107 আল্লাহকে ভয় করার মতো করুন। আম্বিয়া:৪৭,
وَ نَضَعُ الْمَوَازِیْنَ الْقِسْطَ لِیَوْمِ الْقِیٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَیْــٴًـاؕ وَ اِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَیْنَا بِهَاؕ وَ كَفٰى بِنَا حٰسِبِیْنَ
লুকমান:১৬,
یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِیْ صَخْرَةٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللّٰهُؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ
৯৯: আয-যিলযাল:৭,
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗؕ
وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ۠
* সত্যকে গোপন করার কোন সুযোগ নেই আবার তার বিরুদ্ধে কোন কৈফিয়ত চলবে না
* সুতরাং যাররা পরিমাণ গুনাহ থেকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন আল্লাহকে ভয় করার মত ভয় করা। আলে ইমরান ১০২
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
* আল্লাহর ভয় মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালনে বাধ্য করে।
* একদিন তার স্ত্রী তার স্বামী কাজের দিকে রওনা করলে পেছন থেকে ডেকে কিছু উপদেশ দিলেন যে আমার কাছে পছন্দ হলো আপনাদের কাছে এই কথাগুলো পছন্দ হবে
* স্ত্রীরা যদি স্বামীর উপার্জনের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতো অবৈধ টাকা ঘরে আসতো না, এক স্ত্রী তার স্বামীকে কাজে যাওয়ার পথে উপদেশ দিচ্ছেন
* যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না
* ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না রাজপুত্রদের হা , তিনি বাদশাহী করে দেখালেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহী । কোন । এক ঈদের উৎসব নিয়ে এলাে । তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন , তার ছােট ছোট বাচ্চারা কাদছে ।বেহেশতী নারী-১৯১
সে জন্য আল্লাহ বলেন তোমরা ভয় করার মতো ভয় কর
* ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো ,প্রথম ফেক্টুরী পিতামাতা
* আমেরিকার একটি স্কুলে,এক খৃস্টান ম্যাডাম। ছেলে কয় সাহবী হতে চাই
* হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. পনের পারার হাফেয
* দ্বিতীয় ফেক্টরী মাদরাসা,চরিত্র ঘঠনের একটা পরিবেশ,
____________________________________
২১: আল-আম্বিয়া:৪৭,
وَ نَضَعُ الْمَوَازِیْنَ الْقِسْطَ لِیَوْمِ الْقِیٰمَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَیْــٴًـاؕ وَ اِنْ كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ اَتَیْنَا بِهَاؕ وَ كَفٰى بِنَا حٰسِبِیْنَ
خَرْدَلٍ - সরিষার
কিয়ামতের দিন আমি যথাযথ ওজন করার দাঁড়িপাল্লা স্থাপন করবো। ফলে কোন ব্যক্তির প্রতি সামান্যতম জুলুম হবে না। যার তিল পরিমাণও কোন কর্ম থাকবে তাও আমি সামনে আনবো এবং হিসেব করার জন্য আমি যথেষ্ট।
৩১: লুকমান:১৬,
یٰبُنَیَّ اِنَّهَاۤ اِنْ تَكُ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ فَتَكُنْ فِیْ صَخْرَةٍ اَوْ فِی السَّمٰوٰتِ اَوْ فِی الْاَرْضِ یَاْتِ بِهَا اللّٰهُؕ اِنَّ اللّٰهَ لَطِیْفٌ خَبِیْرٌ
