99 সূরা ইখলাসের ফজিলত
99 সূরা ইখলাসের ফজিলত
* সূরা ইখলাসে একজন সত্যিকার মা‘বূদের চারটি বৈশিষ্ট্যর কথা বলা হয়েছে
* একাধিক আল্লাহ থাকলে পৃথিবীটা ফাসাদে ভরে যেতো
لَوْ كَانَ فِیْهِمَاۤ اٰلِهَةٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا١ۚ
* আল্লাহ এমন একটি নাম জাহেলি যুগের লোকেরা ও কোন দেবতাকে আল্লাহ নামে সম্বোধন করেন নি, আল্লাহ সম্পর্কে যে আকিদা ছিল, তার চমৎকার প্রকাশ ঘটেছিল আবরাহার মক্কায় আক্রমনের সময়
* আবরাহা ছিল ইয়ামানের গভর্নর। সে আরবদেরকে কাবা শরিফে হজ্জ করতে দেখে সানআতে (বর্তমানে ইয়ামানের
রাজধানী) এক বিরাট গির্জা নির্মাণ করলো
* #শ্রীমদ্ভাগবত গীতা
শ্লোক- ১২, অধ্যায়- ৪র্থ। শ্রীকৃষ্ণের বানী
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥
* আমার আল্লাহ আসতে হয়না ওয়া হুয়া মায়াকুম। আল্লাহ ব্যতীত কারো কাছে সাহায্যের প্রয়োজন হয় না আমাদের
* #আল্লাহ আছেন? আমরা কি তাকে মানি? আমরাতো নামধারী মুসলমান
* #গুনাগার মুসলমান পরহেজগার মুসলমান অলি মুসলমান। কয়লা আগুনে পুড়লে কয়লা জ্বলে যায় স্বর্ণ আগুনে পড়লে স্বর্ণ খাঁটি হয়। মুসলমান পড়াবেন ঐ আগুন দ্বারা যে আগুন খাদ দূর করে খাঁটি শোনায় পরিণত করে।
________________________________________________________
* আল্লাহ এমন একটি নাম জাহেলি যুগের লোকেরা ও কোন দেবতাকে আল্লাহ নামে সম্বোধন করেন নি, আল্লাহ সম্পর্কে যে আকিদা ছিল, তার চমৎকার প্রকাশ ঘটেছিল আবরাহার মক্কায় আক্রমনের সময়
* আবরাহা ছিল ইয়ামানের গভর্নর। সে আরবদেরকে কাবা শরিফে হজ্জ করতে দেখে সানআতে (বর্তমানে ইয়ামানের
রাজধানী) এক বিরাট গির্জা নির্মাণ করলো
* হিন্দুরা ৩৩ কোটি দেবতার পূজা করে তাদের ধারণা এক একটি দেবতার হাতে এক একটি পাওয়ার আছে। রিজিকের মালিক লক্ষ্মী। সন্তান দিবার মালিক ষষ্ঠী। মা সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বুদ্ধির মালিক
* #শ্রীমদ্ভাগবত গীতা
শ্লোক- ১২, অধ্যায়- ৪র্থ। শ্রীকৃষ্ণের বানী
যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥
* আমার আল্লাহ আসতে হয়না ওয়া হুয়া মায়াকুম। আল্লাহ ব্যতীত কারো কাছে সাহায্যের প্রয়োজন হয় না আমাদের
* তার সমকক্ষ কেউ নেই। হযরত মুসা আঃ ফেরেস্তাদেরকে জিগ্গেস করেন, আল্লাহ তায়ালা কি নিদ্রা যান ?
