131 এই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়
131 এই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়
* প্রত্যেক জাতির জন্য অবকাশের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে 7: আরাফ:34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
* মৃত্যুর রুটিন যেখানে পালিয়ে ও সেখানে সেখানে হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির(মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78
دو جج آدمی را کاسد جور جوڑ
اے کے آبی دونا دیگر خاکے گر
অর্থাৎ দুটি জিনিস মানুষকে যথা স্হানে টেনে নিয়ে যায় ৷ এক, দানাপানি তথা রিজিক দুই কবরের মাটি, মাওয়ায়েজে সিরাজী পঞ্চম খন্ড পৃষ্ঠা নং 79
* যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর 62: জুমুয়াহ:8
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
* আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও,নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
* জন্মিলে মরিতে হবে মুসা আ:-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল। নাসায়ী,২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ
পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না, হোক না সে ফেরাউন কিংবা নমরুদ কেউ ভবে চিরকাল রয়না
* এমন জীবন কররে গঠন,মরিলে হাসিবে তুমি কাদিবে ভূবন,দোখান -২৯
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
* কত নেতা মরে,কেউ কাঁদে না, ইন্না লিল্লাহি ও পাঠ করেনা, এটা সফলতার জীবন নয়
* সফলতার জীবন হলো,মুমেনের মরনে আসমান ও জমিন কান্দে দুনিয়াবাসী কান্দে
* নম্র হবেন ভদ্র হবেন খোশ মেজাজের হবেন খোশ আখলাকের হবেন
* মানুষ মানুষের প্রশংসা বা দোষক্রুটি বর্ননা করার ফল,সহিহ বুখারী-১৩৬৭ সহিহ
أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَرُّوا بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَجَبَتْ ". ثُمَّ مَرُّوا بِأُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا فَقَالَ " وَجَبَتْ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مَا وَجَبَتْ قَالَ " هَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا فَوَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا فَوَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ
__________________
212 এই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়
* প্রত্যেক জাতির জন্য অবকাশের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে 7:আল-আরাফ:34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
* মৃত্যুর রুটিন যেখানে পালিয়ে ও সেখানে
সেখানে,হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির ( মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78)
মসনবী শরীফ এসেছে, একদিন আল্লাহর নবী সম্রাট সুলাইমান আলাই সালাম এর দরবারে এক ব্যক্তি বসা ছিল, হঠাৎ সে দৌড়ে হযরত সুলাইমান আলাই সালাম এর কাছে গিয়ে বলল, হুজুর আমাকে বাতাসের সাহায্যে হিন্দুস্থানের সোমনাথ মন্দির এর কাছে পাঠিয়ে দিন, সুলাইমান আলাই সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, কি হল তোমার ? বলল আমি এক্ষুনি আজরাইলের বীভৎস চেহারা দেখতে পেলাম,না জানি আমার জান কবজ করতে এসে গেলো কিনা, সুলাইমান আলাই সাল্লাম তার অনুরোধে বাতাসকে হুকুম করলেন, তাকে হিন্দুস্তানের সোমনাথ মন্দিরে নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য, এদিকে সে পৌছতে না পৌছতেই আজরাইল আলাই সাল্লাম এসে তার জান কবজ করে নিল পরবর্তীতে আল্লাহর পয়গম্বর সুলাইমান আলাই সাল্লাম, এক সময় আজরাইল কে দেখে লোকটিকে বীভৎস চেহারা দেখানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তখন আজরাইল বললেন হে