Header Ads

Header ADS
৬৮ কেউ দুনিয়ামুখী কেউ পরকালমুখী

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ
* পরকাল সত্য শয়তান ও ফেরেস্তা আছে সত্য যুক্তিতে ধরুক আর না ধরুক। হায় হায় মৌলবীতো ঠিক বলেছিল। এটা বিশ্বাস হবে তখন যখন আলমে বরযখ চোখের সামনে চলে আসবে। তারকা ধ্বংস হয় এখন চোখে দেখছে বিশ্বাস করছে
 ৫৬ আল-ওয়াক্বিয়া, আয়াত: ৭৫
فَلَاۤ اُقْسِمُ بِمَوٰقِعِ النُّجُوْمِۙ
مَرَجَ الْبَحْرَیْنِ یَلْتَقِیٰنِۙ 
بَیْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَّا یَبْغِیٰنِۚ
* মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। সেখানে সূর্যের মতো প্রায় ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে
* আমাদের প্রত্যেকের সাথে সর্বদা শয়তান আছে আবার ফেরেশতা ও আছে প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে 
* পৃথিবীর সব মানুষের জন্য হায়াত রিজি্ক কতটা শাঁস নিঃশ্বাস ছারবে, কতটা কদম রাখবে সব কলম দ্বারা লিখা হয়ে গেছে তবে লিমিটেড। আস্তে আস্তে এগুলো ফুরিয়ে আমরা মৃত্যুর ধার প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছি। বেহেস্তে থাকবে আনলিমিটেড 
* প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের জিন্দেগীর বাজেট থেকে কমে যাচ্ছে। খাদ্য,পানি,পদদ্বয়,শ্বাস প্রশ্বাস,সময়,
* জান কবজ করার পূর্ব মূহর্তে যখন বাকশক্তি লোপ পায় তখন পাঁচজন ফেরেস্তা আসে,খাদ্য,পানি,পদদ্বয়,শ্বাস প্রশ্বাস,সময়,কিরামান কাতিবীন।দাকায়েকুল আখবার পৃ: 40
* জান কবজে বাধা,মুখমন্ডল জিকির করছে,হাতে দান,সদকা,তলোয়ার-লেখনি,পদদ্বয় হেটে নামাজ-রোগীর সেবা-দীনি মজলিস,কান কুরআন তেলোয়াত-তাসবীহ, চোখে দেখেছে কুরআন-অলির চেহারা,মালাকুল মাউতের হাতের তালুতে আল্লাহর নাম (দাকায়েকুল আখবার-27
* যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব,মৃত্যুর মূহর্তে ফেরেস্তা এসে জান্নাতের সুব সংবাদ দিবে 41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত) 30-32

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ

____________________________________

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি। সেখানে সূর্যের মতো প্রায় ৪০ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে
২০১৬ সালের অক্টোবরে অবশ্য জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাবিশ্বে গ্যালাক্সির সংখ্যা প–র্বধারণার চেয়েও ২০ গুণ বেশি। প্রায় দুই লাখ কোটি গ্যালাক্সি। 
* সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্যালাক্সি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে কোয়াসার সম্পর্কে জানতে হবে; কোয়াসার মহাবিশ্বের আশ্চর্য জনক জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু হচ্ছে কোয়াসার। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মতো শ খানেক গ্যালাক্সি একত্র করলে যে পরিমাণ আলো নির্গত করবে, একটি কোয়াসার ই তার চেয়ে অধিক আলো নির্গত করবে।

* এক বুজুর্গ এর সাথে দুনিয়ার মোলাকাত। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি তাঁর স্বরচিত কিতাব, কিতাবুদ্দুনীয়াতে,এই নশ্বর দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে লেখেন যে, এক সময় এক বুজুর্গের কাছে একটি অত্যন্ত সুন্দর রূপসী কুমারী মেয়ে খুব সাজগোজ করে হাজির হল,
 * দুনিয়ার সুখ তারাতারি পাওয়ার জন্য যারা কামনা করে তাদের পরিনীতি,বনী ইসরাঈল:18
مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصْلٰىهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا
* যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো। ইমরান:145
وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الْءَاخِرَةِ نُؤْتِهِۦ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِى الشّٰكِرِينَ
* ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দেন। এক বুজুর্গের কাছে দুনিয়া রুপসির ন্যায় হাজির হল (মাওয়ায়েযে সিরাজী-55
* যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না 59:আল-হাশর:20
لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ۚ أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَآئِزُونَ
* কুনু মায়াছ ছোয়াদিক্কিন। দুনিয়াদার এ দলে থাকতে রাজি নয়। সেদিন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন।ইয়াসীন:59
وَامْتٰزُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ
* সেদিন নেক আমলকারীদের বলবেন হে প্রশান্ত আত্মা! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে)সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র-ফাজর:27-31

يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ 

ارْجِعِىٓ إِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً

فَادْخُلِى فِى عِبٰدِى

وَادْخُلِى جَنَّتِى

* জান কবজ করার পূর্ব মূহর্তে যখন বাকশক্তি লোপ পায় তখন পাঁচজন ফেরেস্তা আসে,খাদ্য,পানি,পদদ্বয়,শ্বাস প্রশ্বাস,সময়,কিরামান কাতিবীন,
( দাকায়েকুল আখবার-পৃ:-40
* জান কবজে বাধা,মুখমন্ডল জিকির করছে,হাতে দান সদকা-তলোয়ার-লেখনি,পদদ্বয় হেটে নামাজ-রোগীর সেবা-দীনি মজলিস,কান কুরআন তেলোয়াত-তাসবীহ, চোখে দেখেছে কুরআন-অলির চেহারা,মালাকুল মাউতের হাতের তালুতে আল্লাহর নাম (দাকায়েকুল আখবার-27
* যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব,মৃত্যুর মূহর্তে ফেরেস্তা এসে জান্নাতের সুব সংবাদ দিবে 41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত) 30-32
إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ

____________________________________

 * দুনিয়ার সুখ তারাতারি পাওয়ার জন্য যারা কামনা করে তাদের পরিনীতি

17:বনী ইসরাঈল:18

مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصْلٰىهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا

যে কেউ আশু লাভের ১৯ আকাঙ্ক্ষা করে, তাকে আমি এখানেই যা কিছু দিতে চাই দিয়ে দেই, তারপর তার ভাগে জাহান্নাম লিখে দেই, যার উত্তাপ সে ভুগবে নিন্দিত ও ধিকৃত হয়ে। ২০

* এক বুজুর্গ এর সাথে দুনিয়ার মোলাকাত:

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি তাঁর স্বরচিত কিতাব, কিতাবুদ্দুনীয়াতে,এই নশ্বর দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে লেখেন যে, এক সময় এক বুজুর্গের কাছে একটি অত্যন্ত সুন্দর রূপসী কুমারী মেয়ে খুব সাজগোজ করে হাজির হল, বুজুর্গ জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে? তোমার এত বড় সাহস বেহায়া ও বেশরম এর মত আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছো, তখন মেয়েটি উত্তরে বলল আমি হলাম দুনিয়া, বুজুর্গ বিষ্ময়কর কন্ঠে বললেন, তুমি দুনিয়া হলে এত অল্প বয়সের কেন? দুনিয়া তো অনেক বয়স হয়েছে এবং তুমি এত সুন্দর কেন? অথচ কত মানুষ তোমাকে চুষে খেয়েছে, প্রতিউত্তরে মেয়েটি বলল যে জনাব মনে রাখবেন নারী যত অল্প বয়সের হোক না কেন, যখন পুরুষ তাকে স্পর্শ করে, তখন তার শরীর দিন দিন ভেঙ্গে যায় ভেঙ্গে পড়ে, আর যদি নারী কোন পুরুষের স্পর্শ না পায, বয়স হলেও শরীর খুব দ্রুত ভাঙ্গেনা অর্থাৎ আমিও একজন বয়স্ক নারী কিন্তু কোনদিন কোন সুপুরুষ আমাকে স্পর্শ করতে পারিনি বিদায় আমি এখনো অল্প বয়স্ক কুমারী নারীর নয় রয়ে গেছি, আর যাদের সম্পর্কে বলেছেন যে তারা আমাকে চুষে খেয়েছে, আসলে তারা ছিল কাপুরুষ তারা আমাকে চুষে খেতে পারিনি যেমন উম্মতের আবু জাহেল উতবা, সায়বা, প্রমুখ কাফের মুনাফিক বেইমান ও তাদের দোসররা আমাকে স্পর্শ করার জন্য বহু দৌড়েছে, এবং প্রাণপণ চেষ্টা করছে কিন্তু আমি ধরা দেয়নি এভাবে দৌড়াতে দৌড়াতে তারা শেষ পর্যন্ত কবরে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি, আমার কোন স্বাদ তারা উপলব্ধি করতে পারেনি, আর এই দুনিয়াতে যারা ছিল সত্যিকারের পুরুষ যেমন আবু বকর ওমর ওসমান আলী প্রমুখ ব্যক্তিগণ তাদের অনুসারীরা আমি আমার সাজ সজ্জা নিয়ে তাদের দরবারে বহুবার হাজির হয়েছি, কিন্তু চোখের কিনারা দিয়েও তারা কখনো আমার দিকে তাকান নি, যারা আমার পিছে দৌড়িয়েছে, আমি তাদেরকে পিঠ দেখিয়েছি, আর যারা আমাকে লাথি মেরেছে, আমি তাদের পায়ে পডে়ছি, এই হল আমার স্বভাব, বুজুর্গ বললেন-হে খবিশ দুনিয়া, আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন তোকে লাথি মেরেছে, মোটেও তোর দিকে ভ্রুক্ষেপ করেনি, আজ আমিও তোকে লাথি মারতে চাই, পাপিষ্ট এখান থেকে দূর হও এ বলে লা হাওলা পড়লেন, সাথে সাথে বেহায়া দুনিয়া সামনে থেকে সরে গেল মাওয়ায়েজে সিরাজী,পৃষ্ঠা 55

