75/61 সুন্নাতে এর উপকারীতা + অহংকার । লুকমান, ৩১/১৮
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ ۚ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِير ِ
* কোন এক ব্যক্তিকে অহংকারের সাথে চলতে দেখে তাকে এক জন বুজুর্গ উপদেশ দিতে লাগলেন।এভাবে চলিওনা এভাবে চলা ঠিক নয়
* অহংকার মানে নিজেকে বড় মনে করা। ইবলিশ নিজেকে বড় মনে করে সিজদা দেয়নি।অহংকারের কারনে হাজার বছর ইবাদতকারী আজ অভিশপ্ত শয়তান।আরাফ-১২
قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ ۖ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ
সুতরাং যার মধ্যে অহংকার থাকবে তার ধ্বংস অনিবার্য
* বুজুর্গ ব্যাক্তিগন নিজের মধ্যে অহংকার আসতে দেয়নি। আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি।বয়ান ও খুতবা ২/৩৫৪
* শায়খ আহমদ কবীর রেফায়ী র: নবীর রওজায় নবীর হাত বের করে দিতে বলেন
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে টাইটানিক জাহাজ। নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়। টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নামে নাম রাখা।এই শক্তিশালী দেবতার নাম রাখা
* ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে। তিরমিজি ২৫৭৪
يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ تُبْصِرَانِ وَأُذُنَانِ تَسْمَعَانِ وَلِسَانٌ يَنْطِقُ يَقُولُ إِنِّي وُكِّلْتُ بِثَلاَثَةٍ بِكُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَبِكُلِّ مَنْ دَعَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَبِالْمُصَوِّرِينَ
* অন্তরে বিন্দুমাত্র অহংকার রাখা যাবেনা। সহিহ মুসলিম, ১৬৮
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ
* টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করা। সুনানে আবু দাউদ, ৪০৮৫ আবু বকর বলেন
مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
* মনে রাখবেন নবীর প্রত্যেকটি সুন্নত উম্মতের জন্য কল্যাণকর
* টাখনুর উপরে কাপর পরা সুন্নাত, নিচে পরলে যৌন শক্তি লোপ পায়।পুরুষের টাখনোর নিচে একটি অংশ আছে যেখানে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন প্রচুর পরিমানে থাকে যা সবসময় আলো বাতাস চায়
* আঙ্গুল দ্বারা খাবারের পাত্র চেটে খাওয়া।আঙ্গুলে প্লাজমা থাকে। খাবারের শেষ অংশে ভিটামিন বি কমপ্লিক্স থাকে
* ডান কাতে ঘুমানোঃ
ডান কাতে ঘুমানোঃ
হযরাত বারা বিন আযিব রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তুমি ঘুমানোর জন্য বিছানা গ্রহণের ইচ্ছা করবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করো এবং ডান কাতে শয়ন করো।
(মুসলিমঃ ২৭১০)
আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে, কেউ যদি ডান কাতে ঘুমায় তাহলে তার রাতের খাবার হজম হতে তিন-চার ঘন্টা লাগে, আর কেউ বাম কাতে ঘুমালে তা হজম হতে সাত-আট ঘন্টা সময় লাগে।
মানুষের হার্ট থাকে বাম পার্শে, সুতরাং ডান কাতে ঘুমালে হার্ট কোনো চাপে থাকেনা, সহজেই নিশ্বাস নিতে পারে; কিন্তু বাম কাতে ঘুমালে ফুসফুস হার্টের উপরে চলে আসে যার ফলে হার্ট চাপে থাকে এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
____________________________________
সুন্নাতের উপকারীতা + অহংকার )
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না এবং আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা কর না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না’। (লুকমান, ৩১/১৮)
.