* এই সূরার আমল
* যার জানাযায় সত্তর হাজার ফেরেশতা শরীক হয়েছেন। হযরত মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া আলমুযানী আললাইছী রা. ইন্তেকাল করলে সত্তর হাজার ফেরেশতাসহ জিবরীল আলাইহিস সালাম নবীজীর কাছে আগমন করেন।
* রাসূল সা: বলেন, তোমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে, কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা,সহিহ বুখারী-৫০১৫ সহিহ
* কোন এক যুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। সে সালাতে তার অনুসারীদের ইমামাত করতে গিয়ে কুরআন পড়ত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” (সূরাহ্ ইখলাস) পড়ে শেষ করত,সহিহ মুসলিম-১৭৭৫ সহিহ
____________________________________
* আল্লাহ এমন একটি নাম জাহেলি যুগের লোকেরা ও কোন দেবতাকে আল্লাহ নামে সম্বোধন করেন নি, আল্লাহ সম্পর্কে যে আকিদা ছিল, তার চমৎকার প্রকাশ ঘটেছিল আবরাহার মক্কায় আক্রমনের সময়,সে সময় কা’বা ঘরে ৩৬০টি উপাস্যের মূর্তি ছিল। কিন্তু এ বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য মুশরিকরা তাদের সবাইকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে ছিল। অর্থাৎ তারা নিজেরা ভালোভাবে জানতো, এ সংকটকালে আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্তাই তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে না।
* আবরাহা ছিল ইয়ামানের গভর্নর। সে আরবদেরকে কাবা শরিফে হজ্জ করতে দেখে সানআতে (বর্তমানে ইয়ামানের
রাজধানী) এক বিরাট গির্জা নির্মাণ করলো যেন আরবরা এ নব নির্মিত গির্জায় হজ্জ করে। কেননা গোত্রের এক লোক (আরবের একটা গোত্র) তা শুনার পর রাতে প্রবেশ করে, গির্জার দেয়ালগুলোকে পায়খানা ও মলদ্বারা পঙ্কিল করে দেয়।
* ৪৩ আয যুখরুফ, ৮৭,বলা হয়েছে, যদি তোমরা এদের জিজ্ঞেস করো, কে এদের সৃষ্টি করেছে তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ। তাহলে কোথা থেকে এরা প্রতারিত হচ্ছে?
وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَهُمْ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ فَاَنّٰى یُؤْفَكُوْنَۙ
* একাধিক আল্লাহ থাকলে পৃথিবীটা ফাসাদে ভরে যেতো
لَوْ كَانَ فِیْهِمَاۤ اٰلِهَةٌ اِلَّا اللّٰهُ لَفَسَدَتَا١ۚ
* হিন্দুরা ৩৩ কোটি দেবতার পূজা করে তাদের ধারণা এক একটি দেবতার হাতে এক একটি পাওয়ার আছে। রিজিকের মালিক লক্ষ্মী। সন্তান দিবার মালিক ষষ্ঠী।
মা সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বুদ্ধির মালিক
* শ্রীমদ্ভাগবত গীতা
শ্লোক- ১২, অধ্যায়- ৪র্থ। শ্রীকৃষ্ণের বানী
কাঙ্ক্ষন্তঃ কর্মণাং সিদ্ধি যজন্ত ইহ দেবতাঃ।
ক্ষিপ্রং হি মানুষে লোকে সিদ্ধির্ভবতি কর্মজা।।
অনুবাদ- এই জগতে মানুষেরা সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অবশ্যই অতি শীঘ্রই লাভ হয়।
"" যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥
* তার সমকক্ষ কেউ নেই। হযরত মুসা আঃ ফেরেস্তাদেরকে জিগ্গেস করেন, আল্লাহ তায়ালা কি নিদ্রা যান ?
