93 মেরাজের রাত ও আসরা
* মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল নবুওয়াতের ১১তম বছরের ২৭ রজবে। তখন নবীজির বয়স ৫১ বছর
* মেরাজের ঘটনা কি অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই সরাসরি কোরআন শরীফের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত মেরাজের সূচনা লগ্নে আল্লাহতালা দুনিয়াযর এই জমিনে তার বন্ধুকে অনেক নিদর্শনাবলী দেখিয়েছিলেন
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
১.বদ নসিব সম্প্রদায় নারী পুরুষ মাথায় আঘাত করা হচ্ছে এরা ছিল বেনামাজী.সহিহ বুখারী-৭০৪৭ সহিহ
২.বড় পেট বিশিষ্ট হিংস্র ব্যক্তির দৃশ্য এক ভয়ানক হিংস্র গোরা তাদের প্যাডগুলো পাতারা পদদলিত করছে তারা ছিল সুদ খোর,সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৩ দুর্বল হাদিস
৩.মিশরের পবিত্র ভূমি মন মাতানো সুগন্ধি ফেরাউনের কন্যার দাসী,সুনানে ইবনে মাজাহ-৪০৩০:দুর্বল
* মেরাজ সফরে যাঁদের সঙ্গে দেখা হলো:
১,আদম আ: ২,ইয়াহইয়া আ. ও ঈসা আ. ৩,ইউসুফ আ: ৪,হজরত ইদ্রিস আ. ৫,হারুন আ. ৬,মুসা আ. ৭,ইবরাহিম আ.
* #একজন খ্রিস্টান বত্রিক পাদ্রী বাইতুল মোকাদ্দাসের দরজা খোলা থাকার রহস্য বুঝতে পেরে এই শবে মেরাজের ঘটনাটি যে সত্য এটার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন
* মেরাজের ঘটনার সততা প্রমাণ স্বরুপ বিভিন্ন ঘটনা বর্নিত আছে। এক মুহুর্ত সাতাশ বছর লোকটির প্রশ্নে নবীজি বলেন আল্লাহর কাছে সব সহজ,লোকটি মাছ কিনে বাড়িতে যায়-ওয়াজ ও খুতবা-1/296
* #মেরাজের রাতে ফজরের সময় কাবা ঘরে যাবার সময় বৃদ্ধাকে কাদতে দেখেন-ওয়াজ ও খুতবা-1/294
* ফজরের পর মেরাজের ঘঠনা বললে আবু জাহেল অস্বিকার করে,আবু বকর রা: স্বীকার করেণ
* আবু জাহেল মেনে নেননি আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন সেই হেদায়েত পায়। আবু জাহেলের ছেলে ইকরামা হেদায়েত পান
* #প্রথম কারণ শান্তনা দেওয়ার জন্য পিতা ছয় মাস পূর্বে,মাতা ৬ বছর বয়সে,দাদা ৮ বছর ,চাচা ৫০বছর,হযরত খাদিজার সা: হৃদয়বিদারক মৃত্যু
* #নামাজ গুরুত্বপৃর্ণ ইবাদত বুজানোর জন্য,অন্যান্য ইবাদত জমিনে ফরজ করেছেন। আর নামায ফরজ করেছেন তাঁর প্রিয় বন্ধুকে কাছে ডেকে নিয়ে সাত আসমানের ওপরে
_________________
* সূরা নাজম 13-15 নং আয়াতে আল্লাহ পাক তার বন্ধুকে সাত আকাশ ভেদ করে ভ্রমণ করার কথা স্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন
وَ لَقَدْ رَاٰهُ نَزْلَةً اُخْرٰىۙ -- عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهٰى -- عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَاْوٰىؕ
* সুবহান শব্দ ও বান্দা বলার কারণ,রাত্রে কেন,আকাশে কেন
* আবু জাহেল মেনে নেননি আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন সেই হেদায়েত পায়। আবু জাহেলের ছেলে ইকরামা হেদায়েত পান
* মেরাজ সংঘঠিত হওয়ার প্রথম কারণ নিদর্শন দেখানোর জন্য
* শুরু হয়ে গেল আলমে বরযখ সফর দেখতে শুরু করলেন বিভিন্ন দৃশ্য অবলোকন
১.বদ নসিব সম্প্রদায় নারী পুরুষ মাথায় আঘাত করা হচ্ছে এরা ছিল বেনামাজী.সহিহ বুখারী-৭০৪৭ সহিহ
২.বড় পেট বিশিষ্ট হিংস্র ব্যক্তির দৃশ্য এক ভয়ানক হিংস্র গোরা তাদের প্যাডগুলো পাতারা পদদলিত করছে তারা ছিল সুদ খোর,সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৩ দুর্বল হাদিস
৩.মিশরের পবিত্র ভূমি মন মাতানো সুগন্ধি ফেরাউনের কন্যার দাসী,সুনানে ইবনে মাজাহ-৪০৩০:দুর্বল
৪.জান্নাতে একটি দরজায় লেখা দেখলাম,দান খয়রাতে দশ গুন,করযে আঠারো গুন! সওয়াব,সুনানে ইবনে মাজাহ-২৪৩১খুবই দুর্বল
* দ্বিতীয় কারণ নবীজির শান বৃদ্ধির জন্যই মেরাজ,রফা'না রাখা যিকরাক, মুসা নবীকে কালিমুল্লাহ, ইব্রাহিম নবীকে খলিলুল্লাহ,আমার নবিকে বলা হয় হাবিবুল্লাহ
* তৃতীয় কারণ-পরিক্ষার জন্য,কারা ঈমানদার ও কারা বেঈমান বা দুর্বল ইমানের অধিকারী সেটা পরিস্কার হয়ে যাওয়া।বনী ইসরা-৬০
وَ مَا جَعَلْنَا الرُّءْیَا الَّتِیْۤ اَرَیْنٰكَ اِلَّا فِتْنَةً لِّلنَّاس
* চতুর্থ কারণ,জান্নাত জাহান্নাম গার্ডিয়ানকে দেখানোর জন্য,ইমানদারের গার্ডিয়ান রাসূল সা:,পাত্রকে পিতার দেখাই যথেষ্ট
* পঞ্চম কারণ শান্তনা দেওয়ার জন্য পিতা ছয় মাস পূর্বে,মাতা ৬ বছর বয়সে,দাদা ৮ বছর ,চাচা ৫০বছর,হযরত খাদিজার সা: হৃদয়বিদারক মৃত্যু
প্রসিদ্ধ হাদীসানুসারে, হযরত খাদিজা সা:নবুয়্যত ঘোষণার দশম বছরের ১০ই রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করেন,তাদের প্রত্যেকের অবধান
* ষষ্ঠ কারণ নামাজ নামক দৌলত দান করার জন্য, নামাজের বিনিময়ে হাসরের ময়দানে হাউজে কাউসার অতঃপর জান্নাত,হাউজে কাউসার দেখানো হয়,তার বর্ণনা রাসূল সা: এভাবে দেন-মুহাম্মাদ:15
مَّثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِى وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۖ فِيهَآ أَنْهٰرٌ مِّن مَّآءٍ غَيْرِ ءَاسِنٍ وَأَنْهٰرٌ مِّن لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُۥ وَأَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِينَ وَأَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى ۖ وَلَهُمْ فِيهَا مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ ۖ كَمَنْ هُوَ خٰلِدٌ فِى النَّارِ وَسُقُوا مَآءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَآءَهُمْ
* মেরাজ সফরে যাঁদের সঙ্গে দেখা হলো:
১,আদম আ: ২,ইয়াহইয়া আ. ও ঈসা আ. ৩,ইউসুফ আ: ৪,হজরত ইদ্রিস আ. ৫,হারুন আ. ৬,মুসা আ. ৭,ইবরাহিম আ.
