Header Ads

Header ADS

111 মৃত্যু যন্ত্রণা মহাসত্য

111 মৃত্যু যন্ত্রণা মহাসত্য

* মৃত্যুর যন্ত্রণা মহাসত্য সেটা মানুষ মৃত্যুর সময় টের পাবে। ৫০: ক্বা-ফ: ১৯

وَ جَآءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ١ؕ ذٰلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِیْدُ

* দুনিয়া একটি মৃত ছাগলের বাচ্চার মতো: নবীজি বাজারের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তার ধারে মৃত ছাগলের বাচ্চা পরে আছে দেখতে পান

* আমরা প্রাচুর্যে বিমুর হয়ে আছি। যারা অল্পতে হালালে তুষ্ট থাকে তারাই বেঁচে গেল। #১ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে!

পাশ দিয়ে ছোট্র একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল!

* কত রাজা কত বাদশা কত আমির কত উমাইরা

* আমরা সেই মৃত্যুকে ভুলে দুনিয়ার #হাঁসি তামাশার মধ্যে লিপ্ত। এই রং তামাশার দিন থাকবে না। সব মুছে যাবে

* হায়রে জীবন মৃত্যুই শেষ ঠিকানা,পৃথিবীর সব রেশ মুছে যাবে, তখন আর কেউ সাথী থাকবে না, সাথী থাকবে না

আমার যখন ফুরাবে দিন আসবে গহীন রাতী,থেকো প্রভু এই জীবনে হয়ে চিরসাথী আসবে গহীন রাতী


* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে

* কার মৃত্যু কখন কোথায় হবে জানা নেই। কার মৃত্যু ঘরে বাজারে শশুর বাড়িতে হয় জানা নেই 

* কার জানি কাফনের কাপড় বাজারে এসে গেছে আমাদের কারো জানা নেই। এখনো সময় আছে আল্লাহ নবীর নাম লও আল্লাহ নবীর নাম।

* মসজিদের পালকি হবে প্রত্যেকের জন্য কবরে যাইবার পরিবহন। এই পরিবহনে সবাইকে উঠতে হবে। প্রিয়জনরা চলে আসবে দৌড়ে আমাকে দাফন কাফন করার জন্য। জানাজার পর চারজন কাঁধে নিবে। কবরের দিকে রওয়ানা করিবে। কবরের পার্শে গিয়ে কবরে দুইজন নামবে। মুর্দার মনে মনে ভাববে এই দুইজন যদি মনে হয় আমার সাথে থাকবে। কিন্তু যখন এই দুইজন ব্যক্তি কবর থেকে উপরে উঠে যায়। তখন মুর্দার বোয়া বোবায়া কান্দে দুনিয়ার নিষ্ঠুরেরার আমাকে কই রাইখা গেলি। এই চিৎকার দুনিয়ার কোন মানুষ ও জিন শুনতে পায়না। মানুষ জিন ছাড়া দুনিয়ার সব প্রাণী শুনতে পায়

* আইসো একা যাইবা একা সঙ্গে যাবে কি সঙ্গে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী

* কবরের সাইজ সবার জন্য এক রকম

লঞ্চে vip কেবিন,

ট্রেনে vip কেবিন,

প্লেনে vip দের জন্য আলাদা সিট,

কিন্তু আজ পর্যন্ত vip দের জন্য আলাদা কোনো কবর দেখিনি!

* কবরের জগতটা ভিআইপি হবে যদি ভিআইপি আমল নিয়ে কবরে দেওয়া যায়

* কারো জন্য হবে জান্নাতের বাগান

* আমরা তো আহাম্মকের জিন্দেগি অতিবাহিত করছি পরকালের কোন প্রস্তুতি আমরা নিতে পারিনি


_______________________________________________________

* এক দুনিয়াদার ব্যক্তি তার মার্সিডিজ গাড়ীতে স্ত্রী , ছেলে , মেয়ে নিয়ে আনন্দ ভ্রমনে বেরিয়েছে


* দুনিয়া একটি মৃত ছাগলের বাচ্চার মতো:


عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِالسُّوقِ، دَاخِلًا مِنْ بَعْضِ الْعَالِيَةِ، وَالنَّاسُ كَنَفَتَهُ، فَمَرَّ بِجَدْيٍ أَسَكَّ مَيِّتٍ، فَتَنَاوَلَهُ فَأَخَذَ بِأُذُنِهِ، ثُمَّ قَالَ, ্রأَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنَّ هَذَا لَهُ بِدِرْهَمٍ؟ فَقَالُوا, مَا نُحِبُّ أَنَّهُ لَنَا بِشَيْءٍ، وَمَا نَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ, ্রأَتُحِبُّونَ أَنَّهُ لَكُمْ؟ قَالُوا, وَاللهِ لَوْ كَانَ حَيًّا، كَانَ عَيْبًا فِيهِ، لِأَنَّهُ أَسَكُّ، فَكَيْفَ وَهُوَ مَيِّتٌ؟ فَقَالَ, ্রفَوَاللهِ لَلدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللهِ، مِنْ هَذَا عَلَيْكُمْ


