Header Ads

Header ADS

74/66  দুনিয়া হচ্ছে পরিক্ষার কেন্দ্র। ফাইনাল পরীক্ষার কেন্দ্র নয়।

*  জীবন আর মরণ সৃষ্টি  পরিক্ষা করার জন্য।  মুলক-২

اِ۟لَّذِیْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوةَ لِیَبْلُوَكُمْ اَیُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا١ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفُوْرُۙ

*  আল্লাহ বান্দার কাছ থেকে সুন্দর নেক আমল চান। যাতে নেক আমলের উসিলায় দুনিয়ায় ও পরকালে বান্দাকে নাজাত দেওয়া যায়। সেজন্য যুগে যুগে নবী ও রাসূল প্রেরণ করেন। আমাদের উপর ও দাওয়াতের দায়িত্ব দিয়েছে 

كُنْتُمْ خَیْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ تَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ١ؕ

* নেক কাজের ওসিলা দিয়ে দুনিয়ায় নাজাত পাওয়া যায়,পরকালে ও নাজাত পাবে নেকের ওসিলায়। আমাদের পৃর্বের জমানায় তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয় সহীহ বুখারী -2272

সুতরাং দুনিয়ায় যেমনিভাবে ভাবে নাজাত পাওয়া যায় ঠিক তেমনি ভাবে পরকালেও নাজাত পাবে আমলের উসিলায়

* ফাইনাল পরীক্ষার দিন নাজাত পাবে নেক আমল কারীগন। 64: তাগাবুন-9

يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِنۢ بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صٰلِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّـَٔاتِهِۦ وَيُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

*  একটি নেকির মূল্য কতো সেদিন বুঝে আসবে। একটি নেকির জন্য সারা হাশরের মাঠে ঘুরে বেড়াবে 

* নেক আমলকারীর দোয়া কবুলের ঘোষনা। সে জন্য আমরা দোয়ার জন্য নেক আমলকারী লোকদের কাছে তাই। 42 : আশ- শূরা:26

وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۚ وَالْكٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ


____________________________________


60/66 দুনিয়া হচ্ছে পরিক্ষার কেন্দ্র। ফাইনাল পরীক্ষার কেন্দ্র নয়।


৩: আলে-ইমরান:আয়াত: ১১০


كُنْتُمْ خَیْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ تَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ١ؕ وَ لَوْ اٰمَنَ اَهْلُ الْكِتٰبِ لَكَانَ خَیْرًا لَّهُمْ١ؕ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ وَ اَكْثَرُهُمُ الْفٰسِقُوْنَ


এখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল। তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য। তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহ‌র প্রতি ঈমান আনো। এই আহলি কিতাবরা ঈমান আনলে তাদের জন্যই ভালো হতো। যদিও তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ঈমানদার পাওয়া যায়; কিন্তু তাদের অধিকাংশই নাফরমান।


* হায়াত আর মউত সৃষ্টি তোমাদের মধ্যে কে আমলের দিক থেকে উত্তম তা পরিক্ষা করার জন্য। সূরা মুলক-২


اِ۟لَّذِیْ خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوةَ لِیَبْلُوَكُمْ اَیُّكُمْ اَحْسَنُ عَمَلًا١ؕ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْغَفُوْرُۙ


*  আল্লাহ বান্দর কাছ থেকে সুন্দর নেক আমল চান। নেক আমলের উসিলায় দুনিয়ায় নাজাত পাওয়া যায়।


* নেক কাজের ওসিলা দিয়ে দুনিয়ায় নাজাত পাওয়া যায়,পরকালে ও নাজাত পাবে নেকের ওসিলায়। আমাদের পৃর্বের জমানায় তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয় সহীহ বুখারী -2272


আমাদের পৃর্বের জমানায় তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয়।   সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭২


حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ انْطَلَقَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى أَوَوُا الْمَبِيتَ إِلَى غَارٍ فَدَخَلُوهُ، فَانْحَدَرَتْ صَخْرَةٌ مِنَ الْجَبَلِ فَسَدَّتْ عَلَيْهِمُ الْغَارَ فَقَالُوا إِنَّهُ لاَ يُنْجِيكُمْ مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ إِلاَّ أَنْ تَدْعُوا اللَّهَ بِصَالِحِ أَعْمَالِكُمْ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمُ اللَّهُمَّ كَانَ لِي أَبَوَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ، وَكُنْتُ لاَ أَغْبِقُ قَبْلَهُمَا أَهْلاً وَلاَ مَالاً، فَنَأَى بِي فِي طَلَبِ شَىْءٍ يَوْمًا، فَلَمْ أُرِحْ عَلَيْهِمَا حَتَّى نَامَا، فَحَلَبْتُ لَهُمَا غَبُوقَهُمَا فَوَجَدْتُهُمَا نَائِمَيْنِ وَكَرِهْتُ أَنْ أَغْبِقَ قَبْلَهُمَا أَهْلاً أَوْ مَالاً، فَلَبِثْتُ وَالْقَدَحُ عَلَى يَدَىَّ أَنْتَظِرُ اسْتِيقَاظَهُمَا حَتَّى بَرَقَ الْفَجْرُ، فَاسْتَيْقَظَا فَشَرِبَا غَبُوقَهُمَا، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَفَرِّجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ هَذِهِ الصَّخْرَةِ، فَانْفَرَجَتْ شَيْئًا لاَ يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوجَ ‏"‏‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَقَالَ الآخَرُ اللَّهُمَّ كَانَتْ لِي بِنْتُ عَمٍّ كَانَتْ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَىَّ، فَأَرَدْتُهَا عَنْ نَفْسِهَا، فَامْتَنَعَتْ مِنِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بِهَا سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ، فَجَاءَتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمِائَةَ دِينَارٍ عَلَى أَنْ تُخَلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ نَفْسِهَا، فَفَعَلَتْ حَتَّى إِذَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا قَالَتْ لاَ أُحِلُّ لَكَ أَنْ تَفُضَّ الْخَاتَمَ إِلاَّ بِحَقِّهِ‏.‏ فَتَحَرَّجْتُ مِنَ الْوُقُوعِ عَلَيْهَا، فَانْصَرَفْتُ عَنْهَا وَهْىَ أَحَبُّ النَّاسِ إِلَىَّ وَتَرَكْتُ الذَّهَبَ الَّذِي أَعْطَيْتُهَا، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ‏.‏ فَانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ، غَيْرَ أَنَّهُمْ لاَ يَسْتَطِيعُونَ الْخُرُوجَ مِنْهَا‏.‏ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ الثَّالِثُ اللَّهُمَّ إِنِّي اسْتَأْجَرْتُ أُجَرَاءَ فَأَعْطَيْتُهُمْ أَجْرَهُمْ، غَيْرَ رَجُلٍ وَاحِدٍ تَرَكَ الَّذِي لَهُ وَذَهَبَ فَثَمَّرْتُ أَجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنْهُ الأَمْوَالُ، فَجَاءَنِي بَعْدَ حِينٍ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَدِّ إِلَىَّ أَجْرِي‏.‏ فَقُلْتُ لَهُ كُلُّ مَا تَرَى مِنْ أَجْرِكَ مِنَ الإِبِلِ وَالْبَقَرِ وَالْغَنَمِ وَالرَّقِيقِ‏.‏ فَقَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ لاَ تَسْتَهْزِئْ بِي‏.‏ فَقُلْتُ إِنِّي لاَ أَسْتَهْزِئُ بِكَ‏.‏ فَأَخَذَهُ كُلَّهُ فَاسْتَاقَهُ فَلَمْ يَتْرُكْ مِنْهُ شَيْئًا، اللَّهُمَّ فَإِنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذَلِكَ ابْتِغَاءَ وَجْهِكَ فَافْرُجْ عَنَّا مَا نَحْنُ فِيهِ‏.‏ فَانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ فَخَرَجُوا يَمْشُونَ ‏"‏‏.‏


