Header Ads

Header ADS

55/3  দাড়িঁ রাখার গুরুত্ব 


قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


(আল ইমরান - ৩১)


বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।


وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ ﷺ يَا بُنَيَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تُصْبِحَ وَتُمْسِيَ لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لِأَحَدٍ فَافْعَلْ ثُمَّ قَالَ يَا بُنَيَّ وَذلِكَ مِنْ سُنَّتِي وَمَنْ أَحَبَّ سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ


আনাস (রাঃ)


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেন: হে বৎস! তুমি যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তোমার অন্তরে কারো প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রেখে কাটাতে পার তাহলে তাই কর। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে বৎস! এটা আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালবাসে সে আমাকেই ভালবাসে, আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। [১]


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭৫


হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস


وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِيْ عِنْدَ فَسَادِ أُمَّيِىْ فَلَه اَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ


আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার উম্মাতের বিপর্যয়ের সময় আমার সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য একশত শাহীদের সাওয়াব রয়েছে। [১]


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭৬


হাদিসের মান: খুবই দুর্বল


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ


(আল আনফাল - ২০)


হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।


وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ قَالُوا سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ


(আল আনফাল - ২১)


আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা।


۞ إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِندَ اللَّهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ


(আল আনফাল - ২২)


নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না।


24:আন্-নূর:63


لَّا تَجْعَلُوا دُعَآءَ الرَّسُولِ بَيْنَكُمْ كَدُعَآءِ بَعْضِكُم بَعْضًا ۚ قَدْ يَعْلَمُ اللَّهُ الَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنكُمْ لِوَاذًا ۚ فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ


হে মুসলমানরা! রসূলের আহবানকে তোমাদের মধ্যে পরস্পরের আহবানের মতো মনে করো না।১০২ আল্লাহ তাদেরকে ভালো করেই জানেন যারা তোমাদের মধ্যে একে অন্যের আড়ালে চুপিসারে সটকে পড়ে।১০৩ রসূলের হুকুমের বিরুদ্ধাচারণকারীদের ভয় করা উচিত যেন তারা কোন বিপর্যয়ের শিকার না হয়১০৪ অথবা তাদের ওপর যন্ত্রণাদায়ক আযাব না এসে পড়ে।


أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ هُوَ ابْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «وَقَّتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الْأَظْفَارِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، وَنَتْفِ الْإِبْطِ، أَنْ لَا نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْمًا» وَقَالَ مَرَّةً أُخْرَى: «أَرْبَعِينَ لَيْلَةً»


আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের জন্য গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, নাভীর নিম্নভাগের লোম চেঁছে ফেলার ও বগলের পশম উপড়ে ফেলার মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, আমরা যেন এ কাজগুলো চল্লিশ দিনের বেশী সময় পর্যন্ত ফেলে না রাখি। রাবী বলেন আরেকবার চল্লিশ রাতের কথাও বলেছেন।


  


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৪


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى ‏"‏ ‏.‏


‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ তোমরা গোঁফ কেটে ফেল (অর্থাৎ ঠোটের ওপর থেকে কেটে দেয়া) এবং দাড়ি ছেড়ে দাও অর্থাৎ বড় হতে দাও। (ই.ফা. ৪৯১, ই.সে. ৫০৭)


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮৮


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


*  দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমনদের মধ্যে গণ্য হওয়ার সম্ভাবনা:


ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ. নিজ রচিত “কিতাবুজ্জুহুদে” আকীল ইবনে মোদরেক সালামী হতে উদ্ধৃতি করেন যে, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বনী ইস্রাইলের এক নবীর নিকট এই অহী প্রেরন করেন যে, তিনি যেন নিজ কওম বনী ইস্রাইলকে এ কথা জানিয়ে দেন যে, তারা যেন আল্লাহ তা’য়ালার দুশমনদের বিশেষ খাদ্য শুকরের গোশত না খায় এবং তাদের বিশেষ পানীয় অর্থাৎ শরাব(মদ) পান না করে এবং তাদের শিক্ল ছুরত (আকৃতি) না বানায়। যদি তারা এমন করে অর্থাৎ শুকরের গোশত খায়, বা মদ পান করে, অথবা দাড়ি মুন্ডায় বা ছোট করে (ফ্রেন্সকাট করে) অথবা বড় বড় মোচ রাখে, তা’হলে তারাও আমার দুশমন হবে, যেমন তারা আমার দুশমন। (দালায়েলুল আসর)


