Header Ads

Header ADS

50/71 প্রতিবেশীর হক

* ভাল ব্যবহার করতে হবে আট শ্রেনীর লোকদের সাথে। নিসা: ৩৬

وَ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ لَا تُشْرِكُوْا بِهٖ شَیْئًا وَّ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا وَّ بِذِی الْقُرْبٰى وَ الْیَتٰمٰى وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْجَارِ ذِی الْقُرْبٰى وَ الْجَارِ الْجُنُبِ وَ الصَّاحِبِ بِالْجَنْۢبِ وَ ابْنِ السَّبِیْلِ١ۙ وَ مَا مَلَكَتْ اَیْمَانُكُمْ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُوْرَاۙ

* নবীর আশংকা ছিল না জানি মিরাসের অংশ প্রতিবেশীর জন্য রাখা হয় 

* প্রতিবেশীর সীমানা হলো।হাসান (রাঃ) বললেন ডানে বামে সামনে পিছনে চল্লিশ বাড়ি 

* বিপদে এগিয়ে আসে কে? বাড়িতে চুর, ডাকাত, আগুন লাগলে, আমার জানাজা কাফন দাফন করবে কে?

* সেই প্রতিবেশীর খোঁজ নিতে হবে কে খাইলো না। যে ধনী পেট ভরে খায় গরীবের খবর নেয়নি সে মো'মেন নয়।

* তরকারিতে বেশি করে ঝোল দেওয়ার নির্দেশ

* ভালো ব্যবহারে হায়াত বৃদ্ধি পায় ও ঈমান দুরস্ত হয়। বিপরীতে কষ্টদান জাহান্নামের কারণ হবে

* প্রতিবেশীর সাথে মন্দ আচরণ ব্যক্তির সব আমল বরবাদ করে দেয় কে? দুই নারীর দৃষ্টান্ত; কে জান্নাতী? বুখারী ১১৯

* মন্দ প্রতিবেশীর সাথে হবে ভালো ব্যবহার।

#হজরত সাহল বিন আবদুল্লাহ তাসতারির ঘটনা : প্রতিবেশীর প্রতি সহিষ্ণুতার পরিচয় দেয়া মহৎ কাজ। হজরত সাহল বিল আবদুল্লাহ তাসতারি র:-এর একজন অগ্নি উপাসক প্রতিবেশী ছিল। প্রতিবেশীর ঘর থেকে প্রতিদিন প্রচুর ময়লা-আবর্জনা তার অলক্ষে ঘরে এসে পড়ত।

#একজন মন্দ প্রতিবেশীর সাথে ইমাম আবু হানিফার (র:) কি ব্যবহার করেছেন 

* মন্দের জওয়াবে তাই বলুন যা উত্তম। হা-মীম সেজদাহ্ - ৩৪

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ


______________________________________________________

* ভাল ব্যবহার করতে হবে যাদের সাথে

৪: আন-নিসা:আয়াত: ৩৬

وَ اعْبُدُوا اللّٰهَ وَ لَا تُشْرِكُوْا بِهٖ شَیْئًا وَّ بِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا وَّ بِذِی الْقُرْبٰى وَ الْیَتٰمٰى وَ الْمَسٰكِیْنِ وَ الْجَارِ ذِی الْقُرْبٰى وَ الْجَارِ الْجُنُبِ وَ الصَّاحِبِ بِالْجَنْۢبِ وَ ابْنِ السَّبِیْلِ١ۙ وَ مَا مَلَكَتْ اَیْمَانُكُمْ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ مَنْ كَانَ مُخْتَالًا فَخُوْرَاۙ


আর তোমরা সবাই আল্লাহর বন্দেগী করো। তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না। বাপ-মার সাথে ভালো ব্যবহার করো। নিকট আত্মীয় ও এতিম-মিসকিনদের সাথে সদ্ব্যবহার করো। আত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্বসাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাধীন বাদী ও গোলামদের প্রতি সদয় ব্যবহার করো। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখো, আল্লাহ‌ এমন কোন ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না যে আত্মঅহংকারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে এবং নিজের বড়াই করে।

