49/41 বিসমিল্লাহ এর আমল
* প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ,যা বিসমিল্লাহ দ্বারা আরম্ভ করা হয়নি,তা অসম্পুর্ণ, তার পরিনতি শুভ ও মঙ্গলজনক হয় না
قال رسول الله ﷺ: كل أمر ذي بال لا يبدأ بـإسم الله الرحمن الرحيم، فهو أبتر
* বিসমিল্লাহ এর প্রচলন কুরআন নাজিলের আগে ও ছিল। হযরত সুলাইমান (আ) যখন বিলকিছকে প্রথম চিটি লিখেছিলেন, সেখানে তিনি লিখেছিলেন-সূরা নমল-৩০
اِنّهُ مِن سُليمان و اِنّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলবে বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি বললে তিনটি পুরুস্কার
* কাজের সূচনার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর মধ্যে আল্লাহর তিনটি নাম নেওয়ার হিকমত
* খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে। যদি ভূলে যায় তাহলে পড়বে,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮
* অযুতে বলবে বিসমিল্লাহ হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, রাসূল সা: তাকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, ‘হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, বিসমিল্লাহ বলবে।
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে মাথা ব্যথা দুর হয়ে যায়। রোম সম্রাট একবার খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর রাঃ এর দরবারে তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছিল।
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে কবরের আযাব মাফ
হযরত ঈসা (আ) একটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই কবরে শায়িত মৃতের ওপর চরম আযাব হচ্ছিল। এটা দেখে তিনি কিছু দূর এগিয়ে গেলেন। সেখান থেকে শৌচকর্ম সেরে ফেরার সময় আবার যখন সে কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দেখলেন যে, কবরটিতে পরিপূর্ণ আলোয় ঝলমল
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে দোজখের ফেরেস্তাদের শরীরে আগুন লাগজেনা হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, দোজখের দারোগা
* যখন হুযুর সা: মি‘রাজে তাশরীফ নিলেন এবং জান্নাতসমূহে ভ্রমণ করলেন তখন চারটি নহর (প্রস্রবন) বা প্রবাহমান নদী পরিদর্শন করেন
____________________________________
49/41 বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
* প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ,যা বিসমিল্লাহ দ্বারা আরম্ভ করা হয়নি,তা অসম্পুর্ণ, তার পরিনতি শুভ ও মঙ্গলজনক হয় না
قال رسول الله ﷺ: كل أمر ذي بال لا يبدأ بـإسم الله الرحمن الرحيم، فهو أبتر
* বিসমিল্লাহ এর প্রচলন কুরআন নাজিলের আগে ও ছিল। হযরত সুলাইমান (আ) যখন বিলকিছকে প্রথম চিটি লিখেছিলেন, সেখানে তিনি লিখেছিলেন-সূরা নমল-৩০
اِنّهُ مِن سُليمان و اِنّهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলবে বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি বললে তিনটি পুরুস্কার
* কাজের সূচনার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর মধ্যে আল্লাহর তিনটি নাম নেওয়ার হিকমত
* খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবে। যদি ভূলে যায় তাহলে পড়বে,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮
#খাবারের শুরুতে বিসমিল্লাহ ভূলে গেলে পড়বে,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَكَلَ أَحَدُكُمْ طَعَامًا فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فَإِنْ نَسِيَ فِي أَوَّلِهِ فَلْيَقُلْ بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَأْكُلُ طَعَامًا فِي سِتَّةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَجَاءَ أَعْرَابِيٌّ فَأَكَلَهُ بِلُقْمَتَيْنِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّهُ لَوْ سَمَّى لَكَفَاكُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأُمُّ كُلْثُومٍ هِيَ بِنْتُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ .
আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমাদের কোন ব্যক্তি খাওয়া শুরু করে তখন যেন সে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে। সে খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তবে যেন বলে, “বিসমিল্লাহ ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরাহু” (এর শুরু ও শেষ আল্লাহ তা’আলার নামে)।
সহীহ্, ইরওয়া (১৯৬৫), তা’লীকুর রাগীব (৩/১১৫-১১৬), তাখরীজ-কালিমুত তাইয়্যিব (১১২)
ফুটনোটঃ
আইশা (রাঃ) হতে একই সনদে আরো বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক সময় তাঁর ছয়জন সাহাবীকে সাথে নিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় একজন বেদুঈন লোক এসে হাযির হল। সে সবগুলো খাবার দুই গ্রাসেই শেষ করে ফেলল। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ সে যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে খাবার খেতে শুরু করত তাহলে তোমাদের সবার জন্যে এই খাবারটুকুই পর্যাপ্ত হত। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ্ বলেছেন। উম্মু কুলসুম (রহঃ) হলেন আবূ বাক্র সিদ্দীক (রাঃ)-এর ছেলে মুহাম্মাদের মেয়ে।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৮৫৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* অযুতে বলবে বিসমিল্লাহ হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, রাসূল সা: তাকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, ‘হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, বিসমিল্লাহ বলবে।
#অযুতে বলবে বিসমিল্লাহ হজরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত, রাসূল সা: তাকে লক্ষ্য করে এরশাদ করেন, ‘হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন অজু করবে, বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে ফেরেশতাগণ তোমার অজু শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। তুমি যখন স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করবে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি গোসল শেষ করবে, ততক্ষণ ফেরেশতাগণ তোমার জন্য পুণ্য লিখতে থাকবে। সেই সহবাসে যদি তোমার কোনো সন্তান লাভ হয়, তবে সেই সন্তানের নিঃশ্বাস এবং তার যদি বংশধারা চালু থাকে, তবে যতকাল তা চালু থাকবে, ততকাল পর্যন্ত তাদের সবার নিঃশ্বাসের সংখ্যা পরিমাণ পুণ্য তোমার আমলনামায় লেখা হতে থাকবে। হে আবু হুরায়রা! তুমি যখন পশুর পিঠে চড়বে, তখন বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে তার প্রতি কদমে তোমার জন্য পুণ্য লেখা হবে। আর যখন নৌকায় চড়বে, তখনো বিসমিল্লাহ বলবে। তাহলে যতক্ষণ না তুমি তা থেকে নামবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার জন্য পুণ্য লেখা হতে থাকবে।
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে মাথা ব্যথা দুর হয়ে যায়। রোম সম্রাট একবার খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর রাঃ এর দরবারে তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছিল।
#বিসমিল্লাহ এর বরকতে মাথা ব্যথা দুর হয়ে যায়। রোম সম্রাট একবার খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর রাঃ এর দরবারে তার মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছিল। হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে একটি টুপি প্রেরণ করেছিলেন। যতক্ষণ এ টুপি মাথায় থাকতো ততক্ষণ মাথা ব্যথা হতো না। কিন্তু যখনই মাথা থেকে টুপি সরানো হতো, সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হতো। এ ঘটনায় সবাই বিস্মিত হয়। অবশেষে টুপি খুলে এর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেল যে তাতে শুধু ‘বিসমিল্লাহ’ লিপিবদ্ধ রয়েছে।
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে কবরের আযাব মাফ
হযরত ঈসা (আ) একটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই কবরে শায়িত মৃতের ওপর চরম আযাব হচ্ছিল। এটা দেখে তিনি কিছু দূর এগিয়ে গেলেন। সেখান থেকে শৌচকর্ম সেরে ফেরার সময় আবার যখন সে কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দেখলেন যে, কবরটিতে পরিপূর্ণ আলোয় ঝলমল
#বিসমিল্লাহ এর বরকতে কবরের আযাব মাফ
