Header Ads

Header ADS

117 সৎকাজেরআদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি

117 সৎকাজেরআদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি। (আল ইমরান - ১০৪)

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ


كُنْتُمْ خَیْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ تَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ

* একটা নবীওয়ালা কাজ। উভয় জগতের কল্যাণময় কাজ

* সূরা আসর এ নাজাতের চারটি গুণের কথা আল্লাহ বলেছেন

وَ الۡعَصۡرِ ۙ﴿۱﴾ 

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ 

اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ٪﴿۳﴾ 

* সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি

(1) জালিম শাষক নিযুক্ত করা হবে। আবু দারদা রাঃ বলেন। বড়দের সম্মান ছোটদের ইজ্জত করবে না। হযরত হুজায়ফা (রাঃ) রেওয়ায়েত করেন। সর্বশেষে আল্লাহর পক্ষ থেকে আজাব নেমে আসবে। 

(2) জমিনে গজব আসবে। বনী ঈসরাইলের যুগে আল্লাহর এক গোলাম ছিল। সিয়ামুন্নাহারে. কেয়ামুলাইল। দিনভর রোযা রাখতেন রাত জেগে জেগে তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। জিব্রাইল এই কাওমকে উল্টিয়ে দাও ৷

* নীরবতা থাকারও সুযোগ নেই। অন্যায় কাজে বাঁধা না দিলে। অন্যায় না করলেও বিপদ চেপে বসবে

قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا

* এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট পানি-জাহাজে লটারি

* দাউদ আলাই সালাম এর জমানায় যারা নিরব থেকে ছিল আল্লাহ তাদেরকেও বানর বানিয়েছেন

________________________________________________________


৬৫/65/98 সৎকাজেরআদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি। (আল ইমরান - ১০৪)

وَلْتَكُن مِّنكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ ۚ وَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

(আল ইমরান - ১০৪)


আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম।

2) নবী ছিলেন কল্যানকামী। ইমান ও আমল দিয়ে নাজাত পাওয়া সম্ভব নয় অন্যর কল্যানের ধান্ধা ছারা ৷ 

* সূরা আসর এ নাজাতের চারটি গুণের কথা আল্লাহ বলেছেন

وَ الۡعَصۡرِ ۙ﴿۱﴾ 

اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ ۙ﴿۲﴾ 

اِلَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ وَ تَوَاصَوۡا بِالۡحَقِّ ۬ۙ وَ تَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ ٪﴿۳﴾ 

* সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি

(1) জালিম শাষক নিযুক্ত করে দিবেন,

(2) জমিনে গজব আসবে। বনী ঈসরাইলের যুগে আল্লাহর এক গোলাম ছিল। সিয়ামুনাহারে. কেয়ামুলাইল। দিনভর রোযা রাখতেন রাত জেগে জেগে তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। জিব্রাইল এই কাওমকে উল্টিয়ে দাও ৷

* এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট পানি-জাহাজে লটারি

____________________________

৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১১০


كُنْتُمْ خَیْرَ اُمَّةٍ اُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَ تَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَ تُؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ١ؕ وَ لَوْ اٰمَنَ اَهْلُ الْكِتٰبِ لَكَانَ خَیْرًا لَّهُمْ١ؕ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ وَ اَكْثَرُهُمُ الْفٰسِقُوْنَ


এখন তোমরাই দুনিয়ায় সর্বোত্তম দল। তোমাদের কর্মক্ষেত্রে আনা হয়েছে মানুষের হিদায়াত ও সংস্কার সাধনের জন্য। তোমরা নেকীর হুকুম দিয়ে থাকো, দুষ্কৃতি থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহ‌র প্রতি ঈমান আনো। এই আহলি কিতাবরা ঈমান আনলে তাদের জন্যই ভালো হতো। যদিও তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক ঈমানদার পাওয়া যায়; কিন্তু তাদের অধিকাংশই নাফরমান।


* নবী ছিলেন কল্যানকামী


ইমান ও আমল দিয়ে নাজাত পাওয়া সম্ভব নয় অন্যর কল্যানের ধান্ধা ছারা ৷ 


* সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা না দেয়ার পরিণতি


হযরত আবু দরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেছেন,তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দিতে থাকবে।তা না হলে আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর এমন জালিম শাষক নিযুক্ত করে দিবেন, যে তোমাদের বড়দের ইজ্জত করবেনা, ছোটদের স্নেহ করবেনা। এসময় তোমাদের মাঝে সবচেয়ে নেককার লোকেরা দোয়া করবে,কিন্তু তাদের দোয়া কবুল হবেনা।তোমরা সাহায্য চাইবে অথচ তোমাদের সাহায্য করা হবেনা।তোমরা ক্ষমা চাইবে কিন্তু তোমাদের ক্ষমা করা হবেনা।


