Header Ads

Header ADS

67/ 237  মানুষের জীবনটাই কষ্টের জীবনে সুখ আসবে মসজিদ মুখী হলে। আরশে স্থান পাবে   ঐ ব্যক্তি যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান

*  মানুষের জীবনটাই কষ্টের জীবন ৮ ইনশিক্বাক ৬

یٰۤاَیُّهَا الْاِنْسَانُ اِنَّكَ كَادِحٌ اِلٰى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلٰقِیْهِۚ

* এই কষ্টের জীবন ও সফল হবে যদি ঈমান ও আমল নিয়ে কবরে যাওয়া যায়। মসজিদের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারলেই ঈমান ও আমল ঠিক থাকে 

*  #হাশরের ময়দানে সূর্যের উত্তাপ থেকে বাঁচতে হলে মসজিদ মুখী হতে হবে সে ব্যক্তি আরশে স্হান পাবে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান),সহিহ বুখারী-২২৭০

ِ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ

* #নিজে মসজিদ মুখী হোন। জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে নিজে মসজিদ মুখী হবে। তাহরীম:৬,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَةُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ

*  #সন্তানদের মসজিদ মুখী করান,সুনানে আবু দাউদ, ৪৯৫

 مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ‏"‏ ‏

*  #মসজিদে  জামায়াতে নামাজ আদায়ে অন্ধের জন্যেও ছার দেওয়া হয়নি,ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাদীনাহ্‌তে অনেক কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র জন্তু রয়েছে (যদ্‌দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকা আছে,সুনানে আবু দাউদ, ৫৫৩

*  #মসজিদকে আল্লাহ নিজের ঘর বলে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন। ৭২: আল-জ্বিন:১৮

وَّ اَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدْعُوْا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًاۙ

* যে মসজিদ বানাবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর বানাবেন। যে সম্পর্ক রাখবে আল্লাহ আরশে জায়গা করে দিবেন

* কবি নজরুল ইসলাম মৃত্যুর পরেও মসজিদের সাথে থাকতে চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরির কাছেই তাঁর কবর,সে বলেছে

* মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।

যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।

আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,

পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।

গোর - আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।

*  #আমরাতো বুড়ো বয়সে মসজিদ মুখী হই, যে বয়স সরকারের কাছে ও কোনো মূল্যে নে। নিসা ১৮

وَ لَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِ١ۚ حَتّٰۤى اِذَا حَضَرَ اَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ اِنِّیْ تُبْتُ الْئٰنَ وَ لَا الَّذِیْنَ یَمُوْتُوْنَ وَ هُمْ كُفَّارٌ١ؕ اُولٰٓئِكَ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا اَلِیْمًا

*  #জীবিত থাকাকালীন যার নামাজের প্রয়োজন ছিল না। মৃত্যুর পর তার জানাযা পড়ে লাভ কি? সে তো চার পা জানোয়ারের ন্যায়।

*  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরির কাছেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি অবস্থিত। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই বিদ্রোহী কবিকে ভারত থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়। জীবনের শেষ প্রান্তে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।


গানের মাধ্যমে ব্যাক্ত শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়


________________________________________________________


৮৪  আল-ইনশিক্বাক, আয়াত: ৬


یٰۤاَیُّهَا الْاِنْسَانُ اِنَّكَ كَادِحٌ اِلٰى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلٰقِیْهِۚ


হে মানুষ! তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে করতে তোমার রবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছো, পরে তাঁর সাথে সাক্ষাত করবে।


*  অন্ধের জন্যও ছার দেওয়া হয়নি,ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাদীনাহ্‌তে অনেক কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র জন্তু রয়েছে (যদ্‌দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকা আছে,সুনানে আবু দাউদ, ৫৫৩


عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْمَدِينَةَ كَثِيرَةُ الْهَوَامِّ وَالسِّبَاعِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَسْمَعُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ فَحَىَّ هَلاَ


