115 নেয়ামত
* নেতার প্রশংসা করলে নেতার লাভ। আল্লাহ যে বলেছেন প্রশংসা করলে আমাদের লাভ সেটা কেমন,১৪: ইবরাহীম,:আয়াত: ৭
وَ اِذْ تَاَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَاَزِیْدَنَّكُمْ وَ لَئِنْ كَفَرْتُمْ اِنَّ عَذَابِیْ لَشَدِیْدٌ
* দিল্লির বড় বুজুর্গ হযরত #সেলীম চিশতী ( রহঃ ) দোয়ায় বাদশা আকবরের ঘরে সন্তান জন্ম হয়। বিরবল পায়খানার মতো খুশি
* সুখ নেয়ামত কষ্ট ও নেয়ামত।
* কষ্ট যদি নেয়ামত-ই না হবে তবে 'কষ্ট' কেনো আল্লাহকে স্মরণ করায়। দুঃখের পরেই রয়েছে সুখ
* মুআয ইবনে জাবাল রা.’কে নবীজি উপদেশ দিচ্ছেন। নামায শেষে কখনো যেন আল্লাহর শোকর ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে না যাই,
اللّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ .
অর্থ:- হে আল্লাহ! আপনার জিকির, আপনার কৃতজ্ঞতা ও শোকর আদায় এবং সুন্দর করে আপনার ইবাদত করতে আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
* আল্লাহর প্রশংসা কেন করবেন, কোরআন কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চমৎকার করে আমাদের জানিয়েছেন,৫৬: আল-ওয়াক্বিয়া-৬৮
اَفَرَءَیْتُمُ الْمَآءَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَؕ -- ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ -- لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنٰهُ اُجَاجًا فَلَوْ لَا تَشْكُرُوْنَ
________________________________________________________
* আল্লাহ যে বলেছেন প্রশংসা করলে আমাদের লাভ সেটা কেমন,১৪: ইবরাহীম,:আয়াত: ৭,
وَ اِذْ تَاَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَاَزِیْدَنَّكُمْ وَ لَئِنْ كَفَرْتُمْ اِنَّ عَذَابِیْ لَشَدِیْدٌ
আর স্মরণ করো, তোমাদের রব এই বলে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, যদি কৃতজ্ঞ থাকো তাহলে আমি তোমাদের আরো বেশী দেবো আর যদি নিয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে আমার শাস্তি বড়ই কঠিন।
* আল্লাহর প্রশংসা কেন করবেন, কোরআন কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চমৎকার করে আমাদের জানিয়েছেন,৫৬: আল-ওয়াক্বিয়া,:আয়াত: ৬৮,
اَفَرَءَیْتُمُ الْمَآءَ الَّذِیْ تَشْرَبُوْنَؕ
তোমরা কি চোখ মেলে কখনো দেখেছো, যে পানি তোমরা পান করো,
৫৬: আল-ওয়াক্বিয়া,:আয়াত: ৬৯,
ءَاَنْتُمْ اَنْزَلْتُمُوْهُ مِنَ الْمُزْنِ اَمْ نَحْنُ الْمُنْزِلُوْنَ
মেঘ থেকে তা তোমরা বর্ষণ করো, না তার বর্ষণকারী আমি?
৫৬: আল-ওয়াক্বিয়া,:আয়াত: ৭০,
لَوْ نَشَآءُ جَعَلْنٰهُ اُجَاجًا فَلَوْ لَا تَشْكُرُوْنَ
আমি চাইলে তা লবণাক্ত বানিয়ে দিতে পারি। তা সত্ত্বেও তোমরা শোকরগোজার হও না কেন?
