Header Ads

Header ADS

119 আখলাক বা স্বভাব চরিত্র

* অহংকারী লোকদের মধ্যে বিনয়ী স্বভাবের অভাব থাকে

* বিনয়ী সভাব #সুন্দর আদব দিয়ে আল্লাহকে খুশি করে জান্নাতি হওয়া যায়। অহংকার ও বেয়াদবি স্বভাব দিয়ে ইবলিশ জাহান্নামি হয় ৭: আরাফ: ১১৫

قَالُوْا یٰمُوْسٰۤى اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّكُوْنَ نَحْنُ الْمُلْقِیْنَ

وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَۚۖ

* নিজের দোষের শেষ নেই অন্যের দোষ খুঁজি। এগুলো বেয়াদবদের কাজ। বিনয়ী স্বভাবের লোকদের কাজ নয়

* যারা অন্যের সমালোচনা, ও দোষ খুঁজে বেড়ায়। তাদেরকে আল্লাহ লক্ষ্য করে বলেন, আল্লাহকে ভয় করার জন্য ৪৯ আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ١٘ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوْا وَ لَا یَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًا١ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ یَّاْكُلَ لَحْمَ اَخِیْهِ مَیْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ١ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیْمٌ

* অন্যের সমালোচনা না করে নিজের সমালোচনা করি। অন্যের দোষ না খুঁজে নিজের দোষ খুঁজি

* অন্যের দোষ খুঁজা #এটা আদব না বেয়াদব? আসলেই যারা বেয়াদব ছোট মনের মানুষ তাঁরাই অন্যের দোষ খুঁজে । 

* উঁচু, মাধ্যম নয়,নিচু মনের মানুষ চায়ের দোকানে অন্যের, হুজুরের দোষ খুঁজে বেড়ায়।

* প্রকাশ্য ও গোপনে দোষ খুঁজে তাঁরা ধংস। সূরা হুমাযা

* #সমালোচনা আলোচনা ও আত্মসমালোচনা

* যদি সত্যেও হয় এটা হবে গীবত। আর যদি মিথ্যা হয় তাহলে অপবাদ।

* #হযরত ওমর রা.-এর অবস্থা

হযরত ওমর রা. অনেক সময় একটি খড়কুটা হাতে নিয়ে বলতেন, হায়! আমি যদি এই খড়কুটা হতাম! কখনও বলতেন, হায়! আমার আম্মা যদি আমাকে জন্মই না দিতেন।

* যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না

______________________________________________________________


৪৯ আল-হুজুরাত, আয়াত: ১১


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤى اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ١ۚ وَ لَا تَلْمِزُوْۤا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ١ؕ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ١ۚ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓئِكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ


হে ঈমানদারগণ, পুরুষরা যেন অন্য পুরুষদের বিদ্রূপ না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম। আর মহিলারাও যেন অন্য মহিলাদের বিদ্রূপ না করে। হতে পারে তারাই এদের চেয়ে উত্তম। তোমরা একে অপরকে বিদ্রূপ করো না। এবং পরস্পরকে খারাপ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর গোনাহর কাজে প্রসিদ্ধি লাভ করা অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। যারা এ আচরণ পরিত্যাগ করেনি তারাই জালেম।


৪৯ আল-হুজুরাত, আয়াত: ১২


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ١٘ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوْا وَ لَا یَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًا١ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ یَّاْكُلَ لَحْمَ اَخِیْهِ مَیْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ١ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیْمٌ


হে ঈমানদারগণ, বেশী ধারণা ও অনুমান করা থেকে বিরত থাকো কারণ কোন কোন ধারণা ও অনুমান গোনাহ। দোষ অন্বেষণ করো না। আর তোমাদের কেউ যেন কারো গীবত না করে। এমন কেউ কি তোমাদের মধ্যে আছে, যে তার নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? দেখো, তা খেতে তোমাদের ঘৃণা হয়। আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ‌ অধিক পরিমাণে তাওবা কবুলকারী এবং দয়ালু।


৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৫


قَالُوْا یٰمُوْسٰۤى اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّكُوْنَ نَحْنُ الْمُلْقِیْنَ


তখন তারা মূসাকে বললোঃ “তুমি ছুড়ঁবে না, না আমরা ছুঁড়বো?”


৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১২০


وَ اُلْقِیَ السَّحَرَةُ سٰجِدِیْنَۚۖ


আর যাদুকরদের অবস্থা হলো এই-যেন কোন জিনিস ভিতর থেকে তাদেরকে সিজদাবনত করে দিলো।


* নিজেকে ছোট মনে করাই তাওয়াযু,আল্লাহ মন দেখেন,


حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ كُرَيْزٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا، هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ دَاوُدَ وَزَادَ وَنَقَصَ وَمِمَّا زَادَ فِيهِ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ وَلاَ إِلَى صُوَرِكُمْ وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَأَشَارَ بِأَصَابِعِهِ إِلَى صَدْرِهِ ‏.‏


আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ)

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এরপর উসামাহ্‌ ইবনু যায়দ দাউদ-এর হাদীসের অনুরূপ উল্লেখ করেছেন। তবে এ বর্ণনায় তিনি সামান্য কম-বেশি করেছেন। তারা উভয়ে যতটুকু বাড়িয়ে বলেছেন, তা হচ্ছে “নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের দেহকায় ও বাহ্যিক আকৃতির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তরসমূহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন।” (এ বলে) তিনি তাঁর আঙ্গুলের মাধ্যমে স্বীয় বক্ষের দিকে ইঙ্গিত করেন। 

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৩৬


* হযরত ওমর রা.-এর অবস্থা

হযরত ওমর রা. অনেক সময় একটি খড়কুটা হাতে নিয়ে বলতেন, হায়! আমি যদি এই খড়কুটা হতাম! কখনও বলতেন, হায়! আমার আম্মা যদি আমাকে জন্মই না দিতেন। একবার তিনি কোনো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এমন সময় একজন লোক এসে অভিযোগ জানাল, অমুক লোক আমার উপর জুলুম করেছে। আপনি আমার বদলা নিয়ে দেন। তিনি তাকে একটি চাবুক মেরে দিলেন। বললেন, যখন আমি সুবিচারের জন্য বসি তখন আস না। যখন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকি তখন এসে বলো যে, আমার বদলা নিয়ে দেন। লোকটি নীরবে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর তিনি লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন। তার হাতে চাবুক দিয়ে বললেন, ভাই! তুমি বদলা নাও। সে আরজ করল, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে আপনাকে মাফ করে দিয়েছি। হযরত ওমর রা. ঘরে এসে দুই রাকাত নামাজ পড়লেন। এরপর নিজেকে সম্বোধন করে বলতে লাগলেন, হে ওমর! তুই নিকৃষ্ট ছিলি। আল্লাহ তোকে উঁচু মর্তবা দান করেছেন। তুই গোমরাহ ছিলি। আল্লাহ তোকে হিদায়েত দান করেছেন। তুই অপদস্থ ছিলি। আল্লাহ তোকে ইজ্জত দান করেছেন। মানুষের বাদশাহ বানিয়েছেন। অথচ এক লোক এসে সুবিচার প্রার্থনা করল। তুই তাকে চাবুক মেরে দিলি । কাল কিয়ামতের দিন তোর রবের সামনে কী জবাব দিবি? এভাবে অনেক সময় পর্যন্ত তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন। উসদুল গাবাহ উনার গোলাম হযরত আসলাম রা. বলেন, একবার আমি হযরত ওমর রা.-এর সাথে মদীনার কাছে হাররা নামক স্থানের দিকে যাচ্ছিলাম। মরুভূমির এক জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেল। হযরত ওমর রা. বললেন, মনে হয় কোনো কাফেলা রাত হয়ে যাওয়ার কারণে শহরে প্রবেশ করতে পারে নাই। এখানে তাবু ফেলেছে। চল। গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নিয়ে আসি। তাদের হেফাজতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দেই। সেখানে গিয়ে দেখেন, এক স্ত্রী লোকের সামনে কয়েকটি ছেলে-মেয়ে চিৎকার করে কাঁদছে। চুলার উপর পানি ভর্তি একটি পাতিল আছে। তার নিচে চুলায় আগুন জ্বলছে। তিনি সালাম করে কাছে যাওয়ার অনুমতি চাইলেন। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, বাচ্চারা কেন কাঁদছে? মহিলাটি বলল, ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাঁদছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, পাতিলে কী রান্না হচ্ছে? মহিলা বলল, পানি ভর্তি করে জ্বাল দিচ্ছি। যাতে তারা সান্তনা লাভ করে ঘুমিয়ে যায়। আল্লাহর দরবারেই আমার এবং আমীরুল মুমিনীন ওমরের ফায়সালা হবে। আমার এই দুরবস্থার কোনো খবরই তিনি নিচ্ছেন না। একথা শুনে হযরত ওমর রা. কেঁদে ফেললেন। বললেন, আল্লাহ তোমাকে রহম করুন। বলো দেখি, ওমর কীভাবে তোমার খবর জানবেন? মহিলাটি বলল, তিনি আমাদের আমীর হয়েছেন । অথচ খবর নিবেন না। এটি কেমন কথা? হযরত আসলাম রা. বলেন, হযরত ওমর রা. আমাকে সাথে নিয়ে ফিরে


