101 মুহারম ১ম জুমা আশুরার দিন ও এই মাসের আমল
* চারটি মাস আল্লাহর কাছে সম্মানিত,এই মাসে গুনাহ করা যাবেনা ৯: আত-তওবা:৩৬
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللّٰهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللّٰهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ١ؕ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ١ۙ۬ فَلَا تَظْلِمُوْا فِیْهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَ قَاتِلُوا الْمُشْرِكِیْنَ كَآفَّةً كَمَا یُقَاتِلُوْنَكُمْ كَآفَّةً١ؕ وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِیْنَ
* বার মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।সুনানে আবু দাউদ:১৯৪৭ সহিহ
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَ " إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَ ذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ
* রাসূল (সা:) হিজরত করে মদিনায় গিয়ে দেখেন ইহুদিগন আশুরার দিনে রোজা রাখে,বুখারী ২০০৪, মুসলিম ২৭১৪
* মুহারমের মাসে নবীজীর উম্মাতেরা মুর্তিবানায়,রাসূল সা: মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘর থেকে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি অপসারণ করেন, সহিহ বুখারী:২৪৭৮ সহিহ
* #আশুরার দিন হলো বিজয়ের দিন বিজয়ের দিন,শোকের দিন নয়,কারবালা নয়,তবে কারবালা এই দিনে ঘঠেছে,১৬ই ডিসেম্বর অনাকাংখিত কোন ঘঠনা ঘঠলে স্বাধীনতা দিবস বাদ পরবে না
* আশুরার দিন #দোয়া কবুলের দিন। এই তারিখে হযরত আদম আঃ এর তৌবাহ কবুল করেন। আরাফ:২৩
قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا١ٚ وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ
আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে অবতরণ করার পর ৩০০ বৎসর যাবৎ লজ্জায় আসমানের দিকে মাথা উত্তোলন করেননি। তিনি দুনিয়ার মানুষের কান্নার সমান কেঁদেছেন
* আশুরা দিনের ২নং করনীয় হলো পরিবারের জন্য ভাল খাবারের আয়োজন করা। পহেলা বৈশাখ নয়।মিশকাতুল মাসাবিহ-১৯২৬ বায়হাকী বয়ান ও খুতবাহ-1/28
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: مَنْ وَسَّعَ عَلى عِيَالِه فِي النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللّهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِه . قَالَ سُفْيَانُ: إِنَّا قَدْ جَرَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ كَذلِكَ. رَوَاهُ رَزِيْنٌ
বি:দ্র: রাসূল সা: এর ইন্তিকাল ১১ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ সোমবার, 50 বৎসর পর 61 হিজরীতে কারবালার ঘঠনা ঘঠে
________________________________________________________
* চারটি মাস আল্লাহর কাছে সম্মানিত,এই মাসে গুনাহ করা যাবেনা ৯: আত-তওবা:৩৬
اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللّٰهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِیْ كِتٰبِ اللّٰهِ یَوْمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ مِنْهَاۤ اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ١ؕ ذٰلِكَ الدِّیْنُ الْقَیِّمُ١ۙ۬ فَلَا تَظْلِمُوْا فِیْهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَ قَاتِلُوا الْمُشْرِكِیْنَ كَآفَّةً كَمَا یُقَاتِلُوْنَكُمْ كَآفَّةً١ؕ وَ اعْلَمُوْۤا اَنَّ اللّٰهَ مَعَ الْمُتَّقِیْنَ
অর্থ- আসলে যখন আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তখন থেকেই আল্লাহর লিখন ও গণনায় মাসের সংখ্যা বারো চলে আসছে। এর মধ্যে চারটি হারাম মাস। এটিই সঠিক বিধান। কাজেই এ চার মাসে নিজেদের ওপর জুলুম করো না। আর মুশরিকদের সাথে সবাই মিলে লড়াই করো যেমন তারা সবাই মিলে তোমাদের সাথে লড়াই করে। এবং জেনে রাখো আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথেই আছেন
* বার মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত।সুনানে আবু দাউদ:১৯৪৭ সহিহ
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَ " إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَ ذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ
অর্থ- আবূ বাকরাহ থেকে বর্ণিতঃ:নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলেনঃ মহান আল্লাহ যেদিন আকাশসমূহ এবং পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে কালচক্র একইভাবে আবর্তিত হচ্ছে। বার মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এ চারটি মাসের মধ্যে যুল্-কা‘দাহ, যুল-হিজ্জা ও মুহাররম এ তিনটি মাস পরপর রয়েছে। চতুর্থ মাসটি হলো রজবে মুদার, যা জুমাদা ও শা‘বানের মধ্যবর্তী মাস
