41 আল্লাহর যাত এর পরিচয়
41 আল্লাহর যাত এর পরিচয়
অত্র আয়াতে আল্লাহ্ নিজেই তাঁর যাত ও সিফাতের পরিচয় এভাবে দিচ্ছেন। আনআম: ১০২
ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
* এক আল্লাহ সামনে কোনো মানুষ রব দাবি করে টিকতে পারে নাই নমরুদ ফেরাউন সাদ্দাত রব দাবি করে সূচনীয় পরাজয় বরণ করে
* সূরা ইখলাসে আল্লাহর যাতের পরিচয় এভাবে দেয়া হয়েছে
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اَللّٰهُ الصَّمَدُۚ لَمْ یَلِدْ١ۙ۬ وَ لَمْ یُوْلَدْۙ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ۠
* সূরা বাকারার - ২৫৫ আয়াতে আল্লাহর যাত ও সিফাতের কথা এভাবে বলা হয়েছে
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ
* মাসনাদে রাজ্জাকে বর্নিত হয়েছে,হযরত ইকরামা রা: বলেন, হযরত মুসা আঃ ফেরেস্তাদেরকে জিগ্গেস করেন, আল্লাহ তায়ালা কি নিদ্রা যান ? আল্লাহ পক্ষ থেকে অহি আসে ফেরেস্তাদের নিকট, মুসা নবীকে বল দুই হাতে দুটো গ্লাস নিয়ে তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকতে।মুলত এই জিগ্গেস ছিল বনি ইসরাইলদের
* সৃষ্টিকর্তা হলেন একজন। সৃষ্টিকর্তা একের অধিক হলে সৃষ্টি জগত পরিচালনায় বিরাট পার্থক্য থাকত। আম্বিয়া -২২
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا
,আল্লাহর সৃষ্টির এই নৈপুণ্যের মধ্যে কোনো স্পট নেই। সূরা মুলক-৩-৪ একদা এক দরবেশ বট গাছের নিছে শুয়ে আছেন। দরবেশ ভাবতে লাগলেন,বট গাছের তুলনায় ফলটি একেবারে ছোট
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَـٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
* ইমাম আবু হানিফা ও নাস্তিক একবার খলিফা হারুনুর রশীদের নিকট এক নাস্তিক এসে বললেন যে আপনার সাম্রাজ্যে এমন কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে ডাকুন আমি তাকে তর্ক করে প্রমান করে দেব যে এই পৃথীবির কোন স্রস্টা নেই। এগুলো নিজে নিজে সৃস্টি হয়েছে এবং আপনা থেকেই চলে
__________________________________________________________
41 আল্লাহর যাত এর পরিচয়
অত্র আয়াতে আল্লাহ্ নিজেই তাঁর যাত ও সিফাতের পরিচয় এভাবে দিচ্ছেন। আনআম: ১০২
ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
অত্র আয়াতে আল্লাহ্ নিজেই তাঁর যাত ও সিফাতের পরিচয় এভাবে দিচ্ছেন। আনআম: ১০২
ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
শব্দার্থ: ذَٰلِكُمُ = এই (হচ্ছেন) , اللَّهُ = আল্লাহ্, رَبُّكُمْ = তোমাদের রব, لَا = নেই, إِلَٰهَ = কোনোইলাহ, إِلَّا = ছাড়া, هُوَ = তিনি , خَالِقُ = তিনি স্রষ্টা, كُلِّ = সব, شَيْءٍ = কিছুরই, فَاعْبُدُوهُ = সুতরাং তোমরা ইবাদাতকরোতাঁরই, وَهُوَ = এবং তিনি ই, عَلَىٰ = উপর , كُلِّ = সব, شَيْءٍ = কিছুর, وَكِيلٌ = তত্ত্বাবধায়ক,
