85/185 গীবত করা বা অন্যর দোষ তালাশ করা✓
* গীবত করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন,আল হুজরাত -১২
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
(আল হুজরাত - ১২)
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।
[১] এই আয়াতে পারস্পরিক হক ও সামাজিক রীতি-নীতি ব্যক্ত হয়েছে এবং এতে তিনটি বিষয় হারাম করা হয়েছে। (এক) ধারণা, (দুই) কোনো গোপন দোষ সন্ধান করা এবং (তিন) গীবত অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কথা বলা যা সে শুনলে অসহনীয় মনে করত।
দ্বিতীয় নিষিদ্ধ বিষয় হচ্ছে, কারও দোষ সন্ধান করা। এর দ্বারা নানা রকম ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হয়। এ কারণে একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার খোতবার দোষ অন্বেষণকারীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ “হে সেই সব লোকজন, যারা মুখে ঈমান এনেছোঁ। কিন্তু এখনো ঈমান তোমাদের অন্তরে প্ৰবেশ করেনি, তোমরা মুসলিমদের গোপনীয় বিষয় খোজে বেড়িও না। যে অন্বেষণে লেগে যাবেন। আর আল্লাহ যার ক্ৰটি তালাশ করেন তাকে তার ঘরের মধ্যে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন।” [আবু দাউদ:৪৮৮০
* ১০৪: আল-হুমাযাহ:১,
وَیْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةِ ﹰۙ
ধবংশ এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে (সামনা সামনি) লোকদের ধিক্কার দেয় এবং (পেছনে) নিন্দা করতে অভ্যস্ত।
* গীবত কাকে বলে,মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৭৯৪
حَدَّثَنِي مَالِك عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ صَيَّادٍ أَنَّ الْمُطَّلِبَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْطَبَ الْمَخْزُومِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا الْغِيبَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَذْكُرَ مِنْ الْمَرْءِ مَا يَكْرَهُ أَنْ يَسْمَعَ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ وَإِنْ كَانَ حَقًّا قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قُلْتَ بَاطِلًا فَذَلِكَ الْبُهْتَانُ
মুত্তালিব ইব্নু আবদুল্লাহ্ মাখযুমী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলঃ গীবত কি (বা গীবত কাকে বলে)? এতদুত্তরে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কারো অবর্তমানে তার এমন কথা প্রকাশ করা যা সে শুনলে অসন্তুষ্ট হবে। অতঃপর লোকটি (আবার) বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! কথা যদি সত্য হয় (অর্থাৎ যা বলা হচ্ছে তা যদি মিথ্যা না হয়, বরং সত্য হয় তা হলেও কি উহা গীবত হবে)? তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যদি মিথ্যা হয়, (তবে উহাকে গীবত বলা হয় না; বরং) উহা বুহতান (অপবাদ)। [১] (সহীহ, ইমাম মুসলিম আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেন ২৫৮৯)
ফুটনোটঃ
[১] কোন ব্যক্তির এমন দোষের কথা যা উক্ত ব্যক্তির মধ্যে আছে, তার অবর্তমানে প্রকাশ করার নামই গীবত। অবশ্য সৎ পথে আনার নিয়তে হলে উহা জায়েয আছে, অন্যথায় হারাম। আর যদি উহা মিথ্যা হয় তবে উহা অপবাদ বা বুহ্তান, ইহা গীবতের চাইতেও মারাত্মক।
মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ১৭৯৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* গীবতের কারনে কবরে সাস্থী
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُ عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرَيْنِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا هَذَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ، وَأَمَّا هَذَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ دَعَا بِعَسِيبٍ رَطْبٍ، فَشَقَّهُ بِاثْنَيْنِ، فَغَرَسَ عَلَى هَذَا وَاحِدًا وَعَلَى هَذَا وَاحِدًا ثُمَّ قَالَ " لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا، مَا لَمْ يَيْبَسَا ".
