108 সব মানুষ নিঃপ্রান ছিল
* জীবিত লোকদের ন্যায় মুর্দাদের প্রতি অনুগ্রহ করলে ও তার বিনিময় রয়েছে
كَیْفَ تَكْفُرُوْنَ بِاللّٰهِ وَ كُنْتُمْ اَمْوَاتًا فَاَحْیَاكُمْ١ۚ ثُمَّ یُمِیْتُكُمْ ثُمَّ یُحْیِیْكُمْ ثُمَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ
هَلْ اَتٰى عَلَى الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ یَكُنْ شَیْئًا مَّذْكُوْرًا
اِنَّا خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَةٍ اَمْشَاجٍ١ۖۗ نَّبْتَلِیْهِ فَجَعَلْنٰهُ سَمِیْعًۢا بَصِیْرًا
اِنَّا هَدَیْنٰهُ السَّبِیْلَ اِمَّا شَاكِرًا وَّ اِمَّا كَفُوْرًا
* দুনিয়ায় থাকার জায়গা নয়।
قُلْ اِنَّ الْمَوْتَ الَّذِیْ تَفِرُّوْنَ مِنْهُ فَاِنَّهٗ مُلٰقِیْكُمْ ثُمَّ تُرَدُّوْنَ اِلٰى عٰلِمِ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَةِ فَیُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ۠
* একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর ও মোন আমার, কেনো বান্ধ দালান ঘর
#পৃথিবী টা হচ্ছে ভাড়া বাড়ীর মতো। যতই সাজাই না কেনো,
মালিকের নোটিশ পেলে
ঠিক ছেড়ে দিতে হবে।
* মুসাফির হায় সবহে সাম কবর আখের ঠিকানা--
* দুদিনের এই দুনিয়াতে সবাই মুসাফির,
এ সংসারের মোহ মায়ায় হই কেন অধির।
যায়না বোঝা কখনো যে ভাগ্যের এ লিখন,
ভাঙা গড়া এই জিবনে আছে সারাক্ষণ।
* #পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয়না
হোক না সে ফেরাউন কিবা নমরুদ,কেউ ভবে চিরকাল রয় না।
# চলে যায় সব ছেড়ে যেতে হয়
মৃত্যু মানে না কোনো পরিচয়,
সব রাজা মহারাজা আর
মহাবীর কাউকে সে অবকাশ দেয় না।
# ফেরাউন শেষতক ছিল না
মৃত্যু তাকেও ছেড়ে দিল না,
থেকে গেছে তার সব স্মৃতি চিহ্ন,
কেউ আজ তার কথা কয় না।
* কবরে #দোয়া আর নেক আমল ছাড়া বাচার কোন ব্যবস্থা নাই, মৃত ব্যক্তি নেকের অপেক্ষায় থাকে
* সন্তানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়জন তার বাবা-মা। তাদের নিঃস্বার্থ যত্ন ও ভালোবাসায় সন্তান বড় হয়। সে মা বাবা কবরে সন্তানের কাছ থেকে নেক পাওয়ার অপেক্ষায় থাকে
* যারা কবরে চলে গেছে, আমলনামা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা আমাদের থেকে দোয়ার অপেক্ষায় আছে
* #মালেক ইবনে দিনার রহ: জুমার রাত্রিতে গোরস্থানে গিয়ে দেখেন,নূর চমকাইতেছে-প্রথম রাকাতে কাফেরুন দ্বিতীয় রাকাতে ইখলাস,কবরের জীবন-191
* জুমার রাত্রিতে কবরের ব্যক্তি তার পরবার পরিজনের কাছে এসে নেক পাওয়ার প্রত্যাশায় ডাকতে থাকে- কবরের জীবন-192
________________________________________________________
২ আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২৮
كَیْفَ تَكْفُرُوْنَ بِاللّٰهِ وَ كُنْتُمْ اَمْوَاتًا فَاَحْیَاكُمْ١ۚ ثُمَّ یُمِیْتُكُمْ ثُمَّ یُحْیِیْكُمْ ثُمَّ اِلَیْهِ تُرْجَعُوْنَ
তোমরা আল্লাহর সাথে কেমন করে কুফরীর আচরণ করতে পারো। অথচ তোমরা ছিলে প্রাণহীন, তিনি তোমাদের জীবন দান করেছেন। অতঃপর তিনি তোমাদের প্রাণ হরণ করবেন এবং অতঃপর তিনি তোমাদের জীবন দান করবেন। তারপর তাঁরই দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে।
৭৬ আদ-দাহর, আয়াত: ১
هَلْ اَتٰى عَلَى الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ یَكُنْ شَیْئًا مَّذْكُوْرًا
মানুষের ওপরে কি অন্তহীন মহাকালের এমন একটি সময়ও অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কোন জিনিসই ছিল না?
