58/239 প্রতিটি মানুষের জীবন সৌন্দর্যের উপকরণ
* পৃথিবীর সব আমাদের। আর আমাদের জীবনের সব হবে আল্লাহর।
* আকাশ সাজিয়েছেন তারকারাজির দ্বারা। মানুষের জীবন সাজিয়েছেন আটটি জিনিস দ্বারা সূরা মুলক
* নারীকে পুরুষের জন্য আকর্শন করে সৃষ্টি করেছেন, সেটা এশক পর্যায়ের। ইমরান:১৪
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَ الْبَنِیْنَ وَ الْقَنَاطِیْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَ الْفِضَّةِ وَ الْخَیْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَ الْاَنْعَامِ وَ الْحَرْثِؕ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ اللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ
* স্বামী স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা এটা আল্লাহর দান। ৩০: রূম: ২১
وَ مِنْ اٰیٰتِهٖۤ اَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْۤا اِلَیْهَا وَ جَعَلَ بَیْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّ رَحْمَةً١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ
* নারীর ভাল বাসার কাছে সব কিছু হার মানায়,লাইলি মজনুর প্রেম কাহিনীর কথা হয়তো শুনেছেন, প্রশ্নের জবাবে লাইলি বলল তোমার চোখনো মজনুর চোখ নয়
* কাবা ঘরের পার্শে বাবা লাইলি বিচ্ছেদের দোয়া করতে বললে সে এভাবে দোয়া করে কে সে জন পৃষ্ঠা 36
الهى من كل المعاصي ولكن حب ليلى لا اتوب
يا رب لا تسْلُبَنِّي حُبَّها أبداًوَيَرْحَمُ اللّه عَبْداً قال آمينا
* আটটি জিনিসের প্রতি এত ভালোবাসা এতো প্রেম এটা দুনিয়ার জীবনেই লিমিটেড। কার জন্য এতকিছু আপনারা ইদানিং পত্রিকায় দেখেছেন। চট্টগ্রামে এক বাবার লাশ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে দুই দিন ধরে পরে থাকে। কার জন্য এতকিছু
* প্রেম ভালোবাসার সাথে সাথে আল্লাহর হুকুম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। দুনিয়ার এই প্রেমে পড়ে যেন আমরা আল্লাহকে ভূলে না যাই
* সূরা তাকাসুর
__________________
* হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বক্কর রা: এর বিয়ে হয়েছিল হযরত আতিকা রা: সাথে।স্ত্রীর প্রেমে দাওয়াতি কাজ বন্ধ,যাও তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাও।তালাক দিয়ে দিলেন
ياعاتقه- لا انساك ها عاشف القلب كل يوم وليلة اليك بما تخفي النفوس متعلقة
* একজন পুরুষ,নারী তৃতীয় শয়তান থাকে
* যিনার কাছেও যেয়ো না,বনী ইসরাঈল:৩২
وَ لَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤى اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةًؕ وَ سَآءَ سَبِیْلًا
* চোখের যিনা থেকে বাচার জন্য আল্লাহ মো'মেন পুরুষ ও নারীদের বলেছেন।নূর:৩০-৩১
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ یَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَ یَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْؕ ذٰلِكَ اَزْكٰى لَهُمْؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیْرٌۢ بِمَا یَصْنَعُوْنَ
وَ قُلْ لِّلْمُؤْمِنٰتِ یَغْضُضْنَ مِنْ اَبْصَارِهِنَّ وَ یَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَ لَا یُبْدِیْنَ زِیْنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَ لْیَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُیُوْبِهِنَّ۪
* মুখের যিনা,হাতের যিনা,পায়ের যিনা,সেদিন হাত পা কথা বলবে-ইয়াসীন:৬৫
اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى اَفْوَاهِهِمْ وَ تُكَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ
* কান চোখ,অন্তকরণকে প্রশ্ন করা হবে,বনী ইসরাঈল:৩৬
وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْـٴُـوْلًا
____________________________________
৩: আলে-ইমরান:আয়াত: ১৪
