Header Ads

Header ADS

42 নামাযের হিফাজত

42/5 নামাজ এর হিফাযত 
*  আমরা কি মালিকের কথা শুনি? মালিক বিরাশি বার নামাজের কথা বলেছেন।
নামাজ আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল
ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুল সা: আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।তাই প্রিয়নবি সা: নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন
* নামায হচ্ছে গুনাহ থেকে বিরত থাকার উন্নত মানের মেডিসিন। ২৯: আল-আনকাবুত ৪৫

اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ١ؕ وَ لَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ

*  হযরত উসমান গনি রা: এর নামায।  আলী রা: এর পায়ে যুদ্ধের ময়দানে তীর বেঁধেছে।
* নামায হচ্ছে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের সর্বোত্তম মাধ্যমে,আল-বাক্বারাহ: ১৫৩
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اسْتَعِیْنُوْا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلٰوةِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ
* নামাযের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ পাকের অতি নিকটবর্তী হয় ৯৬: আল-আলাক্ক-১৯.. وَ اسْجُدْ وَ اقْتَرِبْ۠

* নামায হলো জীবন থেকে গুনাহ মাফের উপকরণ,হজরত আবু যর গিফারি রা: বর্ণনা করেন যে, নবি সা: এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথায়) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল, মিশকাতুল মাসাবিহ,৫৭৬ হাসান

إِنَّ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ لَيُصَلِّ الصَّلَاةَ يُرِيدُ بِهَا وَجْهَ اللهِ فَتَهَافَتُ عَنْهُ ذُنُوبُه كَمَا تَهَافَتُ هذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ
* নামাযের পূর্ন সাওয়াব পাওয়ার জন্য বিশুদ্ধতা অবশ্যম্ভাবী। প্রথমে অযু করবে। নামায পড়ার পদ্ধতি আল্লাহর নবী উম্মত তথা সাহাবায়ে কেরামগনকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন,বুলুগুল মারাম,২৬৭

* রাসূল (সা:) মসজিদে গেলেন। এ সময় একটি লোক এসে নামায আদায় করল। (নামায শেষ করে) সে এসে নবী (সা:)-কে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেনঃ তুমি আবার গিয়ে নামায আদায় করে এসো, তোমার নামায হয়নি। এভাবে সে তিনবার নামায আদায় করল। জামে' আত-তিরমিজি,৩০৩
* নামাজকে বলোনা কাজ আছে। কাজকে বলো আমার নামায আছে
*  নামাযের গুরুত্ব কতটুকু, নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ
*  যুদ্ধের ময়দানে ও নামায ছেড়ে দেননি দুই জন পাহাড়ায় রত
* নামায হলো নূর (জ্যোতি) জামে' আত-তিরমিজি, ৩৫১৭ সহিহ হাদিস وَالصَّلاَةُ نُورٌ  

* যেদিন তোমরা ঈমানদার নারী ও পুরুষদের দেখবে, তাদের ‘নূর’ তাদের সামনে ও ডান দিকে দৌড়াচ্ছে।৫৭: আল-হাদীদ, ১২

یَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ یَسْعٰى نُوْرُهُمْ بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ بُشْرٰىكُمُ الْیَوْمَ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا١ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُۚ

* নামাযের প্রতি যত্নবান লোকদের চেহারার সেদিন নূর চমকাতে থাকবে,৪৮: আল-ফাতাহ্,: ২৯

سِیْمَاهُمْ فِیْ وُجُوْهِهِمْ مِّنْ اَثَرِ السُّجُوْدِ١ؕ

* কিয়ামতের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব হবে। হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। আবু দাউদ ৮৬৪

إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ، فَإنْ صَلَحَتْ، فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإنْ فَسَدَتْ، فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ - عَزَّ وَجَلَّ: اُنْظُرُوا هَلْ لِعَبدِي مِن تَطَوُّعٍ، فَيُكَمَّلُ مِنْهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ تَكُونُ سَائِرُ أَعْمَالِهِ عَلَى هَذَا

* সেদিন আল্লাহ পাক তার বান্দাদের সেজদার জন্য আহ্বান করবেন,৬৮: আল-ক্বলম :৪২

یَوْمَ یُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّ یُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَۙ
* সেজন্য আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।সূরা বাকারাঃ ২৩৮

حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ

* কিছু মানবে কিছু মানবে না,এক ওয়াক্ত পড়লে চার ওয়াক্ত পড়বে না তা হবেনা তা হবেনা।বাক্বারাহ: ৮৫

اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ


* এই নামায নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়তে হবে, নিজের ইচ্ছা মত পড়লে হবে না।4:আন-নিসা:103

إِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتٰبًا مَّوْقُوتًا

* নামাযের গুরুত্ব কতটুকু, নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ

عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ

* বেনামাযী স্বীয় পরিবার এবং ধন-সম্পদ নষ্ট করে দেওয়ার চেয়েও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত। রাসূল সা: বলেন, বিশেষ করে আসর নামাযের গুরুত্ব, জামে' আত-তিরমিজি,১৭৫

الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ

* নামায তরককারী ব্যাক্তি ব্যভিচার থেকে নিকৃষ্ট। বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। যেনায় জন্ম দেয়া বাচ্চাকে ও হত্যা করেছি তৌবাহ ও করেছি

* বেনামাজী জাহান্নামে যাবে।,৭৪: আল-মুদ্দাস্সির: ৪২

مَا سَلَكَكُمْ فِیْ سَقَرَ

قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَۙ

* বেনামাযীকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের এক খালে নিক্ষেপ করা হবে। ১৯: মারইয়াম:৫৯

فَخَلَفَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوةَ وَ اتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ فَسَوْفَ یَلْقَوْنَ غَیًّاۙ

____________________________________________________________

নামাজ আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল


ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুল সা: আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।তাই প্রিয়নবি সা: নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন


* নামায হচ্ছে আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের সর্বোত্তম মাধ্যমে,আল-বাক্বারাহ: ১৫৩


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اسْتَعِیْنُوْا بِالصَّبْرِ وَ الصَّلٰوةِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِیْنَ


* নামাযের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ পাকের অতি নিকটবর্তী হয় ৯৬: আল-আলাক্ক-১৯.. وَ اسْجُدْ وَ اقْتَرِبْ۠


* নামায হচ্ছে গুনাহ থেকে বিরত থাকার উন্নত মানের মেডিসিন। ২৯: আল-আনকাবুত ৪৫


اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ١ؕ وَ لَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ


* নামায হলো জীবন থেকে গুনাহ মাফের উপকরণ,হজরত আবু যর গিফারি রা: বর্ণনা করেন যে, নবি সা: এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথায়) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল, মিশকাতুল মাসাবিহ,৫৭৬ হাসান


إِنَّ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ لَيُصَلِّ الصَّلَاةَ يُرِيدُ بِهَا وَجْهَ اللهِ فَتَهَافَتُ عَنْهُ ذُنُوبُه كَمَا تَهَافَتُ هذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ


* নামায হলো নূর (জ্যোতি) জামে' আত-তিরমিজি, ৩৫১৭ সহিহ হাদিস وَالصَّلاَةُ نُورٌ  


* যেদিন তোমরা ঈমানদার নারী ও পুরুষদের দেখবে, তাদের ‘নূর’ তাদের সামনে ও ডান দিকে দৌড়াচ্ছে।৫৭: আল-হাদীদ, ১২


یَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ یَسْعٰى نُوْرُهُمْ بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ بُشْرٰىكُمُ الْیَوْمَ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا١ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُۚ


* নামাযের প্রতি যত্নবান লোকদের চেহারার সেদিন নূর চমকাতে থাকবে,৪৮: আল-ফাতাহ্,: ২৯


سِیْمَاهُمْ فِیْ وُجُوْهِهِمْ مِّنْ اَثَرِ السُّجُوْدِ١ؕ


* কিয়ামতের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব হবে। হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। আবু দাউদ ৮৬৪


إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ، فَإنْ صَلَحَتْ، فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإنْ فَسَدَتْ، فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ - عَزَّ وَجَلَّ: اُنْظُرُوا هَلْ لِعَبدِي مِن تَطَوُّعٍ، فَيُكَمَّلُ مِنْهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ تَكُونُ سَائِرُ أَعْمَالِهِ عَلَى هَذَا


* নামাজকে বলোনা কাজ আছে। কাজকে বলো আমার নামায আছে


* সেদিন আল্লাহ পাক তার বান্দাদের সেজদার জন্য আহ্বান করবেন,৬৮: আল-ক্বলম :৪২


یَوْمَ یُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّ یُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَۙ


* সেজন্য আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদেরকে সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।সূরা বাকারাঃ ২৩৮


حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ


* কিছু মানবে কিছু মানবে না,এক ওয়াক্ত পড়লে চার ওয়াক্ত পড়বে না তা হবেনা তা হবেনা।বাক্বারাহ: ৮৫


اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ


* নামাযটা পড়তে হবে শুদ্ধ করে। নামায পড়ার পদ্ধতি আল্লাহর নবী উম্মত তথা সাহাবায়ে কেরামগনকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন,বুলুগুল মারাম,২৬৭


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ، ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا


* রাসূল (সা:) মসজিদে গেলেন। এ সময় একটি লোক এসে নামায আদায় করল। (নামায শেষ করে) সে এসে নবী (সা:)-কে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেনঃ তুমি আবার গিয়ে নামায আদায় করে এসো, তোমার নামায হয়নি। এভাবে সে তিনবার নামায আদায় করল। জামে' আত-তিরমিজি,৩০৩


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا


* এই নামায নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়তে হবে, নিজের ইচ্ছা মত পড়লে হবে না।4:আন-নিসা:103


إِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتٰبًا مَّوْقُوتًا


* নামাযের গুরুত্ব কতটুকু, নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ


عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ


* বেনামাযী স্বীয় পরিবার এবং ধন-সম্পদ নষ্ট করে দেওয়ার চেয়েও অধিক ক্ষতিগ্রস্ত। রাসূল সা: বলেন, বিশেষ করে আসর নামাযের গুরুত্ব, জামে' আত-তিরমিজি,১৭৫


الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ


* নামায তরককারী ব্যাক্তি ব্যভিচার থেকে নিকৃষ্ট। বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। যেনায় জন্ম দেয়া বাচ্চাকে ও হত্যা করেছি তৌবাহ ও করেছি


* বেনামাজী জাহান্নামে যাবে।,৭৪: আল-মুদ্দাস্সির: ৪২


مَا سَلَكَكُمْ فِیْ سَقَرَ


قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَۙ


* বেনামাযীকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের এক খালে নিক্ষেপ করা হবে। ১৯: মারইয়াম:৫৯


فَخَلَفَ مِنْۢ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ اَضَاعُوا الصَّلٰوةَ وَ اتَّبَعُوا الشَّهَوٰتِ فَسَوْفَ یَلْقَوْنَ غَیًّاۙ




________________


________________


5 নামাযের হিফাযত ✓


* যে কারণে নামাজ আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল


ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুল সা: আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।তাই প্রিয়নবি সা: নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন


* নামায হলো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে সাহায্য লাভের সর্বোত্তম মাধ্যমে,৯৬: আল-আলাক্ক-১৯.. وَ اسْجُدْ وَ اقْتَرِبْ۠




* নিশ্চিতভাবেই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।আল্লাহর স্বরণ ও অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। ২৯: আল-আনকাবুত ৪৫


اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ١ؕ وَ لَذِكْرُ اللّٰهِ اَكْبَرُ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْلَمُ مَا تَصْنَعُوْنَ




(হে নবী!) তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে তা তেলাওয়াত করো এবং নামায কায়েম করো, নিশ্চিতভাবেই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর আল্লাহর স্মরণ এর চাইতেও বড় জিনিস। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু করো।




* নামায হলো গুনাহ মাফের উপকরণ,হজরত আবু যর গিফারি রা: বর্ণনা করেন যে, নবি সা: এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথায়) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল


وَعَنْ أَبِيْ ذَرٍّ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ خَرَجَ زَمَنَ الشِّتَاءِ وَالْوَرَقُ يَتَهَافَتُ فَأَخَذَ بِغُصْنَيْنِ مِنْ شَجَرَةٍ قَالَ فَجَعَلَ ذلِكَ الْوَرَقُ يَتَهَافَتُ قَالَ فَقَالَ يَا أَبَا ذَرٍّ قُلْتُ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ إِنَّ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ لَيُصَلِّ الصَّلَاةَ يُرِيدُ بِهَا وَجْهَ اللهِ فَتَهَافَتُ عَنْهُ ذُنُوبُه كَمَا تَهَافَتُ هذَا الْوَرَقُ عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ. رَوَاهُ أَحْمَد




আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, এক শীতের সময়ে নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বের হলেন, আর তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল । তিনি একটি গাছের দু’টি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে গাছের পাতা ঝরতে লাগল। আবূ যার (রহঃ) বলেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন, হে আবূ যার! উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধানের জন্য খালিস মনে সলাতে আদায় করে, আর জ়ীবন থেকে তার গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেভাবে গাছের পাতা ঝরে পড়ে।




মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৫৭৬


হাদিসের মান: হাসান হাদিস




* নামায হলো নূর (জ্যোতি) জামে' আত-তিরমিজি, ৩৫১৭ সহিহ হাদিস وَالصَّلاَةُ نُورٌ  




* যেদিন তোমরা ঈমানদার নারী ও পুরুষদের দেখবে, তাদের ‘নূর’ তাদের সামনে ও ডান দিকে দৌড়াচ্ছে।৫৭: আল-হাদীদ, ১২


یَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ یَسْعٰى نُوْرُهُمْ بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ بُشْرٰىكُمُ الْیَوْمَ جَنّٰتٌ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَا١ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُۚ




যেদিন তোমরা ঈমানদার নারী ও পুরুষদের দেখবে, তাদের ‘নূর’ তাদের সামনে ও ডান দিকে দৌড়াচ্ছে। (তাদেরকে বলা হবে) “আজ তোমাদের জন্য সুসংবাদ।” জান্নাতসমূহ থাকবে যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারাসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে। যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই বড় সফলতা।


* নামাযের প্রতি যত্নবান লোকদের চেহারার সেদিন নূর চমকাতে থাকবে,৪৮: আল-ফাতাহ্,: ২৯


سِیْمَاهُمْ فِیْ وُجُوْهِهِمْ مِّنْ اَثَرِ السُّجُوْدِ١ؕ


* কিয়ামতের ময়দানে সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব হবে। হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। আবু দাউদ ৮৬৪


إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ، فَإنْ صَلَحَتْ، فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإنْ فَسَدَتْ، فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ - عَزَّ وَجَلَّ: اُنْظُرُوا هَلْ لِعَبدِي مِن تَطَوُّعٍ، فَيُكَمَّلُ مِنْهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ تَكُونُ سَائِرُ أَعْمَالِهِ عَلَى هَذَا


অর্থ- আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় কিয়ামতের দিন বান্দার (হক্বুক্বুল্লাহর মধ্যে) যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে তার নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামাজ) পণ্ড ও খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরজ (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে প্রভু বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরযের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে।


* নামাজকে বলোনা কাজ আছে। কাজকে বলো আমার নামায আছে


* সেদিন আল্লাহ পাক তার বান্দাদের সেজদার জন্য আহ্বান করবেন,৬৮: আল-ক্বলম :৪২


یَوْمَ یُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ وَّ یُدْعَوْنَ اِلَى السُّجُوْدِ فَلَا یَسْتَطِیْعُوْنَۙ


* সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়ার নির্দেশ।সূরা বাকারাঃ ২৩৮


حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ


* কিছু মানবে কিছু মানবে না,এক ওয়াক্ত পড়লে চার ওয়াক্ত পড়বে না তা হবেনা তা হবেনা।বাক্বারাহ: ৮৫


اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ


* নামায পড়ার পদ্ধতি আল্লাহর নবী উম্মত তথা সাহাবায়ে কেরামগনকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন,বুলুগুল মারাম,২৬৭


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ، ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا


আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তুমি সলাতে দাড়ানোর ইচ্ছে করবে, তখন প্রথমে তুমি যথানিয়মে অযু করবে। তারপর কিলামুখী দাঁড়িয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যে অংশ তোমার পক্ষে সহজ হবে, তা তিলাওয়াত করবে। তারপর তুমি রুকূ’ করবের ধীরস্থিরভাবে। তারপর মাথা তুলে ঠিক সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর সাজদাহ করবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর আবার মাথা তুলে বসবে ধীরস্থিরভাবে। তারপর ঠিক এভাবেই তোমার সলাতের যাবতীয় কাজ সমাধা করবে। শব্দ বিন্যাস বুখারীর এবং ইবনু মাজাহতে মুসলিমের সানাদে রয়েছে (তা‘তাদিলা কায়িমান এর বদলে তাতময়িন্না কায়িমান) শব্দ রয়েছে যার অর্থও হচ্ছে ধীর-স্থির হয়ে দাড়াবে।' [১] আর আহমদে রয়েছে, তুমি তোমার পিঠকে এমনভাবে সোজা করবে যেন সকল হাড় যার যার স্থানে পৌছে যায়। [২] 