* রাসূল (সা:) হিজরত করে মদিনায় গিয়ে দেখেন ইহুদিগন আশুরার দিনে রোজা রাখে,বুখারী ২০০৪, মুসলিম ২৭১৪
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَرَأَى الْيَهُودَ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌ هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسَى قَالَ فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ
ইব্নু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মাদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীগণ ‘আশুরার দিনে সওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সওম পালন কর কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা (আ) সওম পালন করেন। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এ দিনে সওম পালন করেন এবং সওম পালনের নির্দেশ দেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আশুরা দিনের ৪নং করনীয় হলো পরিবারের জন্য ভাল খাবারের আয়োজন করা।মিশকাতুল মাসাবিহ-১৯২৬ বায়হাকী বয়ান ও খুতবাহ-1/28
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: مَنْ وَسَّعَ عَلى عِيَالِه فِي النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللّهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِه . قَالَ سُفْيَانُ: إِنَّا قَدْ جَرَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ كَذلِكَ. رَوَاهُ رَزِيْنٌ
অর্থ- আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি ‘আশুরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের জন্য উদারহস্তে খরচ করবে আল্লাহ তা‘আলা গোটা বছর উদারহস্তে তাকে দান করবেন। সুফইয়ান সাওরী বলেন, আমরা এর পরীক্ষা করেছি এবং কথার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি
* আশুরার দিনের ২নং আমল হলো আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা,এই দিন দোয়া কবুলের দিন। এই তারিখে হযরত আদম আঃ এর তৌবাহ কবুল করেন। আরাফ:২৩
قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا١ٚ وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ
হজরত আদম আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে অবতরণ করার পর ৩০০ বৎসর যাবৎ লজ্জায় আসমানের দিকে মাথা উত্তোলন করেননি। এবং এত অধিক পরিমাণ অশ্রু বিসর্জন দিয়েছিলেন যে, তার উপমা পেশ করতে তাফসিরে এসেছে, সকল নবি-রাসুলসহ সারা দুনিয়ার মানুষের চোখের পানি একত্র করা হলেও হজরত আদম আলাইহিস সালামের কান্নার অশ্রু অধিক হবে।পরিশেষে...অত্র আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, বান্দা যতই অন্যায় করুক যদি আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চায় তবে আল্লাহ বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। এবং আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো চোখের পানি বিসর্জন দেয়া
* রামাযান মাসের রোযার পর সর্বোৎকৃষ্ট রোযা হল আল্লাহ তা’আলার মাস মুহাররামের রোযা।জামে' আত-তিরমিজি-৪৩৮
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ
অর্থ- আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেনঃ রামাযান মাসের রোযার পর সর্বোৎকৃষ্ট রোযা হল আল্লাহ তা’আলার মাস মুহাররামের রোযা। ফরয নামাযের পর সর্বোৎকৃষ্ট নামায হল রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।
* আশূরার রোজার বরকতে বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রয়েছে, সুনানে ইবনে মাজাহ-১৭৩৮ সহিহ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
অর্থ- আবূ কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূল
(সা:) বলেছেনঃ আশূরার দিনের রোযার দ্বারা আমি আল্লাহ্র নিকট বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি
* মুহারমের মাসে নবীজীর উম্মাতেরা মুর্তিবানায়,রাসূল সা: মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘর থেকে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি অপসারণ করেন, সহিহ বুখারী:২৪৭৮ সহিহ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ دَخَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ، وَحَوْلَ الْكَعْبَةِ ثَلاَثُمِائَةٍ وَسِتُّونَ نُصُبًا فَجَعَلَ يَطْعَنُهَا بِعُودٍ فِي يَدِهِ وَجَعَلَ يَقُولُ {جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ} الآيَةَ