وَلَا تُصَعِّرْ---অবজ্ঞা কর না, ,ফিরাইও না
خَدَّكَ--- তোমার মুখ
مَرَحًا---দম্ভভরে
مُخْتَالٍ--দাম্ভিক
১০ম উপদেশঃ
وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ ۚ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ
আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ। (লুকমান, ৩১/১৯)
وَاقْصِدْ--মধ্যপন্থা অবলম্বন কর,
وَاغْضُضْ---নীচু কর;
أَنْكَرَ--নিকৃষ্ট,অধিক অপ্রিতিকর
* এক অহংকারী ও এক বুজুর্গের মোলাকাত:- কোন এক ব্যক্তিকে অহংকারের সাথে চলতে দেখে তাকে এক জন বুজুর্গ উপদেশ দিতে লাগলেন।এভাবে চলিওনা এভাবে চলা ঠিক নয়।বুজুর্গের কথায় সে ব্যক্তি রাগে গোস্যায় আগুন হয়ে গেল।এবং বলতে লাগল তুমি জাননা আমি কে?সাথে সাথে বুজুর্গ উত্তর দিলেনঃআমি জানি তুমি কে?তোমার শুরু হল ঘ্-নিত অপবিত্র এক ফোঁটা বীর্য আর তোমার জীবনের শেষ প্রহরে তুমি হবে একটা পচা দুর্গন্ধময় মুর্দার।আর তার মধ্যবর্তী সময় গুলোতে হলে পেঠের নাপাক মল-মুত্র বহন কারী একটি জান।একথা বলার সাথে সাথে উক্ত ব্যক্তির মুখ বন্ধ হয়ে গেল। সুত্রঃ(মাওয়ায়েজে সিরাজী)প্রিয় বন্দুরা উক্ত ঘঠনা থেকে আমরা যারা নিজেকে নিজে অহংকারী মনে করি আমাদের শিক্ষা গ্রহন করা উচিত্।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক
* অহংকার মানে নিজেকে বর মনে করা, ইবলিশ নিজেকে বর মনে সিজদা দেয়নি ,অহংকারের কারনে হাজার বছর ইবাদতকারী আজ অভিশপ্ত শয়তান
অহংকার একটি ঘৃণিত
চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য যা কিনা ইবলিস ও
তার
সহচরদের প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য
। এরা
সেই সব লোক যাদের অন্তর
আল্লাহ
তায়ালা সিল বা মোহর
মেরে
দিয়েছেন।
সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল
আল্লাহ ও
তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সে হল
অভিশপ্ত
ইবলিস শয়তান। যখন আল্লাহ
তায়ালা
তাকে আদেশ করেছিলেন
আদম(আ) কে
সিজদাহ করার জন্য তখন সে
অহংকার
করে বসল এবং সিজদাহ করতে
অস্বীকার
করল।
ইবলিস বললো, “আমি তার
চাইতে
শেষ্ঠ,আপনি আমাকে আগুন
দ্বারা সৃষ্টি
করেছেন আর তাকে সৃষ্টি
করেছেন
মাটি দ্বারা ।।”
قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ ۖ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ
(আল আরাফ - ১২)
[আরাফঃ ১২]
ঔদ্ধত্য ও অহংকার ইবলিসের
অনেকগুলো
চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে
একটি,
কাজেই কেউ যদি অহংকার
করতে চায়
তবে তার বোঝা উচিত সে
শয়তানের
একটি বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করছে
##হজরত মিছমার রহ: থেকে বর্ণিত,"একদা হজরত হুসাইন ইবনে আলী রা: কোথাও যাচ্ছিলেন,পথে একদল মিসকীনকে একটি পাত্রে কয়েক টুকরো রুটি খেতে দেখলেন। তারা তাকে দেখে বলল,আবু আব্দুল্লাহ! আমাদের সাথে খান।তিনি সাথে সাথে তাদের সাথে খেতে বসে গেলেন এবং সুরা নহলের ২৩ নং আয়াতটি(উপরে বর্ণিত) পাঠ করলেন।
لَا جَرَمَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِينَ
(আন নাহল - ২৩)
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় বিষয়ে অবগত। নিশ্চিতই তিনি অহংকারীদের পছন্দ করেন না।
তাদের সাথে খাওয়া শেষ হলে তিনি তাদেরকে বললেন,আমি তোমাদের দাওয়াত কবুল করেছি,এখন তোমরা আমার দাওয়াত কবুল কর।তারা তার সাথে তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হল।তিনি তার দাসিকে ডেকে বললেন,বাড়িতে যা খাবার আছে নিয়ে এস।(উল্লেখ্য,গরিব লোকদের(যাকে তুমি ক্ষুদ্র ও হেয় মনে কর) সাথে উঠাবসা,নম্র ব্যবহারের দ্বারা অহংকার চলে যায়)
* আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি, -( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)