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটি কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চ্য়ই এ দু‘জন কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে বড় কোন গুনাহের কারণে কবরে তাদের আযাব দেয়া হচ্ছে না। এই কবরবাসী প্রস্রাব করার সময় সতর্ক থাকত না। আর ঐ কবরবাসী গীবত ক‘রে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে সেটি দু‘টুকরো করে এক টুকরো এক কবরের উপর এবং এক টুকরো অন্য কবরের উপর গেড়ে দিলেন। তারপর বললেনঃ এ ডালের টুকরো দু‘টি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাদের শাস্তি কমিয়ে দিবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৩)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০৫২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মৃত্যুর পর গীবত কারীর নখগুলো তামার তৈরী হবে এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারতে থাকবে,সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৮
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، وَأَبُو الْمُغِيرَةِ، قَالاَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بَقِيَّةَ لَيْسَ فِيهِ أَنَسٌ .
আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মি’রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল ! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো (গীবত করতো) এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো ।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* যারা গীবত করে তাদের ঈমান ভেতরে প্রবেশ করেনি,সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮০
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الأَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ " .
আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি ! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮০
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم تَجِدُوْنَ شَرَّ النَّاسِ ذَا الْوَجْهَيْنِ الَّذِيْ يَأْتِيْ هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ وَيَأْتِيْ هَؤُلاَءِ بِوَجْهٍ-
আবু হুরায়রা (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘তোমরা ক্বিয়ামতের দিন সর্বাপেক্ষা মন্দ লোক ঐ ব্যক্তিকে পাবে, যে দ্বিমুখী। সে এক মুখ নিয়ে এদের কাছে আসে এবং আরেক মুখ নিয়ে তাদের কাছে যায়’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৮২২; বাংলা মিশকাত ৯ম খণ্ড, হা/৪৬১১)। অত্র হাদীছ দু’টি হতে প্রতীয়মান হয় যে, মানুষের জিহ্বা ও লজ্জাস্থান কবীরা গুনাহ সমূহের উৎস। কেননা মানুষ মুখ দ্বারা মিথ্যাচার, গালমন্দ, চোগলখুরী, ধোঁকাবাজি, গীবত-তোহমত, অভিসম্পাৎ প্রভৃতি কবীরা গোনাহ করে থাকে। কিন্তু মানুষ এসব পাপ থেকে সাবধান হওয়ার ন্যূনতম চেষ্টা করে না। এগুলি থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের জিহ্বাকে সংবরণ করা অত্যাবশ্যক। কেননা এগুলির ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘চোগলখোর ও খোটাদানকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না’ (বুখারী, মুসলিম, বাংলা মিশকাত হা/৪৬১২)।
সহিহ তারগিব ওয়াত তাহরিব, হাদিস নং ১৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
19-চোগল খোর
* আবু বকর ,ওমর রাঃ খাদেমের গোস্ত খেয়েছে, গীবত পৃঃ 27