হজরত জাবের (রাদি.) বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি বাজারের নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। তাঁর দু’পাশ দিয়েই লোকজন আসা যাওয়া করছিল। হঠাৎ তিনি রাস্তার ধারে একটি মৃত ছাগলের বাচ্চা পড়ে থাকতে দেখলেন। মৃত ছাগলের বাচ্চাটি ত্রুটিযুক্তও ছিল; কানগুলো ছিল ছোট ছোট। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম কানে ধরে ছাগলের বাচ্চাটিকে উপরে তুললেন। এরপর বললেন, তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কি এক দেরহামের বিনিময়ে এ মৃত বাচ্চাটিকে কিনতে প্রস্তুত আছ? সাহাবায়ে কেরাম বলেন, এক দেরহাম তো দূরের কথা, সামান্য জিনিসের বিনিময়েও কেউ এটি কিনতে প্রস্তুত হবে না। এটা নিয়ে কি করবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বাদ দাও এক দেরহাম, তোমদের মধ্যে কেউ কি এটাকে ফ্রি নিতে প্রস্তুত আছ? সাহাবায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর কসম, বাচ্চাটি যদি জীবিত হত তা হলেও এটি কেউ নিতে প্রস্তুত হত না। কারণ এটি ত্রুটিযুক্ত, এর কানগুলো ছোট ছোট। জীবিত থাকতেই যখন কেউ নিত না, মৃত অবস্থায় কে নেবে?


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের দৃষ্টিতে মৃত এ ছাগলের বাচ্চাটি যতটা মূল্যহীন ও তুচ্ছ জিনিস, দুনিয়া এর চেয়েও বেশি মূল্যহীন ও তুচ্ছ। তোমাদের মধ্যে কেউ মৃত এ বাচ্চাটিকে ফ্রি নিতেও প্রস্তুত নয় অথচ যে দুনিয়া আল্লাহ তায়ালার কাছে এর চেয়েও বেশি মূল্যহীন ও তুচ্ছ, তোমরা তার পেছনেই দিনরাত লেগে আছ।


____________________________


কার মৃত্যু কখন কোথায় হবে জানা নেই। কার মৃত্যু ঘরে বাজারে শশুর বাড়িতে হয় জানা নেই 

* কার জানি কাফনের কাপড় বাজারে এসে গেছে আমাদের কারো জানা নেই। এখনো সময় আছে আল্লাহ নবীর নাম লও আল্লাহ নবীর নাম।

* মসজিদের পালকি হবে প্রত্যেকের জন্য কবরে যাইবার পরিবহন। এই পরিবহনে সবাইকে উঠতে হবে। প্রিয়জনরা চলে আসবে দৌড়ে আমাকে দাফন কাফন করার জন্য। জানাজার পর চারজন কাঁধে নিবে। কবরের দিকে রওয়ানা করিবে। কবরের পার্শে গিয়ে কবরে দুইজন নামবে। মুর্দার মনে মনে ভাববে এই দুইজন যদি মনে হয় আমার সাথে থাকবে। কিন্তু যখন এই দুইজন ব্যক্তি কবর থেকে উপরে উঠে যায়। তখন মুর্দার বোয়া বোবায়া কান্দে দুনিয়ার নিষ্ঠুরেরার আমাকে কই রাইখা গেলি। এই চিৎকার দুনিয়ার কোন মানুষ ও জিন শুনতে পায়না। মানুষ জিন ছাড়া দুনিয়ার সব প্রাণী শুনতে পায়

* আইসো একা যাইবা একা সঙ্গে যাবে কি সঙ্গে যাবে দুটি নাম আল্লাহ আর নবী

* কবরের সাইজ সবার জন্য এক রকম

লঞ্চে vip কেবিন,

ট্রেনে vip কেবিন,

প্লেনে vip দের জন্য আলাদা সিট,

কিন্তু আজ পর্যন্ত vip দের জন্য আলাদা কোনো কবর দেখিনি!