* এই সূরার আমল
* যার জানাযায় সত্তর হাজার ফেরেশতা শরীক হয়েছেন
হাদীস শরীফে এসেছে, মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া আলমুযানী আললাইছী রা. ইন্তেকাল করলে সত্তর হাজার ফেরেশতাসহ জিবরীল আলাইহিস সালাম নবীজীর কাছে আগমন করেন।
* রাসূল সা: বলেন, তোমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে, কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা,সহিহ বুখারী-৫০১৫ সহিহ
* কোন এক যুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। সে সালাতে তার অনুসারীদের ইমামাত করতে গিয়ে কুরআন পড়ত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” (সূরাহ্ ইখলাস) পড়ে শেষ করত,সহিহ মুসলিম-১৭৭৫ সহিহ
____________________________________
* একজন সত্যিকার মা‘বূদের চারটি বৈশিষ্ট্য
প্রথম বৈশিষ্ট্য তিনি একক হবেন
দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য: الصَّمَدُ অর্থাৎ যে মা‘বূদের ইবাদত করা হবে তিনি কোন কিছুর মুখাপেক্ষী হবেন না।
তৃতীয় বৈশিষ্ট্য: (لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ) একজন সত্যিকার মা‘বূদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি কাউকে জন্ম দেন না।
চতুর্থ বৈশিষ্ট্য: একজন সত্যিকার মা‘বূদের সত্ত্বা, গুণাবলী ও কাজকর্ম অন্য কোনো কিছুরই সমতুল্য ও সমকক্ষ হবে না।
যার জানাযায় সত্তর হাজার ফেরেশতা শরীক হয়েছেন
হাদীস শরীফে এসেছে, মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া আলমুযানী আললাইছী রা. ইন্তেকাল করলে সত্তর হাজার ফেরেশতাসহ জিবরীল আলাইহিস সালাম নবীজীর কাছে আগমন করেন। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল আলাইহিস সালাম ও এইসব ফেরেশতাদের নিয়ে তার জানাযায় শরীক হন।
নামায শেষ হলে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন-
يَا جِبْرِيلُ، بِمَا بَلَغَ مُعَاوِيَةُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْمُزَنِيّ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ؟
হে জিবরীল! কোন্ আমলের মাধ্যমে মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া মুযানী এই উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে?
জিবরীল আলাইহিস সালাম জবাবে বলেছেন-
بِقِرَاءَةِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ قَائِمًا وَقَاعِدًا وَمَاشِيًا وَرَاكِبًا.
এই মর্যাদা লাভের কারণ হল, সে দাঁড়িয়ে, বসে, হেঁটেহেঁটে, সওয়ারীতে তথা সর্বাবস্থায় সূরা ইখলাছ তিলাওয়াত করত। -মুজামে কাবীর ৮/১১৬, হাদীস ৭৫৩৭; মুজামে আওসাত, তবারানী, হাদীস ৩৮৭৪; মুসনাদুশ শামিয়্যীন, ২/১২-১৩ ৮৩১; আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ, ইবনে সুন্নী, হাদীস ১৮০
قال الحافظ ابن حجر في لسان الميزان في ترجمة محبوب بن هلال: له طرق يَقوى بعضُها ببعض. وكذا أشار إلى قوته في الإصابة.
আরেক বর্ণনায় এসেছে, নবীজী জিজ্ঞেস করলেন-
يَا جِبْرِيلُ، بِمَ نَالَ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ مِنَ اللهِ؟
হে জিবরীল! কোন্ আমল দ্বারা মুআবিয়া ইবনে মুআবিয়া আল্লাহর নিকট এই মর্যাদা লাভ করেছে?
জিবরীল আ. উত্তর দিয়েছেন-
بِحُبِّهِ قُلْ هُوَ اللهُ اَحَدٌ، وَقِرَاءَتِهِ إِيّاهَا ذَاهِبًا وَجَائِيًا، وَقَائِمًا وَقَاعِدًا، وَعَلَى كُلِّ حَالٍ.
