Header Ads

Header ADS

40 উসিলা

40/66  উসিলা

 দুনিয়া হচ্ছে পরিক্ষার কেন্দ্র। ফাইনাল পরীক্ষার কেন্দ্র নয়।

* হায়াত আর মউত সৃষ্টি আমলের দিক থেকে উত্তম কার তা পরিক্ষা করার জন্য। সূরা মুলক-২

اِ۟لَّذِیْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوةَ لِیَبْلُوَكُمْ اَیُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا١ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفُوْرُۙ

*  আল্লাহ বান্দর কাছ থেকে সুন্দর নেক আমল চান। নেক আমলের উসিলায় দুনিয়ায় নাজাত পাওয়া যায়।

পরীক্ষার কেন্দ্রে তারাই পাশ করবে যারা ঈমান এনে নেক আমল করবে সুদ ঘুষ খাওয়া নেক আমল নয়। পরীক্ষায় পাশ করলেই দুই জাহানের বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ঈমানের পরীক্ষা দিয়েই জান্নাতে যেতে হবে

* নেক কাজের ওসিলা দিয়ে দুনিয়ায় নাজাত পাওয়া যায়,পরকালে ও নাজাত পাবে নেকের ওসিলায়। আমাদের পৃর্বের জমানায় তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয় সহীহ বুখারী -2272

* পরকালেও নাজাত পাবে। বেইমান জাহান্নামে। 64: আত তাগাবুন-9

يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِنۢ بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صٰلِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّـَٔاتِهِۦ وَيُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

*  একটি নেকির মূল্য কতো সেদিন বুঝে আসবে। একটি নেকির জন্য সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে 

* নেক আমলকারীর দোয়া কবুলের ঘোষনা। সে জন্য আমরা দোয়ার জন্য নেক আমলকারী লোকদের কাছে তাই। 42 : আশ- শূরা:26

وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۚ وَالْكٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ

 

____________________________________________________________



حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ انْطَلَقَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى أَوَوُا الْمَبِيتَ إِلَى غَارٍ فَدَخَلُوهُ، فَانْحَدَرَتْ صَخْرَةٌ مِنَ الْجَبَلِ فَسَدَّتْ عَلَيْهِمُ الْغَارَ فَقَالُوا إِنَّهُ لاَ يُنْجِيكُمْ مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ إِلاَّ أَنْ تَدْعُوا اللَّهَ بِصَالِحِ أَعْمَالِكُمْ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمُ اللَّهُمَّ كَانَ لِي أَبَوَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ، وَكُنْتُ لاَ أَغْبِقُ قَبْلَهُمَا أَهْلاً وَلاَ مَالاً، فَنَأَى بِي فِي طَلَبِ شَىْءٍ يَوْمًا، فَلَمْ أُرِحْ عَلَيْهِمَا حَتَّى نَامَا، فَحَلَبْتُ لَهُمَا غَبُوقَهُمَا فَوَجَدْتُهُمَا نَائِمَيْنِ وَكَرِهْتُ أَنْ أَغْبِقَ قَبْلَهُمَا أَهْلاً أَوْ مَالاً، فَلَبِثْتُ وَالْقَدَحُ عَلَى يَدَىَّ أَنْتَظِرُ اسْتِيقَاظَهُمَا حَتَّى بَرَقَ الْفَجْرُ، فَاسْتَيْقَظَا فَشَرِبَا غَبُوقَهُمَا، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَفَرِّجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ، فَانْفَرَجَتْ شَيْئًا لاَ يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوجَ ‏"‏‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَقَالَ الآخَرُ اللَّهُمَّ كَانَتْ لِي بِنْتُ عَمٍّ كَانَتْ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَىَّ، فَأَرَدْتُهَا عَنْ نَفْسِهَا، فَامْتَنَعَتْ مِنِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بِهَا سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ، فَجَاءَتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمِائَةَ دِينَارٍ عَلَى أَنْ تُخَلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِهَا، فَفَعَلَتْ حَتَّى إِذَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا قَالَتْ لاَ أُحِلُّ لَكَ أَنْ تَفُضَّ الْخَاتَمَ إِلاَّ بِحَقِّهِ‏.‏ فَتَحَرَّجْتُ مِنَ الْوُقُوعِ عَلَيْهَا، فَانْصَرَفْتُ عَنْهَا وَهْىَ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَىَّ وَتَرَكْتُ الذَّهَبَ الَّذِي أَعْطَيْتُهَا، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ‏.‏ فَانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ، غَيْرَ أَنَّهُمْ لاَ يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوجَ مِنْهَا‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ الثَّالِثُ اللَّهُمَّ إِنِّي اسْتَأْجَرْتُ أُجَرَاءَ فَأَعْطَيْتُهُمْ أَجْرَهُمْ، غَيْرَ رَجُلٍ وَاحِدٍ تَرَكَ الَّذِي لَهُ وَذَهَبَ فَثَمَّرْتُ أَجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنْهُ الأَمْوَالُ، فَجَاءَنِي بَعْدَ حِينٍ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَدِّ إِلَىَّ أَجْرِي‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ كُلُّ مَا تَرَى مِنْ أَجْرِكَ مِنَ الإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ وَالرَّقِيقِ‏.‏ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ لاَ تَسْتَهْزِئْ بِي‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْتَهْزِئُ بِكَ‏.‏ فَأَخَذَهُ كُلَّهُ فَاسْتَاقَهُ فَلَمْ يَتْرُكْ مِنْهُ شَيْئًا، اللَّهُمَّ فَإِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ‏.‏ فَانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ فَخَرَجُوا يَمْشُونَ ‏"‏‏.‏