অর্থ- আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, নবী (সা:) যখন (বিজয়ীর বেশে) মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন কা‘বা শরীফের চারপাশে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি ছিল। নবী (সা:) নিজের হাতের লাঠি দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে থাকেন আর বলতে থাকেনঃ “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, (আয়াতের শেষ পর্যন্ত)”- (বনী ইসরাঈল/ইসরা : ৮১)
অন্য হাদীসে রাসূল সা: বলেন
ﺑﻌﺜﺖ ﻟﻜﺴﺮ ﺍﻟﻤﺰﺍﻣﻴﺮ ﻭﺍﻻﺻﻨﺎﻡ
অর্থ: “আমি “বাদ্য-যন্ত্র” ও “মুর্তি” ধ্বংস করার জন্যে প্রেরিত হয়েছি
* কাবায় ৩৬০ মুর্তি ভাংগার জন্য হযরত আলী রা: এর কাদে নবীজীর হাত রাখলে হযরত আলী রা: হাতের ওজন সহ্য করতে না পেরে জমিনে বসে যায়
____________________________
* এই মাসের ১নং আমল হলো গুনাহ করা যাবেনা, যেহেতু এটা সন্মানিত মাস
* রোজা ৬ প্রকার:- ১" ফরজ রোজা - শুধু রমজানের রোজা।
২" ওয়াজেব রোজা - মান্নত এবং কাফফারার
রোজা।
৩" সুন্নাত রোজা- নবী সা: স্বয়ং করেছেন বা
করতে বলেছেন। যেমন- আইয়ামে বীজের রোজা।
আরাফার রোজা, আশুরার রোজা।
৪" নফল রোজা :-ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত বাদে সব রোজা নফল। যেমন- শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা,সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা,শাবানের ১৫ তারিখ রোজা,জিলহাজ মাসের ৮ তারিখ রোজা।
৫" মাকরুহ রোজা :- যেমন-শুধু শনি বা রবিবার রোজা রাখা,শুধু আশুরারর দিন রোজা রাখা,স্ত্রীদের স্বামীর অনুমতি ব্যতিত রোজা
রাখা,সাওমে ভেসাল বা টানা বিরতিহীন রোজা
রাখা। এতে দেহের হক নষ্ট হয়।
৬" হারাম রোজা :- বছরে ৫ দিন যেমন:- দু ঈদে ২ দিন,আইয়ামে তাশরিক বা জিলহাজ তারিখ ১১-১২-১৩ রোজা রাখা,আশুরা রোজা সুন্নত এই রোযা আগেও ছিল
* আমরা সব দোষ চাপাইছি হযরত মুয়াবিয়া (রা:) এর উপর,তিনি অহি লেখক ছিলেন,নবী (সা:) মু’আবিয়া (রাঃ)-এর জন্য দু’আ করেন,জামে' আত-তিরমিজি,৩৮৪২
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمَيرَةَ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ
اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ
অর্থ- হে আল্লাহ্! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও
* অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূল সা: আশুরার দিন রোজা রাখলে সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়াহুদ এবং নাসারা এই দিনের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে থাকে।
সহিহ মুসলিম,২৫৫৬
عَبْدَ اللَّهِ، بْنَ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - يَقُولُ حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ " فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ " . قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ
অর্থ- ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রসূল (সা:) যখন ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করেন এবং লোকদের সিয়াম পালনের নির্দেশ দেন, তখন সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়াহুদ এবং নাসারা এই দিনের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে থাকে। এ কথা শুনে রসূল (সা:) বললেন, ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা নবম তারিখেও সিয়াম পালন করব। বর্ণনাকারী বললেন, এখনো আগামী বছর আসেনি, এমতাবস্হায় রাসূল (সা:)-এর ইন্তেকাল হয়ে যায়
* (আহমাদ : ১/২৪১ দুর্বল সূত্রে বর্ণিত)
صُوْمُوْا يَوْمَ عَاشُوْرَاء وَخَالِفُوْا فِيْهِ الْيَهُوْدَ، وَصُوْمُوْا قَبْلَهُ يَوْمًا أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا
* তোমরা ৯ ও ১০ তারীখে সিয়াম রাখ এবং ইয়াহুদীদের বৈপরীত্য কর।’তিরমিযী ৭৫৫, বাইহাকী ৮৬৬৫, আব্দুর রাযযাক ৭৮৩৯
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: صُومُوا التَّاسِعَ وَالْعَاشِرَ وَخَالِفُوا الْيَهُودَ
* আশুরা দিনের ৩নং আমল হলো রোজা রাখা। কোনো জিনিসের শুকরিয়া আদায় করতে হলে রোজা রাখতে হবে। এটা নবীদের সুন্নাত
* আশুরার দিনের ৫নং আমল হলো নবীর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাতের কারণে তাঁদের জন্য দোয়া করা এবং তাঁদের কাছ থেকে সত্যের ওপর অটল থাকার শিক্ষা গ্রহণ করা
______________________
* কারবালার
ট্রাজেটি ইবাদতের দন্ধে নয় খিলাফতের দন্ধ,নামায পড়া ইবাদত,পড়ানো খিলাফত
