120 একটা নেকীর মূল্য কত সেদিন বুঝে আসবে
120 একটা নেকীর মূল্য কত সেদিন বুঝে আসবে
* সেদিন আল্লাহ ন্যায় বিচারের মানদন্ড স্থাপন করবেন কারো প্রতি জুলুম করা হবে না। কারণ তিনি অন্তরের খবর জানেন। সুরা মুলক
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ۖ وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا ۗ وَكَفَىٰ بِنَا حَاسِبِينَ
* এটা এমন মিযান ৯৯ যিলযাল ৭
فَمَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَیْرًا یَّرَهٗؕ ---وَ مَنْ یَّعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا یَّرَهٗ۠
* লোকেরা বলবে। কাহাফ 49
مَالِ هٰذَا الْكِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیْرَةً وَّ لَا كَبِیْرَةً اِلَّاۤ اَحْصٰىهَا١ۚ وَ وَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا١ؕ وَ لَا یَظْلِمُ رَبُّكَ اَحَدًا۠
* #আমলনামা ওজন করা হবে।মিজানের পাল্লা যদি হালকা হয়ে যায়, হাবিয়া হবে আমার স্থান জাহান্নামে হবে আমার ঠিকানা
فَاَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِیْنُهٗۙ (৬) فَهُوَ فِیْ عِیْشَةٍ رَّاضِیَةٍؕ (৭) وَ اَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِیْنُهٗۙ (৮) فَاُمُّهٗ هَاوِیَةٌؕ (৯) وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَاهِیَهْؕ (১০) نَارٌ حَامِیَةٌ۠ (১১)
* মিযানের নেকের পাল্লা ভারী করার আমল
* সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
* অবসর পাইলে আরেকটা জিকির করবেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সকাল-সন্ধ্যায় لَا اِلَهَ اِلَّا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ জিকির করা।
* আল্লাহর নবি নূহ আঃ সালাম মৃত্যুর সময় তাঁর ছেলেকে এ বলে অসিয়ত করেছেন যে, জিকির করবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বিরত থাকবে শিরক ও অহংকার থেকে
* কেউ কাউকে সেদিন একটি নেকী দিবে না। #একটি নেকের জন্য দৌড়াবে। ৮০ আবাসা ৩৪
یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ اَخِیْهِۙ (৩৪) وَ اُمِّهٖ وَ اَبِیْهِۙ (৩৫) وَ صَاحِبَتِهٖ وَ بَنِیْهِؕ (৩৬) لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ یَوْمَئِذٍ شَاْنٌ یُّغْنِیْهِؕ (৩৭)
* #স্বয়ং নবীজি নিজের মেয়ে কে আমলের উপর নির্ভর হতে বলেছেন।রিয়াদুস সলেহিন, ৩৩৪
وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ
উক্ত আয়াত নাজিল হওয়ার পর বিভিন্ন গোত্রের লোকদের ডেকে বললেন
يَا فَاطِمَةُ، أنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ . فَإنِّي لاَ أمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللهِ شَيئاً، غَيْرَ أنَّ لَكُمْ رَحِماً سَأبُلُّهَا بِبِلالِهَا
* এই পৃথিবী কিন্তু থাকার জায়গা নয়। পৃথিবীতে কেউ স্থায়ী হয় না। হোক না সে ফেরাউন কিবা নম্রুদ কেউ ভবে চিরকাল রয় না
চলে যায় সব ছেড়ে যেতে হয়
মৃত্যু মানেনা কোন পরিচয়
সব রাজা মহারাজা আর মহাবীর
কাউকে সে অবকাশ দেয়না।
________________________________________________________
* কেউ কাউকে সেদিন একটি নেকী দিবে না। একটি নেকের জন্য দৌড়াবে। একটি নেকীর মূল্য কত সেদিন বোঝা যাবে