‘আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয়। হঠাৎ পাহাড় হতে এক খণ্ড পাথর পড়ে গুহায় মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগল তোমাদের সৎকার্যাবলীর ওসীলা নিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করা ছাড়া আর কোন কিছুই এ পাথর হতে তোমাদেরকে মুক্ত করতে পারে না। তখন তাদের মধ্যে একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ্‌! আমার পিতা-মাতা খুব বৃদ্ধ ছিলেন। আমি কখনো তাদের আগে আমার পরিবার পরিজনকে কিংবা দাস-দাসীকে দুধ পান করাতাম না। একদিন কোন একটি জিনিসের তালাশে আমাকে অনেক দূরে চলে যেতে হয়; কাজেই আমি তাঁদের ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে ফিরতে পারলাম না। আমি তাঁদের জন্য দুধ দোহায়ে নিয়ে এলাম। কিন্তু তাঁদেরকে ঘুমন্ত পেলাম। তাদের আগে আমার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীকে দুধ পান করতে দেয়াটাও আমি পছন্দ করিনি। তাই আমি তাঁদের জেগে উঠার অপেক্ষায় পেয়ালাটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। এভাবে ভোরের আলো ফুটে উঠল। তারপর তাঁরা জাগলেন এবং দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ্‌! যদি আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এ কাজ করে থাকি, তবে এ পাথরের কারনে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা আমাদের হতে দূর করে দাও। ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌! আমার এক চাচতো বোন ছিল। সে আমার খুব প্রিয় ছিল। আমি তার সঙ্গে সঙ্গত হতে চাইলাম। কিন্তু সে বাধা দিল। তারপর এক বছর ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে সে আমার কাছে (সাহায্যের জন্য) এল। আমি তাকে একশ’ বিশ দীনার এ শর্তে দিলাম যে, সে আমার সাথে একান্তে মিলিত হবে, তাতে সে রাযী হল। আমি যখন সম্পূর্ণ সুযোগ লাভ করলাম, তখন সে বলল, আমি তোমাকে অবৈধভাবে মোহর ভাঙার অনুমতি দিতে পারি না। ফলে সে আমার সর্বাধিক প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও আমি তার সাথে সঙ্গত হওয়া পাপ মনে করে তার কাছ হতে ফিরে আসলাম এবং তাকে যে স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, তাও ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ্‌! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়ে আছি তা দূর কর। তখন সেই পাথরটি (আরও একটু) সরে পড়ল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারছিল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌! আমি কয়েকজন মজদুর নিয়োগ করেছিলাম এবং তাদেরকে তাদের মজুরীও দিয়েছিলাম, কিন্তু একজন লোক তার প্রাপ্য না নিয়ে চলে গেল। আমি তার মজুরীর টাকা খাটিয়ে তা বাড়াতে লাগলাম। তাতে প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জিত হল। কিন্তু কিছুকাল পর সে আমার নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র বান্দা! আমাকে আমার মজুরী দিয়ে দাও। আমি তাকে বললাম, এসব উট, গরু, ছাগল ও গোলাম যা তুমি দেখতে পাচ্ছ, তা সবই তোমার মজুরী। সে বলল, হে আল্লাহ্‌র বান্দা! তুমি আমার সাথে বিদ্রুপ করো না। তখন আমি বললাম, আমি তোমার সাথে মোটেই বিদ্রুপ করছি না। তখন সে সবই গ্রহণ করল এবং নিয়ে চলে গেল। তা হতে একটাও ছেড়ে গেল না। হে আল্লাহ্‌! আমি যদি তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজ করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা দূর কর। তখন সে পাথরটি সম্পূর্ণ সরে পড়ল। তারপর তারা বেরিয়ে এসে পথ চলতে লাগল।