____


الْهَوَامِّ - কীট-পতঙ্গ


ذَاتُ مَنْصِبٍ- কোন অভিজাত-


رَاحَ - সন্ধ্যায়

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْمَدِينَةَ كَثِيرَةُ الْهَوَامِّ وَالسِّبَاعِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَسْمَعُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ فَحَىَّ هَلاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ الْقَاسِمُ الْجَرْمِيُّ عَنْ سُفْيَانَ لَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ‏"‏ حَىَّ هَلاَ ‏"‏ ‏.‏


ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাদীনাহ্‌তে অনেক কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র জন্তু রয়েছে (যদ্‌দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকা আছে, এরূপ অবস্থায়ও কি মসজিদে জামা’আতে হাযির হতে হবে?)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি কি হাইয়্যা ‘আলাস্‌-সলাহ্‌, হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ শুনতে পাও? (শুনতে পেলে) অবশ্যই জামা’আতে আসবে।


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৫৩

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* আল্লাহ মসজিদকে নিজের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন,সেখানে শিরক মুক্ত ইবাদতের নির্দেশ । ৭২: আল-জ্বিন:১৮

وَّ اَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدْعُوْا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًاۙ


আর মসজিদসমূহ আল্লাহর জন্য। তাই তোমরা আল্লাহর সাথে আর কাউকে ডেকো না।


৪  আন-নিসা, আয়াত: ১৮


وَ لَیْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِیْنَ یَعْمَلُوْنَ السَّیِّاٰتِ١ۚ حَتّٰۤى اِذَا حَضَرَ اَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ اِنِّیْ تُبْتُ الْئٰنَ وَ لَا الَّذِیْنَ یَمُوْتُوْنَ وَ هُمْ كُفَّارٌ١ؕ اُولٰٓئِكَ اَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا اَلِیْمًا


কিন্তু তাওবা তাদের জন্য নয়, যারা খারাপ কাজ করে যেতেই থাকে, এমন কি তাদের কারো মৃত্যুর সময় এসে গেলে সে বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। অনুরূপভাবে তাওবা তাদের জন্যও নয় যারা মৃত্যুর সময় পর্যন্ত কাফের থাকে। এমন সব লোকদের জন্য তো আমি যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি।


____________________________


* সে ব্যক্তি আরশে স্হান পাবে, যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান),সহিহ বুখারী-২২৭০


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ الإِمَامُ الْعَادِلُ وَشَابٌّ نَشَأَ بِعِبَادَةِ اللَّه


ِ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ 


وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ ‏.‏ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ يَمِينُهُ مَا تُنْفِقُ شِمَالُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ ‏"‏ ‏.


منصب:স্থান


ذَاتُ مَنْصِبٍ- কোন অভিজাত-


আবূ হুরায়রাহ্‌ (রাঃ)


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ্‌ তা’আলা এমন একদিন (ক্বিয়ামাতের দিন) তাঁর (‘আর্‌শের) ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ছাড়া আর কোন ছায়া অবশিষ্ট থাকবে না। (১) ন্যায়পরায়ণ ইমাম (জনগণের নেতা), (২) ঐ যুবক, যে আল্লাহ্‌ তা’আলার ‘ইবাদাতে মশগুল থেকে বড় হয়েছে, (৩) সে ব্যক্তি, যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান), (৪) সে দু’ব্যক্তি, যারা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একে অপরকে ভালবাসে ও পরস্পর মিলিত হয় এবং এ জন্যই (পরস্পর) বিচ্ছিন্ন হয়, (৫) যে ব্যক্তিকে কোন অভিজাত এবং সুন্দরী রমনী (ব্যভিচারের জন্য) আহ্বান জানায় আর তার জবাবে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, (৬) যে ব্যক্তি এতটা গোপনে দান করে যে, তার ডান হাত কী দান করে তা তার বাম হাত টের পায়না এবং (৭) যে ব্যক্তি একাকী বসে আল্লাহকে স্মরণ করে আর তার চোখ দু’টো (আল্লাহ্‌র ভয় বা ভালবাসায়) অশ্রুপাত করে। (ই.ফা. ২২৪৯, ই.সে. ২২৫০)