একটা ঘটনা শুনুন। হযরত ওমর (রাঃ) যখন খলীফা ছিলেন, তখন তার পুত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) ছিলেন খলীফার ছেলে অর্থাৎ, বাদশাহর ছেলে। আর হযরত হুসাইন (রাঃ) ছিলেন রাসূল (সাঃ)-এর নাতী। তাদের উভয়ের তখনও বয়স কম। একদিন হুসাইনের সাথে ইবনে ওমরের কথা কাটাকাটি হয়ে গেল। এক পর্যায়ে হুসাইন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে বললেন তুমি আমার নানার গোলামের পুত হয়ে আমাকে এমন বড় কথা বললে? বোঝাতে চাইল যে, তোমার পিতা ওমর ছিল আমার নানা রাসূল (সাঃ)-এর গোলাম। তুমি সেই গোলামের ছেলে হয়ে এরকম কথা বললে? একথা শুনে ইবনে ওমর রেগে গেল এত বড় কথা! আমি বাদশাহর ছেলে, আমাকে বলছ গোলামের পুত। রেগে যেয়ে পিতার কাছে নালিশ দিল যে, হুসাইন আমাকে গোলামের পুত বলেছে। হযরত ওমর (রাঃ) সাহাবায়ে কেরামকে ডাকলেন যে, দরবার বসবে। এ কথার বিচার হবে। মানুষ মনে করল এবার বোধ হয় খলীফা হুসাইনকে শাস্তি দিবেন। যদি তাই হয়- রাসূলের নাতিকে শাস্তি দেয়া হয়, তাহলে মদীনায় আল্লাহর গযব নেমে আসবে। ওমর এটা কী করতে যাচ্ছে! সাহাবায়ে কেরামের দরবার বসল। সকলে চিন্তা করছেন কী যেন ঘটতে যাচ্ছে। হযরত ওমর (রাঃ) হুসাইনকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি যে আমার ছেলেকে গোলামের ছেলে বলেছ, কেন বলেছ? হুসাইন জওয়াব দিল কেন আপনি আমার নানার গোলামী করেননি? তাহলে তো আপনি আমার নানার গোলাম। অতএব আপনার পুত্র গোলামের পুত্র বৈ কি? তখন হযরত ওমর (রাঃ) বললেন আপনারা মদীনার সমস্ত সাহাবীরা সাক্ষী থাকুন রাসূলের নাতী স্বীকার করলেন যে, আমি রাসূলের গোলাম। আপনারা কি একথার সাক্ষী থাকলেন? সকলে বললেনঃ হ্যাঁ আমরা সাক্ষী থাকলাম। তখন হযরত ওমর (রাঃ) আবেগ জড়িত কণ্ঠে বললেন হাশরের ময়দানে আমি যেন রাসূলের গোলাম হয়ে উঠতে পারি। আমি তখন বলব আমি আপনার গোলাম, আপনার নাতী একথার স্বীকৃতি দিয়েছে। বহু মানুষ তার সাক্ষী। কাজেই আমার সব দায়িত্ব আপনার। গোলামের সব কিছুর দায়িত্ব থাকে মুনীবের। আমি আপনার গোলাম, আমাকে উদ্ধার করার দায়িত্ব আপনার।
এভাবে শুধু রাসূল (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরামই নন, যারা বড় হয়েছেন, তাওয়ায়ু এবং বিনয়ের মাধ্যমেই বড় হয়েছেন। সমস্ত বুযুর্গানে দ্বীনের অবস্থা এরকম। তারা বড় হয়েছেন নিজেদের ছোট মনে করেই বড় হয়েছেন। শায়খ আহমদ কবীর রেফায়ী (রহঃ) এক বড় বুযুর্গ ছিলেন। তাঁর ঘটনা আমরা অনেকে শুনেছি। রাসূল (সাঃ)-এর রওযার কাছে যেয়ে তিনি বলেছিলেন, আপনার মোবারক হাতখানা বের করে দিন, আমি ঐ হাতে চুমু খেতে চাই। রাসূল (সাঃ)-এর সাথে তাঁর ছিল প্রেমের সম্পর্ক। একথা বলার পর রওযা শরীফ থেকে রাসূলের হাত উঠে আসে, তিনি সেই মোবারক হাতের সাথে মোসাফাহা করেছেন এবং চুমু দিয়েছেন। এর পরে সাথে সাথে মনে করেছেন এখন এই দরবারের সমস্ত মানুষ আমাকে বড় বুযুর্গ মনে করবে, আমার মনে অহংকার এসে যাবে, তাই সাথে সাথে তিনি মসজিদের দরজার উপরে শুয়ে পড়েন এবং বলতে থাকেন আমার ভিতরে অহংকার এসে গেছে, আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সবাই আমার উপর পাড়া দিয়ে পার হয়ে যান। এভাবে নিজের মধ্যে অহংকার আসার কোন সুযোগ দেননি। নিজেকে মানুষের সামনে তুচ্ছ করে রাখতে চেয়েছেন। সকলকে বড় মনে করেছেন, নিজেকে তুচ্ছ জেনেছেন। এই বুযুর্গেরই আর একটা ঘটনা। একটা কুকুরের গায়ে খোস পাচড়া। সমস্ত মানুষ কুকুরটাকে ঘৃণা করছে। কিন্তু তিনি ঐ কুকুরটাকে ধরে নিয়ে এসেছেন। ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করিয়েছেন। চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর আপনজনদেরকে বলেছেন, তোমরা এই কুকুরটার দায়িত্ব নিয়ে নাও! কেউ তার দায়িত্ব নেয়নি। অবশেষে তিনি নিজের দায়িত্বে রেখেছেন। পরবর্তীতে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এলহাম হয়েছে যে, তোমার যত মারেফাতের জ্ঞান, যত বুযুর্গী, তা ঐ কুকুরের খেদমত করার ওছীলায়। তিনি বলতেন। এই কুকুরটা আল্লাহর এক মাখলূক, আল্লাহর কাছে আমার যদি নাজাত না হয়, তাহলে আমার চেয়ে এই কুকুরটা বেশী দামী। দেখা গেল কোন মানুষকে নয়, একটা তুচ্ছ প্রাণী কুকুরকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি।
বয়ান ও খুতবা
