Header Ads

Header ADS

132 ইমান হলো সকল বিপদ থেকে বাঁচানোর রক্ষা কবজ

  132 ইমান হলো সকল বিপদ থেকে বাঁচানোর রক্ষা কবজ এটা কেমন ইমান আগুন দেহকে জ্বালাতে পাড়ে না




* ইমান আমলের ফাউন্ডশন,


* অন্তরে বিশ্বাস


* ইলাহা অর্থ সকল ক্ষমতার মালিক রিযিক দাতা আইন দাতা 




* قُلْ إِنَّ صَلَاتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


আপনি বলুনঃ আমার নামায, আমার কোরবাণী এবং আমার জীবন ও মরন বিশ্ব-প্রতিপালক আল্লাহরই জন্যে।


6-Al-An'am : 162




সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪৮




إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحْمَ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيْرِ ٱللَّهِ ۖ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।


2-Al-Baqara : 173




اِنَّ اللّٰہَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِہٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا ﴿۴۸﴾ 




উচ্চারণঃ ইন্নাল্লা-হা লা-ইয়াগফিরু আইঁ ইউশরাকা বিহী ওয়া ইয়াগফিরু মা-দূ না যা-লিকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাই ইউশরিক বিল্লা-হি ফাকাদিফ তারা-ইছমান ‘আজীমা-।




অর্থঃ নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ করল।




*প্রসাদ গাইরুল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাই খাওয়া হারাম,অন্তরে ঘৃনা করার পরিবর্তে আনন্দ ইমান আছে না গেছে


পূজার প্রসাদ খাওয়ার হুকুম কি? 


পুজার সময় অনেক মুসলিমকেই দেখা যায়, হিন্দুদের এই পুজায় তারা যায়, তাদের প্রস্বাদ খুব মজা করে খায়। পরে ফিরে এসে সকলকে বলে বেড়ায়- পুজায় গিয়েছিলাম, খুব মজা করেছি, ওদের প্রস্বাদ খেয়েছি, বেশ মজা পেয়েছি ইত্যাদি। এখন প্রশ্ন হল- এই প্রস্বাদ নামক খাবারটা কি খাওয়া হালাল নাকি হারাম? এই প্রস্বাদ নামক খাবারটা দেওয়া হয় হিন্দু মনগড়া নকল ঈশ্বরের উদ্দেশ্য। অর্থাৎ হিন্দুরা নিজের হাতে নির্মিত বিভিন্ন মূর্তির, যার কোন ক্ষমতাই নেই, সেই নকল ঈশ্বরের উদ্দেশ্য প্রসাদ দেয়। মহান আল্লাহ্ পবিত্র ক্বুর'আনের মোট চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন- সূরাহ বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে, সূরাহ মায়িদাহ’র ৩ নং আয়াতে, সূরাহ আন’আমের ১৪৫ নং আয়াতে, এছাড়াও সূরাহ নাহলের ১১৫ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে” অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম। এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে। অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশ গ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব- দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে- গেসি তো কি হয়েছে? গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে। এখন একটু ভেবে দেখুন, মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহ্র সাথে শির্ক করা। আর শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ। 


মহান আল্লাহ্ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্র সাথে শির্ক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়। (সুরা লুকমানঃ ১৩) আর শির্কের অপরাধ আল্লাহ্ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না, কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে। (সূরা নিসাঃ ৪৮)। এখন দেখুন, সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে। আর রাসুল (সাঃ) বললেন- তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে(শক্তি প্রয়োগে) তা সংশোধন করে দেয়, যদিতার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮] অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মন থেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণাকরলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে? তাই হিন্দুদের পূজার উৎসবে কোন মুসলিমের যাওয়া হারাম।




* যে ইমান গুনাহ থেকে বাচাইতে পারেনা


এটা কেমন ইমান আগুনে পুরেনা দেহ ইব্রাহিম (আঃ) আগুনা




* হাত পুরেনা হাসান বসরী (রঃ) অগ্নি পুজককে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়


হযরত হাসান বসরী (র)


-------------------------------


হযরত হাসান বসরী (র) একজন ভাগ্যবান পুরুষ। নবীর শহর মদীনাতে তাঁর জন্ম। তাঁর মা ছিলেন উম্মুল মুমেনিন উম্মে সালমা (রাঃ)-এর একজন পরিচারিকা। উম্মুল মোমেনিন হযরত আয়েশা (রাঃ) তাকে কোলে তুলে নিতেন।