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭২


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




এভাবে নেক আমলকারীর দোয়া আল্লাহ কবুল করে থাাকেন,


* নেক আমলকারীর দোয়া কবুলের ঘোষনা


42:আশ-শূরা:26




وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۚ وَالْكٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ




তিনি ঈমানদার ও নেক আমলকারীদের দোয়া কবুল করেন এবং নিজের দয়ায় তাদের আরো অধিক দেন। কাফেরদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।




আল্লাহ তা'আলা স্বীয় অনুগ্রহ এবং দয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন যে, বান্দা যত বড়ই পাপী হোক না কেন, যখন সে তার অসৎ ও পাপ কার্য হতে বিরত থাকে এবং আন্তরিকতার সাথে তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়ে ও বিশুদ্ধ অন্তরে তাওবা করে তখন তিনি স্বীয় দয়া ও করুণা দ্বারা তাকে ঢেকে নেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন ও স্বীয় অনুগ্রহ তার অবস্থার অনুরূপ করে দেন। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী)


وَمَنْ يَّعْمَلْ سُوْ۬ءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَه۫ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّٰهَ يَجِدِ اللّٰهَ غَفُوْرًا رَّحِيْمًا)‏ 




 অর্থাৎ “যে ব্যক্তি মন্দকর্ম করে অথবা নিজের উপর যুলুম করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়ালু পায়।”(৪:১১০)




হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দার তাওবায় ঐ ব্যক্তির চেয়েও বেশী খুশী হন যার উষ্ট্ৰীটি মরু প্রান্তরে হারিয়ে গেছে, যার উপর তার পানাহারের জিনিসও রয়েছে। লোকটি উস্ত্রীর খোঁজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নীচে বসে পড়লো এবং নিজের জীবনের আশাও ত্যাগ করলো। উস্ত্রী হতে সে সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে পড়লো। এমতাবস্থায় হঠাৎ সে দেখে যে, উষ্ট্ৰীটি তার পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তৎক্ষণাৎ উঠে দাঁড়ালো এবং ওর লাগাম ধরে নিলো এবং সে এতো বেশী খুশী হলো যে, আত্মভোলা হয়ে বলে ফেললোঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমার বান্দা এবং আমি আপনার প্রতিপালক। অত্যাধিক খুশীর কারণেই সে এরূপ ভুল করলো।” (এ হাদীসটি ইমাম মুসলিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)







