160 আল্লাহ পাক চিরদিন বেচে থাকবেন,কেউ মারতে পারবে না
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
(আল বাকারা - ২৫৫)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না, কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তাঁর সিংহাসন সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে ধারণ করা তাঁর পক্ষে কঠিন নয়। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।
* নাস্তিক এক আল্লাহ মানবে দুরের কথা কয় আল্লাহ বলতে কিছুই নাই, আবু হানিফার সাথে নাস্তিকের বাহাস
* (নাস্তিকের সাথে তর্কযুদ্ধ)
অনেক অনেক দিন আগের ঘটনা ৷ এক দেশে বাস করত
এক নাস্তিক সে ছিল বড়ই অহংকারী | নিজেকে সে
মহাজ্ঞানী মনে করত | একদিন সে ঘোষনা করল এই
জগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নেই এটি প্রমাণিত |
সুতরাং
কে আছো আমার সাথে বিতর্ক করে প্রমান করবে
জগতের সৃষ্টকর্তা আছে | আর তিনি সবকিছু সৃষ্টি
করেছন | নাস্তিক মনে মনে ভাবল আমার এই
চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করবে না |আর মুসলমানরা
আসলে আমি তাদের অনায়াসে হারিয়ে দেব | সারা
দেশে খবর ছড়িয়ে পরল | মুসলমানদের থেকে
চ্যালেঞ্জ গ্রহন করলেন ইমাম আবু হানিফা | দিন
তারিখ ধার্য করা হল, ২দিন পর ঐ স্থানে বিতর্ক
অনুষ্ঠিত হবে | নির্দিষ্ট সময়ে দলে দলে লোক জমা
হতে থাকে আল্লাহর অস্তিত্ব আছে কি নেই? এই
বিতর্ক অনুষ্ঠান শুনতে আর মুসলমানদের অস্তিত্ব
রক্ষা করতে ৷ ঠিক সময়ে শাস্তির গ্রন্থের বিশাল
ভাণ্ডার নিয়ে | এবং ভাবছে আজ মুসলমানদের
নাজেহাল করে ছাড়বে | নির্দিষ্ট সময় হয়ে গেছে
কিন্তু ইমাম সাহেব এখনো আসছেন না | সবার চোখে
মুখে চিন্তার ছাপ আর নাস্তিকের চেহারায়
বিজয়ের
হাসি | সে ভাবছে ইমাম সাহেব পরাজয়ের লজ্জায়
পালিয়েছে ৷ তাই সে সভাপতি কে তার কথা ঘোষনা
করতে বলছে | আর মুসলমানরা লজ্জায় ও পরাজয়ের
আশংকায় প্রায় শেষ | এমন সময় দেখা যাচেছ ইমাম
আবু হানিফা আসছেন | নাস্তিক তাচ্ছিল্যের সুরে
বলে ইমাম সাহেব পরাজয়ের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন
বুঝি | ইমাম সাহেব বলেন ভাই আমি ঠিক সময়ে
আসতাম কিন্তু আমার বাড়ীর পাশে বিশাল নদী |
নদী
পার হয়ে আসতে হয় কিন্তু যখন আসব দেখি কোন
নৌকা আর মাঝি নেই | তাই আমি নৌকার অপেক্ষা
করতে থাকি | এতে অনেক সময় চলে যায় | এরপর
হঠাৎ
দেখি একটি গাছ কেটে পড়ে যায় আর নিজে নিজে
কেটে তক্তা হতে থাকে | শেষে আপনাআপনি
জোড়া
লেগে নৌকা হয়ে যায়| অতপর আমি নৌকা চরে বসি
আর নৌকা নিজে নিজে আমাকে পার করে দেয় |
নাস্তিক এই কথা শুনে হাসতে হাসতে খুন | বলে ইমাম
সাহেব আপনাকে বুদ্ধিমান মনে করি ছিলাম কিন্তু
পরাজয়ের ভয়ে আপনি এমন আজগবি কাহিনী
শুনালেন?? ইমাম বললেন ভাই সত্যি কথা | নাস্তিক
এবার রেগে গিয়ে বলে রাখেন মিয়া! নৌকা কি
এমনি এমনি হতে পারে? আবার আপনাকে পার করে
দিল | ফাজলামোর জায়গা পান না | তখন ইমাম
সাহেব
বলেন যদি এই সামান্য একটি নৌকা নিজে নিজে
