Header Ads

Header ADS

179  ইখলাস 


* একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করার নির্দেশ,আল বাইয়্যিনাহ-৫


وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ


* রিয়াকারের উপমা,জনৈক আলেম বলেন ,যে লোক দেখানো ইবাদত করার উপমা পাথরকনা দ্বারা পরিপূর্ন ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলো । রিয়া ছোট শিরক,সেদিন রিয়াকারদের বলবেন, যাও


* ইখলাস না থাকলে তার পরিণতি কি হবে সেটা আল্লাহপাক কোরআন শরীফে বলেন: * আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য তারা যেসব আমল করবে,আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণা করে দেব,ফুরকান:২৩


ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻫَﺒَﺎﺀ ﻣَّﻨﺜُﻮﺭًﺍ


* প্রতিটি কাজ হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তাহলে দুনিয়া ও পরকালের বিপদ থেকে রক্ষা করবেন:-


তিন ব্যক্তি ঘর থেকে হাটতে বের হয়,বৃষ্টি আসলে পাহাড়ের গর্তে আশ্রয় নেয়:


১:বৃদ্ধ মাতা-পিতাকে দুধ পান, ছিল ২:চাচাতো বোনকে একশত দিনার দিলেন ৩:চাকরের মুজুরী দিয়ে একটি গরু ও রাখাল ক্রয় করেন বুখারী শরীফ-2215


ﺧﺮََﺝ ﺛَﻠَﺎَﺛﺔٌ ﻳَﻤْﺸُﻮﻥَ، ﻓَﺄَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻤﻄََﺮُ، ﻓَﺪﺧَﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﻏَﺎﺭٍ ﻓِﻲ ﺟَﺒَﻞٍ


ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻲ ﺃَﺑَﻮَﺍﻥَ ﺷَﻴْﺨَﺎﻥِ ﻛَﺒﻴِﺮﺍﻥ


ﺍﻟﻠَّﻬﻢَّ ﺇﻥ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﺃُﺣِﺐُّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨَﺎﺕِ ﻋَﻤِّﻲ ﻛَﺄَﺷَﺪِّ ﻣَﺎ ﻳُﺤﺐُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀَ، ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﻻَ ﺗَﻨَﺎﻝُ ﺫَﻟﻚَِ ﻣِﻨﻬَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﺗُﻌْﻄﻴَﻬَﺎ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﺩِﻳﻨﺎَﺭٍ . ﻓَﺴَﻌﻴﺖ ﺣَّﺘﻰ ﺟَﻤَﻌْﺘُﻬَﺎ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗَﻌَﺪﺕُ ﺑَﻴﻦ ﺭِﺟْﻠَﻴْﻬَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺍﺗَّﻖِ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭَﻻ ﺗَﻔُﺾَّ ﺍﻟَﺨﺎﺗَﻢَ ﺇﻟِﺎ ﺑِﺤَﻘِّﻪِ . ﻓَﻘُﻤْﺖُ ﻭََﺗﺮَﻛﺘﻬَﺎ، ﻓَﺈﻥْ ﻛُﻨﺖَ ﺗﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﻓَﻌَﻠْﺖُ ﺫَﻟﻚَ ﺍﺑْﺘﻐِﺎﺀَ ﻭَﺟْﻬِﻚَ ﻓَﺎْﻓﺮُﺝْ ﻋَﻨَّﺎ ﻓُﺮْﺟَﺔ


৩য় ব্যাক্তি বলে,হে আল্লাহ! তুমি অবশ্যই জান, আমি একজন চাকরকে এক থলে খাদ্যের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ দেই। কাজ শেষে আমি তাকে তার মুজুরি দিতে গেলে সে তখন তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তার আমি তার খাদ্য গুলোকে নিয়ে জমিনে ছিটিয়ে দেই 


* ইখলাছের আরেক দৃষ্টান্ত


একজন বিখ্যাত বুজুর্গ ব্যক্তি সবসময় নফল রোজা রাখতেন,কারো সামনে দিনে খাইতেন না ৩০ বছর যাবত