হযরত হুজায়ফা (রাঃ) রেওয়ায়েত করেন।তিনি বলেছেন,যার হাতে আমার জীবন,তার শপথ করে বলছি,তোমরা সৎ কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধ করতে থাকবে। অন্যথায় খুব শিগগিরই আল্লাহ্‌ তোমাদের উপর কঠিন শাস্তি আরোপ করবেন। তারপর তোমরা তার কাছে দোয়া করবে কিন্তু তিনি তোমাদের দোয়া কবুল করবেন না। ( মুসনাদে আহমদ)

হুযাইফাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:


وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ ! لَتَأْمُرُنَّ بِالـْمَعْرُوْفِ، وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الـْمُنْكَرِ، أَوْ لَيُوْشِكَنَّ اللهُ أَنْ يَّبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِّنْهُ، ثُمَّ تَدْعُوْنَهُ، فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ.


‘‘সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! তোমরা অবশ্যই একে অপরকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে। তা না হলে আল্লাহ্ তা‘আলা অচিরেই তোমাদের উপর তাঁর পক্ষ থেকে বিশেষ শাস্তি পাঠাবেন। তখন তোমরা তাঁকে ডাকবে; অথচ তিনি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবেন না’’। (তিরমিযী ২১৬৯)


* জিব্রাইল এই কাওমকে উল্টিয়ে দাও ৷


* ভাল কাজের আদেশ মন্দ কাজের নিষেধ


একটা ঘটনা বলি, খুতবাতুল আহকাম থেকে নেয়া আপনারাও পড়ে দেখতে পারেন। 


আল্লামা থানবী (র:) কোরআন হাদীসের আলোকে লিখেছেন।


বনী ঈসরাইলের যুগে আল্লাহর এক গোলাম ছিল।


সিয়ামুনাহারে. কেয়ামুলাইল।


দিনভর রোযা রাখতেন রাত জেগে জেগে তিনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন।


এবার আল্লাহ তা`য়ালা একদিন বললেন ও ফেরেশতারা যাও অমুক এলাকাটাকে গজব দিয়া উল্টিয়ে দাও ফেরেশতা চলে আসলো বন্দেগি অবস্থায় দেখল আল্লাহর ওলী এবাদত খানায় ভিতরে বন্দেগী করতেছেন ফেরেশতারা তাঁব আমলনামা খুঁজল খুঁজে দেখে ৮০ বছরের জীবনের ভিতরে ফরয ওয়াজিব দুরের কথা ৮০ বছরের হায়াতের ভিতরে মুস্তহাবের কোনো খেলাফ নাই।

( নামাজ হলো আল্লাহর সাহায্য লাভের মাধ্যমে। )

কি সাংগাতীক বুজুর্গ এবার ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করল হায় আল্লাহ তা`য়ালা অমুক এলাকা গজব দিয়ে উল্টিয়ে দেওয়ার জন্য আপনি বললেন "রাব্বুল আলামীন " ওই এলাকার ভিতরে একজন বুজুর্গ দিনভর রোযা রাখেন রাত জেগে জেগে তিনি নামাজ পড়েন ৮০বছরের আমলনামার ভিতরে কোনো মুস্তাহাবের খেলাফ নাই এই এই লোকটা আছে এই এলাকা কি আমরা উল্টিয়ে দিব গজব দিয়ে? আল্লাহ বললেন ফেরেশতা গজব দিয়ে আগে ওই নাফরমানের চেহারা পরিবর্তন করে দাও। আর গোঁটা এলাকা গজব দিয়ে ওর মাথার উপর চাপিয়ে দাও।


হায় আল্লাহ তা`য়ালা কারণ বোঝলাম না


আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জানিয়ে দিলেন শুনো সমাজের ভিতরে অনাচার অবিচার পাপাচার দুরাচার চলে সাভ্বাবিক।


আর এমতাবস্থায় ওই বুজুর্গ মসজিদের ভিতরে তাসবিহ করে যিকির করে হাল্কা করে নামাজ পড়ে নিজে নিজে আমল করে সমাজের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনি ভাল কাজের আদেশ করেনি এমন বুজুর্গ আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন চাইনা।


৬৬ আত-তাহরীম, আয়াত: ৬


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا قُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ اَهْلِیْكُمْ نَارًا وَّ قُوْدُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَةُ عَلَیْهَا مَلٰٓئِكَةٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعْصُوْنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمْ وَ یَفْعَلُوْنَ مَا یُؤْمَرُوْنَ