      এক হাদীসে দেখা যাচ্ছে, একদিন হযরত যখন উম্মে সালমা (রাঃ)-এর ঘরে এলেন, তখন তিনি হাসানকে কোলে তুলে নিলেন। তাঁকে কোলে নিয়ে তিনি তাঁর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া জানালেন। বলাবাহুল্য, নবী মোস্তফার এই দোয়ার কারনেই হযরত হাসান বসরী (র) এর জীবনে সাফল্য আসে আল্লাহর তরফ থেকে।


       নিজের সন্তান না হলেও উম্মুল মোমেনিন হযরত সালমা (রাঃ) তাঁকে পুত্র-বৎ স্নেহ করতেন। তাঁর জন্য দোয়া করতেন। আল্লাহ যেন তাঁকে মুসলিম জাহানের ইমাম বানিয়ে দেন, এই ছিল তাঁর আন্তরিক প্রার্থনা।


       তিনি কম করে হলেও একশত কুড়ি জন আলোকিত পুরুষের সংস্পর্শ ধন্য। হযরত আলী (রাঃ)-এর পুত্র ইমাম হাসান (রাঃ)-এর কাছ থেকে তিনি বিদ্যার্জন করেন। শরীয়তী জ্ঞান ছাড়াও মারেফতের দীক্ষাও তিনি তাঁরই কাছ থেকে পান। অবশ্য 'তোহফা' নামক গ্রন্থের গ্রন্থকার উল্লেখ করেছেন, হযরত হাসান বসরী (র) আসলে হযরত আলী (রাঃ)-এর শিষ্য।


      মহানবীর কিংবা নবী পত্নীর দোয়া আল্লাহ মঞ্জুর করেন। শিশু হাসান হয়ে উঠেন মহাসাধক হযরত হাসান বসরী (র) নামে খ্যাত।


      প্রায় ৭০ বছর ধরে একটানা তাঁর অযু ছিল। মাঝে-মাঝে অযু নষ্ট হলে তিনি তৎক্ষনাৎ অযু করে নিতেন। তাঁর সম্বন্ধে বলা হয়েছে, সকল লোকই তাঁর জ্ঞানের মুখাপেক্ষী। কিন্তু তিনি আল্লাহ ছাড়া আর কারও মুখাপেক্ষী ছিলেন না। এই জন্য জ্ঞানী হিসেবে তাঁর নাম সকলের উর্ধ্বে।




প্রতিবেশী শামাউন:


--------------------------


   এক প্রতিবেশী। নাম শামাউন। অগ্নির উপাসক। দীর্ঘায়ু লোক। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। আক্রান্ত হলেন এক কঠিন অসুখে। জীবনের আশা অতি ক্ষীণ, ক্ষীণতম। তাঁর আসন্ন মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। হযরত হাসান (র)-এর কানেও এল কথাটা। তিনি প্রতিবেশীর অন্তিম শয্যার পাশে গিয়ে বসলেন। দেখলেন, শামাউনের সারা শরীরে কালো কালো দাগ। তিনি বললেন, আগুন আর ধোয়া নিয়েই তো কাল কাটালে, এখন একবার আল্লাহকে মেনে নাও। ইসলাম কবুল কর। হয়তো আল্লাহর রহমত নেমে আসবে তোমার ওপর। শামাউনের চোখে তাচ্ছিল্যের আভাস। বললেন, দু'টি কারনে তোমাদের ধর্মের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা আছে। প্রথম কারনটি হল- ইসলাম ধর্মালম্বীরা দিনরাত দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। আর দ্বিতীয় কারন- তারা মুখে মৃত্যুর কথা বলে বটে তবে এমন সব কাজ কারবার করে, যা মৃত্যু-ভীতদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কেননা, ঐ সকল কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।


       হযরত হাসান (র) বললেন, শুভাকাঙ্খীর মতই কথা বলেছ তুমি। কিন্তু, তুমি কি করলে? আজীবন আল্লাহকে ভুলে আগুনের উপাসনা করে কি তাঁর বিরাগভাজন হলে না? শোন, আমি কোনদিন আগুনের উপাসনা করিনি। কিন্তু আমি যার ইবাদত-বন্দেগী অর্চনা করি, তাঁর দয়ায় আগুন আমার বশীভূত। সে আমার কোন ক্ষতি করবে না।


     শামাউন বললেন, হ্যা, আগুন আমার কোন ক্ষতি করবে না আমার তা বিশ্বাস হয় না, হাসান (র) বললেন কিছু আগুন আনাও পরীক্ষা করে দেখি।