বুযুর্গানে দ্বীন বলেনঃ কোন মানুষকে তুচ্ছ মনে করার অবকাশ নেই। এমনকি আল্লাহর কোন প্রাণীকেও তুচ্ছ মনে করতে নেই। আল্লাহর কাছে কে দামী, তা আল্লাহ পাকই জানেন। কাজেই আমি আল্লাহর কোন মাখলূক থেকে নিজেকে বড় মনে করতে পারি না। একজন বুযুর্গের ঘটনা আছে- তার মুখে ছিল নীচের দিকে সামান্য কয়েকটা দাড়ি। আমরা অনেকে এরকম দাড়িকে ছাগলে দাড়ি বলে থাকি। কিন্তু এটা ঠিক নয়। দাড়ি তো দাড়িই। দাড়ি একটা মর্যাদার জিনিস। সেটাকে ছাগলের মুখের পশমের সাথে উদাহরণ দিয়ে ছাগলে দাড়ি বলা ঠিক নয়। যাহোক একদিন এক লোক ঐ বুযুর্গের সাথে উপহাস করার জন্য একটা ছাগল নিয়ে এসে বলল হুজুর! আপনার দাড়ি বেশী দামী না আমার ছাগলের দাড়ি বেশী দামী। বুযুর্গ বললেন, আমি এখন মন্তব্য করতে পারব না, মরার পরে আমাকে জিজ্ঞাসা করো। মরার পরে যখন ঐ বুযুর্গের লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সেই লোকটা হাজির হল। তখন লাশের যবান খুলে গেল যে, তোমার ছাগলের দাড়ির চেয়ে আমার দাড়ি বেশী দামী। কারণ আমার ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়েছে, আমার নাজাতের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি বলেননি, আমার দাড়ি বেশী দামী। একটা ছাগলকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি। এভাবে সব ক্ষেত্রে নিজেদেরকে তুচ্ছ জেনে এবং তাওয়ায়ু' প্রদর্শন করেই বড়রা বড় হয়েছেন। নিজেকে বড় মনে করলে এবং বড়ায়ী দেখালেই বড় হওয়া যায় না। তাওয়ায়ু' বা বিনয়ের মাধ্যমেই বড় হওয়া যায়। যে তাওয়ায়ু' এখতিয়ার করে, আল্লাহ পাক তাকে বড় করেন। হাদীছে এসেছে :
من تواضع لله رفعه الله - (رواه ابن ماجة واحمد)
অর্থাৎ, যে তাওয়ায়ু অবলম্বন করে, আল্লাহ পাক তার মর্যাদা উন্নত করে দেন। তাওয়ায়ু দ্বারা আল্লাহ্র কাছেও প্রিয় হওয়া যায়, মানুষের কাছেও প্রিয় হওয়া যায়। শেখ সাদী (রহঃ) বলেছেন :
دلا گر تواضع کنی اختیار به شود خلق د نیا ترادوست دار অর্থাৎ, তুমি যদি তাওয়ায়ু অবলম্বন কর, তাহলে দুনিয়া তোমাকে ভালবাসবে। দুনিয়ার মানুষের কাছে তুমি প্রিয় হতে পারবে। অতএব তাওয়ায়ু এমন এক গুণ, যার দ্বারা দুনিয়া আখেরাত উভয় জগতের লাভ। এর বিপরীত
অহংকার এমন এক দোষ, যার দ্বারা দুনিয়া আখেরাত উভয় জগতের ক্ষতি।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সহীহ সমঝ নসীব করুন, আমল করার তাওফীক দান করুন। وأخر دعوانا اَنِ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ العَلَمِينَ
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইটানিক জাহাজ। টাইটানিক জাহাজের নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়।টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নাম।এই শক্তিশালী দেবতার নাম অনুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিক
#অহংকারের কারনে হাজার বছর ইবাদতকারী
আজ অভিশপ্ত শয়তান।অহংকার করে সে বলেছিল আমি আগুনের তৈরি হয়ে মাটির তৈরি মানুষকে কিভাবে সেজদা করব? তখন থেকে অভিশপ্ত হয়ে গেল। অহংকারের কারনে পৃথিবীতে অনেক কিছু ধ্বংস হয়েছে।আপনার চারপাশে একটু খেয়াল করে দেখেন।অবশ্যই পাওয়া যাবে।
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইটানিক জাহাজ। টাইটানিক জাহাজের নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়।টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নাম।এই শক্তিশালী দেবতার নাম অনুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিক।জাহাজটি যখন তৈরি হয়েছিল তখন নির্মাতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,এ জাহাজটি সাগরে কতটুকু নিরাপদ?তখন নির্মাতা অহংকার করে বলেছিল,এটা কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা।ইহা চিরস্হায়ী।কারো অজানা নয়,১৯১২ সালে ইহা সাগরে হিমশৈল(আইসবার্গ)বরফের টুকরারের সাথে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয়ে গেল।হে বন্ধুরা,আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে পছন্দ করেনা।মনে রাখ,
যাহা পারে মুনিবে,
তাহা পারে না গোলামে।
* ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে
يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ تُبْصِرَانِ وَأُذُنَانِ تَسْمَعَانِ وَلِسَانٌ يَنْطِقُ يَقُولُ إِنِّي وُكِّلْتُ بِثَلاَثَةٍ بِكُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَبِكُلِّ مَنْ دَعَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَبِالْمُصَوِّرِينَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে। এর দুটি চোঁখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখবে, দুটি কান থাকবে যা দিয়ে সে শুনবে এবং একটি জিহবা থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে। সে বলবে, তিন ধরনের লোকের জন্য আমাকে নিয়োজিত করা হয়েছেঃ (১) প্রতিটি অবাধ্য অহংকারী যালিমের জন্য, (২) আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্য কোন কিছুকে যে ব্যক্তি ইলাহ বলে ডাকে তার জন্য এবং (৩) ছবি নির্মাতাদের জন্য।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৫১২), তা’লীকুর রাগীব (৪/৫৬)