৭৬ আদ-দাহর, আয়াত: ২
اِنَّا خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَةٍ اَمْشَاجٍ١ۖۗ نَّبْتَلِیْهِ فَجَعَلْنٰهُ سَمِیْعًۢا بَصِیْرًا
আমি মানুষকে এক সংমিশ্রত বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছি যাতে তার পরীক্ষা নিতে পারি। এ উদ্দেশ্যে আমি তাকে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তির অধিকারী করেছি।
৭৬ আদ-দাহর, আয়াত: ৩
اِنَّا هَدَیْنٰهُ السَّبِیْلَ اِمَّا شَاكِرًا وَّ اِمَّا كَفُوْرًا
আমি তাকে রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছি। এরপর হয় সে শোকরগোজার হবে নয়তো হবে কুফরের পথ অনুসরণকারী।
* ৬২ আল-জুমুয়াহ, আয়াত: ৮
قُلْ اِنَّ الْمَوْتَ الَّذِیْ تَفِرُّوْنَ مِنْهُ فَاِنَّهٗ مُلٰقِیْكُمْ ثُمَّ تُرَدُّوْنَ اِلٰى عٰلِمِ الْغَیْبِ وَ الشَّهَادَةِ فَیُنَبِّئُكُمْ بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ۠
তাদের বলো, যে মৃত্যু থেকে তোমরা পালাচ্ছো তা তোমাদের কাছে আসবেই তারপর তোমাদেরকে সেই সত্তার সামনে পেশ করা হবে যিনি গোপন ও প্রকাশ্য সবকিছুই জানেন। তখন তিনি তোমাদের জানিয়ে দেবেন যা তোমরা করছিলে।
* মালেক ইবনে দিনার রহ: জুমার রাত্রিতে গোরস্থানে গিয়ে দেখেন,নূর চমকাইতেছে-প্রথম রাকাতে কাফেরুন দ্বিতীয় রাকাতে ইখলাস,কবরের জীবন-191
ঐতিহাসিক ইবনে নাজার স্থীয় ইতিহাস গ্রন্থে হযরত মালেক ইবনে দিনার রহমাতুল্লাহ আলাই হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, হযরত মালেক ইবনে দিনার রহমাতুল্লাহ আলাই বলেন, একদা আমি জুমার রাত্রিতে এক গোরস্থানে গিয়ে দেখলাম তথায় নুর চমকাইতেছে, আমি ধারণা করিলাম, আল্লাহ তায়ালা এই গুরুস্থান বাসি গনকে ক্ষমা করিয়ে দিয়েছেন, আওয়াজ আসছিল, হে মালেক ইবনে দিনার ইহা মুসলমান বন্ধুগণের উপঢৌকের ফল,যাহা তাহারা কবর বাসি বন্ধুগণ এর নিকট প্রেরণ করেছেন, আমি বলিলাম তোমাকে আল্লাহর শপথ করিয়া জিজ্ঞাসা করতেছি, আমাকে একটু বলো না ইহা কিরূপ উপঢৌকন, উত্তর আসলো, জনৈক মুমিন ব্যক্তি অজু করিয়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর সূরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর সূরা এখলাছ পরিয়া বলিল,হে পরওয়ারদিগার এই দুই রাকাত নামাজের সওয়াব আমি এই কবরস্থানের অধিবাসী আমার মুসলমান বন্ধুগণ এর জন্য বকশিশ দিলাম, ইহার বিনিময় আল্লাহ তায়ালা এই আলো ও নূরের ব্যবস্থা করিয়া দিয়া আমাদের কবরকে প্রশস্ত করিয়া দিয়াছেন, হযরত মালেক ইবনে দিনার বলেন, ইহার পর হইতে প্রতিদিন জুমার রাতে আমি নিয়মিত এই নিয়ম অনুসারে দুই রাকাত নামাজ আদায় করিয়া মুর্দার দের নামে সোয়াব রেসানী করিতে থাকি, অবশেষে একদিন আমি জনাব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে স্বপ্নে দেখিলাম, তিনি বলিতেছেন, হে মালেক ইবনে দিনার, আমার উম্মত বর্গের জন্য তুমি যেই পরিমান নূরের উপহার প্রেরণ করিয়াছো, আল্লাহ তাআলা উহার সমান সংখ্যক ক্ষমা এবম ওই পরিমাণ সওয়াব তোমাকে দান করিয়াছেন, আর তোমার জন্য চিরশান্তির আলোয় বেহেশতে আল্লাহ তায়ালা প্রাসাদ নির্মাণ করিয়াছেন, যাহার নাম রাখা হইয়াছে মানীফ, (কবরের জীবন পৃষ্টা-191 )
* একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর ও মোন আমার কেনো বান্ধ দালান ঘর এটা আমার আপনার কাছে গান হলেও এটাই সত্যি!
