Header Ads

Header ADS

174 ভাল ভাবে মৃত্যুর উপায় ও খারাপ মৃত্যু থেকে বাঁচার পদ্ধতি

174 ভাল ভাবে মৃত্যুর উপায় ও খারাপ মৃত্যু থেকে বাঁচার পদ্ধতি

*  ঈমান নিয়ে সবাই মরতে চায় । মৃত্যুর সময় কালিমা পড়া নসিব হওয়া সৌভাগ্যের কাজ

কেউ যদি কলেমা পড়তে পড়তে মৃত্যুবরণ করে এর চাইতে সৌভাগ্য আর কি হতে পারে

مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ

*  হারামখোরের মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হবে না।

*  #হযরত মালেক দীনার (রহঃ) একবার এক মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে কালেমায়ে শাহাদত তালকীন দিতে থাকেন। কিন্তু সে তার জবান থেকে কালিমা উচ্চারণ করতে পারছে না 

*  #ইমাম আবু হানিফা রহ: এর পরহেজগারী: এক ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা রহ: নিকট থেকে কিছু টাকা ধার করেছিল। লোকটি যে গ্রামের বাসিন্দা ছিল, ঘটনাক্রমে সে গ্রামে ইমাম সাহেবের জনৈক শিষ্য মৃত্যুবরণ করল। 

*  মৃত্যুর সময় মানুষ সহজেই কালিমা পড়ার সৌভাগ্য লাভ করতে পারার মত যেসব আমলের কথা জানিয়েছেন আল্লাহর রাসুল। তার একটি মিসওয়াক করা। আল্লামা ইবনে আবেদিন রহ. বলেছেন, ‘মিসওয়াকের উপকারিতা সত্তরেরও অধিক।

*  তাওবা তুন নাসুহার উপর যে এসতেক্বামাত রয়েছে। আল্লাহ পাক এই বান্দার পাপ মোচন ও জান্নাত দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাক্তির ভালো মৃত্যুর আশা করা যায় ,৬৬: আত তাহরীম : ৮


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًا١ؕ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ١ۙ


*  আল্লাহ ওয়ালা লোকদের সংস্রবে থাকার ফলে ভালো মৃত্যু হয়েছে প্রমাণ পাওয়া যায়। #ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহ: ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি?

 صحبت صالح ترا صالح کند --- صحبت طالع ترا طالع کند

সেজন্য আল্লাহতালা পবিত্র কালাম পাকে এরশাদ করেন। তওবা,১১৯

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِیْنَ


__________________________________________________________________________

* ঈমানী মৃত্যু সবারই কাম্য ঈমান নিয়ে সবাই মরতে চায় ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সফলতার কাজ


*  পাপের পরিণতি: কথিত আছে, হযরত মালেক দীনার (রহঃ) একবার এক মুমূর্ষু রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে কালেমায়ে শাহাদত তালকীন দিতে থাকেন। মুমূর্ষু লোকটি কিন্তু একবারও মুখে উক্ত কলেমা উচ্চারণ করল না। যতবারই তাঁকে কলেমা পড়ে শুনানো হতে লাগল, ততবারই মুখে কেবল দশ এগার এইবাবে সংখ্যা উচ্চারণ করতে লাগল। এইরূপ অবস্থা দেখে হযরত মালেক দীনার (রহঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কাজ করতে? সে বললেন, আমি টাকা-পয়সার লগ্নি কারবার করতাম। তখন হযরত মালেক (রহঃ) বললেন, তুমি কলেমা পড়ছ না কেন? সে উত্তর করল, আমি কলেমা পড়ার ইচ্ছা করা মাত্র দেখি লেলিহান আগুনের শিখা আমার দিকে ধেয়ে আসে। কিন্তু অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমার মুখ থেকে এরূপ সংখ্যা বেরিয়ে আসে।


লোকটির কথা শুনে মালেক (রহঃ) বললেন, এ লোকটি মানুষকে মাপে মাল কম দিত আর সুদ এইত। তাই তার এমন দুরবস্থা হয়েছে। (তাজকেরাতুল আউলিয়া পৃঃ- ৪৪ )