* কষ্ট যদি নেয়ামত-ই না হবে তবে 'কষ্ট' কেনো আল্লাহকে স্মরণ করায়
"নিশ্চয়ই, কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি ।"
[সূরা ইনশিরাহ : আয়াত ৫]
আলহামদুলিল্লাহ্
* আহসান সুন্দর অবয়বে তৈরি সম্মানিত মেহমান মানুষ কোন নেয়ামত অস্বীকার করবে। সূরা আর রাহমান বিভিন্ন ধরনের ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আম জাম কাঁঠাল কলা পেঁপে
فِیْهَا فَاكِهَةٌ١۪ۙ وَّ النَّخْلُ ذَاتُ الْاَكْمَامِۖ
এখানে সব ধরনের সুস্বাদু ফল প্রচুর পরিমাণে আছে। খেজুর গাছ আছে যার ফল পাতলা আবরণে ঢাকা।
وَ الْحَبُّ ذُو الْعَصْفِ وَ الرَّیْحَانُۚ
নানা রকমের শস্য আছে যার মধ্যে আছে দানা ও ভূষি উভয়ই।
فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰنِ
অতএব, হে জ্বীন ও মানব জাতি, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
গুনে শেষ করা যাবে না
* মুআয ইবনে জাবাল রা.’কে নবীজি উপদেশ দিচ্ছেন। নামায শেষে কখনো যেন আল্লাহর শোকর ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলে না যাই,
খোলাফায়ে রাশেদিনের বাইরে দু-চারজন সাহাবীর নামও যাদের জানা আছে, কিংবা মাঝেমধ্যে হলেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবীগণের নাম যারা পড়েন বা শোনেন, তাদের কারও কাছেই ‘হযরত মুআয ইবনে জাবাল রা.’ নামটি অজানা থাকার কথা নয়। প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন তাঁর এই প্রিয় সাহাবীটির হাত ধরে বললেন, ‘মুআয! আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ জানের শত্রু কুরাইশ কাফেররাও যার সততা আর বিশ্বস্ততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কখনো, প্রাণপ্রিয় সেই নবীর কোনো কথায় তাঁর কোনো সাহাবী সামান্য সন্দেহ পোষণ করবে- তা কি ভাবা যায়! সঙ্গীদের এ অকৃত্রিম আস্থা ও ভালোবাসার কথা তাঁরও অজানা নয়। অথচ তিনিই আল্লাহর নামে কসম করছেন, তাও আবার এক ঘনিষ্ঠ সাহাবীর সঙ্গে! সাহাবী মুআয রা.-ও তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, ‘আমার মা-বাবা আপনার জন্যে উৎসর্গিত হোক! আল্লাহর কসম, আমিও আপনাকে ভালোবাসি।’ এভাবে ভালোবাসার কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘মুআয! আমি তোমাকে বলছি, কখনোই নামাযের পরে এ দুআটি পড়তে ভুল করো না-
اللّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ .
হে আল্লাহ! আপনার জিকির, আপনার কৃতজ্ঞতা ও শোকর আদায় এবং সুন্দর করে আপনার ইবাদত করতে আপনি আমাকে সাহায্য করুন। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২২১১৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫২৪
* বাদশাহর পায়খানা ক্রিয়া ।