* দুই নাতিরে কোলে লইয়া বসে আছে,জিব্রাইল কয় হুজুর বড় আদরের দুই নাতি তাইনা?----
* জিব্রাইল আ: এর নিয়ে আসা মাটির টুকরা উম্মে সালমার হাতে দেন, উম্মে সালমা (রা:) কয় এগুলো কিসের মাটি?সুত্র:-খাসায়িসুল কুবরা ২:১২৫;
সিররুশ শাহাদাতাইন ২৭;
اخبِرني جبريل انَّ هذا يعني الحسين يقتل بارضِ العراقِ وهذه تربتها
এই মাটিগুলো আল্লাহর নবী উম্মে সালমাকে দিলেন,আর বললেন-সুত্র:-তাবরানী -মুজামুল কাবীর ৩:১০৮
يا امِّ سلَمةَ اذا تحَوَّلَتْ هذهِ التُّربةُ دمًا فاعلَمِي انَّ ابْنِي قد قُتِلَ
* দশ মহাররমে কারবালার ময়দানে তাবুর মুখে দাড়াইয়া ইমাম হুসাইন বলতে থাকে, আমাকে বিদায় দে
* আগের রাত্রে ঘুম আসলে সপ্নে দেখে নানা পার্শে দাড়ানো
* ইমাম হুসাইন যুদ্ধের জন্য আসেনি
* ৫ বৎসর পর মুখতার বিন আবু উবায়েদ ক্ষমতায় আসে
________________
56 মুহারম-১, আশুরার রোযা✓
এটা মহারম মাস ৷ এ মাসের মধ্য একটা দিন রয়েছে, যার নাম
يَوْمَ عَاشُورَاء-
অত্যন্ত ফজিলত পূর্ন দিন,
রোজা ৬ প্রকার:-
১- ফরজ রোজা -শুধু রমজানের রোজা।
২- ওয়াজেব রোজা - মানত এবং কাফফারার
রোজা।
৩- সুন্নাত রোজা- নবী সা: স্বয়ং করেছেন বা
করতে বলেছেন। যেমন- আইয়ামে বীজের রোজা।
আরাফার রোজা, আশুরার রোজা।
৪- নফল রোজা :-ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত
বাদে সব রোজা নফল। যেমন-
* শাওয়াল মাসের ৬টি রোজা
* সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা
* শাবানের ১৫ তারিখ রোজা
* জুলহজ মাসের ৮ তারিখ রোজা।
৫- মাকরুহ রোজা :- যেমন
* শুধু শনি বা রবিবার রোজা রাখা
* শুধু আশুরারর দিন রোজা রাখা
* স্ত্রীদের স্বামীর অনুমতি ব্যতিত রোজা
রাখা
* সাওমে ভেসাল বা টানা বিরতিহীন রোজা
রাখা। এতে দেহের হক নষ্ট হয়।
৬- হারাম রোজা :- বছরে ৫ দিন যেমন:-
* দু ঈদে ২ দিন
* আইয়ামে তাশরিক বা ১১-১২-১৩ জুলহজ
তারিখ রোজা রাখা।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهما أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم مَا هَذَا الْيَوْمُ الَّذِى تَصُومُونَهُ فَقَالُوا هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ أَنْجَى اللهُ فِيهِ مُوسَى وَقَوْمَهُ وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَهُ فَصَامَهُ مُوسَى شُكْرًا فَنَحْنُ نَصُومُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلَى بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ
ইবনে আব্বাস (রাঃ)
মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মক্কা থেকে হিজরত করে মদীনায় এলেন, তখন দেখলেন, ইয়াহুদীরা আশূরার দিনে সিয়াম পালন করছে। তিনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “এটা কী এমন দিন যে, তোমরা এ দিনে সিয়াম রাখছ?” ইয়াহুদীরা বলল, ‘এ এক উত্তম দিন। এ দিনে আল্লাহ বানী ইসরাঈলকে তাদের শত্রু থেকে পরিত্রাণ দিয়েছিলেন। তাই মূসা এরই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এই দিনে সিয়াম পালন করেছিলেন। (আর সেই জন্যই আমরাও এ দিনে সিয়াম রেখে থাকি।)’ এ কথা শুনে মহানবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “মূসার স্মৃতি পালন করার ব্যাপারে তোমাদের চাইতে আমি অধিক হকদার।” সুতরাং তিনি ঐ দিনে সিয়াম রাখলেন এবং সকলকে সিয়াম রাখতে আদেশ দিলেন। (বুখারী ২০০৪, মুসলিম ২৭১৪)
হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১১০৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* عَنِ ابْنِ عَبَّاس قَالَ: حِينَ صَامَ النَّبِىُّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَنَا بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ صُمْنَا يَوْمَ التَّاسِعِ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّىَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم
ইবনে আব্বাস (রাঃ)
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন আশূরার সিয়াম রাখলেন এবং সকলকে রাখার আদেশ দিলেন, তখন লোকেরা বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! এ দিনটিকে তো ইয়াহুদ ও নাসারারা তাযীম করে থাকে।’ তিনি বললেন, “তাহলে আমরা আগামী বছরে ৯ তারীখেও সিয়াম রাখব ইনশাআল্লাহ।” কিন্তু আগামী বছর আসার আগেই আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ইন্তিকাল হয়ে গেল। (মুসলিম ২৭২২, আবূ দাঊদ ২৪৪৭)
হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১১১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আশুরার রোযা মুহাররমের ১০ তারিখে শুধু একদিন রাখলেই কি যথেষ্ট হবে?