* সেদিন নেক আমলকারীর গুনাহ মুছে ফেলবেন




*  ফাইনাল খেলা ফাইনাল পরীক্ষার দিন ঈমান এনে আমল করেছে তারা নাজাত পাবে। বেইমান জাহান্নামে যাবে 64:আত-তাগাবুন:9

يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِنۢ بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صٰلِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّـَٔاتِهِۦ وَيُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ


শব্দার্থ: يَوْمَ = যেদিন, يَجْمَعُكُمْ = তোমাদের একত্রিত করবেন , لِيَوْمِ = দিনের জন্যে , الْجَمْعِ = সমাবেশের, ذَٰلِكَ = সেই, يَوْمُ = দিন, التَّغَابُنِ = হার-জিতের, وَمَنْ = এবং যে, يُؤْمِنْ = ঈমান আনে, بِاللَّهِ = আল্লাহ্‌র উপর , وَيَعْمَلْ = ওকাজকরে, صَالِحًا = নেক, يُكَفِّرْ = মোচন করবেন , عَنْهُ = তার থেকে, سَيِّئَاتِهِ = তারগুনাহগুলো, وَيُدْخِلْهُ = এবং তাকে প্রবেশ করাবেন, جَنَّاتٍ = জান্নাতে, تَجْرِي = প্রবাহিত হয়, مِنْ = হতে, تَحْتِهَا = তারপাদদেশ, الْأَنْهَارُ = ঝর্ণাধারাগুলো, خَالِدِينَ = বসবাসকারী স্থায়ী, فِيهَا = তার মধ্যে , أَبَدًا = চিরকাল, ذَٰلِكَ = এটা, الْفَوْزُ = সাফল্য, الْعَظِيمُ = বড়,


(এ বিষয়ে তোমরা টের পাবে সেইদিন। যখন একত্র করার দিন তোমাদের সবাইকে তিনি একত্র করবেন।১৯ সেদিনটি হবে তোমাদের পরস্পরের হার-জিতের দিন।২০ যে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করে২১ আল্লাহ তা’আলা তার গোনাহ মুছে ফেলবেন আর তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝরণা বইতে থাকবে। এসব লোক চিরস্থায়ীভাবে সেখানে থাকবে। এটাই বড় সফলতা




* পক্ষান্তরে


39:আয-যুমার:55




وَاتَّبِعُوٓا أَحْسَنَ مَآ أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ بَغْتَةً وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ




আর অনুসরণ করো তোমাদের রবের প্রেরিত কিতাবের সর্বোত্তম দিকগুলোর৭২ ---তোমাদের ওপর আকস্মিকভাবে আযাব আসার পূর্বেই ---যে আযাব সম্পর্কে তোমরা অনবহিত থাকবে।




39:আয-যুমার:56




أَن تَقُولَ نَفْسٌ يٰحَسْرَتٰى عَلٰى مَا فَرَّطتُ فِى جَنۢبِ اللَّهِ وَإِن كُنتُ لَمِنَ السّٰخِرِينَ




এমন যেন না হয় যে, পরে কেউ বলবেঃ “আমি আল্লাহর ব্যাপারে যে অপরাধ করেছি সেজন্য আফসোস। বরং আমি তো বিদ্রূপকারীদের মধ্যে শামিল ছিলাম।”




39:আয-যুমার:57




أَوْ تَقُولَ لَوْ أَنَّ اللَّهَ هَدٰىنِى لَكُنتُ مِنَ الْمُتَّقِينَ




অথবা বলবেঃ “কতই না ভাল হতো যদি আল্লাহ‌ আমাকে হিদায়াত দান করতেন। তাহলে আমিও মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত থাকতাম।”




39:আয-যুমার:58




أَوْ تَقُولَ حِينَ تَرَى الْعَذَابَ لَوْ أَنَّ لِى كَرَّةً فَأَكُونَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ




কিংবা আযাব দেখতে পেয়ে বলবেঃ “কতই না ভাল হতো যদি আরো একবার সুযোগ পেতাম তাহলে নেক আমলকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যেতাম।”




89:আল-ফাজর:23




وَجِاىٓءَ يَوْمَئِذٍۭ بِجَهَنَّمَ ۚ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسٰنُ وَأَنّٰى لَهُ الذِّكْرٰى




সেদিন জাহান্নামকে সামনে আনা হবে।




89:আল-ফাজর:24




يَقُولُ يٰلَيْتَنِى قَدَّمْتُ لِحَيَاتِى




সেদিন মানুষ বুঝবে কিন্তু তার বুঝতে পারায় কী লাভ?১৭ সে বলবে, হায়, যদি আমি নিজের জীবনের জন্য কিছু আগাম ব্যবস্থা করতাম!