*  পরহেজগারী: এক ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা রহ: নিকট থেকে কিছু টাকা ধার করেছিল। লোকটি যে গ্রামের বাসিন্দা ছিল, ঘটনাক্রমে সে গ্রামে ইমাম সাহেবের জনৈক শিষ্য মৃত্যুবরণ করল। ইমাম সাহেব তার জানাযা আদায় করতে সেখানে তাশরীফ নিলেন। দিবা-দ্বিপ্রহরের প্রচণ্ড রোদের তাপে সকলের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল। ঘটনাক্রমে ইমাম সাহেবের নিকট থেকে সেই টাকা কর্জ গ্রহণকারীর দালানের ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়ার ব্যবস্থা ছিল না। লোকজন তাঁকে সে ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণ করতে বললে তিনি বললেন, এ দালানের মালিক আমার নিকট থেকে টাকা ধার নিয়েছে। কাজেই তার দালানের ছায়া দ্বারা ফায়েদা গহণ করা ঠিক নয়। যেহেতু হুযুর (দঃ) ইরশাদ করছেন, কাউকে কিছু ধার দিয়ে তার থেকে কোন উপকার গ্রহণ করো না। অতএব আমি তা করলে তামার জন্য তা সুদ গ্রহণের অনুরূপ হবে। (তাজকেরাতুল আউলিয়া পৃঃ- ১৬৯ )

*  মৃত্যুর সময় মানুষ সহজেই কালিমা পড়ার সৌভাগ্য লাভ করতে পারার মত যেসব আমলের কথা জানিয়েছেন আল্লাহর রাসুল। তার একটি মিসওয়াক করা। আল্লামা ইবনে আবেদিন রহ. বলেছেন, ‘মিসওয়াকের উপকারিতা সত্তরেরও অধিক। তন্মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপকার হচ্ছে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় আর সর্বোচ্চ উপকার হচ্ছে মিসওয়াক করলে মৃত্যুর সময় কালিমা নসিব হয়।’-(ফাতাওয়ে শামি : ১/২৩৯)


রাসুল (সা.) মিসওয়াকের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। মৃত্যুর সময়ও তিনি এই আমল ছাড়েননি। একেবারে অন্তিম সময়ে যখন তিনি মিসওয়াক করতে পারছিলেন না তখন হজরত আয়েশা (রা.) নিজ থেকে মিসওয়াক চিবিয়ে রাসুল (সা.)-এর মুখে তুলে দিচ্ছিলেন। আর রাসুল (সা.) তা দিয়ে মিসওয়াক করেছিলেন।


*  আল্লাহ ওয়ালা লোকদের সংস্রবে থাকার ফলে ভালো মৃত্যু হয়েছে প্রমাণ পাওয়া যায়। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহ: ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি?


 صحبت صالح ترا صالح کند --- صحبت طالع ترا طالع کند


★ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি? তখন তিনি আল্লাহর একত্ববাদের উপর শয়তানের মোকাবেলায় মোট ৩৬০টি দলিল উপস্থাপন করলেন, শয়তানের কাছে তার সব দলিলই হেরে গেল। আর একটি দলিমাত্র বাকী। শয়তান যদি এটাকেও হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহির মত আলেমকে ইহজগত থেকে ঈমান হারা হয়ে বিদায় নিতে হবে। এদিকে তার পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে সময় নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। পরিশেষে ইমাম রাযীর এ দুরবস্তা দেখে তাঁর নিকট জালালীয়াত এসে গেল। তখন তিনি ওযু রত ছিলেন, এতাবস্থায় তিনি ওযুর বদ্না শয়তানের দিকে নিক্ষেপ করে উচ্চস্বরে বলে উঠলেন, হে ইমাম রাযী! তুমি শয়তানকে বলে দাও, আমি অন্তর দিয়ে আল্লাহকে এক স্বীকার করছি। আমার নিকট দলিলের কোন প্রয়োজন নেই। “বিনা দলিলে আল্লাহ্ এক”। 


