Header Ads

Header ADS
৭২ মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব। আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করছে ভেবে দেখার নির্দেশ-হাশ্‌র-১৮
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ
* নতুবা আফসোসের কারণ হবে-ফাজ্‌র-২৪
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
* পরকালীন জীবনটাকে সাজাতে হবে এই দুনিয়ায়ই
* সন্তান সন্ততি হলো জীবন সৌন্দর্যের প্রতীক ইমরান:১৪
زُیِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوٰتِ مِنَ النِّسَآءِ وَ الْبَنِیْنَ وَ الْقَنَاطِیْرِ الْمُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَ الْفِضَّةِ وَ الْخَیْلِ الْمُسَوَّمَةِ وَ الْاَنْعَامِ وَ الْحَرْثِؕ ذٰلِكَ مَتَاعُ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ اللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الْمَاٰبِ
* একজন পিতা মাতা সন্তানের উপর কতো যে ত্যাগ তিতিক্ষা (দুঃখের ধৈর্যশীলতা) নিয়ে সন্তানের লালন পালন করে ভবিষ্যতে সন্তানের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশায় ঠিক কিনা?
* সন্তানের হক নষ্ট করে তার থেকে কিছু আশা করা মানে হলো তেতুল গাছ লাগিয়ে আংগুর ফল খাওয়ার আশা করা।
* খালা ! একটু পানি পড়া আর একটা তাবিজ দেন। কেনো, কি সমস্যা? ছেলে কথা শুনেনা খালা!
* কথায় আছে –
“কাঁচা থাকতে না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস!!”
* শিশু কালে সন্তানদের যেদিকে মোভ করবেন সন্তান ঐ পরিবেশেই গড়ে উঠবে।
লন্ডনে শিক্ষক কয় তোমরা কে কি হতে চাও, একজন কয় আমি সাহাবী হতে চাই
* নেক সন্তান নিয়ামত নতুবা আযাব-হা-মীম সেজদাহ-২৯
وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا رَبَّنَا أَرِنَا اللَّذَيْنِ أَضَلَّانَا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ أَقْدَامِنَا لِيَكُونَا مِنَ الْأَسْفَلِينَ

__________________________

খালা ! একটু পানি পড়া আর একটা তাবিজ দেন।
–কেনো, কি সমস্যা?
–ছেলে কথা শুনেনা খালা! আমাদের খেদমতও করতো চায়না।
এত্তো কস্ট করে লেখাপড়া শিখায়েছি।
বিয়াও করাইছি। কিন্তু সে এখন আমাদের ঠিকমতো খোজ খবর লয়না। কয়দিন আগে জগড়া করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে ।
–হুম…আপনার ছেলের নাম কি?
কি কাজ করে?
–জে, ছেলের নাম সুমন মিয়া।
ঢাকা একটা কোম্পানিতে চাকরি করে।
অনেক টাকা বেতন পায়।
–বুঝলাম, আপনার অভিযোগ ছেলেকে লালন পালন করে বড় করেছেন, অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে লেখা পড়া শিখিয়েছেন।
আর সে এখন মোটা বেতনে চাকরি পেয়ে বিয়ে করে বাপ মাকে অর্থাৎ আপনাদের ছেড়ে আলাদা হয়ে গেছে, এই তো?
— জি জি খালাএকদম ঠিক বলেছেন ! আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি কিন্তু
পোলা আমাদের কোন হকই আদায় করতাছে না। টাকা পয়সাও দেয়না।
–হুম, আপনারা আগে ছেলের হক ঠিকমতো আদায় করেছেন তো!
–কি বলেন খালা ! সবই তো করছি!
–হুম…আচ্ছা একটা কথা বলুন তো মা। 
আপনার ছেলের জন্মের পর তার ডান কানে আযান বাম কানে একামত দিয়েছেন? কিংবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন ?
–না…তা তো করিনি খালা
–আচ্ছা, আপনার ছেলের নাম যে সুমন রাখছেন এটা কি কোন মুসলমানের নাম নাকি হিন্দুদের নাম সেটা যাঁচাই করে রাখছেন?
–(মাথা চুলকে)না… তা তো জানিনা খালা।
–আচ্ছা, আপনার ছেলেকে কি সাত বছর বয়সে নামায শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন?
–স্কুলের পড়া লইয়া বেস্ত থাকতো খালা ! প্রাইভেট, (কোচিং)এই গুলার জন্য ঠিকমতো শিখবার টাইম পায়নাই , তার পরেও মক্তবে গিয়ে একটু শিখছে।
কোনরকম পড়তে পারে।
কিন্তু এখন আর পড়ে টরে না।
–ভাল কথা, আচ্ছা বলুন তো দশ বছর বয়সের পর নামায না পড়ার কারনে কয়দিন শাসন করেছেন? কয়দিন প্রহার করেছেন?
–বলেন কি খালা ! নামাজের জন্য মাইর দেব..!? পোলারে কুনদিন একটা চড় পর্যন্ত মারিনাই খালা ! বড় আদরের পোলা আছিলো!
–হুম…ছেলেকে যেই মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন সে মেয়ে কি পর্দা করে? নামায পড়ে?
–এই মোটামুটি পর্দা করে আরকি! নামাজ মাঝে মাঝে পড়ে। কিন্তু টিভি দেখার অভ্যস্থ খুব বেশি খালা !
স্টার জলসা নামে কি যেন একটা চ্যানেল আছে, ওইডা দেখে দিনরাইত।
–হুম…আশ্চর্য!
আপনি দেখি তেতুল গাছ লাগিয়ে আংগুর ফল খাওয়ার আশায় আছেন!
–ঠিক বোঝলাম না খালা !
–আপনারা বাপ মা ই তো সন্তানের হক নষ্ট করেছেন আগে!
–কি রকম খালা !
–তাইলে শোনেন,
✔সন্তান জন্মের পর তার ডান কানে আযান, বাম কানে ইকামত দেয়া সন্তানের হক।
✔একটা সুন্দর ইসলামী নাম রাখা সন্তানের হক ছিলো।
✔কুরআন শিক্ষা সহ ধর্মীয় ফরয দ্বীনী ইলম শিক্ষা দেয়া সন্তানের প্রাপ্য হক ছিলো।
✔সন্তানকে নামায শিখানো ও তাতে অভ্যস্ত করা আপনাদের উপর কর্তব্য ছিল।
✔দ্বীনদার পাত্রী বিয়ে করানো আপনাদের দায়িত্ব ছিলো।
✔এইগুলার কোন হকটা আপনি সঠিকভাবে আদায় করেছেন?
✔কোন দায়িত্ব ও কর্তব্যটা সঠিকভাবে পালন করেছেন?
–এমন কইরা তো কুনসুম ভাইবা দেহি নাই খালা !
–হুম…সন্তানের এসব প্রাপ্য হক যখন আদায় করেন নাই বরং বন্চিত করেছেন,
এখন সন্তানও আপনাদের হক আদায় করবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।
কাজেই এখন আর পানি পড়া আর তাবিজ নিয়া কি লাভ!! আমি এইসব দেই না।
তাবিজ দেওয়া শিরক। 
কথায় আছে –
“কাঁচা থাকতে না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস!!”

