87 সুন্নাত এর হিকমত
* পৃথিবীর স্রেষ্ট বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ (সা:)। যার প্রতিটি কথা বিজ্ঞানসম্মত
* আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দা তখনই মুমিন সাব্যস্ত হয় যখন সে রাসূলকে নিজের সকল বিষয়ের সিদ্ধান্তদাতা (হাকাম) বলে স্বীকার করে এবং তাঁর সকল সিদ্ধান্ত মনেপ্রাণে মেনে নেয়। সকল দ্বিধা ও সংশয় ত্যাগ করে তাঁর ফয়সালার সামনে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পিত করে।নিসা: ৬৫
فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى یُحَكِّمُوْكَ فِیْمَا شَجَرَ بَیْنَهُمْ ثُمَّ لَا یَجِدُوْا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَیْتَ وَ یُسَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا
* বিদায় হজের ভাষনে আল্লাহর নবী বলেছিলেন
تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ رَسُوْلِه. رَوَاهُ فى المُوَطَّا
* আমেরিকার এক শহরে জনৈক পাকিস্তানি ট্যাক্সি চালক একটি কফি শপে ঢুকলেন। নিজে এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে এক পাশে গিয়ে বসে, প্রথমে ছোট ছোট তিন ঢোক তিন নিঃশ্বাসে পান করলেন।
* পানি পান করার সুন্নাত তরিকা ছয়টি
* টাখনুর উপর কাপড় পরিধান করা সুন্নাত তার হিকমত
مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
* আজকের বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে, পুরুষের টাখনোর নিচে একটি অংশ আছে যেখানে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন প্রচুর পরিমানে থাকে যা সবসময় আলো-বাতাস চায়;
* আঙ্গুল ও খাবারের পাত্র চেটে খাওয়ার হিকমত
* ডান কাতে ঘুমানোর হিকমত।হযরত বারা বিন আযিব রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তুমি ঘুমানোর জন্য বিছানা গ্রহণের ইচ্ছা করবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করো এবং ডান কাতে শয়ন করো।
* আরো কিছু সুন্নাত আছে তুমি জানো কি
____________________________________
* আল্লাহ তাআলার নিকট বান্দা তখনই মুমিন সাব্যস্ত হয় যখন সে রাসূলকে নিজের সকল বিষয়ের সিদ্ধান্তদাতা (হাকাম) বলে স্বীকার করে এবং তাঁর সকল সিদ্ধান্ত মনেপ্রাণে মেনে নেয়। সকল দ্বিধা ও সংশয় ত্যাগ করে তাঁর ফয়সালার সামনে নিজেকে পুরোপুরি সমর্পিত করে।
৪: আন-নিসা:আয়াত: ৬৫
فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُؤْمِنُوْنَ حَتّٰى یُحَكِّمُوْكَ فِیْمَا شَجَرَ بَیْنَهُمْ ثُمَّ لَا یَجِدُوْا فِیْۤ اَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَیْتَ وَ یُسَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا
না, হে মুহাম্মাদ! তোমার রবের কসম, এরা কখনো মু’মিন হতে পারে না যতক্ষণ এদের পারস্পরিক মতবিরোধের ক্ষেত্রে এরা তোমাকে ফায়সালাকারী হিসেবে মেনে না নেবে, তারপর তুমি যা ফায়সালা করবে তার ব্যাপারে নিজেদের মনের মধ্য যে কোনো প্রকার কুণ্ঠা ও দ্বিধার স্থান দেবে না, বরং সর্বান্তকরণে মেনে নেবে।
وَعَنْ مَالِكِ بْنِ اَنَسٍ مُرْسَلًا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ تَرَكْتُ فِيكُمْ أَمْرَيْنِ لَنْ تَضِلُّوا مَا تَمَسَّكْتُمْ بِهِمَا كِتَابَ اللهِ وَسُنَّةَ رَسُوْلِه. رَوَاهُ فى المُوَطَّا
মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতক্ষণ তোমরা সে দু’টি জিনিস আঁকড়ে ধরে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত পথভ্রষ্ট হবে না- আল্লাহ্র কিতাব ও তাঁর রসূলের হাদীস। (ইমাম মালিক মুওয়াত্তায় বর্ণনা করেছেন)। [১]
হাদিস সম্ভার, হাদিস নং ১৮৬
হাদিসের মান: হাসান হাদি
* আমেরিকার এক শহরে জনৈক পাকিস্তানি ট্যাক্সি চালক একটি কফি শপে ঢুকলেন। নিজে এক বোতল ঠান্ডা পানি নিয়ে এক পাশে গিয়ে বসে, প্রথমে ছোট ছোট তিন ঢোক তিন নিঃশ্বাসে পান করলেন। এরপর বাকী পানিটুকু শেষ করে যখন লোকটি বের হয়ে যাচ্ছেন, তখন আরেক ভদ্রলোক দৌঁড়ে এসে তার হাত ধরলেন। বললেন, এক্সকিউজ মি, আপনি কি আমাকে ৫ মিনিট সময় দিবেন? আমার কিছু কথা বলার ছিল। ড্রাইভার লোকটি বললেন, বসে বলব না চলতে চলতে বলব। পার্কিংয়ে আমার গাড়ি রাখা আছে। তখন ভদ্রলোক বললেন, চলুন আপনার সাথে যেতে যেতেই কথাগুলো বলা যাক। ভদ্রলোক যা বললেন, তা রীতিমতো বিস্ময়কর। তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, আমেরিকার প্রখ্যাত এক বিজ্ঞানী তিনি। ট্যাক্সিতে বসে তিনি পাকিস্তানি এই চালককে প্রশ্ন করলেন, আপনি একটু আগে যেভাবে পানি পান করলেন, এটা কি আপনার অভ্যাস না হঠাৎ করেই এমনটি হয়েছে। যেখানে আমেরিকায় আমরা যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে হাঁটতে হাঁটতে শুধু পানি কেন পুরো লাঞ্চ বা ডিনার করে ফেলি, আপনি সেখানে এক বোতল পানি এক জায়গায় বসে থেমে থেমে নিঃশ্বাস নিয়ে পান করলেন, এর পেছনে কারণ কি? বিজ্ঞান যেখানে বলে, পরিশ্রান্ত মানুষ দাঁড়িয়ে পানি পান করলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। পানির প্রেসারে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তার হার্ট, কিডনি, লিভার ইত্যাদি। নিজের জীবনের দৈনন্দিন এ অভ্যাসটি এই বিজ্ঞানীর চোখে এত বিস্ময়কর কেন ঠেকলো তা এই ড্রাইভার বুঝতে পারছিলেন না। তিনি সরল ভাষায় উত্তর দিলেন, আমি একজন মুসলমান। আমাদের ধর্মে এভাবেই পানি খাওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। আমি ছেলে বেলা থেকে এভাবেই পানি খেতে শিখেছি। আমার পরিবারের ছোট বড় সকলেই এভাবে পানি পান করে। বিজ্ঞানী তখন বললেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পানি পানের সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করছি। আমার জ্ঞানের সাথে আপনার আজকের এ পানি পানের দৃশ্য এমনভাবে মিলে গেছে যে, আমি আপনাকে না ধরে পারলাম না। আপনি আমাকে একটু লম্বা সময় দিন। দূরে কোনোদিকে লংড্রাইভে চলুন। আমি আপনার পেমেন্ট দিব, কথা বলার জন্য আলাদা সম্মানিও দেব। তথাপি আমি চাই, আমার গবেষণার একজন রোলমডেলের সাথে আমার দীর্ঘ আলোচনায় আমার গবেষণা পূর্ণতা লাভ করুক। বিজ্ঞানী এরপর জানতে চাইলেন, এভাবে পানি পান করা আপনি শিখেছেন কার কাছে? এটি কি কোনো সংস্থা বা গবেষকের ফর্মুলা। তখন ড্রাইভার সহজ সরলভাবে জবাবে বললেন, এটি আমাদের নবী (সা.) এর সুন্নত। তার এ নির্দেশনা মত পৃথিবীর সব অনুগত মুসলমান পানি পান করে থাকেন। শুধু তাই না, আমাদের জীবনে প্রতিটি কাজের এমন একটি সুন্দর নকশা আমাদের প্রিয় নবী (সা.) এঁকে দিয়ে গিয়েছেন। যাকে সুন্নত বলে, আমরা তারই অনুসরণ করি। তখন এ বিজ্ঞানী ট্যাক্সি চালককে তখনকার মতো বিদায় দিয়ে বললেন, আমাকে আরও সময় দিতে হবে। আপনার ঠিকানা ও যোগাযোগের সবকিছু আমাকে দিন। আপনাদের প্রফেটের