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৭৪
উদ্ধত্ব, অহংকারী--جَبَّارٍ
عَنِيدٍ--যালিমের জন্য, সৈরাচারী
(جبار) অর্থ, নিজের মতকে প্রাধান্যদানকারী এবং অপরের উপর নিজের মত চাপানোর প্রয়াস যিনি চালান। হক্ক গ্রহণের মানসিকতা যার নেই।
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ " .
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৮
*
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مُوْسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلَاءَ لَمْ يَنْظُرْ اللهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ إِنَّ أَحَدَ شِقَّيْ ثَوْبِيْ يَسْتَرْخِيْ إِلَّا أَنْ أَتَعَاهَدَ ذَلِكَ مِنْهُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّكَ لَسْتَ تَصْنَعُ ذَلِكَ خُيَلَاءَ قَالَ مُوْسَى فَقُلْتُ لِسَالِمٍ أَذَكَرَ عَبْدُ اللهِ مَنْ جَرَّ إِزَارَهُ قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ ذَكَرَ إِلَّا ثَوْبَهُ
‘আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি গর্বের সঙ্গে পরনের কাপড় টাখনুর নিম্নভাগে ঝুলিয়ে চলাফিরা করে, ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ্ তার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দিবেন না। এ শুনে আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমার অজ্ঞাতে কাপড়ের একপাশ কোন কোন সময় নীচে নেমে যায়। আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি তো ফখরের সঙ্গে তা করছ না। মূসা (রহঃ) বলেন, আমি সালিমকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) কি ‘যে ব্যক্তি তার লুঙ্গি ঝুলিয়ে চলল’ বলেছেন? সালিম (রহঃ) বললেন, আমি তাকে শুধু কাপড়ের কথা উল্লেখ করতে শুনেছি। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৯৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪০০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৬৬৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
* টাখনুর উপরে কাপর পরা সুন্নাত, নিচে পরলে যৌন শক্তি লোপ পায়
* টাখনোর উপর কাপড় পরাঃ
হযরাত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন সে ব্যক্তির দিকে থাকাবেন না, যে ব্যক্তি অহংকারবশত পায়জামা (টাখনোর নিচে) ঝুলিয়ে রাখে।
(বুখারীঃ ৫৭৮৭)
* আজকের বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে, পুরুষের টাখনোর নিচে একটি অংশ আছে যেখানে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন প্রচুর পরিমানে থাকে যা সবসময় আলো-বাতাস চায়; যার ফলে পুরুষদের পুরুষত্ব বাড়ে, আর যদি তা ঢেকে ফেলা হয় তাহলে পুরুষরা তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে, অর্থাৎ গোড়ালির নিচে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যায়।
আমেরিকার হেলথ সেন্টারগুলোতে তারা লিখে রেখেছে যে, ‘পুরুষেরা টাখনোর নিচে প্যান্ট পরবেন না, নিচে পরলে যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যাবে।’
আঙ্গুল ও খাবারের পাত্র চেটে খাওয়াঃ
হযরাত জাবের রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ খাবারের সময় পাত্র এবং আঙ্গুল চেটে খেতে বলেছেন।
(মুসলিমঃ ২০৩৩)
আজকের বিজ্ঞান এটা জানতে পেরেছে যে, মানুষের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে এক প্রকার তরল পদার্থ বের হয় যাকে ‘প্লাজমা’ বলা হয়, যা সহজে মানুষের খাবার হজম করে।
বিজ্ঞান এটাও আবিস্কার করেছে যে, মানুষের খাবারের পাত্রের সর্বশেষে খাবারের যে অংশ থাকে তার মধ্যেই ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে।
ডান কাতে ঘুমানোঃ
হযরাত বারা বিন আযিব রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তুমি ঘুমানোর জন্য বিছানা গ্রহণের ইচ্ছা করবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করো এবং ডান কাতে শয়ন করো।
(মুসলিমঃ ২৭১০)
আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে, কেউ যদি ডান কাতে ঘুমায় তাহলে তার রাতের খাবার হজম হতে তিন-চার ঘন্টা লাগে, আর কেউ বাম কাতে ঘুমালে তা হজম হতে সাত-আট ঘন্টা সময় লাগে।
মানুষের হার্ট থাকে বাম পার্শে, সুতরাং ডান কাতে ঘুমালে হার্ট কোনো চাপে থাকেনা, সহজেই নিশ্বাস নিতে পারে; কিন্তু বাম কাতে ঘুমালে ফুসফুস হার্টের উপরে চলে আসে যার ফলে হার্ট চাপে থাকে এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
_____________________________________
লুকমান, ৩১/১৮)
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ ۚ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِير ِ
* কোন এক ব্যক্তিকে অহংকারের সাথে চলতে দেখে তাকে এক জন বুজুর্গ উপদেশ দিতে লাগলেন।এভাবে চলিওনা এভাবে চলা ঠিক নয়
* অহংকারের কারনে ইবলিশ আজ অবিশপ্ত,আরাফ-১২
قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ ۖ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ
* হজরত হুসাইন ইবনে আলী রা: পথে একদল মিসকীনদের সাথে খেতে বসলেন,নাহল-২৩
لَا جَرَمَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِينَ
* আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি, -( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে টাইটানিক জাহাজ। নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়। টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নামে নাম রাখা।এই শক্তিশালী দেবতার নাম রাখা
* ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে
يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ تُبْصِرَانِ وَأُذُنَانِ تَسْمَعَانِ وَلِسَانٌ يَنْطِقُ يَقُولُ إِنِّي وُكِّلْتُ بِثَلاَثَةٍ بِكُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَبِكُلِّ مَنْ دَعَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَبِالْمُصَوِّرِينَ
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৭৪,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৮
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ
* সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৮৫
আবু বকর বলেন
مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
* টাখনুর উপরে কাপর পরা সুন্নাত, নিচে পরলে যৌন শক্তি লোপ পায়
* আঙ্গুল ও খাবারের পাত্র চেটে খাওয়াঃ প্লাজমা
* ডান কাতে ঘুমানোঃ
وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ
অহংকার বশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না এবং আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা কর না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না’। (লুকমান, ৩১/১৮)
.
وَلَا تُصَعِّرْ---অবজ্ঞা কর না, ,ফিরাইও না
خَدَّكَ--- তোমার মুখ
مَرَحًا---দম্ভভরে
مُخْتَالٍ--দাম্ভিক
১০ম উপদেশঃ
وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ ۚ إِنَّ أَنْكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ
আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ। (লুকমান, ৩১/১৯)
وَاقْصِدْ--মধ্যপন্থা অবলম্বন কর,
وَاغْضُضْ---নীচু কর;
أَنْكَرَ--নিকৃষ্ট,অধিক অপ্রিতিকর
* অহংকার মানে নিজেকে বর মনে করা, ইবলিশ নিজেকে বর মনে সিজদা দেয়নি ,অহংকারের কারনে হাজার বছর ইবাদতকারী আজ অভিশপ্ত শয়তান
অহংকার একটি ঘৃণিত
চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য যা কিনা ইবলিস ও
তার
সহচরদের প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য
। এরা
সেই সব লোক যাদের অন্তর
আল্লাহ
তায়ালা সিল বা মোহর
মেরে
দিয়েছেন।
সর্বপ্রথম যে অহংকার করেছিল
আল্লাহ ও
তাঁর সৃষ্টিজগতের প্রতি সে হল
অভিশপ্ত
ইবলিস শয়তান। যখন আল্লাহ
তায়ালা
তাকে আদেশ করেছিলেন
আদম(আ) কে
সিজদাহ করার জন্য তখন সে
অহংকার
করে বসল এবং সিজদাহ করতে
অস্বীকার
করল।
ইবলিস বললো, “আমি তার
চাইতে
শেষ্ঠ,আপনি আমাকে আগুন
দ্বারা সৃষ্টি
করেছেন আর তাকে সৃষ্টি
করেছেন
মাটি দ্বারা ।।”
قَالَ مَا مَنَعَكَ أَلَّا تَسْجُدَ إِذْ أَمَرْتُكَ ۖ قَالَ أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ خَلَقْتَنِي مِن نَّارٍ وَخَلَقْتَهُ مِن طِينٍ
(আল আরাফ - ১২)
[আরাফঃ ১২]
ঔদ্ধত্য ও অহংকার ইবলিসের
অনেকগুলো
চারিত্রিক বৈশিষ্টের মধ্যে
একটি,
কাজেই কেউ যদি অহংকার
