Header Ads

Header ADS

105  বিবাহ করা

*  বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। নিসা: ৩

وَ اِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تُقْسِطُوْا فِی الْیَتٰمٰى فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ مَثْنٰى وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ١ۚ فَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً 

#বিয়ে রাসুল (সা.)-এর সুন্নাত হওয়ায় তা ইবাদতের অংশ। গোটা বিবাহের অনুষ্ঠানটা ইবাদতের মধ্যে গণ্য হবে যদি নবীর তরিকায় চলে

#বিবাহের মূল কাজটা হয় নবীর তরিকায়। মূল কাজটা কি?

১. বিয়েতে স্বামী স্ত্রীর স্বীকৃতি

২. দেন মোহর ধার্য করা

৩. দুইজন সাক্ষী উপস্থিত। এগুলো হচ্ছে বিবাহের মূল কাজ

#আর কিছু কিছু কাজ হয় রাম শ্যাম যদু মধু বাপ ঠাকুরদার তরিকা বা শয়তানের তরিকায় যেমন:-

*  বরের লোকেরা কনের বাড়িতে যায় হলুদ মাখতে যেখানে পর্দা লংঘন হয়। এটা কার সুন্নত ? এটা হিন্দুদের প্রথা

*  গান বাদ্য বাজানো হয় এটা কার সুন্নত

* মহিলারা বসে গীত গাওয়া এটা কার সুন্নত?

*  গান বাদ্য যেখানে ভূমিকম্প সেখানে।

যখন বাদ্যযন্ত্র বেড়ে যাবে গায়িকেরা সম্মুখে এসে নাচবে। তুমি অপেক্ষা কর পাহাড়গুলি কেঁপে উঠবে পৃথিবীটা নড়ে উঠবে। ঝালজালা

اِذَا زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ زِلْزَالَهَاۙ

وَ اَخْرَجَتِ الْاَرْضُ اَثْقَالَهَاۙ

وَ قَالَ الْاِنْسَانُ مَا لَهَاۚ

یَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَهَاۙ

بِاَنَّ رَبَّكَ اَوْحٰى لَهَاؕ

*  মনে রাখবেন হারাম কাজ দিয়ে যে কাজ শুরু করা হয় ওই কাজে বরকত থাকে না

*  বিবাহের অনুষ্ঠানে ইসলামের কিছু অংশ মানা হয় আর কিছু অংশ শয়তানের খুশির জন্য হয়।বাক্বারাহ ৮৫

اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ

*  বিবাহের মোহরানা পরিশোধ করা ফরজ

وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحْلَةً١ؕ فَاِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَیْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوْهُ هَنِیْٓئًا مَّرِیْٓئًا

*  বিবাহের পর #স্ত্রীকে পর্দার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া প্রতিটি স্বামীর জন্য ফরজ 

* #বিয়ে করতে যাওয়া এক পুত্রকে তার পিতার উপদেশ মালা।

১। পালকিতে কেন নেওয়া হয় গরুর গাড়িতে নয় কেন? পালকিতে কাঁদে। স্ত্রী সবচেয়ে কষ্ট পায় স্বামীর বদব্যবহারে,দেখ আমি বদমেজাজি। এটাই নিয়ম। শশুর শাশুড়ির সাথে সুন্দর ব্যবহার করে চলবে। আল্লাহতালার পাল্লা সমান, এক পাল্লায় তুই যা করবি, আরেক পাল্লায় তিনি তাই রেখে দুই পাল্লার ওজন ঠিক রাখেন।

*  স্ত্রীদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে চলবেন। স্ত্রীরা বাম পাজরের বাঁকা হাড়ের তৈরি তাদের মধ্যে বক্রতা স্বভাব থাকবে। তাদের কথায় কর্কশতা অবলম্বন করা শোভনীয় নয়।

= আল্লাহতালার পাল্লা সমান, এক পাল্লায় তুই যা করবি, আরেক পাল্লায় তিনি তাই রেখে দুই পাল্লার ওজন ঠিক রাখেন।

* স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তার একটি উত্তম উদাহরণ রয়েছে হযরত ওমর (রাঃ)-এর জীবনে। খলিফা হযরত ওমরের খেলাফত কালের ঘটনা। এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল বেশ মুখরা ও ঝগড়াটে। সব সময় সে স্বমীকে জ্বালাতন করত।