* জান কবজ করার পূর্ব মূহর্তে যখন বাকশক্তি লোপ পায় তখন পাঁচজন ফেরেস্তা আসে,খাদ্য,পানি,পদদ্বয়,শ্বাস প্রশ্বাস,সময়,কিরামান কাতিবীন,

মৃত ব্যাক্তির মূত্যুর পূর্বে রুহ কবজ করার মুহূর্তে পাঁচজন ফেরেশতার কথাপোকথন।

(১) মৃত্যুশায়ী ব্যক্তিকে ফেরেশতা সালাম করে বলে, হে আল্লাহর বান্দা আমি তোমার খাদ্য সরবরাহের কাজে সর্বদা নিয়োজিত ছিলাম। আজ সমস্ত পৃথিবী জুড়ে হন্য হন্য করে খুজে কোথাও তোমার জন্য একটি দানা সংগ্রহ করতে পারলাম না। সে কারণে আমি তোমার কাছ থেকে চিরবিদায় নিলাম।

(২) এরপর দ্বিতীয় ফেরেশতা সালাম দিয়ে বলে, হে বান্দা আমি তোমার পানি সরবরাহের কাজে সর্বদা নিয়োজিত ছিলাম সমস্ত পৃথিবীতে খুজে কোথাও আজ একফোটাঁ পানি সংগ্রহ করতে পারলাম না। আজ আমি চিরবিদায় নিচ্ছি। 

(৩) ফেরেশতা সালাম দিয়ে বলে, হে আল্লাহর বান্দা আমি তোমার দুটি পাঁয়ের তত্ত্বাবধানের কাজে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলাম। সমস্ত পৃথিবীজুড়ে খোজঁ করে কোথাও তোমার জন্য পাঁ ফেলার মতো জায়গা পেলাম না। সে কারণে আজ আমি চিরবিদায় নিলাম। 

(৪) ফেরেশতা সালাম দিয়ে বলে, হে আল্লাহর বান্দা আমি তোমার স্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে সর্বদা ছিলাম। পৃথিবীজুড়ে সমস্ত জায়গায় তোমার জন্য একটা নিস্বাসও কোথাও খুজেঁ পেলাম না। তাই আজ আমি চিরবিদায় নিলাম। 

(৫) সর্বশেষ ফেরেশতা সালাম জানিয়ে বলবেন হে আল্লাহর বান্দা আমি তোমার হায়াতের কাজে নিয়োজিত ছিলাম। সমস্ত পৃথিবীজুড়ে খোঁজ করে কোথাও তোমার জন্য সামান্যতম হায়াত খোজঁ করে পেলাম না। সে কারণে আজ আমি চিরবিদায় নিলাম।

