Header Ads

Header ADS

161 অলি হওয়ার জন্য কি লাগল,আমলই নাজাতের কারণ পীর নয়


فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ


(আল বাকারা - ১৫২)


সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।


আমরা হই আল্লার, আল্লাহ হবেন আমাদের


খোদা তোমায় ডাকতে যানিনা


ডাক শুনবেন তখন যখন নামায থাকবে সবরের গুন থাকবে


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ


(আল বাকারা - ১৫৩)


হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।


وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا، وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً » . (خ, م, ت, جه ) صحيح


* কিয়ামতে ইব্রাহিম (আ:) এর পিতার সাক্ষাত ঘঠবে


حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَخِي عَبْدُ الْحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ، فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لاَ تَعْصِنِي فَيَقُولُ أَبُوهُ فَالْيَوْمَ لاَ أَعْصِيكَ‏.‏ فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ يَا رَبِّ، إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لاَ تُخْزِيَنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، فَأَىُّ خِزْىٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الأَبْعَدِ فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى إِنِّي حَرَّمْتُ الْجَنَّةَ عَلَى الْكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ يَا إِبْرَاهِيمُ مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ فَيَنْظُرُ فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُلْتَطِخٍ، فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ ‏"‏‏.‏


আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কেয়ামতের দিন ইবরাহীম (‘আঃ) তার পিতা আযরের দেখা পাবেন। আযরের মুখমন্ডলে কালি এবং ধূলাবালি থাকবে। তখন ইবরাহীম (‘আঃ) তাকে বলবেন, আমি পৃথিবীতে আপনাকে বলিনি যে, আমার অবাধ্যতা করবেন না? তখন তাঁর পিতা বলবে, আজ আর তোমার অবাধ্যতা করব না। অতঃপর ইবরাহীম (‘আঃ) আবেদন করবেন, হে আমার রব! আপনি আমার সঙ্গে ওয়াদা করেছিলেন যে, হাশরের দিন আপনি আমাকে লজ্জিত করবেন না। আমার পিতা রহম হতে বঞ্চিত হবার চেয়ে বেশী অপমান আমার জন্য আর কী হতে পারে? তখন আল্লাহ বলবেন, আমি কাফিরের জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। পুনরায় বলা হবে, হে ইবরাহীম! তোমার পদতলে কী? তখন তিনি নিচের দিকে তাকাবেন। হঠাৎ দেখতে পাবেন তাঁর পিতার জায়গায় সর্বাঙ্গে রক্তমাখা একটি জানোয়ার পড়ে রয়েছে। এর চার পা বেঁধে জাহান্নামে ছুঁড়ে ফেলা হবে। [১]


ফুটনোটঃ


[১] আল্লাহ্‌ তা’আলা ইবরাহীম (‘আঃ)-এর কাফির পিতার চেহারার পরিবর্তন ঘটিয়ে ইবরাহীম (‘আঃ)-কে অপমান থেকে বাঁচাবেন।