صَخْرَةٍ - পাথর
(আর লুকমান বলেছিল) “হে পুত্র! কোন জিনিস যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয় এবং তা লুকিয়ে থাকে পাথরের মধ্যে, আকাশে বা পৃথিবীতে কোথাও, তাহলে আল্লাহ তা বের করে নিয়ে আসবেন। তিনি সূক্ষ্মদর্শী এবং সবকিছু জানেন।
১৬) ‘হে বৎস ! কোন (পাপ অথবা পুণ্য) যদি সরিষার দানা পরিমাণও হয়[1] এবং তা যদি কোন পাথরের ভিতরে অথবা আকাশমন্ডলীতে অথবা মাটির নীচে থাকে, তাহলে আল্লাহ তাও উপস্থিত করবেন। আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সকল বিষয়ে অবগত।
[1] هَا [1] هَا সর্বনামের ইঙ্গিত যদি خَطِيئَة এর দিকে হয়, তাহলে তার অর্থ হবে আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপকর্ম। আর যদি خَصلَة এর দিকে হয়, তাহলে তার অর্থ হবে ভাল অথবা মন্দের যে কোন অভ্যাস। উদ্দেশ্য এই যে, মানুষ ভাল অথবা মন্দ কর্ম যতই গোপনে করুক না কেন, তা আল্লাহর কাছে লুক্কায়িত থাকতে পারে না; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তা উপস্থিত করে নেবেন। অর্থাৎ, তার যথাযথভাবে ভাল আমলের ভাল প্রতিদান ও মন্দ আমলের মন্দ প্রতিফল দেবেন। সরিষা দানার উদাহরণ এই জন্য দিয়েছেন যে,তা এত ছোট হয়, যার না ওজন বুঝা যায় আর না দাঁড়িপাল্লাকে ঝুঁকাতে পারে। অনুরূপ পাথর (সাধারণত বসবাসের স্থান থেকে দূরে জঙ্গল বা পাহাড়ে) একান্ত গুপ্ত ও সুরক্ষিত স্থান। এই অর্থ হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যদি কোন ব্যক্তি এমন ছিদ্রহীন পাথরেও কোন আমল করে, যার কোন দরজা বা জানালা নেই, তাহলেও আল্লাহ্ তাআলা তাও মানুষের সামনে প্রকাশ করে দেবেন সে আমল যে ধরনেরই হোক না কেন।’’ (আহমদ ৩ /২৮) এই জন্য যে, আল্লাহ তাআলা সূক্ষ্মদর্শী; তিনি অতি সূক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন। নিতান্ত গুপ্ত বস্তুও তাঁর জ্ঞান বহির্ভূত নয় এবং তিনি সর্বজ্ঞ; রাতের অন্ধকারে পিঁপড়ের চলা-ফেরা করার খবরও তিনি রাখেন।
৯৯: আয-যিলযাল:৭,
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗؕ
তারপর যে অতি অল্প পরিমাণ ভালোকাজ করবে সে তা দেখে নেবে
৯৯: আয-যিলযাল:৮,
وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ۠
এবং যে অতি অল্প পরিমাণ খারাপ কাজ করবে সে তা দেখে নেবে।
* সময় থাকতে আল্লাহকে ভয় করুন।আলে ইমরান ১০২
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
* আল্লাহর ভয় মানুষকে আল্লাহর হুকুম পালনে বাধ্য করে।
* স্ত্রীরা যদি স্বামীর উপার্জনের ক্ষেত্রে সজাগ থাকতো অবৈধ টাকা ঘরে আসতো না, এক স্ত্রী তার স্বামীকে কাজে যাওয়ার পথে উপদেশ দিচ্ছেন
স্বামী তার স্ত্রীকে বলছে,
আমি আমার
কাজে গেলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়
স্ত্রী পেছন থেকে স্বামীর
জামা টেনে ধরলেন।
তোমাকে কিছু কথা বলার ছিল,
স্বামী বলল,
হুম তোমার সমস্ত কথা শুনার জন্য
আমি প্রস্তুত আছি।
স্ত্রী তার স্বামীকে বলল,
তুমি যে ভাবেই
উপার্জন করে আনোনা কেন?