* জান কবজে বাধা মুখমন্ডল জিকির করছে,হাতে দান সদকা-তলোয়ার-লেখনি,পদদ্বয় হেটে নামাজ-রোগীর সেবা-দীনি মজলিস,কান কুরআন তেলোয়াত-তাসবীহ, চোখে দেখেছে কুরআন-অলির চেহারা,মালাকুল মাউতের হাতের তালুতে আল্লাহর নাম (দাকায়েকুল আখবার-27

* রাসূল সাঃ বলেছেনঃ-

কারো মৃত্যূ নিকটবর্তি হলে হযরত আযরাঈল (আঃ) জান কবযের জন্য তার মুখমন্ডলের দিকে অগ্রসর হন। তখন মুখমন্ডল বলে- ওহে মৃত্যূদূত! আর আগায়োনা। কারন আমাকে দিয়ে এ বান্দা প্রতিনিয়ত আল্লাহর জিকির করেছে। কাজেই তোমার বাসনা পূর্ণ হবেনা।

তখন হযরত আযরাঈল (আঃ) আল্লাহর দরবারে আরয করবেন- হে পরয়ারদিগার! তোমার বান্দার বক্তব্য তো এই। এখন আমার করণীয় কি? আল্লাহ বলবেন- ভিন্ন পথে অগ্রসর হও! হযরত আযরাঈল (আঃ) তখন হাতের দিকে অগ্রসর হবেন। হাত বাধা দিয়ে বলবে- ওহে আযরাঈল (আঃ) ভিন্ন পথ দেখো! কারন আমি আল্লাহর রাস্তায় অনেক দান দক্ষিণা করেছি। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্টার জন্যে তলোয়ার পরিচালনা এবং লেখনী দিয়ে ধর্মের শ্রেষ্টত্ব প্রকাশ করেছি। অতঃপর মৃত্যূদূত পদদ্বয়ের দিকে অগ্রসর হতেই পদযুগল বাধা প্রদান পুর্বক বলবে- ওহে মালাকুল মউত! এ পথে নয়, আমি হেটে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জামাতে শরীক হয়েছি, রোগীর সেবা-যত্নের জন্য গমন করেছি, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের জন্যে জ্ঞানীদের মজলিসে উপস্তিত হয়েছি। অতঃপর হযরত আযরাঈল (আঃ) দু' কানের দিকে অগ্রসর হবেন। উভয় বাধা দিয়ে বলবে- ওহে মৃত্যূদূত! ক্ষান্ত হও। আমার সাহায্যে আল্লাহর এ বান্দা পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও আল্লাহর তাসবীহ শ্রবন করেছে। অনন্তর তিনি নয়ন যুগলের দিকে অগ্রসর হলে তারা বলবে- থামো, আমাকে দিয়ে আল্লাহর এ বান্দা পবিত্র কালামুল্লাহ এবং আলেমদের চেহারা মোবারক দর্শন করেছে। কাজেই আমার দিক থেকে তোমার আক্রমন রচনা করোনা।

এভাবে মালাকুল মউত নানা দিক থেকে তার কাজে প্রতিরোধের সম্মুখিন হয়ে আরয করবেন- হে প্রভুু! তোমার বান্দা যে আমাকে কোনো দিক থেকেই কার্য সিদ্ধ করতে দিচ্চেনা। আমি এখন কি করতে পারি? প্রতিউত্তরে আল্লাহ তা'য়ালা বলবেন- না কোনো মতেই তুমি এ রুপে কৃতকার্য হতে পারবেনা। বরং তুমি তোমার হাতের তালুতে আমার নাম লেখে আমার বান্দার চোখের সামনে উপস্হাপন করো। অতঃপর দেখো কি দাড়ায়?

হযরত আযরাঈল (আঃ) হাতের তালুতে আল্লাহর নাম লেখে বান্দার চোখের সামনে ধরা মাত্রই তার রুহ আল্লাহর নামে অস্হির হয়ে সকল জ্বালা যন্ত্রনা বিস্মৃত হয়ে ঊর্ধ্বলোকে বিলীন হয়ে যাবে। যারা স্বীয় অন্তরে আল্লাহর নামের মোহর আঁকতে পেরেছেন, তারাই আল্লাহর প্রদত্ত শাস্তি যাতনি ও অপদস্হতার গ্লানি থেকে নাজাত পেয়েছেন।

আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন-

اُولٰٓٮِٕكَ كَتَبَ فِىۡ قُلُوۡبِهِمُ الۡاِيۡمَانَ

এরাই তারা যাদের অন্তরে আল্লাহ তা'য়ালা ঈমানের মোহরাঙ্কিত করে দিয়েছেন। (সুরা মুজাদালাহ ২২)