* মেরাজের রাতে ফজরের সময় কাবা ঘরে যাবার সময় বৃদ্ধাকে কাদতে দেখেন-ওয়াজ ও খুতবা-1/294
* ফজরের পর মেরাজের ঘঠনা বললে আবু জাহেল অস্বিকার করে,আবু বকর রা: স্বীকার করেণ
* এক মুহুর্ত সাতাশ বছর নবীজি বলেন আল্লাহর কাছে সব সহজ,লোকটি মাছ কিনে বাড়িতে যায়-ওয়াজ ও খুতবা-1/296
* নামাজ গুরুত্বপৃর্ণ ইবাদত বুজানোর জন্য,অন্যান্য ইবাদত জমিনে ফরজ করেছেন। আর নামায ফরজ করেছেন তাঁর প্রিয় বন্ধুকে কাছে ডেকে নিয়ে সাত আসমানের ওপরে
____________________________________
27 মেরাজ ও আসরা ✓
* মেরাজ সংঘটিত হয়েছিল নবুওয়াতের ১১তম বছরের ২৭ রজবে। তখন নবীজির বয়স ৫১ বছর
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَىٰ بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِّنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا ۚ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ
শব্দার্থ: سُبْحَانَ = মহিমাময় (সত্ত্বা) , الَّذِي = ( তিনি ) যিনি, أَسْرَىٰ = ভ্রমণকরালেন, بِعَبْدِهِ = তাঁরদাসকে, لَيْلًا = রাতে, مِنَ = থেকে, الْمَسْجِدِ = মাসজিদ, الْحَرَامِ = হারাম, إِلَى = পর্যন্ত, الْمَسْجِدِ = মাসজিদ, الْأَقْصَى = আকসা, الَّذِي = যা, بَارَكْنَا = আমরা কল্যাণময়করেছি, حَوْلَهُ = তারআশ-পাশকে, لِنُرِيَهُ = যেনতাকেদেখাইআমরা , مِنْ = কিছু, آيَاتِنَا = আমাদের নিদর্শনাবলীর, إِنَّهُ = নিশ্চয়ই তিনি , هُوَ = তিনি ই, السَّمِيعُ = সর্বশ্রোতা, الْبَصِيرُ = সর্বদ্রষ্টা,
অনুবাদ: পবিত্র তিনি যিনি নিয়ে গেছেন এক রাতে নিজের বান্দাকে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্সা পর্যন্ত, যার পরিবেশকে তিনি বরকতময় করেছেন, যাতে তাকে নিজের কিছু নিদর্শন দেখান। আসলে তিনিই সবকিছুর শ্রোতা ও দ্রষ্টা।
* সূরা নাজম 13-15 নং আয়াতে আল্লাহ পাক তার বন্ধুকে সাত আকাশ ভেদ করে ভ্রমণ করার কথা স্পষ্ট ভাবে বর্ননা করেছেন
وَ لَقَدْ رَاٰهُ نَزْلَةً اُخْرٰىۙ -- عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهٰى -- عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَاْوٰىؕ
* সুবহান শব্দ ও বান্দা বলার কারণ,রাত্রে কেন,আকাশে কেন
* মেরাজ সংঘঠিত হওয়ার প্রথম কারণ নিদর্শন দেখানোর জন্য
* শুরু হয়ে গেল আলমে বরযখ সফর দেখতে শুরু করলেন বিভিন্ন দৃশ্য অবলোকন
১.বদ নসিব সম্প্রদায় নারী পুরুষ মাথায় আঘাত করা হচ্ছে এরা ছিল বেনামাজী.সহিহ বুখারী-৭০৪৭ সহিহ
مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ أَبُو هِشَامٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا عَوْفٌ حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ حَدَّثَنَا سَمُرَةُ بْنُ جُنْدُبٍ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِمَّا يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ لِأَصْحَابِهِ هَلْ رَأَى أَحَدٌ مِنْكُمْ مِنْ رُؤْيَا قَالَ فَيَقُصُّ عَلَيْهِ مَنْ شَاءَ اللهُ أَنْ يَقُصَّ وَإِنَّهُ قَالَ ذَاتَ غَدَاةٍ إِنَّهُ أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتِيَانِ وَإِنَّهُمَا ابْتَعَثَانِي وَإِنَّهُمَا قَالاَ لِي انْطَلِقْ وَإِنِّي انْطَلَقْتُ مَعَهُمَا وَإِنَّا أَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُضْطَجِعٍ وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِصَخْرَةٍ وَإِذَا هُوَ يَهْوِي بِالصَّخْرَةِ لِرَأْسِهِ فَيَثْلَغُ رَأْسَهُ فَيَتَهَدْهَدُ الْحَجَرُ هَا هُنَا فَيَتْبَعُ الْحَجَرَ فَيَأْخُذُهُ فَلاَ يَرْجِعُ إِلَيْهِ حَتَّى يَصِحَّ رَأْسُهُ كَمَا كَانَ ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمَرَّةَ الْأُولَى قَالَ قُلْتُ لَهُمَا سُبْحَانَ اللهِ مَا هَذَانِ قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ مُسْتَلْقٍ لِقَفَاهُ وَإِذَا آخَرُ قَائِمٌ عَلَيْهِ بِكَلُّوبٍ مِنْ حَدِيدٍ وَإِذَا هُوَ يَأْتِي أَحَدَ شِقَّيْ وَجْهِهِ فَيُشَرْشِرُ شِدْقَهُ إِلَى قَفَاهُ وَمَنْخِرَهُ إِلَى قَفَاهُ وَعَيْنَهُ إِلَى قَفَاهُ قَالَ وَرُبَّمَا قَالَ أَبُو رَجَاءٍ فَيَشُقُّ قَالَ ثُمَّ يَتَحَوَّلُ إِلَى الْجَانِبِ الْآخَرِ فَيَفْعَلُ بِهِ مِثْلَ مَا فَعَلَ بِالْجَانِبِ الأَوَّلِ فَمَا يَفْرُغُ مِنْ ذَلِكَ الْجَانِبِ حَتَّى يَصِحَّ ذَلِكَ الْجَانِبُ كَمَا كَانَ ثُمَّ يَعُودُ عَلَيْهِ فَيَفْعَلُ مِثْلَ مَا فَعَلَ الْمَرَّةَ الْأُولَى قَالَ قُلْتُ سُبْحَانَ اللهِ مَا هَذَانِ قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى مِثْلِ التَّنُّورِ قَالَ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فَإِذَا فِيهِ لَغَطٌ وَأَصْوَاتٌ قَالَ فَاطَّلَعْنَا فِيهِ فَإِذَا فِيهِ رِجَالٌ وَنِسَاءٌ عُرَاةٌ وَإِذَا هُمْ يَأْتِيهِمْ لَهَبٌ مِنْ أَسْفَلَ مِنْهُمْ فَإِذَا أَتَاهُمْ ذَلِكَ اللهَبُ ضَوْضَوْا قَالَ قُلْتُ لَهُمَا مَا هَؤُلاَءِ قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى نَهَرٍ حَسِبْتُ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ أَحْمَرَ مِثْلِ الدَّمِ وَإِذَا فِي النَّهَرِ رَجُلٌ سَابِحٌ يَسْبَحُ وَإِذَا عَلَى شَطِّ النَّهَرِ رَجُلٌ قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ حِجَارَةً كَثِيرَةً وَإِذَا ذَلِكَ السَّابِحُ يَسْبَحُ مَا يَسْبَحُ ثُمَّ يَأْتِي ذَلِكَ الَّذِي قَدْ جَمَعَ عِنْدَهُ الْحِجَارَةَ فَيَفْغَرُ لَهُ فَاهُ فَيُلْقِمُهُ حَجَرًا فَيَنْطَلِقُ يَسْبَحُ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَيْهِ كُلَّمَا رَجَعَ إِلَيْهِ فَغَرَ لَهُ فَاهُ فَأَلْقَمَهُ حَجَرًا قَالَ قُلْتُ لَهُمَا مَا هَذَانِ قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ كَرِيهِ الْمَرْآةِ كَأَكْرَهِ مَا أَنْتَ رَاءٍ رَجُلاً مَرْآةً وَإِذَا عِنْدَهُ نَارٌ يَحُشُّهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا قَالَ قُلْتُ لَهُمَا مَا هَذَا قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ فَانْطَلَقْنَا فَأَتَيْنَا عَلَى رَوْضَةٍ مُعْتَمَّةٍ فِيهَا مِنْ كُلِّ لَوْنِ الرَّبِيعِ وَإِذَا بَيْنَ ظَهْرَيْ الرَّوْضَةِ رَجُلٌ طَوِيلٌ لاَ أَكَادُ أَرَى رَأْسَهُ طُولاً فِي السَّمَاءِ وَإِذَا حَوْلَ الرَّجُلِ مِنْ أَكْثَرِ وِلْدَانٍ رَأَيْتُهُمْ قَطُّ قَالَ قُلْتُ لَهُمَا مَا هَذَا مَا هَؤُلاَءِ قَالَ قَالاَ لِي انْطَلِقْ انْطَلِقْ قَالَ فَانْطَلَقْنَا فَانْتَهَيْنَا إِلَى رَوْضَةٍ عَظِيمَةٍ لَمْ أَرَ رَوْضَةً قَطُّ أَعْظَمَ مِنْهَا وَلاَ أَحْسَنَ قَالَ قَالاَ لِي ارْقَ فِيهَا قَالَ فَارْتَقَيْنَا فِيهَا فَانْتَهَيْنَا إِلَى مَدِينَةٍ مَبْنِيَّةٍ بِلَبِنِ ذَهَبٍ وَلَبِنِ فِضَّةٍ فَأَتَيْنَا بَابَ الْمَدِينَةِ فَاسْتَفْتَحْنَا فَفُتِحَ لَنَا فَدَخَلْنَاهَا فَتَلَقَّانَا فِيهَا رِجَالٌ شَطْرٌ مِنْ خَلْقِهِمْ كَأَحْسَنِ مَا أَنْتَ رَاءٍ وَشَطْرٌ كَأَقْبَحِ مَا أَنْتَ رَاءٍ قَالَ قَالاَ لَهُمْ اذْهَبُوا فَقَعُوا فِي ذَلِكَ النَّهَرِ قَالَ وَإِذَا نَهَرٌ مُعْتَرِضٌ يَجْرِي كَأَنَّ مَاءَهُ الْمَحْضُ فِي الْبَيَاضِ فَذَهَبُوا فَوَقَعُوا فِيهِ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَيْنَا قَدْ ذَهَبَ ذَلِكَ السُّوءُ عَنْهُمْ فَصَارُوا فِي أَحْسَنِ صُورَةٍ قَالَ قَالاَ لِي هَذِهِ جَنَّةُ عَدْنٍ وَهَذَاكَ مَنْزِلُكَ قَالَ فَسَمَا بَصَرِي صُعُدًا فَإِذَا قَصْرٌ مِثْلُ الرَّبَابَةِ الْبَيْضَاءِ قَالَ قَالاَ لِي هَذَاكَ مَنْزِلُكَ قَالَ قُلْتُ لَهُمَا بَارَكَ اللهُ فِيكُمَا ذَرَانِي فَأَدْخُلَهُ قَالاَ أَمَّا الْآنَ فَلاَ وَأَنْتَ دَاخِلَهُ قَالَ قُلْتُ لَهُمَا فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مُنْذُ اللَّيْلَةِ عَجَبًا فَمَا هَذَا الَّذِي رَأَيْتُ قَالَ قَالاَ لِي أَمَا إِنَّا سَنُخْبِرُكَ أَمَّا الرَّجُلُ الأَوَّلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُثْلَغُ رَأْسُهُ بِالْحَجَرِ فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَأْخُذُ الْقُرْآنَ فَيَرْفُضُهُ وَيَنَامُ عَنْ الصَّلاَةِ الْمَكْتُوبَةِ وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يُشَرْشَرُ شِدْقُهُ إِلَى قَفَاهُ وَمَنْخِرُهُ إِلَى قَفَاهُ وَعَيْنُهُ إِلَى قَفَاهُ فَإِنَّهُ الرَّجُلُ يَغْدُو مِنْ بَيْتِهِ فَيَكْذِبُ الْكَذْبَةَ تَبْلُغُ الْآفَاقَ وَأَمَّا الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ الْعُرَاةُ الَّذِينَ فِي مِثْلِ بِنَاءِ التَّنُّورِ فَإِنَّهُمْ الزُّنَاةُ وَالزَّوَانِي وَأَمَّا الرَّجُلُ الَّذِي أَتَيْتَ عَلَيْهِ يَسْبَحُ فِي النَّهَرِ وَيُلْقَمُ الْحَجَرَ فَإِنَّهُ آكِلُ الرِّبَا وَأَمَّا الرَّجُلُ الْكَرِيهُ الْمَرْآةِ الَّذِي عِنْدَ النَّارِ يَحُشُّهَا وَيَسْعَى حَوْلَهَا فَإِنَّهُ مَالِكٌ خَازِنُ جَهَنَّمَ وَأَمَّا الرَّجُلُ الطَّوِيلُ الَّذِي فِي الرَّوْضَةِ فَإِنَّهُ إِبْرَاهِيمُ صلى الله عليه وسلم وَأَمَّا الْوِلْدَانُ الَّذِينَ حَوْلَهُ فَكُلُّ مَوْلُودٍ مَاتَ عَلَى الْفِطْرَةِ قَالَ فَقَالَ بَعْضُ الْمُسْلِمِينَ يَا رَسُولَ اللهِ وَأَوْلاَدُ الْمُشْرِكِينَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَوْلاَدُ الْمُشْرِكِينَ وَأَمَّا الْقَوْمُ الَّذِينَ كَانُوا شَطْرٌ مِنْهُمْ حَسَنًا وَشَطْرٌ قَبِيحًا فَإِنَّهُمْ قَوْمٌ خَلَطُوا عَمَلاً صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا تَجَاوَزَ اللهُ عَنْهُمْ.