করতে চায়
তবে তার বোঝা উচিত সে
শয়তানের
একটি বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করছে
##হজরত মিছমার রহ: থেকে বর্ণিত,"একদা হজরত হুসাইন ইবনে আলী রা: কোথাও যাচ্ছিলেন,পথে একদল মিসকীনকে একটি পাত্রে কয়েক টুকরো রুটি খেতে দেখলেন। তারা তাকে দেখে বলল,আবু আব্দুল্লাহ! আমাদের সাথে খান।তিনি সাথে সাথে তাদের সাথে খেতে বসে গেলেন এবং সুরা নহলের ২৩ নং আয়াতটি(উপরে বর্ণিত) পাঠ করলেন।
لَا جَرَمَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعْلِنُونَ ۚ إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُسْتَكْبِرِينَ
(আন নাহল - ২৩)
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাদের গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় বিষয়ে অবগত। নিশ্চিতই তিনি অহংকারীদের পছন্দ করেন না।
তাদের সাথে খাওয়া শেষ হলে তিনি তাদেরকে বললেন,আমি তোমাদের দাওয়াত কবুল করেছি,এখন তোমরা আমার দাওয়াত কবুল কর।তারা তার সাথে তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হল।তিনি তার দাসিকে ডেকে বললেন,বাড়িতে যা খাবার আছে নিয়ে এস।(উল্লেখ্য,গরিব লোকদের(যাকে তুমি ক্ষুদ্র ও হেয় মনে কর) সাথে উঠাবসা,নম্র ব্যবহারের দ্বারা অহংকার চলে যায়)
* আপনার দারি দামি না আমার ছাগলের দারি দামি, -( বয়ান ও খুতবা-( ২/৩৫৪)
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইটানিক জাহাজ। টাইটানিক জাহাজের নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়।টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নাম।এই শক্তিশালী দেবতার নাম অনুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিক
#অহংকারের কারনে হাজার বছর ইবাদতকারী
আজ অভিশপ্ত শয়তান।অহংকার করে সে বলেছিল আমি আগুনের তৈরি হয়ে মাটির তৈরি মানুষকে কিভাবে সেজদা করব? তখন থেকে অভিশপ্ত হয়ে গেল। অহংকারের কারনে পৃথিবীতে অনেক কিছু ধ্বংস হয়েছে।আপনার চারপাশে একটু খেয়াল করে দেখেন।অবশ্যই পাওয়া যাবে।
* অহংকারের কারনে ধ্বংস হয়েছে বিশ্বখ্যাত টাইটানিক জাহাজ। টাইটানিক জাহাজের নির্মাতার নাম হলঃহারল্যান্ড অ্যান্ড উল্ফ পিপইয়ার্ড়।টাইটান হচ্ছে গ্রীক পুরানের শক্তিশালী দেবতার নাম।এই শক্তিশালী দেবতার নাম অনুসারে এই জাহাজের নাম রাখা হয়েছিল টাইটানিক।জাহাজটি যখন তৈরি হয়েছিল তখন নির্মাতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,এ জাহাজটি সাগরে কতটুকু নিরাপদ?তখন নির্মাতা অহংকার করে বলেছিল,এটা কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা।ইহা চিরস্হায়ী।কারো অজানা নয়,১৯১২ সালে ইহা সাগরে হিমশৈল(আইসবার্গ)বরফের টুকরারের সাথে ধাক্কা লেগে ধ্বংস হয়ে গেল।হে বন্ধুরা,আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে পছন্দ করেনা।মনে রাখ,
যাহা পারে মুনিবে,
তাহা পারে না গোলামে।
* ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে
يَخْرُجُ عُنُقٌ مِنَ النَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ تُبْصِرَانِ وَأُذُنَانِ تَسْمَعَانِ وَلِسَانٌ يَنْطِقُ يَقُولُ إِنِّي وُكِّلْتُ بِثَلاَثَةٍ بِكُلِّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ وَبِكُلِّ مَنْ دَعَا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ وَبِالْمُصَوِّرِينَ
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ক্বিয়ামাত দিবসে জাহান্নাম হতে একটি গর্দান (মাথা) বের হবে। এর দুটি চোঁখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখবে, দুটি কান থাকবে যা দিয়ে সে শুনবে এবং একটি জিহবা থাকবে যা দিয়ে সে কথা বলবে। সে বলবে, তিন ধরনের লোকের জন্য আমাকে নিয়োজিত করা হয়েছেঃ (১) প্রতিটি অবাধ্য অহংকারী যালিমের জন্য, (২) আল্লাহ তা‘আলার সাথে অন্য কোন কিছুকে যে ব্যক্তি ইলাহ বলে ডাকে তার জন্য এবং (৩) ছবি নির্মাতাদের জন্য।
সহীহঃ সহীহাহ্ (৫১২), তা’লীকুর রাগীব (৪/৫৬)
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৫৭৪
উদ্ধত্ব, অহংকারী--جَبَّارٍ
عَنِيدٍ--যালিমের জন্য, সৈরাচারী
(جبار) অর্থ, নিজের মতকে প্রাধান্যদানকারী এবং অপরের উপর নিজের মত চাপানোর প্রয়াস যিনি চালান। হক্ক গ্রহণের মানসিকতা যার নেই।
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ " .
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৬৮
*
مَنْ جَرَّ ثَوْبَهُ خُيَلاَءَ لَمْ يَنْظُرِ اللَّهُ إِلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৮৫
আবু বকর বলেন
* টাখনুর উপরে কাপর পরা সুন্নাত, নিচে পরলে যৌন শক্তি লোপ পায়
* টাখনোর উপর কাপড় পরাঃ
হযরাত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, আল্লাহ কিয়ামাতের দিন সে ব্যক্তির দিকে থাকাবেন না, যে ব্যক্তি অহংকারবশত পায়জামা (টাখনোর নিচে) ঝুলিয়ে রাখে।
(বুখারীঃ ৫৭৮৭)
আজকের বিজ্ঞান আবিস্কার করেছে যে, পুরুষের টাখনোর নিচে একটি অংশ আছে যেখানে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন প্রচুর পরিমানে থাকে যা সবসময় আলো-বাতাস চায়; যার ফলে পুরুষদের পুরুষত্ব বাড়ে, আর যদি তা ঢেকে ফেলা হয় তাহলে পুরুষরা তাদের পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে, অর্থাৎ গোড়ালির নিচে ‘টেস্টোস্টেরণ’ নামক যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যায়।
আমেরিকার হেলথ সেন্টারগুলোতে তারা লিখে রেখেছে যে, ‘পুরুষেরা টাখনোর নিচে প্যান্ট পরবেন না, নিচে পরলে যৌন হরমুন নষ্ট হয়ে যাবে।’
আঙ্গুল ও খাবারের পাত্র চেটে খাওয়াঃ
হযরাত জাবের রাঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ খাবারের সময় পাত্র এবং আঙ্গুল চেটে খেতে বলেছেন।
(মুসলিমঃ ২০৩৩)
আজকের বিজ্ঞান এটা জানতে পেরেছে যে, মানুষের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে এক প্রকার তরল পদার্থ বের হয় যাকে ‘প্লাজমা’ বলা হয়, যা সহজে মানুষের খাবার হজম করে।
বিজ্ঞান এটাও আবিস্কার করেছে যে, মানুষের খাবারের পাত্রের সর্বশেষে খাবারের যে অংশ থাকে তার মধ্যেই ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে।
ডান কাতে ঘুমানোঃ
হযরাত বারা বিন আযিব রাঃ হতে বর্ণীত, রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যখন তুমি ঘুমানোর জন্য বিছানা গ্রহণের ইচ্ছা করবে তখন নামাজের অজুর ন্যায় অজু করো এবং ডান কাতে শয়ন করো।
(মুসলিমঃ ২৭১০)
আজকের বিজ্ঞান গবেষণা করে জানতে পেরেছে যে, কেউ যদি ডান কাতে ঘুমায় তাহলে তার রাতের খাবার হজম হতে তিন-চার ঘন্টা লাগে, আর কেউ বাম কাতে ঘুমালে তা হজম হতে সাত-আট ঘন্টা সময় লাগে।
মানুষের হার্ট থাকে বাম পার্শে, সুতরাং ডান কাতে ঘুমালে হার্ট কোনো চাপে থাকেনা, সহজেই নিশ্বাস নিতে পারে; কিন্তু বাম কাতে ঘুমালে ফুসফুস হার্টের উপরে চলে আসে যার ফলে হার্ট চাপে থাকে এবং নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
* এক অহংকারী ও এক বুজুর্গের মোলাকাত:- কোন এক ব্যক্তিকে অহংকারের সাথে চলতে দেখে তাকে এক জন বুজুর্গ উপদেশ দিতে লাগলেন।এভাবে চলিওনা এভাবে চলা ঠিক নয়।বুজুর্গের কথায় সে ব্যক্তি রাগে গোস্যায় আগুন হয়ে গেল।এবং বলতে লাগল তুমি জাননা আমি কে?সাথে সাথে বুজুর্গ উত্তর দিলেনঃআমি জানি তুমি কে?তোমার শুরু হল ঘ্-নিত অপবিত্র এক ফোঁটা বীর্য আর তোমার জীবনের শেষ প্রহরে তুমি হবে একটা পচা দুর্গন্ধময় মুর্দার।আর তার মধ্যবর্তী সময় গুলোতে হলে পেঠের নাপাক মল-মুত্র বহন কারী একটি জান।একথা বলার সাথে সাথে উক্ত ব্যক্তির মুখ বন্ধ হয়ে গেল। সুত্রঃ(মাওয়ায়েজে সিরাজী)প্রিয় বন্দুরা উক্ত ঘঠনা থেকে আমরা যারা নিজেকে নিজে অহংকারী মনে করি আমাদের শিক্ষা গ্রহন করা উচিত্।আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক
টোকেন%
_____________________________________
No comments