আল্লাহ পাক আরো বলেন- 

اَفَمَنۡ شَرَحَ اللّٰهُ صَدۡرَهٗ لِلۡاِسۡلٰمِ فَهُوَ عَلٰى نُوۡرٍ مِّنۡ رَّبِّهٖ‌ؕ

আল্লাহ যাদের অন্তঃকরণ ইসলামের জন্য সম্প্রসারিত করেছেন, নিশ্চয়ই তারা আল্লাহ প্রদত্ত জ্যোতিতে বিরাজ করছে। (সুরা ঝুমার ২২)

নবীজি সাঃ বলেছেন- যখন কোনো বান্দার প্রাণ সংহার কার্য শুরু হয় তখন আল্লাহর নির্দেশে জনৈক ঘোষক উচ্চঃস্বরে ঘোষণা করতে থাকে- ওহে আযরাঈল বন্ধ করো! তাকে কিছুটা বিশ্রাম করতে দাও। রুহ যখন বক্ষস্হলে উপস্হিত হয়, তখন পুনরায় ডেকে বলা হয়- হে মৃত্যূদূত! ক্ষান্ত হও। আরোও কিছু সময় তাকে আরাম করতে দাও।

অতঃপর রুহ যখন কন্ঠনালিতে এসে উপস্হিত হয় তখন বলা হয়- ওহে মালাকুল মউত! ক্ষান্ত হও। তাকে সারা জীবনের সঙ্গী সাথী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে চির বিদায় নিতে একটু ফুরসত দাও। তখন তার হাত পা চোখ কান নাক প্রভৃতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রুহকে চির বিদায় দিয়ে বলে- হে বন্ধু! মহাপ্রলয় দিবস পর্যন্ত তোমার উপর আল্লাহর অশেষ কৃপা বর্ষিত হোক। এর পরই আসে চরম পরিণতির সময়। হাত পা নিস্তেজ হয়ে পড়ে, চোখ হারায় তার জ্যোতি, দু' কান হয়ে পড়ে শ্রবন শক্তিহীন এবং দেহ রাজ্য নির্জীব অবস্হায় অসাড় হয়ে পড়ে।

হায়! সে সময় জিহবা যদি কালিমায়ে শাহাদাত বিহীন এবং রুহ যদি আল্লাহর মারেফত বিহীন অবস্হায় পড়ে থাকে তবে সে ব্যক্তিকে কবরে কতইনা দুঃখ বেদনা ও দুর্দশার সম্মুখীন হতে হবে। পিতা-মাতা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, সন্তান-সন্ততি, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, পোশাক-আশাক বিছানাপত্র-আবরন ও সহায় বলতে যেথায় কিছুই থাকবেনা। সে সময় যদি আল্লাহ পাক করুণা না করেন তবে তাকে ভীষণভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে আমলের জিন্দেগীর মাধ্যমে তাঁর নেককার বান্দা হওয়ার তৌফিক দিন

(দাকায়েকুল আখবার-27

* যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো। আর যে ব্যক্তি পরকালীন পুরস্কার১০৫ লাভের আশায় কাজ করবে সে পরকালের পুরস্কার পাবে 3:আলে-ইমরান:145

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتٰبًا مُّؤَجَّلًا ۗ وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الْءَاخِرَةِ نُؤْتِهِۦ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِى الشّٰكِرِينَ

কোন প্রাণীই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মরতে পারে না। মৃত্যুর সময় তো লেখা আছে।১০৪ যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো। আর যে ব্যক্তি পরকালীন পুরস্কার১০৫ লাভের আশায় কাজ করবে সে পরকালের পুরস্কার পাবে এবং শোকরকারীদেরকে১০৬ আমি অবশ্যি প্রতিদান দেবো।

* যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না 59:আল-হাশর:20

لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ۚ أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَآئِزُونَ

যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না। যারা জান্নাতে যাবে তারাই সফলকাম।

* কুনু মায়াছ ছোয়াদিক্কিন,দুনিয়াদার এ দলে থাকতে রাজি নয়,সেদিন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন
 الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ

---এবং হে অপরাধীরা! আজ তোমরা ছাঁটাই হয়ে আলাদা হয়ে যাও।৫২

সেদিন নেক আমলকারীদের বলবেন হে প্রশান্ত আত্মা! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে)সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র 