সামুরাহ ইব্নু জুনদাব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রায়ই তাঁর সহাবীদেরকে বলতেন, তোমাদের কেউ কোন স্বপ্ন দেখেছ কি? রাবী বলেন, যাদের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র ইচ্ছা, তারা রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে স্বপ্ন বর্ণনা করতেন। তিনি একদিন সকালে আমাদেরকে বললেনঃ গত রাতে আমার কাছে দু’জন আগন্তুক আসল। তারা আমাকে উঠাল। আর আমাকে বলল, চলুন। আমি তাদের সঙ্গে চললাম। আমরা কাত হয়ে শুয়ে থাকা এক লোকের কাছে আসলাম। দেখলাম, অন্য এক লোক তার নিকট পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তার মাথায় পাথর নিক্ষেপ করছে। ফলে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। আর পাথর নিচে গিয়ে পড়ছে। এরপর আবার সে পাথরটি অনুসরণ করে তা আবার নিয়ে আসছে। ফিরে আসতে না আসতেই লোকটির মাথা আগের মত আবার ভাল হয়ে যায়। ফিরে এসে আবার তেমনি আচরণ করে, যা পূর্বে প্রথমবার করেছিল। তিনি বলেন, আমি তাদের (সাথীদ্বয়কে) বললাম, সুবহানআল্লাহ্! এরা কারা? তিনি বললেন, তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন। তিনি বলেন, আমরা চললাম, এরপর আমরা চিৎ হয়ে শোয়া এক লোকের কাছে আসলাম। এখানেও দেখলাম, তার নিকট এক লোক লোহার আঁকড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সে তার চেহারার একদিকে এসে এটা দ্বারা মুখমণ্ডলের একদিক মাথার পিছনের দিক পর্যন্ত এবং অনুরূপভাবে নাসারন্ধ্র, চোখ ও মাথার পিছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলছে। আওফ (রহঃ) বলেন, আবূ রাজা (রহঃ) কোন কোন সময় ‘ইয়ুশারশিরু’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইয়াশুক্কু’ শব্দ বলতেন। এরপর ঐ লোকটি শায়িত লোকটির অপরদিকে যায় এবং প্রথম দিকের সঙ্গে যেমন আচরণ করেছে তেমনি আচরণই অপরদিকের সঙ্গেও করে। ঐ দিক হতে অবসর হতে না হতেই প্রথম দিকটি আগের মত ভাল হয়ে যায়। তারপর আবার প্রথমবারের মত আচরণ করে। তিনি বলেনঃ আমি বললাম, সুবহানআল্লাহ্! এরা কারা? তিনি বলেন, তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন। আমরা চললাম এবং চুলার মত একটি গর্তের কাছে পৌঁছলাম। রাবী বলেন, আমার মনে হয় যেন তিনি বলেছিলেন, আর তথায় শোরগোলের শব্দ ছিল। তিনি বলেন, আমরা তাতে উঁকি মারলাম, দেখলাম তাতে বেশ কিছু উলঙ্গ নারী ও পুরুষ রয়েছে। আর নিচ থেকে বের হওয়া আগুনের লেলিহান শিখা তাদেরকে স্পর্শ করছে। যখনই লেলিহান শিখা তাদেরকে স্পর্শ করে, তখনই তারা উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠে। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, এরা কারা? তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন। তিনি বলেন, আমরা চললাম এবং একটা নদীর (তীরে) গিয়ে পৌঁছলাম। রাবী বলেন, আমার যতদূর মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন, নদীটি ছিল রক্তের মত লাল। আর দেখলাম, এই নদীতে এক ব্যক্তি সাঁতার কাটছে। আর নদীর তীরে অন্য এক লোক আছে এবং সে তার কাছে অনেকগুলো পাথর একত্রিত করে রেখেছে। আর ঐ সাঁতারকারী লোকটি বেশ কিছুক্ষণ সাঁতার কাটার পর সে লোক কাছে এসে পৌঁছে যে নিজের নিকট পাথর একত্রিত করে রেখেছে। সেখানে এসে সে তার মুখ খুলে দেয় আর ঐ লোক তার মুখে একটি পাথর ঢুকিয়ে দেয়। এরপর সে চলে যায়, সাঁতার কাটতে থাকে; আবার তার কাছে ফিরে আসে, যখনই সে তার কাছে ফিরে আসে তখনই সে তার মুখ খুলে দেয়, আর ঐ ব্যক্তি তার মুখে একটা পাথর ঢুকিয়ে দেয়। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তার বলল, চলুন, চলুন। তিনি বলেন, আমরা চললাম এবং এমন একজন কুশ্রী লোকের কাছে এসে পৌঁছলাম, যে তোমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে কুশ্রী বলে মনে হয়। আর দেখলাম, তার নিকট রয়েছে আগুন, যা সে জ্বালাচ্ছে ও তার চতুর্দিকে দৌড়াচ্ছে। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, ঐ লোকটি কে? তারা বলল, চলুন, চলুন। আমরা চললাম এবং একটা সজীব শ্যামল বাগানে হাজির হলাম, যেখানে বসন্তের হরেক রকম ফুলের কলি রয়েছে। আর বাগানের মাঝে আসমানের থেকে অধিক উঁচু দীর্ঘকায় একজন পুরুষ রয়েছে যার মাথা যেন আমি দেখতেই পাচ্ছি না। এমনিভাবে তার চারপাশে এত বিপুল সংখ্যক বালক-বালিকা দেখলাম যে, এত অধিক আর কখনো আমি দেখিনি। আমি তাদেরকে বললাম, উনি কে? এরা কারা? তারা আমাকে বলল, চলুন, চলুন। আমরা চললাম এবং একটা বিরাট বাগানে গিয়ে পৌঁছলাম। এমন বড় এবং সুন্দর বাগান আমি আর কখনো দেখিনি। তিনি বলেন, তারা আমাকে বলল, এর ওপরে চড়ুন। আমরা ওপরে চড়লাম। শেষ পর্যন্ত সোনা-রূপার ইটের তৈরি একটি শহরে গিয়ে আমরা হাজির হলাম। আমরা শহরের দরজায় পৌঁছলাম এবং দরজা খুলতে বললাম। আমাদের জন্য দরজা খুলে দেয়া হল, আমরা তাতে প্রবেশ করলাম। তখন সেখানে আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক সাক্ষাৎ করল যাদের শরীরের অর্ধেক খুবই সুন্দর, যা তোমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে সুন্দর মনে হয়। আর শরীরের অর্ধেক এমনই কুশ্রী ছিল যা তোমার দৃষ্টিতে সবচেয়ে কুশ্রী মনে হয়। তিনি বলেন, সাথীদ্বয় ওদেরকে বলল, যাও ঐ নদীতে গিয়ে নেমে পড়। আর সেটা ছিল প্রশস্ত প্রবাহিত নদী, যার পানি ছিল দুধের মত সাদা। ওরা তাতে গিয়ে নেমে পড়ল। অতঃপর এরা আমাদের কাছে ফিরে এল, দেখা গেল তাদের এ শ্রীহীনতা দূর হয়ে গেছে এবং তারা খুবই সুন্দর আকৃতির হয়ে গেছে। তিনি বলেন, তারা আমাকে বলল, এটা জান্নাতে আদন এবং এটা আপনার বাসস্থান। তিনি বলেন, আমি বেশ উপরের দিকে তাকালাম, দেখলাম ধবধবে সাদা মেঘের মত একটি