123 দান সদকা
* পাঁচটি জিনিস আল্লাহ কাউকে জানতে দেননি।লুকমান ৩৪
اِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِ١ۚ وَ یُنَزِّلُ الْغَیْثَ١ۚ وَ یَعْلَمُ مَا فِی الْاَرْحَامِ١ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌ مَّا ذَا تَكْسِبُ غَدًا١ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌۢ بِاَیِّ اَرْضٍ تَمُوْتُ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ۠
* এক সেকেন্ডের ভরসা নাই। কার জানি কখন মৃত্যু এসে যায়। কার জানি #মৃত্যু শশুর বাড়িতে হয়।
* জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে অনেক লোক রাতে ঘুমায় দিনের আলো দেখতে পায় না। #আমরা আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছি
* #ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন-- এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে-
* আল্লাহ দিয়ে ধন চায় মন কাইরা নিতে কতক্ষণ
* দুইটা জিনিস দিয়ে আল্লাহ মানুষকে তৃপ্তি মেটাতে পারে নাই একটা হচ্ছে হায়াত আরেকটা হচ্ছে ধন সম্পদ
اَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُۙ - حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَؕ
* কুমিল্লা বাড়ী মন চায় ঢাকা করি,পানি ছারা নৌকা চলেনা ঠিক, কিন্তু নৌকার ভিতরে পানি ঢুকলে নৌকার মরণ, মানুষ কবর পর্যন্ত সম্পদ সম্পদ করবে, #এই সম্পদ আমার সাথে যাবে না। আইছো একা যাইবা একা সঙ্গে যাবে কি সঙ্গে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী
* দান করা যে কত কল্যাণময় কাজ সেটা মৃত্যুর সময় বুঝে আসবে। মুনাফিকুন,১০
وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ
* দান সদকা উত্তম কাজ যদি তোমরা জানতে। বাক্বারাহ,২৮০
وَ اَنْ تَصَدَّقُوْا خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ
* #হযরত আলী রা: বিক্ষুককে একটি আনার দান করে ১০ টি আনার পান
______________________________________________________________
৩১ লুকমান, আয়াত: ৩৪
اِنَّ اللّٰهَ عِنْدَهٗ عِلْمُ السَّاعَةِ١ۚ وَ یُنَزِّلُ الْغَیْثَ١ۚ وَ یَعْلَمُ مَا فِی الْاَرْحَامِ١ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌ مَّا ذَا تَكْسِبُ غَدًا١ؕ وَ مَا تَدْرِیْ نَفْسٌۢ بِاَیِّ اَرْضٍ تَمُوْتُ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ۠
তাফহীমুল কুরআন:
একমাত্র আল্লাহই সেই সময়ের জ্ঞান রাখেন। তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনিই জানেন মাতৃগর্ভে কি লালিত হচ্ছে। কোন প্রাণসত্তা জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কোন ব্যক্তির জানা নেই তার মৃত্যু হবে কোন যমীনে। আল্লাহই সকল জ্ঞানের অধিকারী এবং তিনি সবকিছু জানেন।
ফী যিলালিল কুরআন:
অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার কাছে কেয়ামতের (সময়) জ্ঞান আছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন, (সন্তানের) শুক্রকীটের মাঝে (তার বুদ্ধি, জ্ঞান, মেধা ও জীবনের ভাগ্যলিপি সক্রান্ত) যা কিছু (মজুদ) রয়েছে তা তিনি জানেন, কোনাে মানুষই বলতে পারে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে; না কেউ এ কথা বলতে পারে যে, কোন যমীনে সে মৃত্যুবরণ করবে; নিঃসন্দেহে (এ তথ্যগুলাে একমাত্র) আল্লাহ তায়ালাই জানেন, (তিনি) সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত।
* ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন ÷
এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে-
শিক্ষনীয় ঘটনা
ইমাম গাজ্জালী (রা:) একটা গল্প বলেছিলেন ÷