_______________________________________________________


উকিল পিতা বানানোঃ

বিয়েতে উকিল বাপ পিতা বর্তমান থাকার পরও অন্যকে বানানো হয় যা শরীয়াত সন্মত নয়। শরীয়াতের নিয়ম হলো, উকিল বাপ হবে মেয়ের বাপ নিজেই বা অভিভাবকদের মধ্যে থেকে কোন মাহরাম ব্যক্তি যার সাথে দেখা দেওয়া জায়েজ আছে। ইসলামী বিয়েতে মেয়ের আইনগত অভিভাবকের অনুমতি অবশ্যই প্রয়োজন। যেসব মেয়ের বাবা বর্তমান আছেন তাদের বাবাই অভিভাবক, আরবীতে যাকে উকিল বলে। বাবার অবর্তমানে যিনি মেয়ের আইনগত অভিভাবক তিনি হলেন মেয়ের চাচা, মামা, ফুফা ইত্যাদি যিনি মেয়ের উকিলের দায়িত্ব পালন করবেন। আইনগত অভিভাবক ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে উকিল বানানো যাবেনা।

৯৯  আয-যিলযাল, আয়াত: ১


اِذَا زُلْزِلَتِ الْاَرْضُ زِلْزَالَهَاۙ


যখন পৃথিবীকে প্রবলবেগে ঝাঁকুনি দেয়া হবে।

৯৯  আয-যিলযাল, আয়াত: ২


وَ اَخْرَجَتِ الْاَرْضُ اَثْقَالَهَاۙ


পৃথিবী তার ভেতরের সমস্ত ভার বাইরে বের করে দেবে।

৯৯  আয-যিলযাল, আয়াত: ৩


وَ قَالَ الْاِنْسَانُ مَا لَهَاۚ


আর মানুষ বলবে, এর কি হয়েছে?

৯৯  আয-যিলযাল, আয়াত: ৪


یَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ اَخْبَارَهَاۙ


সেদিন সে তার নিজের (ওপর যা কিছু ঘটেছে সেই) সব অবস্থা বর্ণনা করবে।

৯৯  আয-যিলযাল, আয়াত: ৫


بِاَنَّ رَبَّكَ اَوْحٰى لَهَاؕ


কারণ তোমার রব তাকে (এমটি করার) হুকুম দিয়ে থাকবেন।


২  আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ৮৫


ثُمَّ اَنْتُمْ هٰۤؤُلَآءِ تَقْتُلُوْنَ اَنْفُسَكُمْ وَ تُخْرِجُوْنَ فَرِیْقًا مِّنْكُمْ مِّنْ دِیَارِهِمْ١٘ تَظٰهَرُوْنَ عَلَیْهِمْ بِالْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ١ؕ وَ اِنْ یَّاْتُوْكُمْ اُسٰرٰى تُفٰدُوْهُمْ وَ هُوَ مُحَرَّمٌ عَلَیْكُمْ اِخْرَاجُهُمْ١ؕ اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ


কিন্তু আজ সেই তোমরাই নিজেদের ভাই-বেরাদারদেরকে হত্যা করছো, নিজেদের গোত্রীয় সম্পর্কযুক্ত কিছু লোককে বাস্তভিটা ছাড়া করছো, যুলুম ও অত্যধিক বাড়াবাড়ি সহকারে তাদের বিরুদ্ধে দল গঠন করছো এবং তারা যুদ্ধবন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তাদের মুক্তির জন্য তোমরা মুক্তিপণ আদায় করছো। অথচ তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে উচ্ছেদ করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ‌ বেখবর নন।


৪  আন-নিসা, আয়াত: ৩


وَ اِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تُقْسِطُوْا فِی الْیَتٰمٰى فَانْكِحُوْا مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ مَثْنٰى وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ١ۚ فَاِنْ خِفْتُمْ اَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً اَوْ مَا مَلَكَتْ اَیْمَانُكُمْ١ؕ ذٰلِكَ اَدْنٰۤى اَلَّا تَعُوْلُوْاؕ


আর যদি তোমরা এতিমদের (মেয়েদের) সাথে বে-ইনসাফী করার ব্যাপারে ভয় করো, তাহলে যেসব মেয়েদের তোমরা পছন্দ করো তাদের মধ্য থেকে দুই, তিন বা চারজনকে বিয়ে করো। কিন্তু যদি তোমরা তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা করো, তাহলে একজনকেই বিয়ে করো। অথবা তোমাদের অধিকারে সেসব মেয়ে আছে তাদেরকে বিয়ে করো। বে-ইনসাফীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটিই অধিকতর সঠিক পদ্ধতি।