আরবে দস্তুর ছিল , একজন অন্য জনের সেবা পরিচর্যা করত । একবার হযরত আবু বকর ও ওমর ( রাঃ ) সফরে ছিলেন । সঙ্গে ছিলেন একে নিঃস্ব গরীব লােক । এ সেবক সব সময় হযরত আবু বকর ও ওমর ( রাঃ ) -এর সেবা পরিচর্যা করতেন । এক জায়গায় তারা । চলায় বিরতি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন । তাদের ঘুমানাের পরে সেবক বেচারাও ঘুমিয়ে পড়েন । কোন খাদ্য খাবার প্রস্তুত করেননি । এক সময় হযরত আবু বকর ও ওমর ( রাঃ ) জাগ্রত হয়ে বলতে লাগলেন- লােকটি খুব বেশী ঘুমায় । অতপর তারা সেবক বেচারাকে জাগিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে পাঠান । তিনি খেদমতে পৌঁছে । নিবেদন করলেন , ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , হযরত আবু বকর ও ওমর ( রাঃ ) সালাম বলেছেন এবং কিছু আহার্য চেয়ে পাঠিয়েছেন । জবাবে রাসূলুল্লাহ । সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন , তারা দুজন তাে পরিতৃপ্ত হয়েই খেয়েছে । তাঁরা । দুজন এ সংবাদ পেয়ে নিবেদন করলেন , ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , আজ আমরা দুজনে কি খেয়েছি । তিনি এরশাদ করলেন , আজ তােমরা এ সেবকের গোশত খেয়েছ । আমি তােমাদের দাঁতে গােশতের লালিমা দেখতে পাচ্ছি । এ ঘটনা শুনে তারা নিবেদন করলেন , ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , আপনি আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন এবং আল্লাহর দরবারে আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন , শুধু আল্লাহ তা'আলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনাই এ জন্য যথেষ্ট নয় , তােমাদের উচিত এ সেবককে সন্তুষ্ট করা । তােমরা তাকেই বল , সে যেন । আল্লাহর দরবার থেকে তােমাদের অপরাধ ক্ষমা করিয়ে নেয় । ( তাফসীরে দোররে মনসূর- জিয়া মাকদেসীর সূত্রে ) (কবিরা গুনাহ - 27
* এক ব্যক্তি হযরত আলী ইবন আবি তালিব (রা ) এর নিকট এসে বলল, অমুক আপনার নামে কুৎসা রটিয়েছে ও গালি দিয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চল। সে তাকে ওই ব্যক্তির কাছে নিয়ে গেল। লোকটি ভেবেছিল হযরত আলী তার কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তিনি তাকে গিয়ে বললেন, “হে ভাই ! তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য হয়, তাহলে আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে আল্লাহর কাছে তোমার জন্য ক্ষমা চাই”। তখন লোকটি বলল, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন, এমন কাজ আমি আর কখনো করব না।
* * এক ব্যক্তি হযরত আলী ইবন আবি তালিব (রা ) এর নিকট এসে বলল, অমুক আপনার নামে কুৎসা রটিয়েছে ও গালি দিয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চল। সে তাকে ওই ব্যক্তির কাছে নিয়ে গেল। লোকটি ভেবেছিল হযরত আলী তার কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তিনি তাকে গিয়ে বললেন, “হে ভাই ! তুমি যা বলেছ তা যদি সত্য হয়, তাহলে আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে আল্লাহর কাছে তোমার জন্য ক্ষমা চাই”। তখন লোকটি বলল, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন, এমন কাজ আমি আর কখনো করব না।
তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে কতক লোক ঘুমিয়ে থাকলে শেখ সাদী(রহ:) তাদের সমালোচনা করেন এবং বলেন, এই লোকগুলো যদি তাহাজ্জুদ পড়তো তবে কতই না ভালো হত । সাদীর পিতা একথা শুনে বলেন, কতই না ভালো হত যদি তুমি তাহাজ্জুদ না পড়ে এদের মত ঘুমিয়ে থাকতে । তাহলে এদের গীবত করার পাপ তোমার ঘাড়ে চাপত না ।"
(ইহয়া উলূমিদ-দীন)
৪৯: আল-হুজুরাত:১১,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّۚ وَ لَا تَلْمِزُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِؕ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِۚ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
হে ঈমানদারগণ, পুরুষরা যেন অন্য পুরুষদের বিদ্রূপ না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম। আর মহিলারাও যেন অন্য মহিলাদের বিদ্রূপ না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অপরকে বিদ্রূপ করো না। এবং পরস্পরকে খারাপ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর গোনাহর কাজে প্রসিদ্ধি লাভ করা অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। যারা এ আচরণ পরিত্যাগ করেনি তারাই জালেম।