অনুবাদ: এ তো আল্লাহ তোমাদের রব। তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। সবকিছুর তিনিই স্রষ্টা। কাজেই তোমরা তাঁরই বন্দেগী করো। তিনি সবকিছুর তত্বাবধায়ক।
* সূরা ইখলাসে আল্লাহর যাতের পরিচয় এভাবে দেয়া হয়েছে
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اَللّٰهُ الصَّمَدُۚ لَمْ یَلِدْ١ۙ۬ وَ لَمْ یُوْلَدْۙ وَ لَمْ یَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ۠
* সূরা বাকারার - ২৫৫ আয়াতে আল্লাহর যাত ও সিফাতের কথা এভাবে বলা হয়েছে
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ
* সূরা বাকারার - ২৫৫ আয়াতে আল্লাহর যাত ও সিফাতের কথা এভাবে বলা হয়েছে
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ١ۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ١ۚ۬ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّ لَا نَوْمٌ١ؕ لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ١ؕ مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖ١ؕ یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْ١ۚ وَ لَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ١ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ١ۚ وَ لَا یَئُوْدُهٗ حِفْظُهُمَا١ۚ وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ
শব্দার্থ: اللَّهُ = আল্লাহ, لَا = নেই, إِلَٰهَ = কোনোইলাহ, إِلَّا = ছাড়া, هُوَ = তিনি , الْحَيُّ = চিরঞ্জীব, الْقَيُّومُ = সর্বসত্তারধারক, لَا = না, تَأْخُذُهُ = তাকে স্পর্শ করতে পারে, سِنَةٌ = তন্দ্রা, وَلَا = আর না, نَوْمٌ = ঘুম, لَهُ = তাঁরইজন্য, مَا = যা কিছু , فِي = মধ্যে (আছে) , السَّمَاوَاتِ = আকাশ সমূহের , وَمَا = এবং যা কিছু, فِي = মধ্যে (আছে) , الْأَرْضِ = পৃথিবীর, مَنْ = কে, ذَا = সে (এমনসম্পন্ন) , الَّذِي = যে, يَشْفَعُ = সুপারিশ করবে, عِنْدَهُ = তাঁর কাছে , إِلَّا = ছাড়া, بِإِذْنِهِ = তাঁরঅনুমতি, يَعْلَمُ = তিনি জানেন, مَا = যা (আছে) , بَيْنَ = (মাঝে) , أَيْدِيهِمْ = তাদের সামনে (হাতের) , وَمَا = এবং যা কিছু, خَلْفَهُمْ = তাদের পিছনে, وَلَا = এবং না , يُحِيطُونَ = তারা আয়ত্ত করতে পারে, بِشَيْءٍ = সামান্য কিছুও, مِنْ = হতে, عِلْمِهِ = তাঁরজ্ঞান, إِلَّا = এছাড়া, بِمَا = যাসেবিষয়ে, شَاءَ = তিনি চান, وَسِعَ = পরিব্যাপ্তকরেআছে, كُرْسِيُّهُ = তাঁর (কর্তৃত্ব) আসন, السَّمَاوَاتِ = আকাশ সমূহে, وَالْأَرْضَ = ওপৃথিবীতে, وَلَا = এবং না , يَئُودُهُ = তাঁকেক্লান্তকরে, حِفْظُهُمَا = এদুটোররক্ষণাবেক্ষণ, وَهُوَ = এবং তিনি , الْعَلِيُّ = সুউচ্চ (সত্তা) , الْعَظِيمُ = সুমহান,