আল্লাহর অলীর ক্ষমতার মাধ্যমে,নিক্ষিপ্ত ঐ বদ্না তাঁর আস্তানা থেকে কয়েক’শ মাইল দূরে ইমাম রাযীর মৃত্যু শয্যায় তাঁর মাথার পাশে গিয়ে পড়ল। তিনি স্বীয় মোর্শেদের সেই আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং বলিষ্ঠ কন্ঠে বলে দিলেন, “বিনা দলিলে আল্লাহ এক।” আর কলেমা শরীফ পাঠ করতে করতে তিনি ইহজগত ত্যাগ করেন। (9)


9. سير أعلام النبلاء للذهبي ২২/১১৩


বিশ্ববিখ্যাত ইমাম আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহির সখরাতের ঘটনার দিকে খেয়াল করলেও ছোহবত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সহজে অনুভব করা যায়। বিশুদ্ধ ঈমান ও সৎ জিন্দেগী গড়ে তুলতে আউলিয়ায়ে কেরামের ছোহবতে আসতে হবে।


সেজন্য আল্লাহতালা পবিত্র কালাম পাকে এরশাদ করেন


৯  আত-তওবা, আয়াত: ১১৯


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِیْنَ


তাফহীমুল কুরআন:


হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগি হও।


ফী যিলালিল কুরআন:


হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা আল্লাহ্‌ তায়ালাকে ভয় করো এবং (হামেশা) সত্যবাদীদের সাথে থেকো।


_____________________________________


১। যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করতে করতে মৃত্যু বরণ করলো সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুনানে আবু দাউদ,৩১১৬


হাদিসের মান: সহিহ


مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ


২। মৃত্যুর আগে সৎ কাজের সুযোগ লাভ যার নসীব হয়েছে। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। জামে' আত তিরমিজি, ২১৪২ সহিহ


إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ


৩। তাওবা তুন নাসুহার উপর যে এসতেক্বামাত রয়েছে। আল্লাহ পাক এই বান্দার পাপ মোচন ও জান্নাত দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাক্তির ভালো মৃত্যুর আশা করা যায় ,৬৬: আত তাহরীম : ৮


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًا١ؕ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ١ۙ یَوْمَ لَا یُخْزِی اللّٰهُ النَّبِیَّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ١ۚ نُوْرُهُمْ یَسْعٰى بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَ اغْفِرْ لَنَا١ۚ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ


৪। মৃত্যু ব্যক্তির গোসল ও জানাযায় অংশ গ্রহণ করা ও কবর জিয়ারতে অন্তরে মৃত্যুর ভয় আসে।


যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না


৫। আল্লাহ ওয়ালা লোকদের সংস্রবে থাকার ফলে ভালো মৃত্যু হয়েছে প্রমাণ পাওয়া যায়। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি?


صحبت صالح ترا صالح کند --- صحبت طالع ترا طالع کند


৬। 


৭। নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার দোয়া করা। এক আল্লাহর ওলী মালাকুল মউত আসলে সেজদার হালতে মৃত্যু কামনা করেন


__________________


১। নেক আমলরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলল এবং এ অবস্থায় তার মৃত্যু হলো সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। 


حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي صَالِحُ بْنُ أَبِي عَرِيبٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏


মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যারা সর্বশেষ বাক্য হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩১১৬


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


৫। 


২। মৃত্যুর আগে সৎ কাজের সুযোগ লাভ করা। কথায় আছে শেষ ভালো যার সব ভালো তার। জামে' আত তিরমিজি, ২১৪২ সহিহ


حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা যদি তাঁর কোন বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! তিনি কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন? তিনি বললেনঃ তিনি সেই বান্দাহকে মারা যাবার আগে সৎকাজের সুযোগ দান করেন।


