164 আল্লাহ যার হবে সব তার হবে
* আমরা মানলে আল্লাহকে সৃষ্টি জগত মানবে আমাকে
সৃষ্টি জগত আমাদের জন্য বানিয়েছেন
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا ثُمَّ اسْتَوَىٰ إِلَى السَّمَاءِ فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ ۚ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
(আল বাকারা - ২৯)
তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
* হযরত ওমরের কথা জমিন শুনতো
'''''''' ভুমিকম্প + মোকাবেলা... ''''''''
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কিছু লিখতে গিয়ে প্রথমেই মনে পরলো.ভুমিকম্প নামক আল্লাহর গজবের কথা..
ভুমিকম্প আল্লার এমন এক আজাব. যার বিভিশৗকায় কয়েক সেকেন্ডে হাজার কোটি মানুষের প্রান হানৗ হয়..
@'''' সহিহ হাদিসের কথা..
সাগর প্রতিদিন আল্লার কাছে 3 বার করে অনুমতি চায়..
যে. হে আল্লাহ!
আমার পারে যারা বাস করছে
আমি কি তাদের রাখবো.না ডুবিয়ে দেবো..
কিন্তু.. আমার আল্লাহ বান্দার প্রতি এতোটাই দয়াবান যে .শত গুনার পরেও তিনি বলেন.. থাক! আজ ডুবানোর দরকার নেই.
হয়তোবা. আমার গোলাম কাল তৌবা করে ফিরে আসবে..
*** ভুমিকম্প কেন হয়? ***
মা আয়শা (রা) বল্লেন. হে রাসুল..
( মা হুওয়া সাবাবুয্যিলযালাহ..? )
অর্থাত্.. ভুমিকম্পের কারন কি..?
আল্লার হাবিব (সা) বল্লেন..
3টি কারনে ভুমিকম্প হয়..
1.জেনা বেড়ে যাওয়া..
2. মদ বেডে় যাওয়া..
3. বাদ্য. মানে গায়িকা বেড়ে যাওয়া..
এ তিন টি কাজ যে সমাজে বেশী. সে সমাজে আল্লার গজব আসতেই থাকবে....
**** ভুমিকম্প রোধে করনৗয় ****
বুখারি.মুসলিম সহ. বেশ কিছু হাদিসে পাওয়া যায়.
একবার হযরত ওমর (রা) এর সময় মদিনায় ভুমিকম্প হয়েছিলো. তখন .হযরত ওমর (রা) এতটি চাবুক অথবা লাঠি দিয়ে যমিনের ওপর কোষে আঘাত করে বল্লেন..
হে যমিন! শান্ত হও...
আমি যদি তোমার ওপর ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করে থাকি. তবে তুমি শান্ত হও.. সাথেসাথে যমিন শান্ত হয়েযায়..
( আমার বিশ্বাস.. বর্তমান সরকার যদি এই কথা বলে যমিনে আঘাত করে. তবে সাথেসাথে ভুমিকম্প লিমিট ছাড়িয়ে কয়েক সেকেন্ডের মদ্ধে বাংলাদেশে এমন আঘাত হানবে. যা হয়তোবা গিনেজ বুকে ঊঠে যাবে.. )
সুতরাং. যেহেতু আমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি. সেহেতু
গুনাহের পথ ছেড়ে দিয়ে তৌবা করা দরকার..
**** এ বিষয়ে সরকার দলৗয় মনোভাব ****
কে বল্ল. ভুমিকম্প আজাব গজব...
যতোসব. ফালতু মৌলবাদৗ মার্কা কথাবার্তা.
ভুমিকম্প হচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ..
আমরা Enverment নস্ট করছি. তাই সেটা হচ্ছে..
তবে যাইহোক.. যে কোনো ভুমিকম্প অথবা দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা সেনাবাহিনী কে প্রস্তুত রেখেছি..
**** মৌলবাদৗর হয়ে আমার মন্তব্য ****
আচ্ছা. সার..
আপনাদের সুশীল সমাজের বুদ্ধি কি মাথা থেকে নামতে নামতে হাটুর নিচে চলে গেছে...
কতো বড় শিরক..!!!
আপনার কোন সেনাবাহিনী মোকাবিলা করবে আল্লার আজাবের সাথে.. সামান্য একটা মশার সাথে মোকাবিলা করতে পারেনাই নমরুদের মতো বেয়াদব..
জুতার আদর দিয়ে দুনিয়া থেকে আল্লাহ বিদায় করেদিয়েছেন .
সুতরাং. ইতিহাস থেকে শিখুন..