এলেন। একটি বস্তায় বাইতুল মাল হতে কিছু আটা, খেজুর, চর্বি ও কিছু কাপড় ও কিছু দিরহাম ভর্তি করলেন। বেশ ভালোভাবেই ভর্তি করলেন। এরপর আমাকে বললেন, এটি আমার পিঠে তুলে দাও। আমি আরজ করলাম, আমি নিয়ে যাই। তিনি বললেন, না। আমার পিঠেই তুলে দাও। আমি যখন তিন বার অনুরোধ করলাম তখন তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন আমার বোঝা কি তুমিই বহন করবে? এই বস্তা আমিই বহন করে নিব। কেননা, দিন এই সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করা হবে। আমি বাধ্য হয়ে বস্তা উনার পিঠে কিয়ামতের তুলে দিলাম। তিনি খুব দ্রুত গতিতে ঐ মহিলার কাছে গিয়ে হাজির হলেন। আমিও সাথে ছিলাম। তিনি পাতিলে আটা, কিছু খেজুর, কিছু চর্বি মিশিয়ে তা জ্বাল দিতে লাগলেন। নিজেই চলায় ফু দিতে লাগলেন। হযরত আসলাম রা. বলেন, আমি উনার ঘন দাড়ির ফাঁক দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘হারিরা’র মতো এক প্রকার খাবার তৈরি হয়ে গেল। এরপর তিনি নিজ হাতে বাচ্চাদের খাওয়ালেন। তারা তৃপ্ত হয়ে খেলাধুলায় মেতে উঠল। অবশিষ্ট খাবার তিনি অন্য বেলার জন্য মহিলাটির কাছে দিয়ে দিলেন। মহিলাটি খুশি হয়ে বলতে লাগলেন, আল্লাহ তোমাকে উত্তম বদলা দান করুন। ওমরের পরিবর্তে তোমাকেই খলিফা বানানো উচিত ছিল। হযরত ওমর তাকে সান্তনা দিয়ে বললেন, যখন তুমি খলিফার কাছে যাবে তখন আমাকেও সেখানে দেখতে পাবে।


হযরত ওমর রা. সেখানেই একটু দূরে সরে মাটিতে বসলেন। কিছুক্ষণ বসে ফিরে এলেন। বললেন, কিছুক্ষণ এজন্য বসেছিলাম যে, প্রথমে বাচ্চাগুলোকে কাঁদতে দেখেছিলাম । তাই কিছুক্ষণ তাদের হাসি-খুশি অবস্থায় দেখতে মন চাইল । ফজরের নামাজে প্রায় তিনি সূরা কাহাফ, সূরা ত্বাহা ইত্যাদি বড় বড় সূরা পড়তেন। পিছনে কয়েক কাতার পর্যন্ত উনার কান্নার আওয়াজ শোনা যেত । একবার ফজরের নামাজে সূরা ইউসুফ পড়ছিলেন। এটা পর্যন্ত পড়ার পর কান্নার কারণে উনার গলার আওয়াজ বসে গেল । তিনি অনেক সময় তাহাজ্জুদের নামাজে কাঁদতে কাঁদতে পড়ে যেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তেন । ফায়দাঃ এটি হলো সে ব্যক্তির খোদাভীতির অবস্থা যার নাম শুনে বড় বড় রাজা বাদশাহ পর্যন্ত ভয়ে কাঁপত। সাড়ে তের শ বছর পর আজও উনার প্রতাপ ও শান- শওকত বিদ্যমান। কোনো বাদশাহ বা প্রশাসক দূরের কথা, কোনো সাধারণ কর্মকর্তাও কী এমন আছেন, যিনি অধীনস্থদের সাথে এমন আচরণ করে থাকেন?


ফাযায়েলে আমাল * হেকায়াতে সাহাবা ৪৬৭ পৃষ্ঠা। 

হেকায়াতে সাহাবা আল্লাহ পাকের ভয়।

No comments

Powered by Blogger.