* সন্তানের হক-1
* লন্ডনে শিক্ষক কয় তোমরা কে কি হতে চাও, একজন কয় আমি সাহাবী হতে চাই :-

আমি সাহাবী হতে চাই!
অনেক দিন আগের কথা। ঘটনাটি ঘটেছিল পশ্চিমা একটি
দেশে। স্কুলে শিক্ষিকা ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে
'এইম ইন লাইফ' অর্থাৎ 'জিবনের লক্ষ' সাবজেক্ট নিয়ে
আলোচনা করছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে হঠাৎই
একে একে বাচ্চাদের দাঁড় করিয়ে দিলেন এবং জিজ্ঞাসা
করতে লাগলেন কার জিবনের লক্ষ কি?
বাচ্চারা একে একে দাড়িয়ে উত্তর দিচ্ছিল, কেউ বলছে
ডাক্তার হবে, কেউ বলছে ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ
বলছে সায়েনটিস্ট হবে ইত্যাদি।
ওখানে ঐ ক্লাসে একজন মুসলিম বাচ্চা ছিল সবার শেষে তার
পালা, তাকে জিজ্ঞাসা হলে সে উত্তর দিল, আমি সাহাবী
হতে চাই!
ক্লাসের শিক্ষিকা সহ সবাইতো থ! একে অপরের দিকে
তাঁকাচ্ছে, এটা আবার কি!? শিক্ষিকা বাচ্চাটির মা কে ফোন দেন
এবং বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন ও এর ব্যখ্যা দিতে বলেন।
বাচ্চাটি মা ছিলেন খুবই ধার্মিক। তিনি তাকে সাহাবী সম্পর্কে
সম্মুখ ধারনা দেন এবং তিনি খৃষ্টান শিক্ষিকাকে তার বাড়িতে
দাওয়াত দেন। শিক্ষিকা দওয়াত গ্রহন করেন এবং যথা সময়ে ঐ
বাড়িতে যান।
মুসলিম মহিলা তাকে সবিস্তরে ইসলাম ধর্মের সব কিছুর ব্যখ্যা
দেন। আল্লাহ্ তা'য়ালা ও তাঁর কোরআন, রাসূল সাঃ. ও তাঁর
সাহাবী রাঃ সম্পর্কে এবং আল কোর'আনের ইংরেজী
অনুবাদ সহ কিছু কিতাবও উপহার দেন। মুসলিম মায়ের বিস্তারিত
ব্যখ্যা শুনে ও কিতাব পড়ে খৃষ্টান শিক্ষিকা ইসলাম ধর্মের
প্রতি এতো বেশি প্রভাবিত হয়ো পড়েন যে পরবর্তিতে
তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
আল্লাহু আকবার!

No comments

Powered by Blogger.