আজও যারা মোকাবিলা করতে চাইবে . জুতার আদর দিয়ে আল্লাহ দুনিয়া থেকে বিদায় করেদিবেন...!
* ## নীল নদের প্রতি,আমিরুল মু'মিনীন হজরত উমর ফারুক (রা:)এর চিঠি:::
+++++++++++++++++++++
##মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার প্রেরিত পুরুষ নবী-রাসূলদের অনেক মোজেজা দান করেছিলেন। তারা আল্লাহর রহমতে অনেক অসম্ভব কাজকে সম্ভব করতে পারতেন তাদের মোজেজা শক্তির দ্বারা। এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা তার অনেক নেক বান্দার দ্বারা অনেক আশ্চর্য শক্তি প্রদর্শন করিয়েছেন। তিনি তার নেক বান্দার দোয়াকে কবুল করেছেন চুম্বকের মতো। এমন অনেক ঘটনা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় তেমনই একটি সত্য ঘটনা। মিশরকে বলা হয় নীল নদের দান। এই নীল নদের তীর ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে আজকের আধুনিক মিশর এবং মুসলিম সভ্যতা। আজকে আমরা বছরের বারটি মাসেই নীল নদে পরিষ্কার ঝকঝকে পানি দেখতে পাই, কিন্তু শান্ত নিবিড় নীল নদ এক সময় এমন ছিল না। একসময় নীল নদে বছরের সব সময় পানি থাকতো না বরং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পানি থাকতো আবার নির্দিষ্ট সময়ে শুকিয়ে যেত। তাহলে এখন প্রশ্ন, নীল নদে পানি এখন বার মাসই থাকে কেন? এই নদীতে কি তাহলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে? হিজরি ২০ সনে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবি হযরত আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এর নেতৃত্বে সর্ব প্রথম মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিশরে তখন চলছিল প্রবল খরা। তখন “বুনা” মাস (তৎকালীন মিসরীয় ক্যালেন্ডারের ১টি মাস) আসার পর দেশবাসী তাঁকে জানালো-“আমীর!! আমাদের ১টি প্রথা আছে, এই মাসের ১২ তারিখের রাত শেষ হলে আমরা ১টি কুমারী মেয়েকে অলংকার ও পোশাকে সাজিয়ে নীল নদে ফেলে দেই । এটি পালন না করলে নীল নদ প্রবাহিত হয় না।।”শুনে আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) বললেনঃ “এটা ইসলাম! এসব চলবে না, ইসলাম সকল কুসংস্কারকে নির্মূল করে দিয়েছে।”এরপর পরপর ৩ মাস বুনা, আবীব ও মাসরা তারা কাটিয়ে দেয় কিন্তু নীল নদে আর পানি প্রবাহিত হয় না। ফলে দেশবাসী দেশ ত্যাগ করতে মনস্থ করে। তখন আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এ বিষয়ে জানিয়ে তৎকালীন আমীরুল মূ’মিনীন হযরত উমর (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এর নিকট চিঠি পাঠান।। উত্তরে জানানো হয়- “তুমি যা করেছ ঠিক করেছ। এই চিঠির সাথে ১টা কাগজ রয়েছে তা তুমি নীল নদে ফেলে দাও।” খলিফা ওমর (রাঃ) নীল নদের কাছে লেখা তার পত্রে লিখেছিলেন: من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد: فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كان “আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর (রাঃ) এর পক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। অতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”। হযরত আমর বিন আস (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) চিঠিটি নীল নদ-এ ফেলে দিলে, সকাল-এ দেখা গেল আল্লাহ এর ইচ্ছায় নীল নদের পানি এক রাতের ভেতর ১৬ হাত বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হল তারপর নীল নদ চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠেছিল এবং আজ পর্যন্ত এক মিনিটের জন্যও নীল নদের পানি আর শুকিয়ে যায়নি। সুবাহান’আল্লাহ!!! এভাবেই আল্লাহ ইসলামের মাধ্যমে মিসরীয়দের এই কুপ্রথা চিরতরে বন্ধ করে দেন। সূত্রঃ ইবনে কাছির-আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে আসাকির- তারিখে দামেস্ক, আল্লামা তাফ্তাজানি-শরহে আকায়েদে নাসাফিয়াহ, শরহে ফিকহে আকবর। (সংগৃহিত)
