছিল, যে ঐ

দলভুক্ত ৷ ( আে ং :১ ৰুষ্টুাট্রু ) র্চেন্৷ ৷ ৷ ) এই যে, মাসকে পিছিয়ে দেয়া কেবল কুফরীই

বৃদ্ধি করে ’ (৯ তওবর্ট ৩ ৭ ) উক্ত আঘাতের ব্যখ্যিড়ায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি ৷ ইবন

ইসহাক (র) বলেন, অতঃপর কিনান বংশীয় ল্যেকটি পথে বের হয় ৷ সে এসে পৌছে

উপরোক্ত কুলায়স গীর্জায় ৷ যে সকলের আগােচরে গীর্জার ভেতরে মলত্যাগ করে ৷ এরপর বের

হয়ে সে নিজ দেশে ফিরে আসে ৷ এ সংবাদ আবরাহার কানে পৌছে ৷ কে এই অঘটন

ঘটিয়েছে সে জানতে চায় ৷ তাকে জানানো হয় যে, মক্কায় অবস্থিত কাব৷ গৃহের যারা হজ্জ করে

তাদের একজন এ কর্মটি করেছে ৷ আপনি আরবদের হজ্জাক ঐ ঘর থেকে ফিরিয়ে এ ঘরের

দিকে আসবেন শুনে সে রেগে এমনটি করেছে ৷ সে বুঝতে পেয়েছে যে, এ ঘরটি হজ্জ করার

উপযুক্ত নয় ৷

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (২য় খণ্ড) : ২-

—————————


টোকেন


إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ


(আল ইমরান - ৯৬)


মসজিদ,কাবা আল্লাহর ঘর, আমি আমার ঘরে থাকি

*  যতদিন প্রয়োজন কেউ ভাংতে পারবেনা আবরাহা পারেনি সূরা ফিল

* আবরাহা গীর্জা তৈরী করে হজ্জ করার জন্য ৷


আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করলে আল্লাহ যথেষ্ট

আব্দুল মোত্তালিব ও কুরাইশগন মিলে কাবা ঘর ধরে দোয়া করে সেদিন আল্লাহ নামটি তাদের মুখে উচ্ছারন করে যদিও তারা মুশরিক, আল্লাহর প্রতি ভরসা করেছিল

وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ ۚ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا


(আত ত্বালাক - ৩)


*  ফেরেশতাদের কাবা ‘বায়তুল মামুর’ এর পরিচয়ঃ মেরাজে রাসূল (সা:)


*  তাওয়াফের সূচনা, আদম (আঃ) প্রথম কাবা ঘর তাওয়াফ করেন। কিয়ামত পর্যন্ত চলবে


فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَـٰذَا الْبَيْتِ

الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ


*  কাবা ঘর তৈরী করেন ফেরেশতাগণ। আদম (আঃ) ,হজরত নূহ (আঃ) এর সময়ে মহাপ্লাবনে কাবা ঘর নিশ্চিহ্ন 

কিস্তি তৈরি,বৃদ্দা মহিলা বেচে যায়,

হলে  ইব্রাহীম (আঃ) তৈরীর আদেশ,রাসূল (সা:) মুর্তি সরান

No comments

Powered by Blogger.