* কবরের জগতটা ভিআইপি হবে যদি ভিআইপি আমল নিয়ে কবরে দেওয়া যায়

* কারো জন্য হবে জান্নাতের বাগান

* আমরা তো আহাম্মকের জিন্দেগি অতিবাহিত করছি পরকালের কোন প্রস্তুতি আমরা নিতে পারিনি

 * বাদশা হারুনুর রশীদের আমলে ‘বাহলুল’ নামক বড় এক আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি ছিলেন। আল্লাহর মহব্বতে পাগল এ বুযুর্গের সাথে বাদশা হাস্য-কৌতুক করতেন। পাগল হলেও জ্ঞানী সুলভ কথা বলতেন। বাদশা তার প্রহরীকে বলে রেখেছিলেন, এ ব্যক্তিটি আমার সাক্ষাতে যখনই আসতে চায়, তখনই তাকে আসতে দিও। সুতরাং যখন খুশি তিনি রাজ দরবারে হাজির হতেন।


একদিন তিনি দরবারে প্রবেশ করে বাদশা হারুনুর রশীদের হাতে একটি ছড়ি দেখতে পেলেন। হারুনুর রশীদ কৌতুক করে বললেন, ‘বাহলুল সাহেব তোমার কাছে একটা অনুরোধ রাখব’। বাহলুল বললেন, কী অনুরোধ? হারুনুর রশীদ তাকে ছড়িটি দিয়ে বললেন, ‘এটা তোমাকে আমানত স্বরূপ দিচ্ছি’। পৃথিবীর বুকে তোমার চেয়ে বড় কোনো বেকুব যদি খুঁজে পাও তাকে আমার পক্ষ থেকে এটি উপহার দেবে।’ ‘আচ্ছা ঠিক আছে’ বলে ছড়িটি বাহলুল নিজের কাছে রেখে দিল। আসলে বাদশা ঠাট্টা করে বাহলুলকে এটাই বুঝাতে চাচ্ছিলেন যে, তোমার চেয়ে বড় নির্বোধ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। যা হোক তখনকার মতো বাহলুল ছড়ি নিয়ে দরবার থেকে চলে গেল।


কয়েক বছর পরের ঘটনা। একদিন বাহলুল জানতে পারল, হারুনুর রশিদ খুব অসুস্থ, শয্যাশায়ী। তাঁর চিকিৎসা চলছে, কিন্তু কোনো ফল দিচ্ছে না। বাহলুল বাদশার শুশ্রুষার জন্য তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিরুল মুমিনীন কেমন আছেন?’ বাদশা বললেন, ‘অবস্থা আর কি, সামনে সুদূর সফর উপস্থিত’।


– বাহলুল জিজ্ঞেস করল, ‘কোথাকার সফর?’


– আখেরাতের সফর! এখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি।


– কতদিন পর ফিরে আসবেন?


– আরে ভাই! এটাতো আখেরাতের সফর। এ সফরে গেলে কেউ আর ফিরে আসে না।


– আচ্ছা আপনি তো এ সফর থেকে আর ফিরবেন না, তাই সফরে আরাম ও সুবিধার জন্য কী কী ব্যবস্থা করেছেন?


– তুমি দেখি আবার নির্বোধের মত কথাবার্তা বলতে শুরু করেছ। আখেরাতের সফরে কেউ সঙ্গে যেতে পারে নাকি? এ সফরে বডিগার্ড, সৈন্য-লশকর কেউ সাথে যেতে পারে না। সঙ্গীহীন একাকী যেতে হয়। এ এক মহা সফর।


– এত দীর্ঘ সফর! সেখান থেকে আর ফিরবেন না, তবুও সৈন্য-সামন্ত কিছু পাঠালেন না? অথচ ইতোপূর্বে সব সফরেই এর যাবতীয় ব্যবস্থাপনার জন্য আগে থেকেই আসবাব-পত্র ও সৈন্য-সামন্ত প্রেরণ করতেন। এ সফরে কেন পাঠালেন না?


– এটা এমন সফর যে, এতে সৈন্য পাঠানো যায় না।


– জাঁহাপনা! বহুদিন হলো আপনার একটি আমানত আমার কাছে রয়ে গেছে। সেটি একটি ছড়ি। আমার চেয়ে বড় কোনো নির্বোধ পেলে এটা তাকে উপহার দিতে বলেছিলেন। আমি অনেক খুঁজেছি কিন্তু আপনার চেয়ে বড় নির্বোধ আর কাউকে পেলাম না। কারণ, আমি দেখেছি আপনি কোনো সংক্ষিপ্ত সফরে গেলেও মাস খানেক পূর্ব থেকেই তার প্রস্তুতি চলত। পানাহারের আসবাব, তাবু, সৈন্য, বডিগার্ড ইত্যাদি আগে থেকেই পাঠানো হতো। 


আর এখন এতো দীর্ঘ সফর, যেখান থেকে ফেরার সম্ভাবনাও নেই, অথচ এর জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই। আপনার চেয়ে বড় বোকা জগতে আর কে আছে? অতএব আপনার আমানত আপনাকেই ফেরৎ দিচ্ছি। 