*  বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনেআবদুল্লাহ ইবনে উতবা রাহ. বলেন, জনৈকঅগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসেছিল। তার দাড়ি মুন্ডানোছিল ও মোচ লম্বা ছিল। আল্লাহর রাসূল  সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা কী?’ সে বলল, ‘এটা আমাদের ধর্মের নিয়ম।’ আল্লাহররাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটবও দাড়ি লম্বা রাখব।’ 


(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা১৩/১১৬-১১৭, হাদীস : ২৬০১৩)


উপরোক্ত হাদিসসমুহ থেকে দেখা যায়- নবিজি সরাসরি দাড়ি লম্বা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই বিষয়টা শুধু মাত্র উতসাহ, অনুমতি বা ঐচ্ছিক ভাবার কোন প্রশ্নই আসে না।


*  দুই যুবুক নবীজির কাছে আসে: -


" ﻣﻴﺰﺍﻥ ﺍﻻﻋﺘﺪﺍﻝ " ‏( /3 530 ‏) .


ﻭﻗﺪ ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﻧﻌﻴﻢ ﻓﻲ " ﺩﻻﺋﻞ ﺍﻟﻨﺒﻮﺓ " ‏( ﺹ 350 ‏) ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﺇﺳﺤﺎﻕ ﻗﺎﻝ : ... ﻓﺬﻛﺮ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ، ﻭﻓﻴﻪ : ﻭَﻗَﺪْ ﺩَﺧَﻠَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻗَﺪْ ﺣَﻠَﻘَﺎ ﻟِﺤَﺎﻫُﻤَﺎ ﻭَﺃَﻋْﻔَﻴَﺎ ﺷَﻮَﺍﺭِﺑَﻬُﻤَﺎ ، ﻓَﻜَﺮِﻩَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮَ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ ، ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻳْﻠَﻜُﻤَﺎ ﻣَﻦْ ﺃَﻣْﺮَﻛُﻤَﺎ ﺑِﻬَﺬَﺍ؟ ﻗَﺎﻟَﺎ : ﺃَﻣَﺮَﻧَﺎ ﺑِﻬَﺬَﺍ ﺭَﺑُّﻨَﺎ ﻳَﻌْﻨِﻴَﺎﻥِ ﻛِﺴْﺮَﻯ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ‏( ﻟَﻜِﻦَّ ﺭَﺑِّﻲ ﻗَﺪْ ﺃَﻣَﺮَﻧِﻲ ﺑِﺈِﻋْﻔَﺎﺀِ 


ﻟِﺤْﻴَﺘِﻲ ﻭَﻗَﺺِّ ﺷَﺎﺭِﺑِﻲ ‏;


পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকেরমাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দু’জন দূতপাঠান। এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড়। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে তাদের এইঅবয়ব এতই কুৎসিত লেগেছিল যে তিনি মুখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তোমাদের ধ্বংসহোক, এমনটি তোমাদের কে করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল, আমাদের প্রভু কিসরা। তিনি (সাঃ) তখন উত্তর দেন, আমার রব্ব, যিনি পবিত্র ও সম্মানিত আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়ি ছেড়েদেই এবং গোঁফ ছোট রাখি। 


((ইবনে জারির আততাবারি, ইবন সা’দ ও ইবন বিশরান কর্তৃক নথিকৃত। আল আলবানি এক হাসান বলেছেন। দেখুন আল গাযালির ফিক্বহুস সিরাহ ৩৫৯ পৃষ্ঠা।


*  চাকুরীর লোভে দাড়িও গেল চাকরী ও গেল,,,,,,


[খুবই শিক্ষানীয় ঘটনা ]


বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলেমেদ্বীন, বিখ্যাত লেখক ও গবেষক, জাস্টিস আল্লামা মুফতী ত্বকী উসমানী সাহেব দা.বা. বলেন, আমার এক শায়েখ আমাকে একটা সত্য ঘটনা শুনিয়েছিলেন। আমার শায়েখ বলেন, আমার এক বন্ধু লন্ডনে চাকুরী খুজতে ছিলেন। চাকুরীর জন্য মুখে দাড়ি নিয়ে এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গেলেন। যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তিনি বললেন, দাড়ি নিয়ে এখানে কাজ করা মুশকিল, অতএব দাড়ি কেটে আসতে হবে। বেচারা পেরাশান হয়ে গেলেন। দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন দাড়ি রাখবেন না কাটবেন? অতপর তখনকার মতে সেখান থেকে চলে আসলেন এবং দুই তিন দিন পর্যন্ত অন্যএ চাকুরী খুজতে লাগলেন। কিন্তু কোথাও চাকুরী পাওয়া গেল না। রুজি রোজগার নেই, বেচারা খুব পেরেশান। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন ঠিক আছে আপাতত দাড়ি কেটে নিব। যাতে অন্তত চাকুরীটা পেয়ে যায়। ফলে দাড়ি কেটে ফেললেন এবং পূর্বের সেই ইন্টারভিউর স্হানে আবার হাজির হলেন। যিনি ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তিনি তাকে দেখে বললেন কি ব্যাপার ভাই কি মনে আসলেন। প্রতি উওরে তিনি বললেন -আপনিতো বলে ছিলেন যে, দাড়ি কর্তন করে নিলে চাকুরী হবে।


অতঃপর তিনি প্রশ্ন করলেন ভাই আপনি কি মুসলমান নন? তিনি বললেন -হ্যাঁ। পুনরায় প্রশ্ন করলেন আপনি কি দাড়ি রাখা আবশ্যক. মনে করেন না? তিনি বললেন -দাড়ি রাখা আবশ্যক মনে করেইতো আমি দাড়ি রেখেছিলাম। এত কিছু শ্রবণের পর উক্ত অফিসার বললেন -যখন আপনি জানতেন যে, দাড়ি রাখা আল্লাহর হুকুম এবং আল্লাহর হুকুম মনে করেই দাড়ি রেখেছিলেন। তারপর শুধু আমার কথায় আল্লাহর হুকুম বর্জন করলেন। এর অর্থ হল আপনি আল্লাহর হুকুম পালনে আন্তরিক নন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সে তার অফিসের সাথে ও বিশ্বাসঘাতকতা করতে দ্বিধাবোধ করবেনা। অতএব আপনাকে আমি চাকুরী দিতে অপারগ।অতএব ভায়েরা লক্ষ করেছেন তো দুনিয়া ও গেল আখেরাতও গেল। দাড়ি ও গেল চাকুরী ও গেল। আমার অনেক প্রবাসী বন্ধুদেরকেও চাকুরীর লোভে দাড়ি কাটতে দেখা যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মুসলিম ভাইদের দাড়ি রাখার মত একটি দায়েমী ওয়াজীব পালন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।


*  মির্জা কাতিল


যারা দাড়ি কাটেন তাদের জন্যে একটি শিক্ষণীয়


গল্প


মির্জা কাতিল নামে এক দরবেশ কবি ছিলো। তার দরবেশসুলভ কথাবার্তায় এক ইরানি যুবক তার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়লেন। দরবেশের সাথে মোলাকাত করার জন্যে তিনি দেশ ত্যাগ করলেন। যখন যুবকটি দরবেশের কাছে গিয়ে পৌছলেন, দেখলেন দরবেশে দাড়ি সেভ করছে। ইরানি যুবকটি আশ্চার্য হলেন।


বললেন: "আগা! রেশ মি তরাশি?"


(জনাব! আপনি দাড়ি কাটছেন?)


মির্জা জবাব দিলেন : "বালে মুয়েঁ মি তারাশম, ওয়ালে দিল কছে নমী খরাশম্"


(দাড়ি কাটছি ঠিক। কিন্তু, কারো মনে তো আঘাত দিচ্ছিনা!)


