44 নামাজের গুরুত্ব
44 নামাজের গুরুত্ব
বাক্বারাহ:আয়াত: ২০৮
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا ادْخُلُوْا فِی السِّلْمِ كَآفَّةً١۪ وَّ لَا تَتَّبِعُوْا خُطُوٰتِ الشَّیْطٰنِ١ؕ اِنَّهٗ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِیْنٌ
নামায কুরবানী জীবন মরন সব আল্লাহর জন্য আংশিক নয়।
* কিছু মানবে কিছু মানবে না,এক ওয়াক্ত পড়লে চার ওয়াক্ত পড়বে না তা হবেনা তা হবেনা।বাক্বারাহ: ৮৫
اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ
* নামায না পড়ে জাহান্নামে যাবে। ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪০,
* নামায পড়েও জাহান্নামে যাবে। এটা হচ্ছে উদাসীনতার নামায। সূরা মাউন:আয়াত: ৪
* শয়তান নামক কুকুর থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তাউযু পড়তে হবে
* নামাযের গুরুত্ব কতটুকু
* আযান শুনে যারা মসজিদে আসেনা আমার মন চায় তাদের বাড়ী গুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই
* অন্ধকে ও ছার দেননি। বলছেন আযান শুনলে মসজিদে জামায়াতে নামাজ পড়বা
* নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১
* যুদ্ধের ময়দানে ও নামায ছেড়ে দেননি দুই জন পাহাড়ায় রত
* নামাজকে বলোনা কাজ আছে। কাজকে বলো আমার নামায আছে
* কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব হবে
____________________________________________________________
* নামায পড়েও জাহান্নামে যাবে।
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪০,
فِیْ جَنّٰتٍﰈ یَتَسَآءَلُوْنَۙ
যারা জান্নাতে অবস্থান করবে। সেখানে তারা জিজ্ঞেস করতে থাকবে -
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪১,
عَنِ الْمُجْرِمِیْنَۙ
অপরাধীদের৩২
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪২,
مَا سَلَكَكُمْ فِیْ سَقَرَ
سَلَكَكُمْ -- তোমাদের প্রবেশ করিয়েছে
কিসে তোমাদের দোযখে নিক্ষেপ করলো।
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৩,
قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَۙ
তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না।৩৩
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৪,
وَ لَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِیْنَۙ
অভাবীদের খাবার দিতাম না। ৩৪
৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৫,
وَ كُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِیْنَۙ
সত্যের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনাকারীদের সাথে মিলে আমরাও রটনা করতাম;
* নামায পড়েও জাহান্নামে যাবে। এটা হচ্ছে উদাসীনতার নামায। সূরা মাউন
১০৭: আল-মাউন:আয়াত: ৪
فَوَیْلٌ لِّلْمُصَلِّیْنَۙ
তারপর সেই নামাযীদের জন্য ধ্বংস,
১০৭: আল-মাউন:আয়াত: ৫
الَّذِیْنَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَۙ
যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে গাফলতি করে
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু মুন্টা নামাজের মধ্যে থাকে না ,মুন্টারে নামাজে ধরে রাখার চেষ্টা ও করে না।(এটা হলো দ্বিতীয় প্রকার নামাজীর নামাজ ,আর এই নামাজ কে উধাশিনতা ও ,অবহেলার নামাজ বলে ) মুন্টা নামাজে থাকে না কেন? উত্তর, শয়তানের হামলা, শয়তান নামাজীর অন্তরে হামলা করে, কারণ হলোঃ নামাজ শুরু করার আগে এত কিছু মুনে আসে না, নামাজে দারানোর সাথে সাথে শয়তান এসে মুন্টা নিয়ে চলে যায় ,। ফলাফল। ********। নামাজে মুন্টা ধরে রাখার *। চেষ্টা না করার কারণে এই প্রকার নামাজী কে হাশরের ময়দানে শাস্তি পেতে হবে । (৩) নামাজে মুন্টা থাকে না ঠিকি, কিন্তু মুন্টা নামাজে ধরে রাখার চেষ্টা করে ,এটা হলো তৃত্বিয় প্রকার নামাজীর নামাজ ,। ফলাফল। ***********। এই প্রকার নামাজী কে হাশরের ময়দানে চেষ্টা করার কারণে মাফ করে দিবেন। এই চেষ্টা নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে করলে , সারা জীবন করলেও শয়তানের সাথে পারা যাবে না , এই চেষ্টা একমাত্র কোরআন ও হাদিস মতে করতে হবে । @ এই জন্য নামাজ শুরু করতেই হয় اعوذ بالله من الشيطان الرجيم পড়ে,একটি উদাহরণ দেই,। এই জগতটা হলো আল্লাহর বাড়ি, আর এই জগতের সমস্ত মুমিন মুসলমানেরা হলো বাড়ির মেহমান,আর ইবলিশ শয়তান হলো বাড়িওলার পালা কুত্তা, আর এই কথা তো স্পষ্ট যে বাড়িতে নতুন মেহমান আসিলে বাড়ির পালা কুত্তা ঘেও ঘেও করবেই, মেহমান তখন দৃশা না পেয়ে বাড়ির মালিক কে বলবে , তুমি তোমার কুত্তা সামলাও , তা ছাড়া তো ভিতরে ঢোকা কঠিন, তখন বাড়িওলার একটা ইঙ্গিতে যেমনি ভাবে কুত্তা চুপ হয়ে যায় ,এমনি ভাবে নামাজী নামাজ শুরু করার আগে এই জগতের বাড়িওলা কে বলবে আপনি আপনার কূত্তা কে সামলান , তখন আল্লাহর একটি ইঙ্গিতে ইবলিশ কুত্তা থেমে যাবে ( ইনশাআল্লাহ)। এর পরেও যদি শয়তান মুনের উপর হামলা চালায়, অর্থাৎ মুন্টা নিয়ে চলে যায়,,তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের দিকে দৃষ্টি করতে হবে ,যেমনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে তুমি এমনভাবে ইবাদত কর , যেন তুমি আল্লাহকে দেখতেছো, আর যদি তুমি আল্লাহ কে না দেখ,তাহলে তুমি মনে মনে এটা ভাববে যে, আল্লাহ তায়ালা আমাকে দেখতেছে ,এই মনোভাব নিয়ে নামাজ পড়লে অবশ্যই শয়তান দুলে সরে যাবে ,(ইনশাআল্লাহ) হাদিস,ان تعبد الله كانك تراه، فان لم تكن تراه،فانه يراق. (৪) নামাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয়ে নামাজ আদায় করা ,( ফলাফল ) এই প্রকার নামাজীর ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেছেন ,ان الصلاة تنهى عن الفهشا ء والمنكر،.