হে লোকজন যারা ঈমান এনেছো, তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার ও সন্তান-সন্ততিকে সেই আগুন থেকে রক্ষা করো মানুষ এবং পাথর হবে যার জ্বালানী। সেখানে রুঢ় স্বভাব ও কঠোর হৃদয় ফেরেশতারা নিয়োজিত থাকবে যারা কখনো আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে না এবং তাদেরকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তাই পালন করে। (তখন বলা হবে,) ]


সমাজটা যতক্ষণ ভাল না হবে ভাল করার জন্য চেস্টা না করবে ততক্ষণ পর‍্যন্ত তাঁর বুজুর্গি আমার কাছে গ্রহণ হবেনা।


আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই বুজুর্গর উপরে অসন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছি এলাকা গজব দিয়া তাঁর মাথার উপর রেখে দাও। 


প্রিয় পাঠক শুধু নিজে ভাল থাকলে হবেনা সমাজটাকে ও ভাল রাখতে হবে।


আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভাল কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ করার তৌফীক দান করুন আমিন।


* অসৎ কাজে বাধা না দেওয়ার পরিনীতি


* عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَثَلُ القَائِمِ في حُدُودِ اللهِ وَالوَاقعِ فِيهَا، كَمَثَلِ قَومٍ اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَةٍ فَصَارَ بَعْضُهُمْ أعْلاها وَبَعْضُهُمْ أَسْفَلَهَا، وَكَانَ الَّذِينَ في أَسْفَلِهَا إِذَا اسْتَقَوا مِنَ المَاءِ مَرُّوا عَلَى مَنْ فَوْقهُمْ فَقَالُوا: لَوْ أنَّا خَرَقْنَا في نَصِيبِنَا خَرْقاً وَلَمْ نُؤذِ مَنْ فَوقَنَا، فَإِنْ تَرَكُوهُمْ وَمَا أرَادُوا هَلَكُوا جَمِيعاً، وَإنْ أخَذُوا عَلَى أيدِيهِمْ نَجَوا وَنَجَوْا جَمِيعاً رواه البخاري


নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ)


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় অবস্থানকারী (সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে বাধাদানকারী) এবং ঐ সীমা লংঘনকারী (উক্ত কাজে তোষামোদকারীর) উপমা হল এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট পানি-জাহাজে লটারি করে কিছু লোক উপর তলায় এবং কিছু লোক নিচের তলায় স্থান নিল। (নিচের তলা সাধারণতঃ পানির ভিতরে ডুবে থাকে। তাই পানির প্রয়োজন হলে নিচের তলার লোকদেরকে উপর তলায় যেতে হয় এবং সেখান হতে সমুদ্র বা নদীর পানি তুলে আনতে হয়।) সুতরাং পানির প্রয়োজনে নিচের তলার লোকেরা উপর তলায় যেতে লাগল। (উপর তলার লোকদের উপর পানি পড়লে তারা তাদের উপর ভাগে আসা অপছন্দ করল। তারা বলেই দিল, ‘তোমরা নিচে থেকে আমাদেরকে কষ্ট দিতে এসো না।’) নিচের তলার লোকেরা বলল, ‘আমরা যদি আমাদের ভাগে (নিচের তলায় কোন স্থানে) ছিদ্র করে দিই, তাহলে (দিব্যি আমরা পানি ব্যবহার করতে পারব) আর উপর তলার লোকদেরকে কষ্টও দেব না। (এই পরিকল্পনার পর তারা যখন ছিদ্র করতে শুরু করল) তখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদেরকে নিজ ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় (এবং সে কাজে বাধা না দেয়), তাহলে সকলেই (পানিতে ডুবে) ধ্বংস হয়ে যায়। (#উপর তলার লোকেরা সে অন্যায় না করলেও রেহাই পেয়ে যাবে না। সুতরাং অসৎ কাজে নিরবতা থাকলেও বিপদ) পক্ষান্তরে উপর তলার লোকেরা যদি তাদের হাত ধরে (জাহাজে ছিদ্র করতে) বাধা দেয়, তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যায় এবং সকলকেই বাঁচিয়ে নেয়।” (বুখারী ২৪৯৩, ২৬৮৬, তিরমিযী ২১৭৩)


রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৫৯৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


"

* দাউদ আলাই সালাম এর জমানায় যারা নিরব থেকে ছিল আল্লাহ তাদেরকেও বানর বানিয়েছেন

No comments

Powered by Blogger.