অর্থাৎ, মির্জা এটা বুঝাতে চাচ্ছিলেন, যা করার নিজের সাথে করবে। কিন্তু, আল্লাহর কোন সৃষ্টির মনে আঘাত দিবেনা!


যুবকটি বললেন : "আরে...


দিলে রাসুলুল্লাহ্ মি খরাশি"


(আপনি তো রাসুলুল্লাহ্ সাঃ'র কলিজা ছিলে ফেলছেন!)


যুবকের জবাব শুনে দরবেশ মির্জা হতভম্ভ হয়ে গেলেন! মেজাজ শান্ত হওয়ার পর বললেন : তুমি আমার অন্তর্চক্ষু খুলে দিয়েছো। না হয় আমি সাড়া জীবন দাড়ি মুণ্ডিয়ে রাসুলুল্লাহ্ সাঃ'র কলিজায় আঘাত করতে থাকতাম। শুকরিয়া তুমার প্রতি!


আল্লাহ্ তায়ালা তুমাকে উত্তম প্রতিদান দিক।


অত্যন্ত আফসুসের বিষয়!


আজকাল বেশির ভাগ মুসলমানের মুখে এই সুন্নাতে নববি নেই।


বরং, যারা এই সুন্নাতে নববি পালনার্থে মুখে দাড়ি রাখছে তাদেরকে উপহাস করা হয়। হেয় করা হয়।


প্রতিদিন বা দুদিন পরপর বা তিনদিন পরপর মুসলমান সুন্নাতে নববিতে আঘাত করছে। কেউ দাড়ি কাটছে। কেউ ছিড়ে ফেলছে। কেউ বা মুণ্ডণ করছে। এভাবে তারা রাসুলুল্লাহ্ সাঃ'র কলিজায় আঘাত করছে।


অন্তরে অনুভূতি সহ জাগছেনা!


মনে রাখা উচিত!


পুরুষের জন্যে দাড়ি রাখা ওয়াজিব!


রাসুলুল্লাহ্ সাঃ জীবদ্দশাতেও দাড়ি যারা রাখতোনা তাদেরকে ঘৃণা করতেন! তাদেরকে দাড়ি রাখতে বলতেন।


রাসুলুল্লাহ্ সাঃ বলেছেন : "তুমরা ইহুদি-খৃষ্টানদের বিরুধীতা করো। গোফ কাটো এবং দাড়ি লাম্বা রাখো "!


_বুখারি শরীফ


আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে ইহুদি-খৃষ্টানদের সুরত ছেড়ে নববি সুরত ধারন করার তাওফিক দান করুক! আল্লাহু?ম্মা আমিন!


*  قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي وَلَا بِرَأْسِي ۖ إِنِّي خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي


(ত্বোয়াহ - ৯৪)


তিনি বললেনঃ হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু ও মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবেঃ তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা স্মরণে রাখনি।


*  দাড়ি রাখা ওয়াজিব--দাড়ি রাখা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর করুনঃ-


আমাদের দেশে দাড়ি রাখা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে, সেটা হল ''দাড়ি রাখা সুন্নত; অতএব দাড়ি রাখলে ভাল আর না রাখলেতেমন কোন সমস্যা নেই, একটা সুন্নত পালন করা হল না এই আর কি।'' জেনে রাখুন, এটা সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা।


দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব আগে সেটা বুঝার চেষ্টা করুন। ইসলামে শরীয়তের বিধানের প্রধান সুত্র হচ্ছে কুরআন ও রাসুল (সাঃ) এর সহীহ সুন্নাহ অর্থাৎ সহীহ হাদিস। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্‌পাক যেসকল বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন ও নিষেধ করেছেন তা পালন করা আমাদের জন্য ফরয। আশা করি বিষয়টি সকলের কাছেই পরিষ্কার অর্থাৎ বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।


এবার আসুন, দাড়ি রাখা কোন অর্থে সুন্নত আর কোন অর্থে ফরয বা ওয়াজিব সেটা জানার ও বুঝার চেষ্টা করি।