আল্লাহর পয়গম্বর, আমাকে আল্লাহপাক হুকুম করেছেন, সোমনাথ মন্দিরের কাছ থেকে ওই লোকটির জান কবজ করার জন্য, আর আমি এ রাস্তা হয়ে যাচ্ছিলাম, এখানে তাকে দেখে আমি বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকাচ্ছিলাম, যে, কয়েক মুহুর্ত পরেই এখান থেকে শত শত মাইল দূর সোমনাথ মন্দিরের কাছ থেকে তার জান কবজ করার রুটিন রয়েছে, অথচ সে এখনো এখানে এরপরও আমি আল্লাহ পাকের রুটিন অনুযায়ী সেখানে চলে যাই গিয়ে, দেখি সময় মতো সে যথাস্থানে অবস্থান করছে অতঃপর আমি পরাক্রমশালী আল্লাহর প্রশংসা গাইলাম যথা সময়ে তার জান কবজ করলাম, সুবহানাল্লাহ আল্লাহ সর্বশক্তিমান খন্ড মাওয়ায়েজে সিরাজী পঞ্চম খন্ড পৃষ্ঠা নং 78
دو جج آدمی را کاسد جور جوڑ
اے کے آبی دونا دیگر خاکے گر
অর্থাৎ দুটি জিনিস মানুষকে যথা স্হানে টেনে নিয়ে যায় ৷ এক, দানাপানি তথা রিজিক দুই কবরের মাটি, মাওয়ায়েজে সিরাজী পঞ্চম খন্ড পৃষ্ঠা নং 79
* যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর 62:আল-জুমুয়াহ:8
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
* আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও 4:আন-নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
* জন্মিলে মরিতে হবে মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল।সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ
* জন্মিলে মরিতে হবে, মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল।সুনানে আন-নাসায়ী,২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ،
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল। যখন মালাকুল মউত তাঁর কাছে পৌঁছলেন তিনি তাঁকে এক চড় মারলেন যাতে তাঁর একটি চক্ষু বের হয়ে গেল।১ তিনি তাঁর প্রভুর কাছে গিয়ে বললেনঃ আপনি আমাকে এমন এক বান্দার কাছে প্রেরণ করেছেন যিনি মৃত্যুর ইচ্ছা পোষণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর চক্ষু ফিরিয়ে দিয়ে বললেন যে, এবার তাঁর কাছে ফিরে গিয়ে বলবে, তিনি যেন একটি গরুর পিঠে তাঁর হাত রাখে। তাঁর হাতের নীচে যতগুলো পশম পড়বে প্রত্যেক পশমের পরিবর্তে এক বৎসর করে তাঁর আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি [মুসা(আ)] বললেন, হে পরওয়ারদিগার! তারপর কি হবে? তিনি বললেন, মৃত্যু। তখন মুসা (আ) বললেন, তাহলে এখনই মৃত্যু হয়ে যাক। তিনি আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করলেন, তাঁকে যেন পবিত্রভুমি (বায়তুল মুকাদ্দাস) হতে একখানা প্রস্তর নিক্ষেপের দূরত্ব পরিমান নিকটবর্তী স্থানে রাখা হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যদি আমি তথায় থাকতাম তাহলে তোমাদেরকে তাঁর কবর দেখিয়ে দিতাম। যা পথের এক পার্শ্বে লাল বালুকা স্তূপের নীচে রয়েছে।সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২০৮৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না, হোক না সে ফেরাউন কিংবা নমরুদ কেউ ভবে চিরকাল রয়না
* এমন জীবন কররে গঠন,মরিলে হাসিবে তুমি কাদিবে ভূবন,দোখান -২৯
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি। ,
* কত নেতা মরে,কেউ কাঁদে না এটা সফলতার জীবন নয়,
* সফলতার জীবন হলো,মুমেনের মরনে আসমান ও জমিন কান্দে
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَرُّوا بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَجَبَتْ ". ثُمَّ مَرُّوا بِأُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا فَقَالَ " وَجَبَتْ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مَا وَجَبَتْ قَالَ " هَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا فَوَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا فَوَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ ".