প্রাসাদ আছে। তিনি বলেন, তারা আমাকে বলল, এটা আপনার বাসগৃহ। তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বললাম, আল্লাহ্ তোমাদের মাঝে বরকত দিন! আমাকে ছেড়ে দাও। আমি এতে প্রবেশ করি। তারা বলল, আপনি অবশ্য এতে প্রবেশ করবেন। তবে এখন নয়। তিনি বলেন, আমি এ রাতে অনেক বিস্ময়কর বিষয় দেখতে পেলাম, এগুলোর তাৎপর্য কী? তারা আমাকে বলল, আচ্ছা! আমরা আপনাকে বলে দিচ্ছি। ঐ যে #প্রথম ব্যক্তিকে যার কাছে আপনি পৌঁছেছিলেন, যার মাথা পাথর দিয়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হচ্ছিল, সে হল ঐ ব্যক্তি যে কুরআন গ্রহণ করে তা ছেড়ে দিয়েছে। আর ফরয সলাত ছেড়ে ঘুমিয়ে থাকে। #দ্বিতীয় আর ঐ ব্যক্তি যার কাছে গিয়ে দেখেছেন যে, তার মুখের এক ভাগ মাথার পিছন দিক পর্যন্ত, এমনিভাবে নাসারন্ধ্র ও চোখ মাথার পিছন দিক পর্যন্ত চিরে ফেলা হচ্ছিল সে হল ঐ ব্যক্তি, যে সকালে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে এমন মিথ্যা বলে যা চারদিকে ছড়িয়ে পরে। আর এ সকল উলঙ্গ নারী-পুরুষ যারা চুলা সদৃশ গর্তের ভিতর আছে তারা হল ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণীর দল। #তৃতীয় আর ঐ ব্যক্তি, যার কাছে পৌঁছে দেখেছিলেন যে, সে নদীতে সাঁতার কাটছে ও তার মুখে পাথর ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে সে হল সুদখোর। আর ঐ কুশ্রী ব্যক্তি, যে আগুনের কাছে ছিল এবং আগুন জ্বালাচ্ছিল আর সে এর চারপাশে দৌড়াচ্ছিল, সে হল জাহান্নামের দারোগা, মালিক ফেরেশ্তা। আর এ দীর্ঘকায় ব্যক্তি যিনি বাগানে ছিলেন, তিনি হলেন, ইবরাহীম (আঃ)। আর তাঁর আশেপাশের বালক-বালিকারা হলো ঐসব শিশু, যারা ফিত্রাতের (স্বভাবধর্মের) ওপর মৃত্যুবরণ করেছে। তিনি বলেন, তখন কিছু সংখ্যক মুসলিম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! মুশরিকদের শিশু সন্তানরাও কি? তখন রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ মুশরিকদের শিশু সন্তানরাও। আর ঐসব লোক যাদের অর্ধাংশ অতি সুন্দর ও অর্ধাংশ অতি কুশ্রী তারা হল ঐ সম্প্রদায় যারা সৎ-অসৎ উভয় কাজ মিশ্রিতভাবে করেছে। আল্লাহ্ তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭০৪৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
২.বড় পেট বিশিষ্ট হিংস্র ব্যক্তির দৃশ্য এক ভয়ানক হিংস্র গোরা তাদের প্যাডগুলো পাতারা পদদলিত করছে তারা ছিল সুদ খোর,সুনানে ইবনে মাজাহ-২২৭৩ দুর্বল হাদিস
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الصَّلْتِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَتَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عَلَى قَوْمٍ بُطُونُهُمْ كَالْبُيُوتِ فِيهَا الْحَيَّاتُ تُرَى مِنْ خَارِجِ بُطُونِهِمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرَائِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ أَكَلَةُ الرِّبَا " .
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমাকে একদল লকের কাছে নিয়ে আসা হলো। তাদের পেট ছিল ঘরের মত বিশাল, তার মধ্যে সাপ ভর্তি ছিলো, যা বাইরে থেকে দেখা যায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! এরা কারা? তিনি বলেনঃ এরা সুদখোর।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৭৩
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
৩.মিশরের পবিত্র ভূমি মন মাতানো সুগন্ধি ফেরাউনের কন্যার দাসী,সুনানে ইবনে মাজাহ-৪০৩০:দুর্বল
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَنَّهُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ وَجَدَ رِيحًا طَيِّبَةً فَقَالَ " يَا جِبْرِيلُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ الطَّيِّبَةُ قَالَ هَذِهِ رِيحُ قَبْرِ الْمَاشِطَةِ وَابْنَيْهَا وَزَوْجِهَا . قَالَ وَكَانَ بَدْءُ ذَلِكَ أَنَّ الْخَضِرَ كَانَ مِنْ أَشْرَافِ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَانَ مَمَرُّهُ بِرَاهِبٍ فِي صَوْمَعَتِهِ فَيَطْلُعُ عَلَيْهِ الرَّاهِبُ فَيُعَلِّمُهُ الإِسْلاَمَ فَلَمَّا بَلَغَ الْخَضِرُ زَوَّجَهُ أَبُوهُ امْرَأَةً فَعَلَّمَهَا الْخَضِرُ وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لاَ تُعْلِمَهُ أَحَدًا وَكَانَ لاَ يَقْرَبُ النِّسَاءَ فَطَلَّقَهَا ثُمَّ زَوَّجَهُ أَبُوهُ أُخْرَى فَعَلَّمَهَا وَأَخَذَ عَلَيْهَا أَنْ لاَ تُعْلِمَهُ أَحَدًا فَكَتَمَتْ إِحَدَاهُمَا وَأَفْشَتْ عَلَيْهِ الأُخْرَى فَانْطَلَقَ هَارِبًا حَتَّى أَتَى جَزِيرَةً فِي الْبَحْرِ فَأَقْبَلَ رَجُلاَنِ يَحْتَطِبَانِ فَرَأَيَاهُ فَكَتَمَ أَحَدُهُمَا وَأَفْشَى الآخَرُ وَقَالَ قَدْ رَأَيْتُ الْخَضِرَ . فَقِيلَ وَمَنْ رَآهُ مَعَكَ قَالَ فُلاَنٌ فَسُئِلَ فَكَتَمَ وَكَانَ فِي دِينِهِمْ أَنَّ مَنْ كَذَبَ قُتِلَ قَالَ فَتَزَوَّجَ الْمَرْأَةَ الْكَاتِمَةَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَمْشُطُ ابْنَةَ فِرْعَوْنَ إِذْ سَقَطَ الْمُشْطُ فَقَالَتْ تَعِسَ فِرْعَوْنُ . فَأَخْبَرَتْ أَبَاهَا وَكَانَ لِلْمَرْأَةِ ابْنَانِ وَزَوْجٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ فَرَاوَدَ الْمَرْأَةَ وَزَوْجَهَا أَنْ يَرْجِعَا عَنْ دِينِهِمَا فَأَبَيَا فَقَالَ إِنِّي قَاتِلُكُمَا . فَقَالاَ إِحْسَانًا مِنْكَ إِلَيْنَا إِنْ قَتَلْتَنَا أَنْ تَجْعَلَنَا فِي بَيْتٍ فَفَعَلَ فَلَمَّا أُسْرِيَ بِالنَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَجَدَ رِيحًا طَيِّبَةً فَسَأَلَ جِبْرِيلَ فَأَخْبَرَهُ " .
উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিরাজে গমনের রাতে পরিচ্ছন্ন সুবাস লাভ করেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে জিবরাঈল! এই পরিচ্ছন্ন সুবাস কিসের? তিনি বলেন, এই সুগন্ধি এক কেশবিন্যাসকারিনী, তার পুত্রের ও তার স্বামীর কবর থেকে আসছে। রাবী বলেন, তিনি ঘটনার বর্ণনা এভাবে শুরু করেনঃ খিযির বনী ইসরাইলের অভিজাতবর্গের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি এক পাদ্রীর গীর্জার নিকট দিয়ে যাতায়াত করতেন। পাদ্রী তার সম্পর্কে জানতে পেরে তাঁকে দ্বীন ইসলামের তালীম দিলেন। খিযির যৌবনে পদার্পন করলে তার পিতা এক মহিলার সাথে তার বিবাহ দেন। খিযির এই মহিলাকে দ্বীন ইসলামের তালীম দিলেন। তিনি তার থেকে প্রতিশ্রুতি নেন যে, সে যেন কাউকে এই দ্বীনের শিক্ষা না দেয়। তিনি নারীসংগ পছন্দ করতেন না। তাই তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দেন। অতঃপর তার পিতা অপর এক নারীর সাথে তার বিবাহ দেন। তিনি তাকেও দ্বীন ইসলামের শিক্ষা দিলেন এবং তার থেকেও প্রতিশ্রুতি নিলেন যে, সে যেন কারো কাছে এ কথা প্রকাশ না করে। এক নারী বিষয়টি গোপন রাখলো এবং অপরজন তা প্রকাশ করে দিলে তিনি দেশ ত্যাগ করে সমুদ্রের এক দ্বীপে পালিয়ে গেলেন। সেখানে দু’ব্যাক্তি লাকড়ি সংগ্রহের জন্য এসে খিযিরকে দেখতে পায়। তাদের একজন খিযিরের অবস্থানের বিষয় গোপন রাখলেন এবং অপরজন ফাঁস করে দিলো এবং বলল, আমি খিযিরকে দেখেছি। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, তোমার সাথে তাঁকে আর কে দেখেছে? সে বললো, অমুক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিষয়টি গোপন রাখলো। তাদের বিধানে মিথ্যাবাদীর শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। রাবী বলেন, অতঃপর সে দ্বীন গোপনকারিনী মহিলাকে বিবাহ করলো। সেই মহিলা ফিরআওন তনয়ার কেশ বিন্যাসকালে তার হাত থেকে চিরূনী পড়ে গেলো। আর তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, ফিরআওন নিপাত যাক। ফিরআওন তনয়া এই কথা তার পিতাকে অবগিত করে। এই মহিলার ছিল দু’পুত্র ও স্বামী। ফিরআওন তাদেরকে ডেকে এনে উক্ত মহিলা ও তার স্বামীকে তাদের দ্বীন প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়। তারা উভয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ফিরআওন বললো, আমি তোমাদের দু’জনকে হত্যা করবো। তারা বললো, আপনি আমাদেরকে হত্যা করলে আমাদের উপর এতটুকু অনুগ্রহ করবেন যে, আমাদের দু’জনকে একই কবরে দাফন করবেন। সে তাই করলো। অতঃপর যে রাতে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মিরাজের ঘটনা সংঘটিত হয়, তখন তিনি পূত-পবিত্র সুঘ্রান পেয়ে জিবরাঈল (আঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪০৩০
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
৪.জান্নাতে একটি দরজায় লেখা দেখলাম,দান খয়রাতে দশ গুন,করযে আঠারো গুন! সওয়াব,সুনানে ইবনে মাজাহ-২৪৩১খুবই দুর্বল
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، وَحَدَّثَنَا أَبُو حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي عَلَى بَابِ الْجَنَّةِ مَكْتُوبًا الصَّدَقَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا وَالْقَرْضُ بِثَمَانِيَةَ عَشَرَ . فَقُلْتُ يَا جِبْرِيلُ مَا بَالُ الْقَرْضِ أَفْضَلُ مِنَ الصَّدَقَةِ . قَالَ لأَنَّ السَّائِلَ يَسْأَلُ وَعِنْدَهُ وَالْمُسْتَقْرِضُ لاَ يَسْتَقْرِضُ إِلاَّ مِنْ حَاجَةٍ " .
আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মিরাজের রাতে আমি জান্নাতে একটি দরজায় লেখা দেখলাম, দান খয়রাতে দশ গুন সওয়াব এবং করযে আঠারো গুন! আমি বললামঃ হে জিব্রাঈল! করয দান-খয়রাতের চেয়ে উত্তম হওয়ার কারণ কি? তিনি বলেন, ভিক্ষুক নিজের কাছে (সম্পদ) থাকতেও ভিক্ষা চায়, কিন্তু করযদান প্রয়োজনের তাগিদেই করয চায়।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৪৩১
হাদিসের মান: খুবই দুর্বল
* দ্বিতীয় কারণ নবীজির শান বৃদ্ধির জন্যই মেরাজ,রফা'না রাখা যিকরাক, মুসা নবীকে কালিমুল্লাহ, ইব্রাহিম নবীকে খলিলুল্লাহ,আমার নবিকে বলা হয় হাবিবুল্লাহ
* তৃতীয় কারণ-পরিক্ষার জন্য,কারা ঈমানদার ও কারা বেঈমান বা দুর্বল ইমানের অধিকারী সেটা পরিস্কার হয়ে যাওয়া।বনী ইসরা-৬০
وَ مَا جَعَلْنَا الرُّءْیَا الَّتِیْۤ اَرَیْنٰكَ اِلَّا فِتْنَةً لِّلنَّاس
(17:60)
وَ اِذْ قُلْنَا لَكَ اِنَّ رَبَّكَ اَحَاطَ بِالنَّاسِ١ؕ وَ مَا جَعَلْنَا الرُّءْیَا الَّتِیْۤ اَرَیْنٰكَ اِلَّا فِتْنَةً لِّلنَّاسِ وَ الشَّجَرَةَ الْمَلْعُوْنَةَ فِی الْقُرْاٰنِ١ؕ وَ نُخَوِّفُهُمْ١ۙ فَمَا یَزِیْدُهُمْ اِلَّا طُغْیَانًا كَبِیْرًا۠
শব্দার্থ: وَإِذْ = এবং যখন , قُلْنَا = আমরা বলেছিলাম, لَكَ = তোমাকে, إِنَّ = নিশ্চয়ই , رَبَّكَ = তোমার রব, أَحَاطَ = ঘিরেরেখেছেন, بِالنَّاسِ = নিয়েমানুষকে, وَمَا = এবং না , جَعَلْنَا = আমরা করেছি, الرُّؤْيَا = দৃশ্য, الَّتِي = যা, أَرَيْنَاكَ = তোমাকে আমরা দেখিয়েছি, إِلَّا = এছাড়াযে, فِتْنَةً = পরীক্ষা, لِلنَّاسِ = মানুষের জন্যে , وَالشَّجَرَةَ = এবং গাছটিকেও, الْمَلْعُونَةَ = অভিশপ্ত, فِي = মধ্যে, الْقُرْآنِ = কুরআনের, وَنُخَوِّفُهُمْ = এবং ভয়দেখাইআমরা তাদের , فَمَا = কিন্তুনা, يَزِيدُهُمْ = তাদের বৃদ্ধিকরে, إِلَّا = এছাড়া, طُغْيَانًا = অবাধ্যতা, كَبِيرًا = ঘোর,
অনুবাদ: স্মরণ করো হে মুহাম্মাদ! আমি তোমাকে বলে দিয়েছিলাম, তোমার রব এ লোকদেরকে ঘিরে রেখেছেন। আর এই যা কিছু এখনই আমি তোমাকে দেখিয়েছি একে এবং কুরআনে অভিশপ্ত গাছকে আমি এদের জন্য একটি ফিতনা বানিয়ে রেখে দিয়েছি। আমি এদেরকে অনবরত সতর্ক করে যাচ্ছি কিন্তু প্রতিটি সতর্ক সংকেত এদের অবাধ্যতা বাড়িয়ে চলছে।
* চতুর্থ কারণ,জান্নাত জাহান্নাম গার্ডিয়ানকে দেখানোর জন্য,ইমানদারের গার্ডিয়ান রাসূল সা:,পাত্রকে পিতার দেখাই যথেষ্ট
* পঞ্চম কারণ শান্তনা দেওয়ার জন্য পিতা ছয় মাস পূর্বে,মাতা ৬ বছর বয়সে,দাদা ৮ বছর ,চাচা ৫০বছর,হযরত খাদিজার সা: হৃদয়বিদারক মৃত্যু
প্রসিদ্ধ হাদীসানুসারে, হযরত খাদিজা সা:নবুয়্যত ঘোষণার দশম বছরের ১০ই রমজান মাসে মৃত্যুবরণ করেন,তাদের প্রত্যেকের অবধান
* ষষ্ঠ কারণ নামাজ নামক দৌলত দান করার জন্য, নামাজের বিনিময়ে হাসরের ময়দানে হাউজে কাউসার অতঃপর জান্নাত,হাউজে কাউসার দেখানো হয়,তার বর্ণনা রাসূল সা: এভাবে দেন-মুহাম্মাদ:15
مَّثَلُ الْجَنَّةِ الَّتِى وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۖ فِيهَآ أَنْهٰرٌ مِّن مَّآءٍ غَيْرِ ءَاسِنٍ وَأَنْهٰرٌ مِّن لَّبَنٍ لَّمْ يَتَغَيَّرْ طَعْمُهُۥ وَأَنْهٰرٌ مِّنْ خَمْرٍ لَّذَّةٍ لِّلشّٰرِبِينَ وَأَنْهٰرٌ مِّنْ عَسَلٍ مُّصَفًّى ۖ وَلَهُمْ فِيهَا مِن كُلِّ الثَّمَرٰتِ وَمَغْفِرَةٌ مِّن رَّبِّهِمْ ۖ كَمَنْ هُوَ خٰلِدٌ فِى النَّارِ وَسُقُوا مَآءً حَمِيمًا فَقَطَّعَ أَمْعَآءَهُمْ
শব্দার্থ: مَثَلُ = একটিদৃষ্টান্ত, الْجَنَّةِ = জান্নাতের, الَّتِي = যা, وُعِدَ = প্রতিশ্রুতি দেওয়াহয়েছে, الْمُتَّقُونَ = মুত্তাকীদের ( জন্যে ) , فِيهَا = তার মধ্যে আছেে, أَنْهَارٌ = ঝর্নাধারা সমূহ , مِنْ = থেকে, مَاءٍ = পানির, غَيْرِ = নয়অ, آسِنٍ = পরিবর্তন ীয় (তার রংগন্ধ) , وَأَنْهَارٌ = এবং ঝর্ণা সমূহ , مِنْ = থেকে, لَبَنٍ = দুধের, لَمْ = না, يَتَغَيَّرْ = পরিবর্তন হয়, طَعْمُهُ = তারস্বাদ, وَأَنْهَارٌ = এবং ঝর্ণা সমূহ , مِنْ = থেকে, خَمْرٍ = সুধার,
* সর্বোত্তম হাদিয়া নামায দান,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَالَ: بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا إِذْ أَغْفَى إِغْفَاءَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا، فَقُلْنَا: مَا أَضْحَكَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟! قَالَ: « أُنْزِلَتْ عَلَيَّ آنِفًا سُورَةٌ فَقَرَأَ: بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ﴿إِنَّآ أَعۡطَيۡنَٰكَ ٱلۡكَوۡثَرَ ١ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلۡأَبۡتَرُ ٣﴾ ثُمَّ قَالَ: أَتَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ؟» فَقُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ: «فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي -عَزَّ وَجَلَّ- عَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ هُوَ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ آنِيَتُهُ عَدَدُ النُّجُومِ فَيُخْتَلَجُ الْعَبْدُ مِنْهُمْ فَأَقُولُ: رَبِّ إِنَّهُ مِنْ أُمَّتِي فَيَقُولُ: مَا تَدْرِي مَا أَحْدَثَتْ بَعْدَكَ » . ( م, د ) صحيح
আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেনঃ “একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের মাঝে ছিলেন, হঠাৎ তিনি তন্দ্রা গেলেন, অতঃপর হাসতে হাসতে মাথা তুললেন। আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল কিসে আপনাকে হাসাচ্ছে?! তিনি বললেনঃ “এ মুহূর্তে আমার ওপর একটি সূরা নাযিল করা হয়েছে, অতঃপর তিনি পড়লেনঃ
﴿إِنَّآ أَعۡطَيۡنَٰكَ ٱلۡكَوۡثَرَ ١ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنۡحَرۡ ٢ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلۡأَبۡتَرُ ٣﴾ [الكوثرঃ ١، ٤]
“নিশ্চয় আমি তোমাকে আল-কাউসার দান করেছি। অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই সালাত পড় এবং নহর কর। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ” (সূরা কাউসারঃ ১-৩) অতঃপর তিনি বললেনঃ “তোমরা জান কাউসার কি?” আমরা বললামঃ আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ “এটা একটা নহর, এর ওয়াদা আল্লাহ আমার নিকট করেছেন, তাতে রয়েছে প্রচুর কল্যাণ। এটা এক হাউজ তাতে আমার উম্মত গমন করবে, তার পাত্রগুলো নক্ষত্রের সংখ্যার ন্যায়, তাদের থেকে এক বান্দাকে ছো মেরে নেয়া হবে, আমি বলবঃ হে আমার রব, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত, তিনি বলবেনঃ তুমি জান না তোমার পর তারা কি আবিষ্কার করেছে”। [মুসলিম ও আবু দাউদ]
সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নং ৮৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মেরাজ সফরে যাঁদের সঙ্গে দেখা হলো:
১,আদম আ: ২,ইয়াহইয়া আ. ও ঈসা আ. ৩,ইউসুফ আ: ৪,হজরত ইদ্রিস আ. ৫,হারুন আ. ৬,মুসা আ. ৭,ইবরাহিম আ.