আবদুল্লাহ্‌ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, আমি আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে তিন ব্যক্তি সফরে বের হয়ে তারা রাত কাটাবার জন্য একটি গুহায় আশ্রয় নেয়। হঠাৎ পাহাড় হতে এক খণ্ড পাথর পড়ে গুহায় মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা নিজেদের মধ্যে বলতে লাগল তোমাদের সৎকার্যাবলীর ওসীলা নিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে দু’আ করা ছাড়া আর কোন কিছুই এ পাথর হতে তোমাদেরকে মুক্ত করতে পারে না। তখন তাদের মধ্যে একজন বলতে লাগল, হে আল্লাহ্‌! আমার পিতা-মাতা খুব বৃদ্ধ ছিলেন। আমি কখনো তাদের আগে আমার পরিবার পরিজনকে কিংবা দাস-দাসীকে দুধ পান করাতাম না। একদিন কোন একটি জিনিসের তালাশে আমাকে অনেক দূরে চলে যেতে হয়; কাজেই আমি তাঁদের ঘুমিয়ে পড়ার পূর্বে ফিরতে পারলাম না। আমি তাঁদের জন্য দুধ দোহায়ে নিয়ে এলাম। কিন্তু তাঁদেরকে ঘুমন্ত পেলাম। তাদের আগে আমার পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীকে দুধ পান করতে দেয়াটাও আমি পছন্দ করিনি। তাই আমি তাঁদের জেগে উঠার অপেক্ষায় পেয়ালাটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। এভাবে ভোরের আলো ফুটে উঠল। তারপর তাঁরা জাগলেন এবং দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ্‌! যদি আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এ কাজ করে থাকি, তবে এ পাথরের কারনে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা আমাদের হতে দূর করে দাও। ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌! আমার এক চাচতো বোন ছিল। সে আমার খুব প্রিয় ছিল। আমি তার সঙ্গে সঙ্গত হতে চাইলাম। কিন্তু সে বাধা দিল। তারপর এক বছর ভীষণ দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে সে আমার কাছে (সাহায্যের জন্য) এল। আমি তাকে একশ’ বিশ দীনার এ শর্তে দিলাম যে, সে আমার সাথে একান্তে মিলিত হবে, তাতে সে রাযী হল। আমি যখন সম্পূর্ণ সুযোগ লাভ করলাম, তখন সে বলল, আমি তোমাকে অবৈধভাবে মোহর ভাঙার অনুমতি দিতে পারি না। ফলে সে আমার সর্বাধিক প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও আমি তার সাথে সঙ্গত হওয়া পাপ মনে করে তার কাছ হতে ফিরে আসলাম এবং তাকে যে স্বর্ণমুদ্রা দিয়েছিলাম, তাও ছেড়ে দিলাম। হে আল্লাহ্‌! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়ে আছি তা দূর কর। তখন সেই পাথরটি (আরও একটু) সরে পড়ল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে পারছিল না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তারপর তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্‌! আমি কয়েকজন মজদুর নিয়োগ করেছিলাম এবং তাদেরকে তাদের মজুরীও দিয়েছিলাম, কিন্তু একজন লোক তার প্রাপ্য না নিয়ে চলে গেল। আমি তার মজুরীর টাকা খাটিয়ে তা বাড়াতে লাগলাম। তাতে প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জিত হল। কিন্তু কিছুকাল পর সে আমার নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র বান্দা! আমাকে আমার মজুরী দিয়ে দাও। আমি তাকে বললাম, এসব উট, গরু, ছাগল ও গোলাম যা তুমি দেখতে পাচ্ছ, তা সবই তোমার মজুরী। সে বলল, হে আল্লাহ্‌র বান্দা! তুমি আমার সাথে বিদ্রুপ করো না। তখন আমি বললাম, আমি তোমার সাথে মোটেই বিদ্রুপ করছি না। তখন সে সবই গ্রহণ করল এবং নিয়ে চলে গেল। তা হতে একটাও ছেড়ে গেল না। হে আল্লাহ্‌! আমি যদি তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য এ কাজ করে থাকি, তবে আমরা যে বিপদে পড়েছি, তা দূর কর। তখন সে পাথরটি সম্পূর্ণ সরে পড়ল। তারপর তারা বেরিয়ে এসে পথ চলতে লাগল।