বুলুগুল মারাম, হাদিস নং ২৬৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* রাসূল (সা:) মসজিদে গেলেন। এ সময় একটি লোক এসে নামায আদায় করল। (নামায শেষ করে) সে এসে নবী (সা:)-কে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেনঃ তুমি আবার গিয়ে নামায আদায় করে এসো, তোমার নামায হয়নি। এভাবে সে তিনবার নামায আদায় করল। জামে' আত-তিরমিজি,৩০৩


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا


* নামায তর্ককারী ব্যভিচার থেকে অধম বর্ণিত আছে যে,বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। যেনায় জন্ম দেয়া বাচ্চাকে ও হত্যা করেছি তৌবাহ ও করেছি


* নামায নির্ধারিত সময়ের সাথে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে।4:আন-নিসা:103


إِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتٰبًا مَّوْقُوتًا


* আসর নামাযের গুরুত্ব, জামে' আত-তিরমিজি,১৭৫


الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ


অর্থ- যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, (তার অবস্থা এরূপ) যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ সবকিছু লুন্ঠিত হল।


* আহযাব যুদ্ধের সময় নবীজি আসর নামায পড়তে পারেন নি,বদ দোয়া করেছেন


* আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ


عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ


অর্থ- নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে


* জাহান্নামে যাওয়ার প্রধান কারণ নামায না পড়া,৭৪: আল-মুদ্দাস্সির: ৪২


مَا سَلَكَكُمْ فِیْ سَقَرَ


قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَۙ


وَ لَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِیْنَۙ


وَ كُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِیْنَۙ




________________


________________




5 নামাযের হিফাযত ✓




إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ




আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে। (২৯৩১) (আ.প্র. ৩৮০৫, ই.ফা. ৩৮০৮)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১১১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْجَزَّارِ، عَنْ عَلِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ يَحْيَى، سَمِعَ عَلِيًّا، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الأَحْزَابِ وَهُوَ قَاعِدٌ عَلَى فُرْضَةٍ مِنْ فُرَضِ الْخَنْدَقِ ‏ "‏ شَغَلُونَا عَنِ الصَّلاَةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ مَلأَ اللَّهُ قُبُورَهُمْ وَبُيُوتَهُمْ - أَوْ قَالَ قُبُورَهُمْ وَبُطُونَهُمْ - نَارًا ‏"‏ ‏.




‘আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আহযাব যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে একদিন খন্দকের একটি খাঁজ বা সংকীর্ণ পথের উপর বসে বললেনঃ তারা (কাফিররা) আমাদেরকে যুদ্ধে ব্যস্ত রেখে “সলাতুল উসত্বা” (মধ্যবর্তী সময়ের সলাত বা আসরের সলাত) আদায় করা থেকে বিরত রেখেছে এবং এমনকি এ অবস্থায়ই সূর্য অস্তমিত হয়ে গিয়েছে। আল্লাহ তা’আলা ওদের ক্ববর ও বাড়ি-ঘর অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) বললেনঃ ক্ববরসমূহ অথবা পেট আগুন দ্বারা যেন ভর্তি করে দেন। (ই.ফা.১২৯৮, ই.সে.১৩১০)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৩১১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ




আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে। (২৯৩১) (আ.প্র. ৩৮০৫, ই.ফা. ৩৮০৮)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১১১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


 




হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথা্র) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছের একটি ডাল হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল।


অতঃপর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-


‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)




حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ




অর্থাৎ, সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও। (সূরা বাকারাঃ ২৩৮)




নামাযের যে সকল হুকুম আহকাম রয়েছে সেগুলো যথাসময় সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমেই নামাযের আদব বা বিনয় প্রকাশ পায়। 




*  


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ، ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا




*


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَدَخَلَ رَجُلٌ فَصَلَّى ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ فَرَجَعَ الرَّجُلُ فَصَلَّى كَمَا كَانَ صَلَّى ثُمَّ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلاَمَ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ارْجِعْ فَصَلِّ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ ‏"‏ ‏.‏ حَتَّى فَعَلَ ذَلِكَ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أُحْسِنُ غَيْرَ هَذَا فَعَلِّمْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلاَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِمَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا وَافْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلاَتِكَ كُلِّهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رَوَى ابْنُ نُمَيْرٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَرِوَايَةُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَصَحُّ ‏.‏ وَسَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ قَدْ سَمِعَ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَرَوَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبُو سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ اسْمُهُ كَيْسَانُ وَسَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ يُكْنَى أَبَا سَعْدٍ وَكَيْسَانُ عَبْدٌ كَانَ مُكَاتَبًا لِبَعْضِهِمْ ‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মসজিদে গেলেন। এ সময় একটি লোক এসে নামায আদায় করল। (নামায শেষ করে) সে এসে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সালাম করল। তিনি সালামের উত্তর দিয়ে তাকে বললেনঃ তুমি আবার গিয়ে নামায আদায় করে এসো, তোমার নামায হয়নি। এভাবে সে তিনবার নামায আদায় করল। তারপর লোকটি তাঁকে বলল, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন! আমি এর চেয়ে ভালভাবে নামায আদায় করতে পারছি না, আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ যখন তুমি নামায আদায় করতে দাঁড়াও তখন তাকবীর (তাহরীমা) বল, তারপর কুরআনের যে জায়গা হতে পাঠ করতে সহজ হয় তা পাঠ কর; তারপর রুকূতে যাও এবং রুকূর মধ্যে স্থির থাক; তারপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াও; তারপর সাজদাহ্‌ কর এবং সাজদাহ্‌র মধ্যে স্থির থাক; তারপর মাথা তুলে আরামে বস। তোমার সমস্ত নামায এভাবে আদায় কর।


                     


সহীহ্‌। ইবনু মাজাহ-(১০৬০), বুখারী ও মুসলিম।




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩০৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* বর্ণিত আছে যে, বণী ইসরাঈলের এক মহিলা একবার হযরত মূসার (আঃ) কাছে এল। সে বললোঃ হে আলাহর রাসুল। আমি একটি ভীষণ পাপের কাজ করেছি। পরে তওবাও করেছি। আপনি দোয়া করুন যেন আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ তুমি কী গুনাহ করেছো? সে বললোঃ আমি ব্যভিচার করেছিলাম।অতঃপর একটি অবৈধ সন্তান প্রসব করি এবং তাকে হত্যা করে ফেলি।মূসা (আঃ) বললেনঃ “হে মহাপতাকিনী। এক্ষুনি বেরিয়ে যাও। আমার আশংকা, আকাশ থেকে এক্ষুনি আগুন নামবে এবং তাতে আমরা সবাই ভস্মীভূত হবো।” মহিলাটি ভগ্ন হৃদয়ে বেরিয়ে গেল। অল্পক্ষণ পরেই জিবরীল (আঃ) এলেন। তিনি বললেনঃ “হে মূসা! আল্লাহ আপনাকে জিজ্ঞাসা করাছেন কী কারণে এই তওবাকারিণীকে তাড়িয়ে দিলেন? তার চেয়েও কি কোন অধম মানুষকে আপনি দেখেন নি?” মূসা বললেনঃ “হে জিবরীল! এর চেয়ে পাপিষ্ঠ কে আছে?” জিবরীল (আঃ) বললেনঃ “ইচ্ছাকৃতভাবে নামায তর্ককারী।”




* সর্ব প্রথম নামাযের হিসাব হবে


 وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ عَمَلِهِ صَلاَتُهُ، فَإنْ صَلَحَتْ، فَقَدْ أَفْلَحَ وَأَنْجَحَ، وَإنْ فَسَدَتْ، فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ، فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ، قَالَ الرَّبُّ - عَزَّ وَجَلَّ: اُنْظُرُوا هَلْ لِعَبدِي مِن تَطَوُّعٍ، فَيُكَمَّلُ مِنْهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الفَرِيضَةِ ؟ ثُمَّ تَكُونُ سَائِرُ أَعْمَالِهِ عَلَى هَذَا». رواه التِّرمِذِيُّ، وَقَالَ: حَدِيثٌ حَسَنٌ 