এর কারণ হল, সে সূরা ইখলাছকে মহব্বত করত এবং চলতে-ফিরতে, উঠতে-বসতে সর্বাবস্থায় এই সূরা তিলাওয়াত করত। -মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস ৪২৬৮
*
* হস্তী বাহিনীর ঘটনা
আবরাহা ছিল ইথিওপিয়ার শাসক কর্তৃক
নিযুক্ত ইয়ামানের গভর্নর। সে
আরবদেরকে কাবা শরিফে হজ্জ করতে
দেখে সানআতে (বর্তমানে ইয়ামানের
রাজধানী) এক বিরাট গির্জা নির্মাণ
করলো যেন আরবরা এ নব নির্মিত
গির্জায় হজ্জ করে। গোত্রের
এক লোক (আরবের একটা গোত্র) তা শুনার
পর রাতে প্রবেশ করে, গির্জার
দেয়ালগুলোকে পায়খানা ও মলদ্বারা
পঙ্কিল করে দেয়। আবরাহা এ কথা শুনার
পর রাগে ক্ষেপে উঠলো। ৬০ হাজারের
এক বিরাট সেনা বাহিনী নিয়ে
কাবা শরিফ ধ্বংস করার জন্য রওয়ানা
হলো। নিজের জন্য সে সব চেয়ে বড়
হাতিটা পছন্দ করলো। সেনাবাহিনীর
মধ্যে নয়টি হাতি ছিল। মক্কার
নিকটবর্তী হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যাত্রা
অব্যাহত রাখলো। তাঁর পর
সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করে মক্কা
প্রবেশ করায় উদ্ধত হলো কিন্তু হাতি
বসে গেল কোনক্রমেই কাবার দিকে
অগ্রসর করানো গেলনা। যখন তারা
হাতীকে কাবার বিপরীত দিকে
অগ্রসর করাতো দ্রুত সে দিকে অগ্রসর
হতো কিন্তু কাবার দিকে অগ্রসর
করাতে চাইলে বসে পড়তো।
কাবা ঘর ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে মক্কার প্রবেশদ্বারে অপেক্ষা করছে।।
আব্রাহা তার সিংহাসনে বসে হুকুম করলেন,
কাবার মোতওয়াল্লি কে আমার কাছে নিয়ে আসো।।
আ: মোত্তালিব যেতে অস্বীকার করলে আব্রাহার সেনাবাহিনী ওনার উট,দুম্বা অর্থ সম্পদ লুট করে নিয়ে আসে।।
এই খবর আব্দুল মুত্তালিব এর কাছে পৌঁছালে উনি একাই আসেন আব্রাহার সামনে,
বাদশা উনাকে দেখা মাত্র সিংহাসন থেকে নেমে মাটিতে চাদর বিছালেন নিজে বসলেন এবং আব্দুল মুত্তালিব কেউ বসার জন্য আহবান করলেন।।
আব্দুল মুত্তালিব না বসেই আব্রাহা কে বললেন,
আপনার লোকেরা আমার যে মাল-সামান নিয়ে এসেছে তা ফেরত দেন।
আব্রাহা আশ্চর্য হয়ে বললেন,আপনার নাম অনেক শুনেছি আজ আপনার কথা শুনে অবাক হলাম,
আপনার সাথে আলাপ হবে কাবা নিয়ে আর আপনি এসেছেন কতগুলো ছাগল ভেড়ার বিষয়ে কথা বলতে।।
আব্দুল মুত্তালিব এবার বললেন,
ঐ উঠ ভেড়া ছাগলের মালিক আমি তাই আমার মালগুলো ফেরত চাই,
আর ঐ কাবার মালিক অন্য একজন উনিই তার ঘরের ব্যাপারে আপনার সাথে ফয়সালা করবেন।।
এর পর কি হয়েছিল ইতিহাস থেকে আমরা কমবেশি সবায় অবগত।
"" প্রায় সকল বর্ণনাকারীর সর্বসম্মত বর্ণনা হচ্ছে, প্রত্যেকটি পাখির ঠোঁটে ছিল একটি করে পাথরে কুচি এবং পায়ে ছিল দু’টি করে পাথরের কুচি। মক্কার অনেক লোকের কাছে এই পাথর দীর্ঘকাল পর্যন্ত সংরক্ষিত ছিল।
ইকরামা ও কাতাদাহ বলেন, লোহিত সাগরের দিক থেকে এ পাখিরা দলে দলে আসে।ইকরামা বলেন, এ ধরনের পাখি এর আগে কখনো দেখা যায়নি এবং এরপরেও দেখা যায়নি।নওফাল ইবনে আবী মু’আবীয়ার বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেছেন, আসহাবে ফীলের ওপর যে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছিল আমি তা দেখেছি। সেগুলোর এক একটি ছিল ছোট মটর দানার সমান। গায়ের রং ছিল লাল কালচে।
* হিন্দুরা ৩৩ কোটি দেবতার পূজা করে তাদের ধারণা এক একটি দেবতার হাতে এক একটি পাওয়ার আছে
* শ্রীমদ্ভাগবত গীতা
শ্লোক- ১২, অধ্যায়- ৪র্থ। শ্রীকৃষ্ণের বানী
কাঙ্ক্ষন্তঃ কর্মণাং সিদ্ধি যজন্ত ইহ দেবতাঃ।
ক্ষিপ্রং হি মানুষে লোকে সিদ্ধির্ভবতি কর্মজা।।
অনুবাদ- এই জগতে মানুষেরা সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অবশ্যই অতি শীঘ্রই লাভ হয়।
"" যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত।
অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্॥
পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥
* রিজিকের মালিক লক্ষ্মী। সন্তান দিবার মালিক ষষ্ঠী।
মা সরস্বতী হলেন জ্ঞান, বুদ্ধির মালিক সংগীত, শিল্পকলা, বুদ্ধি ও বিদ্যার দেবী।
বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞান লাভের আশায় দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। মূলত শিক্ষার্থীরাই এ পূজার প্রধান আয়োজক।
এই দিন দেবীকে হলুদ ফুল, ধূপ, প্রদীপ ইত্যাদি দিয়ে পূজা করা হয়।এই দিনে মা সরস্বতীর পূজা করার সময়ে হলুদ বস্ত্র পরিধান করলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
‘ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে,
কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,
ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।’
প্রতিবছর মা সরস্বতী ধরণিতে আসেন আমাদের বিদ্যাবুদ্ধি দিতে, বিদ্যার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করতে।
‘ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে,
কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে
বীণারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,
ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।’
প্রতিবছর মা সরস্বতী ধরণিতে আসেন আমাদের বিদ্যাবুদ্ধি দিতে, বিদ্যার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ করতে। বিদ্যার্থীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ১২টি মাস, ৩৬৫ দিন—কখন বিদ্যাদেবী আসবেন তাদের শিক্ষাঙ্গনে। সব শিক্ষার্থী একত্র হয়ে মাকে আগমন জানাতে শুরু করে প্রস্তুতি, সিদ্ধান্ত নেয় মা সরস্বতীকে পূজা দিতে এবারে কী কী আয়োজন থাকবে। প্রথমেই তারা দেবীর মূর্তি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট কারিগরের কাছে চলে যায়, দেখেশুনে মূর্তি প্রাপ্তির তারিখ নিশ্চিত করে। তারপর শুরু হয় তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মহড়া; সেই সঙ্গে মণ্ডপ তৈরি, পুরোহিতকে সময়-তারিখ নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে আলপনা আঁকা আর মণ্ডপ সাজানোর কাজ চলতে থাকে।
সরস্বতীপূজা দুর্গাপূজার মতোই সর্বজনীন পূজা। দলমত-নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবনিতা সরস্বতীপূজায় শরিক হয়। মায়ের কাছে বিদ্যা চাইতে সবাই জোড় হাত তুলে প্রণাম করে। মা তো বিদ্যার দেবী, তাই তাঁর কাছেই বিদ্যা চাইবে সবাই। বিদ্যা যদি না পাই, তবে তো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারব না। একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে বিদ্যার বিকল্প নেই। আচার-আচরণ, স্বভাব-প্রকৃতি সবকিছুই পরিপূর্ণতা পায় বিদ্যার গুণে। তাই বিদ্যার দেবীকে অঞ্জলির মাধ্যমে নিবেদন করে শিক্ষার্থীরা—তাদের মনস্কামনা যেন দেবী সরস্বতী পূরণ করেন, এই প্রার্থনাই পূজার মূলমন্ত্র।
বাঙালির ঘরে ঘরে যে পূজা আবহমান কাল থেকে হয়ে আসছে, তা হচ্ছে সরস্বতীপূজা। দেবী সরস্বতী বিদ্যার দেবী, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য আসেন বিদ্যার স্বরূপ হয়ে। বিদ্যা-বুদ্ধিতে সন্তানেরা সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে মায়ের আশীর্বাদে, এই দিন তাই সকালে পূজার আয়োজন চলে ঘরে ঘরে। অঞ্জলি আর প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে পূজার মণ্ডপ হয়ে ওঠে আনন্দ-উৎসবে মুখর।