সুন্নত সম্পর্কে যারা বেশি জানেন তেমন জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিন। সেদিনের মতো এভাবেই তারা দু’জন আলাদা হয়ে যান। ক’য়েকটি সাক্ষাতের পর এই বিজ্ঞানী ইসলামিক সেন্টারের ইমাম সাহেবের হাতে ইসলামগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের সত্যতা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে আলোচিত ট্যাক্সি চালকের পানি পান করা থেকে প্রথম ধারণা লাভ করেন। পরে তিনি বলেছেন, দাঁড়িয়ে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খুব তৃষ্ণার সময় একশ্বাসে অনেক পানি খাওয়া আরও ক্ষতিকর। পানি পানের বহু থিওরি আমি জমা করেছি, কিন্তু সাধারণ একজন ট্যাক্সি চালক যেভাবে বসে ধীরে ধীরে ছোট ছোট তিন ঢোক পানি তিন নিশ্বাসে পান করলো, এ ছিল আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। আমি বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম এ ঘটনাটি কি ইচ্ছাকৃত না কাকতালীয়। যখন চালক ব্যক্তিটি আমাকে সব বুঝিয়ে বললেন, তখন আমার সামনে জ্ঞানের দরজা খুলে গেল। আমি সেই মহামানবের সকল সুন্নত সম্পর্কে শ্রদ্ধাভরে জানার সুযোগ পেলাম। যা দেড় হাজার বছর আগে একটি অনুন্নত পরিবেশে থেকেও ইসলামের নবী (সা.) শিক্ষা দিয়ে গেছেন। যার মধ্যকার বিজ্ঞান সৌন্দর্য ও শ্রেষ্ঠত্ব দিনে দিনে বিশ্বের মানুষ আরও বেশি করে বুঝতে পারছে। মানুষ যখন প্রথম এক ঢোক পানি খায়, এরপর নিঃশ্বাস নেয় তখন পানির পরপরই তার দেহে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এরপর তিনবার যখন এ কাজটি করে তখন তার মস্তিষ্ক ও রক্তের শিরা-উপশিরা যথেষ্ট অক্সিজেন লাভ করে, ফুসফুস আরাম পায়, খাদ্য ও শ্বাসনালী নিজেদের সেরা পারফর্ম করে, পাকস্থলী ধীরে ধীরে সে পানিগুলো রিসিভ করে। বিভিন্ন নালী ও শিরা পানিটাকে ফিল্টারিং করে, পানিতে কোনো জীবাণু বা ময়লা থাকলে উপকারী জীবাণুরা সেগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পান করলে এর তীব্র গতি পাকস্থলীকে যেভাবে আঘাত করে, তার কুপ্রভাব কিডনী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি এমনকি মূত্রথলিতেও চাপ সৃষ্টি করে। আর তৃষ্ণার্থ বা ক্লান্ত মানুষ এক নিঃশ্বাসে অনেক পানি খেলে এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা, রক্তচাপ, মস্তিষ্কের কমান্ড ইত্যাদি সবক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। বিষম খেয়ে বা খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটাও অসম্ভব নয়। শুধু এ বিজ্ঞানী নয়, দুনিয়ার আরও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুসলমানদের পানি পানের সুন্নত পদ্ধতিকে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিচ্ছে, স্বাগত জানাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরির জন্য জাপানী ও ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ছোট ছোট ঢোক নিয়ে শ্বাস ছেড়ে ছেড়ে দীর্ঘ সময়ে পানি পান করার পদ্ধতি প্রয়োগ করে ভালো ফল লাভ করেছে। পাশ্চাত্যের ইসলামগ্রহণের যে প্রবণতা দিনদিনই বাড়ছে এতে বড় বড় ঘটনাতো বটেই সাধারণ মুসলমানদের জীবনরীতি দেখেও অসংখ্য মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ৩২শ’ মানুষ ইসলামগ্রহণ করে। তাদের এ পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে পানি পান, খাদ্যগ্রহণ, পারিবারিক শান্তি, বিবাহিত জীবনের পবিত্রতা, সন্তানদের মায়া-মমতা, এমনকি রোগীর সেবা, মৃতের প্রতি শ্রদ্ধা ও ইসলামী পদ্ধতির জানাজা দাফন-কাফন। আল্লাহ মানুষের হেদায়াতের জন্য যে কোনো বিষয়কে উসিলা বানাতে পারেন। মহানবী (সা.)-এর সুন্নত তো ইসলামের সর্বপেক্ষা বড় সম্পদ। এটি কল্যাণের আকর, সাফল্যের ভান্ডার, আর বিজ্ঞানের সমারোহ।