অনুবাদ: আল্লাহ এমন এক চিরঞ্জীব ও চিরন্তন সত্তা যিনি সমগ্র বিশ্ব-জাহানের দায়িত্বভার বহন করছেন, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি ঘুমান না এবং তন্দ্রাও তাঁকে স্পর্শ করে না। পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? যা কিছু মানুষের সামনে আছে তা তিনি জানেন এবং যা কিছু তাদের অগোচরে আছে সে সম্পর্কেও তিনি অবগত। তিনি নিজে যে জিনিসের জ্ঞান মানুষকে দিতে চান সেটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না। তাঁর কর্তৃত্ব আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী। এগুলোর রক্ষণাবেক্ষন তাঁকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত করে না। মূলত তিনিই এক মহান ও শ্রেষ্ঠ সত্তা।
* মাসনাদে রাজ্জাকে বর্নিত হয়েছে,হযরত ইকরামা রা: বলেন, হযরত মুসা আঃ ফেরেস্তাদেরকে জিগ্গেস করেন, আল্লাহ তায়ালা কি নিদ্রা যান ? আল্লাহ পক্ষ থেকে অহি আসে ফেরেস্তাদের নিকট, মুসা নবীকে বল দুই হাতে দুটো গ্লাস নিয়ে তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকতে।মুলত এই জিগ্গেস ছিল বনি ইসরাইলদের
সমস্ত সৃষ্টি জগতের সৃষ্টি কর্তা মহান প্রভূ এক মাত্র আল্লাহ সুবহানাতা'য়ালা । তিনি সব সময় জাগ্রত থাকেন । উনার ঘুমের প্রয়োজন হয় না । একবার হযরত মূসা (আঃ) এর কৈাতূহল হলো এবং আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলেন , হে মা-বুদ আপনি কখন ঘুমান ? আল্লাহপাক উত্তর দিলেন - তিনি ঘুমান না । ঘুমের প্রয়োজন হয় না । তখন মূসা (আঃ) এর কাছে বিষয়টি খুব আশ্চর্য্য মনে হলো । বিষয়টা হজম করতে মনে হচ্ছিল ওনার কষ্ট হচ্ছিল । কারণ, উনি সৃষ্টি জগতের দিকে তাকিয়ে দেখেন - ঘুম ছাড়া কোন প্রানী-ই বাচেনা । মানুষ তো ঘুম ছাড়া এক-দুই দিন-ই টিকতে পারেনা ।
মহান রাব্বূল আলামিন মূসা (আঃ) এর মনের অবস্হা বুঝে বললেন, আচ্ছা তুমি এক কাজ করো । তুমি তোমার দুই হাতে দুই গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে দাড়িয়ে থাক । দেখি কত ক্ষণ থাকতে পারো । মূসা (আঃ) মনে মনে বললেন, এ আর এমন কি কাজ । তিনি গ্লাস হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকলেন । ঘন্টার পর ঘন্টা যায় । তিনি গ্লাস ধরে দাড়িয়ে আছেন । মাঝে মাঝে ঝিমুনি আসছে, কিন্তু তিনি মনে মনে জিদ করেছেন যে, না কোন ভাবেই অসতর্ক হওয়া যাবেনা । তিনি শক্তভাবে গ্লাস গুলো চেপে ধরে থাকছেন । কিন্তু এভাবে কতক্ষণ । শত হলেও তিনি মানুষ । এক সময় উনার ঝিমুনি আসলো এবং উনার হাত থেকে একটা গ্লাস পড়ে ভেঙ্গে গেলো । উনি লজ্জ্বা পেয়ে গেলেন । মনে মনে বললেন, হায় হায় ! আল্লাহর দেয়া এই সামান্য হুকুমটিও আমি করতে পারলাম না ।