যারা আল্লাহর আইন শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন,মানুষ কেন দুনিয়ার সকল জীবই তাঁদের শাসন মেনে নিতে বাধ্য।কারণ, তাঁরা নিজের জন্য কিছুই করেন না,তাদের সমূদয় কাজই আল্লাহর জন্য হয়।
* হযরত ওমরের কথা পাহার শুনতো
হযরত ওমর (রাঃ) এর ঐতিহাসিক ঘটনা :
ইয়া সারিয়া! আল-জাবাল। ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। মসজিদে নববীতে জুমার খুৎবার অবস্থায় খলিফা উমর (রা.) হঠাৎ করে এরূপ অসংলগ্ন বাক্য উচ্চারণ করায় উপস্থিত সবাই অবাক বিস্মিত। খলিফা যথারীতি তাঁর খুৎবা পাঠ করতে থাকেন। ‘ইয়া সারিয়া! আল জাবাল- খুৎবার এ অপ্রাসঙ্গিক অংশটি যুগপৎভাবে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। অন্যদিকে একই সময় ইরাকের দূরবর্তী স্থানে নেহাবন্দে যেখানে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি সারিয়া অদৃশ্য কণ্ঠে রহস্যময় বাক্যটি নিজ কানে শ্রবণ করেন। দুইটি বাক্য কোথা থেকে কে উচ্চারণ করেছেন, এ কথা ভেবে তিনি রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েন।
খুৎবার মাঝে হঠাৎ খলিফার অদ্ভুত বাক্য উচ্চারণ কেন, কারো সাহস হচ্ছে না খলিফাকে জিজ্ঞাসা করতে। খুৎবা ও নামাজ শেষে মসজিদে উপস্থিত অনেকের মধ্যে বিষয়টি গুঞ্জন করতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) এর সাথে অন্তরঙ্গ ছিল হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) এর সাথে। খোলামেলা আলোচনা করতেন তিনি খলিফার সাথে। তিনি অসংকোচে খলিফাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আজ আপনি খুৎবার মধ্যে অসংলগ্নভাবে ইয়া সারিয়া! আল জাবাল (দুই কিংবা তিনবার) উচ্চারণ করলেন- কেন? জবাবে খলিফা একটি সৈন্য বাহিনীর কথা উল্লেখ করলেন। যারা নেহাবন্দে জিহাদে লিপ্ত, এ বাহিনীর সেনাপতি সারিয়া। তিনি বলেন, আমি দেখেছি সারিয়া একটি পর্বতের পাশে লড়ছেন। অথচ, তিনি জানেন না যে, সম্মুখ এবং পেছন থেকে অগ্রসর হয়ে শত্রু বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলার উপক্রম করেছে। এ শোচনীয় অবস্থা দেখে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি, আমি স্থির থাকতে না পেরে আওয়াজ দিতে থাকি হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও। হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও।
নেহাবন্দের রণক্ষেত্র থেকে বেশকিছুদিন পর কাসেদ মদীনায় আগমন করেন এবং যুদ্ধের বিবরণ দিতে থাকেন এবং পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করেন। কাসেদ জানান, আমরা যখন যুদ্ধে লিপ্ত তখন হঠাৎ একটি অদৃশ্য কণ্ঠ শোনা গেল, ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। আওয়াজটি শ্রবণ করা মাত্র আমরা পর্বতের সাথে মিলে যাই এবং আমাদের বিজয় সূচিত হয়। ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রা.) তাঁর বিখ্যাত ‘তারিখুল খোলাফা’ গ্রন্থে ঘটনাটি বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।
একদা দুর্ভিক্ষের সময় সর্বত্র খরা কবলিত মানুষের মধ্যে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। কোথাও বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। হযরত উমর (রা.) এর আমল। তিনি দুর্ভিক্ষ ও খরা কবলিত দেশের এ চরম সংকটময় অবস্থা দেখে পানির জন্য আল্লাহ্র দরবারে দোয়া করলেন এবং বৃষ্টি হল, মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘব হতে লাগল।
কিছুদিন পর কতিপয় আরব বেদুইন লোক বাইর থেকে আসে এবং তারা আমীরুল মোমনীনকে জানায় যে, তারা অমুক দিন অমুক জঙ্গলে ছিল। হঠাৎ আকাশে মেঘ দেখতে পায় এবং মেঘ হতে একটি আওয়াজ ভেসে আসে। এবং আমরা শুনতে পাই ইন্নাকাল গাওসু আবা হাফছিন’ অর্থাৎ হে আবু হাফছ (উমরের কুনিয়াত ডাকনাম) আপনার জন্য বৃষ্টি নামছে।