89:আল-ফাজর:27

يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ

(অন্যদিকে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা! 89:আল-ফাজর:28

ارْجِعِىٓ إِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً

চলো তোমার রবের দিকে,১৯ এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে) সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র।

89:আল-ফাজর:29

فَادْخُلِى فِى عِبٰدِى

শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে

89:আল-ফাজর:30

وَادْخُلِى جَنَّتِى

এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে।

* যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে৩৪ এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও

41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):30

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

যারা৩২ ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব, অতঃপর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে৩৩ নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে৩৪ এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না৩৫ এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):31

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও। সেখানে তোমরা যা চাবে তাই পাবে। আর যে জিনিসেরই আকাঙ্খা করবে তাই লাভ করবে।

41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত):32

نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ

এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন যিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

-----------------

32- কেউ দুনিয়ামুখী কেউ পরকালমুখী

 * দুনিয়ার সুখ তারাতারি পাওয়ার জন্য যারা কামনা করে তাদের পরিনীতি,বনী ইসরাঈল:18

مَّن كَانَ يُرِيدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصْلٰىهَا مَذْمُومًا مَّدْحُورًا

* যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো-ইমরান:145

وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِۦ مِنْهَا وَمَن يُرِدْ ثَوَابَ الْءَاخِرَةِ نُؤْتِهِۦ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِى الشّٰكِرِينَ

* ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী দুনিয়ার দৃষ্টান্ত দেন,এক বুজুর্গের কাছে দুনিয়া রুপসির ন্যায় হাজির হল (মাওয়ায়েযে সিরাজী-55

* যারা দোজখে যাবে এবং যারা জান্নাতে যাবে তারা পরস্পর সমান হতে পারে না 59:আল-হাশর:20

لَا يَسْتَوِىٓ أَصْحٰبُ النَّارِ وَأَصْحٰبُ الْجَنَّةِ ۚ أَصْحٰبُ الْجَنَّةِ هُمُ الْفَآئِزُونَ

* কুনু মায়াছ ছোয়াদিক্কিন,দুনিয়াদার এ দলে থাকতে রাজি নয়,সেদিন আল্লাহ তাদেরকে বলবেন-সীন:59

وَامْتٰزُوا الْيَوْمَ أَيُّهَا الْمُجْرِمُونَ

* সেদিন নেক আমলকারীদের বলবেন হে প্রশান্ত আত্মা! চলো তোমার রবের দিকে, এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে)সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র-ফাজর:27-31

يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ 

ارْجِعِىٓ إِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً

فَادْخُلِى فِى عِبٰدِى

وَادْخُلِى جَنَّتِى

* জান কবজ করার পূর্ব মূহর্তে যখন বাকশক্তি লোপ পায় তখন পাঁচজন ফেরেস্তা আসে,খাদ্য,পানি,পদদ্বয়,শ্বাস প্রশ্বাস,সময়,কিরামান কাতিবীন,

( দাকায়েকুল আখবার-পৃ:-40

* জান কবজে বাধা,মুখমন্ডল জিকির করছে,হাতে দান সদকা-তলোয়ার-লেখনি,পদদ্বয় হেটে নামাজ-রোগীর সেবা-দীনি মজলিস,কান কুরআন তেলোয়াত-তাসবীহ, চোখে দেখেছে কুরআন-অলির চেহারা,মালাকুল মাউতের হাতের তালুতে আল্লাহর নাম (দাকায়েকুল আখবার-27

* যারা ঘোষণা করেছে, আল্লাহ‌ আমাদের রব,মৃত্যুর মূহর্তে ফেরেস্তা এসে জান্নাতের সুব সংবাদ দিবে 41:হামীম-আস-সাজদাহ (ফুসসিলাত) 30-32

إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقٰمُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلٰٓئِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِى كُنتُمْ تُوعَدُونَ

نَحْنُ أَوْلِيَآؤُكُمْ فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَفِى الْءَاخِرَةِ ۖ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَشْتَهِىٓ أَنفُسُكُمْ وَلَكُمْ فِيهَا مَا تَدَّعُونَ

نُزُلًا مِّنْ غَفُورٍ رَّحِيمٍ

No comments

Powered by Blogger.