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَ الْبَنِیْنَ وَ الْقَنَاطِیْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَ الْفِضَّةِ وَ الْخَیْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَ الْاَنْعَامِ وَ الْحَرْثِ١ؕ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ اللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ
মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহর কাছে।
দাম্পত্যজীবন স্বামী-স্ত্রীর জন্য আল্লাহর নিয়ামত। স্বামী ও স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। আদিতে আল্লাহ তাআলা বাবা আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর একাকিত্ব দূর করার জন্য সৃজন করলেন মা হাওয়া (আ.)-কে। কোরআন করিমের বর্ণনা—‘হে মানবকুল! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এক সত্তা থেকে। এবং তা থেকে তার সঙ্গী সৃষ্টি করলেন। অতঃপর তাদের উভয় থেকে বহু নর-নারীর বিস্তার ঘটান।’ (সুরা-৪ নিসা, আয়াত: ১)
দাম্পত্য সম্পর্ক আল্লাহর সেরা দান ও তাঁর কুদরতের প্রকাশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তিনিই মানুষ সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে; অতঃপর তিনি তার বংশগত সম্পর্ক ও বৈবাহিক আত্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। আপনার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।’ (সুরা: ২৫ ফুরকান, আয়াত: ৫৪)। ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম হলো, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের জন্য সঙ্গী জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য।’ (সুরা: ৩০ রুম, আয়াত: ২১)
স্বামী-স্ত্রী দাম্পত্যজীবনে একে অন্যের পরিপূরক এবং সুরক্ষাবেষ্টনী। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ (সুরা: ২ বাকারা, আয়াত: ১৮৭)। পরিবারের প্রধান ও মূল দায়িত্ব স্বামীর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পুরুষেরা নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ হতে ব্যয়ও করে।’ (সুরা: ৪ নিসা, আয়াত: ৩৪)
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কটি মানবসভ্যতার ইতিহাসের প্রথম ও সবচেয়ে ঘনিষ্ঠতম এবং শক্তিশালী সম্পর্ক। স্বামী স্ত্রীকে থাকার জন্য যে ঘর বা কক্ষ দেবেন, সে ঘর বা কক্ষে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া (স্বামী ব্যতীত) কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি স্বামীর মা, বাবা, ভাইবোনও নন। স্ত্রীর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনে এই ঘরে বা কক্ষে তিনি তালা–চাবিও ব্যবহার করতে পারেন। স্ত্রীর ব্যক্তিগত বা গোপনীয় বিষয়ে স্বামী ছাড়া কেউ নাক গলাতে পারবেন না। স্ত্রীর স্যুটকেস, ট্রাংক ও আলমারি স্বামী ছাড়া কেউ তল্লাশি করতে পারবেন না।
৩০: আর-রূম:আয়াত: ২১
وَ مِنْ اٰیٰتِهٖۤ اَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ اَنْفُسِكُمْ اَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْۤا اِلَیْهَا وَ جَعَلَ بَیْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّ رَحْمَةً١ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَاٰیٰتٍ لِّقَوْمٍ یَّتَفَكَّرُوْنَ
আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদেরই জাতি থেকে সৃষ্টি করেছেন স্ত্রীগণকে, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি লাভ করো এবং তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। অবশ্যই এর মধ্যে বহু নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।
* যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী (ব্যভিচারের জন্য) আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি
,সহিহ বুখারী-২২৭০ সহিহ
সে ব্যক্তি আরশে স্হান পাবে,যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী (ব্যভিচারের জন্য) আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি ✓
,সহিহ বুখারী-২২৭০
وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ
* সে ব্যক্তি আরশে স্হান পাবে,যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী (ব্যভিচারের জন্য) আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি,সহিহ বুখারী-২২৭০
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ الإِمَامُ الْعَادِلُ وَشَابٌّ نَشَأَ بِعِبَادَةِ اللَّه
ِ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ
وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ . وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ يَمِينُهُ مَا تُنْفِقُ شِمَالُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তা’আলা এমন একদিন (ক্বিয়ামাতের দিন) তাঁর (‘আর্শের) ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া অবশিষ্ট থাকবে না। (১) ন্যায়পরায়ণ ইমাম (জনগণের নেতা), (২) ঐ যুবক, যে আল্লাহ্ তা’আলার ‘ইবাদাতে মশগুল থেকে বড় হয়েছে, (৩) সে ব্যক্তি, যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান), (৪) সে দু’ব্যক্তি, যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে ও পরস্পর মিলিত হয় এবং এ জন্যই (পরস্পর) বিচ্ছিন্ন হয়, (৫) যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী (ব্যভিচারের জন্য) আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৬) যে ব্যক্তি এতটা গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কী দান করে তা তার বাম হাত টের পায়না এবং (৭) যে ব্যক্তি একাকী বসে আল্লাহকে স্মরণ করে আর তার চোখ দু’টো (আল্লাহ্র ভয় বা ভালবাসায়) অশ্রুপাত করে। (ই.ফা. ২২৪৯, ই.সে. ২২৫০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* নারীকে পুরুষের জন্য আকর্শন করে সৃষ্টি করেছেন, ইমরান:১৪,
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَ الْبَنِیْنَ وَ الْقَنَاطِیْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَ الْفِضَّةِ وَ الْخَیْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَ الْاَنْعَامِ وَ الْحَرْثِؕ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ اللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ
মানুষের জন্য নারী, সন্তান, সোনা-রূপার স্তূপ, সেরা ঘোড়া, গবাদী পশু ও কৃষি ক্ষেতের প্রতি আসক্তিকে বড়ই সুসজ্জিত ও সুশোভিত করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সামগ্রী মাত্র। প্রকৃতপক্ষে উত্তম আবাস তো রয়েছে আল্লাহর কাছে।
* নারীর ভাল বাসার কাছে সব কিছু হার মানায়,লাইলি মজনুর প্রেম কাহিনীর কথা হয়তো শুনেছেন,প্রশ্নের জবাবে লাইলি বলল তোমার চোখনো মজনুর চোখ নয়,
লাইলিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তুমি কি সেই লাইলি, যার মহব্বতে পড়ে মজনু রাজত্ব ছেড়ে দিয়াছে? জবাবে লাইলি বলল, হ্যা। তখন বলা হল যে, তুমি তো তত সুন্দরী নও, মজনুর বাবা ইচ্ছা করলে তো তোমার চেয়ে অনেক সুন্দরী ঘরে আনতে পারে। আসলে মজনু একটা পাগল।
তখন লাইলি বলেছিল, চুপ কর ! তুমি তো আর মজনু নয়, তোমার চোখে মজনুর চোখ লাগিয়ে দেখ, আমার চেয়ে সুন্দরী দুনিয়াতে দ্বীতিয়টি নাই।
মজনুর আসল নাম ছিল তাওবা, আরবিতে কায়েস নামে পরিচিত, আমাদের কাছে সে মজনু নামে বিখ্যাত, আসলে তার নাম ছিল তওবা, বাপের নাম সুম্মা তিনি সর্দার বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন, তাওবার সাথে ইশক হয়েছিল লায়লার, বাপ একদিন তাকে হেরেম শরীফে আটকালো, তাকে বলা হল আল্লাহর অস্তে তুমি লায়লার সম্পর্ক ছেড়ে দাও, তওবা করো এখানে,এই বাইতুল্লাহ শরীফে,সেই হাত উঠানো এবং এই ভাবে দোয়া করল
الهى من كل المعاصي ولكن حب ليلى لا اتوب
হে আল্লাহ সব গুনা থেকে আমি তওবা করছি, কিন্তু লায়লার সাথে সম্পর্ক ছাড়তে পারছিনা
يا رب لا تسْلُبَنِّي حُبَّها أبداًوَيَرْحَمُ اللّه عَبْداً قال آمينا
হে আল্লাহ লায়লার সাথে আমার ইশক চিরদিনের করো আর যারা আমার সাথে আমিন বলছে তাদেরও মঙ্গল করো কে সে জন পৃষ্ঠা 36
* হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বক্কর রা: এর বিয়ে হয়েছিল হযরত আতিকা রা: সাথে।স্ত্রীর প্রেমে দাওয়াতি কাজ বন্ধ,যাও তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাও।তালাক দিয়ে দিলেন
* হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বক্কর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর বিয়ে হয়েছিল হযরত আতিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার সাথে।সুন্দর *। সুন্দর তার ভালোবাসা। স্ত্রীর ভালবাসার বাঁধনে জড়িয়ে পড়লেন আব্দুল্লাহ। এতই বেশি আর প্রগাঢ় যে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া ছেড়ে দিলেন। আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু তাকে বোঝালেন। বেটা, বিবির প্রেমের বাঁধনে এমন ভাবে জড়িয়ে পড়ো না যে দ্বীনের কাজ নষ্ট হয়,ক্ষতি হয়।
স্ত্রীর প্রেমে পড়ে কি আমরা কেউ দোকান ছেড়ে দেই? অফিসে যাওয়া বন্ধ করি? ব্যবসাপাতি ছেড়ে দেই? তাহলে তো বাবা-মার শাসন করবে। এমনকি যার রূপে-গুণে মজে সব ভুলতে বসেছি সেই সাধের স্ত্রী এসে বলবে, তুমি কাজ কাম ছেড়ে দিলে খাবো কি? যাও, তাড়াতাড়ি দোকান শুরু করো।অফিসে যাও। সমস্ত ভালোবাসাই তো প্রয়োজনের জন্য। আমার প্রয়োজন মেয়েটাও তাহলেই ভালোবাসা পাবে।
কাজ না করলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়!
ওখানে কাজ ছিল কি?
কালিমা তাইয়্যেবা প্রচার। দুনিয়া জুড়ে আল্লাহর নাম উঁচু করা।
হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছেলেকে বলেন, বাবা, তুমি আমার ছেলে হয়ে কি করছো?
তবুও যখন সে বুঝলো না। তখন তিনি বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীকে তালাক দাও।
সব পিতার কথায় স্ত্রী তালাক জায়েজ হয় না। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এমনই এক পিতা যার কথায় পুত্রের স্ত্রীর তালাক জায়েজ হয়ে যায়। তিনি বললেন, তুই যদি আমার ছেলে হয়ে দিনের কাজ না করিস তো তোর স্ত্রী তালাক দিয়ে দে!
দ্বীনের জন্য ছেলের ঘরকে উজাড় করে দিলেন!
পিতার কথা শুনতে হবে। তালাক হয়ে গেল। আবার শুরু হল আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া। ঠিক হয়ে গেলেন। কিন্তু আতিকা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার কথা বলতে পারলেন না। একদিন তুষার ঘন রাত। ঝড়ো হাওয়া বইছে। আব্দুল্লাহর অন্তরে ব্যথার ঢেউ। আতিকা কে তার মনে পড়ছে। তিনি আবৃত্তি করলেনঃ
ياعاتقه- لا انساك ها عاشف القلب كل يوم وليلة اليك بما تخفي النفوس
متعلقة
হে আতিকা, তোমাকে আমি কখনো ভুলতে পারবো না। যতদিন আর রাত হব, যতদিন সূর্য চমকাবে, চাঁদ কিরণ দেবে ততদিন তোমার স্মৃতি আমার অন্তরে জেগে থাকবে।
আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু যখন ছেলের বিরহ ব্যথার কথা জানতে পারলেন তখন অস্থির হয়ে রুজু করে আবার বিয়ে দিয়ে দিলেন।
কিন্তু আল্লাহর মহিমা।
আবদুল্লাহর মৃত্যু ঘরে হলো না। যুদ্ধের ময়দানে শত্রুর ছোড়া সুতীক্ষ্ণ ফলা বুকে বিঁধে রক্তাক্ত করে দিল তাকে।
৩০ বছরের সুদর্শন যুবককে আহত অবস্থায় মদিনা নিয়ে এলো। রক্তাক্ত স্বামীর পাশে সুদর্শনা যুবতী স্ত্রী দাঁড়িয়ে, চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে। বিমূঢ়, রুদ্ধবাক, অশ্রুভেজা স্ত্রীর চোখের সামনে ছটফট করতে করতে মারা যাচ্ছে তার যুবক স্বামী। রক্তাক্ত অবস্থায় মারা গেলেন তিনি।
হযরত আতিকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বিরহকাতর, বিধবা। তার অশ্রু ভেজা কণ্ঠে উচ্চারিত হলো-
"আমিও কসম খাচ্ছি আজ থেকে আমার শরীর কখনো নরম কাপড় পড়বে না। আমার শরীরে আর কখনো সুগন্ধি ছড়াবে না।"
তুমি কত সুন্দর বীর যুবক ছিলে! তৌহিদের বাণীকে উঁচু করার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে।
যখন পর্যন্ত সূর্য ও চাঁদ উঠবে, পাখিরা গাছের কাছে ডাকবে ;আকাশে আলো ছড়াবে আর আধারে হবে তোমার ভালোবাসার চমকাবে। তোমাকে মনে পড়বে। তোমার ভালোবাসা আমাকে অস্থির করবে।