বাদশাহ আকবরের ছেলে - পেলে হতাে না । দিল্লীতে তখন এক বড় ধরণের বুযুর্গ ছিলেন । তাঁর নাম ছিল হযরত সেলীম চিশতী ( রহঃ ) । বাদশাহ আকবর একদিন সেই বুযুর্গের কাছে গিয়ে বললেন , “ হুযূর , আমার জন্যে দোয়া করেন যেন আল্লাহ পাক আমাকে একটি পুত্র সন্তান দান করেন । যদি আমার একটি পুত্র সন্তান হয় তবে আপার নামে তার নাম সেলীম রাখবাে । আর আপনার জন্যে এখানে একটা খানকাহ ও এক মসজিদ বানিয়ে দিব । " আল্লাহর কী কুদরত বাদশাহুর একটি পুত্র সন্তান জন্মালাে । পুত্রের নাম রাখা হলে । সেলীম । পরে ছেলেটি জাহাঙ্গীর নামে বিখ্যাত হয়েছিল । এই পুত্রের জন্ম হলে বাদশাহ খুশীতে আত্বহারা হয়ে শাহী দরবারে ছুটে গেলেন । শাহী দরবারে তখন মন্ত্রী পরিষদের সবাই ছিল এবং বীরবল নামে এক ভাঁড় ছিল । ভাড়ামি করাই ছিল তার কাজ । বাদশাহ সবাইকে সন্তান হওয়ার সুসংবাদ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে তারা সবাই খুশী হয়েছে । কিনা । সবাই একবাক্যে জওয়াব দিল যে সবাই তার ছেলে হওয়াতে খুব খুশী হয়েছে । বাদশাহর আগ্রহ আরও বেড়ে গেল । তিনি এক - এক করে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন । একজনকে জিজ্ঞাসা করলেন , বলুন তাে আপনি কতটা খুশী হয়েছেন ? " তিনি জওয়াব দিলেন , “ ঈদের চাঁদ দেখলে মানুষ যতটা খুশী হয় আমি তত খুশী হয়েছি । এখানে বলে রাখা ভাল যে বাদশাহ আকবর লেখা - পড়া জানতেন না । তাই তার দরবারে প্রায়ই ছেলেমি কথা - বার্তা হতে থাকতাে । বাদশাহ দ্বিতীয় জনকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ আমার ছেলে হওয়াতে আপনি কেমন খুশী হয়েছেন ? " সে জওয়াব দিল , “ ঈদের দিন পােলাও কোর্মা খেতে যে - রকম আনন্দ পাওয়া যায় আমি সেই রকম আনন্দিত হয়েছি । ” অন্যজন বললাে , “ আমি মণ্ডা - মিঠাই খেতে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় সেই রকম আনন্দিত হয়েছি । একজন বললাে , “ আমি মধু খেতে যত আনন্দ পাওয়া যায় তার চেয়েও বেশী । আনন্দিত হয়েছি । ” এইভাবে সবাই তাদের মতামত ব্যক্ত করলাে । কিন্তু বীরবল এক কোণায় চুপ করে বসে থাকলাে । বাদশাহ তার দিকে লক্ষ্য করে বললেন , “ বীরবল ! তুমি কিছু বলছে না যে ? তুমি কি আমার ছেলে হওয়াতে খুশী হওনি ? ” বীরবল বললাে , “ জী হাঁ হুযূর , আমিও আনন্দিত হয়েছি । বাদশাহ জিজ্ঞাসা করলেন , “ তুমি কী রকম আনন্দিত হয়েছে বল দেখি ! ” বীরবল বললাে , " পায়খানা করে মানুষ যে - রকম আনন্দ পায় আমি ঠিক সেই রকম আনন্দিত হয়েছি । ” এই কথা শুনে বাদশাহর মুখ রাগে লাল হয়ে উঠলাে । বললেন , কী ! এত বড় স্পর্ধা ? ছােট মুখে বড় কথা ! আমার ছেলে হওয়ার আনন্দের সাথে পায়খানা করার আনন্দের তুলনা