আল্লাহ তখন মূসা (আঃ) জানালেন, হে মূসা ! কি হলো ? হে মূসা ! আমি যদি এক মহুর্তের জন্য ঘুমাই - তাহলে এই সমগ্র সৃষ্টি জগত ও মহাবিশ্ব - যা এখন সুন্দর ভাবে চলছে । কোথাও কোন বিশৃংখলা হচ্ছে না , তার মধ্যে বিশৃংখলতা দেখা দিবে । একে অপরের সাথে সংঘর্ষে মহুর্তেই তা বিলীন হয়ে যাবে । আমি এ সব কিছূকে সুন্দরভাবে ধরে রেখেছি বিধায় তা ঠিক ঠিক ভাবে চলছে ।
মূসা (আঃ) বুঝতে পারলেন এবং আল্লাহর কাছে এরকম প্রশ্ন করার জন্য মাফ চাইলেন ।
* সৃষ্টিকর্তা হলেন একজন। সৃষ্টিকর্তা একের অধিক হলে সৃষ্টি জগত পরিচালনায় বিরাট পার্থক্য থাকত। আম্বিয়া -২২
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا
একাধিক স্রষ্টা হলে সৃষ্টিতে সৌন্দর্যের বিঘ্ন গঠত, একজন বলতো আজকে সৃর্য পশ্চিম দিক থেকে উঠুক। আল আম্বিয়া-২২
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
শব্দার্থ: لَوْ = যদি, كَانَ = হতো, فِيهِمَا = তাদের উভয়েরমধ্যে, آلِهَةٌ = (আরোঅনেক) ইলাহ, إِلَّا = ছাড়া, اللَّهُ = আল্লাহ, لَفَسَدَتَا = অবশ্যই উভয়ইধ্বংসহতো, فَسُبْحَانَ = অতএব পবিত্র , اللَّهِ = আল্লাহ্, رَبِّ = রব, الْعَرْشِ = আরশের, عَمَّا = তাহতে যা, يَصِفُونَ = তারা বর্ণনা করে,
অনুবাদ: যদি আকাশে ও পৃথিবীতে এক আল্লাহ ছাড়া দ্বিতীয় কোন ইলাহ হতো তাহলে (পৃথিবী ও আকাশ) উভয়ের ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতো। কাজেই এরা যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছে আরশের রব আল্লাহ তা থেকে পাক-পবিত্র।
,আল্লাহর সৃষ্টির এই নৈপুণ্যের মধ্যে কোনো স্পট নেই। সূরা মুলক-৩-৪ একদা এক দরবেশ বট গাছের নিছে শুয়ে আছেন। দরবেশ ভাবতে লাগলেন,বট গাছের তুলনায় ফলটি একেবারে ছোট
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَـٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
* সৃষ্টিকর্তা হলেন একজন। সৃষ্টিকর্তা একের অধিক হলে সৃষ্টি জগত পরিচালনায় বিরাট পার্থক্য থাকত,আল্লাহর সৃষ্টির এই নৈপুণ্যের মধ্যে কোনো স্পট নেই। সূরা মুলক-৩-৪ একদা এক দরবেশ বট গাছের নিছে শুয়ে আছেন। দরবেশ ভাবতে লাগলেন,বট গাছের তুলনায় ফলটি একেবারে ছোট
الَّذِیْ خَلَقَ سَبْعَ سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا١ؕ مَا تَرٰى فِیْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفٰوُتٍ١ؕ فَارْجِعِ الْبَصَرَ١ۙ هَلْ تَرٰى مِنْ فُطُوْرٍ
শব্দার্থ: الَّذِي = তিনি ই, خَلَقَ = সৃষ্টি করেছেন , سَبْعَ = সাত, سَمَاوَاتٍ = আকাশ, طِبَاقًا = স্তরেস্তরে, مَا = না, تَرَىٰ = দেখতেপাবে, فِي = মধ্যে, خَلْقِ = সৃষ্টি র, الرَّحْمَٰنِ = দয়াবানের, مِنْ = কোন, تَفَاوُتٍ = অসঙ্গতি, فَارْجِعِ = অতএব ফিরাও, الْبَصَرَ = দৃষ্টিশক্তি, هَلْ = কি, تَرَىٰ = দেখতেপাও, مِنْ = কোন, فُطُورٍ = ত্রুটি,
অনুবাদ: তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?