* যখন হাসরের ময়দানে একটি নেকির জন্য কোন লোককে জাহান্নামে ফেলে দেয়ার হুকুম হবে তখন লোকটি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করবে, হে আল্লাহ আপনি আমাকে সুযোগদিন, দেখি কারো কাছে একটি নেকি পাওয়া যায়নি, তখন সুযোগ দেয়া হবে। সে তখন পেরেশান অবস্থায় সকলের কাছে যাবে, এক এক করে বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন ভাই বোন, ছেলে মেয়ে,সবার কাছে যাবে কেউ একটা নেকি দেবেনা সবাই ফিরিয়ে দেবে এমনকি যে মা বাবা পৃথিবীর মধ্য সবচেয়ে আপন ছিল সে মা বাবা বলবে আমি তোমাকে চিনিনা। হে আল্লাহ তালা আমাদের শরিয়ত মুতাবেক বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দিন আমিন ,বিচারের দিবসের দিন কি কেউ কারো কে
চিনতে পারবে?? দু,বন্দুর মাঝে এক বন্দু নেককার আরেক বন্দু বদকার, কেয়ামত দিবসের দিন নেককার বন্দুটি তার নেক আমলের খাতা খুলে দেখে, যে তার আর একটি নেকী লাগবে, তা হলে, সে জান্নাতে যেতে পারবে,তাই আল্লাহ বললো হে,বান্দা, তুমি যাও তোমার পরিচিত কারো কাছ থেকে, আর একটি নেকী নিয়ে আসো,নেকার বন্দুটি নেকী নিতে প্রথমে সে তার মায়ের কাছে যায়, গিয়ে বলে,মা তুমি দুনিয়াতে কত কষ্ট করিয়ে, আমাকে লালন পালন করেছো,আমি আর একটি নেকীর জন্য জান্নাতে যেতে পারতাছিনা, আমাকে আর একটি নেকী দেও, মা ছেলের কথা শুনে বললো,
কি বলো, তুমি, কে তুমি,?আমার তো এ দুনিয়াতে বিয়ে ই হয়নি, ছেলে আসবে
* ৮০ আবাসা, আয়াত: ৩৪
یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ اَخِیْهِۙ (৩৪) وَ اُمِّهٖ وَ اَبِیْهِۙ (৩৫) وَ صَاحِبَتِهٖ وَ بَنِیْهِؕ (৩৬) لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ یَوْمَئِذٍ شَاْنٌ یُّغْنِیْهِؕ (৩৭)
৮০ আবাসা, আয়াত: ৩৪
یَوْمَ یَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ اَخِیْهِۙ
তাফহীমুল কুরআন:
সেদিন মানুষ পালাতে থাকবে --- নিজের ভাই,
ফী যিলালিল কুরআন:
সেদিন মানুষ তার নিজ ভাইয়ের কাছ থেকে পালাতে থাকবে,
৮০ আবাসা, আয়াত: ৩৫
وَ اُمِّهٖ وَ اَبِیْهِۙ
তাফহীমুল কুরআন:
নিজের মা, বাপ
ফী যিলালিল কুরআন:
(পালাতে থাকবে) তার নিজের মা থেকে, নিজের বাপ থেকে,
৮০ আবাসা, আয়াত: ৩৬
وَ صَاحِبَتِهٖ وَ بَنِیْهِؕ
তাফহীমুল কুরআন:
নিজের সাথী, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের থেকে।
ফী যিলালিল কুরআন:
সহধর্মিনী থেকে, (এমন কি) তার ছেলেমেয়েদের থেকেও;
৮০ আবাসা, আয়াত: ৩৭
لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ یَوْمَئِذٍ شَاْنٌ یُّغْنِیْهِؕ
তাফহীমুল কুরআন:
তাদের প্রত্যেকে সেদিন এমন কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে যে, নিজের ছাড়া আর কারোর কথা তার মনে থাকবে না।
ফী যিলালিল কুরআন:
সেদিন তাদের প্রত্যেকের জন্যেই পরিস্থিতি এমন (ভয়াবহ) হবে যে, তাই তার (ব্যস্ততার) জন্য যথেষ্ট হবে।
কেমনে, তার পর নেককার বন্দুটি তার বাবার কাছে, গিয়ে বললো,বাবা আমাকে
একটি নেকী দেও আর একটি নেকী পেলে আমি, জান্নাতে জেতে পাবো, বাবা
ছেলের কথা শুনে বললো, কে তুমি, কি বলো?আমার তো এ দুনিয়াতে, বিয়ে ই
হয়নি,ছেলে আসবে কি করে,?তার পর নেককার বন্দুটি,তার বদকার বন্দুটির
সাথে দেখা হয়, আর বদকার বন্দুটি বললো কি বেপার কি হইছে,নেককার বন্দুটি বললো, আমি আর একটি নেকীর জন্য জান্নাতে যেতে পারতাছিনা, বদকার বন্দুটি তার কথা শুনে বললো, আমি দিবো, তকে, আর একটি নেকী আমি তো এমনি, জাহান্নামে যাবো,জীবনে ও নামায পড়িনি, নেক আমল করিনি, আমার এ, একটি নেকী নিয়ে আমি কি কবরো, তুই নিয়ে যা, আল্লাহ কাছে নেককার বন্দুটি গেলেন, নেকী নিয়ে,আল্লাহ বললো, যাও বান্দা জান্নাতে, নেককার বন্দুটি বললো, না যাবো না ,আল্লাহ বললো,কেনো?নেককার বন্দুটি বললো, যার কারণে আমি জান্নাত পেলাম তাকে ছাড়া এ জান্নাত চায় না, আল্লাহ, তখন, বললো, যাও তাকে ও নিয়ে জান্নাতে যাও,সুবহানাআল্লাহ,একটি নেকির বিনিময় ধামিক বন্দুটির উপলক্ষে নেক আমল ছাড়া ই জান্নাত পেলো, বিচার দিবসে মানুষের এমন আবস্তা হবে,মা ভূলে যাবে, ছেলেকে আর