* মানুষ মানুষের প্রশংসা বা দোষক্রুটি বর্ননা করার ফল,সহিহ বুখারী-১৩৬৭ সহিহ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক সাহাবী জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁরা তার প্রশংসা করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। একটু পরে অপর একটি জানাযা অতিক্রম করলেন। তখন তাঁরা তার নিন্দাসূচক মন্তব্য করলেন। (এবারও) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। তখন ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ) আরয করলেন, (হে আল্লাহর রসূল!) কি ওয়াজিব হয়ে গেল? তিনি বললেনঃ এ (প্রথম) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা উত্তম মন্তব্য করলে, তাই তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর এ (দ্বিতীয়) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা নিন্দাসূচক মন্তব্য করায় তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। তোমরা তো পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
__________________
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, ১৪০৮
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا
* নবীজির একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন, এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল,
গোত্রের সর্দারের শাপের দংশিত স্হানে সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দেয় ভাল হয়ে যায়,সহিহ বুখারী,২২৭৬
وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ثُمَّ قَالَ قَدْ أَصَبْتُمْ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ ﷺ
* কোরআনের ভাইরাস যদি আপনার ভিতরে প্রবেশ করাইতে পারেন তহলে পৃথিবীর কোনো ভাইরাস রোগ আপনার ভিতরে ডুকতে পরবেনা,ইনশাআল্লাহ
① প্রথমত রাসূল সা: এর শিখানো দোয়া সুনানে আবু দাউদ,১৫৫৪
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
② তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’। সহীহ ইবনু মা-জাহ ৩৪৪৭
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ " وَالسَّامُ الْمَوْتُ
③ খাটি মধু ও কালো জিরাতে দুরুদ শরীফ ১১ বার,সূরা ফাতিহা ৭০ বার,দুরুদ শরীফ ১১ বার,পড়ে রাত্রে তিন আংগুলে কালো জিরা,সকালে এক চামচ মধু খান
* আমাদের জন্য যে রিজিক নির্ধারিত করে রেখেছেন, তা ভোগ না করে আমাদের মৃত্যু হবেনা। করোনা কাউকে মারতে পারেনা, মৃত্যুর ফায়সালা হয় একমাত্র আল্লাহর নির্দেশে।
_______________
* সামান্য আতংকিতও হবেন না। আল্লাহ আমাদের মৃত্যু যখন যেখানে যে অবস্থায় ফায়সালা করে রাখছেন—ঠিক তখন, সেখানে এবং সে অবস্থাতেই আমাদের মৃত্যু হবে। এক সেকেন্ড আগেও হবেনা, এক সেকেন্ড পরেও হবেনা
7:আল-আরাফ:34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
প্রত্যেক জাতির জন্য অবকাশের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে। তারপর যখন কোন জাতির সময় পূর্ণ হয়ে যাবে তখন এক মুহূর্তকালের জন্যও তাকে বিলম্বিত বা ত্বরান্বিত করা হবে না। ২৭
4:আন-নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هٰذِهِۦ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هٰذِهِۦ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هٰٓؤُلَآءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا
আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও। যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তাহলে তারা বলে, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আর কোন ক্ষতি হলে বলে, এটা হয়েছে তোমার বদৌলতে।১০৯ বলে দাও, সবকিছুই হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। লোকদের কী হয়েছে, কোন কথাই তারা বোঝে না।
62:আল-জুমুয়াহ:8
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তাদের বলো, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর তোমাদেরকে সেই সত্তার সামনে পেশ করা হবে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছুই জানেন। তখন তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মৃত্যর রুটিন যেখানে পালিয়ে ও সেখানে
সেখানে,হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির ( মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78)
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* নবীজির একজন সাহাবী গোত্রের সর্দারের শাপের দংশিত সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দেয় ভাল হয়ে যায়,সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ انْطَلَقَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَيِّ فَسَعَوْا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ شَيْءٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ بَعْضِهِمْ شَيْءٌ فَأَتَوْهُمْ فَقَالُوا يَا أَيُّهَا الرَّهْطُ إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ وَسَعَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ نَعَمْ وَاللهِ إِنِّي لأرْقِي وَلَكِنْ وَاللهِ لَقَدْ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَلَمْ تُضَيِّفُونَا فَمَا أَنَا بِرَاقٍ لَكُمْ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلاً فَصَالَحُوهُمْ عَلَى قَطِيعٍ مِنْ الْغَنَمِ فَانْطَلَقَ يَتْفِلُ عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ فَكَأَنَّمَا نُشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَانْطَلَقَ يَمْشِي وَمَا بِهِ قَلَبَةٌ قَالَ فَأَوْفَوْهُمْ جُعْلَهُمْ الَّذِي صَالَحُوهُمْ عَلَيْهِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ اقْسِمُوا فَقَالَ الَّذِي رَقَى لاَ تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَنَذْكُرَ لَهُ الَّذِي كَانَ فَنَنْظُرَ مَا يَأْمُرُنَا فَقَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ فَقَالَ وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ثُمَّ قَالَ قَدْ أَصَبْتُمْ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَقَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ سَمِعْتُ أَبَا الْمُتَوَكِّلِ بِهَذَا