মা দেবী সরস্বতী আমাদের বিদ্যা, বুদ্ধি, জ্ঞান আর সুরের মূর্ছনায় ভরিয়ে দিতে আসেন প্রতি মাঘে। শীতের এই কুয়াশাঢাকা সকালে স্নান করে বই, খাতা, কলম নিয়ে মা দেবী সরস্বতীর কাছে আমরা হাজির হই পুষ্পাঞ্জলি দিতে।
* রাসূল সা: বলেন, তোমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে, কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা,সহিহ বুখারী-৫০১৫ সহিহ
عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِأَصْحَابِهِ أَيَعْجِزُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ ثُلُثَ الْقُرْآنِ فِيْ لَيْلَةٍ فَشَقَّ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ وَقَالُوْا أَيُّنَا يُطِيْقُ ذَلِكَ يَا رَسُوْلَ اللهِ فَقَالَ اللهُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ ثُلُثُ الْقُرْآنِ
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সহাবীদেরকে বলেছেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে কুরআনের এক-তৃতীয়াংশ তিলাওয়াত করা সাধ্যাতীত মনে কর? এ প্রশ্ন তাদের জন্য কঠিন ছিল। এরপর তারা বলল, হে আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমাদের মধ্যে কার সাধ্য আছে যে এটা পারবে? তখন তিনি বললেন, “কুল হুআল্লাহু আহাদ” অর্থাৎ সূরা ইখলাস কুরআনের তিন ভাগের এক ভাগ।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫০১৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* কোন এক যুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। সে সলাতে তার অনুসারীদের ইমামাত করতে গিয়ে কুরআন পড়ত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” (সূরাহ্ ইখলাস) পড়ে শেষ করত,সহিহ মুসলিম-১৭৭৫ সহিহ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، أَنَّ أَبَا الرِّجَالِ، مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حَدَّثَهُ عَنْ أُمِّهِ، عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَكَانَتْ فِي حَجْرِ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ رَجُلاً عَلَى سَرِيَّةٍ وَكَانَ يَقْرَأُ لأَصْحَابِهِ فِي صَلاَتِهِمْ فَيَخْتِمُ بِـ { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} فَلَمَّا رَجَعُوا ذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " سَلُوهُ لأَىِّ شَىْءٍ يَصْنَعُ ذَلِكَ " . فَسَأَلُوهُ فَقَالَ لأَنَّهَا صِفَةُ الرَّحْمَنِ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَقْرَأَ بِهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَخْبِرُوهُ أَنَّ اللَّهَ يُحِبُّهُ
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
এক সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন এক যুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। সে সলাতে তার অনুসারীদের ইমামাত করতে গিয়ে কুরআন পড়ত এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” (সূরাহ্ ইখলাস) পড়ে শেষ করত। সেনাদল ফিরে আসলে তারা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বিষয়টি বললেন। তিনি বললেনঃ জিজ্ঞেস কর যে, সে কেন এরূপ করে থাকে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলল, যেহেতু এ সূরাতে মহান দয়ালু আল্লাহর গুণাবলী উল্লেখ আছে, তাই ঐ সূরাটি পাঠ করতে ভালবাসি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ তাকে ভালবাসেন।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭৭৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মাসনাদে রাজ্জাকে বর্নিত হয়েছে,হযরত ইকরামা রা: বলেন, হযরত মুসা আঃ ফেরেস্তাদেরকে জিগ্গেস করেন, আল্লাহ তায়ালা কি নিদ্রা যান ? আল্লাহ পক্ষ থেকে অহি আসে ফেরেস্তাদের নিকট, মুসা নবীকে বল দুই হাতে দুটো গ্লাস নিয়ে তিন দিন দাঁড়িয়ে থাকতে।মুলত এই জিগ্গেস ছিল বনি ইসরাইলদের