* যার লক্ষ্য হবে, আখেরাত অর্জন,


আল্লাহ তার অন্তর থেকে অভাবকে দূর করে দেবেন। আর তার জন্য যাবতীয় উপকরণ সহজ করে দেবে। আর দুনিয়া তার নিকট অপদস্থ হয়ে ধরা দেবে। যার লক্ষ্য বস্তু হবে,দুনিয়া অর্জন করা, আল্লাহ তা‘আলা অভাবকে তার চোখের সামনে তুলে ধরবে, যাবতীয় উপকরণকে তার বিচ্ছিন্ন করে দেবে। আর দুনিয়া তার ভাগ্যে ততটুকু মিলবে,যতটুকু তার জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে


ﻣَﻦْ ﻛﺎﻧﺖِ ﺍﻵﺧﺮﺓُ ﻫُﻤَّﻪ؛ ﺟﻌَﻞَ ﺍﻟﻠﻪ ﻏِﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪ، ﻭَﺟََﻤَﻊ ﻟَﻪُ ﺷَﻤْﻠَﻪُ، ﻭَﺃَﺗَﺘْﻪُ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻫِﻲَ ﺭﺍﻏﻤﺔ، ﻭﻣَﻦْ ﻛﺎﻧْﺖ ﺍﻟﺪُّْﻧﻴَﺎ ﻫَّﻤُﻪ؛ ﺟﻌَﻞَ ﺍﻟﻠﻪ ﻓَﻘْﺮُﻩ ﺑﻴْﻦَ ﻋَﻴﻨﻴﻪ، ﻭَﻓَﺮَّﻕَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺷَﻤﻠَﻪُ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺄْﺗِﻪِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺇﻟِﺎ ﻣَﺎ ﻗُﺪِّﺭَ ﻟَﻪ


* খালেদ বিন ওয়ালিদ সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ,কোন অহংকার নাই


* ইখলাস হল আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চাবিকাঠি:—কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম ফয়সালা হবে যে শহীদ হয়েছিল।




------


ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ —আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব,


ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ —আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য তারা যেসব আমল করবে


ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ— অতঃপর সেগুলোকে আমি পরিনত করবো


ﻫَﺒَﺎﺀ— ধুলিকণা


ﻣَّﻨﺜُﻮﺭًﺍ— বিক্ষিপ্ত


________________




29 ইখলাস ✓




وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ۚ وَذَٰلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ




(আল বাইয়্যিনাহ - ৫)


তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।


حُنَفَاءَ — একমুকী করে 




কোনো কিছু করার ইচ্ছাকে ইসলামে “নিয়ত” বলা হয়। নিয়ত ভালো ও খারাপ, দুটোই হতে পারে। কোন ব্যক্তি যখন শুধুমাত্র আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লার উদ্দেশ্যে কোনো ইবাদত করে সেটাকে “ইখলাস” বলা হয়। আর কেউ যখন লোক দেখানো বা অন্য কোনো উদ্দশ্যে হাসিলের জন্য “ইবাদত” করে, যেমন- দুনিয়াবী কোন স্বার্থ হাসিল করা, টাকা পয়সা পাওয়া, আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে খুশি করা, মানুষ ধার্মিক বলুক বা প্রশংসা করুক, এমন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কোন ইবাদত করলে সেটাকে “রিয়া” বলা হয়। সহজ ভাষায় – রিয়া হচ্ছে লোক দেখানো ইবাদত করা।




* রিয়াকারের উপমা :—


জনৈক আলেম বলেন , যে মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদত করবে তার উপমা হোলো সেই ব্যক্তির ন্যায় যে পাথরকনা দ্বারা পরিপূর্ন ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলো । তখন লোকেরা তার থলি দেখে বললো দেখো তার থলিটিতে কত টাকা !! এতে সে খুশী হোলো । অথচ এই পাথর-ভর্তি থলি দিয়ে সে কিছুই করতে পারবে না শুধুমাত্রে মানুষের প্রশংসা অর্জন ব্যতীত । রিয়াকারের উপমা হোলো ঠিক এই ব্যক্তির ন্যায় , যে পরকালে আল্লাহতালার নিকট কিছুই পাবে না । যেমন এই হাদিসে উল্লেখ আছে:


হযরত মুহম্মদ ইবনে লবীদ (রা:) থেকে বর্নিত । রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বলেন “আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক থেকে খুব ভয় করছি । সাহাবীরা বললেন – ইয়া রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) ছোট শিরক কি ? রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) বললেন , তা হোলো “রিয়া” বা “লোক দেখানো ইবাদত” । যেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের আমলের পুরস্কার প্রদান করবেন , সেদিন রিয়াকারদের বলবেন, যাও, দুনিয়াতে যাদেরকে দেখানোর জন্য আমল করতে, তাদের নিটক যাও । দেখো তাদের নিকট কোনো পুরস্কার পাও কিনা ।


[মুসনাদে আহমদ]




* ইখলাস না থাকলে তার পরিণতি কি হবে সেটা আল্লাহপাক কোরআন শরীফে বলেন:


ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ ﻫَﺒَﺎﺀ ﻣَّﻨﺜُﻮﺭًﺍ


আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য তারা যেসব আমল করবে , আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধুলিকণা করে দেব। (সুরাহ ফুরকান:২৩)




ﻭَﻗَﺪِﻣْﻨَﺎ —আমি তাদের কৃতকর্মের প্রতি মনোনিবেশ করব,


ﺇِﻟَﻰ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞٍ —আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির জন্য তারা যেসব আমল করবে


ﻓَﺠَﻌَﻠْﻨَﺎﻩُ— অতঃপর সেগুলোকে আমি পরিনত করবো


ﻫَﺒَﺎﺀ— ধুলিকণা


ﻣَّﻨﺜُﻮﺭًﺍ— বিক্ষিপ্ত




ইবাদতে ইখলাস থাকবে রিয়া থাকবে না তাহলেই উভয় জগতে মুক্তি পাওয়া যাবে ৷




* ইখলাস হল আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চাবিকাঠি:—




আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন তিনি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন-


কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম এমন এক ব্যক্তির ব্যপারে ফয়সালা হবে যে শহীদ হয়েছিল। তাকে আনা হবে এবং তাকে যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল তা পেশ করা হবে। সে তা চিনতে পারবে। আল্লাহ তা’য়ালা তাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘আমি যে সমস্ত নিয়ামত তোমাকে দিয়েছিলাম, তার বিনিময়ে তুমি কি কাজ করেছ?’ সে বলবে, আমি আপনার পথে লড়াই করে শহীদ হয়েছি। তিনি বলবেনঃ তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এজন্য লড়াই করেছ যে, লোকেরা তোমাকে বীর বাহাদুর বলবে! আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।


অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা হবে, সে ইলম অর্জন করেছে, তা লোকদের শিক্ষা দিয়েছে আর কুরআন পাঠ করেছে। তাকে উপস্থিত করা হবে এবং তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। তুমি তোমার নিয়ামতের কি সদ্ব্যাবহার করেছ? সে বলবে আমি ইলম অর্জন করেছি, লোকদের তা শিক্ষা দিয়েছি এবং আপনার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন পাঠ করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা কথা বলছ। বরং তুমি এই উদ্দেশ্যে বিদ্যা অর্জন করেছিলে যে, লোকেরা তোমাকে আলেম না বিদ্বান বলবে, এবং কুরআন এই জন্য পাঠ করেছিলে যে, তোমাকে ‘ক্বারী’ বলা হবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।


অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে আনা হবে, তাকে আল্লাহ অজস্র ধন দৌলত দান করেছেন এবং নানা প্রকারের ধন সম্পদ দিয়েছেন। তাকে দেওয়া সুযোগ সুবিধা গুলোও তার সামনে তুলে ধরা হবে। সে তা দেখে চিনতে পারবে। আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, তোমার এ সম্পদ দ্বারা তুমি কি কাজ করেছ? সে বলবে, যেখানে ব্যায় করলে আপনি সন্তুশ্ত হবেন এমন কোন খাত আমি বাদ দেইনি বরং সেখানেই খরচ করেছি আপনার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে। মহান আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এই জন্য দান করেছ যে, লোকেরা তোমাকে দাতা বলবে। আর তা বলাও হয়েছে। অতঃপর তার সম্বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হবে এবং তাকে উপুড় করে টেনে নিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।(সহীহ মুসলিমঃ ৪৭৭১ ইফা)




ফিতনা হতে নাজাত লাভ:


ইখলাসের মাধ্যমে একজন বান্দা ফিতনা হতে নাজাত লাভ করে। ইখলাস প্রভৃতির চাহিদায় পতিত হওয়া এবং ফাসেক ও ফাজেরদের অপরাধে জড়িত হওয়া হতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আল্লাহ তা‘আলা ইখলাসের কারণে ইউসুফ আ. কে আজিজে মিসরের স্ত্রীর ফিতনা হতে রক্ষা করেন। ফলে, সে অশ্লীল ও অনৈতিক কোন কাজে জড়িত হননি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,


দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি দূর হওয়া এবং রিজিক বৃদ্ধি পাওয়া:


আনাস বিন মালেক রাদিয়াল্লাহু আনুহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,


ُ ‏« ﻣَﻦْ ﻛﺎﻧﺖِ ﺍﻵﺧﺮﺓُ ﻫُﻤَّﻪ؛ ﺟﻌَﻞَ ﺍﻟﻠﻪ ﻏِﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪ، ﻭَﺟََﻤَﻊ ﻟَﻪُ ﺷَﻤْﻠَﻪُ، ﻭَﺃَﺗَﺘْﻪُ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻫِﻲَ ﺭﺍﻏﻤﺔ، ﻭﻣَﻦْ ﻛﺎﻧْﺖ ﺍﻟﺪُّْﻧﻴَﺎ ﻫَّﻤُﻪ؛ ﺟﻌَﻞَ ﺍﻟﻠﻪ ﻓَﻘْﺮُﻩ ﺑﻴْﻦَ ﻋَﻴﻨﻴﻪ، ﻭَﻓَﺮَّﻕَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺷَﻤﻠَﻪُ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺄْﺗِﻪِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺇﻟِﺎ ﻣَﺎ ﻗُﺪِّﺭَ ﻟَﻪ ‏»


“যার লক্ষ্য হবে, আখেরাত অর্জন করা,


আল্লাহ তা‘আলা তার অন্তর থেকে অভাবকে দূর করে দেবেন। আর তার জন্য যাবতীয় উপকরণ সহজ করে দেবে। আর দুনিয়া তার নিকট অপদস্থ হয়ে ধরা দেবে। আর যার লক্ষ্য বস্তু হবে, দুনিয়া অর্জন করা, আল্লাহ তা‘আলা অভাবকে তার চোখের সামনে তুলে ধরবে এবং যাবতীয় উপকরণকে তার বিচ্ছিন্ন করে দেবে। আর দুনিয়া তার ভাগ্যে ততটুকু মিলবে, যতটুকু তার জন্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে”।[40]


বিপদ-আপদ দূর হওয়া:


আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনুহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,