৪  আন-নিসা, আয়াত: ৪


وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحْلَةً١ؕ فَاِنْ طِبْنَ لَكُمْ عَنْ شَیْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوْهُ هَنِیْٓئًا مَّرِیْٓئًا


আর আনন্দের সাথে (ফরয মনে করে) স্ত্রীদের মোহরানা আদায় করে দাও। তবে যদি তারা নিজেরাই নিজেদের ইচ্ছায় মোহরানার কিছু অংশ মাফ করে দেয়, তাহলে তোমরা সানন্দে তা খেতে পারো।


*  ৪ টি বিয়ে করা সুন্নাত এটা পাগলেও বুঝে। কিন্তু বউকে পর্দায় রাখা যে ফরজ এটা অনেক শিক্ষিত লোকও বুঝে না

#এক, মেয়ে দেখা, আমাদের সমাজে মেয়ে দেখার জাহেলী নিয়ম চালু রয়েছে। মেয়ে দেখতে গেলে ইসলামী নিয়ম মানা হয় না। যিনি বিয়ে করবেন, তার সাথে এক গাদা পুরুষ লোক মেয়ে দেখতে যান।


অথচ ইসলামী নিয়ম হলো, যিনি বিয়ে করবেন, শুধু তিনি মেয়েকে দেখতে পারবেন। অন্য কোন পুরুষের জন্য মেয়ে দেখা শরীয়াতে সমর্থন করে না। 


#আট, বিয়েতে গান- বাজনা,, বিয়ে শাদীর মত পবিত্র অনুষ্ঠানে গান বাজনার সয়লাব। বিভিন্ন ধরনের গান বাজনার আসর বসে আজকালের বিয়েতে। একটা পবিত্র মজলিসকে কলুষিত করা হচ্ছে।


#দুই. গায়ে হলুদ, বিবাহ- শাদীতে গায়ে হলুদের প্রথা মহামারি আকারে ধারণ করেছে। গায়ে হলুদকে কেন্দ্র করে যত বেশরা কাজ আমাদের দেশে হয়।


অথচ ইসলামী পরিভাষায় গায়ে হলুদের কোন নিয়ম নেই।


*  একেই বলে পারিবারিক শিক্ষা ..


বিয়ে করতে যাওয়া এক পুত্রকে তার পিতার উপদেশ মালা।


বাবা বললেন, তোমার দাদা বলেছিলেন, 


১. নতুন বউকে পালকি করে কেন আনা হয় জানিস? তাকে তো গরুর গাড়িতেও আনা যেত। 


তা না করে পালকিতে আনা হয়, কারণ সে কত সম্মানিত তা বোঝানোর জন্য।


 পালকিতে নামানোর পর এ সম্মান কমানো যাবে না। সারাজীবন পালকির সম্মানেই তাকে রাখতে হবে। 


২. নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে জানিস?


 কাঁদে। কেন কাঁদে? 


শুধু ফেলে আসা স্বজনদের জন্য না। 


নতুন জীবন কেমন হবে সে ভয়েও কাঁদে। 


তোর চেষ্টা হবে পালকির কান্নাই যাতে তার শেষ কান্না হয়। 


এরপর আর মাত্র দুটো উপলক্ষ্যে সে কাঁদবে। 


একটি হলো মা হওয়ার আনন্দে, আরেকবার কাঁদবে তুই চলে যাওয়ার পর। 


মাঝখানে যত শোক আসবে তুই তার চোখের পানি মুছে দিবি। 


৩. স্ত্রী সবচেয়ে কষ্ট পায় স্বামীর বদব্যবহারে, 


দ্যাখ, আমি খুবই বদমেজাজি,


 কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমি তোর মায়ের সামনে কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেছি। 


৪. বিয়ে মানে আরেকটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া।


 এটা ঠিকভাবে পালন না করলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকতে হয়। 


৫. আরেকটি কথা, সব মেয়ের রান্নার হাত ভালো না, কিন্তু সবাই রান্না ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। 