আবূ সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা এক আরব গোত্রে পৌঁছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার (আরগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না, তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরণ করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভালো হত। সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল! আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি? তাদের (সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ্র কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা, আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল। তারপর তিনি গিয়ে “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন” (সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমনভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন হতে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না। (বর্ণনাকারী বলেন,) তারপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিশ্রমিক পুরোপুরি দিয়ে দিল। সাহাবীদের কেউ কেউ বলেন, এগুলো বণ্টন কর। কিন্তু যিনি ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন তিনি বললেন এটা করব না, যে পর্যন্ত না আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে এই ঘটনা জানাই এবং লক্ষ্য করি তিনি আমাদের কী নির্দেশ দেন। তারা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা একটি দু’আ? তারপর বলেন, তোমরা ঠিকই করেছ। বণ্টন কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটা অংশ রাখ। এ বলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন। শো’বা (রহঃ) বলেন, আমার নিকট আবূ বিশর (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আমি মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) হতে এ হাদিস শুনেছি।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আমাদের জন্য যে রিজিক নির্ধারিত করে রেখেছেন, তা ভোগ না করে আমাদের মৃত্যু হবেনা। করোনা কাউকে মারতে পারেনা, মৃত্যুর ফায়সালা হয় একমাত্র আল্লাহর নির্দেশে।
রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক,সহিহ বুখারী ৫৭০৭
أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.
আফফান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:সালীম ইবনু হাইয়ান, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’। সহীহ ইবনু মা-জাহ ৩৪৪৭
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ " . وَالسَّامُ الْمَوْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ هِيَ الشُّونِيزُ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৪৪৭), বুখারী, মুসলিম।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, বুরাইদা, ইবনু উমার ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২০৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি হতে। ”
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫৫৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كَلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ - فَيَضُرَّهُ شَىْءٌ " . قَالَ وَكَانَ أَبَانُ قَدْ أَصَابَهُ طَرَفٌ مِنَ الْفَالِجِ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ أَبَانُ مَا تَنْظُرُ إِلَىَّ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا قَدْ حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَىَّ قَدَرَهُ .
উসমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতে সন্ধ্যায় তিনবার করে এ দুআ’টি পড়লে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না : ‘‘আল্লাহ্র নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বোজ্ঞ’’। অধস্তন রাবী বলেন, আবান (রাঃ)-এর দেহের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। (উক্ত হাদীস বর্ণনাকালে) এক ব্যক্তি (অধস্তন রাবী) তার দিকে তাকাতে থাকলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কি দেখছো? শোন! আমি তোমার নিকট যে হাদীস বর্ণনা করছি তা হুবহু বর্ণনা করেছি। তবে যেদিন আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি সেদিন ঐ দুআ’ পড়িনি এবং আল্লাহ্ তায়ালা তাকদীরের লিখন আমার উপর কার্যকর করেছেন। [৩২০১]
ফুটনোটঃ
[৩২০১] তিরমিযী ৩৩৮৮, আবূ দাউদ ৫০৮৮, আহমাদ ৪৪৮, ৫২৯। তাখরীজুল মুখতার ২৯১, ২৯২, আত তা’লীকুর রাগীব ১/২২৬, ২২৭।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৬৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মৃত্যু
No comments