না, তা যথেষ্ট নয়। ৯ ও ১০ তারিখ এ দু’দিন রাখা উত্তম। অথবা ১০ ও ১১ তারিখেও রাখা যায়। শুধুমাত্র ১০ তারিখে রোযা রাখাকে উলামায়ে কিরাম মাকরূহ বলেছেন।
(ক) ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
حِينَ صَامَ رَسُولُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى فَقَالَ رَسُولُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ
যখন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার সওম পালন শুরু করলেন এবং অন্যদেরকেও এ সওম পালনের নির্দেশ দিলেন তখন সাহাবারা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে উঠলেন, এটাতো ইয়াহূদী ও খৃস্টানদের সম্মান করার দিন। (একই দিনে সওম পালন করলে আমরা কি তাদের সাদৃশ্য বনে যাবো না?) উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (বেঁচে থাকলে) ইনশাআল্লাহ আগামী বছর (১০ তারিখের সাথে) ৯ তারিখেও সওম পালন করব। (ফলে আমাদের ইবাদত অমুসলিমদের সাথে আর সামঞ্জসপূর্ণ হবে না)। কিন্তু পরবর্তী বছর আসার আগেই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেছিলেন। (মুসলিম : ১১৩৪)
(খ) অন্য আরেক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
صُوْمُوْا يَوْمَ عَاشُوْرَاء وَخَالِفُوْا فِيْهِ الْيَهُوْدَ، وَصُوْمُوْا قَبْلَهُ يَوْمًا أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا
তোমরা আশুরার দিবসে সওম পালন কর এবং ইয়াহূদীদের সওম পালনের পদ্ধতির সাথে মিল না রেখে ভিন্নতরভাবে তা পালন কর। আর সেজন্য তোমরা আশুরার দিনের সাথে ৯ অথবা ১১ তারিখে আরো একটি দিন মিলিয়ে ২ দিন পালন কর। (আহমাদ : ১/২৪১ দুর্বল সূত্রে বর্ণিত)
সোর্সঃ-গ্রন্থঃ প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ
অধ্যায়ঃ নফল সিয়াম
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا غَيْلَانُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ
আবূ কাতাদাহ (রাঃ)
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আশূরার দিনের রোযার দ্বারা আমি আল্লাহ্র নিকট বিগত বছরের গুনাহ মাফের আশা রাখি। [১৭৩৮]
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৭৩৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* কারবালার মাটি নিয়ে নবিজীর ভবিষ্যতবানীঃ
হযরত উম্মে সালমা রা: বলেন,একদিন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম হঠাৎ করে ঘুম থেকে জেগে উঠলেন এবং ওনাকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছিল।তখন নবিজীর হাতে কিছু লাল রংয়ের মাটি ছিলো যা তিনি নাড়াচাড়া করছিলেন।আমি জিজ্ঞাসা করলাম নবিগো এগুলো কিসের মাটি?
তিনি এরশাদ করলেন-
اخبِرني جبريل انَّ هذا يعني الحسين يقتل بارضِ العراقِ وهذه تربتها
জীবরাইল আমাকে সুসংবাদ দিয়েছে আমার নাতী হোসাইনকে ইরাকের মাটিতে কতল করা হবে আর এগুলো সেখানেরই মাটি।
সুত্র:-খাসায়িসুল কুবরা ২:১২৫;
সিররুশ শাহাদাতাইন ২৭;
এই মাটিগুলো আল্লাহর নবী উম্মে সালমাকে দিলেন,আর বললেন-
يا امِّ سلَمةَ اذا تحَوَّلَتْ هذهِ التُّربةُ دمًا فاعلَمِي انَّ ابْنِي قد قُتِلَ
হে উম্মে সালমা!এই মাটি যখন রক্তে রুপ নিবে,তখন বুঝে নিবে যে,আমার পুত্র (নাতী) শহীদ হয়ে গেছে।
সুত্র:-তাবরানী -মুজামুল কাবীর ৩:১০৮;
শিক্ষনীয়:-নবিজী মাটিগুলো তখন মা আয়েশা সিদ্দিকা রা: কে বা অন্য কোন বিবিকে না দিয়ে উম্মে সালমাকে দেয়ার কারন হলো, তিনি ঐ পর্যন্ত হায়াত পাবেন, এটা আমাদের নবিজী জানতেন। অবশেষে সেটাই ঘটেছে নবিজীর সমস্ত বিবিগন ইমাম হোসাইন রাঃ এর শাহাদাতের পুর্বে ইন্তেকাল করেছেন একমাত্র উম্মে সালমা রাঃ ছাডা। আর এটা আমাদের নবিজীর গায়েবী ইলমের অন্তর্ভুক্ত।
*
أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ ابْنِ زِيَادٍ فَجِيءَ بِرَأْسِ الْحُسَيْنِ فَجَعَلَ يَقُولُ بِقَضِيبٍ لَهُ فِي أَنْفِهِ وَيَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَذَا حُسْنًا لَمْ يُذْكَرْ . قَالَ قُلْتُ أَمَا إِنَّهُ كَانَ مِنْ أَشْبَهِهِمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) আমি ইবনু যিয়াদের নিকট হাজির ছিলাম। সে সময় আল-হুসাইন (রাঃ)-এর শির (কারবালা হতে) এনে হাজির করা হল। সে তাঁর নাকে ছড়ি মারতে মারতে (ব্যঙ্গোক্তি করে) বলতে লাগলো, এর ন্যায় সুশ্রী আমি কাউকে তো দেখিনি! বর্ণনাকারী বলেন, সে সময় আমি বললাম, সতর্ক হও! লোকদের মাঝে (দৈহিক কাঠামোয়) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে আল-হুসাইন ইবনু ‘আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না।
সহীহঃ মিশকাত, তাহক্বীক্ব সানী (৬১৭০), বুখারী।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৭৭৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
কারবালা ট্রাজেডি : রাষ্ট্রক্ষমতা ও ধর্ম
৬০ হিজরী সালে ইরাকের ফুরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে বিশ্বনবী (স) এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন (রা) এর মর্মান্তিক শাহাদাতের ঘটনাই কারবালা ট্রাজেডি হিসেবে খ্যাত। সেদিন ইমাম হুসাইন (রা) স্বপরিবারে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্ত কেন? নবীপরিবার কেন এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হয়েছিলেন? ইয়াযিদতো একজন মুসলিম শাসক ছিল।