না
হতে পারে! তাহলে এই সুবিশাল আকাশ এই কোটি
কোটি গ্রহ নক্ষত্র, পাহাড় পর্বত | কোটি কোটি
মানুষ
কারো সাথে কারো চেহারার মিল নেই, এমনিতে
একা একাই সৃষ্টি হয়ে গেল?? নাস্তিক এই জবাব শুনে
একদম চুপ হয়ে গেল | আর মুসলমানরা বিজয়ের
তাকবীর
দিতে লাগল |
নারায়ে তাকবীর (আল্লাহু আকবার)
الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
(আল বাকারা - ২৫৫)
* নমরুদ চেষ্টা করছিল আল্লাহকে মারার জন্য
নাফরমান নমরুদকে তো সবাই চিনেন! ঐ যে, যে আল্লাহ প্রদত্ত মশক গজবের দ্বারা জাহান্নাম প্রাপ্ত হয়েছিলো|
আমরা মাথা নাড়লাম|
তিনি আবারো শুরু করলেন
-সে ছিলো পৃথিবীর একটা অংশের অধিকর্তা। সে নিজেকে খোদা দাবী করত (বলেন নাউজুবিল্লাহ)। ইবরাহীম (আঃ) তাকে বললেন, সাত আসমানের উপর যিনি আসীন আছেন কেবল তিনিই খোদা এবং আমি তার রাসূল। এটা শুনে নমরুদ বেজায় চটে গেলো। সে বললো, দেখো, খোদা কেবল আমি। খোদা আর কেউ হতে পারে না। আমি তোমার খোদাকে মেরে ফেলবো! এসব শুনে মনক্ষুন্ন হয়ে ইবরাহীম (আঃ) সেখান থেকে প্রস্থান করলেন।
একা একা বসে নমরুদ ভাবতে লাগলো, বলেছে তো আল্লাহকে খুন করবে, কিন্তু কীভাবে?? অনেক চিন্তা-ভাবনা করে তার মাথায় একটি আইডিয়া খেললো। সে চারটি শকুন উত্তমরূপে পালার আদেশ দিলো। অতঃপর শকুনগুলো যখন খেয়েদেয়ে তাজা হয়ে উঠলো তখন নমরুদ একটা বাহন বানালো নিজেকে বহন করার উপযোগী করে। বাহনটির চার কোনায় চারটা শিকে চার টুকরা মাংস বেঁধে শকুন চারটির পায়ের সাথে বাহনটির চার কোনা এমনভাবে বাঁধলো যেনো শকুনের মুখের একটু উপরে মাংসের টুকরা ঝুলে থাকে (যাকে বলে মূলা ঝুলানো)। এভাবে নমরুদ উড়ে চললো। উড়তে উড়তে মেঘের ওপারে পেৌঁছালো এবং সেখান থেকে আকাশের দিকে তীর নিক্ষেপ করলো। এদিকে আল্লাহকে জিব্রাইল (আঃ) আগেই পুরো ব্যাপারটা জানালে আল্লাহ তাঁর বান্দার উপর প্রতিশোধ তো নিলেনই না বরং দয়া করলেন।
এখানে এসে আমীর সাহেব খুব জোশের সাথে বললেন
- বান্দা নাফরমানী করতে পারে কিন্তু দয়ার সাগর আল্লাহ তাঁর বান্দার খুশি দেখতে চান।
আল্লাহ জিব্রাইলকে আদেশ দিলেন তাঁর মাখলুকের যে কোন এক প্রজাতির নিকট থেকে রক্ত নিয়ে আসতে। জিব্রাইল ১৮ হাজার মাখলুকাতের সবার কাছে গেলো কিন্তু কেউ রক্ত দিতে রাজি হলো না শুধু মাছ বাদে। মাছ রক্ত দেয়ার বিনিময়ে এই বলে জিব্রাইলকে শপথ করিয়ে নিলো যে, আশরাফুল মাখলুকাত যেন আমাকে মরা অবস্থায়ও খেতে পারে।
জিব্রাইল সে শর্ত মেনে রক্ত নিয়ে নমরুদের ছোঁড়া তীরের মাথায় লাগিয়ে সে তীর নমরুদের নিকট ফেরত পাঠালো। নমরুদ খুশিমনে মাংসের টুকরাগুলো পৃথিবী অভিমুখে ঘুরিয়ে দিলো। শকুনগুলো তাকে নিয়ে চললো পৃথিবী পানে।
আমি শুনে মোটামুটি তব্দা খেয়ে গেলাম! এক প্রশ্নের উত্তর পেতে গিয়ে আরো গোটা কয় প্রশ্ন মাথায় কিলবিল শুরু করলো।
প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় এলো তা হচ্ছে- তাহলে আমরা ইউরি গ্যাগারিনকে প্রথম নভোচারী বলি কেন?? প্রথম নভোচারী তো নমরুদ...
