52/112 এই অস্থায়ী এই পৃথিবীতে থাকার জায়গা নয়
* প্রত্যেক প্রানীর জন্য মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট রয়েছে আরাফ 34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
* মৃত্যুর রুটিন যেখানে পালিয়ে সেখানেই হবে। হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির(মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78
دو جج آدمی را کاسد جور جوڑ
اے کے آبی دونا دیگر خاکے گر
লোকায়েও বাঁচা যাবেনা। তাইফুর বাদশা লোকাইছিলো জুমুয়া
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
* হযরত হানযালা (আ) সময় সাতশত বছরের মধ্যে কোনো মানুষ মারা যায়নি। আল্লাহকে অস্বীকার করলে গজব আসবে। তোমরা সেই গজবে মরবে। মৃত্যুর কথা বললে বেয়াকুফ বাদশাহর নাম ছিল তায়ফুর। সে লোহার তৈরি কামরা নির্মাণ করে।
* আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও,নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
* জন্মিলে মরিতে হবে মুসা আ:-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল। নাসায়ী,২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ
পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না, হোক না সে ফেরাউন কিংবা নমরুদ কেউ ভবে চিরকাল রয়না
* এমন জীবন কররে গঠন,মরিলে হাসিবে তুমি কাদিবে ভূবন,দোখান -২৯
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
* কত নেতা মরে,কেউ কাঁদে না, ইন্না লিল্লাহি ও পাঠ করেনা, এটা সফলতার জীবন নয়
* সফলতার জীবন হলো।মুমেনের মরনে আসমান ও জমিন কান্দে দুনিয়াবাসী কান্দে
* নম্র হবেন ভদ্র হবেন খোশ মেজাজের হবেন খোশ আখলাকের হবেন
* মানুষ মানুষের প্রশংসা বা দোষক্রুটি বর্ননা করার ফল,সহিহ বুখারী-১৩৬৭ সহিহ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক সাহাবী জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁরা তার প্রশংসা করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। একটু পরে অপর একটি জানাযা অতিক্রম করলেন। তখন তাঁরা তার নিন্দাসূচক মন্তব্য করলেন। (এবারও) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। তখন ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ) আরয করলেন, (হে আল্লাহর রসূল!) কি ওয়াজিব হয়ে গেল? তিনি বললেনঃ এ (প্রথম) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা উত্তম মন্তব্য করলে, তাই তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর এ (দ্বিতীয়) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা নিন্দাসূচক মন্তব্য করায় তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। তোমরা তো পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
__________________
212 এই পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী নয়
* প্রত্যেক জাতির জন্য অবকাশের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে 7:আল-আরাফ:34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
* মৃত্যুর রুটিন যেখানে পালিয়ে ও সেখানে
সেখানে,হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির ( মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78)
মসনবী শরীফ এসেছে, একদিন আল্লাহর নবী সম্রাট সুলাইমান আলাই সালাম এর দরবারে এক ব্যক্তি বসা ছিল, হঠাৎ সে দৌড়ে হযরত সুলাইমান আলাই সালাম এর কাছে গিয়ে বলল, হুজুর আমাকে বাতাসের সাহায্যে হিন্দুস্থানের সোমনাথ মন্দির এর কাছে পাঠিয়ে দিন, সুলাইমান আলাই সাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, কি হল তোমার ? বলল আমি এক্ষুনি আজরাইলের বীভৎস চেহারা দেখতে পেলাম,না জানি আমার জান কবজ করতে এসে গেলো কিনা, সুলাইমান আলাই সাল্লাম তার অনুরোধে বাতাসকে হুকুম করলেন, তাকে হিন্দুস্তানের সোমনাথ মন্দিরে নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য, এদিকে সে পৌছতে না পৌছতেই আজরাইল আলাই সাল্লাম এসে তার জান কবজ করে নিল পরবর্তীতে আল্লাহর পয়গম্বর সুলাইমান আলাই সাল্লাম, এক সময় আজরাইল কে দেখে লোকটিকে বীভৎস চেহারা দেখানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, তখন