সেটা আমার জন্য হালাল,
কিন্তু আমি চাই তুমি
আমাদের জন্য পরিপূর্ণ হালাল রুজি
রোজগার করবে,
সবার স্ত্রী যদি ৫ লক্ষ
টাকার শাড়ি চায়,
তবে আমি তোমার
কাছে চাইবো এতটুকু বস্ত্র,
যা দিয়ে আমি
আমার আব্রু ঢেকে রাখতে পারবো।
কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর নিকট শান,
শৌকত ইমারত চায়,
তবে আমি তোমার নিকট
চাইবো ছোট একটা কুঠির ঘর,
যাহাতে কোন মতো রাত্রি যাপন করতে
পারি।
কোন স্ত্রী যদি তার স্বামীর নিকট স্বর্ণ
অলংকার চাই,
তবে আমি চাইবোনা,
আমি চাইবো আল্লাহ তোমার চরিত্র
স্বর্নের
মতো খাঁটি করুক,
প্রতিদিন গোস্ত পোলাও
খেতে চাইনা,
দামী রেস্টুরেন্টের কোন
ফাস্ট ফুডস খেতে চাইবোনা,
আমি দুদিন না খেয়েও থাকতে পারবো,
কিন্তু হালাল উপার্জনের একমুঠো খাবার
আমাকে
দিলেই চলবে।
তোমাকে আমি গোলামের মতো নয়,
বাদশার মতো মনে করি,
জুতার মতো তোমার স্থান পায়ে নয়,
তুমি আমার মাথার তাজ,
হৃদয়ের সব ভালবাসা তোমার
জন্য।
তোমার নিকট আমার একটাই চাওয়া,
ফরজ কাজ গুলো কখনোই অমান্য করবেনা,
নবীর সুন্নত মোতাবেক জীবন সাজাবে।
স্বামী এতক্ষণে চুপ করে সব শুনছিলেন,
স্ত্রীর বলা শেষ হলে বললেন,
তুমি আমার
কাছে রাজরানীর চাইতেও বড় কিছু,
তোমার মতো স্ত্রী এ জগতে সেই পাবে,
যে পরম সৌভাগ্যবান,
তোমার প্রতিটি কথা,
আমার জীবন চলার পথে অনেক বড়
একটা অবলম্বন।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তোমার সাথে,
আমাকে জান্নাত নসিব করুক,
"আমিন"
* যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না
* ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না রাজপুত্রদের হা , তিনি বাদশাহী করে দেখালেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহী । কোন । এক ঈদের উৎসব নিয়ে এলাে । তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন , তার ছােট ছোট বাচ্চারা কাদছে ।বেহেশতী নারী-১৯১
* ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ ঈদের দিনেও নতুন কাপড় জুটলাে না রাজপুত্রদের হা , তিনি বাদশাহী করে দেখালেন । পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাদশাহী । কোন । এক ঈদের উৎসব নিয়ে এলাে । তিনি ঘরে গিয়ে দেখলেন , তার ছােট ছোট বাচ্চারা কাদছে । বাচ্চারা কেন কাদছে । ' স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন । " ওরা বলছে , আমাদের বন্ধুরা ঈদের জন্য নতুন নতুন কাপড় বানিয়েছে । আমাদের বাবা তাে আমীরুল মুমিনীন । অথচ আমাদের কাপড় - চোপড় কত পুরাতন । প্রায় ছিড়ে যায় যায় অবস্থা । এখনাে নতুন কাপড় এলাে না । আমাদেরকে নতুন কাপড় দিতে হবে । ' স্ত্রী বললেন । ‘ আমার কাছে তাে এখন পয়সা নেই । আমি কোথেকে নতুন কাপড় এনে দেবাে ? ' উমর ইবনে আবদুল আজীজ বললেন । রাষ্ট্রীয় কোষাগার বায়তুলমাল । সেখান থেকে বেতন নিতেন । যে বেতন পেতেন তাতে খুব কষ্টে দু'বেলার রুটি তরকারি জুটতো । তবুও স্ত্রী । বললেন , “ তাহলে এখন কি করবেন ? বাচ্চাদেরকে কি করে বুঝাবেন ? নিজেরা তো ধৈর্য ধরতে পারবাে । কিন্তু বাচ্চারা তাে ধৈর্য ধরতে পারে না । ' সন্তানের সুখের জন্য মানুষ তাে ঈমানও বিক্রি করে দেয় । নিজের সব অর্জন বিসর্জন দিয়ে দেয় । তারপরও সে সন্তান বাবার চরম অবাধ্য হয় । বাবাকে বলে , তুমি আমাদের জন্য কি করেছো ? আমাদেরকে দেয়ার মতাে কি আছে তােমার ? দু'বেলা খাবার ছাড়া আর কি দিয়েছে আমাদের ?