আল্লাহ্‌পাক পবিত্র কুরআনে বহু আয়াতে রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মেনে চলার জন্য আমাদের বলেছেন। তাঁর মানে হল, রাসুল (সাঃ) যে সকল বিষয়ে আমাদের আদেশ ও নিষেধ করেছেন তা মেনে চলাও আমাদের জন্য ফরয/ওয়াজিব । কুরআনের আয়াতগুলো এখানে দেয়া হল -


রাসূলের আহবানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে। [আন-নুরঃ ৬৩]


আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রাসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। [আল-ইমরানঃ ১৩২]


যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে [মুহাম্মদ সঃ] অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহও তোমাদিগকে ভালবাসেন [আল ইমরানঃ ৩১]


হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। [আল-আনফালঃ ২০]


আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [সূরা আল আহজাবঃ ৩৬]


বলুনঃ আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের আনুগত্য কর। অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তার উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে সে দায়ী এবং তোমাদের উপর ন্যস্ত দায়িত্বের জন্যে তোমরা দায়ী। তোমরা যদি তাঁর আনুগত্য কর, তবে সৎ পথ পাবে। রসূলের দায়িত্ব তো কেবল সুস্পষ্টরূপে পৌছে দেয়া। [আন-নুরঃ ৫৪]


রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। [আল-হাশরঃ ৭]


*  সময়কাল - হযরত মুসা (আঃ) এর সময় ।


আল্লাহর হুকুমে হযরত মুসা (আঃ) মাত্র ৪০ দিনের জন্য তাঁর উম্মতগনকে ছেড়ে এক পাহাড়ে যাবেন । মাত্র এই ৪০ দিনের জন্য তাঁর উম্মত যেন পথভ্রষ্ট না হয় এবং বিনা তত্ববাধানে যেন না থাকে সেজন্য তাঁরই ভাই হযরত হারুন (আঃ) কে সমগ্র উম্মেতের জন্য অভিভাবক , খলীফা ও ইমাম হিসাবে নিয়োগ দিয়ে গলেন । 


খুব কঠোর ভাবে উম্মতকে আদেশ দিয়ে গেলেন এইমর্মে যে , অতি অবশ্যই যেন হযরত হারুন (আঃ) কে অনুসরন ও আনুগত্য করা হয় । 


মুসা (আঃ) এর উম্মতের মধ্যে অতি চতুর ও মুনাফিক বিশ্বাসঘাতক একজন ছিলেন । কোরআনে তার নাম বলা হয়েছে সামেরী । 


মুসা (আঃ) এর অনুপস্থিতিতে জনাব সামেরী তার দলবল নিয়ে হযরত হারুন (আঃ) কে এমনই কোনঠাসা করলে ফেলল যে , তাঁকে শুধু খুন করা বাকি ছিল !


জনাব সামেরী ও তার দলবল সমগ্র উম্মতের প্রায় ৯৫ শতাংশকে পূর্বের কুফরী ও পৌত্তলিক ধর্মে নিয়ে গেল । মুসা (আঃ) এর রেখে যাওয়া ধর্মকে পুরোটাই বিকৃত করে ফেলল । 


সেই সাথে জনাব সামেরী হযরত মুসা (আঃ) কে বিভ্রান্ত ও পাগল বলে সাবাস্ত করেছিল । 


মোট কথা একমন খাঁটি দুধে একফোটা গো-মুত্র পড়লে পুরো দুধটাই নষ্ট হয়ে যায় তদ্রুপ জনাব সামেরী ছিল ঐ এক ফোটা গো-মূত্রের মত । 


হযরত    জিবরাঈলের   ঘোড়ার     খুরের    মাটি    দ্বারা খড়ের     তৈরী   বাছুরের    মূর্তি   জীবিত   হলোঃ    কুরআন মাজীদ বলে- 