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩৫০


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


মানদন্ড,পীরের ওসিলা চলবেনা


* আসসালামু আলাইকুম(নেক আমল নাজাতের উপায়) হুজুর সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম তার পরিবারবর্গকে বলেন হে ফাতেমা,হাসান,হোসাইন।হে আলী!আমার উপরে নিভর না করে আমলের উপর নিভর কর,খাটি আমল তৈরি কর,আমল যদি ভাল হয়,হাশরের দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নাজাত দিবেন,তোমাদের সাথে আল্লাহ কি ব্যবহার করবেন,তাহা আমি জানি না।আর আমি ইহাও জানি না যে আল্লাহ পাক আমার সাথে কি ব্যবহার করবেন(সুবহানাল্লাহ)দেখুন ভাই বোনেরা!যদি না আসলে সারাজাহান কিছুই সৃষ্টি হইতো না,তার এ ধরনের কথা,আমাদের কি উপায় হবে জানি না?হযরত ফাতেমা(রা:)ইন্তেকালের আগে হযরত (রা:)-কে ডেকে বলেন,স্বামী!আমার মউতের সময় এসে গিয়েছে,আমি বিদায় হয়ে যাব দুনিয়া থেকে, আমার অনুরোধ!আমার জানাজা যেন গভীর রাএে হয়,বেশি লোকজনকে খবর দিবেন না,অল্প লোক দিয়ে জানাজা দিবেন।যেহেতু আমার মউতের খবর পেলে সাহাবাদের মধ্য কান্নার রোল পড়ে যাবে,খাটের উপরে লোকেরা লক্ষ্য করে দেখবে,আর মনে মনে ধারণা করবে যে,ফাতেমা এতটুকু লম্বা ছিল পর্দার খেলাফ হয়ে যাবে,তাই গভীর রজনীতে সামান্য কয়েক জন লোক দিয়ে আমার জানাজা দিবেন।আলি (রা:)ফাতেমা (রা:)-এর ইন্তেকালের পরে কয়েকজন সাহাবীদেরকে খবর দিলেন,তার মধ্য আবু যর গিফারী(রা:)ছিলেন।তিনি করব তৈয়ার হওয়ার পর,খালি শরীরে কবরের মধ্য নেমে গড়াগড়ি দিতে লাগলেন,আর বলতে লাগলেন,ওরে কবর তোর মধ্য কাকে রেখে যাব তুই কি জানিস?তোর ভিতরে রেখে যাব বেহেশতের সব রমণীদের সদারিনীকে,খবরদার তুই কোন বেয়াদবী করবি না।কোন জবাব আসেনা কবর থেকে।আবার আবু যর(রা:)বলেন,হে কবরের মাটি!তুই কি জানিস?তোর মধ্য কাকে রাখতাছি,তোর ভিতরে রেখে যাচ্ছি যাকে,তিনি হলেন হযরত হাসান-হোসাইনের মা,তারা হলেন বেহেশতের যুবকদের সরদার।হযরত আলীর স্তী কে তোর ভিতরে রেখে যাচ্ছি খবরদার বেয়াদবী করবি না।কোন জবাব আসেনা করব থেকে।এবার আবু যর গিফারী (রা:) চিৎকার করে বলেন,হে কবর!কেন তুই উওর দিস না।তোর ভিতরে যাকে রেখে যাচ্ছি তিনি হলেন আখেরী জমানার পয়গম্বরপয়গম্বর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কলিজার টুকরা নয়নের মনি,আদরের দুলালি মা ফাতেমাকে রেখে যাচ্ছি।খবরদার কোন বেয়াদবী করবিনা।এবার কবর থেকে মানুষের মত আওয়াজ আসল।করব গম্ভির আওয়াজ ডাক দিয়ে বলে, আমি ফাতেমা চিনি না,বেহেশতের সরদানী আমি চিনি না,হাসান-হোসাইনের মা চিনিনা, আলির স্তী চিনি না,রাসূলের কলিজার টুকরা আদরের দুলালি মা ফাতেমা আমি চিনিনা,আমি চিনি আমার ভিতরে যদি কেহ আমল ভাল নিয়ে আসতে পারে,আরামে থাকতে পারবে,আমি বেহেশতের সবুজ গালিচা হয়ে যাব।আর যদি আমল যদি খারাপ হয় তাহলে আমার ডান দিকের মাটি পৃথিবীর এক প্রান্তে চলে যাবে,আর বাম দিকের মাটি পৃথিবীর আর এক প্রান্তে চলে যাবে, দুই প্রান্ত হতে এমন জোরে চাপ মারব, যাতে হাড্ডি আর গোশত চুরমার হয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে।এভাবে পিষতেই থাকব,হযরত আবু যর গিফারী(রা:) কবরের এই আওয়াজ শুনে কবর থেকে চিৎকার মেরে বাহিরে এসে জানাজার নামাজ পড়ে ঘর সংসার ফেলে রোদন করতে করতে আল্লাহর দেওয়ানা হয়ে গেলেন।জীবনে কোন দিন আর তিনি সংসার করতে পারলেন না।তাই বলি ভাই বোনেরা আমার! আমলের উপরে সব কিছু নিভর করবে,আমল ছাড়া কোন উছিলা আপনাকে আমাকে বাচাতে পারবে না।তাই আমরা সবাই খাটি আমল তৈরি করে কবরবাসী হইব।আল্লাহ পাক বলেন,(আল্লাহু ওয়ালীয়্যুল্লাযীনা আমানু) যাহারা আমার ও আমার রাসূলের উপর পূণ ঈমান আনিয়া নেক আমল করিয়াছে,তাহাদের জন্য আমি(দুনিয়াতে,মউতের,কবরে হাশরে,পুলছিরাত,মিজানে)গাজিয়ান হইব।""(সূরা বাকারা,আয়াত:২৫৭)


اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَوْلِيَاؤُهُمُ الطَّاغُوتُ يُخْرِجُونَهُم مِّنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ ۗ أُولَـٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ


(আল বাকারা - ২৫৭)


যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরী করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো দোযখের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।


* গুনাহ মুক্ত জীবনই সফলতার জীবন,,


হক্কানী পীর ( মুর্শিদ) তিনি -শিরক বিদআত থেকে মুক্ত যিনি। ওলী - বুযুর্গ তিনি, শরীয়তের পাবন্দ যিনি। আল্লাহর প্রিয় বান্দা তিনি--সুন্নাতের অনুসারী যিনি। শরীয়তের অনুসরণ করা সবচেয়ে বড় বুযুর্গী - এ সম্পর্কে একটি বাস্তব ঘটনা উল্লেখ করার তীব্র প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করছি। ঘটনাটি নিম্নরূপঃ


মুজাদ্দিদে আলফেছানী(রঃ) এর দরবারে একলোক দশ বছর অবস্থান করেছিল। লোকটা নিজেও বুযুর্গ ছিল। এই দশ বছরে সে মুজাদ্দিদ সাহেব থেকে কোন কারামত বা আলৌকিক কিছুই ঘটতে না দেখে একদিন সে সিদ্ধান্ত নিল, দরবার ছেড়ে চলে যাবে। মুজাদ্দিদ সাহেব বিষয়টা আঁচ করতে পেরে জিজ্ঞেস করলেন, কি ব্যাপার! তুমি কেন যাবে? লোকটি বললো,দশ বছর পর্যন্ত আপনার দরবারে অবস্থান করলাম, কিন্তু!আপনার কাছ থেকে কারামত বা আলৌকিক কিছুই দেখলাম না। তিনি বললেন,আচ্ছা! তোমার কি কারামত আছে-বলতো? লোকটি বলল, আমি ধ্যান করে কবরে ঢুকে মুর্দারের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে আসতে পারি। মুজাদ্দিদ সাহেব বললেন,শোন! তুমি তো ধ্যান করে কবরে ঢুকে খোঁজ-খবর নিয়ে আসতে পার, আর আমি জায়গায় বসে ডাক দিলে সমস্ত রূহ আমার দরবারে হাজির হয়ে যায়। তবে শুনে নাও! এটা কোন বুযুর্গী নয়। বুযুর্গী হলো, শরীয়তের পাবন্দী করা, সুন্নাতের অনুসরণ করা। তুমি কি এই দশ বছরে আমার থেকে কোন ফরয,ওয়াজিব,সুন্নাত ও মুস্তাহাব আমল ছুটতে দেখেছ? লোকটি বললো,না। মুজাদ্দিদ সাহেব বললেন, এটাকেই বলা হয় বুযুর্গী।




فَاذْكُرُونِي أَذْكُرْكُمْ وَاشْكُرُوا لِي وَلَا تَكْفُرُونِ


(আল বাকারা - ১৫২)


আমরা হই আল্লার, আল্লাহ হবেন আমাদের


খোদা তোমায় ডাকতে যানিনা


ডাক শুনবেন তখন যখন নামায থাকবে সবরের গুন থাকবে


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ


(আল বাকারা - ১৫৩)


وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ بِشِبْرٍ تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ ذِرَاعًا، وَإِنْ تَقَرَّبَ إِلَيَّ ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ بَاعًا، وَإِنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً » . (خ, م, ت, جه ) صحيح


সুতরাং আমলই নাজাতের কারন পীর নয় 


* কিয়ামতে ইব্রাহিম (আ:) এর পিতার সাক্ষাত ঘঠবে


* হে ফাতেমা আমলের উপর নির্ভর কর, হযরত ফা়তেমা আলীকে কয় রাতারাতি কবর দিও, আবুজর কবরে নামেন


গুনাহ ছেরে নেক আমল করুন যথেষ্ট


* মুজাদ্দিদে আলফেছানী(রঃ) এর দরবারে একলোক দশ বছর,


খাদেম মর্দারের সাথে কথা বলতে পারি

No comments

Powered by Blogger.