89:আল-ফাজর:25




فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُۥٓ أَحَدٌ




সেদিন আল্লাহ‌ যে শাস্তি দেবেন তেমন শাস্তি কেউ দিতে পারবে না।


89:আল-ফাজর:26




وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُۥٓ أَحَدٌ




এবং আল্লাহ‌ যেমন বাঁধবেন আর কেউ তেমন বাঁধতে পারবে না।




89:আল-ফাজর:27




يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ




(অন্যদিকে বলা হবে) হে প্রশান্ত আত্মা!১৮




89:আল-ফাজর:28




ارْجِعِىٓ إِلٰى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً




চলো তোমার রবের দিকে,১৯ এমন অবস্থায় যে তুমি (নিজের শুভ পরিণতিতে) সন্তুষ্ট (এবং তোমরা রবের) প্রিয়পাত্র।


89:আল-ফাজর:29




فَادْخُلِى فِى عِبٰدِى




শামিল হয়ে যাও আমার (নেক) বান্দাদের মধ্যে




89:আল-ফাজর:30




وَادْخُلِى جَنَّتِى




এবং প্রবেশ করো আমার জান্নাতে।




* নেক আমলকারীদের সাথে আল্লাহর সাক্ষাত




18:আল-কাহাফ:110




قُلْ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحٰىٓ إِلَىَّ أَنَّمَآ إِلٰهُكُمْ إِلٰهٌ وٰحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُوا لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صٰلِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدًۢا




হে মুহাম্মাদ! বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ‌ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সৎকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়।




* মুখের কথা ও ইবাদত




أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَلِمَتَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ




আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’টি কলেমা (বাণী) রয়েছে, যেগুলো দয়াময় আল্লাহ্‌র কাছে অতি প্রিয়, উচ্চারনে খুবই সহজ (আমলের) পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টি হচ্ছে), সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহান্নাল্লাহিল আযীম’—আমরা আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ্ অতীব পবিত্র।(আধুনিক প্রকাশনী- ৭০৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭০৫৩)


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭৫৬৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




-----


কেন রে মন বারে বারে তুমি গুনাহের পথে যেতে চাও। তোমার কি একবার ও মনে পড়েনা সেইদিনের কথা অর্থাৎ পরকালের কথা। যেদিন কেউ কারো আপন থাকবেনা। যেদিন তোমাকে একটি মাত্র নেকির জন্য ঘুরতে হবে অনেকের ধারে ধারে। তাই আসুন নিজের ঈমানকে মজবুত করে নেক আমল করার চেষ্টা করি। তাহলে কিছুটা না হয় এই ভয়ংকর কবরের আযাব হতে মুক্তি পেতে পারি।