‏« ﺧﺮََﺝ ﺛَﻠَﺎَﺛﺔٌ ﻳَﻤْﺸُﻮﻥَ، ﻓَﺄَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟﻤﻄََﺮُ، ﻓَﺪﺧَﻠُﻮﺍ ﻓِﻲ ﻏَﺎﺭٍ ﻓِﻲ ﺟَﺒَﻞٍ، ﻓَﺎﻧْﺤَﻄَّﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﺻَﺨْﺮَﺓٌ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻘَﺎَﻝ ﺑﻌْﻀُﻬُﻢْ ﻟِﺒَﻌْﺾٍ : ﺍﺩْﻋُﻮﺍ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﺄﻓْﻀِﻞ ﻋَﻤﻞ ﻋَﻤِﻠْﺘُﻤُﻮﻩُ . ﻓَﻘﺎﻝَ ﺃََﺣُﺪُﻫﻢْ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻲ ﺃَﺑَﻮَﺍﻥَ ﺷَﻴْﺨَﺎﻥِ ﻛَﺒﻴِﺮﺍﻥِ، ﻓَﻜُﻨْﺖُ ﺃَﺧْﺮُﺝُ ﻓَﺄَﺭْﻋَﻰ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺟِﻲ ﻓَﺄَﺣْﻠﺐ، ﻓَﺄَﺟِﻲﺀُ ﺑﺎِﻟِﺤﻠَﺎﺏِ ﻓَﺂﺗِﻲ ﺃَﺑَﻮَﺍﻱَ ﻓَﻴَﺸﺮﺑَﺎﻥِ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺳﻘِﻲ ﺍﻟﺼِّﺒﻴَﺔَ ﻭَﺃَﻫﻠِﻲ ﻭَﺍﻣْﺮَﺃَﺗِﻲ، ﻓَﺎﺣْﺘَﺒﺴُﺖ ﻟﻴَﻠﺔً،ﻓَﺠْﺌﺖُ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻫُﻤَﺎ ﻧَﺎﺋﻤَﺎﻥِ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻜِﺮﻫْﺖُ ﺃَﻥ ﺃُﻭﻗِﻈَﻬُﻤَﺎ، ﻭَﺍﻟِّﺼْﺒﻴَﺔُ ﻳَﺘَﻀَﺎﻏَﻮْﻥَ ﻋِﻨْﺪَ ﺭِﺟﻠﻲ، ﻓَﻠَﻢْ ﻳﺰَﻝْ ﺫَﻟﻚَِ ﺩَﺃْﺑِﻲ ﻭَﺩَﺃْﺑَﻬُﻤَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﻃَﻠَﻊَ ﺍﻟﻔَﺠْﺮُ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻥْ ﻛُﻨﺖ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﻓَﻌَﻠْﺖَ ﺫَﻟﻚ ﺍﺑْﺘﻐَﺎﺀَ ﻭَﺟْﻬِﻚَ ﻓَﺎْﻓُﺮﺝْ ﻋﻨﺎْ ﻓُﺮْﺟَﺔً ﻧَﺮَﻯ ﻣِﻨﻬَﺎ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀَ . ﻗَﺎﻝَ : ﻓُﻔِﺮﺝَ ﻋﻨْﻬُﻢْ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻵﺧَﺮُ : ﺍﻟﻠَّﻬﻢَّ ﺇﻥ ﻛُﻨﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﺃُﺣِﺐُّ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓً ﻣِﻦْ ﺑَﻨَﺎﺕِ ﻋَﻤِّﻲ ﻛَﺄَﺷَﺪِّ ﻣَﺎ ﻳُﺤﺐُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀَ، ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﻻَ ﺗَﻨَﺎﻝُ ﺫَﻟﻚَِ ﻣِﻨﻬَﺎ ﺣَﺘَّﻰ ﺗُﻌْﻄﻴَﻬَﺎ ﻣِﺎﺋَﺔَ ﺩِﻳﻨﺎَﺭٍ . ﻓَﺴَﻌﻴﺖ ﺣَّﺘﻰ ﺟَﻤَﻌْﺘُﻬَﺎ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗَﻌَﺪﺕُ ﺑَﻴﻦ ﺭِﺟْﻠَﻴْﻬَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺍﺗَّﻖِ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭَﻻ ﺗَﻔُﺾَّ ﺍﻟَﺨﺎﺗَﻢَ ﺇﻟِﺎ ﺑِﺤَﻘِّﻪِ . ﻓَﻘُﻤْﺖُ ﻭََﺗﺮَﻛﺘﻬَﺎ، ﻓَﺈﻥْ ﻛُﻨﺖَ ﺗﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﻓَﻌَﻠْﺖُ ﺫَﻟﻚَ ﺍﺑْﺘﻐِﺎﺀَ ﻭَﺟْﻬِﻚَ ﻓَﺎْﻓﺮُﺝْ ﻋَﻨَّﺎ ﻓُﺮْﺟَﺔً . ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻔﺮَﺝَ ﻋﻨﻬُﻢُ ﺍﻟُّﺜُﻠَﺜﻴْﻦِ . ﻭَﻗَﺎﻝَ ﺍﻵﺧَﺮُ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻥ ﻛُﻨﺖ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﺍﺳْﺘَﺄْﺟَﺮﺕ ﺃَﺟِﻴﺮﺍً ﺑﻔَﺮْﻕٍ ﻣِﻦْ ﺫُﺭَﺓٍ، ﻓَﺄَﻋْﻄَﻴْﺘُﻪُ، ﻭَﺃَﺑﻰ ﺫَﻟﻚَ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﺧُﺬَ، ﻓَﻌَﻤَﺪﺕُ ﺇﻟَﻰ ﺫَﻟﻚَ ﺍﻟﻔَﺮْﻕِ ﻓَﺰَﺭﻋْﺘُﻪ ﺣَّﺘﻰ ﺍﺷْﺘَﺮَﻳْﺖ ﻣِﻨﻪُْ ﺑَﻘﺮًﺍ ﻭَﺭَﺍﻋِﻴَﻬﺎ، ﺛُﻢَّ ﺟَﺎﺀَ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﻋَﺒْﺪَ ﺍﻟﻠﻪ، ﺃَﻋْﻄِﻨِﻲ ﺣَﻘِّﻲ . ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﺍﻧْﻄَﻠﻖِْ ﺇﻟَﻰ ﺗﻠِﻚَ ﺍﻟﺒَﻘَﺮِ ﻭَﺭَﺍﻋِﻴﻬَﺎ ﻓَﺈﻧﻬﺎَ ﻟَﻚَ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﺴَﺘْﻬِﺰُﺉ ﺑِﻲ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻘُﻠْﺖُ : ﻣَﺎ ﺃَﺳَﺘﻬْﺰﺉ ﺑﻚَ، ﻭَﻟَﻜﻨِﻬَﺎ ﻟَﻚَ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇﻥ ﻛُﻨﺖ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻧِّﻲ ﻓَﻌَﻠْﺖُ ﺫَﻟﻚَِ ﺍﺑْﺘﻐِﺎﺀَ ﻭَﺟْﻬِﻚَ ﻓﺎْﻓﺮُﺝْ ﻋﻨَّﺎ . ﻓَﻜَﺸَﻒَ ﻋَﻨْﻬُﻢْ ‏»