(67:4)
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَیْنِ یَنْقَلِبْ اِلَیْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِیْرٌ
শব্দার্থ: ثُمَّ = আবার, ارْجِعِ = ফিরাও, الْبَصَرَ = দৃষ্টি, كَرَّتَيْنِ = বারবার, يَنْقَلِبْ = ফিরে আসবে , إِلَيْكَ = তোমারদিকে, الْبَصَرُ = দৃষ্টি, خَاسِئًا = ব্যর্থহয়ে, وَهُوَ = এবং তা ( হবে ) , حَسِيرٌ = ক্লান্তশ্রান্ত,
অনুবাদ: তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে।
(67:5)
وَ لَقَدْ زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِمَصَابِیْحَ وَ جَعَلْنٰهَا رُجُوْمًا لِّلشَّیٰطِیْنِ وَ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِیْرِ
শব্দার্থ: وَلَقَدْ = এবং নিশ্চয়, زَيَّنَّا = আমরা সাজিয়েছি, السَّمَاءَ = আকাশকে, الدُّنْيَا = নিকটবর্তী, بِمَصَابِيحَ = প্রদীপরাশিদিয়ে, وَجَعَلْنَاهَا = এবং তাআমরা বানিয়েছি, رُجُومًا = নিক্ষেপউপকরণ, لِلشَّيَاطِينِ = শয়তানদেরজন্য, وَأَعْتَدْنَا = এবং আমরা প্রস্তুতকরেরেখেছি, لَهُمْ = তাদের জন্যে , عَذَابَ = শাস্তি, السَّعِيرِ = প্রজ্জ্বলিতআগুনের,
অনুবাদ: আমি তোমাদের কাছের আসমানকে সুবিশাল প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি। আর সেগুলোকে শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি। এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।
* ইমাম আবু হানিফা ও নাস্তিক একবার খলিফা হারুনুর রশীদের নিকট এক নাস্তিক এসে বললেন যে আপনার সাম্রাজ্যে এমন কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে ডাকুন আমি তাকে তর্ক করে প্রমান করে দেব যে এই পৃথীবির কোন স্রস্টা নেই। এগুলো নিজে নিজে সৃস্টি হয়েছে এবং আপনা থেকেই চলে
* এক নাস্তিক আল্লাহ মানবে দুরের কথা কয় আল্লাহ বলতে কিছুই নাই, ইমাম আবু হানিফা রহ: সাথে নাস্তিকের বাহাস
ইমাম আবু হানিফা ও নাস্তিক
একবার খলিফা হারুনুর রশীদের নিকট এক নাস্তিক এসে বললেন যে আপনার সাম্রাজ্যে এমন কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে ডাকুন আমি তাকে তর্ক করে প্রমান করে দেব যে এই পৃথীবির কোন স্রস্টা নেই। এগুলো নিজে নিজে সৃস্টি হয়েছে এবং আপনা থেকেই চলে ।
খলিফা হারুনুর রশীদের কিছুক্ষন ভেবে একটি চিরকুট মারাফত ইমাম আবু হানিফাকে ডাকলেন ও এই নাস্তিকের সাথে বিতর্কে অংশ নিতে অনুরোধ করলেন।
ইমাম আবু হানিফা দুত মারাফত খবর পাঠালেন যে তিনি আগামীকাল যোহরের সময়
আসবেন খলিফার প্রাসাদে নামায পড়ে তারপর বির্তকে অংশ নেবেনপরদিন যোহরের নামাযের সময়
খলিফা তার সভাসদ বর্গ ও নাস্তিক তি অপেক্ষা করতে লাগল।
কিন্তু যোহরের নামায তো দুরের কথা আসর শেয় হয়ে গেল তিনি মাগরীবের নামাযের সময় আসলেন।
নাস্তিকটি তার কাছে এত দেরীতে আসার কারন জনতে চাইল
তিনি বললেন আমি দজলা নদীর ওপারে বাস করি।আমি খলীফার দাওয়াত পেয়ে নদীতে এসে দেখি কোন নৌকা নেই।
অনেকক্ষন অপেক্ষা করেও কোন নৌকা পেলাম না।
সহসা আমি দেখলাম একটি গাছ আপনা-আপনা উপরে পড়ল্তার পর সেটি চেরাই হয়ে নিজ থেকেই তক্তায় পরিনত হল।
তারপরএটি নিজেনিজে একটি নৌকায় পরিনত হল।অত:পর আমি এটায় চড়ে বসলাম।
নৌকাটি নিজে নিজে চলতে চলতে আমাকে এপারে পৌছিয়ে দিল।
নাস্তিকটি একথা শুনে হো হো করে হেসে ফেলল।
তাপর বলল ইমাম সাহেব আমাকে কি বোকা পেয়েছেন যে আমি এমন গাজাখুরি গল্প বিশ্বাস করব।
একটা গাছ আপনা থেকে নৌকায় পরিনত হবে, এটা কি করে সম্ভব?