* একটা নেকির অভাবে খোজতে থাকবে




হাদিছে এসেছে, কিয়ামতের দিন এক লোক জান্নাতে জাবার জন্য একটি মাত্র নেকি কম পরবে, তারপর সেই লোক এক নেকির জন্য সারা দুনিয়া ঘুরে বেরাবে,, তার মায়ের কাছে যাবে মা পরিচয় দিবেনা, বাবার কাছে যাবে বাবা পরিচয় দিবেনা, স্ত্রীর কাছে যাবে সে পরিচয় দেবেনে, ভাই বোন আত্মীয় সজন কেউই পরিচয় দেবেনা...লোকটা ছূটতে থাকবে এমন সময় অন্য আর এক লোক ডাক দিবে যার নেকি মাত্র একটাই, উনি ডেকে বলবে কি ভাই এভাবে ছুটছেন কেনো তখন বলবে ভাই আমার একটা নেকি লাগবে একটা নেকি হলে আমি জান্নাতে যেতে পারবো, তখন ওই লোকটা চিন্তা করবে আমারতো নেকি মাত্র একটাই এ দিয়েতো কিছুই হবেনা, এই নেকি দিয়ে যদি উনি জান্নাতে যেতে পারে যাক ক্ষতি কি দুনিয়াতে বসেতো কোনো ভালো কাজ করলামনা আজ নাহয় হাসরের ময়দানে করলাম




তখন ওই লোকটি নেকি নিয়ে যখন আল্লাহর কাছে ছূটে যাবেন তখন আল্লাহ বলবে কিরে নেকি পাইছোস কই? কে দিলো তোরে এক নেকি তখন ওই এক নেকি ওয়ালা লোকটাকে দেখাই দিলো আল্লাহ ওনাকেও ডাক দিবেন বলবেন কিরে ওরে এক নেকি তাও দিয়ে দিলে কেন, তখন ওই লোকটি বলবে আমার তো নেকি একটাই এইটা দিয়াতো কিছুই হবেনা ও ছূটতাছে দেখলাম তাই দয়া করে এক নেকি দিয়া দিলাম..


আল্লাহতালা শুনে খুশি হলেন তিনি বললেন তুমি আমার বানদাকে দয়া করেছ আমি তোমাকে দয়া করে মাফ করে দিলাম।


(সুবহানাল্লাহ)




حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، - وَهُوَ عَمُّهُ - قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَلَّهُ أَشَدُّ فَرَحًا بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ حِينَ يَتُوبُ إِلَيْهِ مِنْ أَحَدِكُمْ كَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ بِأَرْضِ فَلاَةٍ فَانْفَلَتَتْ مِنْهُ وَعَلَيْهَا طَعَامُهُ وَشَرَابُهُ فَأَيِسَ مِنْهَا فَأَتَى شَجَرَةً فَاضْطَجَعَ فِي ظِلِّهَا قَدْ أَيِسَ مِنْ رَاحِلَتِهِ فَبَيْنَا هُوَ كَذَلِكَ إِذَا هُوَ بِهَا قَائِمَةً عِنْدَهُ فَأَخَذَ بِخِطَامِهَا ثُمَّ قَالَ مِنْ شِدَّةِ الْفَرَحِ اللَّهُمَّ أَنْتَ عَبْدِي وَأَنَا رَبُّكَ ‏.‏ أَخْطَأَ مِنْ شِدَّةِ الْفَرَحِ ‏"‏ ‏.‏




আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা যখন আল্লাহর কাছে তাওবাহ্‌ করে তখন আল্লাহ ঐ লোকের চেয়েও বেশি আনন্দিত হন, যে মরুভূমিতে নিজ সওয়ারীর উপর আরোহিত ছিল। তারপর সাওয়ারীটি তার হতে হারিয়ে যায়। আর তার উপর ছিল তার খাদ্য ও পানীয়। এরপর নিরাশ হয়ে সে একটি গাছের ছায়ায় এসে আরাম করে এবং তার উটটি সম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে নিরাশ হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় হঠাৎ উটটি তার কাছে এসে দাঁড়ায়। অমনিই সে তার লাগাম ধরে ফেলে। এরপর সে আনন্দে আত্মহারা হয়ে বলে উঠে, হে আল্লাহ! তুমি আমার বান্দা, আমি তোমার রব। আনন্দে আত্মহারা হয়ে সে ভুল করে ফেলেছে। (ই.ফা. ৬৭০৮, ই.সে. ৬৭৬৩)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৮৫৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




35:ফাতির:37




وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صٰلِحًا غَيْرَ الَّذِى كُنَّا نَعْمَلُ ۚ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيرُ ۖ فَذُوقُوا فَمَا لِلظّٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٍ




তারা সেখানে চিৎকার করে করে বলবে “হে আমাদের রব! আমাদের এখান থেকে বের করে নাও, আমরা সৎকাজ করবো, আগে যে কাজ করতাম তা থেকে আলাদা।” (তাদেরকে জবাব দেয়া হবে এই বলে,) “আমি কি তোমাদের এতটুকু আয়ুষ্কাল দান করিনি যে সময়ে কেউ শিক্ষাগ্রহণ করতে চাইলে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারতো?৬৩ আর তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসে গিয়েছিল। এখন স্বাদ আস্বাদন করো, জালেমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।”




4:আন-নিসা:18




وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّـَٔاتِ حَتّٰىٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّى تُبْتُ الْـٰٔنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا




কিন্তু তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা খারাপ কাজ করে যেতেই থাকে, এমন কি তাদের কারো মৃত্যুর সময় এসে গেলে সে বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। অনুরূপভাবে তাওবা তাদের জন্যও নয় যারা মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কাফের থাকে। এমন সব লোকদের জন্য তো আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি।২৭




10:ইউনুস:90




وَجٰوَزْنَا بِبَنِىٓ إِسْرٰٓءِيلَ الْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُۥ بَغْيًا وَعَدْوًا ۖ حَتّٰىٓ إِذَآ أَدْرَكَهُ الْغَرَقُ قَالَ ءَامَنتُ أَنَّهُۥ لَآ إِلٰهَ إِلَّا الَّذِىٓ ءَامَنَتْ بِهِۦ بَنُوٓا إِسْرٰٓءِيلَ وَأَنَا۠ مِنَ الْمُسْلِمِينَ




আর আমি বনী ইসরাঈলকে সাগর পার করে নিয়ে গেলাম। তারপর ফেরাউন ও তার সেনাদল জুলুম নির্যাতন ও সীমালঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য তাদের পেছনে চললো। অবশেষে যখন ফেরাউন ডুবতে থাকলো তখন বলে উঠলো, আমি মেনে নিলাম, নবী ইসরাঈল যার উপর ঈমান এনেছে তিনি ছাড়া আর কোন প্রকৃত ইলাহ নেই এবং আমিও আনুগত্যের শির নতকারীদের অন্তর্ভুক্ত।৯১


10:ইউনুস:91




ءَآلْـٰٔنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنتَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ




(জবাব দেয়া হলো) এখন ঈমান আনছো! অথচ এর আগে পর্যন্ত তুমি নাফরমানী চালিয়ে এসেছো এবং তুমি বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের একজন ছিলে।


10:ইউনুস:92




فَالْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ ءَايَةً ۚ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ النَّاسِ عَنْ ءَايٰتِنَا لَغٰفِلُونَ




এখন তো আমি কেবল তোমার লাশটাকেই রক্ষা করবো যাতে তুমি পরবর্তীদের জন্য শিক্ষণীয় নিদর্শন হয়ে থাকো।৯২ যদিও অনেক মানুষ এমন আছে যারা আমার নিদর্শনসমূহ থেকে উদাসীন।৯৩


42:আশ-শূরা:26




وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۚ وَالْكٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ




তিনি ঈমানদার ও নেক আমলকারীদের দোয়া কবুল করেন এবং নিজের দয়ায় তাদের আরো অধিক দেন। কাফেরদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি।


40:আল-মু’মিন (গাফির):60




وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِىٓ أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِى سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ




তোমাদের৮২ রব বলেনঃ আমাকে ডাকো। আমি তোমাদের দোয়া কবুল করবো।৮৩ যেসব মানুষ গর্বের কারণে আমার দাসত্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা অচিরেই লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।৮৪




* ইমানদার সম্পদ চায় দেয়না কেন?