সহিহ মুসলিম হাদিস নং ২২৭০


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত মুহাম্মদ (সা.) রবিউল আউয়াল মাসের প্রথম দিন আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনা অভিমুখে হিজরত করেন।মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের অভিমুখে সর্বপ্রথম যে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন, তার নাম কুবা মসজিদ। এখানে তিনি সর্বপ্রথম নামাজ আদায় করেন। হিজরী প্রথম বর্ষে এটা নির্মিত হয়।


* পৃথিবীর প্রথম মসজিদ কাবা ঘর


৩: আলে-ইমরান:৯৬,


اِنَّ اَوَّلَ بَیْتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیْ بِبَكَّةَ مُبٰرَكًا وَّ هُدًى لِّلْعٰلَمِیْنَۚ


নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য সর্বপ্রথম যে ইবাদাত গৃহটি নির্মিত হয় সেটি মক্কায় অবস্থিত। তাকে কল্যাণ ও বরকত দান করা হয়েছিল এবং সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য হিদায়াতের কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছিল।৭৯


* বাহাদুরি যতই করো ফুরিয়ে যাবে দম


      এখনো সময় আছে, মসজিদ মুখী হন।


      এখন যদি মৃত্যু হয়, কেউ যাবে না কাছে


                 কি নিয়ে হাজির হবেন


                 মহান আল্লাহর দরবারে।


* যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো,তাহরীম:৬,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَةُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ


হে লোকজন যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো মানুষ এবং পাথর হবে যার জ্বালানী।১৬ সেখানে রুঢ় স্বভাব ও কঠোর হৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই পালন করে।১৭ (তখন বলা হবে,) ]


*  সন্তানদের মসজিদ মুখী করান,সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৯৫


حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، - يَعْنِي الْيَشْكُرِيَّ - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ سَوَّارٍ أَبِي حَمْزَةَ، - قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو حَمْزَةَ الْمُزَنِيُّ الصَّيْرَفِيُّ - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏


 مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ‏"‏ ‏.‏


‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিরতা ও তার দাদার থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তাদেরকে সলাতের জন্য নির্দেশ দাও। যখন তাদের বয়স দশ বছর হয়ে যাবে তখন (সলাত আদায় না করলে) এজন্য তাদেরকে মারবে এবং তাদের ঘুমের বিছানা আলাদা করে দিবে।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৯৫


হাদিসের মান: হাসান সহিহ


* সপ্তাহিক,বছইরা নামাযী,নির্বাচনে নামাজীর বেশে মসজিদে গমন,আল্লাহকে ধোকা দিতে চায়


* কবি নজরুল ইসলাম মৃত্যুর পরেও মসজিদের সাথে থাকতে চেয়েছেন,সে বলেছে 


মসজিদের পাশে আমার কবর দিও ভাই


* মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।


যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।।


আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,


পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে।


গোর - আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই।।


কত পরহেজগার খোদার ভক্ত নবীজীর উম্মত


ঐ মসজিদে করে রে ভাই, কোরান তেলাওয়াত।


সেই কোরান শুনে যেন আমি পরান জুড়াই।।


কত দরবেশ ফকির রে ভাই, মসজিদের আঙ্গিনাতে


আল্লার নাম জিকির করে লুকিয়ে গভীর রাতে,


আমি তাদের সাথে কেঁদে কেঁদে 


(আল্লার নাম জপতে চাই) ।।


--কাজি নজরুল ইসলাম


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরির কাছেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি অবস্থিত। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই বিদ্রোহী কবিকে ভারত থেকে এদেশে নিয়ে আসা হয়। জীবনের শেষ প্রান্তে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।


গানের মাধ্যমে ব্যাক্ত শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়


* পাঁচটি গুন সম্পন্ন ব্যক্তিরা মসজিদ আবাদ করবে-তওবা:১৮


اِنَّمَا یَعْمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوةَ وَ اٰتَى الزَّكٰوةَ وَ لَمْ یَخْشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤى أُولَٰئِكَ اَنْ یَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِیْنَ


তারাই হতে পারে আল্লাহর মসজিদ আবাদকারী (রক্ষণাবেক্ষণকারী ও সেবক) যারা আল্লাহ ও পরকালকে মানে, নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ‌কে ছাড়া আর কাউকে ভয় করেনা। তাদেরই ব্যাপারে আশা করা যেতে পারে যে, তারা সঠিক সোজা পথে চলবে।


* ৩ নং গুন,নামায কায়েম করবে,অন্ধের জন্যও ছার দেওয়া হয়নি


حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَابِسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ


 إِنَّ الْمَدِينَةَ كَثِيرَةُ الْهَوَامِّ وَالسِّبَاعِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَتَسْمَعُ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ فَحَىَّ هَلاَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَا رَوَاهُ الْقَاسِمُ الْجَرْمِيُّ عَنْ سُفْيَانَ لَيْسَ فِي حَدِيثِهِ ‏"‏ حَىَّ هَلاَ ‏"‏ ‏.‏


ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! মাদীনাহ্‌তে অনেক কীট-পতঙ্গ ও হিংস্র জন্তু রয়েছে (যদ্‌দ্বারা আক্রান্ত হবার আশংকা আছে, এরূপ অবস্থায়ও কি মসজিদে জামা’আতে হাযির হতে হবে?)। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি কি হাইয়্যা ‘আলাস্‌-সলাহ্‌, হাইয়্যা ‘আলাল-ফালাহ শুনতে পাও? (শুনতে পেলে) অবশ্যই জামা’আতে আসবে।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৫৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي رَزِينٍ، عَنِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، أَنَّهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ ضَرِيرُ الْبَصَرِ شَاسِعُ الدَّارِ وَلِي قَائِدٌ لاَ يُلاَئِمُنِي فَهَلْ لِي رُخْصَةٌ أَنْ أُصَلِّيَ فِي بَيْتِي قَالَ ‏"‏ هَلْ تَسْمَعُ النِّدَاءَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لاَ أَجِدُ لَكَ رُخْصَةً ‏"‏ ‏.‏


ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো অন্ধ, আমার ঘরও দূরে অবস্থিত। আমার একজন পথচালকও আছে, কিন্তু সে আমার অনুগত নয়। এমতাবস্থায় আমার জন্য ঘরে সলাত আদায়ের অনুমতি আছে কি? রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি কি আযান শুনতে পাও? ইবনু উম্মে মাকতূম বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তোমার জন্য অনুমতির কোন সুযোগ দেখছি না।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৫২


হাদিসের মান: হাসান সহিহ


গজল🌷


সালাত কায়েম করো সালাত কায়েম করো


হবে তুমি জান্নাতি,


 হবে তুমি সম্মানি।


সালাত তোমার বন্ধু পরম শেষ বিচারের দিন।


 সালাত কায়েম করো হবে তুমি জান্নাতি,


 হবে তুমি সম্মানি।


সালাত তোমার বন্ধু পরম শেষ বিচারের দিন।


সালাত তোমার জীবন জুড়ে খুশবু প্রতিদিন।


জায়নামাজে শান্তি বিলায় চিত্তি সীমাহীন।


রব্বিয়াল আ...লা রব্বিয়াল আযীম।


রব্বিয়াল আ...লা রব্বিয়াল আযীম। 


মুমিন তুমি সালাত তোমার মস্ত পরিচয়


দুনিয়া তোমার আজকে আছে কালকে হবে লয়।


আজকে রুকু সিজদাহ করো


নিজ পরিচয় আকড়ে ধরো।


হবে না বিলীন।


সালাত তোমার অঙ্গে মাখো


সংঙ্গে রাখো তবেইতো মুমিন।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


সালাত কায়েম করো, সালাত কায়েম করো।


হবে সম্মানি তুমি, হবে জান্নাতি তুমি


হবে সম্মানি তুমি, হবে জান্নাতি তুমি।


দিবে কাল হাশরে শীতল ছায়া আরশে আযীম।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