* টাখনুর উপর কাপড় পরিধান করা সুন্নাত তার হিকমত
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّ أَحَدَ جَانِبَىْ إِزَارِي يَسْتَرْخِي إِنِّي لأَتَعَاهَدُ ذَلِكَ مِنْهُ . قَالَ " لَسْتَ مِمَّنْ يَفْعَلُهُ خُيَلاَءَ " .
সালিম ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অহংকার বশতঃ পরিধেয় বস্ত্র মাটিতে হেঁচড়িয়ে চলে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। একথা শুনে আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমার লুঙ্গির একদিক মাঝে মধ্যে ঝুলে পড়ে। আমি তো সেদিকে সর্বদা সতর্ক হতে পারি না। তিনি বললেনঃ যারা অহংকারবশে এরূপ করে আপনি তো তাদের মত নন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৮৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আজকের বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে, পুরুষের টাখনোর নিচে একটি অংশ আছে যেখানে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন প্রচুর পরিমানে থাকে যা সবসময় আলো-বাতাস চায়; যার ফলে পুরুষদের পুরুষত্ব বাড়ে, আর যদি তা ঢেকে ফেলা হয় তাহলে পুরুষরা তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে, অর্থাৎ গোড়ালির নিচে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যায়।
আমেরিকার হেলথ সেন্টারগুলোতে তারা লিখে রেখেছে যে, ‘পুরুষেরা টাখনোর নিচে প্যান্ট পরবেন না, নিচে পরলে যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যাবে।’
* আঙ্গুল ও খাবারের পাত্র চেটে খাওয়ার হিকমত
হযরাত জাবের রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ খাবারের সময় পাত্র এবং আঙ্গুল চেটে খেতে বলেছেন।
(মুসলিমঃ ২০৩৩)
আজকের বিজ্ঞান এটা জানতে পেরেছে যে, মানুষের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে এক প্রকার তরল পদার্থ বের হয় যাকে ‘প্লাজমা’ বলা হয়, যা সহজে মানুষের খাবার হজম করে।
বিজ্ঞান এটাও আবিস্কার করেছে যে, মানুষের খাবারের পাত্রের সর্বশেষে খাবারের যে অংশ থাকে তার মধ্যেই ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে।
* ডান কাতে ঘুমানোর হিকমত।হযরাত বারা বিন আযিব রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তুমি ঘুমানোর জন্য বিছানা গ্রহণের ইচ্ছা করবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করো এবং ডান কাতে শয়ন করো।
(মুসলিমঃ ২৭১০)
আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে, কেউ যদি ডান কাতে ঘুমায় তাহলে তার রাতের খাবার হজম হতে তিন-চার ঘন্টা লাগে, আর কেউ বাম কাতে ঘুমালে তা হজম হতে সাত-আট ঘন্টা সময় লাগে।
মানুষের হার্ট থাকে বাম পার্শে, সুতরাং ডান কাতে ঘুমালে হার্ট কোনো চাপে থাকেনা, সহজেই নিশ্বাস নিতে পারে; কিন্তু বাম কাতে ঘুমালে ফুসফুস হার্টের উপরে চলে আসে যার ফলে হার্ট চাপে থাকে এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
No comments