 42:আশ-শূরা:27




وَلَوْ بَسَطَ اللَّهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهِۦ لَبَغَوْا فِى الْأَرْضِ وَلٰكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَآءُ ۚ إِنَّهُۥ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرٌۢ بَصِيرٌ




আল্লাহ যদি তাঁর সব বান্দাদেরকে অঢেল রিযিক দান করতেন তাহলে তারা পৃথিবীতে বিদ্রোহের তুফান সৃষ্টি করতো। কিন্তু তিনি একটি হিসাব অনুসারে যতটা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয়ই তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে অবহিত এবং তাদের প্রতি লক্ষ্য রাখেন।৪৮




সময়ের মূল্যায়ন


* উভয় জগতে মুক্তির জন্য নেকের প্রয়োজন সময় থাকতে করতে হবে


رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صٰلِحًا غَيْرَ الَّذِى كُنَّا نَعْمَلُ ۚ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم


* আমাদের অসময়ে হুশ ফিরে আসে -নিসা:18


وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّـَٔاتِ حَتّٰىٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّى تُبْتُ الْـٰٔنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولٰٓئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا


* ফেরাউনী তৌবাহ নয় সময় থাককে করতে হবে


10:ইউনুস:90-92


ءَامَنتُ أَنَّهُۥ لَآ إِلٰهَ إِلَّا الَّذِىٓ ءَامَنَتْ بِهِۦ بَنُوٓا إِسْرٰٓءِيلَ وَأَنَا۠ مِنَ الْمُسْلِمِينَ


ءَآلْـٰٔنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنتَ مِنَ الْمُفْسِدِينَ


فَالْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ ءَايَةً


* নেক আমলকারীর দোয়া কবুলের ঘোষনা


42:আশ-শূরা:26


وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِ


* ইমানদার সম্পদ চায় দেয়া হয় না কেন? 42:আশ-শূরা:27


وَلَوْ بَسَطَ اللَّهُ الرِّزْقَ لِعِبَادِهِۦ لَبَغَوْا فِى الْأَرْضِ وَلٰكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٍ مَّا يَشَآءُ ۚ إِنَّهُۥ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرٌۢ بَصِيرٌ


* এবাদতে নিমগ্ন থাকার জন্য দোয়া করে,গরীব,অসুস্হ, রাখি যাতে আমি আল্লাহকে ভুলে না যায়(নূরুল কোরআন 21/39


* বান্দার প্রতি কত দয়া-নিসা:110


وَمَن يَعْمَلْ سُوٓءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُۥ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا


* হারানো উঠ পেয়ে খুশি হয়ে কয়, মুসলিম ৬৮৫৩


اللَّهُمَّ أَنْتَ عَبْدِي وَأَنَا رَبُّكَ


* আমাকে ডাক সারা দিব


40:আল-মু’মিন (গাফির):60


وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِىٓ أَسْتَجِبْ لَكُمْ ۚ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِى سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ


* আমি আল্লাহর হই তাকে ভয় করি নেক আমল করি আল্লাহ আমার হবেন


* নেক কাজের ওসিলা দিয়ে নাজাত পেল পরকালে ও নাজাত পাবে নেকের ওসিলায় তিন ব্যক্তি সফরে রাত কাটাবার জন্য গুহায় আশ্রয় নেয়।বৃদ্ধা পিতা মাতা-বুখারী ২২৭২


اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَفَرِّجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ، فَانْفَرَجَتْ شَيْئًا


اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ‏.‏ فَانْفَرَجَتِ الصَّخْرَة


এভাবে নেক আমলকারীর দোয়া আল্লাহ কবুল করে থাাকেন,


* সেদিন নেক আমলকারীর গুনাহ মুছে ফেলবেন 64:আত-তাগাবুন:9


يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِنۢ بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صٰلِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّـَٔاتِهِۦ وَيُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ


* নেক আমলকারীদের সাথে আল্লাহর সাক্ষাত 18:আল-কাহাফ:110


فَمَن كَانَ يَرْجُوا لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صٰلِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدًۢا




* সুসময়ে সুবহাল্লাহর ফজিলত


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَلِمَتَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ

No comments

Powered by Blogger.