ইমাম আবু হানিফা বললেন ওহে নাস্তিক সাহেব একটা গাছ যদি আপনা থেকে নৌকায় পরিনত না হতে পারে এবং নদী পরাপার না হতে পারে, তাহলে কিভাবে এই বিশাল আকাশ চন্দ্র সূর্য নক্ষত্র আপনা আপনি তৈরী হতে এবং চালু থাকতে পারে ??
নাস্তিকটি লা-জওয়াব হয়ে মুখ কাচুমাচু করে বিদায় নিল।
খলিফা হারুনুর রশীদ তার তাৎক্ষনিক জবাবে মুগ্ধ হয়ে ইমাম সাহেব কে সসম্মানে বিদায় দিলেন।
কোন তর্কে যাওয়ার আগেই নাস্তিকটি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে গেল।
শিক্ষাঃ নাস্তিক ও খোদাদ্রোহীদের কোন যুক্তি থাকে না।
বিচক্ষণতা ও সাহস নিয়ে তাদের মোকাবিলা করলেই তারা পরাজিত হতে বাধ্য।
______________________________
* সুতরাং আমাদের কত সুন্দর করে সৃষ্টি জগতকে সাজালেন,এক যুবতি মহিলা নদীর ঘাঠে কলসি নিয়ে যায়। দরবেশ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে,(তাফসিরুল কোরআন সাই:) তোমার সৃষ্টি যদি হয় এত সুন্দর নাজানিতা হলে তুমি কতো সুন্দর
*
* এক হুজুর নাস্তিকের জবাবে বলেন যার বাপের ঠিক নাই সে বলতে পাড়ে আল্লাহ বলতে কিছুই নেই।
* নাস্তিকদের ধারণা আল্লাহ বলতে কিছুই নেই eat drink খাও দাও ফুর্তি করো
* আমরা ও হযরত ইব্রাহীম নবীর মতো এক আল্লাহর বিশ্বাসে মেনে নিলাম। সুতরাং সমর্পক হবে ঈমানদারের সাথে, শত্রুতা থাকবে বেইমানের সাথে ৬০: আল-মুমতাহিনাহ:৪
قَدْ كَانَتْ لَكُمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِیْۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ الَّذِیْنَ مَعَهٗ١ۚ اِذْ قَالُوْا لِقَوْمِهِمْ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنْكُمْ وَ مِمَّا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ١٘ كَفَرْنَا بِكُمْ وَ بَدَا بَیْنَنَا وَ بَیْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَ الْبَغْضَآءُ اَبَدًا حَتّٰى تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَحْدَهٗۤ اِلَّا قَوْلَ اِبْرٰهِیْمَ لِاَبِیْهِ لَاَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَ مَاۤ اَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ١ؕ رَبَّنَا عَلَیْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَیْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ
* হযরত ইব্রাহীম আ: আসমান জমিনের স্রষ্টার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন ৬: আল-আনয়াম: ৭৯
اِنِّیْ وَجَّهْتُ وَجْهِیَ لِلَّذِیْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ حَنِیْفًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِیْنَۚ
_______________
58 মহরম: ৩, আল্লাহর যাত ও সিফাত
* তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা আল আনআম - ১০২)
ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ ۖ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ
তিনিই আল্লাহ তোমাদের পালনকর্তা। তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা। অতএব, তোমরা তাঁরই এবাদত কর। তিনি প্রত্যেক বস্তুর কার্যনির্বাহী।
لَّا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ وَهُوَ يُدْرِكُ الْأَبْصَارَ ۖ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
(আল আনআম - ১০৩)
দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ।
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
(আল ইখলাস - ১)
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
(আল বাকারা - ২৫৫)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
* মুসা (আ:) কয় আল্লাহ তুমি ঘুমাওনি