“তিন ব্যক্তি ঘর থেকে বের হাটতে ছিল,


এমন সময় বৃষ্টি আসলে, তারা পাহাড়ের একটি গর্তের মধ্যে প্রবেশ করল। একটি পাথর উপর থেকে পড়ে গর্তের মুখটি বন্ধ হয়ে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তারা একে অপরকে বলল, তোমরা তোমাদের জীবনের সর্বোত্তম আমল দ্বারা আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে থাক। তখন তাদের একজন বলল, হে আমার দুই বৃদ্ধ মাতা-পিতা ছিল,


আমি সকালে বের হতাম আর দিনভর ছাগল চরাতাম এবং সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দুধ দোহাতাম। আর সে দুধ নিয়ে আমি আমার দুই মাতা পিতার নিকট এসে সর্বপ্রথম তাদের দুধ পান করাতাম, তারপর আমি আমার বাচ্চা, পরিবার-পরিজন ও স্ত্রীকে পান করাতাম। এক রাত আমার দেরি হলে, আমি এসে দেখি, তারা দুইজন ঘুমাই গেছে। লোকটি বলল, আমি তাদের দুইজনকে জাগাতে অপছন্দ করলাম। অপরদিকে বাচ্চারা আমার পায়ের নিকট চটপট করছিল। আমি সারা রাত তাদের পায়ের নিকট দাড়িয়ে থাকি তারা ঘুমচ্ছিল, এভাবে সকাল হল। হে আল্লাহ! যদি তুমি জান যে, এ কাজটি আমি তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করছি,


তাহলে তুমি আমাদের থেকে পাথরটি একটু সরিয়ে দাও, যাতে আমরা আসমান দেখতে পাই। লোকটি বললেন, তারপর পাথরটি একটু সরিয়ে দেয়া হল। দ্বিতীয় জন বলল, হে আল্লাহ! তুমি জান আমি আমার একজন চাচাতো বোনকে এত বেশি ভালো বাসতাম, যেমনটি একজন পুরুষ একজন মহিলাকে ভালো বাসে। তখন সে আমাকে একটি শর্ত দিয়ে বলল, তুমি কখনোই তাকে পাবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমাকে একশটি দিনার দেবে। তারপর কথা শুনে আমি চেষ্টা চালিয়ে গেলাম এবং একশ দিনার একত্র করলাম। তারপর যখন আমি তার দু পায়ের মাঝে বসলাম, তখন সে আমাকে বলল, আল্লাহকে ভয় কর। তুমি তোমার আঁকটিকে খুলবে না,


শুধু সেখানে খুলবে যেখানে তার অধিকার আছে। তার কথা শোনে আমি দাড়িয়ে গেলাম এবং তাকে ছেড়ে দিলাম। তুমি অবশ্যই জান আমি কাজটি কেবল তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশেই করেছি। সুতরাং, তুমি আমার থেকে পাথরটি একটু সরিয়ে দাও। লোকটি বলল, পাথরটি দুই তৃতীয়াংশ সরে গেল। অপর একলোক বলল,