এক ব্যাক্তি জঙ্গল দিয়ে হাঁটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে, তিনি প্রাণের ভয়ে দৌড়াতে লাগলেন কিছুদূর গিয়ে দেখলেন পানিহীন একটা কোয়া। তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখতে পেলেন এবং সেটা ধরে ফেললেন এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।
উপরে চেয়ে দেখলেন সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নামার অপেক্ষায় রয়েছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা এবং একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমত অবস্থায় তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। তখন হঠাৎ কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল দিলেন এবং তা চেটে খেলেন, সেই মধুর এতটায় মিষ্টি ছিল যে তিনি মুহূর্তের জন্য উপরের গর্জনরত বাঘ, নিচে হাঁ করে থাকা সাপ দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবিশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো।
## ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি গল্পের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন।
** এই সিংহ হচ্ছে আমাদের মৃত্যু যা সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে,।
** সেই সাপটি হচ্ছে কবর যা আমাদের অপেক্ষায় আছে সর্বক্ষণ।
** আর সাদা ইঁদুর হল দিন আর কালো ইঁদুর হল রাত যারা প্রতিনিয়ত আমাদের আয়ু কমিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
** আর সেই মৌচাক হল দুনিয়া, যার সামান্য মিষ্টতা পরখ করে দেখতে গেলেও আমাদের চতুর্মুখী ভয়ানক বিপদের কথা ভুলে যায়।
৬৩ আল-মুনাফিকুন, আয়াত: ১০
وَ اَنْفِقُوْا مِنْ مَّا رَزَقْنٰكُمْ مِّنْ قَبْلِ اَنْ یَّاْتِیَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَیَقُوْلَ رَبِّ لَوْ لَاۤ اَخَّرْتَنِیْۤ اِلٰۤى اَجَلٍ قَرِیْبٍ١ۙ فَاَصَّدَّقَ وَ اَكُنْ مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
আমি তোমাদের যে রিযিক দিয়েছি তোমাদের কারো মৃত্যুর সময় আসার পূর্বেই তা থেকে খরচ করো। সে সময় সে বলবেঃ হে আমার রব, তুমি আমাকে আরো কিছুটা অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি দান করতাম এবং নেককার লোকদের মধ্যে শামিল হয়ে যেতাম।
ফী যিলালিল কুরআন:
আমি তোমাদের যা কিছু অর্থ সম্পদ দিয়েছি তা থেকে তােমরা (আল্লাহর পথে) ব্যয় করাে তােমাদের কারাে মৃত্যু আসার আগেই, (কেননা সামনে মৃত্যু এসে দাঁড়ালে সে বলবে,) হে আমার মালিক, তুমি যদি আমাকে আরাে কিছু কালের অবকাশ দিতে তাহলে আমি তোমার পথে দান করতাম এবং (এভাবেই) আমি তােমার নেক বান্দাদের দলে শামিল হয়ে যেতাম।
২ আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২৮০
وَ اِنْ كَانَ ذُوْ عُسْرَةٍ فَنَظِرَةٌ اِلٰى مَیْسَرَةٍ١ؕ وَ اَنْ تَصَدَّقُوْا خَیْرٌ لَّكُمْ اِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
তোমাদের ঋণগ্রহীতা অভাবী হলে সচ্ছলতা লাভ করা পর্যন্ত তাকে অবকাশ দাও। আর যদি সাদ্কা করে দাও, তাহলে এটা তোমাদের জন্য বেশী ভালো হবে, যদি তোমরা জানতে।
ফী যিলালিল কুরআন:
সে (ঋণ গ্রহীতা) ব্যক্তি কখনো যদি অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে (তার ওপর চাপ দিয়ো না, বরং) তার সচ্ছলতা ফিরে আসা পর্যন্ত তাকে অবকাশ দাও; আর যদি তা মাফ করে দাও, তাহলে তা হবে তোমাদের জন্যে অতি উত্তম কাজ, যদি তোমরা (ভালোভাবে) জানো (তাহলে এটাই তোমাদের করা উচিৎ)।
* সম্পদ আল্লাহ পাকের নিয়ামত, কোন পথে আয় ব্যয় সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে,সূরা তাকাসুর
ثُمَّ لَتُسْئَلُنَّ یَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِیْمِ۠
No comments