* নামাযের গুরুত্ব কতটুকু, নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ
إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে। (২৯৩১) (আ.প্র. ৩৮০৫, ই.ফা. ৩৮০৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
💞সাহাবীদের নামাজ-সুবহানাল্লাহ💞
* আল্লাহর রসুল কোন এক সময় দুইজন সাহাবীকে পাহাড়ের চূড়ায় গার্ড দেবার জন্য আদেশ দিলেন সত্রূরা আক্রমন করলে নবীপাক সাঃ এরঁ কাছে যেন সংবাদ দেয়।তাহারা নির্ধারিত স্থানে চলে যায় অন্যান্য সাহাবীরা একটু রাত্রে আরাম করতে থাকেন--
👉💞 এমতাবস্থায় উক্ত সাহাবীগনের মধ্যে একজন বলেন ভাই আমরা দুইজনে সারা রাত্রি জেগে থাকার থেকে আপনি একটু ঘুমান আরাম করুন আমি পাহাড়া দিই কিছুক্ষণ পর আপনি পাহাড়া দেবেন আমি ঘুমাবো।এই মর্মে একজন সাহাবী ঘুমিয়ে পরলেন---
👉💞অপর সাহাবী পাহাড়া দিতে দিতে চিন্তা করেন যে এত সুন্দর একটি রাত শুধু শুধু জেগে থাকার থেকে যদি কিছু নামাজ আদায় করা যায় কতই না ভালো হোত।আল্লাহ পাক কোরানে এরশাদ করেছেন (অল্লাজীনা ইয়াবীতুনা লেরববিহীম সুজ্জাদাউ অ-কিয়ামা)ইবাদুর রহমান যারা রাত্রে তারা ঘুমায়না বরং সিজদাহ করে ও দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে (নামাজ পড়ে) রাত্রি অতিবাহিত করে---
👉💞 তিনি ঠিক করলেন কিছু নফল নামাজ পরবেন --শুরু করলেন নামাজ পরা।অপর পক্ষে সত্রুদল উপস্থিত হলো তারা বুঝতে পারলোনা নবীপাক সাঃ ও তারঁ সহচরেরা সজাগ আছে না ঘুমন্তাবস্থায় আছে?রবোঝার জন্য একটি তীর নিক্ষেপ করলো--উক্ত তীর রসুলুল্লাহর সেই সাহাবী যিনি নামাজ অবস্থায় ছিলেন তারঁ বক্ষে এসে বিদ্ধ হয়।
👉💞সাহাবী বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না তিনি নামাজ পরতে থাকলেন।এভাবে পর পর তীর এসে সাহাবীর বক্ষ ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়।রক্তাক্ত শরীরে নামাজ শেষ করে তিনি সঙ্গী সাহাবীকে ঘুম থেকে তুললেন যে সত্রুরা আমাদের উপরে আক্রমন করে দিয়েছে নবীপাক সাঃ এর কাছে সংবাদ দিতে হবে--
👉💞উক্ত সাহাবীর এ অবস্থা দেখে তারঁ চক্ষুস্থির তিনি ক্রন্দনরত অবস্থায় জানতে চাইলেন যে আপনার শরীরে এতগুলি তীর বিদ্ধ হয়েছে কিন্তু প্রথম তীর যখন আপনার শরীরে বিদ্ধ হলো তখন আমাকে ডাকলেন না কেন ?
👉💞সাহাবী উত্তর দিলেন জীবনে অনেক নামাজ পরেছি কিন্তু আজকের নামাজে যখন আমার শরীরে একটা তীর বিদ্ধ হলো তার যন্ত্রণায় যে নামাজের মধ্যে লাজিজ(মাজাহ) আমি পেয়ে এতো লাজিজ আর কোনদকোন নামাজে আমি পায়নি-সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ---
👉💞 সুধী বৃন্দ নামাজ হলো জাননাতের চাবিকাঠি (মিফতাহুল জাননাহ) অতএব সেই নামাজ বিকলাঙ্গ নামাজ যেন না হয় ঠিক ঠিক রুকু সাজদাহ সুরাহ তাশাহহুদ প্রভৃতি যেন স্থির ভাবে হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।আল্লাহ আমাদের নামাজ কবুল করেন-আমীন সুম্মা আমীন।
No comments