সহীহ, আর-রাওযুন নাযীর (২/৮৭), মিশকাত (৫২৮৮), আয্‌যিলা-ল (৩৯৭-৩৯৯)।


ফুটনোটঃ


আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ্। 


জামে' আত তিরমিজি, ২১৪২ সহিহ


Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD


‏ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا اسْتَعْمَلَهُ ‏”‏ ‏.‏ فَقِيلَ كَيْفَ يَسْتَعْمِلُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏”‏ يُوَفِّقُهُ لِعَمَلٍ صَالِحٍ قَبْلَ الْمَوْتِ- قال الترمذي: حسن صحيح، قال الشيخ الألباني


“আল্লাহ তাআলা যখন তার বান্দা সম্পর্কে কল্যাণের ইচ্ছা করেন তখন তাকে আমল করতে দেন। বলা হল, হে আল্লাহর রাসূল, কিভাবে তিনি তাকে আমল করতে দেন? তিনি বললেন, “মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাকে নেক আমলের তাওফিক দিয়ে দেন।” [সুনান তিরমিজি (ইফা) অধ্যায়:


৩। তাওবা তুন নাসুহা মেনে চললেই ভালো মৃত্যুর আশা করা যাবে ,৬৬: আত তাহরীম :আয়াত: ৮


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَى اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًا١ؕ عَسٰى رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ١ۙ یَوْمَ لَا یُخْزِی اللّٰهُ النَّبِیَّ وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا مَعَهٗ١ۚ نُوْرُهُمْ یَسْعٰى بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ بِاَیْمَانِهِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَ اغْفِرْ لَنَا١ۚ اِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ


হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর কাছে তাওবা করো, প্রকৃত তাওবা। অসম্ভব নয় যে, আল্লাহ তোমাদের দোষ-ত্রুটিসমুহ দূর করে দিবেন এবং এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার পাদদেশ দিয়ে ঝর্ণাসমূহ প্রবাহিত হতে থাকবে। সেটি হবে এমন দিন যেদিন আল্লাহ‌ তাঁর নবী এবং নবীর সঙ্গী ঈমানদারদের লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের ‘নূর’ তাদের সামনে ও ডান দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে থাকবে এবং তারা বলতে থাকবে, হে আমাদের রব, আমাদের জন্য আমাদের ‘নূর’ পূর্ণাঙ্গ করে দাও ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। তুমি সব কিছু করতে সক্ষম।


* লম্বা আশা ত্যাগ করা, লম্বা আশা আল্লাহর যিকির ও স্বরণ থেকে বিরত রাখে এবং মনের কঠোরতা বৃদ্ধি করে আল হাদীস-16


* রোগী দেখা


*  


* সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করা


* তাকওয়ার অবলম্বন করা


____________________________________


ঈমানি মৃত্যু লাভের ৮ উপায়


মুফতি ইবরাহিম সুলতান


২৪ মে, ২০২১ ০০:০০


ঈমানি মৃত্যু লাভের ৮ উপায়


ShareShareTweetঅ+অ-


সৃষ্টিজগতের সবচেয়ে চরম এক বাস্তবতার নাম মৃত্যু। পৃথিবীর সব প্রাণীকেই এই মৃত্যুভয় তাড়িত করে। মানুষের মধ্যে শুধু প্রকৃত মুমিনরা এর ব্যতিক্রম। প্রভুর পরম সান্নিধ্য অর্জনে মৃত্যুই তাদের জন্য একমাত্র বাধা। তা ছাড়া সুন্দর ও শুভ মৃত্যু আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাই একজন মুমিনের পরম প্রত্যাশিত বিষয় হলো ইমানের সঙ্গে মৃত্যুর সৌভাগ্য লাভ। আর মুমিনের শেষ পরিণাম কিভাবে শুভ হবে, এর জন্য রয়েছে কার্যকর কিছু উপায় তথা আমল। সৌভাগ্যের মৃত্যুর সেসব আমল ও উপায় অবলম্বন নিয়েই আজকের এই লেখা।


 