সমস্ত সৃষ্টি জগতের সৃষ্টি কর্তা মহান প্রভূ এক মাত্র আল্লাহ সুবহানাতা'য়ালা । তিনি সব সময় জাগ্রত থাকেন । উনার ঘুমের প্রয়োজন হয় না । একবার হযরত মূসা (আঃ) এর কৈাতূহল হলো এবং আল্লাহকে জিজ্ঞাসা করলেন , হে মা-বুদ আপনি কখন ঘুমান ? আল্লাহপাক উত্তর দিলেন - তিনি ঘুমান না । ঘুমের প্রয়োজন হয় না । তখন মূসা (আঃ) এর কাছে বিষয়টি খুব আশ্চর্য্য মনে হলো । বিষয়টা হজম করতে মনে হচ্ছিল ওনার কষ্ট হচ্ছিল । কারণ, উনি সৃষ্টি জগতের দিকে তাকিয়ে দেখেন - ঘুম ছাড়া কোন প্রানী-ই বাচেনা । মানুষ তো ঘুম ছাড়া এক-দুই দিন-ই টিকতে পারেনা ।
মহান রাব্বূল আলামিন মূসা (আঃ) এর মনের অবস্হা বুঝে বললেন, আচ্ছা তুমি এক কাজ করো । তুমি তোমার দুই হাতে দুই গ্লাস ভর্তি পানি নিয়ে দাড়িয়ে থাক । দেখি কত ক্ষণ থাকতে পারো । মূসা (আঃ) মনে মনে বললেন, এ আর এমন কি কাজ । তিনি গ্লাস হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকলেন । ঘন্টার পর ঘন্টা যায় । তিনি গ্লাস ধরে দাড়িয়ে আছেন । মাঝে মাঝে ঝিমুনি আসছে, কিন্তু তিনি মনে মনে জিদ করেছেন যে, না কোন ভাবেই অসতর্ক হওয়া যাবেনা । তিনি শক্তভাবে গ্লাস গুলো চেপে ধরে থাকছেন । কিন্তু এভাবে কতক্ষণ । শত হলেও তিনি মানুষ । এক সময় উনার ঝিমুনি আসলো এবং উনার হাত থেকে একটা গ্লাস পড়ে ভেঙ্গে গেলো । উনি লজ্জ্বা পেয়ে গেলেন । মনে মনে বললেন, হায় হায় ! আল্লাহর দেয়া এই সামান্য হুকুমটিও আমি করতে পারলাম না ।
আল্লাহ তখন মূসা (আঃ) জানালেন, হে মূসা ! কি হলো ? হে মূসা ! আমি যদি এক মহুর্তের জন্য ঘুমাই - তাহলে এই সমগ্র সৃষ্টি জগত ও মহাবিশ্ব - যা এখন সুন্দর ভাবে চলছে । কোথাও কোন বিশৃংখলা হচ্ছে না , তার মধ্যে বিশৃংখলতা দেখা দিবে । একে অপরের সাথে সংঘর্ষে মহুর্তেই তা বিলীন হয়ে যাবে । আমি এ সব কিছূকে সুন্দরভাবে ধরে রেখেছি বিধায় তা ঠিক ঠিক ভাবে চলছে ।
মূসা (আঃ) বুঝতে পারলেন এবং আল্লাহর কাছে এরকম প্রশ্ন করার জন্য মাফ চাইলেন ।
__________________
* রূহের জগতে প্রশ্ন করা হয়েছিল রব কে? আবার সূরা ইখলাসে বলা হয়েছে বলুন তিনি আল্লাহ এক ১১২: আল-ইখলাস,:আয়াত:১
قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدٌۚ
* আল্লাহ এমন একটি নাম জাহেলি যুগের লোকেরা ও কোন দেবতাকে আল্লাহ নামে সম্বোধন করেন নি, আল্লাহ সম্পর্কে যে আকিদা ছিল, তার চমৎকার প্রকাশ ঘটেছিল আবরাহার মক্কায় আক্রমনের সময়,সে সময় কা’বা ঘরে ৩৬০টি উপাস্যের মূর্তি ছিল। কিন্তু এ বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য মুশরিকরা তাদের সবাইকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে ছিল। অর্থাৎ তারা নিজেরা ভালোভাবে জানতো, এ সংকটকালে আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্তাই তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে না।
৪৩ আয যুখরুফ,:আয়াত: ৮৭,বলা হয়েছে, যদি তোমরা এদের জিজ্ঞেস করো, কে এদের সৃষ্টি করেছে তাহলে এরা নিজেরাই বলবে, আল্লাহ। তাহলে কোথা থেকে এরা প্রতারিত হচ্ছে?