হযরত জিবরাঈল  (عليه  السلام)  একটি  মাদি ঘোড়ার  উপর আরোহী  ছিলেন। জিবরাঈল (عليه السلام) মাদি ঘোড়াটি নিয়ে  নীলনদে ঝাঁপিয়ে পড়লেন।  ফেরাউনের মরদ  ঘোড়া জিবরাঈলের  মাদি ঘোড়ার লোভে নদীতে ঝাপিয়ে  পড়লো।  জিবরাঈলের  ঘোটকী  শুকনো  পথে  নদী  পার  হয়ে   গেলো-   আর  ফেরাউনের  ঘোড়া    মাঝ নদীতে    আসার   সাথে    সাথে    দুই    দিক    থেকে    পানি পর্বতসমান উঁচু হয়ে এসে ফেরাউনকে সসৈন্যে ডুবিয়ে মারলো। 


হযরত  মুছা (عليه السلام) -এর সাখী যাদুকর  সামেরী  হযরত   জিবরাঈলের  ঘোটকীর  পায়ের   খুড়ার   নীচের   সামান্য    মাটি    কুড়িয়ে      নিলো।     সে     দেখেছিল    উক্ত ঘোটকীর খুড়ের পরশে    মৃত ঘাস   সাথে সাথে  জীবিত হয়ে যাচ্ছে।  সে ধারণা করলো-    নিশ্চয়ই উক্ত মাটিতে জীবনের তাছির রয়েছে। হযরত মুছা عليه السلام যখন তৌরাত  কিতাব  গ্রহণ  করার জন্য চল্লিশ দিনের   চিল্লা  নিয়ে তুর পর্বতে গমন   করলেন  -এই সুযোগে   সামের  খড় কুটা ও মাটি দিয়ে একটি বাছুরের মূর্তি তৈরী করে তার  ভিতরে  উক্ত  ঘোটকীর  খুড়ের  কিছু  মাটি  ঢুকিয়ে  দিলো।    কি   আশ্চর্য!    সাথে    সাথে    উক্ত   মূর্তিবাছুরটি   জীবিত হয়ে গেলো। সামেরী হযরত মুছা (عليه السلام) -এর কওমের মধ্যে ঘোষণা করে দিলো- “এই বাছুরের ভিতরে     খোদা    লুকিয়ে    আছে-    তোমরা      তার    পূজা করো”।    এভাবে   অনেক   লোক    গো-পূজা   শুরু   করে  দিলো। তখন থেকেই গো-পূজা শুরু হয়। হিন্দু জাতিরা তাই  ভগবান  জ্ঞানে  গো-পূজা  করে   থাকে।    সামেরীর এই  গোবাছুর  জীবিত   করার  ঘটনা কোরআন মাজীদে আল্লাহ পাক কত সুন্দর করে বলেছেন- 


فَقَبَضْتُ قَبْضَةً   مِّنْ   أَثَرِ الرَّسُولِ فَنَبَذْتُهَا وَكَذَٰلِكَ سَوَّلَتْ لِي نَفْسِي


অর্থাৎ- “সামেরী বললো- আমি জিবরাঈলের ঘোটকীর খুরের চিহ্নিত স্থান থেকে এক  মুষ্ঠি মাটি নিয়ে নিলাম। অতঃপর  তা   এই   মুর্তি  বাছুরের   মুখে    ঢেলে  দিলাম। আমার   খবিছ  অন্তর  এভাবেই   তা  বলে   দিয়েছিলো”।  (সূরা তোয়াহা, ৯৬ আয়াত)। 


উক্ত            আয়াতের            সারমর্ম            হলো-            ”আল্লাহর  নৈকট্যপ্রাপ্তগণের        তাবাররুক       বা      বরকতময়       বস্তু জীবনহীনকে জীবিত করতে পারে”। দেখুন!  উক্ত মাটি ছিলো    হযরত     জিবরাঈলের    ঘোটকীর   খুরের   তলার মাটি।    ঐ   মাটিতে  প্রাণের   তাছির   কিভাবে  আসলো।  হযরত   জিবরাঈল (عليه السلام)     -এর স্পর্শ থেকে ঐ তাছির     এসেছিল।     জিবরাঈল    বসা    ছিলেন      কাঠের উপর।  কাঠ  লেগেছিল  ঘোটকীর  পিঠে,    আর  ঘোড়ার  খুড়  লেগেছিলো     মাটির   সাথে।   সেই  মাটি   লেগেছিল মুর্তি  বাছুরের  মুখে।  ঐ  মাটিই  বাছুরের  মধ্যে  প্রাণের  সঞ্চার  করেছিল। মাটি  তো মৃত  বাছুরের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার  করে  দিলো-    কিন্তু  ঐ  বাছুরের  হাম্বা   আওয়াজ মানুষকে   হেদায়াত করতে পারেনি  -   বরং  গোমরাহীর বীজ বপন করেছিল। তদ্রূপ বেদীন আলেমের  সারগর্ভ (?) ওয়াজের দ্বারাও মানুষ হেদায়াত প্রাপ্ত হয়না - বরং আরো বেশী গোমরাহ হয়ে যায়। 