* পাথর আদম আ: কে তিরস্কার করলে পাথরের রং কালো হয়ে যায়,এ ঘটনা আল্লামা সফুরী ( রঃ ) “ নােযহাতুল মাজালেস ওয়া মােন্তাখাবুন নাফায়েস গ্রন্থে আইয়ামুল বীয অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন । কবিরা গুনাহ-30
হযরত আদম আলাইহিস সালাম যখন আল্লাহর নিষেধ ভুলে গিয়ে জান্নাতে নিষিদ্ধ । বৃক্ষের ফল খেলেন , তখন এ অপরাধে তার শরীরের রং কালাে হয়ে যায় এবং তাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দেয়া হয় । পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে আদেশ করলেন , তুমি আমার ঘর বায়তুল্লাহ বানিয়ে তার তওয়াফ কর , তা হলে আমি তােমার নিষিদ্ধ । বৃক্ষের ফল খাওয়ার অপরাধ ক্ষমা করব এবং তােমার তওবা কবুল করব । হযরত আদম আলাইহিস সালামের কাবা শরীফ বানানাে শেষ হলে হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) জান্নাত থেকে হাজারে আসওয়াদ এনে উপস্থিত করেন । তখন এ পাথরটির রং অত্যন্ত সাদা ছিল । এবং সেটির আলো বহু দূর দূরান্ত পর্যন্ত বিচ্ছুরিত হত । পাথরটির উপর হযরত আদম আলাইহিস সালামের দৃষ্টি পড়লে তার জান্নাতের আরাম আয়েশের কথা স্মরণ হয় । এতে তিনি মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়েন এবং তার চক্ষু থেকে অশ্রুধারা বিগলিত হতে শুরু করে । তখন জান্নাত থেকে আনীত সাদা পাথরটি তাকে বলল , হে আদম , আপনি । তাে সে ব্যক্তি , যে আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতা করে নিজের জন্য অনিষ্ট বরণ করে নিয়েছেন । এতে হযরত আদম আলাইহিস সালাম মনে অত্যন্ত কষ্ট পান । তিনি আল্লাহর দরবারে নিবেদন করলেন , ইয়া আল্লাহ , আমার গােনাহের কারণে সব বস্তুই আমাকে মন্দ বলছে । এমনকি জান্নাতী পাথরও যা ইচ্ছা তাই বলল । এতে আল্লাহ্ তা'আলা হযরত আদম আলাইহিস সালামের উপর দয়ার্দ্র এবং পাথরের উপর অসন্তুষ্ট হন । তিনি আদম আলাইহিস সালামের কালাে রং পাথরকে এবং পাথরের শুভ্রতা হযরত আদম আলাইহিস সালামকে দান করেন । ফলে সাদা পাথরটি কালাে বর্ণ ধারণ করে এবং তার নামকরণ হয় হাজারে অসিওয়াদ ( কালাে পাথর ) । আর হযরত আদম আলাইহিস সালামের দেহ আলােকিত হয়ে এ ঘটনা আল্লামা সফুরী ( রঃ ) “ নােযহাতুল মাজালেস ওয়া মােন্তাখাবুন নাফায়েস গ্রন্থে আইয়ামুল বীয অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন ।
কবিরা গুনাহ- 30
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ سَتَرَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ سَتَرَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ كَشَفَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ كَشَفَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ حَتَّى يَفْضَحَهُ بِهَا فِي بَيْتِهِ " .
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গুপ্ত (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবে, আল্লাহ তার গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবেন, এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন। [২৫৪৬]
ফুটনোটঃ
[২৫৪৬] হাদিসটি ইমাম ইবনু মাজাহ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। আত-তালীকুর রাগীব৩/১৭৬, সহীহাহ ২৩৪১। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. ইয়াকুব বিন হুমায়দ বিন কাসিব সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৭০৮৬, ৩২/৩১৮ নং পৃষ্ঠা) ২. মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-জুমাহী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৬, ২৬/৮৪ নং পৃষ্ঠা) ৩. হাকাম বিন আবান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার মাঝে দুর্বলতা রয়েছে। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৪২২, ৭/৮৬ নং পৃষ্ঠা)
উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু মুহাম্মাদ বিন উসমান আল-জুমাহী এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ২১৯ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ২ ত খুবই দুর্বল, ৩৭ টি দুর্বল, ৯০ টি হাসান, ৯০ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মুসলিম ২৫৯২, আবু দাউদ ৪৮৯১, আহমাদ, ৭৮৮২, ৮৯৯৫, ২৭৪৮৪, ১০৩৮২, ১৬১৬০, ১৬৫১১, ১৬৮৮০, ১৬৮৮১, ১৬৯৪০, ১৬৯৪৪, ১৬৯৯৪, ১৭০০১, ২২৬৭৩, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ১৮৯৩৩, ১৮৯৩৫, ১৮৯৩৬, মুজামুল আওসাত ১৪৮১, ৪৯৯২, ৬১৫২, ৭৯২৬, ৮০৮৫, ৮১৩৩, ৮৭০৫, আল-ফাওয়াইদ ১০২১।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৫৪৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* এবাদতে গীবত অমুক ভালভাবে নামায আদায় করে না , তাহাজ্জুদ পড়ে না , নফল নামায পড়ে না , রমযানুল মােবারকের রােযা আদায়ে জটি করে , অথবা মাকরূহ ওয়াক্তে নামায আদায় করে- এসব বলা এবাদত সম্পর্কিত গীবত । এ সম্পর্কে নিয়ে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে ।
* প্রথম ঘটনা । এক লােক আরেক লােকের গীবত করল এবং বলল , আমি আল্লাহর উদ্দেশে অমুকের সাথে শত্রুতা রাখি । যার সম্পর্কে এরূপ বলা হল তিনি জানতে পেরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলেন , ইয়া রাসূলাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , অমুক আমার গীবত করেছে এবং আমার সাথে শত্রুতা পােষণের কথা বলেছে । আপনি তাকে ডাকিয়ে আমার ইনসাফ করুন । রাহমাতুল লিলআ'লামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গীবতকারীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন , তুমি কেন অমুকের প্রতি শত্রুতা পােষণ কর । তিনি বলতে শুরু করলেন , আমি তার প্রতিবেশী । সে পাঁচ ওয়াক্ত ব্যতীত আর কোন নামাযই পড়ে না , রমযানের রােযা ব্যতীত কোন নফল রোযা রাখে না , ফরয যাকাত ব্যতীত কখনাে সদকা দেয় না । এ সব কারণে আমি তার সাথে শত্রুতা পােষণ করি । যার গীবত করা হয়েছে- তিনি উল্লিখিত অভিযােগসমূহ শুনে বলতে লাগলেন , ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম , তাকে জিজ্ঞেস করুন , আমি কি কোন ফরয আদায়ে জটি করি ? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গীবতকারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন , ইয়া রাসূলাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , সে ফরযসমূহ আদায়ে কোন প্রকার ত্রুটি করে না এবং যথানির্দেশ সে তা আদায় করে , কিন্তু সে যেহেতু নফল এবাদত করে না , তাই আমার অন্তর তার প্রতি খাপ্পা । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কাহিনী শুনে শক্রতা পােষণকারী গীবতকারীকে বললেন , উঠ , তুমি যার সাথে শত্রুতা পােষণ করছ এবং গীবত করছ , সম্ভবত পরিণামে সে তােমার থেকে উত্তম । অতএব , তার গীবত করা এবং তার সাথে শত্রুতা পােষণ করা তােমার জন্য অসমীচীন ।। ইমাম গাযালী ( রাঃ ) এ ঘটনা আসবাবুল গীবত অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন,কবিরা গুনাহ-29
গীবত করা মানুষ গুলো
সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর,
ছড়িয়ে যাক ভালবাসা
প্রান থেকে প্রান পরষ্পর।
হিংসার আগুন জ্বেলে তারা
নষ্ট করে মনের ঘর।
সমালোচনায় ব্যস্ত ওরা
হলেই তাদের অগোচর।
মানসিকতায় নিচু ওরা
হিংসে কাটে জীবনভর।
অন্যের দোষ খুঁজে তারা
নিজের জন্যে ক্ষতিকর।
অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে
কর্ম করে হাস্যকর।
ধর্মকর্ম করেও তাদের
জাহান্নাম হবে আপন ঘর।
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَاهِدًا، يُحَدِّثُ عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرَيْنِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا هَذَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ، وَأَمَّا هَذَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ دَعَا بِعَسِيبٍ رَطْبٍ، فَشَقَّهُ بِاثْنَيْنِ، فَغَرَسَ عَلَى هَذَا وَاحِدًا وَعَلَى هَذَا وَاحِدًا ثُمَّ قَالَ " لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا، مَا لَمْ يَيْبَسَا ".