———
আল্লাহ চিরদিন বেচে থাকবেন,কেউ মারতে পারবে না
اللَّهُ لَا إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ
* নাস্তিক এক আল্লাহ মানবে দুরের কথা কয় আল্লাহ বলতে কিছুই নাই, আবু হানিফার সাথে নাস্তিকের বাহাস
الْحَيُّ الْقَيُّومُ
* নমরুদ চেষ্টা করছিল আল্লাহকে মারার জন্য
* আল্লাহর সিফাতের পরিচয়
* বান্দার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ এই যে তিনি বান্দার বিপদের সময় আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থী হলে বান্দার ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ইয়া আরহামার রাহিমীন নামক ফেরেস্তা নিযুক্ত করে রেখেছেন । (ইবন কাসীর-১/৬০২;আল-বিদায়া-৪/৬৫)
* তিনি রাজ্জাক, রিজিকের দায়িত্ব কোনো নেতার হাতে অর্পণ করেননি
* তুমি বাঁচাও তুমি মারো অবিরত ক্ষমা করো, ধরার যেজন তাকেই ধর
সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লাইলাহা ইল্লাহ
* তুমি বাঁচাও তুমি মারো-অবিরত ক্ষমা কর'ধরার যে জন তাকেই ধর
তোমার মুঠোয় সবাই আল্লাহ
* তোমার রিযিক খেয়ে পরে-অবাধ্য হই কেমন করে,খুঁজে নাই পাই কোন ভাষা শোকর গুজার করার আল্লাহ
________________
* সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন(০৩)
যায়িদ ইবন হারেসা তায়েফ থেকে এই শর্তে এক ব্যক্তির একটি খচ্চর ভাড়া করেন যে,
সে তাঁকে খচ্চরের পিঠে চড়িয়ে নিয়ে যাবে এবং তাঁর ইচ্ছামত জায়গায় নামিয়ে দেবে !
লোকটি তাঁকে খচ্চরের পিঠে চড়িয়ে একটি বিরান বধ্যভূমিতে নিয়ে পৌছে এবং হত্যা
করতে উদ্যত হয় ৷ যায়িদ তখন তাকে বলেন আমাকে একটু সময় দিন, আমি দুই
রাকা'য়াত নামায আদায় করে নিই ৷ লোকটি বললো, ঠিক আছে, দুই রাকায়াত নামায
আদায় কর ৷ আর এই যে বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকা লাশগুলো দেখছো, তারাও তোমার
মত নামায পড়েছিল ৷ কিন্তু তাদের নামায কোন কাজে আসেনি ৷ যায়িদ নামায আদায়
করলেন ৷ তারপর লোকটি তাঁকে হত্যা করতে এগিয়ে এলো ৷ যায়িদ উচ্চারণ
করলেনঃ ইয়া আরহামার রাহেমীন---হে পরম করুণাময়! সাথে সাথে-~- তাকে হত্যা
কর না'--এই ধ্বনিটি শোনা গেল ৷ ধ্বনিটি কোথা থেকে এলো তা দেখার জন্য
লোকটি এদিক ওদিক তাকালো, কিন্তু কাউকে না পেয়ে আবার ফিরে এলো ৷ যায়িদ
আবারও ; 'ইয়া আরহামার রাহেমীন' উচ্চারণ করলেন ৷ আবারও ঠিক একই ধ্বনি শোনা
গেল এবং লোকটি একই কাজ করলো ৷ এভাবে তিনবার একই ঘটনা ঘটে ৷ তবে
তৃতীয়বার যায়িদ একজন অন্বারোহীকে দেখতে পেলেন, যার হাতে একটি বর্শী এবং
মাথায় আগুনের শিখা ৷ সে লোকটির দেহে বর্শা ঢুকিয়ে দিয়ে হত্যা করলো ৷ তারপর
যায়িদের দিকে ফিরে বললো ; তুমি প্রথমবার যখন আল্লাহকে ডাক তখন আমি ছিলাম
সপ্তম আকাশে, দ্বিতীয়বার ডাকার সময় ছিলাম পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে এবং