তাই রান্না নিয়ে বউকে কখনো খোঁটা দিবি না। 


৬. বউয়ের মা-বাবাকে কখনো 'আমার শ্বশুর, আমার শাশুড়ি' এগুলো ডাকবি না। 


মা-বাবা ডাকবি। 


আগের ডাকগুলো কোনো মেয়ে পছন্দ করে না, তুই ওগুলো ডাকলে বউও আমাদের ওই ডাকেই ডাকবে।


 তুই ওনাদের সম্মান না করলে সে আমাদের সম্মান করবে না। 


এটাই নিয়ম। 


আল্লাহতালার পাল্লা সমান, এক পাল্লায় তুই যা করবি, আরেক পাল্লায় তিনি তাই রেখে দুই পাল্লার ওজন ঠিক রাখেন।


* বিবাহের সময় ছেলে-মেয়েদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করা যাবে কি?


উত্তর : এগুলি বিজাতীয় কুসংস্কার থেকে এসেছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৪৭ ‘পোষাক’ অধ্যায়)। অতএব এগুলি অবশ্যই পরিত্যাজ্য।


* স্ত্রীদের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে তার একটি উত্তম উদাহরণ রয়েছে হযরত ওমর (রাঃ)-এর জীবনে। খলিফা হযরত ওমরের খেলাফত কালের ঘটনা। এক ব্যক্তির স্ত্রী ছিল বেশ মুখরা ও ঝগড়াটে। সব সময় সে স্বমীকে জ্বালাতন করত। স্বামী বেচারা স্ত্রীর দুর্ব্যবহারে অতিষ্ট হয়ে এ ব্যাপারে নালিশ জানাতে একদিন সে হাজির হল হযরত ওমর (রাঃ) এর দরবারে। সে হযরত ওমরের বাড়ির ফটকে দাঁড়িয়ে খলিফার বের হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগল। এ সময় সে শুনতে পেল খলিফাকে তাঁর বিবি কঠোর ভাষায় বকাবকি করছেন। কিন্তু হযরত ওমর (রাঃ) কোন জওয়াব দিচ্ছেন না , বরং নীরবে সব শুনে যাচ্ছেন। এ ভাবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে লোকটি চলে যেতে উদ্যত হল। সে মনে মনে ভাবল, এমন প্রতাপশালী খলিফার যখন এমন হাল তখন আমি আর কোন ছাই।


এমন সময় খলিফা বাড়ির বের হয়ে দেখতে পেলেন লোকটি চলে যাচ্ছে। তিনি লোকটিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ“ কি হে বাপু, তুমি এলেই বা কেন, আর কিছু না বলে চলে যাচ্ছ কেন? ”


লোকটি জওয়াব দিল, “হুজুর, আমার স্ত্রী আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে , কথায় কথায় ঝগড়া করে । তার বিরুদ্ধে নালিশ করার জন্য আপনার দরবারে এসেছিলাম। কিন্ত দেখতে পেলাম আপনার হাল আমার চেয়ে ভাল নয়। তাই কিছু না বলেই চলে যাচ্ছি।”


হযরত ওমর (রাঃ) বললেন : “শোন ভাই, আমার উপর আমার বিবি সাহেবার বেশ কিছু অধিকার কাছে, আমি তাই তার এ বকাবকি সহ্য করছি। দেখ সে আমার খাবার রান্না করে, রুটি বানায়, কাপড় চোপড় ধোয় , বাচ্চাদেরকে দুধ খাওয়ায়। অথচ এ সব কাজ তার জন্য বাধ্যতামূলক নয়, সে স্বেচ্ছায়ই এ সব করে। এ সব কাজ করে সে আমাকে হারাম উপার্জন থেকে বাচিয়ে রাখে। এখন বল আমি কি তাকে সহ্য না করে পারি?”


লোকটি বললঃ “আমিরুল মুমিনীন,আমার বিবিও তো এরূপ। ”


হযরত ওমর (রাঃ) বললেন , “তা হলে তাকে সহ্য করতে থাক, ভাই । দুনিয়ার জীবনটা তো নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। ” 


খলিফাতুল মুসলিমীন- এর এ ভাষণ থেকে স্বামীদের শিক্ষা গ্রহণ করে স্ত্রীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করা প্রয়োজন। কারণ নূর নবী (সঃ) বলেছেনঃ ‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐ ব্যক্তি, যারা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সব চেয়ে ভাল ব্যবহার করে।’

No comments

Powered by Blogger.