  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২৭২


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* পরকালেও নাজাত পাবে। বেইমান জাহান্নামে। 64: আত তাগাবুন-9


يَوْمَ يَجْمَعُكُمْ لِيَوْمِ الْجَمْعِ ۖ ذٰلِكَ يَوْمُ التَّغَابُنِ ۗ وَمَن يُؤْمِنۢ بِاللَّهِ وَيَعْمَلْ صٰلِحًا يُكَفِّرْ عَنْهُ سَيِّـَٔاتِهِۦ وَيُدْخِلْهُ جَنّٰتٍ تَجْرِى مِن تَحْتِهَا الْأَنْهٰرُ خٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًا ۚ ذٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ


*  একটি নেকির মূল্য কতো সেদিন বুঝে আসবে। একটি নেকির জন্য সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে 

হাদিছে এসেছে, যাও, তুমি এর সঙ্গে জান্নাতে চলে যাও


শিক্ষামূলক গল্প 


 জান্নাতের এক ব্যক্তি কেয়ামতের দিন একটি মাত্র নেকীর অভাবে পড়বে। আল্লাহ তায়ালা বলবেন, একটি নেকী নিয়ে আস। বেহেশত দেব। যদি একটি নেকী আনতে না পার তাহলে জাহান্নামের জন্য প্রস্তুত হও। সে তখন অস্থির হয়ে যাবে। ছোটে যাবে মায়ের  কাছে। মা না করে দেবে। বাবার কাছে ছুটে যাবে। বাবা দিতে অস্বীকার করবে। মামা চাচা সন্তান স্ত্রী একে একে সকলের কাছেই যাবে; কিন্তু কেউই একটি নেকী দিতে রাজি হবে না। সে অস্থির হয়ে পাগলের মত ঘুরে বেড়াবে। এমন সময় এক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত হবে। সে বলবে, তুমি এত পেরেশান কেন? বলবে, আমি মারা গেছি! একটি মাত্র নেকীর অভাবে আমি ধ্বংস হয়ে গেছি।


আমার একটি মাত্র নেকী প্রয়োজন । কোথাও পাচ্ছি না। বলবে, ভাগ্য ভাল তোমার। তোমার কাজ হয়েছে। সে বলবে, কিভাবে? বলবে, আমার কাছে একটি মাত্রই নেকি আছে। এ দিয়ে আমি কি করব? আমার জন্য তো দোযখই অপেক্ষা করছে। এ একটি নেকী ছাড়া আমার আর কিছুই নেই। সুতরাং এটা তুমি নিয়ে নাও। সে খুশি মনে ফিরে এসে বলবে, হে আল্লাহ! আমার কাজ উদ্ধার হয়েছে। আল্লাহ বলবেন—কিভাবে হল? বলবে, এক ব্যক্তি ওয়াদা করেছে—সে তাঁর একটি নেকী আমাকে দিয়ে দিবে। আল্লাহ পাক বলবেন, তাঁকে ডেকে আন। সে যখন উপস্থিত হবে, আল্লাহ পাক বলবেন, তাঁকে তুমি তোমার নেকী দিয়ে দিচ্ছ? কি ব্যাপার? আজ তো কেউ কাউকে কিছু দেয় না। তখন সে বলবে—হে আল্লাহ! আমাকে তো দোযখে যেতেই হবে। দোযখে যখন যেতেই হবে তখন একে একটি নেকী দিয়ে দিচ্ছি। তোমার এক বান্দার উপকার হবে। আল্লাহ পাক বলবেন, আচ্ছা! আজ তুমি উত্তম ব্যক্তির পরিচয় দিয়েছে। যাও, তুমিও এর সাথে জান্নাতে চলে যাও।


সূত্রঃ তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী বই থেকে।


লেখকঃ মাওলানা তারিক জামীল।


* নেক আমলকারীর দোয়া কবুলের ঘোষনা। সে জন্য আমরা দোয়ার জন্য নেক আমলকারী লোকদের কাছে তাই। 42 : আশ- শূরা:26


وَيَسْتَجِيبُ الَّذِينَ ءَامَنُوا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضْلِهِۦ ۚ وَالْكٰفِرُونَ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ

No comments

Powered by Blogger.