কারণ , ওর জন্যই তাে বাপ খােদার নাফরমানী করেছে । আল্লাহ । তাআলার সন্তুষ্টিকে জলাঞ্জলী দিয়েছে । এজন্য এ সন্তান কখনাে বাবার বাধ্যগত হবে না । মা - বাবাকে সে জুতাপেটা করেও নির্বিকার থাকবে । ‘ উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( র ) এর স্ত্রী বললেন , তাহলে ওদেরকে কি করে বুঝাবোে ? ' তাহলে আমিই বা কি করে বুঝাবাে ? ' উমর এর স্ত্রী বললেন । রাখুন , আমার মাথায় একটি বুদ্ধি এসেছে । আপনি এক মাসের অগ্রিম বেতন উঠিয়ে নিন । এতে নিশ্চয় ওদের জামা - কাপড়ের ব্যবস্থা হয়ে যাবে । আমরা একটা মাস ধৈর্য ধরে কাটিয়ে দেবাে । ' স্ত্রী বুদ্ধি দিলেন । “ ঠিক আছে । ' উমর ইবনে আবদুল আজীজ বললেন । মাজাহিম তার গােলাম এবং রাজ কোষাগারের নিয়ন্ত্রকও । তাকে ডেকে বললেন , ‘ মাজাহিম মিয়া শােন , আমাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দিয়ে দাও ' । মাজাহিম শুধু খলীফা উমর ইবনে আবদুল আজীজের কর্মচারীই না , তার অধীনস্ত গােলামও । সে বলে উঠলাে , আমীরুল মুমিনীন ! ' আমি একটা কথা বলতে চাচ্ছি । ভুল হলে মাফ করে দেবেন । আপনি আমাকে এই জামানত দেবেন যে , আপনি কি আগামী এক মাস জীবিত থাকবেন ? অথচ আপনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ নিতে চাচ্ছেন । আপনি এক মাস জীবিত থাকবেন এ কথার জামানত দিতে পারলে বায়তুলমাল থেকে আপনি আপনার প্রয়ােজনীয় পয়সা নিয়ে নিন । আর যদি জামানত দিতে না পারেন তাহলে কেয়ামতের দিন আপনার গলা পাকড়াও করা হবে । '
উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( রা ) চিৎকার করে বলে উঠলেন , ' না , না , রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেছেন ,
كم من مقبل لا يكمله
কাম মিন মুক্ববিলীন লায়ুকাম্মিলুহু
কত ভবিষ্যৎ তা পূর্ণ করে না
এমন কত মানুষ আছে যারা দিনের সূর্যোদয় দেখতে পারে , কিন্তু সূর্যাস্ত দেখার আগেই দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় ।
و كم من مستقبل لغد لا يدركه
ওয়া কাম মিন মুস্তাক্ববিলিন লিগাদিন লা ইয়ুদরিকুহু
কত ভবিষ্যৎ আছে সে টের পায় না
আর এমন কত মানুষ আছে যারা আগামীকালের অপেক্ষায় থাকে । কিন্তু আগামীকালের সূর্যোদয় দেখতে পারে না । ' প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর মুখনিঃসৃত এই অনিবার্য সত্যবাণীটি হযরত উমর ইবনে আবদুল আজীজ ( র ) -এর মনে পড়লাে । তিনি বললেন , শােন বাচ্চারা ! এখানে ধৈর্য ধরাে । যা চাওয়ার আছে জান্নাতে গিয়ে । চাইবে পেয়ে যাবে । আমার কাছে এখন আর কিছু নেই তােমাদেরকে দেয়ার মতাে । আল্লাহর নির্দেশ ভাঙ্গেননি । নির্দেশের সীমা অতিক্রম করেননি । ব্যচ্চাদের মনের সাধ - স্বপ্ন ভেঙ্গেছেন । নিজের মনের ইচ্ছার বলি দিয়েছেন প্রয়ােজনকে বিসর্জন দিয়েছেন । এভাবেই “ লা - ইলা - হা ইল্লাল্লাহ ' এর গােলাম হয়ে যেতে হবে । স্ত্রী সন্তানদের গােলাম নয় । ব্যবসা বাণিজ্যের গােলাম নয় । বাদশাহীর গােলাম । নয় । ক্ষমতার গোলাম না ।( বেহেশতী নারী-১৯১)
* ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো ,প্রথম ফেক্টুরী পিতামাতা
* আমেরিকার একটি স্কুলে,এক খৃস্টান ম্যাডাম। ছেলে কয় সাহবী হতে চাই
ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো--
শোনা কথা, সত্য-মিথ্যা জানিনা,
"শিক্ষনীয়" মনে করতেছি, তাই
সবার উপকার্থে পোষ্ট করলাম...!!