এভাবেই ইসলাম দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
* একজন পুরুষ,নারী তৃতীয় শয়তান থাকে
* যিনার কাছেও যেয়ো না,বনী ইসরাঈল:৩২,
وَ لَا تَقْرَبُوا الزِّنٰۤى اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةًؕ وَ سَآءَ سَبِیْلًا
(আট) যিনার কাছেও যেয়ো না, ওটা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য পথ।৩২
* চোখের যিনা থেকে বাচার জন্য আল্লাহ মো'মেন পুরুষ ও নারীদের বলেছেন,২৪: আন্-নূর:৩০,
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِیْنَ یَغُضُّوْا مِنْ اَبْصَارِهِمْ وَ یَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْؕ ذٰلِكَ اَزْكٰى لَهُمْؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیْرٌۢ بِمَا یَصْنَعُوْنَ
নবী! মু’মিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে২৯ এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হেফাজত করে।৩০ এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন।
২৪: আন্-নূর:৩১,
وَ قُلْ لِّلْمُؤْمِنٰتِ یَغْضُضْنَ مِنْ اَبْصَارِهِنَّ وَ یَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَ لَا یُبْدِیْنَ زِیْنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَ لْیَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلٰى جُیُوْبِهِنَّ۪ وَ لَا یُبْدِیْنَ زِیْنَتَهُنَّ اِلَّا لِبُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اٰبَآئِهِنَّ اَوْ اٰبَآءِ بُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اَبْنَآئِهِنَّ اَوْ اَبْنَآءِ بُعُوْلَتِهِنَّ اَوْ اِخْوَانِهِنَّ اَوْ بَنِیْۤ اِخْوَانِهِنَّ اَوْ بَنِیْۤ اَخَوٰتِهِنَّ اَوْ نِسَآئِهِنَّ اَوْ مَا مَلَكَتْ اَیْمَانُهُنَّ اَوِ التّٰبِعِیْنَ غَیْرِ اُولِی الْاِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفْلِ الَّذِیْنَ لَمْ یَظْهَرُوْا عَلٰى عَوْرٰتِ النِّسَآءِ۪ وَ لَا یَضْرِبْنَ بِاَرْجُلِهِنَّ لِیُعْلَمَ مَا یُخْفِیْنَ مِنْ زِیْنَتِهِنَّؕ وَ تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ جَمِیْعًا اَیُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
আর হে নবী! মু’মিন মহিলাদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে৩১ এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হেফাজত করে৩২ আর৩৩ তাদের সাজসজ্জা না দেখায়,৩৪ যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া।৩৫ আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে।৩৬ তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া৩৭ স্বামী, বাপ, স্বামীর বাপ,৩৮ নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে,৩৯ ভাই, ৪০ ভাইয়ের ছেলে,৪১ বোনের ছেলে,৪২ নিজের মেলামেশার মেয়েদের,৪৩ নিজের মালিকানাধীনদের,৪৪ অধীনস্থ পুরুষদের যাদের অন্য কোন রকম উদ্দেশ্য নেই৪৫ এবং এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ। ৪৬ তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।৪৭ হে মু’মিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, ৪৮ আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।৪৯
* মুখের যিনা,হাতের যিনা,পায়ের যিনা,সেদিন হাত পা কথা বলবে-ইয়াসীন:৬৫,
اَلْیَوْمَ نَخْتِمُ عَلٰۤى اَفْوَاهِهِمْ وَ تُكَلِّمُنَاۤ اَیْدِیْهِمْ وَ تَشْهَدُ اَرْجُلُهُمْ بِمَا كَانُوْا یَكْسِبُوْنَ
আজ আমি এদের মুখ বন্ধ করে দিচ্ছি, এদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং এদের পা সাক্ষ্য দেবে এরা দুনিয়ায় কি উপার্জন করে এসেছে।৫৫
* কান চোখ,অন্তকরণকে প্রশ্ন করা হবে,বনী ইসরাঈল:৩৬,
وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْـٴُـوْلًا
(তের) এমন কোন জিনিসের পেছনে লেগে যেয়ো না যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই। নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।৪২
* দৈনিক ইত্তেফাক
পেনশনের টাকা ভাগাভাগি
দুই দিন পর দাফন হলো সেই বাবার লাশ
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৩৯
দুই দিন পর দাফন হলো সেই বাবার লাশ
চাকরি থেকে অবসরের টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই দিন ধরে বাড়ির সড়কে বাবার লাশ ফেলে রাখেন সন্তানেরা। মৃত্যুর দুই দিন পর আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মনির আহমদ (৬৫) নামে পদ্মা অয়েল কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তার লাশ। তবে দাফনের সময় উপস্থিত ছিলেন না তিন মেয়ের কেউই।
citagong-2
citagong-2
গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনির আহমদ। এরপর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ এনে রেখে দেওয়া হয় বাড়ির পাশের সড়কে। এরপর অবসরে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।
ঘটনাটি কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেরানী বাপের বাড়িতে ঘটে। এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মনির আহমদের লাশ দাফনের তাগাদা দেন।
citagong-1
citagong-1
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মনির আহমদের সংসারে স্ত্রী,২ ছেলে ও ৩ মেয়ে। তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়ে ৫০ লাখ টাকা পেনশন পান। সেই টাকা ব্যাংকে তার নামের অ্যাকাউন্টেই ছিলো।
স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৫৫) ও বড় ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, মনিরের মেয়ে বেবি আকতার বাবাকে থেরাপি দেওয়ার কথা বলে চাতরী চৌমুহনী শাখার এবি ব্যাংকে নিয়ে ৩০ লাখ টাকা সরিয়ে ফেলেন।
citagong-1
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় আজ লাশ দাফন করা হয়। এ সময় স্ত্রী ও বড় ছেলে উপস্থিত ছিলেন। তবে ছোট ছেলে মো. আলমগীর সৌদি আরবে থাকায় আসতে পারেননি। তিন মেয়ের কেউই লাশ দাফনের সময় ছিলেন না। রোববার রাতেই তারা শ্বশুরবাড়ি চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়ে লিপি আকতার অভিযোগ করেন, হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়ি নেওয়ার পর থেকে ভাই জাহাঙ্গীর আলম তাদের তিন বোনকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন। এ কারণে বিকেলে তিনি শ্বশুরবাড়ি চলে যান। রোববার রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় অপর দুই বোন উদ্ধার হওয়ার পর তারাও শ্বশুরবাড়ি চলে যান। আর বাবার দাফনের নির্ধারিত সময় না জানার কারণে তিনি ওই সময় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
citagong-3
বড়উঠান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, সত্যি দুঃখজনক ঘটনা আমার ইউনিয়নের মধ্যে। এ ঘটনায় আমরা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। মনির আহমদের অসুস্থতার কারণে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে। সেগুলো বাদ দিয়ে তার অ্যাকাউন্টে যে টাকা আছে সেগুলো সন্তানদের মধ্যে ভাগ হবে। সে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে আজ সকালে লাশ দাফন করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, রোববার বাবার অবসরের টাকার ভাগ নিয়ে বিরোধের জেরে দুই বোনকে আটকে মারধরের বিষয়টি জানানোর পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আমি ইউপি সদস্যকে পাঠাই এবং দুই মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া লাশ বহনের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আমি নিজ থেকে দিয়ে দিয়েছি।
কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মৃতের স্বজনদের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে আজ সকালে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
No comments