হে আল্লাহ! তুমি অবশ্যই জান, আমি একজন চাকরকে এক থলে খাদ্যের বিনিময়ে কাজে নিয়োগ দেই। কাজ শেষে আমি তাকে তার মুজুরি দিতে গেলে সে তখন তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তার আমি তার খাদ্য গুলোকে নিয়ে জমিনে ছিটিয়ে দেই এবং তার থেকে যে ফসল হয় তা বিক্রি করে একটি গরু ও রাখাল ক্রয় করি। অনেক দিন পর লোকটি এসে আমাকে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমাকে আমার পাওনা পরিশোধ কর। তখন আমি তাকে বললাম, এ সব গরু ও তার রাখাল এখানে যা আছে সবই তোমার। লোকটি আমার কথা শুনে বলল, তুমি কি আমার সাতে বিদ্রূপ করছ? আমি বললাম না, আমি তোমার সাথে বিদ্রূপ করছি না। তবে এগুলো সবই তোমার। হে আল্লাহ তুমি অবশ্যই জান, আমি কাজটি তোমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যেই করছি। তুমি আমাদের থেকে পাথরটি সরিয়ে দাও,


তারপর তাদের থেকে পাথরটির বাকী অংশ সরিয়ে দিলেন।




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২২১৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* অনবদ্যা ইখলাছের দৃষ্টান্ত


একজন বিখ্যাত বুজুর্গ ব্যক্তি সবসময় নফল রোজা রাখতেন, কিন্তু কোনো সময় কেউ টের পেতেন না যে তিনি নফল রোজা রেখেছেন । কেননা উনি কারো কাছে সেটা প্রকাশ করতেন না এবং যখন ঘরে থাকতেন তখন সবাই মনে করত উনি হয়ত বাহিরে খাবার খাবেন । আবার যখন বাহিরে থাকতেন তখন সবাই মনে করতে উনি হয়ত ঘরে গিয়ে খাবার খাবেন । এভাবে ৩০ বছর অতিবাহিত হবার পর হঠাৎ সবাই জানতে পারলেন উনি আসলে বিগত ৩০ বছর যাবৎ নফল রোজা রেখে এসেছিলেন । সুবহানাল্লাহ । এমন ছিল আমাদের পূর্বেকার সলফে-সালেহীনদের ইখলাস । [ফাওয়ায়েদুল ফাওয়ায়েদ । লেখক :নিজামুদ্দিন আউলিয়া (রহ:) ]




* খালেদ বিন ওয়ালিদ সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ:—


অন্য একটা উদাহারন হল খালিদ বিন আল-ওয়ালিদ (রাদিআল্লাহু আনহু)-


একদিন উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) হঠাৎ তাকে তার সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ করে নিলেন। নিজেকে একবার তার জায়গায় ভেবে দেখুন। আপনি কোন দলের দলপতি, অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের ম্যনেজার। হঠাৎ করে ম্যানেজমেন্ট এ রদবদল হল, আর আপনাকে আপনার পদ থেকে অপসারন করা হল বা নিচের সাধারন কর্মীদের স্তরে নামিয়ে দেওয়া হল। আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে? আপনার কাজে তার কি প্রভাব পড়বে? ক্ষোভ, অপমান আর রাগে সে চাকরি বা কাজ কি করতে ইচ্ছে করবে আর আপনার?? কিন্তু খালিদ (রাদিআল্লাহু আনহু) কি করেছিলেন জানেন? অপমানিত বোধ করা বা যুদ্ধ করতে অসম্মতি জানানো তো দূরে থাক, উল্টো তিনি আরও বেশী অনুপ্রেরণা আর প্রাণশক্তি নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। যখন থাকে জিজ্ঞাস করা হয়েছিল কেন, তিনি বলেছিলেন, “আমি আল্লাহ্র জন্য যুদ্ধ করি, উমরের জন্য নয়।” তিনি এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে কোন বিশেষ পদমর্যাদার জন্য নয়, কেবলমাত্র আল্লাহ-তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য যুদ্ধ করছেন তিনি




—————


——

No comments

Powered by Blogger.