একটি পর্বতের গর্ত হতে অগ্নি নির্গত হত এবং এ আগুন যতটুকু বিস্তার লাভ করত সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিত। বহুকাল এ আগুনের ধ্বংসলীলা চলে আসছিল এবং খলিফা উমর (রা.) এর আমলেও তা অব্যাহত ছিল। তিনি খবর পেয়ে হযরত আবু মুসা আশআরী (রা.) অথবা হযরত তামীম দারীকে নির্দেশ দিলেন সেখানে গিয়ে আগুনকে তার গর্তের ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে এসো। নির্দেশ অনুযায়ী প্রেরিত সাহাবী সেখানে গমন করেন এবং আগুন তার চাদর দ্বারা হাকাতে শুরু করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন গর্তের অভ্যন্তরে চলে যায় এবং আর কখনো প্রকাশ পায়নি। এটি ছিল খলিফার নির্দেশের অভূতপূর্ব ঘটনা।
একদা এক আজমী অনারব ব্যক্তি মদীনায় আসে এবং ফারুকে আযম (রা.) এর খোঁজ খবর নিতে থাকে। কেউ বলে দেয় যে, তিনি হয়তো কোথাও জঙ্গলে শুয়ে আছেন। আগত লোকটি জঙ্গলের দিকে গিয়ে দেখতে পায় খলিফা তলোয়ারটি মস্তকের নিচে দিয়ে মাটিতে শুয়ে আছেন। সে মনে মনে ভাবতে থাকে এই লোকটির জন্য সারা দুনিয়ায় ফেতনা হচ্ছে তাকে হত্যা করাটা সহজ একথা ভেবে সে তরবারি বের করে। হঠাৎ দেখতে পায় দুটি সিংহ তার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজমী চিৎকার করতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) জাগ্রত হয়ে যান এবং আজমী পুরো ঘটনা বর্ণনা করে এবং সে সেখানেই মুসলমান হয়ে যায়।
হযরত ওমর (রা.)-এর খেলাফত আমলে একবার ভূমিকম্প হয় এবং পুন: পুন: প্রকম্পিত হতে থাকে। হযরত ওমর (রা.) আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করার পর জমিনে তার দোররা মারেন এবং বলেন স্থিত হয়ে যাও। আমি কি তোমার প্রতি ইনসাফ করিনি? একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্প বন্ধ হয়ে যায়।
হযরত উমর (রা.) এমন ব্যক্তি ছিলেন যাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনের বিশটির অধিক আয়াত নাযিল করেছেন তাঁর শান মান কত ঊর্ধ্বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
হযরতে সা'দ রা) সেনা প্রধান, ষাট হাজার বীর মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে ছুটলেন আফ্রিকার ভুখণ্ডের দিকে, সামনে পড়ল নদী সেখানে থামলেন, দেখাতে পেলেন সমস্ত জাহাজ নৌকা পারাপারের সব ব্যবস্থা কাফের গুলি বন্ধ করে দিয়েছে যাতে মুসলমান বাহিনী নদীর ওপারে না যেতে পারে, হযরতে সা'দ রা) মুজাহিদ বাহিনীকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমরা কি চাও এখান পর্যন্ত ইসলামের দাওয়াত থেমে যাক নাকি চাও নদীর ওপারে যেয়ে ইসলামের পতাকা উড্ডীন করি, বীর মুজাহিদ বাহিনী সাঁয় দিলেন, আমরা নদীর ওপারে গিয়েও আল্লাহ্র দীনের পতাকা উড্ডীন করতে চাই। বললেন, তাহলে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়,আর আমার সাথে বলতে পড়তে থাকো, নাস্তা ইনু বিল্লাহি ওনাতা অক্কালু আলাই হাসবুনাল্লাহু নি'মাল ওয়াকিন নি'মাল মাওলা ওয়া নি'মান্নাসির।
আফ্রিকার কাফেররা যখন দেখল মুজাহিদ বাহিনীকে কোন ভাবে থামাতে পারেনি, তখন বলল, এঁদের কে আজকের রাত জঙ্গলে থাকতে দাও, তাহলে যুদ্ধ করা লাগবেনা জংগলের হিংস্র প্রাণীরা খেয়ে ফেলবে,
হযরত সা'দ রা) বিষয়টা বুঝতে পেরে কিছু মুজাহিদ বাহিনেকে নির্দেশ দিলেন একটা উঁচু তাবু তৈরি করো,
সে তাঁবুতে উঠে হযরত সা'দ রা) জংলের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন, হে জংগলের হিংস্র প্রাণীরা আমরা আল্লাহ্র রাসুল সা) এর সাহাবী আজকের রাত আমরা এখানে থাকতে চাই সুতরাং আমাদের নিরাপত্তার জন্যে তুমরা অন্যত্র চলে যাও,
আফ্রিকার কাফির গুলি এই কথা শুনা মাত্র অট্রো হাঁসিতে লুটিয়ে পড়ল আর বলল পাগলেরা কয় কি? হিংস্র প্রানিরা মানুষের কথা শুনে নাকি ?