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দুটি কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ নিশ্চ্য়ই এ দু‘জন কবরবাসীকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তবে বড় কোন গুনাহের কারণে কবরে তাদের আযাব দেয়া হচ্ছে না। এই কবরবাসী প্রস্রাব করার সময় সতর্ক থাকত না। আর ঐ কবরবাসী গীবত ক‘রে বেড়াত। এরপর তিনি খেজুরের একটি কাঁচা ডাল আনিয়ে সেটি দু‘টুকরো করে এক টুকরো এক কবরের উপর এবং এক টুকরো অন্য কবরের উপর গেড়ে দিলেন। তারপর বললেনঃ এ ডালের টুকরো দু‘টি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই তাদের শাস্তি কমিয়ে দিবেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫১৩)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬০৫২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
_______________
69 গীবত বা পরনিন্দা, অন্যর দোষত্রুটি তালাশ করা
* কারো কাছে কোন ব্যক্তির দৈহিক ত্রুটি উল্লেখ করাও গীবত ।
যেমন বলা,অমুক ব্যক্তি খুব মোটা, তার নাক বোঁচা, চোখ খুবি ছোট, চোখে দেখে না, মাথায় তো চুল নাই, পেটে ভূড়ি আছে,সে তো খুবি খাট
* হযরত সাফিয়া রা: খর্বাকৃতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে রাসূল সা: এর অন্যান্য স্ত্রীগন হাসাহাসি শূরু করলে আল্লাহ তায়ালা ওহী নাযিল করলেন,৪৯: আল-হুজুরাত:১১,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّۚ وَ لَا تَلْمِزُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِؕ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِۚ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ
* গীবত করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন,আল হুজরাত -১২
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
* গীবত কাকে বলে,মুয়াত্তা ইমাম মালিক, ১৭৯৪
أَنَّ الْمُطَّلِبَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْطَبَ الْمَخْزُومِيَّ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا الْغِيبَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺَ أَنْ تَذْكُرَ مِنْ الْمَرْءِ مَا يَكْرَهُ أَنْ يَسْمَعَ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ وَإِنْ كَانَ حَقًّا قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺَ إِذَا قُلْتَ بَاطِلًا فَذَلِكَ الْبُهْتَانُ
* গীবত কারীর ইমান মৌখীক আন্তরীক নয়, যারা গীবত করে তাদের ঈমান ভেতরে প্রবেশ করেনি,সুনানে আবু দাউদ,৪৮৮০
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ " يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ
* গুনাহের গীবত,পাথর আদম আ: কে তিরস্কার করলে পাথরের রং কালো হয়ে যায়,এ ঘটনা আল্লামা সফুরী রঃ নােযহাতুল মাজালেস ওয়া মােন্তাখাবুন নাফায়েস গ্রন্থে আইয়ামুল বীয অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন,কবিরা গুনাহ-30
* এবাদতে গীবত অমুক ভালভাবে নামায আদায় করে না,তাহাজ্জুদ পড়ে না,নফল নামায পড়ে না,রমযানুল মােবারকের রােযা আদায়ে ত্রুটি করে,অথবা মাকরূহ ওয়াক্তে নামায আদায় করে-এসব বলা এবাদত সম্পর্কিত গীবত
* এক লােক আরেক লােকের গীবত করল এবং বলল,আমি আল্লাহর উদ্দেশে অমুকের সাথে শত্রুতা রাখি-কবিরা গুনাহ-29
* তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে কতক লোক ঘুমিয়ে থাকলে শেখ সাদী রহ: তাদের সমালোচনা করেন,ইহয়া উলূমিদ-দীন
* এক ব্যক্তি হযরত আলী ইবন আবি তালিব রা এর নিকট এসে বলল, অমুক আপনার নামে কুৎসা রটিয়েছে ও গালি দিয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চল।
* আবু বকর ,ওমর রাঃ খাদেমের গোস্ত খেয়েছে, গীবত পৃঃ 27
* যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গুপ্ত (অপরাধের) বিষয় গোপন রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবে, আল্লাহ তার গোপন বিষয় ফাঁস করে দিবেন, এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন। ইবনে মাজাহ,২৫৪৬ সহিহ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ " مَنْ سَتَرَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ سَتَرَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ كَشَفَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ كَشَفَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ حَتَّى يَفْضَحَهُ بِهَا فِي بَيْتِه
* কখনো কখনো অন্যর দোষ তালাশ করা ইবাদত,ইমামগন হাদীস সংগ্রহ করেন ব্যক্তির চরিত্র যাচাই করে,বুখারী র: হাদিস সংগ্রহ করেন, যানতে পারেন অমুক এলাকায় একজন মুহাদ্দিস আছে
* গীবত কারীর শাস্তি কবরে, মৃত্যুর পর গীবত কারীর নখগুলো তামার তৈরী হবে এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারতে থাকবে,সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৮
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِم
গীবত করা মানুষ গুলো
সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর,
ছড়িয়ে যাক ভালবাসা
প্রান থেকে প্রান পরষ্পর।
হিংসার আগুন জ্বেলে তারা
নষ্ট করে মনের ঘর।
সমালোচনায় ব্যস্ত ওরা
হলেই তাদের অগোচর।
মানসিকতায় নিচু ওরা
হিংসে কাটে জীবনভর।
অন্যের দোষ খুঁজে তারা
নিজের জন্যে ক্ষতিকর।
অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে
কর্ম করে হাস্যকর।
ধর্মকর্ম করেও তাদের
জাহান্নাম হবে আপন ঘর।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ بْنِ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ يَحْيَى الْمَعَافِرِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ " . أُرَاهُ قَالَ " بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَىْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ حَبَسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَالَ " .
সাহল ইবনু মু’আয ইবনু আনাস আল্-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতার থেকে বর্ণিতঃ:
নাবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে মুনাফিক হতে রক্ষা করবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার শরীর জাহান্নাম হতে রক্ষার জন্য একজন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে তাকে মহান আল্লাহ জাহান্নামের সেতুর উপর প্রতিরোধ ব্যবস্থা করবেন যতক্ষণ না তার কৃতকর্মের ক্ষতিপূরণ হয়।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮৩
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
_______________
69 গীবত-২য়
* গীবত করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন,আল হুজরাত -১২
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ
① কিছু কিছু গীবত ফরয পর্যায়ের,যেমন, কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে বলা
② কিছু কিছু গীবত ওয়াজিব পর্যায়ের, যার আকিদা ইমাম ও মাদরাসার শিক্ষকদের আগে,ব্যস্যারা জান্নাতে যাবে,ইসলাম বিরোধী কথা বলায় এ দেশের আলেমগন প্রতিবাদ করছে
③ যায়েজ পর্যায়ের গীবত হলো,ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ রোধে মানুষকে সচেতন করা
* গীবত যেনার চেয়ে কঠিন,কারন যেনা হাক্কুল্লাহ,গীবত হাক্কুল ইবাদ
* ওয়াইল নামক দোজখে যাবে,যারা সামনে নিন্দা করে, পেছনে দোষ প্রচার কর,হুমাযাহ:১
وَیْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةِ ﹰۙ
* মোমেনের গুন হলো, গীবত তথা বাজে কথা বলবেও না শুনবেও না,২৩: আল-মু’মিনূন:৩,