وَ لَئِنْ سَاَلْتَهُمْ مَّنْ خَلَقَهُمْ لَیَقُوْلُنَّ اللّٰهُ فَاَنّٰى یُؤْفَكُوْنَۙ
________________
* সূরাহ নাস ও ফালাক্ব পড়বে; এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে-
সুনানে আবু দাউদ-৫০৮২ হাসান
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ أَبِي أَسِيدٍ الْبَرَّادِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةِ مَطَرٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُصَلِّيَ لَنَا فَأَدْرَكْنَاهُ فَقَالَ " أَصَلَّيْتُمْ " . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا فَقَالَ " قُلْ " . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ " قُلْ " . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ " قُلْ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَقُولُ قَالَ " { قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ } وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَحِينَ تُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ " .
মু’আয ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু খুবাইব (রাঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর খুবই অন্ধকার কালো রাতে আমাদের সলাত পড়াবার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খুঁজছিলাম। আমরা তাঁকে পেয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ বলো। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি বললেন, বলো। আমি কিছই বললাম না। তিনি আবার বললেনঃ বলো। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! কি বলবো? তিনি বললেনঃ তুমি সন্ধ্যায় ও সকালে উপনীত হয়ে তিনবার সূরাহ কুল হুয়াল্লাহু (সূরা ইখলাস), সূরাহ নাস ও ফালাক্ব পড়বে; এতে তুমি যাবতীয় অনিষ্ট হতে রক্ষা পাবে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫০৮২
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
* আমল, রাসূল সা, ফজর ও মাগরিবের সূন্নাতে পড়তেন সূরা কাফিরুন ও ইখলাস মিশকাতুল মাসাবিহ+
৮৫১ হাসান সহিহ
وَعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ مَا أُحْصِي مَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْمَغْرِبِ وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ قَبْلَ صَلَاةِ الْفَجْرِ بِـ ﴿قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ﴾ وَ ﴿قُلْ هُوَ اللّهُ أَحَدٌ﴾. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি গুনে শেষ করতে পারবো না যে, আমি কত বার রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে মাগরিবের সলাতের পরের ও ফাজ্রের সলাতের আগের দু’ (রাক’আতে) সুন্নাতে “কুল ইয়া-আইউহাল কা-ফিরুন” (সূরাহ্ আল কা-ফিরূন) ও “কুল হুওয়াল্ল-হু আহাদ” (সূরাহ্ ইখলাস) তিলাওয়াত করতে শুনেছি। [১]
ফুটনোটঃ
[১] হাসান সহীহ : তিরমিযী ৪৩১, ইবনু মাজাহ্ ৮৩৩
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ৮৫১
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
* সকাল-সন্ধ্যায় ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) এবং ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব’ ও ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ তিনবার করে পড়। তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।”
وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ خُبَيْبٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «اِقْرَأْ: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، وَالمُعَوِّذَتَيْنِ حِيْنَ تُمْسِي وَحِينَ تُصْبحُ، ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ» . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে বললেন, “সকাল-সন্ধ্যায় ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) এবং ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব’ ও ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ তিনবার করে পড়। তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।”
ফুটনোটঃ
(তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী ৫৪২৮, ৫৪২৯)
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৪৬৪
হাদিসের মান: হাসান হাদিস
* আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাত্রে শয্যা গ্রহনের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হতো, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন। স্বীয় মাথা, চেহারা এবং শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন। এইভাবে তিনি তিনবার করতেন।’’ (বুখারী ৫০১৭)
১০০ সুসাব্যস্ত হাদিস, হাদিস নং ২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
No comments