কিন্তু তাঁরা দেখতে পেল, হযরত সা'দ রা) এর ঘোষণার পর, বাঘের কাতারে বাঘ সিংহর কাতারে সিংহ সাপের কাতারে সাপ সব হিংস্র প্রাণী তাঁদের বাচ্চা গুলিকে নিয়ে এই এলাকা ছেঁড়ে অন্যত্র চলে গেল,
আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষে যারাই কাজ করে আল্লাহ এভাবেই তাঁদের মদদ করেন ।'
* বাঘও তােমার পা চেটে দেবে:-
আরে মা বােন ও ভাইয়েরা ! আল্লাহকে মানিয়ে নিলে দুনিয়ার সব অসম্ভব সম্ভব হয়ে যাবে । অকল্পনীয় সব বিষয় বাস্তবে ঘটতে দেখবে । বিখ্যাত বুযুর্গ আবুল হাসান আযযাহির ( র ) তদানিন্তন বাদশাহ আহমদ ইবনে তালুনকে কিছু বিষয়ে নসীহত করলেন । কিছু সত্য ও উচিত কথা । তাকে শুনিয়ে দিলেন । বাদশাহর আঁতে ঘা লাগলাে । রাগে কাঁই হয়ে গেলেন । বাদশাহর পালিত বাঘ ছিলাে । বিশাল বড় খাচা ঘরে বাঘ রাখা । হতাে । বাদশাহ আবুল হাসান আযযাহিরের হাত - পা বাঁধালেন । তারপর লােকদেরকে সমবেত করে বললেন , দেখাে , বাদশাহর সঙ্গে গােস্তাখী । সমবেত হয়ে গেলাে । করলে এর পরিণতি কি হয় ? বাঘের খাঁচার সামনে হাজার হাজার মানুষ । আবুল হাসান আযযাহির ( র ) -কে খাচার ভেতর ঢুকিয়ে দেয়া হলাে । বাঘ তাঁকে দেখে হুঙ্কার ছেড়ে এগিয়ে এলাে । কিন্তু হাত - পা বাঁধা শিকারে সামনে এসে বাঘ চুপটি মেরে বসে গেলাে । তারপর ধীরে ধীরে আবুল হাসান আয্যাহিরের পায়ের সামনে এসে বসলাে । বসেই তার পা চাটতে শুরু করলাে । যেমন বকরি তার ভূমিষ্ঠ বাচ্চার শরীর পরম মমতায় চাটতে থাকে । এভাবে চাটতে লাগলাে । হাজার হাজার দর্শক চরম উত্তেজনা পরম বিস্ময়ে সে দৃশ্য চোখে গিলতে লাগলাে । বাঘ চাটছে তাে চাটছে তাঁর পা । তারপর এক সময় বাঘের শরীর কেঁপে উঠলাে এবং অচেতন হয়ে পড়ে গেলাে বাঘ । তারপর তাকে বাইরে বের করা হলাে । বাদশাহ আহমদ ইবনে তালুন তার পায়ে ঝাপিয়ে পড়লাে এবং বাঘের মতােই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন । হাজার হাজার লােকে তাকে ঘিরে ধরে জিজ্ঞেস করলাে , হযরত ! বাঘতাে আপনাকে খেয়েও ফেলতে পারতাে । আপনি কি ভয় পাননি । আপনার তখন কেমন লাগছিলাে ? কেমন অনুভূতি হয়েছিলাে আপনার ? আবুল হাসান আযযাহির ( র ) বললেন , ' আমি তখন ভয় পাবাে কি করে ? আমি তাে এই চিন্তায় অস্থির ছিলাম যে , বাঘ যে আমার পা চেটে দিচ্ছে , আমার পা কি পাক নাপাক ? অনেক পথ হেঁটে এদিকে এসেছিলাম । পথের ধূলিবালি আমার পায়ে তাে কম লাগেনি । আমি আসলে পাক নাপাকের চিন্তায় অস্থির ছিলাম । আল্লাহকে তিনি এমনভাবে মানিয়ে নিয়েছেন যে , দুনিয়ার সবকিছুই তাঁর অনুগত হয়ে গেছে । বাঘ তাঁর পা চেটে দিয়েও বেয়াদবি হয়ে গেছে । কিনা এই চিন্তায় ব্যকুল হয়ে অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাে । আল্লাহকে মানিয়ে নিলে আমাদের পাও বাঘসহ সব হিংস্র প্রাণী চেটে ধন্য হবে ।
No comments