     আগুন আনা হল। হযরত হাসান (র) শামাউনকে আগুনের ওপর হাত রাখতে বললেন। কিন্তু তার সাহস হল না। তখন হযরত হাসান (র) নিজের একখানা হাত আগুনের ওপর চাপিয়ে দিলেন। আল্লাহর রহমতে তা পুড়ল না। একগুচ্ছ লোমও না।


     দৃশ্য দেখে শামাউন অবাক। তার মনে এল গভীর অনুশোচনা। তিনি বললেন, ভাই হাসান! সত্তর-আশি বছর ধরে চরম অন্যায় করে এসেছি। এখন কি তার প্রায়শ্চিত্তের অবকাশ আছে? থাকলে মুক্তির উপায় বলে দাও।


      হযরত বললেন নিশ্চয় উপায় আছে। তুমি ইসলামে দীক্ষা নাও। তারপর পবিত্র হৃদয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা কর। তিনি তোমাকে মুক্তি দেবেন।


     শামাউন বললেন, মৃত্যুর পর শাস্তির পরিবর্তে আল্লাহ আমাকে মুক্তি দেবেন, এই মর্মে যদি তুমি আমাকে একখানি পত্র লিখে দাও, তাহলে আমি মুসলমান হতে পারি।


      হযরত হাসান তাঁর কথামত একখানি কাগজে লেখে শামাউনের হাতে দিলেন। শামাউন আবার কাগজখানিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের সই নিয়ে তা আবার হযরত হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিয়ে বললেন, মৃত্যুর পর দাফন করার সময় পত্রখানা আমার সঙ্গে দিও। আর তুমি নিজের হাতে আমাকে গোসল করিয়ে কবরে শুইয়ে দিও। অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন। আর অনতিকাল পরেই মারা গেলেন।


     তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সব কাজ শেষ হল। শামাউনের দাফন কর্ম সম্পন্ন করে হাসান (র) নিজের কথাই ভাবতে লাগলেন। তিনি পূর্বে থেকেই নিজেকে পাপী বলে মনে করতেন। এখন তিনি ভাবতে শুরু করলেন, অন্যের মুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহর অধিকারে হস্তক্ষেপ করলাম।


     এখন আমার মত পাপীর মুক্তির প্রতিশ্রুতি দেয় কে। সারা রাত তিনি আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে রইলেন। সে এক অবিরাম, অন্তহীন প্রার্থনা। শেষ রাতে স্বপ্ন দেখলেন, শামাউন মাথায় ঝকঝকে মুকুট, সুন্দর পোশাক পরে জান্নাতের উদ্যানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, কি খবর শামাউন ভাই? তোমার অবস্থা কি?


     শামাউনের প্রফুল্ল জবাব: যেভাবে আমাকে দেখতে পাচ্ছ, আমি সে রকমই আছি। আল্লাহর রহমতে আমার কোন অসুবিধা হয়নি। আল্লাহর দীদারও লাভ করেছি। তোমার পত্রখানায় খুব কাজ দিয়েছে হাসান ভাই। নাও-বলে পত্রখানা তিনি হাসান (র)-কে ফিরিয়ে দিলেন।


     ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি অবাক হয়ে দেখলেন, সত্যিই শামাউনকে দেয়া পত্রখানা তাঁর হাতের মুঠোয়। যেন স্বপ্ন নয়, এই মাত্র শামাউন স্বশরীরে এসে পত্রখানা তাঁকে দিয়ে গেল। তখন তিনি তাঁর প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলেন, প্রভু গো! আপনার কাজের গূঢ় রহস্য উদঘাটন করার সাধ্য আমার নেই। সারা জীবন যে আগুন নিয়ে পড়ে থাকল, তাকে মাত্র একবার কলেমা পড়ার কারনে আপনি মুক্তি দিলেন, শুধু তাই না- তাকে দেখাও দিলেন। তাহলে আজীবন যারা ঈমান মেনে রয়েছে, তাদের যে আপনি মুক্তি দেবেন- তাতে কোন সন্দেহ নেই। শামাউনের জান্নাতবাস তাঁর চেতনায় নবদিগন্তের দুয়ার খুলে দিল।


      ------------------(হযরত শেখ ফরীদউদ্দীন আত্তার (রঃ)-এর " তাযকেরাতুল আউলিয়া" গ্রন্থ অবলম্বনে)