* মেরাজের রাতে ফজরের সময় কাবা ঘরে যাবার সময় বৃদ্ধাকে কাদতে দেখেন-ওয়াজ ও খুতবা-1/294
যে - বিছানা থেকে মে'রাজে গমন করেন ফিরে এসে তিনি সেই বিছানা গ্রহণ করেন । অতঃপর ফজরের সময় তিনি কা'বা ঘরে গিয়ে নামায আদায় করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন । পথে এক বৃদ্ধাকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন , “ কাঁদছো কেন , কী হয়েছে ? বৃদ্ধা বললো , “ আমি এক ইহুদীর বাড়ীতে করি । আজ আমি অসুস্থ থাকার কারণে শরীর দূর্বল । এইজন্যে কাজে যেতে বিলম্ব হয়ে গেছে । তাই ইহুদী আমার উপর অত্যাচার করতে পারে ভেবে কাঁদছি । " রসুলুল্লাহ্ বললেন , “ তুমি কাঁদিও না । আমি তোমার সঙ্গে ইহুদীর বাড়ী যাচ্ছি । তোমার জন্যে সুপারিশ করবো যেন সে তোমার উপর কোনরূপ যুলুম না করে । ” তিনি বৃদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে ইহুদীর বাড়ী গিয়ে বললেন , " দেখ , এই বৃদ্ধা অসুস্থ ও দূর্বল । তাই তোমার কাজে আসতে বিলম্ব হয়েছে । ওকে কোনরূপ যুলুম বা তিরস্কার করিও না । ওর কাজ আমি করে দিব । ” ইহুদী বললো , “ ওগো মুহাম্মদ ! আপনিই কি তবে আজ রাত্রে মেরাজে গিয়েছিলেন ? ” রসূলুল্লাহ বললেন , “ তুমি কিভাবে জানতে পেরেছো ? আমি তো সে - কথা এখনও কারো কাছে ব্যক্ত করিনি ? " ইহুদী বললো , “ তওরাত কেতাবে লিখা আছে যে শেষ যামানার নবী রাত্রে মে’রাজ থেকে ফিরে এসে ভোর বেলায় একটি বৃদ্ধাকে সাহায্য করার জন্যে এক ইহুদীর কাছে সুপারিশ করতে যাবে । আর সেই আখেরী নবীর আগমনের সাথে সাথে তওরাত কেতাব মনসূখ ( বা রহিত ) হয়ে যাবে । তওরাতের উপর আমল করলে নাজাত হবে না । মুহাম্মদ ও কোরআনের অনুসারী না হলে নাজাতের কোন পথ থাকবে না । সুতরাং আমি আপনার ও কোরআনের অনুসারী হয়ে মুসলমান হয়ে গেলাম এবং বৃদ্ধাকে মাফ করে দিলাম । " অতঃপর রসূলুল্লাহ্ কা'বা শরীফে ফজরের নামায আদায় করে মে'রাজের ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দিলেন । কাফের আবু জেহেল এ কথা শুনে বিদ্রূপ করতে লাগলো এবং সারা মক্কায় তোলাপাড় শুরু করে দিল । এক মুহুর্তে বায়তুল মুকাদ্দস এবং সেখান থেকে সাত আসমান ভেদ করে আরশ পর্যন্ত যাওয়া এবং সেই মুহুর্তেই ফিরে আসা কিছুতেই সম্ভব নয় । এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয় । সে রসূলুল্লাহর সব চেয়ে ঘনিষ্ট ব্যক্তি হযরত আবু বকর ( রাঃ ) কে নিজের পক্ষে টানার জন্যে গিয়ে বললো , “ এত দিন যাকে আমরা পাগল বলতাম তাকে এখন তুমিও পাগল বলতে বাধ্য । কারণ সে যে - সব কথা বলছে তাতে পাগল না বলে উপায় নাই । সে বলছে , এক মুহুর্তে সে সাত আকাশ ভেদ করে আরশে গিয়ে আবার ফিরে এসেছে । " হযরত আবু বকর একথা শুনে জিজ্ঞাসা করলেন , " কার কথা বলছো ? কে বলেছে এ কথা ? " আবু জেহেল বললো , “ ঐ তো , ঐ মুহাম্মদ ! তোমার বন্ধু ! " আবু বকর বললেন , যদি মুহাম্মদ একথা বলে থাকেন তবে তিনি সত্য বলেছেন । তিনি ঠিকই মে'রাজ লাভ করেছেন । তিনি আল্লাহর রসূল । তাঁর পক্ষে আল্লাহ্ আছেন । আমিও তাঁর পক্ষে সাক্ষী দিচ্ছি । ” এ কথায় আবু জেহেলের মুখ রক্ষা হলো না । সে অপমানিত হয়ে মক্কায় তোলপাড় শুরু করে দিল । কিন্তু কাফেরদের অবিশ্বাস করা এবং বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় করাটাই একটি প্রমাণ যে রসূলুল্লাহ্ সশরীরে আরশ পর্যন্ত গিয়েছেন । যদি স্বপ্নে যেতেন তবে কাফেররা এত তোলপাড় করতো না । কারণ স্বপ্নে সবাই সব জায়গাতেই যেতে পারে । অবিশ্বাস করার দরকার হতো না ।
* ফজরের পর মেরাজের ঘঠনা বললে আবু জাহেল অস্বিকার করে,আবু বকর রা: স্বীকার করেণ
* এক মুহুর্ত সাতাশ বছর নবীজি বলেন আল্লাহর কাছে সব সহজ,লোকটি মাছ কিনে বাড়িতে যায়-ওয়াজ ও খুতবা-1/296
আশ্চর্যজনক একটি ঘটনা: দুনিয়ার এক মুহুর্ত উর্দ্ধ জগতের সাতাইশ বৎসর কিভাবে হয় এই নিয়ে অবাক হয়ে এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলো । তিনি বললেন , আল্লাহর কাছে সবই সহজ । লোকটি বিষয়টি বুঝতে না পেরে বাড়ী ফিরে গেল । বাড়ী যাওয়ার সময় একটি মাছ কিনে নিয়ে গেল । মাছটি তার স্ত্রীর সামনে রেখে দিয়ে বললো , “ মাছটি রান্না কর , আমি নদী থেকে গোসল করে আসি । " এই বলে সে নদীতে গোসল করতে চলে গেল । পাড়ে কাপড় রেখে সে নদীতে গিয়ে ডুব দিল । ডুব দিয়ে উঠে দেখে সে অন্য এক জগতে এসে গেছে এবং সে এক সুন্দরী যুবতী রাজকন্যায় পরিণত হয়েছে । নতুন দেশে সে রাঙা খুঁজে পাচ্ছে না । এমন সময় এক রাজপুত্র সেখান দিয়ে শিকারে যাচ্ছিল । যুবতীকে একা আশ্রয়হীনা দেখে তাকে তার ঘোড় পীঠে তুলে নিয়ে রাজপ্রাসাদে ফিরে গেল । সেখানে গিয়ে সেই রাজপুত্রের সাথে তার বিয়ে হলো । ২৭ বৎসর বিবাহিত জীবন যাপন করলো । অনেকগুলি সন্তানের মা হলো । একদিন সে সাংসারিক কাজ - কর্ম সারার পর নদীতে গেল গোসল করতে । নদীতে ডুব দিয়ে উঠে দেখে সে সাতাইশ বৎসর আগের সেই পুরুষ হয়ে গেছে । নদীর পাড়ে রাখা তার সেই কাপড় পড়ে আছে । সে তাড়াতাড়ি গোসল সেরে কাপড় পরে বাড়ী রওয়ানা হলো । বাড়ী এসে দেখে তার স্ত্রী সাতাইশ বৎসর আগে যে কাজটি করছিল এখনও সেই কাজটিই করছে । মাছ কাটা হয়নি । মাছটি তার সামনে এখনও ছটফট করে লাফাচ্ছে । স্ত্রীকে বললো , “ এখনও মাছ কাটা হয়নি ? রান্না সারা হবে কখন ? " স্ত্রী অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো , “ এত শিমি কি করে রান্না হয় ? এইমাত্র তো আপনি গোসল করতে গেলেন । হাতের কাজই তো এখনও শেষ হয়নি , মাছ কাটবো কখন ? " লোকটির বুঝতে আর বাকী রইলো না । এটা আল্লাহ তা'আলা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আল্লাহ সব - কিছুই করতে পারেন । লোকটি তখনই দৌড়িয়ে রসূলুল্লাহর কাছে গিয়ে বললো , “ ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি স্বাক্ষী দিচ্ছি যে নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রসূল । আর আমি আরও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে মে'রাজ সত্য এবং মে'রাজে যা - কিছু ঘটেছে সব সত্য । " সে সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান হয়ে গেল । মে'রাজ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা পেয়েছি । যিনি স্রষ্টা এবং সৃষ্টি যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁর ইচ্ছা ছাড়া কোন মানুষ এরূপ ভ্রমণ করতে পারে না । তিনি যে - মানুষটিকে এরূপ ভ্রমণ করালেন সেই মানুষটি যে নবী এটা মানুষকে দেখিয়ে দেওয়াই স্রষ্টার উদ্দেশ্য । সুতরাং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আল্লাহ পাকের সত্য নবীজির মেরাজের দ্বারা সেকথা প্রমাণিত হয়ে গেছে । এই মে'রাজের দ্বারা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পেয়েছি । যে - নামাযকে বেহেশতের চাবি বলা হয়েছে সেই চাবি আমাদের হাতের মুঠায় । এই চাবির সদ্ব্যবহার করলে আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাতের ওয়াদা করেছেন । আল্লাহর ওয়াদার খেলাফ হয় না । জান্নাতে আমাদের যেতেই হবে । কারণ দোযখের কঠিন আযাব আমরা সহ্য করতে পারবো না । পরকালে জান্নাত ও জাহান্নাম ছাড়া তৃতীয় কোন বিকল্প ব্যবস্থা নাই । মে'রাজ থেকে পাওয়া এই পাঁচ ওয়াক্ত নামায যারা এহতেমামের সাথে আদায় করবে জাহান্নাম থেকে মুক্তি হবে আবার তাদেরকে পঞ্চাশ ওয়াক্তের নামাযের সওয়াব ও বরকতও দেওয়া হবে
* নামাজ গুরুত্বপৃর্ণ ইবাদত বুজানোর জন্য,অন্যান্য ইবাদত জমিনে ফরজ করেছেন। আর নামায ফরজ করেছেন তাঁর প্রিয় বন্ধুকে কাছে ডেকে নিয়ে সাত আসমানের ওপরে