জিবরাঈলের ঘোড়ার  খুড়ের মাটিতে  যদি   জীবনীশক্তি থাকে-  তাহলে   আল্লাহওয়ালাদের  তাবাররুকে   তাছির থাকবেনা     কেন?    দেখুন!    মদিনা    শরীফের     মাটিকে ”খাকে  শেফা”  বলা  হয়।  কেননা,   উক্ত  মাটি  রোগ   ও বালা   মুসিবত    বিদূরণকারী   এবং    আরোগ্যদানকারী। উক্ত    মাটিতে    এই    তাছির    কোথা    থেকে    আসলো?  যেহেতু মদিনা মোনাওয়ারার পবিত্র মাটি নবীজীর জুতা মোবারক  চুমু  খেয়েছিল,  তাই  তার  মধ্যে  এই  তাছির  এসেছে।


*  ♥♥জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম♥♥


এক লোক বয়ানে শুনেছে যে, দাড়ি পাকা লোকদের আল্লাহ ক্ষামা করে দিবেন।


সে বাড়ীতে গিয়ে তার পরিবারের লোকদেরকে বলল,আমার মূত্যু যদি দাড়ি পাকার আগে হয়, তাহলে আমার দাড়িতে ময়দা মেখে দিবা।আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।


তার পরিবার মূত্যুর পর তাই করলো,তার দাড়িতে ময়দা মেখে দিলো।


তারপর তাকে দাফন করা হলো, দাফন করার পর তার কাছে আসলো ফেরেস্তা।


ফেরেস্তা তাকে প্রশ্ন করা শরু করে দিলো,এবং তাকে  দেখতে পেলো,তার দাড়িতে ময়দা মাখা।


ফেরেস্তা তাকে জিগ্যেস  করলো, তোমার এই অবস্থা কেন? 


লোকটি বললো,দুনিয়াতে শুনেছিে দাড়ি পাকা লোকদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন, এই কারনে ময়দা মেখেছি, 


আমাকেতো আর আল্লাহ দাড়ি পাকার সুযুগ দেইনি তাই।


পরে আল্লাহ ফেরেস্তাদদেরকে বললেন যাও তাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম। 


এ কারনে আমি বলতে চাই,আমার যেই সমস্ত বন্ধুরা দাড়ি রাখেন না, তারা অন্তত নবীর সুন্নত হিসেবে  দাড়িটা রেখে দেন, আল্লাহ হয়ত দাড়ির মাধ্যকে আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন। 


আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুক


___________________


আল্লাহর সন্তুষ্টি ও গুনাহ মাফ নবীর আনুগত্যর মধ্যে


قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ


(আল ইমরান - ৩১)


 مَنْ أَحَبَّ سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ. رَوَاهُ التِّرْمِذي


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭৫


*  নবীর কথাকে গুরত্ব দিতে আল্লাহ বলেছেন


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَوَلَّوْا عَنْهُ وَأَنتُمْ تَسْمَعُونَ


(আল আনফাল - ২০)


وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ قَالُوا سَمِعْنَا وَهُمْ لَا يَسْمَعُونَ


(আল আনফাল - ২১)


۞ إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِندَ اللَّهِ الصُّمُّ الْبُكْمُ الَّذِينَ لَا يَعْقِلُونَ


(আল আনফাল - ২২)


*  নবীর ভালবাসাই আল্লাহর সন্তুষ্টি,আমরাকি নবীর ভালবাসা চাই? 


عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى ‏"‏ ‏.‏


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮৮


وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِيْ عِنْدَ فَسَادِ أُمَّيِىْ فَلَه اَجْرُ مِائَةِ شَهِيْدٍ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ


মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১৭৬


*  মিষ্টি খাওয়া সুন্নাত মানি


*  দাড়ির গুরত্ব আল্লাহর কাছে


*  দাড়ি কর্তনকারী আল্লাহ পাকের দুশমন


*  দাড়ির গুরত্ব নবীর কাছে


*  দুই যুবুক নবীজির কাছে আসে: -


*  দাড়ির গুরত্ব মির্জা কাতিল এর কাছে


*  মির্জা কাতিল  দরবেশ কবি ছিলো। যখন যুবক দেখে দরবেশে দাড়ি সেভ 


*   চাকুরীর লোভে দাড়িও গেল চাকরী ও গেল,


*  এটা নবীদেক সুন্নাত 


*  قَالَ يَا ابْنَ أُمَّ لَا تَأْخُذْ بِلِحْيَتِي وَلَا بِرَأْسِي ۖ إِنِّي خَشِيتُ أَن تَقُولَ فَرَّقْتَ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَلَمْ تَرْقُبْ قَوْلِي


(ত্বোয়াহ - ৯৪)


*  নবীর সুন্নাত দারী লইয়া কবরে যান


ان الله يستحي من ذي الشيبةالمسلم


(মুসলমানের হাসি পৃ:  ১৬৬)


____________________________________

৫৫  দাড়ি রাখা


قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

*  রাসূলের বিধান মানিবে যখন

*  এশকে মাহবুবে খোদা জিস দিলমে হাসেল নিহি

*  লাইয়ু'মিনু আহাদুকুম হাত্তা আকুনা আহাব্বা ইলাইহি

*  নবীজির আদেশ নিষেধ পালনের মাধ্যমে প্রমান করতে হবে আমি নবীর আশেক। সূদখোর নবীর আশেক নন

*  নবীর সুন্নত অনেক ধরনের তবে মৃত্যুর পরেও দেখা যায় এমন একটি সুন্নাতের কথা বলবো 

*  দাঁড়ির কথা কুরআনে আছে সূরা ত্ব-হা:  ৯৪

قَالَ یَبْنَؤُمَّ لَا تَاْخُذْ بِلِحْیَتِیْ وَ لَا بِرَاْسِیْ

*  দাড়ি কর্তনকারী শুকুরের মাংস ও মদ পানকারী  আল্লাহ পাকের দুশমনের কাতারে আছে। যে আল্লাহর দুশমন সে নবীর ও দুশমন। বনী ইসরাইলের নবীর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ জানিয়ে দাও

*  পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকেরমাধ্যমে রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে দু’জন দূতপাঠান। এদের দাড়ি ছিল কামানো আর গোঁফ ছিল বড় বড়

*  দাড়ির গুরত্ব মির্জা কাতিল এর কাছে। মির্জা কাতিল  দরবেশ কবি ছিলো। ইরানী যুবক দরবেশের ভক্ত হয়ে গিয়েছিল। যখন যুবক দেখে দরবেশে দাড়ি সেভ করছে

*  দাঁড়ির প্রতি আন্তরিক মুহাব্বত না থাকার পরিনাম। চাকুরীর লোভে দাড়িও গেল চাকরী ও গেল। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলেমেদ্বীন, বিখ্যাত লেখক ও গবেষক, জাস্টিস আল্লামা মুফতী ত্বকী উসমানী সাহেব দা.বা. বলেন, আমার এক শায়েখ আমাকে একটা সত্য ঘটনা শুনিয়েছিলেন। আমার শায়েখ বলেন, আমার এক বন্ধু লন্ডনে চাকুরী খুজতে ছিলেন। চাকুরীর জন্য মুখে দাড়ি নিয়ে এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে গেলেন।


__________________

No comments

Powered by Blogger.