আজরাইল বললেন হে আল্লাহর পয়গম্বর, আমাকে আল্লাহপাক হুকুম করেছেন, সোমনাথ মন্দিরের কাছ থেকে ওই লোকটির জান কবজ করার জন্য, আর আমি এ রাস্তা হয়ে যাচ্ছিলাম, এখানে তাকে দেখে আমি বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকাচ্ছিলাম, যে, কয়েক মুহুর্ত পরেই এখান থেকে শত শত মাইল দূর সোমনাথ মন্দিরের কাছ থেকে তার জান কবজ করার রুটিন রয়েছে, অথচ সে এখনো এখানে এরপরও আমি আল্লাহ পাকের রুটিন অনুযায়ী সেখানে চলে যাই গিয়ে, দেখি সময় মতো সে যথাস্থানে অবস্থান করছে অতঃপর আমি পরাক্রমশালী আল্লাহর প্রশংসা গাইলাম যথা সময়ে তার জান কবজ করলাম, সুবহানাল্লাহ আল্লাহ সর্বশক্তিমান খন্ড মাওয়ায়েজে সিরাজী পঞ্চম খন্ড পৃষ্ঠা নং 78
دو جج آدمی را کاسد جور جوڑ
اے کے آبی دونا دیگر خاکے گر
অর্থাৎ দুটি জিনিস মানুষকে যথা স্হানে টেনে নিয়ে যায় ৷ এক, দানাপানি তথা রিজিক দুই কবরের মাটি, মাওয়ায়েজে সিরাজী পঞ্চম খন্ড পৃষ্ঠা নং 79
* যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর 62:আল-জুমুয়াহ:8
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
* আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও 4:আন-নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
* জন্মিলে মরিতে হবে মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল।সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ
* জন্মিলে মরিতে হবে, মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল।সুনানে আন-নাসায়ী,২০৮৯
أَرْسَلْتَنِي إِلَى عَبْدٍ لَا يُرِيدُ الْمَوْتَ، فَرَدَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِ عَيْنَهُ، وَقَالَ: ارْجِعْ إِلَيْهِ، فَقُلْ لَهُ يَضَعُ يَدَهُ عَلَى مَتْنِ ثَوْرٍ، فَلَهُ بِكُلِّ مَا غَطَّتْ يَدُهُ بِكُلِّ شَعْرَةٍ سَنَةٌ،
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, মুসা (আ)-এর কাছে মালাকুল মউতকে প্রেরণ করা হল। যখন মালাকুল মউত তাঁর কাছে পৌঁছলেন তিনি তাঁকে এক চড় মারলেন যাতে তাঁর একটি চক্ষু বের হয়ে গেল।১ তিনি তাঁর প্রভুর কাছে গিয়ে বললেনঃ আপনি আমাকে এমন এক বান্দার কাছে প্রেরণ করেছেন যিনি মৃত্যুর ইচ্ছা পোষণ করেন না। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর চক্ষু ফিরিয়ে দিয়ে বললেন যে, এবার তাঁর কাছে ফিরে গিয়ে বলবে, তিনি যেন একটি গরুর পিঠে তাঁর হাত রাখে। তাঁর হাতের নীচে যতগুলো পশম পড়বে প্রত্যেক পশমের পরিবর্তে এক বৎসর করে তাঁর আয়ু বাড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি [মুসা(আ)] বললেন, হে পরওয়ারদিগার! তারপর কি হবে? তিনি বললেন, মৃত্যু। তখন মুসা (আ) বললেন, তাহলে এখনই মৃত্যু হয়ে যাক। তিনি আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করলেন, তাঁকে যেন পবিত্রভুমি (বায়তুল মুকাদ্দাস) হতে একখানা প্রস্তর নিক্ষেপের দূরত্ব পরিমান নিকটবর্তী স্থানে রাখা হয়। রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যদি আমি তথায় থাকতাম তাহলে তোমাদেরকে তাঁর কবর দেখিয়ে দিতাম। যা পথের এক পার্শ্বে লাল বালুকা স্তূপের নীচে রয়েছে।সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২০৮৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না, হোক না সে ফেরাউন কিংবা নমরুদ কেউ ভবে চিরকাল রয়না
* এমন জীবন কররে গঠন,মরিলে হাসিবে তুমি কাদিবে ভূবন,দোখান -২৯
فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি। ,
* কত নেতা মরে,কেউ কাঁদে না এটা সফলতার জীবন নয়,
* সফলতার জীবন হলো,মুমেনের মরনে আসমান ও জমিন কান্দে
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ مَرُّوا بِجَنَازَةٍ فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَجَبَتْ ". ثُمَّ مَرُّوا بِأُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا فَقَالَ " وَجَبَتْ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ مَا وَجَبَتْ قَالَ " هَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا فَوَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا فَوَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِ ".