আমেরিকার একটি স্কুলে,
ছোট্ট বাচ্চাদের ক্লাস নিচ্ছেন
এক খৃস্টান ম্যাডাম।
ক্লাসের এক ফাঁকে ম্যাডাম
বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ-
তোমরা বড় হয়ে কে কি হতে চাও..??
সবাই এক এক করে বলতে লাগলো,
আমি পাইলট হবো,
চাঁদের দেশে যাবো।
কেউ কেউ বললো
ডাক্তার,বিজ্ঞানি, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।
ম্যাডাম লক্ষ্য করলেন
ছোট্ট একটি ছেলে সে কিছুই
বলছে না।
ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন
তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও..??
ছেলেটি বলল, আমি বড় হয়ে
'সাহাবী' হতে চাই।
ম্যাডাম থমকে গেলেন! মনে মনে
ভাবলেন 'সাহাবী' আবার কি..??
ম্যাডাম ক্লাস শেষ করে সেই
ছেলেটির মায়ের কাছে ফোন
দিলেন।
ছেলেটির মাকে বললেন,
আপনার ছেলে বড় হয়ে 'সাহাবী'
হতে চায়, এখন আমি
জানতে চাই 'সাহাবী' মানে কি?
ছেলেটির মা বলল-ফোনে 'সাহাবী'
চিনানো যাবে না।
আপনি যদি বাসায় আসেন,
আমি বুঝিয়ে দিবো।
অমূল্য হেদায়াত যেন
সেই খৃস্টান ম্যাডামকে
হাতছানি দিয়ে ডাকতেছে...!!
পরদিন ম্যাডাম সেই ছেলেটির
বাসায় গেলেন। ছেলেটির মা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর আগমনের
পূর্বে অন্ধকার যুগের চিত্র
তুলে ধরলেন।
নারীদের অবমাননা,
দূর্বলদের প্রতি সবলদের অত্যাচার,
মারামারি ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদির
কথা বললেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
ছোঁয়ায় পৃথিবী আলোকিত হওয়া,
নারীরা সম্মান পাওয়া,
ধনী গরীব সমান হওয়া ইত্যাদি
স্বর্ণালি যুগের কথা বললেন।
তুলে ধরলেন সাহাবীদের জীবন
চলার পাথেয়। বিশিষ্ট চার
সাহাবীর জীবন কাহিনী বললেন।
ম্যাডাম সাহাবীর পরিচয় জানতে
এসে, ইসলাম ধর্মের পরিচয় জানলেন।
ছেলেটির মাকে বললেন,
ইসলামি কিছু বই দেওয়ার জন্য।
ছেলেটির মা ইংরেজি অনুবাদের
একটি আল-কোরআন
আর কিছু ইসলামি বই দিলো।
বই গুলো পড়ে সেই ম্যাডাম
কিছু দিন পর ইসলামের
ছায়াতলে আশ্রয় নিলেন....!!
সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম
'মা' তো এমনি হওয়া চাই।
নিজ সন্তানকে রুপকথার
রাজ্যের কাল্পনিক কাহিনী না বলে
ইসলামের কথা বললেন।
ফলে এই ছোট্ট শিশুটির মাধ্যমে
একজন খৃস্টান ম্যাডাম ইসলাম
গ্রহণ করলেন।
এটাতে শিক্ষনীয় বিষয় হলো,
পিতামাতার উচিত এরকম
ধার্মিক করে সন্তান গরে তোলা।
তা-নাহলে কিয়ামতে আপনার
শাস্তি সন্তানের চাইতেও দিগুন হবে।
* হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. পনের পারার হাফেয
* হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এতো বড় অলি হওয়ার পেছনে ছিল মায়ের অবদান।
হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এর বাল্যকাল
--পাঞ্জাবি ওয়ালা
বখতিয়ার কাকী রহ. কে তার মা সবক পড়ানোর জন্যে মাদরাসায় নিয়ে গেছেন, উস্তাদ তাকে পড়াতে লাগলেন, অালিফ, বা, তা, ছা,। সে পড়তে লাগলো -
এবং একাধারে পনের পারা শুনিয়ে দিলো।
শিক্ষক বললেন,আরে বাবা,তোমার মা আমার সাথে মস্করা করলেন! ঘড়ে ফিরে এসে মাকে বললো, মা! তোমার ছেলে তো আমাকে পনের পারা শুনিয়ে দিয়েছে। সে পনের পারার হাফেজ। সে পনের পারা কিভাবে হেফজ করলো। অথচ আপনি তাকে আলিফ বা তা ছা পড়ার জন্যে পাঠিয়েছেন। বখতিয়ার কাকী রহ. -এর মা বললেন, আমি যখন তাকে দুধ পান করাতাম কুরআন শরীফ পড়ে পড়ে পান করাতাম। তা শুনে শুনেই সে পনের পারার হাফেজ হয়ে গেছে। সুবহানআল্লাহ
আমরা জানি শিশুদের স্মৃতিশক্তি খুবই পরিচ্ছন্ন হয়। মা দুধ দিয়েছেন, সাথে কুরআনে কারীমের আয়াত দিয়েছেন।
দুধের সাথে সাথে অন্তরে কুরআনে কারীমের আয়াতও অংকিত হয়ে গেছে।
পক্ষান্তরে শিশু দুধ পান করছে। ঘরে চলছে গান। এখানে এই শিশুর কাছে আমরা ভবিষ্যতে কী প্রত্যাশা করবো? প্রথম দিন থেকেই তো তার কানে বিষ ঢালা হচ্ছে। হযরত লোকমান আ. তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন, আল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করো না '। সুতরাং মায়ের কাজ হবে সন্তানকে সর্বপ্রথম এ কথা শেখানো, আল্লাহর কোন শরীক নেই। সবকিছু একমাত্র আল্লাহই করেন।
একজন মা শুধু একজন সাধারন নারী নয়, তারা এক এক জন এক একটি আদর্শ জাতি গড়ার কারিগর।
আল্লাহ সকলকে ইবরত হাসিল করার তৌফিক দান করুন
* খালা ! একটু পানি পড়া আর একটা তাবিজ দেন।
–কেনো, কি সমস্যা?
–ছেলে কথা শুনেনা খালা! আমাদের খেদমতও করতো চায়না।
এত্তো কস্ট করে লেখাপড়া শিখায়েছি।
বিয়াও করাইছি। কিন্তু সে এখন আমাদের ঠিকমতো খোজ খবর লয়না। কয়দিন আগে জগড়া করে বউ নিয়ে আলাদা হয়ে গেছে ।
–হুম…আপনার ছেলের নাম কি?
কি কাজ করে?
–জে, ছেলের নাম সুমন মিয়া।
ঢাকা একটা কোম্পানিতে চাকরি করে।
অনেক টাকা বেতন পায়।
–বুঝলাম, আপনার অভিযোগ ছেলেকে লালন পালন করে বড় করেছেন, অনেক টাকা-পয়সা খরচ করে লেখা পড়া শিখিয়েছেন।
আর সে এখন মোটা বেতনে চাকরি পেয়ে বিয়ে করে বাপ মাকে অর্থাৎ আপনাদের ছেড়ে আলাদা হয়ে গেছে, এই তো?
— জি জি খালাএকদম ঠিক বলেছেন ! আমরা তো বৃদ্ধ হয়ে গেছি কিন্তু
পোলা আমাদের কোন হকই আদায় করতাছে না। টাকা পয়সাও দেয়না।
–হুম, আপনারা আগে ছেলের হক ঠিকমতো আদায় করেছেন তো!