আল্লাহর ওপর দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন


ঈমান মুমিনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যে আল্লাহর ওপর ঈমান আনে এবং এর ওপর অবিচল থাকে মৃত্যুর সময় তার কোনো যন্ত্রণা থাকে না; বরং তার শেষ পরিণাম শুভ হয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে, (মৃত্যুর সময়) তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত হবে না। তারাই জান্নাতের অধিকারী! তারা তথায় চিরকাল থাকবে। তারা যে কর্ম করত, এটা তারই প্রতিফল।’ (সুরা : আহকাফ, আয়াত : ১৩-১৪)


 


সৎ ও ভালো কাজে আত্মনিয়োগ


কোনো মুমিনের শেষ পরিণাম ভালো হওয়ার আলামত হলো, মৃত্যুর আগেই যাবতীয় পাপ থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করা এবং সৎকাজ ও আল্লাহর আনুগত্যের তাওফিকপ্রাপ্ত হওয়া। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যদি তাঁর কোনো বান্দার কল্যাণ করার ইচ্ছা করেন তাহলে তাকে কাজ করার তাওফিক প্রদান করেন। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল, তিনি কিভাবে তাকে কাজ করার তাওফিক দেন? তিনি বলেন, তিনি সেই বান্দাহকে মৃত্যুবরণের আগে সৎ কাজের সুযোগ দান করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৪২)


 


শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’


বিখ্যাত সাহাবি মুআজ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তির শেষ কথা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ হবে (অর্থাৎ এই কলেমা পড়তে পড়তে যার মৃত্যু হবে), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২২০৩৪)


সুতরাং মৃত্যুযন্ত্রণা লাঘবে অধিক পরিমাণে এই কলেমা পাঠের বিকল্প নেই।


 


আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ


মুমিনমাত্রই আল্লাহর প্রতি এই সুধারণা পোষণ করবে যে তিনি অবশ্যই মৃত্যুর সময় বান্দার মৃত্যু কষ্ট লাঘব করবেন। কারণ আল্লাহর প্রতি যে যেমন ধারণা করবে আল্লাহ তার সঙ্গে এমন আচরণই করবেন। এক হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার সম্পর্কে আমার বান্দার ধারণা মোতাবেক আমি (আচরণ করি)। আমি তার সঙ্গে থাকি। (বুখারি, হাদিস : ৭৪০৫)। অন্য হাদিসে জাবির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মৃত্যুর তিন দিন আগে তাঁকে আমি এ কথা বলতে শুনেছি যে তোমাদের সবাই যেন আল্লাহর প্রতি উত্তম ধারণা পোষণরত অবস্থায় মারা যায়। (মুসলিম, হাদিস : ৭১২১)


 


নামাজের প্রতি যত্নশীল


যারা ফরজ ও সুন্নত নামাজের প্রতি যত্নশীল হবে মহান আল্লাহ তাদের মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ করবেন এবং জান্নাতে তাদের বিশেষ স্থান দেবেন। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সংরক্ষণ করবে তথা যথাযথভাবে অজু করে যথা সময়ে উত্তমরূপে রুকু-সিজদা করে নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য জাহান্নাম হারাম করে দেবেন।’ (মুসনাদে আহমদ : ৪/২৬৭)


তা ছাড়া সুন্নত নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সব সময় ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করেন। এ সুন্নতগুলো হলো, জোহরের (ফরজের) আগে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত, মাগরিবের (ফরজের) পর দুই রাকাত। এশার (ফরজের) পর দুই রাকাত এবং ফজরের (ফরজের) আগে দুই রাকাত।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৪১৪)


 


পুণ্যের কাজে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা


প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো পুণ্যের কাজ পছন্দ করা। ভালো কাজের প্রচেষ্টা করা। আর পুণ্যের কাজে প্রচেষ্টা মুমিনের মৃত্যুযন্ত্রণা সহজ করে। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ভালো ও পুণ্যের কাজ খারাপ মৃত্যু থেকে বাঁচিয়ে রাখে, গোপনে দান আল্লাহর ক্রোধ ঠাণ্ডা করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বয়স বৃদ্ধি করে। (তাবরানি কাবির, হাদিস : ৮০১৪)

No comments

Powered by Blogger.