* প্রতিবেশী গণ্য হওয়ার সীমা : কত দূর এলাকার অধিবাসীরা প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য হবে এ সম্পর্কে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। যেমন- (১) হাসান (রাঃ) বললেন, أربعين داراً أمامه، وأربعين خلفه، وأربعين عن يمينه، وأربعين عن يساره. অর্থাৎ নিজের ঘর হ’তে সম্মুখের চল্লিশ ঘর, পশ্চাতের চল্লিশ ঘর, ডান দিকের চল্লিশ ঘর এবং বাম পার্শ্বের চল্লিশ ঘর’ (এর অধিবাসী লোকজনই প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য)।[3] (২) কেউ বলেন, চারিদিকের দশ ঘর প্রতিবেশী হিসাবে গণ্য হবে। (৩) কেউ বলেন, যে ব্যক্তি ডাক শুনতে পায় সে প্রতিবেশী। (৪) যে অতি নিকটে বা পাশাপাশি থাকে সে প্রতিবেশী। (৫) কেউ বলেন, প্রতিবেশী হচ্ছে যারা একই মসজিদে সমবেত হয়।[4]4]. মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আল-হামদ, আত-তাক্বছীর ফী হুকূকিল জার, ১/১ পৃঃ।


* প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে নিজে ভুরিভোজ না করা : দুঃখ-দৈন্য, অভাব-অনটন মানব জীবনের নিত্যসঙ্গী। এসব দিয়ে আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করেন। আবার ধনী-দরিদ্রও আল্লাহ করে থাকেন। সুতরাং দরিদ্র প্রতিবেশীর খোঁজ-খবর নেওয়া আবশ্যক। প্রতিবেশী অভুক্ত থাকলে তাকে খাদ্য না দিয়ে নিজে পেট পুরে খাওয়া ঈমানদারের পরিচয় নয়। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)বলেন, 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قال سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَقُولُ لَيْسَ الْمُؤْمِنُ الَّذِى يَشْبَعُ وَجَارُهُ جَائِعٌ إِلَى جَنْبِهِ


ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


আমি শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “সে মুমিন নয়, যে ভরপেট খায় অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে।” (বুখারীর আদাব ১১২, ত্বাবারানী ১২৫৭৩, হাকেম, বাইহাকী ২০১৬০, সহীহুল জামে ৫৩৮২ নং)


* তরকারিতে বেশি করে ঝোল দেওয়ার নির্দেশ


وَ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقَةً فَأكثِرْ مَاءهَا وَتَعَاهَدْ جِيرَانَكَرواه مسلم

وَفِيْ رِوَايَةٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ : إنّ خَلِيلِي ﷺ أوْصَانيإِذَا طَبَخْتَ مَرَقَاً فَأكْثِرْ مَاءها ثُمَّ انْظُرْ أهْلَ بَيْتٍ مِنْ جِيرَانِكَ فَأصِبْهُمْ مِنْهَا بِمعرُوفٍ


আবূ যার্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “হে আবূ যার্র! যখন তুমি ঝোল (ওয়ালা তরকারি) রান্না করবে, তখন তাতে পানির পরিমাণ বেশী কর এবং তোমার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখ।”

অন্য এক বর্ণনায় আবূ যার্র বলেন, আমাকে আমার বন্ধু (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)) অসিয়ত ক’রে বলেছেন যে, “যখন তুমি ঝোল (ওয়ালা তরকারী) রান্না করবে, তখন তাতে পানির পরিমাণ বেশী কর। অতঃপর তোমার প্রতিবেশীর বাড়িতে রীতিমত পৌঁছে দাও।” (মুসলিম ৬৮৫৫-৬৮৫৬ নং)

* প্রতিবেশীকে জিহ্বা দ্বারা কষ্ট দেওয়া যাবে না


عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم لَا يَسْتَقِيمُ إِيمَانُ عَبْدٍ حَتَّى يَسْتَقِيمَ قَلْبُهُ وَلَا يَسْتَقِيمُ قَلْبُهُ حَتَّى يَسْتَقِيمَ لِسَانُهُ وَلَا يَدْخُلُ رَجُلٌ الْجَنَّةَ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ


আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “কোন বান্দার ঈমান দুরস্ত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হৃদয় দুরস্ত হয় এবং তার হৃদয়ও দুরস্ত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার জিহ্বা দুরস্ত হয়। আর সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা না পায়।” (আহমাদ ১৩০৪৮, ত্বাবারানী ১০৪০১ নং)