* এক নাস্তিক আল্লাহ মানবে দুরের কথা কয় আল্লাহ বলতে কিছুই নাই, ইমাম আবু হানিফার সাথে নাস্তিকের বাহাস (নাস্তিকের সাথে তর্কযুদ্ধ)
অনেক অনেক দিন আগের ঘটনা ৷এক দেশে বাস করত
এক নাস্তিক সে ছিল বড়ই অহংকারী | নিজেকে সে
মহাজ্ঞানী মনে করত | একদিন সে ঘোষনা করল এই
জগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই এটি প্রমাণিত | সুতরাং কে আছো আমার সাথে বিতর্ক করে প্রমান করবে জগতের সৃষ্টকর্তা আছে | আর তিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছন | নাস্তিক মনে মনে ভাবল আমার এই
চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করবে না |আর মুসলমানরা
আসলে আমি তাদের অনায়াসে হারিয়ে দেব | সারা
দেশে খবর ছড়িয়ে পরল।মুসলমানদের থেকে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলেন ইমাম আবু হানিফা | দিন তারিখ ধার্য করা হল, ২দিন পর ঐ স্থানে বিতর্ক
অনুষ্ঠিত হবে | নির্দিষ্ট সময়ে দলে দলে লোক জমা
হতে থাকে আল্লাহর অস্তিত্ব আছে কি নেই? এই
বিতর্ক অনুষ্ঠান শুনতে আর মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে ৷ ঠিক সময়ে শাস্তির গ্রন্থের বিশাল ভাণ্ডার নিয়ে | এবং ভাবছে আজ মুসলমানদের
নাজেহাল করে ছাড়বে | নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেছে
কিন্তু ইমাম সাহেব এখনো আসছেন না | সবার চোখে
মুখে চিন্তার ছাপ আর নাস্তিকের চেহারায় বিজয়ের
হাসি | সে ভাবছে ইমাম সাহেব পরাজয়ের লজ্জায়
পালিয়েছে ৷ তাই সে সভাপতি কে তার কথা ঘোষনা
করতে বলছে | আর মুসলমানরা লজ্জায় ও পরাজয়ের
আশংকায় প্রায় শেষ | এমন সময় দেখা যাচ্ছে ইমাম
আবু হানিফা আসছেন | নাস্তিক তাচ্ছিল্যের সুরে
বলে ইমাম সাহেব পরাজয়ের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন
বুঝি | ইমাম সাহেব বলেন ভাই আমি ঠিক সময়ে
আসতাম কিন্তু আমার বাড়ীর পাশে বিশাল নদী |
নদী পার হয়ে আসতে হয় কিন্তু যখন আসব দেখি কোন নৌকা আর মাঝি নেই | তাই আমি নৌকার অপেক্ষা করতে থাকি | এতে অনেক সময় চলে যায় | এরপর
হঠাৎ দেখি একটি গাছ কেটে পড়ে যায় আর নিজে নিজে কেটে তক্তা হতে থাকে | শেষে আপনা আপনি
জোড়া লেগে নৌকা হয়ে যায়| অতপর আমি নৌকা চরে বসি আর নৌকা নিজে নিজে আমাকে পার করে দেয়। নাস্তিক এই কথা শুনে হাসতে হাসতে খুন | বলে ইমাম সাহেব আপনাকে বুদ্ধিমান মনে করি ছিলাম কিন্তু পরাজয়ের ভয়ে আপনি এমন আজগবি কাহিনী
শুনালেন? ইমাম বললেন ভাই সত্যি কথা | নাস্তিক
এবার রেগে গিয়ে বলে রাখেন মিয়া! নৌকা কি
এমনি এমনি হতে পারে? আবার আপনাকে পার করে দিল | ফাজলামি জায়গা পান না | তখন ইমাম সাহেব
বলেন যদি এই সামান্য একটি নৌকা নিজে নিজে
না হতে পারে! তাহলে এই সুবিশাল আকাশ এই কোটি
কোটি গ্রহ নক্ষত্র, পাহাড় পর্বত | কোটি কোটি
মানুষ কারো সাথে কারো চেহারার মিল নেই, এমনিতে
একা একাই সৃষ্টি হয়ে গেল?? নাস্তিক এই জবাব শুনে একদম চুপ হয়ে গেল | আর মুসলমানরা বিজয়ের তাকবীর
দিতে লাগল |
নারায়ে তাকবীর (আল্লাহু আকবার)
* দুই খোদা হলে সৃষ্টি জগতে পার্থক্য থাকত,কত সুন্দর করে বানালেন, যুবতি মহিলা নদীর ঘাঠে কলসি নিয়ে যায়, তোমার সৃষ্টি যদি হয় এত
* বট গাছের নিছে দরবেশ দেখে বটের ফল ছোট
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَـٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ
(আল মুল্ক - ৩)
তিনি সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুণাময় আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টিতে কোন তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টিফেরাও; কোন ফাটল দেখতে পাও কি?
ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيرٌ
(আল মুল্ক - ৪)
অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।
* এক হুজুর নাস্তিকের জবাবে বলেন যার বাপের ঠিক নাই
* একাধিক স্রষ্টা হলে সৃষ্টিতে সৌন্দর্যের বিঘ্ন গঠত
لَوْ كَانَ فِيهِمَا آلِهَةٌ إِلَّا اللَّهُ لَفَسَدَتَا ۚ فَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَرْشِ عَمَّا يَصِفُونَ
(আল আম্বিয়া - ২২)
যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র।
* আমরা ও হযরত ইব্রাহীম নবীর মতো এক আল্লাহর বিশ্বাসে মেনে নিলাম। ৬০: আল-মুমতাহিনাহ,:আয়াত: ৪,
قَدْ كَانَتْ لَكُمْ اُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِیْۤ اِبْرٰهِیْمَ وَ الَّذِیْنَ مَعَهٗ١ۚ اِذْ قَالُوْا لِقَوْمِهِمْ اِنَّا بُرَءٰٓؤُا مِنْكُمْ وَ مِمَّا تَعْبُدُوْنَ مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ١٘ كَفَرْنَا بِكُمْ وَ بَدَا بَیْنَنَا وَ بَیْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَ الْبَغْضَآءُ اَبَدًا حَتّٰى تُؤْمِنُوْا بِاللّٰهِ وَحْدَهٗۤ اِلَّا قَوْلَ اِبْرٰهِیْمَ لِاَبِیْهِ لَاَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَ مَاۤ اَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللّٰهِ مِنْ شَیْءٍ١ؕ رَبَّنَا عَلَیْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَیْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ
তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান। তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেনঃ আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট। আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি। আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে--- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে। তবে ইবরাহীমের তাঁর বাপকে একথা বলা (এর অন্তর্ভুক্ত নয়) “আমি আপনার জন্য অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবো। তবে আল্লাহর নিকট থেকে আপনার জন্য নিশ্চিত কোন কিছু অর্জন করে নেয়া আমার আয়ত্বাধীন নয়।” (ইবরাহীম ও ইবরাহীমের দোয়া ছিলঃ ) হে আমাদের রব, তোমার ওপরেই আমরা ভরসা করেছি, তোমার প্রতিই আমরা রুজু করেছি আর তোমার কাছেই আমাদের ফিরে আসতে হবে।
* হযরত ইব্রাহীম আ: আসমান জমিনের স্রষ্টার দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন ৬: আল-আনয়াম,:আয়াত: ৭৯,
اِنِّیْ وَجَّهْتُ وَجْهِیَ لِلَّذِیْ فَطَرَ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ حَنِیْفًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِیْنَۚ
আমি তো একনিষ্ঠভাবে নিজের মুখ সেই সত্তার দিকে ফিরিয়ে নিয়েছি যিনি যমীন ও আসমান সৃষ্টি করেছেন এবং আমি কখনো মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই।”
No comments