এসব শুনে বাদশা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এবং বিলাপ করে বলতে লাগলেন, বাহলুল! তুমি সঠিক বলেছো। আজীবন তোমাকে বোকা ভেবেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো তুমি বুদ্ধিমান। তুমি প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা বলেছ। বাস্তবেই আমি সারা জীবন বৃথা কাটিয়েছি। আখেরাতের কোনো প্রস্তুতি নেই নি।


* আব্বাসী খলীফা হারুনুর রশীদ এর শাসন আমলে বাহলুল নামে এক পাগল ছিল। যে অধিকাংশ সময় কবরস্থানে কাটাতো। কবরস্থানে থাকা অবস্থায় একদিন বাদশাহ হারুনুর রশীদ তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাদশাহ তাকে ডাক দিলেনঃ বাহলুল! ওহে পাগল! তোমার কি আর জ্ঞান ফিরবে না? বাহলুল বাদশাহর এ কথা শুনে নাচতে নাচতে গাছে উপরের ডালে চড়লেন এবং সেখান থেকে ডাক দিলঃ হারুন! ওই পাগল! তোর কি কোনদিন জ্ঞান ফিরবে না ? বাদশাহ গাছের নিচে এসে বাহলুলকে বললেনঃ আমি পাগল নাকি তুমি, যে সারা দিন কবরস্থানে বসে থাকে? বাহলুল বললঃ আমিই বুদ্ধিমান। বাদশাহঃ কীভাবে? বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বললেনঃ আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি (কবরস্থান) স্থায়ী নিবাস; এজন্য আমি মরার পূর্বেই এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুই গ্রহণ করেছিস ঐ রঙ্গীনশালাকে আর এই স্থায়ীনিবাসকে(কবর) এড়িয়ে চলছিস। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে আসাকে অপছন্দ করছিস যদিও তুই জানিস এটাই তোর শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে কে পাগল? বাহলুলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশাহর অন্তর কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর দাড়ি ভিজে গেল। তিনি বললেনঃ খোদার কসম! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ দাও! বাহলুলঃ তোর উপদেশের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট। ওটাকে যথার্থভাবে আকড়ে ধর। বাদশাহঃ তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে আমাকে বল, আমি তা পূরণ করব। বাহলুলঃ হ্যাঁ, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো যদি তুই পূরণ করতে পারিস তবে সারা জীবন তোর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব। বাদশাহঃ তুমি নিঃসঙ্কোচে চাইতে পার। বাহলুলঃ মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে। বাদশাহঃ আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বাহলুলঃ আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা করতে হবে। বাদশাহঃ আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বাহলুলঃ আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে রাখতে হবে। বাদশাহঃ আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বাহলুলঃ তবে জেন রাখ, তুই বাদশাহ নোস বরং তুই অন্য কারো অধীনস্থ, আমার মতোই কারো গোলাম। অতএব তোর কাছে আমার কোন চাওয়া বা প্রার্থনা নেই। আমি যার গোলাম, আমি সেই মহা পরাক্রমশালী আল্লাহরই আমি মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে কবরের প্রস্তুতি গ্রহন করার তৌফীক দান করুন। আমীন।


* আসসালামু আলাইকুম।

👉🐜 ১ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে!

পাশ দিয়ে ছোট্র একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল!

মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল!

ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই!

তারপর না হয় সামনে যাবো!


এক চুমুক খেলো! বাহ্! খুব মজা তো!

আর একটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো!

তারপর সামনে চলতে লাগলো!

হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল!

ভাবলো,এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়?

আবার পিছনে ফিরলো!

পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল!

এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা!

এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল!

বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে!

খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল!

ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে!

তখনই হঠ্যাৎ টনক নড়লো তার!

কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে!

মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে!

কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা!

অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না!

নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল!

অবশেষে.. পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল!!


হে দুনিয়া লোভি ব্যক্তিরা সতক হও.


এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত!

 যে এই মধুর পাশে বসে হালাল ও অল্পতে তুষ্ট থাকবে সেই বেঁচে গেল!

আর যে এই স্বাদের মধ্যে ডুব দিতে গিয়ে হালাল-হারাম বাচ-বিচার না করে শুধু খেয়েই গেল,আরেকটু আরেকটু করতে করতে একদিন সে এর মায়াজালে আটকা পড়েই মারা যাবে!

 তখন আর কেউই উদ্ধার করতে পারবে না!

ধ্বংস অনিবার্য!

তার দুনিয়া ও আখেরাত দু'টোই শেষ!


হে আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে এই দুনিয়ার ভালাবাসায় অন্ধ করে দিওনা! আমাদেরকে হালাল-হারাম বেছে চলার তাওফিক দান করুন।

#সংগৃহিত

No comments

Powered by Blogger.