কারণ, ইয়াযিদ চেয়েছিল সে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নেতা থাকবে আর ইমাম হুসাইন (রা) সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা থাকবেন। কিন্তু ইমাম হুসাইন (রা) সেটা মেনে নেননি। তিনি দিপ্ত কন্ঠে বলেছিলেন, এটা হতে পারে না, এটা আমার নানা বিশ্বনবী (স) এর আদর্শের পরিপন্থি। রাষ্ট্র এবং ধর্মকে পৃথক করা যাবে না। সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ও নেতা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা একজনই হবেন। যিনি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা, তার হাতেই রাষ্ট্র ক্ষমতা দিতে হবে অথবা যিনি রাষ্ট্রনেতা তাকেই সর্বোচ্চ ধার্মিকে রূপান্তরিত করতে হবে। হয় রাষ্ট্র ক্ষমতা ধর্মীয় নেতার কাছে দাও, নতুবা তুমি পরোপুরী ধার্মিক হয়ে যাও। কিন্তু ইয়াযিদ তা মেনে নেয়নি। ফলে সৃষ্টি হয় কারবালা ট্রাজেডি। নবীপরিবারের সবাই শাহাদাত বরণ করেন কিন্ত বাতিলের সাথে আপোষ করেননি।
তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোন দেশে কাংখিত শান্তি প্রতিষ্টার পূর্বশর্ত হলো, ধার্মিকদেরকে নেতা বানাতে হবে নতুবা নেতাদেরকে ধার্মিক বানাতে হবে। আর কোন বিকল্প নেই।
ফজিলত
* ব্যক্তি ‘আশুরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের জ'ন্য উদারহস্তে খরচ করবে আল্লাহ তা‘আলা গোটা বছর উদারহস্তে তাকে দান করবেন। সুফইয়ান সাওরী বলেন, আমরা এর পরীক্ষা করেছি এবং কথার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি। মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯২৬,বায়হাকী বয়ান ও খুতবাহ-1/28
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: «مَنْ وَسَّعَ عَلى عِيَالِه فِي النَّفَقَةِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَسَّعَ اللّهُ عَلَيْهِ سَائِرَ سَنَتِه. قَالَ سُفْيَانُ: إِنَّا قَدْ جَرَبْنَاهُ فَوَجَدْنَاهُ كَذلِكَ. رَوَاهُ رَزِيْنٌ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি ‘আশুরার দিন নিজের পরিবার পরিজনের জন্য উদারহস্তে খরচ করবে আল্লাহ তা‘আলা গোটা বছর উদারহস্তে তাকে দান করবেন। সুফইয়ান সাওরী বলেন, আমরা এর পরীক্ষা করেছি এবং কথার সত্যতার প্রমাণ পেয়েছি।
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৯২৬
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
* নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আবিয়া (রাঃ)-এর জন্য দু’আ করেনঃ,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৮৪২
عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمِيرَةَ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ لِمُعَاوِيَةَ " اللَّهُمَّ اجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا وَاهْدِ بِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
আবদুর রহমান ইবনু আবী ‘উমাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী ছিলেন; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’আবিয়া (রাঃ)-এর জন্য দু’আ করেনঃ “হে আল্লাহ্! তুমি তাকে পথপ্রদর্শক ও হেদায়াতপ্রাপ্ত বানাও এবং তার মাধ্যমে (মানুষকে) সৎপথ দেখাও।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৮৪২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: صُومُوا التَّاسِعَ وَالْعَاشِرَ وَخَالِفُوا الْيَهُودَ
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:‘তোমরা ৯ ও ১০ তারীখে সিয়াম রাখ এবং ইয়াহুদীদের বৈপরীত্য কর।’ (তিরমিযী ৭৫৫, বাইহাকী ৮৬৬৫, আব্দুর রাযযাক ৭৮৩৯)
হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১১১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* রামাযান মাসের রোযার পর সর্বোৎকৃষ্ট রোযা হল আল্লাহ তা’আলার মাস মুহাররামের রোযা। ফরয নামাযের পর সর্বোৎকৃষ্ট নামায হল রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪৩৮
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ شَهْرِ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রামাযান মাসের রোযার পর সর্বোৎকৃষ্ট রোযা হল আল্লাহ তা’আলার মাস মুহাররামের রোযা। ফরয নামাযের পর সর্বোৎকৃষ্ট নামায হল রাতের (তাহাজ্জুদের) নামায।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(১৭৪২), মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪৩৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* কারবালা এর প্রান্তরে ৭২জন শাহাদাত বরণকারীর নাম
দিনটি ছিল ১০ তারিখ মুহররম মাস, ৬১ হিজরী। ইরাকের কুফা নগরীর কারবালা এর প্রান্তর বাদ জুম’আ হতে মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময়। ইসলাম ধর্মের সঠিক রূপরেখাকে সমুন্নত রাখার জন্য কুখ্যাত ইয়াজিদ বাহিনীর বিরুদ্ধে সায়্যিদুনা হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিহাদে লিপ্ত হতে হয়।
সে সময় ইমামুল আম্বিয়া রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৈহিত্র ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর পরিবার ও সফর সঙ্গীসহ মোট ৭২ জন মর্দে মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মূলত এই দিনটি হলো ইসলামী পরিভাষায় আশুরার দিন বা আশুরা দিবস।
আল্লামা মুহাম্মদ আলী জাওহার রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর লিখনীর মাধ্যমে এই ছন্দ মালা উল্লেখ করেন-
হার ইব্তেদা ছে পেহলে, হার ইন্তেহা কে বাদ,
যাত’ই নবী বুলন্দ হ্যাঁয়, যাত’ই খোদা কি বাদ।
দুনিয়ামে ইহ্তারাম কে কাবিল হ্যাঁয় জিতনে লোক