* মানুষ মানুষের প্রশংসা বা দোষক্রুটি বর্ননা করার ফল,সহিহ বুখারী-১৩৬৭ সহিহ
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক সাহাবী জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তাঁরা তার প্রশংসা করলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। একটু পরে অপর একটি জানাযা অতিক্রম করলেন। তখন তাঁরা তার নিন্দাসূচক মন্তব্য করলেন। (এবারও) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ওয়াজিব হয়ে গেল। তখন ‘উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ) আরয করলেন, (হে আল্লাহর রসূল!) কি ওয়াজিব হয়ে গেল? তিনি বললেনঃ এ (প্রথম) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা উত্তম মন্তব্য করলে, তাই তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর এ (দ্বিতীয়) ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা নিন্দাসূচক মন্তব্য করায় তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। তোমরা তো পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
__________________
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, ১৪০৮
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا
* নবীজির একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন, এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল,
গোত্রের সর্দারের শাপের দংশিত স্হানে সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দেয় ভাল হয়ে যায়,সহিহ বুখারী,২২৭৬
وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ثُمَّ قَالَ قَدْ أَصَبْتُمْ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ ﷺ
* কোরআনের ভাইরাস যদি আপনার ভিতরে প্রবেশ করাইতে পারেন তহলে পৃথিবীর কোনো ভাইরাস রোগ আপনার ভিতরে ডুকতে পরবেনা,ইনশাআল্লাহ
① প্রথমত রাসূল সা: এর শিখানো দোয়া সুনানে আবু দাউদ,১৫৫৪
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
② তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’। সহীহ ইবনু মা-জাহ ৩৪৪৭
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ " وَالسَّامُ الْمَوْتُ
③ খাটি মধু ও কালো জিরাতে দুরুদ শরীফ ১১ বার,সূরা ফাতিহা ৭০ বার,দুরুদ শরীফ ১১ বার,পড়ে রাত্রে তিন আংগুলে কালো জিরা,সকালে এক চামচ মধু খান
* আমাদের জন্য যে রিজিক নির্ধারিত করে রেখেছেন, তা ভোগ না করে আমাদের মৃত্যু হবেনা। করোনা কাউকে মারতে পারেনা, মৃত্যুর ফায়সালা হয় একমাত্র আল্লাহর নির্দেশে।
_______________
* সামান্য আতংকিতও হবেন না। আল্লাহ আমাদের মৃত্যু যখন যেখানে যে অবস্থায় ফায়সালা করে রাখছেন—ঠিক তখন, সেখানে এবং সে অবস্থাতেই আমাদের মৃত্যু হবে। এক সেকেন্ড আগেও হবেনা, এক সেকেন্ড পরেও হবেনা
7:আল-আরাফ:34
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ
প্রত্যেক জাতির জন্য অবকাশের একটি সময় নির্দিষ্ট রয়েছে। তারপর যখন কোন জাতির সময় পূর্ণ হয়ে যাবে তখন এক মুহূর্তকালের জন্যও তাকে বিলম্বিত বা ত্বরান্বিত করা হবে না। ২৭
4:আন-নিসা:78
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِى بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ ۗ وَإِن تُصِبْهُمْ حَسَنَةٌ يَقُولُوا هٰذِهِۦ مِنْ عِندِ اللَّهِ ۖ وَإِن تُصِبْهُمْ سَيِّئَةٌ يَقُولُوا هٰذِهِۦ مِنْ عِندِكَ ۚ قُلْ كُلٌّ مِّنْ عِندِ اللَّهِ ۖ فَمَالِ هٰٓؤُلَآءِ الْقَوْمِ لَا يَكَادُونَ يَفْقَهُونَ حَدِيثًا
আর মৃত্যু, সে তোমরা যেখানেই থাকো না কেন সেখানে তোমাদের নাগাল পাবেই, তোমরা কোন মজবুত প্রাসাদে অবস্থান করলেও। যদি তাদের কোন কল্যাণ হয় তাহলে তারা বলে, এতো আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আর কোন ক্ষতি হলে বলে, এটা হয়েছে তোমার বদৌলতে।১০৯ বলে দাও, সবকিছুই হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। লোকদের কী হয়েছে, কোন কথাই তারা বোঝে না।
62:আল-জুমুয়াহ:8
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِى تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُۥ مُلٰقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلٰى عٰلِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
তাদের বলো, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর তোমাদেরকে সেই সত্তার সামনে পেশ করা হবে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছুই জানেন। তখন তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মৃত্যর রুটিন যেখানে পালিয়ে ও সেখানে
সেখানে,হিন্দুস্হানের সোমনাথ মন্দির ( মাওয়ায়েজে সিরাজী 5/78)
* করোনা থেকে বাচার জন্য নামাজের প্রয়োজন,অজুর মাধ্যমে হাত মুখ পরিস্কার হয়,গুনাহ মাফ হয়,আল্লাহ খুশি হন,আল্লাহ খুশি হলেই করোনা থেকে বাচা সম্ভব,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَقَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ - كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ وَفِي حَدِيثِ بَكْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَرَأَيْتُمْ لَوْ أَنَّ نَهْرًا بِبَابِ أَحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ " . قَالُوا لاَ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَىْءٌ . قَالَ " فَذَلِكَ مَثَلُ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ يَمْحُو اللَّهُ بِهِنَّ الْخَطَايَا " .
