167 একমাত্র আমলের দিকে উৎসাহ প্রদান। নেক আমল করা আল্লাহর ভাল বাসাও তৌফিকের ব্যাপার
* আল্লাহ্ তা‘আলা যদি তাঁর কোন বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ " . فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা যদি তাঁর কোন বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তিনি কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন? তিনি বললেনঃ তিনি সেই বান্দাহকে মারা যাবার আগে সৎকাজের সুযোগ দান করেন।
সহীহ, আর-রাওযুন নাযীর (২/৮৭), মিশকাত (৫২৮৮), আয্যিলা-ল (৩৯৭-৩৯৯)।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২১৪২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
* আল্লাহর প্রিয় দাসী হযরত হুসাইন বাগদাদী ( রহ ) বাজারে গেছেন । দেখলেন , একজন দাসী বিক্রি হচ্ছে । ভয়ানক কালাে । বিক্রেতা বললাে , মাথায় কিছুটা গণ্ডগােল আছে । চাইলে নিতে পার । তিনি বলেন , দাসীটির চেহারা দেখে আমার কাছে পাগল মনে হলাে না । আমি তাকে কিনে নিলাম । তখন রাত দুপুর । আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল । দেখলাম , দাসীটি মুসল্লায় বসে আছে । চোখ থেকে অবিরাম শুশ্রু ঝরছে । আল্লাহর সাথে একান্তে কথাবার্তা হচ্ছে । আমি নিমগ্ন ধ্যানে তার কথা শুনছিলাম । আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম , সে বলছে- হে আল্লাহ ! তুমি যে আমাকে ভালােবাস ( এ কথা বলেনি , আমি যে তােমাকে ভালােবাসি বরং বলেছে , তুমি যে আমাকে ভালােবাস ) আমি সেই ভালােবাসার দোহাই দিচ্ছি । এ কথা বলতেই হুসাইন বাগদাদী ( রহ . ) তার কথায় বাধা দিয়ে বললেন , হে আল্লাহর বান্দী ! তুমি কী বলছাে ? বলল , হে আল্লাহ ! আমি যে তােমাকে ভালােবাসি সেই ভালােবাসার দােহাই । পাসী সঙ্গে সঙ্গে বললাে , মুহাম্মদ হুসাইন ! চুপ কর । তিনিই যদি আমাকে ভালাে না বাসতেন তাহলে আমাকে এই মুসল্লায় এনে দাঁড় করাতেন না । আর তােমাকেও ওখানে শুইয়ে রাখতেন না । আমাকে ভালােবাসেন বলেই মুসল্লায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন । যদি তােমাকে ভালােবাসতেন তাহলে তােমাকেও মুসল্লায় এনে দাঁড় করিয়ে দিতেন । অতঃপর সে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাে , হে আল্লাহ ! এতদিন পর্যন্ত আমার রহস্য পর্দাবৃত ছিল । তােমার সাথে আমার সম্পর্কের কথা কেউ জানতাে না । এখন তাে মানুষ জেনে ফেলেছে । এখন তুমি আমাকে তােমার কাছে ডেকে নাও । এ কথা বলে সজোরে চিৎকার দিল এবং প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেল । মুহাম্মদ হুসাইন বাগদাদী ( রহ . ) বলেন , আমি সম্পূর্ণ ঘাবড়ে গেলাম । খুব ভােরে কাফনের কাপড় কেনার জন্যে বাজারে গেলাম । কাফন নিয়ে এসে দেখলাম , সবুজ রঙের রেশমি কাফনে তার শরীর আবৃত । আর তার উপরে লেখা আছে
১০: ইউনুস:৬২,
اَلَاۤ اِنَّ اَوْلِیَآءَ اللّٰهِ لَا خَوْفٌ عَلَیْهِمْ وَ لَا هُمْ یَحْزَنُوْنَۚۖ
শোনো, যারা আল্লাহর বন্ধু, ঈমান এনেছে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করেছে
শােন , আল্লাহর বন্ধুদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না । হিউনুস । ৬২ ) । আজ প্রয়ােজন প্রতিটি ঘরেই যেন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর ইবাদত জীবিত হয়ে উঠে । কোন মুসলমান ঘরের কোন । সন্তান যেন বেনামাযী না থাকে । প্রয়ােজন হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর সমাজ ব্যবস্থাকে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করা (আল্লাহকে যদি পেতে চাও-165)
করুন ইতিহাস দয়া করে পড়বেন।
ইব্রাহিম বিন আদহাম (রহ:)
বড়ো এক বাদশাহ ছিলেন। একদিন এক মুসাফির
তার সাথে দেখা করার জন্য আসল কিন্তু
দারওয়ান
রা তাকে ভিতরে ঢুকতে দেয়না।
সে চেষ্টা করে কনো এক
ভাবে ভিতরে প্রবেশ করল।
মুসাফির: বাদশাহ আপনার মুসাফির
খানায় আমি একটু থাকতে চাই।
বাদশাহ: তুমি কি পাগল
তুমি জাননা এটা রাজসিংহাশন,
তুমি এটাকে বলতেছো মুসাফির খানা।
মুসাফির: হুজুর ভুল হইলে মাফ করবেন।
মুসাফির খানা কাকে বলে আর স্থাই
বাড়ি কাকে বলে একটু পরিচয় দিন।
বাদশাহ: সিংহাসনে ঢুকার সময়
একটা বারান্দা দেখা যায়
ওইটা মুসাফির খানা। কোন
ব্যাক্তি তার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য
রওয়ানা দিলো যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে আসল
যাওয়ার আর উপায় নাই, এখন
গন্তব্যে যাওয়ার আগে যেখানে আস্রয়
নিবে সেটাই হলো মুসাফির খানা।আর
স্থায়ী রাড়ীর পরিচয় হল যাখানে মানুষ
সবসময়ের জন্য বসবাস করে।
মুসাফির: হুজুর তারমানি এটা আপনার
স্থায়ী বাড়ী?