ম্যাঁয় সব্কো মান্তাহোঁ, মাগার মোস্তফা কে বাদ
কাতেল’ই হোসাইন আসল মে, মারগে-এ ইয়াজিদ হ্যাঁয়,
ইসলাম জিন্দা হোতা হ্যাঁয়, হার কারবালাকী বাদ।
শুহাদায়ে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণকারী ৭২জন শহীদগণের নাম মোবারক:
০১ ইমামুশ শোহাদা, তাজেদারে কারবালা, জান্নাতের সকল যুকদের সর্দার, সায়্যিদুনা হযরত ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর ভাইগণের মধ্যে হলেন:
০২ সায়্যিদুনা আব্বাস বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৩ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ্ বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৪ সায়্যিদুনা জাফর বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৫ সায়্যিদুনা উসমান বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৬ সায়্যিদুনা আবু বকর বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৭ সায়্যিদুনা মুহাম্মদ বিন আলী হানাফীয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর পুত্রগণের মধ্যে হলেন:
০৮ সায়্যিদুনা আলী আকবর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
০৯ সায়্যিদুনা আলী আজগর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
সায়্যিদুনা ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর পুত্রগণের মধ্যে হলেন:
১০ সায়্যিদুনা কাসিম বিন হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১১ সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ বিন হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১২ সায়্যিদুনা আবু বকর বিন হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
সায়্যিদুনা জাফর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর পুত্রগণের মধ্যে হলেন:
১৩ সায়্যিদুনা আউন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৪ সায়্যিদুনা মুহাম্মদ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু [উভয়ে ইমাম হোসাইন (রা:) এর ভাগিনা]
সায়্যিদুনা আকীল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর পুত্রগণের মধ্যে হলেন:
১৫ সায়্যিদুনা জাফর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৬ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ্ ইবনে মুসলিম ইবনে আকীল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু [হযরত আকীল (রা:) পূর্ব-ই কুফায় শাহাদাত বরণ করেছেন।]
১৭ সায়্যিদুনা আবদুর রহমান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ সায়্যিদুনা মুহাম্মদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে আকীল রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, শাহাদাত বরণ করেন। (বেদায়া নেহায়া-৮:১৮৯)
১৯ সায়্যিদুনা আলী ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
বি:দ্র: আল বেদায়া ওয়ান্নেহায়ার বর্ণনায় কারবালা প্রান্তে মজলুমাবস্থায় নবী পরিবারের মধ্যে উরোক্ত ১৯ জন শুহাদায়ে কেরামের নাম পাওয়া যায়।
৭২ জনের মধ্যে বাকি শহীদ গণের নামের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:
কারবালার ময়দানে নূরুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর সাহাবীগণের মধ্যে হলেন:
২০ সায়্যিদুনা হাবীব ইবনে মুজাহের রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২১ সায়্যিদুনা মুসলিম ইবনে আউসাজা আল আসাদী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২২ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ্ ইবনে আমের আল কালবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৩ সায়্যিদুনা আনাস ইবনে হারেছ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৪ সায়্যিদুনা বারির ইবনে হুযাইর হামদানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৫ সায়্যিদুনা জুহাইর ইবনে কাইন আল বাজলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৬ সায়্যিদুনা হাজ্জাজ ইবনে মাসরুক আল জু’ফী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এঁর সঙ্গী সাথীগণের মধ্যে হলেন:
২৭ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ উমাইর আল কালবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৮ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আযরাহ্ আল গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
২৯ সায়্যিদুনা নাফি’ই ইবনে হিলাল আল জামালী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩০ সায়্যিদুনা জাফর ইবনে হাজ্জাজ আত্ তামীমী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩১ সায়্যিদুনা জাবালাহ্ ইবনে আলী আস শাইবানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩২ সায়্যিদুনা জুনাদা ইবনে হারেছ ইবনে সুলায়মান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৩ সায়্যিদুনা জুনাদা ইবনে কা’ব আল্ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৪ সায়্যিদুনা হানযালাহ্ ইবনে আস’আদ আস শাবামী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৫ সায়্যিদুনা হাবাশ ইবনে ক্বায়স নাহমী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৬ সায়্যিদুনা যায়ন ইবনে মালিক আত্ তাইমী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৭ সায়্যিদুনা আবদুর রহমান ইবনে আবদ রাব্বিহী আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৮ সায়্যিদুনা উমর ইবনে জুনাদাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৩৯ সায়্যিদুনা উমর ইবনে কারজাতুল আল আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪০ সায়্যিদুনা ওহাব ইবনে আবদুল্লাহ আল কালবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪১ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে বিশর খোলামী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪২ সায়্যিদুনা ওয়াক্বিয়াহ্ ইবনে সাঈদ ইবনে আল হাতিম আততায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৩ সায়্যিদুনা আইমর ইবনে হিশাম ইবনে আল হামিম আততায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৪ সায়্যিদুনা মুসলিম ইবনে উজাইর ইবনে আল হামিম আততায়ী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৫ সায়্যিদুনা আসলাম আত তুরকী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৬ সায়্যিদুনা সাইফ ইবনে হারেছ ইবনে সুরায়’ঈ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৭ সায়্যিদুনা হারেছ ইবনে সুরায়’ঈ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৮ সায়্যিদুনা কাসেম ইবনে হাবীব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৪৯ সায়্যিদুনা মাসউদ ইবনে হাজ্জাজ আত তাইমী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫০ সায়্যিদুনা যিয়াদ ইবনে আযিয আশ্শায়দাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫১ সায়্যিদুনা জাহের ইবনে আমর আল কিন্দী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫২ সায়্যিদুনা সাঈদ ইবনে আবদুল্লাহ আল হানাফী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৩ সায়্যিদুনা সালমান ইবনে নাজ্জার আল বাজলী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৪ সায়্যিদুনা সুওয়াইদ ইবনে আমর ইবনে আবিল মোত্বা আল খাস’আমী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৫ সায়্যিদুনা সাইফ ইবনে মালেক আবদী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৬ সায়্যিদুনা জারগাসাহ্ ইবনে মালিক তাবলাবী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৭ সায়্যিদুনা শাউযাব ইবনে আবদুল্লাহ আশ শাকেরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৮ সায়্যিদুনা ইয়াহইয়া ইবনে সালেম আল ইযদী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৫৯ সায়্যিদুনা আবেস ইবনে আবী হাবীব আশ্শাকেরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬০ সায়্যিদুনা উমর ইবনে আবদুল্লাহ জুন্দী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬১ সায়্যিদুনা মাওক্বা ইবনে সা মানাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬২ সায়্যিদুনা নোমান ইবনে আমর আর রা’সি রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৩ সায়্যিদুনা আয়েদ ইবনে যিয়াদ আল ক্বায়াদী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৪ সায়্যিদুনা আয়েদ ইবনে মেগবীল আল খাওক্বী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৫ সায়্যিদুনা হোর ইবনে ইয়াযিদ আর রিয়্যাহী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৬ সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াজিদ আর রিয়্যাহী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৭ সায়্যিদুনা আবদে আলা ইবনে ইয়াযিদ আর রিয়্যাহী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৮ সায়্যিদুনা মা’আস ইবনে ইয়াযিদ আর রিয়্যাহী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৬৯ সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর দুধভাই- সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে বুকতুর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৭০ সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর গোলাম হযরত আবু যর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৭১ সায়্যিদুনা ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এর খাদেম- হযরত মুনজিহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
৭২ সায়্যিদুনা আবদুর রহমান বিন উযরাহ্ আল গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু
* ‘তাযকেরায়ে সিবতে ইবনে জোযী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু’র বর্ণনা মতে, ইমামের পবিত্র দেহে ৩৩টি বর্শার আঘাত, ৪০টি তরবারির আঘাত এবং পিরহান মোবারকে ১২১টি তীরের ফুটো ছিল।
* আলা হযরত শেখ শাহ্জাদা ড. আহমদ পেয়ারা বাগদাদী আল ক্বাদেরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেছিলেন, এতগুলি আঘাত এর পরও তিনি কারবালার ময়দানে নামায ছেরে দেননি।
“কারবালার কোরবানী স্মরণ কর,
প্রাণ ভরে সকলে নামাজ পড়।”
* কারবালার প্রান্তর যখন চারদিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে মালাঊন ইয়াজিদ বাহিনী, এমনকি ফোরাত নদীও। এদিকে রাসূলে পাকের আওলাদের তাঁবুতে একফোঁটা পানিও নেই । কচি শিশুরা পানির জন্য ছটফট করে যাচ্ছে । হযরত ইমাম হুসাইন رضی اللہ تعالی عنہউনার ছয় মাসের দুধের শিশু আলী আজগরের অবস্থা আরও করুন । পানিতো নেইই,এমনকি মায়ের বুকের দুধও শুকিয়ে গেছে পানির অভাবে। শিশু আলী আজগর বাবা মায়ের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে একফোঁটা পানির জন্য।
No comments