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তবে বকরের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছেনঃ তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার সামনেই যদি একটি নদী থাকে আর সে ঐ নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? এ ব্যাপারে তোমরা কি বলো? সবাই বললঃ না, তার শরীরে কোন প্রকার ময়লা থাকবে না। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এটিই পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের দৃষ্টান্ত | এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন। (ই.ফা. ১৩৯৪, ই.সে. ১৪০৬)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪০৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* নবীজির একজন সাহাবী গোত্রের সর্দারের শাপের দংশিত সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দেয় ভাল হয়ে যায়,সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭৬
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ انْطَلَقَ نَفَرٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفْرَةٍ سَافَرُوهَا حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حَيٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمْ فَلُدِغَ سَيِّدُ ذَلِكَ الْحَيِّ فَسَعَوْا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ شَيْءٌ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لَوْ أَتَيْتُمْ هَؤُلاَءِ الرَّهْطَ الَّذِينَ نَزَلُوا لَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ بَعْضِهِمْ شَيْءٌ فَأَتَوْهُمْ فَقَالُوا يَا أَيُّهَا الرَّهْطُ إِنَّ سَيِّدَنَا لُدِغَ وَسَعَيْنَا لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ لاَ يَنْفَعُهُ فَهَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ نَعَمْ وَاللهِ إِنِّي لأرْقِي وَلَكِنْ وَاللهِ لَقَدْ اسْتَضَفْنَاكُمْ فَلَمْ تُضَيِّفُونَا فَمَا أَنَا بِرَاقٍ لَكُمْ حَتَّى تَجْعَلُوا لَنَا جُعْلاً فَصَالَحُوهُمْ عَلَى قَطِيعٍ مِنْ الْغَنَمِ فَانْطَلَقَ يَتْفِلُ عَلَيْهِ وَيَقْرَأُ الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ فَكَأَنَّمَا نُشِطَ مِنْ عِقَالٍ فَانْطَلَقَ يَمْشِي وَمَا بِهِ قَلَبَةٌ قَالَ فَأَوْفَوْهُمْ جُعْلَهُمْ الَّذِي صَالَحُوهُمْ عَلَيْهِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ اقْسِمُوا فَقَالَ الَّذِي رَقَى لاَ تَفْعَلُوا حَتَّى نَأْتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَنَذْكُرَ لَهُ الَّذِي كَانَ فَنَنْظُرَ مَا يَأْمُرُنَا فَقَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرُوا لَهُ فَقَالَ وَمَا يُدْرِيكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ثُمَّ قَالَ قَدْ أَصَبْتُمْ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي مَعَكُمْ سَهْمًا فَضَحِكَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَقَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ سَمِعْتُ أَبَا الْمُتَوَكِّلِ بِهَذَا
আবূ সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারা এক আরব গোত্রে পৌঁছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার (আরগ্যের) জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না, তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরণ করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভালো হত। সম্ভবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল! আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি? তাদের (সাহাবীদের) একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহ্র কসম আমি ঝাড়-ফুঁক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুঁক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা, আমাদের জন্য পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল। তারপর তিনি গিয়ে “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন” (সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফুঁ দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমনভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন হতে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরে লাগল যেন তার কোন কষ্টই ছিল না। (বর্ণনাকারী বলেন,) তারপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিশ্রমিক পুরোপুরি দিয়ে দিল। সাহাবীদের কেউ কেউ বলেন, এগুলো বণ্টন কর। কিন্তু যিনি ঝাড়-ফুঁক করেছিলেন তিনি বললেন এটা করব না, যে পর্যন্ত না আমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে এই ঘটনা জানাই এবং লক্ষ্য করি তিনি আমাদের কী নির্দেশ দেন। তারা আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি [নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা একটি দু’আ? তারপর বলেন, তোমরা ঠিকই করেছ। বণ্টন কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটা অংশ রাখ। এ বলে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) হাসলেন। শো’বা (রহঃ) বলেন, আমার নিকট আবূ বিশর (রহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, আমি মুতাওয়াক্কিল (রহঃ) হতে এ হাদিস শুনেছি।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আমাদের জন্য যে রিজিক নির্ধারিত করে রেখেছেন, তা ভোগ না করে আমাদের মৃত্যু হবেনা। করোনা কাউকে মারতে পারেনা, মৃত্যুর ফায়সালা হয় একমাত্র আল্লাহর নির্দেশে।
রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক,সহিহ বুখারী ৫৭০৭
أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ عَدْو‘ى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ كَمَا تَفِرُّ مِنْ الأَسَدِ.
আফফান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:সালীম ইবনু হাইয়ান, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রোগের কোন সংক্রমন নেই, কুলক্ষণ বলে কিছু নেই, পেঁচা অশুভের লক্ষণ নয়, সফর মাসের কোন অশুভ নেই। কুষ্ঠ রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।(আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- অনুচ্ছেদ)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৭০৭
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’। সহীহ ইবনু মা-জাহ ৩৪৪৭
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَلَيْكُمْ بِهَذِهِ الْحَبَّةِ السَّوْدَاءِ فَإِنَّ فِيهَا شِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ إِلاَّ السَّامَ " . وَالسَّامُ الْمَوْتُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْحَبَّةُ السَّوْدَاءُ هِيَ الشُّونِيزُ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা এই কালো বীজ (কালোজিরা) নিজেদের জন্য ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক করে নাও। কেননা, মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় এর মধ্যে রয়েছে। ‘আস-সাম’ অর্থ ‘মৃত্যু’।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৪৪৭), বুখারী, মুসলিম।
ফুটনোটঃ
আবূ ঈসা বলেন, বুরাইদা, ইবনু উমার ও আইশা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ্।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২০৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ " .
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সমস্ত দুরারোগ্য ব্যাধি হতে। ”
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫৫৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " مَا مِنْ عَبْدٍ يَقُولُ فِي صَبَاحِ كُلِّ يَوْمٍ وَمَسَاءِ كَلِّ لَيْلَةٍ بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ - فَيَضُرَّهُ شَىْءٌ " . قَالَ وَكَانَ أَبَانُ قَدْ أَصَابَهُ طَرَفٌ مِنَ الْفَالِجِ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ أَبَانُ مَا تَنْظُرُ إِلَىَّ أَمَا إِنَّ الْحَدِيثَ كَمَا قَدْ حَدَّثْتُكَ وَلَكِنِّي لَمْ أَقُلْهُ يَوْمَئِذٍ لِيُمْضِيَ اللَّهُ عَلَىَّ قَدَرَهُ .
উসমান বিন আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ যে কোন বান্দা প্রতিদিন সকালে ও প্রতি রাতে সন্ধ্যায় তিনবার করে এ দুআ’টি পড়লে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না : ‘‘আল্লাহ্র নামে যাঁর নামের বরকতে আসমান ও যমীনের কোন কিছুই কোন ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বোজ্ঞ’’। অধস্তন রাবী বলেন, আবান (রাঃ)-এর দেহের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। (উক্ত হাদীস বর্ণনাকালে) এক ব্যক্তি (অধস্তন রাবী) তার দিকে তাকাতে থাকলে তিনি তাকে বলেন, তুমি কি দেখছো? শোন! আমি তোমার নিকট যে হাদীস বর্ণনা করছি তা হুবহু বর্ণনা করেছি। তবে যেদিন আমি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছি সেদিন ঐ দুআ’ পড়িনি এবং আল্লাহ্ তায়ালা তাকদীরের লিখন আমার উপর কার্যকর করেছেন। [৩২০১]
ফুটনোটঃ
[৩২০১] তিরমিযী ৩৩৮৮, আবূ দাউদ ৫০৮৮, আহমাদ ৪৪৮, ৫২৯। তাখরীজুল মুখতার ২৯১, ২৯২, আত তা’লীকুর রাগীব ১/২২৬, ২২৭।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৮৬৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
মৃত্যু
*
হযরত হানযালা (আ)
হযরত আলইয়াসার (আ)-এর ওফাতের পর বনী ইসরাইলের হিদায়াতের জন্য আল্লাহ্ পাক হযরত হানযালা (আ)-কে নবুয়ত প্রদান করেন। তিনি বনী ইসরাইল বংশের এবং তাঁকে বনী ইসরাইলীদের মাঝেই নবী করে পাঠান হয়েছে। এছাড়া তাঁর বংশসূত্র সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় না।
হযরত হানযালা (আ)-কে নবুয়ত প্রদান করে আল্লাহ্ তাআলা নির্দেশ দিলেন, বনী ইসরাইলীদেরকে আমার একত্ববাদ এবং ইবাদতের প্রতি আহ্বান করুন। বলুন, তারা যেন অসংখ্য দেব দেবীর মূর্তি পূজা ত্যাগ করে আসমান-যমীনের স্রষ্টা পালনকর্তার ইবাদত করে। আল্লাহ্র নির্দেশ অনুসারে হযরত হানয়ালা (আ)-প্রতিদিন শহরের প্রবেশদ্বারসমূহে দাঁড়িয়ে বনী ইসরাইলকে লক্ষ্য করে সুউচ্চ রবে বলতেন- হে আমার কওম! তোমরা এক আল্লাহ্ সম্পর্কে অবহিত হও, তিনি এক একক তাঁর কোন শরীক নেই। তাকে মান, তাঁর রবুবিতের স্বীকৃতি দাও, মূর্তিপূজা ত্যাগ কর। অভিশপ্ত পাপিষ্ট ইবলীসই তোমাদেরকে পথভ্রষ্ট করে মুর্তিপূজায় লাগিয়েছে। সুতরাং তোমরা এক আল্লাহকে ভয় কর। আল্লাহ্ তাআলাই তোমাদের স্রষ্টা, পালনকর্তা, সুতরাং একমাত্র তাঁর ইবাদত করাই তোমাদের উচিত। জবাবে মুশরিকরা বলত, হে হানযালা! আমরা যে দেব প্রতিমার উপাসনা করছি, তাই আমাদের রব-পালনকর্তা। জবাবে তিনি বলতেন, হে আমার সম্প্রদায় তোমাদের পিতৃপুরুষ ইবরাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব ও ইউসুফ তো এসব দেব-দেবীর পূজা করতেন না। অথচ তাঁদের অধস্তন বংশধর হয়ে তোমরা এমন সব নিষ্প্রাণ মূর্তির পূজা করছ, যা তোমাদেরই হাতে নির্মিত। বুদ্ধিবৃত্তির এহেন শোচনীয় অধঃপতনের জন্য তোমাদের লজ্জা হওয়া উচিত ।