* প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহারে হায়াত বৃদ্ধি পায়


عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ صِلَةُ الرَّحِمِ وَحُسْنُ الخُلُقِ وَحُسْنُ الْجِوَارِ يُعَمِّرْنَ الدِّيَارَ وَيَزِدْنَ فِي الأَعْمَارِ


আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রাখা, সুন্দর চরিত্র অবলম্বন করা এবং প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার রাখায় দেশ আবাদ থাকে এবং আয়ু বৃদ্ধি পায়।” (আহমাদ ২৫২৫৯, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৭৯৬৯, সহীহুল জামে ৩৭৬৭ নং)

* প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া জাহান্নামের কারন:—


অপর একটি হাদীছে এসেছে, আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত একদা জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)!


 إِنَّ فُلَانَةَ تُذْكَرُ مِنْ كَثْرَةِ صَلَاتِهَا وَصِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا غَيْرَ أَنَّهَا تُؤْذِيْ جِيْرَانَهَا بِلِسَانِهَا قَالَ هِيَ فِي النَّارِ، قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَإِنَّ فُلاَنَةَ تُذْكَرُ مِنْ قِلَّةِ صِيَامِهَا وَصَدَقَتِهَا وَصَلَاتِهَا وَإِنَّهَا تَصَدَّقُ بِالْأَثْوَارِ مِنْ الْأَقِطِ وَلَا تُؤْذِيْ بِلِسَانِهَا جِيْرَانَهَا قَالَ هِيَ فِي الْجَنَّةِ- ‘


অমুক মহিলা অধিক ছালাত পড়ে, ছিয়াম রাখে এবং দান-ছাদাক্বাহ করার ব্যাপারে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। তবে সে নিজের মুখের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয়। তিনি বললেন, সে জাহান্নামী। লোকটি আবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! অমুক মহিলা সম্পর্কে জনশ্রুতি আছে যে, সে কম ছিয়াম পালন করে, দান-ছাদাক্বাও কম করে এবং ছালাতও কম আদায় করে। তার দানের পরিমাণ হ’ল পনীরের টুকরা বিশেষ। কিন্তু সে নিজের মুখ দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীদেরকে কষ্ট দেয় না। তিনি বললেন, সে জান্নাতী’।[15]


একজন মন্দ প্রতিবেশীর সাথে ইমাম আবু হানিফার র কি ব্যবহার:—


আবু হানিফা রহ.-এর একটি ঘটনা:


ইমাম আবু হানিফা রহ. সম্পর্কে একটি ঘটনা বর্ণিত, তার একজন প্রতিবেশী ছিল, যে তাকে প্রতিদিন তার চলার পথে কষ্ট দিত। ইমাম আবু হানিফা রহ. প্রতিদিন কষ্টদায়ক বস্তু পথ থেকে দূর করত এবং তার কষ্টের উপর ধৈর্য ধারণ করত। একদিন তিনি ঘর থেকে বের হলেন, কিন্তু নির্ধারিত কোনো কষ্টদায়ক বস্তু পথের মধ্যে দেখতে পেলেন না। তিনি লোক জনের নিকট তার প্রতিবেশীর খোঁজ খবর নিলেন। তখন সবাই তাকে জানালো যে লোকটি একটি ঘটনা ঘটিয়েছে, যার কারণে তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে জেল খানায় প্রেরণ করেছে। এ কথা শোনে আবু হানিফা রহ. থানায় গিয়ে সুপারিশ করে, তাকে জেল খানা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। কিন্তু লোকটি জানতো না যে, কে তার জন্য সুপারিশ করল?। জেল খানা থেকে বের হয়ে সে মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করল, কে আমার জন্য সুপারিশ করল। মানুষ তাকে বলল, তোমার প্রতিবেশী তোমার জন্য থানায় গিয়ে সুপারিশ করেছে। লোকটি বলল, কোন প্রতিবেশী? সবাই বলল, আবু হানিফা। তারপর সে তাকে কষ্ট দেয়ার কারণে লজ্জিত হল এবং কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকল।