* জনৈক লোক হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো, কিসে তোমাকে দুনিয়া বিমুখ করেছে? হাসান বললেন, চারটি জিনিষ আমাকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসের পিছনে ছুটা থেকে বিরত রেখেছে। (১) আমি জানতে পেরেছি যে, আমার রিযিক অন্য কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবেনা। তাই আমার অন্তরে রিযিকের টেনশন নেই। (২) আমি জানতে পেরেছি যে, আমার আমল অন্য কেউ করবেনা। তাই আমি আমার আমল নিয়ে ব্যস্ত আছি। (৩) আমি জানতে পেরেছি যে, আল্লাহ তাআলা আমার সবকিছু অবগত আছেন। তাই তিনি আমাকে গুনাহর কাজে দেখবেন, এতে আমি লজ্জাবোধ করি। (৪) আমি জানতে পেরেছি যে, মাওত আমার অপেক্ষায় আছে। তাই আমি আমার রবের সাথে সাক্ষাত করার জন্য পাথেয় তৈরী করেছি।




------


টোকেন%


যে ইমান গুনাহ থেকে বাচাইতে পারেনা




* ইমান আমলের ফাউন্ডশন,


* অন্তরে বিশ্বাস


* ইলাহা অর্থ সকল ক্ষমতার মালিক রিযিক দাতা আইন দাতা 




* قُلْ إِنَّ صَلَاتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَٰلَمِينَ


6-Al-An'am : 162




সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪৮




* আমাদের মালিক কে অবাধ্য হলে শাস্তি হবে কিনা,সুলতান মাহমুদ চাকর আয়াজ হিরক ভেংগে ফেলেন ( ওয়াজ ও খুতবা 1/220




* আমরা আল্লাহর পুজা করি গাইরুল্লাহর পুজা করা শিরক 




إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحْمَ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيْرِ ٱللَّهِ ۖ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ




2-Al-Baqara : 173




اِنَّ اللّٰہَ لَا یَغۡفِرُ اَنۡ یُّشۡرَکَ بِہٖ وَ یَغۡفِرُ مَا دُوۡنَ ذٰلِکَ لِمَنۡ یَّشَآءُ ۚ وَ مَنۡ یُّشۡرِکۡ بِاللّٰہِ فَقَدِ افۡتَرٰۤی اِثۡمًا عَظِیۡمًا ﴿۴۸﴾ 




*প্রসাদ গাইরুল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাই খাওয়া হারাম,অন্তরে ঘৃনা করার পরিবর্তে আনন্দ ইমান আছে না গেছে




* যে ইমান গুনাহ থেকে বাচাইতে পারেনা


এটা কেমন ইমান আগুনে পুরেনা দেহ ইব্রাহিম (আঃ) আগুনা হাত পুরেনা হাসান বসরী (রঃ) অগ্নি পুজককে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয়




* হাসান বসরী (র:) এর ইমানের হালত, চারটি বিষয় দুনিয়া থেকে বিরত রেখেছে, ① জানতে পেরেছি রিজিক আল্লাহর হাতে রিজিকের টেনশন নাই ② আমাল আমাকেই করতে হবে ③ দেখেন তাই গুনাহ লজ্জা মনে করি ④মাওত আমার অপেক্ষায়। তাই রবের সাথে সাক্ষাতের পাথেয় তৈরী করেছি।




----


#প্রত্যেক মানুষের জীবনে সবছে মহা মুল্যবান সম্পদ হচ্ছে ইমান। যার ইমান নাই তার কিচ্ছুই নাই, সে হচ্চে বড় বেইমান। আর ইমান আছে যার- তার সব কিছু হারিয়ে গেলেও কিচ্ছু আসে যায় না। ইমান আছে যার সব কিছুই আছে তার।




* * নেগিটিভ কোন কিছুকে প্রথমেই খারাপ দৃষ্টিতে না দেখি। হতে পারে আল্লাহ ওখানে ও এমন কল্যান রেখেছেন, যা আমরা জানিনা, বুজিনা। যেমন- কারো স্ত্রী কালো, খাটো, ইত্যাদি। 


* ঝড়তুফানে যেমন মোমবাতি দিয়ে পথ চলা যায়না, তেমনি জুলুম নির্যাতন যখন অতি মাত্রায় বেড়ে যায় তখন মোমবাতি মার্কা ইমান টিকেনা।


* আমরা কোরানের মাহফিলে আমাদের ইমানের ব্যাটারি ফুল চার্জ দিয়ে বাড়ি যাব, ইনশাআল্লাহ।




*যার ইমান আমল যত মজবুত।সে তত বেশি সুখি।




কারণ সে সব কিছুতেই আল্লাহর রহমত খুজে পায়।




*যার ইমান যত বেশি মজবুত,,,তার দুঃখ কষ্ট দুনিয়ার বুকে তত বেশী।।

No comments

Powered by Blogger.