সালাত তোমার মনের ঘরে পবিত্রতার সাজ


পড়লে সালাত রয় দূরে রয় মন্দ যত কাজ।


পাঁচ প্রহরে সালাত পড়


আত্মাকে সমৃদ্ধ করো।


যেমন সলেহীন।


সালাত তোমার অঙ্গে মাখো


সংঙ্গে রাখো তবেই তো মুমিন।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


রব্বিয়াল আলা রব্বিয়াল আযীম।


* জামা’আতে সালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত সালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী,সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৫


عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً.


----------------


فذ:অতুলনীয়


‘আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জামা’আতে সালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত সালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী। (৬৪৯, মুসলিম ৫/৪২, হাঃ ৬৫০, আহমাদ ৫৩৩২) (আ.প্র. ৬০৯, ই.ফা. ৬১৭)


  


সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৪৫


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* মসজিদে আসলে গুনাহ মাফ হয়,উত্তম স্থান,রিয়াদুস সলেহিন, ১০৩৭,মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫১, নাসায়ী ১৪৩,


وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «أَلاَ أَدُّلُكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ». رواه مسلم


উক্ত রাবী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (একদা সমবেত সহচরদের উদ্দেশ্যে) বললেন, “তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলব না কি, যার দ্বারা আল্লাহ গোনাহসমূহকে মোচন করে দেবেন এবং (জান্নাতে) তার দ্বারা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন ?” তাঁরা বললেন, ‘অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল !’ তিনি বললেন, “(তা হচ্ছে) কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের নামায আদায় ক’রে পরবর্তী অক্তের নামাযের জন্য অপেক্ষা করা । আর এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ । এ হল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মত কাজ ।” (মুসলিম)


ফুটনোটঃ


(মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫১, নাসায়ী ১৪৩, আহমাদ ৭১৬৮, ৭৬৭২, ৭৯৩৫, ৭৯৬১, ৯৩৬১, মুওয়াত্তা মালিক ৩৮৬) 


রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৩৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


*  


عَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «مَنْ غَدَا إِلَى المَسْجِدِ أَوْ رَاحَ، أَعَدَّ اللهُ لَهُ فِي الجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ». متفقٌ عَلَيْهِ


_________


رَاحَ - সন্ধ্যায়


আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য আপ্যায়ন সামগ্রী জান্নাতের মধ্যে প্রস্তুত করেন । সে যতবার সকাল অথবা সন্ধ্যায় গমনাগমন করে, আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন ।”


ফুটনোটঃ


(সহীহুল বুখারী ৬৬২, মুসলিম ৪৬৭, ৬৬৯, আহমাদ ১০২৩০) 


রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৬০


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


*  


أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْغَيْلَانِيُّ بَصْرِيٌّ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ سَعِيدٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا حُمَيْدٍ وَأَبَا أُسَيْدٍ يَقُولَانِ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ "


আবদুল মালিক ইব্‌ন সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন : আমি আবূ হুমায়দ এবং আবূ উসায়দকে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে তখন সে যেন বলে : (আরবী) [১] আর যখন বের হয় তখন যেন বলে : (আরবী)। [২]


ফুটনোটঃ


[১] অনুবাদ: হে আল্লাহ ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজা খুলে দিন।


[২] হে আল্লাহ ! আমি আপনার নিকট আপনার অনুগ্রহ কামনা করছি। 


সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭২৯


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُعَاذِ بْنِ عَبَّادٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ مَعْبَدِ بْنِ هُرْمُزَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ حَضَرَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ الْمَوْتُ فَقَالَ إِنِّي مُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا مَا أُحَدِّثُكُمُوهُ إِلاَّ احْتِسَابًا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ لَمْ يَرْفَعْ قَدَمَهُ الْيُمْنَى إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لَهُ حَسَنَةً وَلَمْ يَضَعْ قَدَمَهُ الْيُسْرَى إِلاَّ حَطَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهُ سَيِّئَةً فَلْيُقَرِّبْ أَحَدُكُمْ أَوْ لِيُبَعِّدْ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ فَصَلَّى فِي جَمَاعَةٍ غُفِرَ لَهُ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا بَعْضًا وَبَقِيَ بَعْضٌ صَلَّى مَا أَدْرَكَ وَأَتَمَّ مَا بَقِيَ كَانَ كَذَلِكَ فَإِنْ أَتَى الْمَسْجِدَ وَقَدْ صَلَّوْا فَأَتَمَّ الصَّلاَةَ كَانَ كَذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏


সা'ঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


তিনি বলেন, জনৈক আনসারী সহাবীর মৃত্যু আসন্ন হলে তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট কেবল সাওয়াব লাভের প্রত্যাশায় একটি হাদীস বর্ণনা করব। আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে উযু করে সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন সে তার ডান পা উঠাতেই মহান আল্লাহ তাঁর জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেন। এরপর বাম পা ফেলার সাথে সাথেই মহা সম্মানিত আল্লাহ তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেন। এখন তোমাদের ইচ্ছা হলে মসজিদের নিকট থাকবে অথবা দূরে। অতপর সে যখন মসজিদে গিয়ে জামা'আতের সলাত আদায় করে তখন ক্ষমা করে দেয়া হয়। যদি জামা'আত শুরু হয়ে যাওয়ার পর মসজিদে উপস্থিত হয় এবং অবশিষ্ট সালাতে শামিল হয়ে সালাতের ছুটে যাওয়া অংশ পূর্ণ করে, তাহলেও তাকে অনুরূপ (জামা'আতে পূর্ণ সলাত আদায়কারীর সমান সাওয়াব) দেয়া হয়। আর যদি সে (মসজিদে এসে) জামা'আত সমাপ্ত দেখে একাকী সলাত আদায় করে নেয়, তবুও তাকে ঐরূপ (ক্ষমা করে) দেয়া হয়।


  


সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৬৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


________________


38- যার অন্তর মসজিদের সাথে লেগে রয়েছে


* সে ব্যক্তি আরশে স্হান পাবে, যার অন্তর মাসজিদের সাথে লেগে রয়েছে (অর্থাৎ জামা’আতের সাথে সলাত আদায়ে যত্নবান),সহিহ মুসলিম-২২৭০


عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ ‏ "‏ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لاَ ظِلَّ إِلاَّ ظِلُّهُ الإِمَامُ الْعَادِلُ وَشَابٌّ نَشَأَ بِعِبَادَةِ اللَّهِ وَرَجُلٌ قَلْبُهُ مُعَلَّقٌ فِي الْمَسَاجِدِ وَرَجُلاَنِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ فَقَالَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ ‏.‏ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لاَ تَعْلَمَ يَمِينُهُ مَا تُنْفِقُ شِمَالُهُ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ


* মসজিদ ইবাদতের স্হান,রাসূল সা: মদিনায় প্রথম মসজিদ নির্মান করেন মসজিদে কোবা


* পৃথিবীর প্রথম মসজিদ কাবা ঘর


ইমরান:৯৬


اِنَّ اَوَّلَ بَیْتٍ وُّضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِیْ بِبَكَّةَ مُبٰرَكًا وَّ هُدًى لِّلْعٰلَمِیْنَۚ


* আল্লাহ মসজিদকে নিজের দিকে সম্বন্ধযুক্ত করেছেন,এবং শিরক মুক্ত ইবাদতের নির্দেশ দেন-জ্বিন:১৮,


وَّ اَنَّ الْمَسٰجِدَ لِلّٰهِ فَلَا تَدْعُوْا مَعَ اللّٰهِ اَحَدًاۙ


* বাহাদুরি যতই করো ফুরিয়ে যাবে দম,


এখনো সময় আছে, মসজিদ মুখী হন।


এখন যদি মৃত্যু হয়, কেউ যাবে না কাছে,


কি নিয়ে হাজির হবেন মহান আল্লাহর দরবারে।


* যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো, ৬৬:-তাহরীম:৬


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَةُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ


* আগুন থেকে রক্ষা করেন,সন্তান-সন্ততিকে মসজিদ মুখী করান,নিজেরাই রিতিমত আসেনা,আসলেও অন্যর দোষ খুজে,নিজের দোষের শেষ নেই,মাসে একবার ফজরে মসজিদে আসেনা,সুনানে আবু দাউদ,৪৯৫


 مُرُوا أَوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرِ سِنِينَ وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ


* সপ্তাহিক,বছইরা নামাযী,নির্বাচনে নামাজীর বেশে মসজিদে গমন,আল্লাহকে ধোকা দিতে চায়


* কবি নজরুল ইসলাম মৃত্যুর পরেও মসজিদের সাথে থাকতে চেয়েছেন,সে বলেছে


* মসজিদের পাশে আমার কবর দিও ভাই,


যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই,


আমার গোরের পাশ দিয়ে ভাই নামাজীরা যাবে,


পবিত্র সেই পায়ের ধ্বনি এ বান্দা শুনতে পাবে,


গোর-আজাব থেকে এ গুনাহগার পাইবে রেহাই


* সেই মসজিদে প্রবেশ করতে একটা দোয়া আছে,সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭২৯


قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ، وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ


* জনৈক আনসারী সহাবীর মৃত্যুর সময় একটা হাদীস বলে যান,তোমাদের কেউ যখন উত্তমরূপে উযু করে সালাতের উদ্দেশ্যে বের হয়, তখন সে তার ডান পা উঠাতেই মহান আল্লাহ তাঁর জন্য একটি সাওয়াব লিখে দেন


* জামা’আতে সালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত সালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী,সহিহ বুখারী- ৬৪৫


عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً


* যে ব্যক্তি সকাল অথবা সন্ধ্যায় মসজিদে গমন করে, আল্লাহ তার জন্য আপ্যায়ন সামগ্রী জান্নাতের মধ্যে প্রস্তুত করেন । সে যতবার সকাল অথবা সন্ধ্যায় গমনাগমন করে, আল্লাহও তার জন্য ততবার আতিথেয়তার সামগ্রী প্রস্তুত করেন,রিয়াদুস সলেহিন-১০৬০,বুখারী ৬৬২, মুসলিম ৪৬৭, ৬৬৯


عَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ: «مَنْ غَدَا إِلَى المَسْجِدِ أَوْ رَاحَ، أَعَدَّ اللهُ لَهُ فِي الجَنَّةِ نُزُلاً كُلَّمَا غَدَا أَوْ رَاحَ


* মসজিদে আসলে গুনাহ মাফ হয়, কষ্টকর অবস্থায় পরিপূর্ণরূপে ওযূ করা, অধিক মাত্রায় মসজিদে গমন করা এবং এক অক্তের নামায আদায় ক’রে পরবর্তী অক্তের নামাযের জন্য অপেক্ষা করা,রিয়াদুস সলেহিন-১০৩৭,মুসলিম ২৫১, তিরমিযী ৫১, নাসায়ী ১৪৩


وَعَنْه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: «أَلاَ أَدُّلُكُمْ عَلَى مَا يَمْحُو اللهُ بِهِ الخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ ؟» قَالُوا: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: «إِسْبَاغُ الوُضُوءِ عَلَى المَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الخُطَا إِلَى المَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصَّلاَةِ ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ ؛ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ». رواه مسلم


* পাঁচটি গুন সম্পন্ন ব্যক্তিরা মসজিদ আবাদ করবে,জামায়াতে নামায পড়বে-তওবা:১৮,


اِنَّمَا یَعْمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوةَ وَ اٰتَى الزَّكٰوةَ وَ لَمْ یَخْشَ اِلَّا اللّٰهَ فَعَسٰۤى أُولَٰئِكَ اَنْ یَّكُوْنُوْا مِنَ الْمُهْتَدِیْنَ


* সালাত কায়েম কর সালাত কায়েম করে


,

No comments

Powered by Blogger.