তৃতীয়বার ডাকার সময় তোমার কাছে এসে হাজির হয়েছি ৷
(ইবন কাসীর-১/৬০২;আল-বিদায়া-৪/৬৫)
* আজ থেকে প্রায় পাচ শত বৎসর
পূর্বের কথা দিল্লির শাহী জামে
মসজিদের ইমাম ও খাতিব দার্শনিক
আল্লামা শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে
দেহলওয়ী রাঃ এর জীবনের দার্শনিকতার এক বিরল
প্রমান, যার মুখের ফাতওয়ার মাধ্যমে পরা
শক্তিসালি বৃটিশ বেনিয়াযদের ২০০ শত বৎসরের
রাজত্যের বিরুদ্বে এ ভারত উপমহাদেশের মানুষ
সম্মিলত ভাবে লড়াই করে ভারতের মাটিকে
বৃটিশদের তাড়িয়ে দিয়ে স্বাদিন করেছেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
সে সময় দিল্লীর শাহী জামে মসজিদে এক সাথে
পনের হাজার মুসাল্লি নামাজ আদায় করতে পারত
মাসজিদের খাতিব শাহ সাব রাঃ মুসাল্লিদের উদ্দেশ্যে
ভাষণ দান কালে সব সময় পাগড়ির উপর যে রুমালটি,,,,
রাখতেন,, তা সর্বক্ষণ তার কপালের উপর দিয়ে
বেয়ে শাহ সাব রাঃ চোখ পর্যন্ত রুমালে ডেকে যেত,,,,,,,,
একদিন উনার এক শিষ্য জিঙ্গাসা করলেন হযরাত জি
কিছু মনে না করলে আপনাকে একটি বিসয় জিঙ্গাসা করতে পারব
কি,,,, শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলওয়ী রাঃ
ঐ শিষ্যকে অনুমতি দিয়ে বল্লেন,,, কি বিসয় বলেন
উনি বল্লেন, হযরাত প্রতিদিন নাসিহাতের সময় আপনাকে
দেখতে পাই যে মাথার উপরের রুমাল আপননার চোখ
পর্যন্ত ঢেকে নেয় তার কারণ কি,,,,,,
প্রথম এক দু দিন শাহ সাব রাঃ ঐ শিষ্যকে কোন উত্তর
দিলেননা,,,
তৃতীয় দিন যখন ঐশিষ্য পুনরায় আবার একি প্রশ্ন করলেন,,,।
তখন শাহ সাব রাঃ উনাকে বল্লেন আগামী শুক্রবারে
আমি যখন উপস্তিত মুসাল্লিদের সামনে নসিহত করব
তখন আপনি আমার নিকট যাবেন দেখবেন আপনার
প্রশ্নের উত্তর দিব,,,
শুক্রবার দিন আসার পর ঐ শিষ্য কথা মত
মসজিদ ভর্তি মুসাল্লিদের সামন দিয়ে শাহ সাবের
নিকট গমন করলেন,,,,,,,,
যাওর পর শাহ সাহেব রাঃ স্বীয় মাথার পাগড়ি মোবারক
রমালটি সহ ঐ শিষ্যের মাথায় তুলে দিলেন এবং বল্লেন দেখ,,,,,,,।
প্রিয় পাঠক বন্দ্বুগণ,,,,,,,,, , যখন এইশিষ্য হযরতের
পাগড়ি ও রুমাল মাথায় নিলেন তখন সাথে সাথে ভয়ে
উনি হতবম্ভ হয়ে পড়লেন,,, কারণ মসজিদ ভর্তি মুসাল্লি
থাকা সত্ব্যে ও মুসজিদের ভিতরে গুটি কয়েজন মানুষ ব্যতিত
বাকি সকল বাঘ, ভালোক, বানর, শুকুর, সাপ শিংহ,
ইত্যাদি ভয়ংকর হিংশ্র প্রণী দেখাযায়,,,
শাহ সাহেব রাঃকে জিঙ্গাসা করলেন এমন কেন,,,,,,,,,,,,,,,,,,
হযরাত জবাব দিলেন একারনেই আমার চোখ রুমালে
ঢেকে যায়,,,,,,,,,,,,,
এসব হচ্ছে মানুষদের আমলের ছুরত,, যার আমল যেমন
তার আমলের ছুরাত সে রকম,,,,,,
যে মানুষের আমল করেছে সে মানুষের রুপদারণ করেছে
আর যে হিংশ্র জানোয়ারের অভ্যাস করেছে সে হিংস
প্রাণীর রুপে রুপন্তরিত হয়েছে,,
No comments