আসমান-যমীন মানব-দানবসহ সবকিছুর স্রষ্টা, পালনকর্তা হওয়া সত্ত্বেও মহান আল্লাহ্ সম্পর্কে তোমাদের হৃদয়ে তার ভয় নেই। পরিণতিতে তোমাদের উপরও তেমনি আযাব অবতীর্ণ হবে, যেমনি অবতীর্ণ হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। এভাবে হযরত হানযালা (আ) নানাভাবে পথভ্রষ্ট বনী ইসরাইলীকে আল্লাহর আযাব গজবের ভয় দেখিয়ে আল্লাহ্র পথে ফিরিয়ে আনতে নিরলস চেষ্টা সাধনা অব্যাহত রাখেন। কিন্তু এ দুর্ভাগা পথভ্রষ্টরা আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন করা তো দূরের কথা বরং আল্লাহর নবী হযরত হানযালা (আ)-কে হত্যা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তখনকার শাসক হযরত হানযালা (আ)-কে হত্যা করতে তার অনুসারীদের নির্দেশ প্রদান করে। এদিকে হযরত হানাযালা (আ) রাত দিন সুউচ্চ প্রসাদোপরি চড়ে লোকদেরকে আল্লাহর দিকে আহবানে কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন। তাঁর এরূপ রাত দিন
নিরলস আহ্বানকে পথভ্রষ্ট দুর্ভাগা বনী ইসরাইল তাদের শান্তি বিঘ্নকারী বলে মনে করতে শুরু করে। হযরত হানযালা (আ) নিরলস আহবান করেই চলেছে- হে আমার কওম! তোমরা প্রতিমা উপসনা পরিত্যাগ না করলে তোমাদের প্রতি আল্লাহর আযাব ও গজব নাযিল হবে। যা হবে আকস্মিক মৃত্যু। এভাবে হযরত হানযালা (আ) অহরহ পথভোলা পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানাতে থাকেন।
কথিত আছে, হযরত হানযালা (আ)-এর নবুয়ত লাভের পূর্ব হতে তাঁর সময়কাল পর্যন্ত দীর্ঘ সাতশ' বছর প্রতিমা উপাসক বনী ইসরাইল সম্প্রদায়ের কোন লোক মারা যায়নি। সুতরাং মৃত্যু কি বস্তু সে সম্পর্কেই তারা ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তাই হযরত হানযালা (আ) তাদেরকে মহামারীজনিত মৃত্যুর ভয় দেখালে তারা ঠাট্টা বিদ্রূপ করতে শুরু করে। তাদের কৌতূহলপূর্ণ জিজ্ঞাসা-মৃত্যু আবার কি বস্তু। তারা এভাবে মৃত্যু নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ কৌতুক করছে, ঐদিকে তাদের প্রতি আল্লাহর গজব আপতিত হয়। ফলে বেলা দুপুর না গড়াতেই হাজার হাজার বনী ইসরাইলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে তারা ভগ্ন হৃদয়ে বাদশার কাছে অভিযোগ করল- আজ আমাদের সম্প্রদায়ের বহু লোক আকস্মিক মৃত্যুতে পতিত হয়েছে। বেআক্কেল বাদশাহ তাদেরকে বলল, এ মৃত্যু হানযালার অহরহ শোরগোলের কুফল। তার রাতদিন শোরগোল, চিৎকারের কারণে তোমরা একটুখানি আরামের সাথে নিদ্রা যেতে পারনি বলেই তোমাদের উপর এ বিপদ আপতিত হয়েছে। এটা অনিদ্রাজনিত উত্তপ্ততার কুফল। যাদেরকে তোমরা মনে করছ মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে আসলে তারা মৃত্যুমুখে পতিত হয়নি। নিদ্রাজনিত কারণে তারা সংজ্ঞা হারিয়ে মাত্র তোমরা পরীক্ষা করতে চাইলে চীৎকার দিয়ে দেখ, তোমাদের চীৎকারের শব্দ কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেই তারা সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে উঠে বসবে। বেয়াকুফ বাদশার পরামর্শ মোতাবেক তারা পরীক্ষা চালিয়ে দেখল, মৃতের কোন প্রকার নড়াচড়া নেই। তারা পুনরায় বাদশার কাছে গমন করে বলল, আপনার কথা মত আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, ওদের মাঝে জীবনের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এবার নির্বোধ জালেম বাদশাহ স্বীকার করল তারা আসলেই মৃত্যুবরণ করেছে।