وَ الَّذِیْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَۙ
* নিশ্চয় কান,চক্ষু,অন্তকরনকে জিগ্গাসা করা হবে,১৭: বনী ইসরাঈল:৩৬,
وَ لَا تَقْفُ مَا لَیْسَ لَكَ بِهٖ عِلْمٌؕ اِنَّ السَّمْعَ وَ الْبَصَرَ وَ الْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْـٴُـوْلًا
* যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে মুনাফিক হতে রক্ষা করবে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তার শরীর জাহান্নাম হতে রক্ষার জন্য একজন ফেরেশতা প্রেরণ করবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে অপমান করার উদ্দেশ্যে তাকে দোষারোপ করবে তাকে মহান আল্লাহ জাহান্নামের সেতুর উপর প্রতিরোধ ব্যবস্থা করবেন যতক্ষণ না তার কৃতকর্মের ক্ষতিপূরণ হয়।সুনানে আবু দাউদ, ৪৮৮৩: হাসান
عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَمَى مُؤْمِنًا مِنْ مُنَافِقٍ " . أُرَاهُ قَالَ " بَعَثَ اللَّهُ مَلَكًا يَحْمِي لَحْمَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ نَارِ جَهَنَّمَ وَمَنْ رَمَى مُسْلِمًا بِشَىْءٍ يُرِيدُ شَيْنَهُ بِهِ حَبَسَهُ اللَّهُ عَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ حَتَّى يَخْرُجَ مِمَّا قَال
* গুনাহের গীবত,পাথর আদম আ: কে তিরস্কার করলে পাথরের রং কালো হয়ে যায়,এ ঘটনা আল্লামা সফুরী রঃ নােযহাতুল মাজালেস ওয়া মােন্তাখাবুন নাফায়েস গ্রন্থে আইয়ামুল বীয অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন,কবিরা গুনাহ-30
* এক ব্যক্তি হযরত আলী ইবন আবি তালিব রা এর নিকট এসে বলল, অমুক আপনার নামে কুৎসা রটিয়েছে ও গালি দিয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে তার কাছে নিয়ে চল।
* আবু বকর ,ওমর রাঃ খাদেমের গোস্ত খেয়েছে, গীবত পৃঃ 27
* এবাদতে গীবত অমুক ভালভাবে নামায আদায় করে না,তাহাজ্জুদ পড়ে না,নফল নামায পড়ে না,রমযানুল মােবারকের রােযা আদায়ে ত্রুটি করে,অথবা মাকরূহ ওয়াক্তে নামায আদায় করে-এসব বলা এবাদত সম্পর্কিত গীবত
* এক লােক আরেক লােকের গীবত করল এবং বলল,আমি আল্লাহর উদ্দেশে অমুকের সাথে শত্রুতা রাখি ইমাম গাযালী ( রাঃ ) এ ঘটনা আসবাবুল গীবত অধ্যায়ে উদ্ধৃত করেছেন-কবিরা গুনাহ-29
* গীবত কারীকে হাদিয়া দেওয়া বুজুর্গ ব্যক্তিগনের আমল
* গীবত কারীর বাড়িতে ইমাম আবু হানিফা (র:) মিষ্টি নিয়ে হাজির হন
* হাসান বসরী (র:) গীবতকারীর বাড়ীতে হাদিয়া প্রেরন করেন
* গীবত করার কারনে কবরে আযাব হবে,সহিহ বুখারী, ৬০৫২ : সহিহ
ٍعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ عَلَى قَبْرَيْنِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا هَذَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنْ بَوْلِهِ، وَأَمَّا هَذَا فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ دَعَا بِعَسِيبٍ رَطْبٍ، فَشَقَّهُ بِاثْنَيْنِ، فَغَرَسَ عَلَى هَذَا وَاحِدًا وَعَلَى هَذَا وَاحِدًا ثُمَّ قَالَ " لَعَلَّهُ يُخَفَّفُ عَنْهُمَا، مَا لَمْ يَيْبَسَا
* গীবত কারীর শাস্তি কবরে, মৃত্যুর পর গীবত কারীর নখগুলো তামার তৈরী হবে এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারতে থাকবে,সুনানে আবু দাউদ, ৪৮৭৮
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِم
গীবত করা মানুষ গুলো
সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর,
ছড়িয়ে যাক ভালবাসা
প্রান থেকে প্রান পরষ্পর।
হিংসার আগুন জ্বেলে তারা
নষ্ট করে মনের ঘর।
সমালোচনায় ব্যস্ত ওরা
হলেই তাদের অগোচর।
মানসিকতায় নিচু ওরা
হিংসে কাটে জীবনভর।
অন্যের দোষ খুঁজে তারা
নিজের জন্যে ক্ষতিকর।
অন্যের ক্ষতি করতে গিয়ে
কর্ম করে হাস্যকর।
ধর্মকর্ম করেও তাদের
জাহান্নাম হবে আপন ঘর।
No comments