* বত্রিক পাদরীর বর্ণনায় শবে মে'রাজের ঘটনা ” বত্রিক পাদরী রোম সম্রাট কায়সার এর কাছে হুজুরে পাক ( সঃ ) -এর শবে মে'রাজের ঘটনা বর্ণনা করে বলেন । আমি সে সময় বায়তুল মুকাদ্দাসে মসজিদে আকসার পৃষ্ঠপোষক ছিলাম । আমার সাধারণ নিয়ম ছিল প্রতিরাত্রে শয়ন করার পূর্বে মসজিদে আকসার সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ করে ঘুমাতাম । মে'রাজের রাত্রেও আমি মসজিদে আকসার সমস্ত দরজা জানালা বন্ধ করি , কিন্তু দরজাটি বন্ধ করতে অক্ষম থেকে যাই । আমি উক্ত দরজাটি বন্ধ করার জন্য সকল চেষ্টা শেষ করলাম । এমন কি শহরের বড় বড় কারিগরদেরকে ডাকা হল , তারাও শত চেষ্টা করেও তা বন্ধ করতে অক্ষম থেকে যায় । অবশেষে সে রাতে মসজিদের প্রধান দরজাটি খোলা রেখেই আমি চলে যাই । খুব ভোরে আমি মসজিদে আকসায় উপস্থিত হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি দরজার কোথাও কোন ফাটল ধরেছে কি - না ? বা নষ্ট হয়েছে কি - না ? কিন্তু উক্ত দরজার কোথাও আমি নষ্ট হওয়ার কোন লক্ষন দেখতে পেলাম না । অবশেষে আমি দেখতে পেলাম । “ মসজিদে আকসার " কোণে যে পাথরটি ছিল উক্ত পাথরের মধ্যে একটি ছিদ্র দেখা যাচ্ছে এবং তার সাথে একটি বাহন বাঁধার লক্ষণ সুষ্পষ্ট দেখা যাচ্ছে । তখন আমি বুঝে নিলাম এর মধ্যে নিশ্চয়ই কোন রহস্য রয়েছে । তখন আমি আমার সহকর্মীদের কাছে বললাম , আজ রাতে মসজিদে আকসার প্রধান দরজা খোলা থাকার মধ্যে বিরাট এক রহস্য রয়েছে । আর তা - হল শেষ যমানার নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) -এর আগমন উপলক্ষে এবং সকল আম্বিয়া ( আঃ ) দের উপস্থিতির কারণে এরূপ হয়েছে । যা আমাদের কিতাবে বর্ণিত আছে । আমাদের কিতাবে আরো বর্ণিত আছে যে , এ রাতে সকল আম্বিয়া ( আঃ ) -দের উপস্থিতিতে শেষ যমানার নবী হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) ইমামতি করবেন এবং তারপর তাঁর মে'রাজ কর্মসূচী পালন করনে । আর আবু সুফিয়ানের বর্ণনায় তাই দেখা গিয়েছে । তাই হযরত মুহাম্মদ ( সঃ ) -এর মে'রাজ প্রক্রিয়া সত্যিই সংগঠিত হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই ।
মেরাজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বা বিশ্ব নবীর মেরাজ-196
______________
27-মেরাজ 22-03-2020
মেরাজের সিদ্ধান্তবলি:
মেরাজের রজনীতে হাবিব ও মাহবুবের একান্ত সাক্ষাতে ১৪টি বিষয় ঘোষণা হয়েছে। যথা ১. আল্লাহকে ছাড়া কারও ইবাদত করবে না, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, ৩. নিকট স্বজনদের তাদের অধিকার দাও; ৪. মিসকিনদের ও পথসন্তানদের (তাদের অধিকার দাও); ৫. অপচয় কোরো না, অপচয়কারী শয়তানের ভাই, ৬. কৃপণতা কোরো না, ৭. সন্তানদের হত্যা করবে না, ৮. ব্যভিচারের নিকটেও যেয়ো না, ৯. মানব হত্যা কোরো না, ১০. এতিমের সম্পদের কাছেও যেয়ো না, ১১. প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কোরো, ১২. মাপে পূর্ণ দাও, ১৩. অবস্থান কোরো না যাতে তোমার জ্ঞান নেই, ১৪. পৃথিবীতে গর্বভরে চলো না। এ সবই মন্দ, তোমার রবের কাছে অপছন্দ। (সুরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ৩-৫, আয়াত: ২২-৪৪, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৫-২৮৭/৩-৫)। নবীজি (সা.) জান্নাত-জাহান্নামও পরিদর্শন করেছেন।
47:মুহাম্মাদ:15
মালিক ইব্ন সা‘সা‘আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি কা‘বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী ব্যক্তিটি এগিয়ে আসল। আমার নিকট হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হলো। তারপর ঐ ব্যক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ থেকে নাভি পর্যন্ত বিদীর্ণ করলো। তারপর যমযমের পানি দ্বারা ‘কল্ব’ ধৌত করলো। তারপর হিকমত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হলো। পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এরূপ একটি জন্তু আনা হলো। আমি জিব্রাঈল (আঃ) -এর সঙ্গে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকটবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌঁছি। তখন বলা হলো, কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, (আমি) জিব্রাঈল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। বলা হলো, তাঁকে আনার জন্য কি দূত প্রেরণ করা হয়েছে? তাঁকে স্বাগতম, তাঁর আগমন কতই না শুভ। এরপর আমি আদম (আঃ) -এর নিকট আসলাম, তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী। তারপরে আমার দ্বিতীয় আসমানে আসলাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, (আমি) জিব্রাঈল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। পূর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হলো। এরপর আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম করলাম। তাঁরা বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে আসলাম। এখানেও জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? তিনি বললেন, আমি জিব্রাইল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। পূর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হলো। এখানে আমি ইউসুফ (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনিও বললেন স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এর আমরা চতুর্থ আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। তারপর আমি ইদ্রীস (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হলো ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। পরে আমি হারুন (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে আসলাম। এখানেও প্রশ্ন উত্তর সম্বর্ধনার পর আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। আমি যখন তাঁকে অতিক্রম করে যাই, তখন তিনি কাঁদতে থাকেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন হে আমার রব! এ যুবক, যাকে আপনি আমার পর নবীরূপে প্রেরণ করেছেন, আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাঁর উম্মত থেকে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাঁরা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর। তারপর আমরা সপ্তম আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্ন-উত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইবরাহীম (আঃ) -এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা‘মূর তুলে ধরা হলো। আমি জিব্রাঈল (আঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কোন স্থান? তিনি বললেন, এ বায়তুল মা‘মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশ্তা সালাত আদায় করেন। একদিনে যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোন দিন প্রত্যাবর্তন করবেন না। এটাই তাদের শেষ (প্রবেশ)। তারপর সামনে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ তুলে ধরা হলো। তার (সিদরাতুল মুনতাহার) গাছের ফল আকারে হাজর (নামক স্থান-এর) কলসীর ন্যায় এবং পাতাগুলো হাতির কানের মত এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য। আমি জিব্রাইল (আঃ) -কে এগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবহমান। আর প্রকাশ্য নহর দু’টির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হলো। ফেরার পথে আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষের (প্রকৃতি) সম্পর্কে আপনার চেয়ে অধিক অবগত। আমি বনী ইসরাঈলকে নিয়ে কঠিনভাবে চেষ্টা করেছি। একথা নিশ্চিত যে, এগুলো আদায় করতে আপনার উম্মত সক্ষম হবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এ নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করার আবেদন জানালাম। এতে তিনি চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি বললেন, আপনি কি করে আসলেন? আমি বললাম, চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন। আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম এবং তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি আমাকে পূর্বের মত বললেন। আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাযির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপরে আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি পূর্বের মত একই কথা বললেন। আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহর নিকট যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহর তরফ থেকে ঘোষণা দেয়া হলো, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করলাম এবং আমার বান্দাদের জন্য সহজ করে দিলাম। আর আমি একটি নেক কাজের বিনিময় দশটি প্রতিদান দেব।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৪৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মেরাজের সিদ্ধান্তবলি:
মেরাজের রজনীতে হাবিব ও মাহবুবের একান্ত সাক্ষাতে ১৪টি বিষয় ঘোষণা হয়েছে। যথা ১. আল্লাহকে ছাড়া কারও ইবাদত করবে না, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে, ৩. নিকট স্বজনদের তাদের অধিকার দাও; ৪. মিসকিনদের ও পথসন্তানদের (তাদের অধিকার দাও); ৫. অপচয় কোরো না, অপচয়কারী শয়তানের ভাই, ৬. কৃপণতা কোরো না, ৭. সন্তানদের হত্যা করবে না, ৮. ব্যভিচারের নিকটেও যেয়ো না, ৯. মানব হত্যা কোরো না, ১০. এতিমের সম্পদের কাছেও যেয়ো না, ১১. প্রতিশ্রুতি পূর্ণ কোরো, ১২. মাপে পূর্ণ দাও, ১৩. অবস্থান কোরো না যাতে তোমার জ্ঞান নেই, ১৪. পৃথিবীতে গর্বভরে চলো না। এ সবই মন্দ, তোমার রবের কাছে অপছন্দ। (সুরা-১৭ [৫০] ইসরা-বনি ইসরাইল, রুকু: ৩-৫, আয়াত: ২২-৪৪, পারা: ১৫, পৃষ্ঠা ২৮৫-২৮৭/৩-৫)। নবীজি (সা.) জান্নাত-জাহান্নামও পরিদর্শন করেছেন।
মালিক ইব্ন সা‘সা‘আ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি কা‘বার নিকট তন্দ্রাচ্ছন্নাবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম, তিনজনের একটি দলের মধ্যবর্তী ব্যক্তিটি এগিয়ে আসল। আমার নিকট হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ একটি স্বর্ণের পাত্র আনা হলো। তারপর ঐ ব্যক্তি আমার সিনার অগ্রভাগ থেকে নাভি পর্যন্ত বিদীর্ণ করলো। তারপর যমযমের পানি দ্বারা ‘কল্ব’ ধৌত করলো। তারপর হিকমত ও ঈমান দ্বারা তা ভরে দেয়া হলো। পরে আমার নিকট আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড় এরূপ একটি জন্তু আনা হলো। আমি জিব্রাঈল (আঃ) -এর সঙ্গে চলতে থাকি। পরে আমরা দুনিয়ার (নিকটবর্তী) আকাশ পর্যন্ত পৌঁছি। তখন বলা হলো, কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, (আমি) জিব্রাঈল। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। বলা হলো, তাঁকে আনার জন্য কি দূত প্রেরণ করা হয়েছে? তাঁকে স্বাগতম, তাঁর আগমন কতই না শুভ। এরপর আমি আদম (আঃ) -এর নিকট আসলাম, তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) পুত্র ও নবী। তারপরে আমার দ্বিতীয় আসমানে আসলাম। জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, (আমি) জিব্রাঈল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। পূর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হলো। এরপর আমি ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁদের উভয়কে সালাম করলাম। তাঁরা বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে আসলাম। এখানেও জিজ্ঞাসা করা হলো, কে? তিনি বললেন, আমি জিব্রাইল। বলা হলো, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। পূর্ববৎ তাঁকে স্বাগতম জানানো হলো। এখানে আমি ইউসুফ (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনিও বললেন স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এর আমরা চতুর্থ আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। তারপর আমি ইদ্রীস (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্ববৎ প্রশ্নোত্তর হলো ও সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। পরে আমি হারুন (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। এরপর আমরা ষষ্ঠ আসমানে আসলাম। এখানেও প্রশ্ন উত্তর সম্বর্ধনার পর আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, স্বাগতম (হে) ভাই ও নবী। আমি যখন তাঁকে অতিক্রম করে যাই, তখন তিনি কাঁদতে থাকেন। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন হে আমার রব! এ যুবক, যাকে আপনি আমার পর নবীরূপে প্রেরণ করেছেন, আমার উম্মত হতে যত সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাঁর উম্মত থেকে তার চেয়ে অধিক সংখ্যক লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাঁরা মর্যাদায় হবেন শ্রেষ্ঠতর। তারপর আমরা সপ্তম আসমানে আসলাম। এখানেও পূর্বের ন্যায় প্রশ্ন-উত্তর ও সম্বর্ধনার পর আমি ইবরাহীম (আঃ) -এর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, খোশ আমদেদ (হে) পুত্র ও নবী। তারপর আমার সামনে বায়তুল মা‘মূর তুলে ধরা হলো। আমি জিব্রাঈল (আঃ) -কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কোন স্থান? তিনি বললেন, এ বায়তুল মা‘মূর। এখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেশ্তা সালাত আদায় করেন। একদিনে যারা এখানে সালাত আদায় করেন, তারা এখানে কোন দিন প্রত্যাবর্তন করবেন না। এটাই তাদের শেষ (প্রবেশ)। তারপর সামনে ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ তুলে ধরা হলো। তার (সিদরাতুল মুনতাহার) গাছের ফল আকারে হাজর (নামক স্থান-এর) কলসীর ন্যায় এবং পাতাগুলো হাতির কানের মত এবং দেখলাম যে, তার মূল হতে চারটি নহর প্রবহমান। দু’টি অপ্রকাশ্য ও দু’টি প্রকাশ্য। আমি জিব্রাইল (আঃ) -কে এগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দু’টি জান্নাতে প্রবহমান। আর প্রকাশ্য নহর দু’টির একটি ফুরাত ও অন্যটি নীল। তারপর আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হলো। ফেরার পথে আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করে আসলেন? বললাম, আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি মানুষের (প্রকৃতি) সম্পর্কে আপনার চেয়ে অধিক অবগত। আমি বনী ইসরাঈলকে নিয়ে কঠিনভাবে চেষ্টা করেছি। একথা নিশ্চিত যে, এগুলো আদায় করতে আপনার উম্মত সক্ষম হবে না। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং এ নির্দেশ সহজ করে নিয়ে আসুন। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট পুনরায় গেলাম এবং এ বিধান সহজ করার আবেদন জানালাম। এতে তিনি চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি বললেন, আপনি কি করে আসলেন? আমি বললাম, চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিয়েছেন। তিনি এবারও আমাকে পূর্বের ন্যায় বললেন। আমি আমার মহান প্রতিপালকের নিকট ফিরে গেলাম। তিনি এবার ত্রিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম এবং তাঁকে অবহিত করলাম। তিনি আমাকে পূর্বের মত বললেন। আমি আবার প্রতিপালকের নিকট হাযির হলাম। তিনি বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর দশ ওয়াক্ত এবং তারপর পাঁচ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপরে আমি মূসা (আঃ) -এর নিকট এলাম। তিনি পূর্বের মত একই কথা বললেন। আমি বললাম, আমি আবার আল্লাহর নিকট যেতে লজ্জাবোধ করছি। তারপর আল্লাহর তরফ থেকে ঘোষণা দেয়া হলো, আমি আমার বিধান চূড়ান্ত করলাম এবং আমার বান্দাদের জন্য সহজ করে দিলাম। আর আমি একটি নেক কাজের বিনিময় দশটি প্রতিদান দেব।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৪৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* প্রথম কারণ-১,পরিক্ষার জন্য,দ্বিতীয় পরিক্ষা কিবলা পরিবর্তন-বনী ইসরাঈল:60
وَمَا جَعَلْنَا الرُّءْيَا الَّتِىٓ أَرَيْنٰكَ إِلَّا فِتْنَةً لِّلنَّاسِ
* ৪ নিদর্শনা দেখানোর জন্য আর তা হলো,জান্নাত,জাহান্নাম, হাউজে কাউসার
No comments