* হজরত সাহল বিন আবদুল্লাহ তাসতারির ঘটনা : প্রতিবেশীর প্রতি সহিষ্ণুতার পরিচয় দেয়া মহৎ কাজ। হজরত সাহল বিল আবদুল্লাহ তাসতারি র:-এর একজন অগ্নি উপাসক প্রতিবেশী ছিল। প্রতিবেশীর ঘর থেকে প্রতিদিন প্রচুর ময়লা-আবর্জনা তার অলক্ষে ঘরে এসে পড়ত। কিন্তু সে জন্য তিনি প্রতিবেশীর কাছে কোনো অভিযোগ করতেন না। দিনের বেলা আবর্জনা জমা করে ঢেকে রাখতেন এবং রাতে বাইরে ফেলে দিতেন। সাহলের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি তার প্রতিবেশীকে ডেকে আবর্জনার স্তূপ দেখিয়ে বললেন, আমার মৃত্যু ঘনিয়ে না এলে আপনাকে এটা দেখাতাম না। আমার আশঙ্কা যে, আমার মৃত্যুর পর আমার পরিবারের আর কেউ আমার মতো সহনশীলতা দেখাতে পারবে না। তাই আপনাকে দেখালাম। আপনি যা ভালো মনে হয় করুন। প্রতিবেশী অগ্নি উপাসকের বিস্ময়ের অবধি রইল না। সে সাহলের হাতে হাত রেখে ইসলাম গ্রহণ করল।


* মন্দের জওয়াবে তাই বলুন যা উত্তম। হা-মীম সেজদাহ্ - ৩৪

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ


সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।


* প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখা ঈমানের দাবি


হযরত ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঐ ব্যক্তি মুমিন নয় যে পেটপুরে খায় অথচ তার পাশের প্রতিবেশী না খেয়ে থাকে। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ২৬৯৯; আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ১১২)


এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়, অনেক প্রতিবেশীই এমন আছে, যাদের দেখে বোঝার উপায় নেই যে, তারা অভাবে দিন কাটাচ্ছে। আবার আমার কাছে কখনো চাইবেও না। কুরআন মাজীদে এদেরকে ‘মাহরূম’ বলা হয়েছে, সূরা যারিয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,(অর্থ) এবং তাদের সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও মাহরূমের (বঞ্চিতের) হক। (সূরা যারিয়াত : ১৯) এক্ষেত্রে আমাদের কর্তব্য, নিজে থেকে তাদের খোঁজ খবর রাখা এবং দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন পন্থা অবলম্বন করা, যাতে সে লজ্জা না পায়। এজন্যইতো যাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে এটা বলে দেয়া জরুরি নয় যে, আমি তোমাকে যাকাত দিচ্ছি; বরং ব্যক্তি যাকাতের যোগ্য কি না এটুকু জেনে নেয়াই যথেষ্ট। 


আর আমি প্রতিবেশীর প্রয়োজন পুরা করব তাহলে আল্লাহ আমার প্রয়োজন মিটিয়ে দিবেন এবং আমার সহায় হবেন। হাদীস শরীফে এসেছে, যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পুরা করে আল্লাহ তার প্রয়োজন পুরা করেন। (সহীহ বুখারী,হাদীস ২৪৪২; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮০) 

* দুই নারীর দৃষ্টান্ত; কে জান্নাতী?


প্রতিবেশীর সাথে মন্দ আচরণ ব্যক্তির সব আমল বরবাদ করে দেয়। তাকে নিয়ে ফেলে জাহান্নামে। হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, এক নারীর ব্যাপারে প্রসিদ্ধ, সে বেশি বেশি (নফল) নামায পড়ে, রোযা রাখে, দুই হাতে দান করে। কিন্তু যবানের দ্বারা স্বীয় প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় (তার অবস্থা কী হবে?)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে জাহান্নামে যাবে। আরেক নারী বেশি (নফল) নামাযও পড়ে না, খুব বেশি রোযাও রাখে না আবার তেমন দান সদকাও করে না; সামান্য দু-এক টুকরা পনির দান করে। তবে সে যবানের দ্বারা প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয় না (এই নারীর ব্যাপারে কী বলেন?)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে জান্নাতী। (মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৬৭৫; আলআদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ১১৯)

No comments

Powered by Blogger.