سَائِرُ- অন্যান্য,অবশিষ্ট,




বাংলা অনুবাদ আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নিশ্চয় কিয়ামতের দিন বান্দার (হক্বুক্বুল্লাহর মধ্যে) যে কাজের হিসাব সর্বপ্রথম নেওয়া হবে তা হচ্ছে তার নামাজ। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়, তাহলে সে পরিত্রাণ পাবে। আর যদি (নামাজ) পণ্ড ও খারাপ হয়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি তার ফরজ (ইবাদতের) মধ্যে কিছু কম পড়ে যায়, তাহলে প্রভু বলবেন, ‘দেখ তো! আমার বান্দার কিছু নফল (ইবাদত) আছে কি না, যা দিয়ে ফরযের ঘাটতি পূরণ করে দেওয়া হবে?’ অতঃপর তার অবশিষ্ট সমস্ত আমলের হিসাব ঐভাবে গৃহীত হবে। [আবু দাউদ ৮৬৪, তিরমিযি ৪১৩, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭, 




* নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে।




4:আন-নিসা:103




إِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتٰبًا مَّوْقُوتًا




 আসলে নামায নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মুমিনদের ওপর ফরয করা হয়েছে।




*


عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الَّذِي تَفُوتُهُ صَلاَةُ الْعَصْرِ فَكَأَنَّمَا وُتِرَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ




ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, (তার অবস্থা এরূপ) যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ সবকিছু লুন্ঠিত হল।




সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৬৮৫), বুখারী ও মুসলিম।




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৭৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




সালাতুল উস্‌তা’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। কোন কোন মুফাস্‌সির এর অর্থ করেছেন ফজরের নামায। কেউ যোহরের, কেউ মাগরিবের। আবার কেউ এশার নামাযও মনে করেছেন। কিন্তু এর কোন একটিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য নয়। এগুলো কেবলমাত্র ব্যাখ্যাদাতাদের স্বকীয় উদ্ভাবন ছাড়া আর কিছুই নয়। সব চাইতে বেশী মত ব্যক্ত হয়েছে আসরের নামাযের পক্ষে। বলা হয়ে থাকে, নবী ﷺ এ নামাযটিকে ‘সালাতুল উস্‌তা’ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু যে ঘটনাটি থেকে এই সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে তাতে কেবলমাত্র এতটুকু কথা বলা হয়েছেঃ




* নামায আল্লাহর হক, নবীজি আসর নামায কাজা হলে ফলে বদ দোয়া করেছেন




 আহযাব যুদ্ধের সময় মুশিরকদের আক্রমণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এতদূর ব্যস্ত রেখেছিল যার ফলে বেলা গড়িয়ে একেবারে সূর্য ডুবু ডুবু হয়েছিল। অথচ তখনো তিনি আসরের নামায পড়তে পারেননি। তখন তিনি বললেনঃ “আল্লাহ তাদের কবর ও তাদের ঘর আগুনে ভরে দিন। তারা আমাদের ‘সালাতুল উস্‌তা’ পড়তে দেয়নি।” এ বক্তব্য থেকেই একথা মনে করা হয়েছে যে, রসূল ﷺ আসরের নামাযকে সালাতুল উস্‌ত বলেছেন। অথচ এই বক্তব্যের সবচেয়ে বেশী নির্ভুল অর্থ আমাদের কাছে এটাই মনে হচ্ছে যে, এই ব্যস্ততার কারণে উন্নত পর্যায়ে নামায থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। এখন অসময়ে এটি পড়তে হবে। তাড়াতাড়ি পড়তে হবে। খুশু-খুযু তথা নিষ্ঠা ও একাগ্রতার সাথে ধীরে-স্থিরে এ নামাযটি পড়া যাবে না।‘উস্‌তা’ অর্থ মধ্যবর্তী জিনিসও হয়। আবার এ শব্দটি এমন জিনিস সম্পর্কেও ব্যবহৃত হয় যা উন্নত ও উৎকৃষ্ট। ‘সালাতুল উস্‌তা’ এর মধ্যবর্তী নামাযও হতে পারে আবার এমন নামাযও হতে পারে, যা সঠিক সময়ে পূর্ণ একাগ্রতার সাথে আল্লাহর প্রতি গভীরভাবে মন সংযোগ সহকারে পড়া হয় এবং যার মধ্যে নামাযের যাবতীয় গুণেরও সমাবেশ ঘটে। আল্লাহর সামনে অনুগত বান্দার মতো দাঁড়াও-এই পরবর্তী বাক্যটি নিজেই ‘সালাতুল উস্‌তা’ শব্দটির ব্যাখ্যা করে দিচ্ছে ৷i




__________

No comments

Powered by Blogger.