এ বেয়াকুফ বাদশাহর নাম ছিল তায়ফুর। অগণিত প্রাসাদ, বালাখানার মালিক ছিল সে। তার ছিল অগণিত লোক লঙ্কর আর দাস-দাসী। সে বার হাজার কক্ষবিশিষ্ট এক প্রাসাদ নির্মাণ করে নির্দেশ দিল, যেন প্রতি কক্ষের দরজায় সশস্ত্র পাহারাদার থাকে। তার উদ্দেশ্য মালাকাল মওত আযরাইল ফেরেশতা প্রাসাদে প্রবেশ করতে আসলে যেন তরবারির আঘাতে খণ্ড বিখণ্ড করে ফেলা হয়। সে সব কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং প্রাসাদের একেবারে মাঝখানে লোহা দ্বারা একটি কক্ষ বানিয়ে তাতে মর্মর পাথর লাগায় এবং কক্ষে একটি আসন পেতে সেখানে অবস্থান করে। এবার সে বলতে লাগল। এখন আর আমাকে মৃত্যু দূত ফেরেশতা আযরাঈল পায় কোথায়। এ বেয়াকৃষ্ণ ও বেয়াক্কেল বাদশাহর ধারণা ছিল, এত সশস্ত্র প্রহরীর দৃষ্টি এড়িয়ে মৃত্যুর ফেরেশতা এ বিশাল প্রাসাদে প্রবেশ করতে পারবে না; আর যদি কোন ভাবে প্রবেশ করে তবু তাকে খুঁজে পাবে না। কেননা, একে তো লৌহ নির্মিত কক্ষ, তদুপরি দরজা বন্ধ। আর সশস্ত্র পাহারা তো রয়েছেই।
অথচ এ বেয়াকুষ্ণ আদৌ জানেই না মৃত্যু থেকে পার পাওয়ার কোন শক্তিই কোন মানুষের নেই। মৃত্যুকে সে যথার্থ ঠেকিয়েছে- এ অহমিকায় আহম্মক আত্মহারা। ঠিক এ মুহুর্তে সে স্বীয় কামরায় হঠাৎ ভীতিজনক চেহারা বেশিষ্ট এক লোককে দর্শন করে চমকে উঠে, যেন তার প্রাণবায়ু তখনি বের হয়ে যাবে। সে আগন্তুককে জিজ্ঞেস করল, তুমি কে কিভাবে তুমি এখানে এসেছ এবং কেন এসেছ? জবাবে আগন্তুক বলল, আমি মৃত্যুর ফেরেশতা আযরাঈল। তোমার জান কবজ করার জন্য এসেছি। আযরাঈল (আ)-এর পরিচয় পেয়ে সে অনেক অনুনয় বিনয়
করে নিবেদন করল, আমাকে আজকের দিনটা সময় দাও। আগামীকাল এসে তোমার যা করার করবে। যেহেতু অভিশপ্ত নির্বোধের আরও একদিন আৰু অবশিষ্ট ছিল তাই আযরাঈল (আ) চলে যান। আযরাঈল (আ) চলে যাবার পর পাপিষ্ট সমস্ত পাহারাদারদের নির্দয়ভাবে মারধর করতে শুরু করে। তাদের অপরাধ তারা কেন আযরাইল (আ) কে তার কক্ষে প্রবেশ করতে দিল। তারা বলল, আযরাঈল কিভাবে প্রাসাদে ঢুকেছে এবং আপনার কক্ষে প্রবেশ করেছে তার কিছুই আমরা জানি না। এরপর পাপিষ্ট তায়ফুর নিজের কক্ষে গিয়ে কক্ষের দেয়ালে এক স্থানে ছিদ্র দেখতে পেল। তার ধারণা আযরাঈল এ ছিদ্র পথেই তার সুরক্ষিত কক্ষে প্রবেশ করেছে। অতএব সে ছিদ্রপথ বন্ধ করে দিয়ে নিশ্চিন্তে কক্ষে রক্ষিত আসনে উপবেশন করল। কারো অনুমান করারও উপায় ছিল না যে, এ কক্ষের প্রবেশ পথ কোন দিকে। সে নিশ্চিন্তে নির্ভয়ে দৃষ্টি ফেরাতেই আযরাঈল (আ)-কে সামনে দাঁড়ান দেখতে পায়।
সে আযরাঈল (আ)-কে জিজ্ঞেস, তুমি এখানে এলে কিভাবে? তিনি কোন জবান না দিয়েই পাপিষ্ঠের হৃৎপিণ্ডে হাত দিয়ে তার প্রাণ এবং বার হাজার সশস্ত্র পাহারাদারের প্রাণ চোখের পলকে একত্রে বের করে নেন। এমনকি আযরাঈল (আ) নদী এবং কূপসহ পানির প্রস্রবনসমূহ সব একেবারে শুকিয়ে ফেলেন। বনী ইসরাঈল এ অবস্থা দেখে বিস্মিত স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। হযরত হানযালা (আ) তাদেরকে বলেন, এসব আযাব গজব তোমাদের প্রতিমা উপাসনার কুফল। এখনও সময় সুযোগ রয়েছে। যদি তোমরা এক আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস স্থাপন, কর এবং আমার নবুয়তের স্বীকৃতি দাও, তবে তোমরা এসব আযাব গজব থেকে নাজাত পাবে। হানযালা (আ)-এর এরূপ হিতাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ সুপরামর্শের জবাবে হতভাগা পাপিষ্ঠের দল বলল- হানযালা। এসব আযাব, বিপদ মসিবত তোমার