ছেলে ভূলে যাবে, মাকে, তাই আপনারা সকলে ধামিক মানুষের সাথে উঠা বসা করুন,যাতে করে, দেখা মাত্র ই একে ওপরকে
চিনতে পায়,একটা অশ্লীল বন্দু দশটা গুণার কারণ, আর একটা ধামিক বন্দু দশটা নেকীর কারণ হোতে পারে, আল্লাহ সকলকে সহি বুঝ আমল করার তৌফিক দান করুন
* মিযান কত বর,নুরুল কোরআন 17 /65প়ৃষ্ঠা আমল মাপা হবে,
* বিচারের সামনে থাকবে, ইব্রাহিম,(আ:) মুহাম্মদ (সা:) ইউসুফ ,(আ:) আইয়ুব ,(আ:) সুলাইমান ,(আ:) ওয়ায ও খুতবা 1/397
সুরা: আল-কাহাফ
আয়াত নং :-49
টিকা নং:46,
وَ وُضِعَ الْكِتٰبُ فَتَرَى الْمُجْرِمِیْنَ مُشْفِقِیْنَ مِمَّا فِیْهِ وَ یَقُوْلُوْنَ یٰوَیْلَتَنَا مَالِ هٰذَا الْكِتٰبِ لَا یُغَادِرُ صَغِیْرَةً وَّ لَا كَبِیْرَةً اِلَّاۤ اَحْصٰىهَا١ۚ وَ وَجَدُوْا مَا عَمِلُوْا حَاضِرًا١ؕ وَ لَا یَظْلِمُ رَبُّكَ اَحَدًا۠
---আর সেদিন আমলনামা সামনে রেখে দেয়া হবে। সে সময় তোমরা দেখবে অপরাধীরা নিজেদের জীবন খাতায় যা লেখা আছে সেজন্য ভীত হচ্ছে এবং তারা বলছে, হায়! আমাদের দুর্ভাগ্য, এটা কেমন খাতা, আমাদের ছোট বড় এমন কোন কিছুই এখানে লেখা থেকে বাদ পড়েনি।৪৬ তাদের যে যা কিছু করেছিল সবই নিজের সামনে উপস্থিত পাবে এবং তোমার রব কারোর প্রতি জুলুম করবেন না।
তাফসীর :
টিকা:৪৬) অর্থাৎ এ ব্যক্তি একটি অপরাধ করেনি কিন্তু সেটি খামাখা তার নামে লিখে দেয়া হয়েছে, এমনটি কখনো হবে না। আবার কোন ব্যক্তিকে তার অপরাধের পাওনা সাজার বেশী সাজা দেয়া হবে না এবং কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অযথা পাকড়াও করেও শাস্তি দেয়া হবে না।
___________________________
* (আল আম্বিয়া - ৪৭)
وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلَا تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا ۖ وَإِن كَانَ مِثْقَالَ حَبَّةٍ مِّنْ خَرْدَلٍ أَتَيْنَا بِهَا ۗ وَكَفَىٰ بِنَا حَاسِبِينَ
আমি কেয়ামতের দিন ন্যায়বিচারের মানদন্ড স্থাপন করব। সুতরাং কারও প্রতি জুলুম হবে না। যদি কোন আমল সরিষার দানা পরিমাণও হয়, আমি তা উপস্থিত করব এবং হিসাব গ্রহণের জন্যে আমিই যথেষ্ট।(আল আম্বিয়া - ৪৭)
* মিযান কত বর,নুরুল কোরআন 17 /65প়ৃষ্ঠা আমল মাপা হবে,
* বিচারের সামনে থাকবে, ইব্রাহিম,(আ:) মুহাম্মদ (সা:) ইউসুফ ,(আ:) আইয়ুব ,(আ:) সুলাইমান ,(আ:) ওয়ায ও খুতবা 1/397
* মিযান কত বড়,যার একটি অংশ প্রাচ্য থেকে প্রতীচ্য পর্যন্ত সম্প্রসারিত ছিল । হযরত দাউদ (আঃ) দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন (নূরুল কোরআন ১৭ পৃ-৬৫)
* অবসর পাইলে আরেকটা জিকির করবেন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
সকাল-সন্ধ্যায় لَا اِلَهَ اِلَّا الله ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ জিকির করা।
সকাল-সন্ধ্যা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ জিকির করা। যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জিকির করবে, তার আমলনামার পাল্লা সাত আসমান ও সাত জমিনের চেয়েও ভারি হবে। তার জন্য জান্নাত হবে সুনিশ্চিত। হাদিসে এসেছে-
- হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর নবি নূহ আলাইহিস সালাম মৃত্যুর সময় তাঁর ছেলেকে এ বলে অসিয়ত করেছেন যে, দুটি জিনিসের আমল করবে আর দুটি নিজিস থেকে বিরত থাকবে। আমলের আদেশ ছিল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র (জিকির করা)। মনে রেখ! যদি সাত আসমান ও সাত জমিন এক পাল্লায় রাখা হয় আর অপর পাল্লায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ রাখা হয়; তবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র পাল্লা ভারি হবে। যদি সাত আসমান ও সাত জমিন একটি অবিচ্ছদ্য গোলাকার বৃত্ত হত, তাহলে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ও ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ সবকিছুকে চুর্ণ-বিচুর্ণ করে ফেলতো। ইহা প্রতিটি জিনিসের দোয়া এবং এর মাধ্যমেই সৃষ্টিরাজি রুজি পেয়ে থাকে। আর তোমাকে নিষেধ করি শিরক ও অহংকার থেকে। (মুসনাদে আহমাদ, বুখারি, আদাবুল মুফরাদ)
* রাসূল সাঃ নিজের মেয়ে ফাতিমাকে বলেছেন। হে ফাতেমা ! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। রিয়াদুস সলেহিন, ৩৩৪
وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ : لَمَّا نَزَلَت هَذِهِ الآيَةُ : ﴿ وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ ٢١٤ ﴾ [الشعراء: ٢١٤] دَعَا رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم قُرَيْشاً، فَاجْتَمَعُوا فَعَمَّ وَخَصَّ، وَقالَ: «يَا بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، يا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ، أنقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي مُرَّةَ بنِ كَعْبٍ، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي عَبْدِ مَنَاف، أنْقِذُوا أنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ، يَا بَنِي هَاشِم، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا بَني عَبدِ الْمُطَّلِب، أَنقِذُوا أَنفُسَكُم مِنَ النَّار، يَا فَاطِمَةُ، أنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ . فَإنِّي لاَ أمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللهِ شَيئاً، غَيْرَ أنَّ لَكُمْ رَحِماً سَأبُلُّهَا بِبِلالِهَا». رواه مسلم
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হল যার অর্থ হল, ‘‘তুমি তোমার নিকট আত্মীয়বর্গকে সতর্ক কর।’’ সূরা শুআরা ২১৪ আয়াত) তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরায়েশ (সম্প্রদায়)কে আহ্বান করলেন। সুতরাং তারা একত্রিত হল। অতঃপর তিনি সাধারণ ও বিশেষভাবে (সম্বোধন করে) বললেন, ‘‘ হে বানী আব্দে শাম্স! হে বানী কা‘ব ইবনুলুআই! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী মুর্রাহ ইবনু কা‘ব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দে মানাফ! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী হাশেম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে বানী আব্দিল মুত্তালিব! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।
হে ফাতেমা ! তুমি নিজেকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। কারণ, আমি আল্লাহর নিকট তোমাদের (উপকার-অপকার) কিছুরই মালিক নই। তবে তোমাদের সাথে (আমার) যে আত্মীয়তা রয়েছে তা আমি (দুনিয়াতে) অবশ্যই আর্দ্র রাখব। (আখেরাতে আমার আনুগত্য ছাড়া আত্মীয়তা কোনো কাজে আসবে না।)’’ (মুসলিম)
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৩৩৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
No comments