হযরত ঈসা (আ) একটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই কবরে শায়িত মৃতের ওপর চরম আযাব হচ্ছিল। এটা দেখে তিনি কিছু দূর এগিয়ে গেলেন। সেখান থেকে শৌচকর্ম সেরে ফেরার সময় আবার যখন সে কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দেখলেন যে, কবরটিতে পরিপূর্ণ আলোয় ঝলমল করছে এবং সেখানে রহমতে এলাহীর বর্ষণ হচ্ছে। তিনি চরম আশ্চার্যান্বিত হলেন এবং আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন আমাকে এর রহস্য বলুন! ঘোষণা হল, হে রুহুল্লাহ! এই লোক চরম পাপী ও বদ অভ্যাসি ছিল। এজন্য সে আযাব ভোগ করছিল কিন্তু সে স্বীয়-স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় রেখে এসেছিল। তার একটি পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছে এবং আজ তাকে মক্তবে পাঠানো হয়েছে। সে শিক্ষকের কাছে আজই প্রথম বার উচ্চারণ করেছে ‘‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”। তখনই আমার লজ্জা হচ্ছিল এবং মায়াও লাগল এই পাপী ব্যক্তির জন্য যে, কিভাবে আমি লোকটাকে কবরে আজাব দিব? কারণ, তার বাচ্চা জমিনে আমার নাম স্বরণ করেছে। তাই আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
এতে বোঝা গেল যে, বাচ্ছাদের সৎকর্মের ফলে মাতা-পিতাগণ আযাব হতে পরিত্রাণ পেয়ে থাকেন।
* বিসমিল্লাহ এর বরকতে দোজখের ফেরেস্তাদের শরীরে আগুন লাগজেনা হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, দোজখের দারোগা
#বিসমিল্লাহ এর বরকতে দোজখের ফেরেস্তাদের শরীরে আগুন লাগজেনা হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে, দোজখের দারোগা ফেরেস্তার নাম মালেক। তিনি যখন কোনো ফেরেস্তাকে দোজখের বিভিন্ন প্রকোষ্টের মধ্যে কোনো ব্যক্তির নতুন কোনো আজাবের ব্যবস্থা করার জন্য পাঠাবেন, তখন মালেক ফেরেস্তা উক্ত ফেরেস্তার কপালে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” লিখে দিবেন। তখন দোজখের আগুন ঐ ফেরেস্তার দেহে কোনো ক্রিয়া বা ক্ষতি করবে না। অর্থাৎ দোজখের আগুন ঐ ফেরেস্তার গায়ে লাগবে না ।
* যখন হুযুর সা: মি‘রাজে তাশরীফ নিলেন এবং জান্নাতসমূহে ভ্রমণ করলেন তখন চারটি নহর (প্রস্রবন) বা প্রবাহমান নদী পরিদর্শন করেন
#রূহুল বয়ানের তাফসীরকারক স্বীয় তাফসীরে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” এর আলোচনায় একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছেন- যখন হুযুর সা: মি‘রাজে তাশরীফ নিলেন এবং জান্নাতসমূহে ভ্রমণ করলেন তখন চারটি নহর (প্রস্রবন) বা প্রবাহমান নদী পরিদর্শন করেন । এগুলো হলো-
১. পানির প্রস্রবণ।
২. দুধের প্রস্রবণ
৩. শরাব বা পানীয় এর প্রস্রবণ
৪. মধুর প্রস্রবণ
হুযুর আলাইহিস সালাম জিব্রাঈল আমীনকে জিজ্ঞেস করলেন, এ নদীগুলো বা প্রস্রবণগুলো কোথা থেকে এসেছে? হযরত জিব্রাঈল (আ) আরয করলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা)! আমি এ সম্পর্কে অবহিত নই। অন্য আরেকজন ফেরেস্তা এসে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ (সা)! এ চারটি প্রস্রবণ আমি দেখাচ্ছি। তিনি হুযুর আলাইহিস সালামকে একটি স্থানে নিয়ে গেলেন। সেখানে একটি বৃক্ষ ছিল যার নিচে একটি দালান তৈরি হয়েছিল। এবং দরজার ওপর তালা ঝুলছিল এবং এই দালানের নিচ থেকে এ চারটি নহর প্রবাহিত হচ্ছিল। হুযূর আলাইহিস সালাম এরশাদ করলেন- দরজা খুলো। ফেরেস্তা আরয করলেন, এর চাবি আমার কাছে নেই; বরং আপনারই কাছে রয়েছে। এই দালান খোঁলার চাবি হল “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”। হুযূর আলাইহিস সালাম “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়ে তালায় হাত স্পর্শ করলেন, দরজা খুঁলে গেল। তিনি ভেতরে গিয়ে পরিদর্শন করে দেখলেন যে, সেই দালানে চারটি খুঁটি রয়েছে। আর প্রতিটি খুঁটিতে লেখা রয়েছে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”। بِسْمِ اللَّه এর م থেকে পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং اللَّه ইসিমের ه থেকে দুধ বের হচ্ছে। الرَّحْمَن এর م থেকে শরাব এবং الرَّحِيم শব্দের م থেকে মধু রেব হচ্ছে। ভেতর থেকে শব্দ আসছে- হে আমার মাহবুব! আপনার উম্মতের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” পড়বে, সে এই চারটি নি‘য়ামতের হকদার হবে।
No comments