মানুষ যদি একটু খানি সময় বসে তার নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে তবেই তার উত্তর পেয়ে যাবে!
আমি কোথা থেকে এসেছি আবার আমি কোথায় চলে যাবো!
কে আমাকে এই দুনিয়ার বুকে পাঠিয়েছে কেনো পাঠিয়েছেন তা হলেই আর কেউ কারো সাথে হিংসা বিদ্যাশ ছেড়ে দিতো!
হে আল্লাহ আমরা সবাই তো এই কথাটা বিশ্বাস করি যে আমাদের একদিন এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে চলে জেতে হবে এই মাটির ঘরে একদম খালি হাতে!
আল্লাহ আমরা যাওয়ার আগে জেনো খাঁটি মুসলমান হয়ে এই কবরে জেতে পারি আপনি আমাদের সবাই কে সেই তৌফিক দান করুণ... আমিন
* আসসালামু আলাইকুম।
👉🐜 ১ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে!
পাশ দিয়ে ছোট্র একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল!
মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল!
ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই!
তারপর না হয় সামনে যাবো!
এক চুমুক খেলো! বাহ্! খুব মজা তো!
আর একটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো!
তারপর সামনে চলতে লাগলো!
হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল!
ভাবলো,এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়?
আবার পিছনে ফিরলো!
পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল!
এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা!
এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল!
বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে!
খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল!
ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে!
তখনই হঠ্যাৎ টনক নড়লো তার!
কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে!
মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে!
কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা!
অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না!
নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল!
অবশেষে.. পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল!!
হে দুনিয়া লোভি ব্যক্তিরা সতক হও.
এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত!
যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেল!
আর যে এই স্বাদের মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে হালাল-হারাম বাচ-বিচার না করে শুধু খেয়েই গেল,আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকা পড়েই মারা যাবে!
তখন আর কেউই উদ্ধার করতে পারবে না!
ধ্বংস অনিবার্য!
তার দুনিয়া ও আখেরাত দু'টোই শেষ!
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে এই দুনিয়ার ভালাবাসায় অন্ধ করে দিওনা! আমাদেরকে হালাল-হারাম বেছে চলার তাওফিক দান করুন।
#সংগৃহিত
মৃত মা-বাবার জন্য সন্তানের করণীয়
ধর্ম ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭:০৬ পিএম
images
সন্তানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়জন তার বাবা-মা। তাদের নিঃস্বার্থ যত্ন ও ভালোবাসায় সন্তান বড় হয়। পৃথিবীর কোনো পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে এই ভালোবাসা নির্ণয় করা সম্ভব না। নিজে ভালোমতো না খেয়ে, ভালো পোশাক পরিধান না করে সন্তানের কল্যাণে ছায়ার মতো লেগে থাকেন মা-বাবা। এমন দরদিরা যখন চিরদিনের জন্য বিদায় নেন, তাদের জন্য অনেক কিছুই করার থাকে সন্তানের। কবরে তাদের প্রশান্তির জন্য, মাগফিরাতের জন্য স্বয়ং আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। যেমন—
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
‘রাব্বির হামহুমা কামা রব্বায়ানি সগীরা’
অর্থাৎ “হে আমার রব, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)
পবিত্র কুরআনে আরো বর্ণিত হয়েছে—
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
‘রাব্বানাগ ফিরলী ওয়াল ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব’
অর্থাৎ ‘হে আমাদের রব, রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করে দিন’। (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
এছাড়া আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মা-বাবার জন্য দোয়া করার বিশেষ নিয়ম শিক্ষা দিতে গিয়ে বলেন-
رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيْتِيَ مُؤْمِنًا وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَلَا تَزِدِ الظَّالِمِينَ إِلَّا تَبَارًا
‘রাব্বিগফিরলী ওয়াল ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনান ওয়ালিল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনাতি ওয়ালা তাঝিদিজ জোয়ালিমীনা ইল্লা তাবারা’
অর্থাৎ ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি জালেমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না’। (সুরা নূহ: ২৮)
_______________
সম্বল,নামায,রোযা হজ্জ আযাব দিতে বাধা প্রদান করিবে,জান্নাত দেখিতে পাইবে,ফেরেস্তাগন সূব সংবাদ জানাবে,(কবরের জীবন-188)
No comments