করলি ? তাের রক্ষা নাই ! তােকে আমি ফাসীতে ফুলাবাে । সাত দিনের সময় দিলাম । সাত দিন পরে তাের ফাসী হবে । " এই কথা শুনে ভয়ে বীরবলের মুখ শুকিয়ে গেল । সে চিন্তিত মন ও ভয়ে ভারাক্রান্ত দেহ নিয়ে বাড়ী ফিরলাে । বাড়ীতে প্রবেশ করতেই তার স্ত্রী তাকে দেখে জিজ্ঞাসা করলাে , “ কী হয়েছে ? আপনাকে এত চিন্তি ত দেখা যাচ্ছে কেন ? ” বীরবল বললাে , “ আমার ফাসী হবে । বাদশাহর ছেলে হয়েছে তাই সবাই তাদের আনন্দের তুলনা ঈদের আনন্দ ইত্যাদির সাথে করেছে । আর আমি বলেছিলাম পায়খানা সমাপন করার পর যে - রকম আনন্দ পাওয়া যায় আমি সে - রকম আনন্দিত হয়েছি । তাতেই বাদশাহ ক্ষেপে গিয়ে আমাকে ফাসির হুকুম দিয়েছে । সাত দিন পর আমার ফাসী হবে । ” বীরবলের স্ত্রী বললাে , “ ঠিক আছে , আপনি চিন্তা করবেন না । আমি সব ব্যবস্থা করছি । আপনি কাল দুপুরে আমাদের বাড়ীতে খাওয়ার জন্যে বাশাহকে দাওয়াত করুন । * বীরবল বাদশাহর দরবারে গিয়ে বললাে , “ জাহাপনা । মোর তো ফাসী হয়েই যাবে । কিন্তু জীবনে একটা বড় আশা ছিল । সেই আশাটা পূরণ কতে মরতে চাই । বাদশাহ বললেন , অবশ্যই তােমার সাধ পূরণ করা হবে । ফাঁসির আসামির সব সাধ পূরণ করা হয় । তুমি নির্ভয়ে তােমার কী সাধ হয়েছে ব্যক্ত কর । বিরবল বললাে , “ আপনার অনেক নূন খেয়েছি । কিন্তু আপনাকে আমি কিছুই দিতে পারিনি । তাই মৃত্যুর আগে একবার আপনাকে দাওয়াত করে মনের মত করে খাওয়ে । মরতে চাই । নিমকহারাম হয়ে মরতে চাই না । সুতরাং কাল দুপুরে আমার বাড়ীতে আপনার খাওয়ার দাওয়াত । দয়া করে কবুল করেন । বাদশাহ বললেন , “ ঠিক আছে দাওয়াত কবুল করলাম । বীরবলের স্ত্রী নানা রকম রান্না করে থরে থরে সাজিয়ে রাখলাে । বাদশাহর আগমন ঘটলাে । বীরবল প্রথমে শাক পরিবেশন করলাে । বাদশাহ বললেন , “ একি , আমাকে শাক দিয়ে খেতে হবে । বীরবল বললাে , “ হুযুর , আমরা গরীব মানুষ যা জুটেছে তাই পরিবেশন করছি । দয়া করে গ্রহণ করুন । শাক দিয়ে খাওয়ার পর মাছ - ভাজা নিয়ে আসা হলাে । বাদশাহ বললেন , “ একি , মাছ - তাজা আছে দেখছি । আগে আননি কেন ? * বীরবল বললাে , এটা রান্না করতে একটু দেরী হয়ে গেছে তাই । ” বাদশাহ মাছ - ভাজার লােভ সামলাতে না পেরে ভরা পেটেও আবার খেলেন । এরপর একটার পর একটা উন্নত মানের খাবার আসতে লাগলাে । গােশত , কাবাব , কালিয়া , কোর্মা , পােলাও , বুটের ডাল , কিছুই বাদ পড়লাে না । বাদশাহ লােভর বশবর্তী হয়ে এগুলি সবই খেলেন । এরপর আসলাে দই , মতা , রস - গেঞ্চিা , সন্দেশ আর চমচম । বাদশাহ এরপরও খেলেন । কিন্তু খাওয়া শেষ হতেই পেটে কামড় শুরু হলাে । বাদশাহ জিগ্গাসা করলেন , “ তোমার এখানে কি পায়খানা আছে । পায়খানাটা দেখিয়ে দাও । বীরবল বললাে , “ হুযুূর , গরীবের বাড়ীতে তাে পায়খানা থাকে না । আমরা নৌকায় করে দূরে নির্জন জায়গায় গিয়ে কাজ সেরে আসি । " বাদশাহ বললেন , “ তাতেই হবে । আমাকে নৌকায় করে নিয়ে চল । ” বীরবল নৌকায় করে বাদশাহকে নিয়ে চললাে । যেতে যেতে বাদশাহ বললেন , “ আর কত দূর ? এই তাে কাশবন দেখা যাচ্ছে , এখানে ভিড়াও । ” বীরবল বললাে , “ হুযুর , এখানে । বিষাক্ত সাপের বাস । এখানে নির্গাত সাপের ছােবল খেতে হবে । আরও আগে চলুন । কিছুদূর গিয়ে বাদশাহ বললেন , “ এই যে , এখানে একটা ঝোপ আছে । এখানে নৌকা ভিড়ও । " বীরবল বললাে , “ হুযুর , পানির ধারের ঝোপে বাঘ থাকে । এখানে নিশ্চিত বাঘের কবলে পড়তে হবে । সুতরাং আরেকটু দুর করুন । ” কিন্তু বাদশাহ আর ছবর করতে পারছেন না । এদিকে বীরবলও নৌকা থামায় না । কিছুদূর গিয়ে একটি বালুর চর দেখে বাদশাহ বললেন , “ এই বালুর চরে আমাকে নামিয়ে দাও । আর দেরী করা যাবে । ” বীরবল বললাে , “ এখানে হিন্দুরা মড়া পুড়ায় । এখানে সব ভূতের আড্ডা । ভূত ঘাড় মটুকিয়ে দিবে । ” কিন্তু বাদশাহর ‘ হাগা চাপলে বাঘা মানে না ' দশা হয়েছে । তিনি চলতি নৌকা থেকে এমন জোরে কিনারায় লাফিয়ে পড়লেন যে হাঁটু পানিতে গিয়ে পড়লেন ।
সেখান থেকে কোন রকমে উঠে দৌড়াতে লাগলেন । তারপর কোথায় যেন গেলেন বীরবল আর দেখতে পেলো না । কিছুক্ষণ পর ফিরে এলে কে উঠলেন । বীরবল জিজ্ঞাসা করলাে , “ হুযূর , কোথায় গিয়েছিলেন , আপনার পায়খানার কাজ কি সম্পন্ন করে এসেছেন ? " বাদশাহ বললেন , ' হা , কাজ সমাধা করে আসলাম । বিরবল বলল ,এখন কেমন লাগছে হুজুর, বাদশাহ বললেন,এত আরাম লাগছে যে সেটা ব্যক্ত করা যায় না । অনন্দে আমার মন ভরে উঠেছে । সত্যি , পায়খানা করার আনন্দের সাথে অন্য কোন আনন্দের তুলনা হয় না । এই আনন্দের আলাদা একটা স্বাদ অনুভব করছি, বিরবল বলল এই আনন্দটা আল্লাহর একটা বিশেষ দান,আপনি তার শুকুর করুন আলহামদুলিল্লাহ বলুন -বাদশাহ বললেন , “ আলহামদুলিল্লাহ ! আল্লাহ পাকের লাখ লাখ শুকুর যে তিনি আমার । কষ্ট দূর করেছেন এবং আরাম দান করেছেন । বীরবল বললাে , “ আপনার ছেলে হওয়ার । আনন্দটাও আমার এই রকম ছিল । বাদশাহ বললেন , “ সত্যি এই আনন্দটা সবচেয়ে বড় আনন্দ । তুমি আমার ছেলে হওয়াতে সবচেয়ে বেশী আনন্দিত হয়েছে । সুতরাং তােমার । ফাঁসীর আদেশ আমি প্রত্যাহার করলাম । শুধু তাই নয় , তােমাকে পুরষ্কার স্বরূপ প্রমােশন দিয়ে দরবারের একটি উচ্চ পদ দান করলাম । সুতরাং পায়খানা - পেশাবের পর একটি কষ্ট দূর হয় এবং দেহে এক অপূর্ব আরাম বোধ । হয় । এইজন্যে মু'মিন বান্দাহ পায়খানা সম্পাদনের পর আল্লাহ পাকের শুকরানা স্বরূপ এই দােয়া পড়ে থাকে ।
থানবী দাওয়াতে আবদিয়াত ৪ র্থ খন্ড , ৪৩
No comments