বাদশাহ: হা।
মুসাফির: তারমানি দুনিয়া সৃষ্টি হওয়ার
পর থিকে আপনি এই বাসায় আছেন।
বাদশাহ: তুমি সত্যই বোকা মুসাফির সোন
আমার আগে ছিল আমার বাবা।
মুসাফির: সে কোথায়?
বাদশাহ: সে কবরে চলে গেছে।
মুসাফির: সে আসবে না?
বাদশাহ: বোকা কবরে চলে গেলে কেউ
আর আসেনা।
মুসাফির: আপনার দাদাও তো আর
আসবে না?
বাদশাহ: না।
মুসাফির: আপনার দাদার বাবাও তো আর
আসবে না?
বাদশাহ: না।
মুসাফির: আপনি মনে হয় চিরজীবন
থাকবেন,
বাদশাহ: ওরে বোকা আমিও একদিন
কবরে চলেযাব। আর আসবো না কারন
আমার আগে যারা গেছে কেউ
আসে নাই।
মুসাফির: বাদশাহ আমাকে বোকা বলেন
বোকা তো আপনে, বাদশাহ আপনার
রাজত্যে যে মুসাফির
খানা আছে এখানে কেউ একবার
থেকে গিয়ে থাকলেও আবার
আসতে পারবে, কিন্তু
আপনি যে স্থায়ী বাড়ীর পরিচয়
দিয়েছের সেখান থেকে কেউ একবার
চলে গেলে আর আসেনা।
মুসাফিরের কথাটা বাদশাহর মাথায়
চিন্তা শুরু হয়ে গেল।
বাদশাহ:
চিন্তা করে আমি কি বাদশাহী করতেছি,
একদিন আমার দাদা ছিল
এখানে সে কথায় চলে, আমার বাবাও
তো এখানে ছিল সেইবা কথায়
চলে গেল, তারাতো কোন ধন-সম্পদ
নিয়ে যেতে পারেনি, আবার একদিন
আমিও চলে যাব অন্য কেউ
বাদশহী করবে সব ঠিক থাকবে কিন্তু
আমি থাকবো না।
আমি কি নিয়ে যাবো।
বাদশাহ আর আগের বাদশাহ নাই রাজত্য
ছেরে দিয়ে বের হয়ে গেল তার
আল্লাহোর খোজে, অনেকদিন
পরে একনদীর কিনারায়
বসে একটা ছিরা খ্যাতা সিলাচ্ছে এমন
সময় তার তার রাজ্যের যে মন্ত্রী ছিল
সে পাশ দিয়ে যায়,
বাদশাহকে বলে আরে বাদশাহ তুমি এক
মুসাফিরের কথায়
বাদশাহী ছেরে দিয়ে কি পাইলা এখানে বসে বসে ছিরা খ্যাতা সিলাচ্ছ,
বাদশাহ বলে ও
মন্ত্রী আমি যে বাদশাহী পাইছি এটা যদি কোন
দুনিয়ার রাজা বাদশাহ জানত সকল
ক্ষমতা দিয়ে হলেও আমার
বাদশাহী সিনাইয়া নেওয়ার
চেষ্টা করত।
মন্ত্রী বলে বাদশাহ
আপনি কি বাদশাহী পাইলেন?
বাদশাহর
হাতে একটা খ্যাতা সিলানো শুই ছিল
ছুরে নদীর ভিতর ফেলে দিল,
ফালাইয়া দিয়া নদীর
দিকে তাকাইয়া বলে ওরে নদীর মাছ
আমার শুই টা উঠাইয়া দে,
দেখাগেল একটা মাছ তার মাথায়
করে শুইটা নিয়া আইসা উপস্থিত
হইয়া গেল।
(মাল্লাহুল
মাওলা ফালাহুলকুল)যে আল্লাহোর
হতে পারবে সমস্ত দুনিয়া তার হবে।
বাদশাহ বলে ও মন্ত্রী দেখ
আমি কি বাদশাহী পাইছি।
No comments