কারণেই। তুমি যদি আমাদের মাঝে না থাকতে তবে কখনও এসব আযাব আমাদের উপর আপতিত হত না। হতভাগার দল এ কথা বলে হযরত হানযালা (আ)-এর প্রতি হাত বাড়ায়। তিনি এ হতভাগ্যদের মাঝ থেকে বেরিয়ে যান। তিনি বেরিয়ে গেলে আল্লাহ্ তাআলা আযাবস্বরূপ একটি প্রকাণ্ড সাপ পাঠান। সাপটি দৈর্ঘ্যে প্রস্থে ছত্রিশ ক্রোশ। প্রতিমা উপাসক বনী ইসরাইল যে শহরে বসবাসরত ছিল, সাপটি এক সাথে তা বেষ্টন করে চাপ দিতে শুরু করে, যাতে সব ঘরবাড়ী তথাকার অধিবাসীদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। ওদিকে পানিশূণ্য কূপসমূহ হতে ধোঁয়া বের হয়ে শহরের অধিকাংশ অধিবাসীকে ধ্বংস করে ফেলে। এর কিছু দিন পরই হযরত হানযালা (আ) এ নশ্বর দুনিয়া ছেড়ে অবিনশ্বর জগতের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
হযরত মূসা (আ)-এর ওফাতের পর নবী হযরত ইউশা বিন নূন (আ)-এর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে পুণ্য ভূমি সিরিয়ায় বসবাসরত অতুল বিত্ত-বৈভবের অধিকারী আমালেকা সম্প্রদায়কে পরাজিত করে যেসব মূল্যবান সম্পদ করায়ত্ত করেছিল, সেসব দ্বারা বনী ইসরাইল খুবই আরাম আয়েশের জীবন কাটাচ্ছিল। অন্যদিকে আমালেকা সম্প্রদায় ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পশ্চিমাঞ্চলে গিয়ে বসবাস করতে থাকে। হানযালা (আ)-এর ইনতিকালের সময় পর্যন্ত মাঝখানে কয়েক শতাব্দী পার হয়ে যায়। এবার আমালেকা সম্প্রদায় আবার তাদের পূর্ব পুরুষের হারান এলাকা পুনরুদ্ধারের সংকল্প নিয়ে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে শুরু করে। কিন্তু বনী ইসরাইলীরা আমালেকা সম্প্রদায়ের যুদ্ধ প্রস্তুতির বিষয় কোন খবরই রাখত না। দিনরাত তারা কেবল পাপচারেই লিপ্ত থাকত। তাদের সীমাহীন পাপচারের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ্ পাক তাদের থেকে রাজত্ব ও নবুয়ত উভয়ই কেড়ে নেন। ফলে তারা এক অপমাণিত মানবগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। ইতোমধ্যে আমালেকা সম্প্রদায় আক্রমণ চালিয়ে তাদের কাছে রক্ষিত তাবুতে সাকীনা এবং আমালেকার পূর্বপুরুষ থেকে দখলকৃত সব সহায় সম্পদ কেড়ে নিয়ে পশ্চিমাঞ্চলে তাদের আবাস ভূমিতে নিয়ে যায়। বনী ইসরাইলীদের সৌভাগ্য আর সুখ সম্পদের প্রধান উৎস্য তাবৃতে সাকীনা হারিয়ে তারা সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে পড়ে। এ সময় দুর্ভাগা বনী ইসরাইলের রাজত্ব নেই যে, বসে বসে আরাম আয়েশের জীবন কাটাবে আর পাপাচারের লিপ্ত থাকবে। কোন নবীও নেই যে, তাদেরকে আল্লাহর পথে আহ্বান জানাবে, এবং তাঁর দোয়ায় তাদের শত্রুরা পরাজিত হবে। এ সময় বনী ইসরাঈলের মাঝে কোন জ্ঞানী গুণী আলেমের অস্তিত্বও ছিল না।
মোটকথা মহান আল্লাহ্র ক্রমাগত নাফরমানীর কারণে সুদীর্ঘ কয়েক শতাব্দীব্যাপী সুখ সম্পদে জীবন যাপনকারী বনী ইসরাঈল সম্প্রদায় দুনিয়ার বুকে সচেয়ে নিঃস্ব নিকৃষ্ট মানবগোষ্ঠীতে পরিণত হয়। পরবর্তী নবী হযরত শামবীল (আ)-এর আবির্ভাবকাল পর্যন্ত বনী ইসরাঈলের অপমান অপদস্ততার জীবনে কোন প্রকার পরিবর্তন হয় নি। এভাবে বনী ইসরাঈল দুনিয়াদারীর সম্মুখে সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল, পাপাচারী আল্লাহদ্রোহী কোন মানব গোষ্ঠী অবাধ সুখ সম্পদের জীবন যাপন করতে পারে না। কালের করালগ্রাসে নিপতিত হয়ে এক সময় না এক সময় তাদেরকে পাপাচার ও আল্লাহদ্রোহিতার কারণে তাদের দুর্ভোগ আসবেই তা যত দেরীতেই হোক না কেন। (কাসাসুল আম্বিয়া- ৪০০-৪০৩)
No comments