–কি বলেন খালা ! সবই তো করছি!
–হুম…আচ্ছা একটা কথা বলুন তো মা।
আপনার ছেলের জন্মের পর তার ডান কানে আযান বাম কানে একামত দিয়েছেন? কিংবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন ?
–না…তা তো করিনি খালা
–আচ্ছা, আপনার ছেলের নাম যে সুমন রাখছেন এটা কি কোন মুসলমানের নাম নাকি হিন্দুদের নাম সেটা যাঁচাই করে রাখছেন?
–(মাথা চুলকে)না… তা তো জানিনা খালা।
–আচ্ছা, আপনার ছেলেকে কি সাত বছর বয়সে নামায শিক্ষা, কুরআন শিক্ষা দিয়েছিলেন?
–স্কুলের পড়া লইয়া বেস্ত থাকতো খালা ! প্রাইভেট, (কোচিং)এই গুলার জন্য ঠিকমতো শিখবার টাইম পায়নাই , তার পরেও মক্তবে গিয়ে একটু শিখছে।
কোনরকম পড়তে পারে।
কিন্তু এখন আর পড়ে টরে না।
–ভাল কথা, আচ্ছা বলুন তো দশ বছর বয়সের পর নামায না পড়ার কারনে কয়দিন শাসন করেছেন? কয়দিন প্রহার করেছেন?
–বলেন কি খালা ! নামাজের জন্য মাইর দেব..!? পোলারে কুনদিন একটা চড় পর্যন্ত মারিনাই খালা ! বড় আদরের পোলা আছিলো!
–হুম…ছেলেকে যেই মেয়ে বিয়ে করিয়েছেন সে মেয়ে কি পর্দা করে? নামায পড়ে?
–এই মোটামুটি পর্দা করে আরকি! নামাজ মাঝে মাঝে পড়ে। কিন্তু টিভি দেখার অভ্যস্থ খুব বেশি খালা !
স্টার জলসা নামে কি যেন একটা চ্যানেল আছে, ওইডা দেখে দিনরাইত।
–হুম…আশ্চর্য!
আপনি দেখি তেতুল গাছ লাগিয়ে আংগুর ফল খাওয়ার আশায় আছেন!
–ঠিক বোঝলাম না খালা !
–আপনারা বাপ মা ই তো সন্তানের হক নষ্ট করেছেন আগে!
–কি রকম খালা !
–তাইলে শোনেন,
✔সন্তান জন্মের পর তার ডান কানে আযান, বাম কানে ইকামত দেয়া সন্তানের হক।
✔একটা সুন্দর ইসলামী নাম রাখা সন্তানের হক ছিলো।
✔কুরআন শিক্ষা সহ ধর্মীয় ফরয দ্বীনী ইলম শিক্ষা দেয়া সন্তানের প্রাপ্য হক ছিলো।
✔সন্তানকে নামায শিখানো ও তাতে অভ্যস্ত করা আপনাদের উপর কর্তব্য ছিল।
✔দ্বীনদার পাত্রী বিয়ে করানো আপনাদের দায়িত্ব ছিলো।
✔এইগুলার কোন হকটা আপনি সঠিকভাবে আদায় করেছেন?
✔কোন দায়িত্ব ও কর্তব্যটা সঠিকভাবে পালন করেছেন?
–এমন কইরা তো কুনসুম ভাইবা দেহি নাই খালা !
–হুম…সন্তানের এসব প্রাপ্য হক যখন আদায় করেন নাই বরং বন্চিত করেছেন,
এখন সন্তানও আপনাদের হক আদায় করবে না, এটাই তো স্বাভাবিক।
কাজেই এখন আর পানি পড়া আর তাবিজ নিয়া কি লাভ!! আমি এইসব দেই না।
তাবিজ দেওয়া শিরক।
কথায় আছে –
“কাঁচা থাকতে না নোয়ালে বাঁশ
পাকলে করে ঠাস ঠাস!!”
* দ্বিতীয় ফেক্টরী মাদরাসা,চরিত্র ঘঠনের একটা পরিবেশ,
No comments