181 অযু হলো নামাযের চাবি
181 অযু হলো নামাযের চাবি
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ زَنْجَوَيْهِ الْبَغْدَادِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الْقَتَّاتِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "
مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلاَةُ وَمِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الْوُضُوءُ " .
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ জান্নাতের চাবি হচ্ছে নামায, আর নামাযের চাবি হচ্ছে ওযূ।
হাদীসটির প্রথম অংশ যঈফ। ২য় অংশ সহীহ, পূর্বের সহীহ হাদীসের অংশ হওয়ার কারণে। –মিশকাত (২৯৪)।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৪
হাদিসের মান: অন্যান্য
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَسْوَدُ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حِينَ يَخْرُجُ الرَّجُلُ مِنْ بَيْتِهِ إِلَى مَسْجِدِهِ، فَرِجْلٌ تُكْتَبُ حَسَنَةً وَرِجْلٌ تَمْحُو سَيِّئَةً»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন : যখন কোন ব্যক্তি তার ঘর থেকে মসজিদের দিকে বের হয়, তখন তার এক পদক্ষেপে একটি নেকী লেখা হয় আর এক পদক্ষেপে একটি গুনাহ মুছে যায়।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৭০৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا تَوَضَّأَ أَحَدُكُمْ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَامِدًا إِلَى الْمَسْجِدِ فَلاَ يُشَبِّكَنَّ بَيْنَ أَصَابِعِهِ فَإِنَّهُ فِي صَلاَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ . وَرَوَى شَرِيكٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ وَحَدِيثُ شَرِيكٍ غَيْرُ مَحْفُوظٍ .
________________
عَامِدًا - নামায আদায়ের নিয়্যাতে
________________
কা’ব ইবনু উযরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যখন তোমাদের কেউ ভালভাবে ওযূ করে নামায আদায়ের নিয়্যাতে মসজিদের দিকে যেতে থাকে তখন সে যেন নিজের হাতের আঙ্গুলগুলো পরস্পরের মধ্যে প্রবেশ না করায়। কেননা সে তখন নামাযের মধ্যেই আছে।
সহীহ্। ইবনু মাজাহ-(৯৭৬)।
ফুটনোটঃ
আবূ ‘ঈসা বলেনঃ কা’ব ইবনু উযরার হাদীসটি একাধিক সূত্রে ইবনু ‘আজলান হতে লাইসের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। শারীক তাঁর সনদ পরস্পরায় এ হাদীসটি আবূ হুরায়রার নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তাঁর বর্ণনাসূত্রটি সঠিকভাবে রক্ষিত হয়নি।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৮৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* নামাজের পূর্বে অযুর নির্দেশ-মায়িদাহ:6
يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوٓا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلٰوةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضٰىٓ أَوْ عَلٰى سَفَرٍ أَوْ جَآءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَآئِطِ أَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَآءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ ۚ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُۥ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাযের জন্য তৈরী হও, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত দু’টি কনুই পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো, মাথার ওপর হাত বুলাও এবং পা দু’টি গোড়ালী পর্যন্ত ধুয়ে ফেলো।২৪ যদি তোমরা ‘জানাবাত’ অবস্থায় থাকো, তাহলে গোসল করে পাক সাফ হয়ে যাও। ২৫ যদি তোমরা রোগগ্রস্ত হও বা সফরে থাকো অথবা তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি মলমূত্র ত্যাগ করে আসে বা তোমরা নারীদেরকে স্পর্শ করে থাকো এবং পানি না পাও, তাহলে পাক-পবিত্র মাটি দিয়ে কাজ সেরে নাও। তার ওপর হাত রেখে নিজের চেহারা ও হাতের ওপর মসেহ করে নাও। ২৬ আল্লাহ তোমাদের জন্য জীবনকে সংকীর্ণ করে দিতে চান না কিন্তু তিনি চান তোমাদেরকে পাক-পবিত্র করতে এবং তাঁর নিয়ামত তোমাদের ওপর সম্পূর্ণ করে দিতে,২৭ হয়তো তোমরা শোকর গুজার হবে
* * নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম,তিনি অযু করে বলেন,সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ "
إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ
নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। অতঃপর তিনি উযূ করে বললেনঃ ‘আমি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় আহ্বান করা হবে যে, উযূর প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল উজ্জ্বল থাকবে। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে।’
(মুসলিম ২/১২, হাঃ ২৪৬, আহমাদ ৯২০৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩৮)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* রসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেন, আমার হাওযে কাওসার হবে ‘আদান (ইয়ামানের বন্দর নগরী) থেকে আইলা (আরবের উত্তরাঞ্চলীয় শহর)-এর যত দূরত্ব তার থেকেও বেশি দীর্ঘ-সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৬৯
* حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، جَمِيعًا عَنْ مَرْوَانَ الْفَزَارِيِّ، - قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ "
إِنَّ حَوْضِي أَبْعَدُ مِنْ أَيْلَةَ مِنْ عَدَنٍ لَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ بِاللَّبَنِ وَلآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ النُّجُومِ وَإِنِّي لأَصُدُّ النَّاسَ عَنْهُ كَمَا يَصُدُّ الرَّجُلُ إِبِلَ النَّاسِ عَنْ حَوْضِهِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ " نَعَمْ لَكُمْ سِيمَا لَيْسَتْ لأَحَدٍ مِنَ الأُمَمِ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ " .
_______________
صد:প্রতিরোধ করা
الْعَسَلِ - মধু
بِاللَّبَنِ - দুধ
حلو:মিষ্টি
أَحْلَى - অধিক মিষ্টি
َلآنِيَتُهُ - তার উদ্দেশ্যে,তার জন্য
تَرِدُونَ - তোমরা ফিরে আসবে
أَتَعْرِفُنَا - আপনি আমাদেরকে চিনতে পারবেন?
غُرًّا مُحَجَّلِينَ -গুররান মুহাজ্জালীন (উজ্জ্বল মুখমন্ডল ও হাত পা)
_______________
আবূ হুরাইরাহ্(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার হাওযে কাওসার হবে ‘আদান (ইয়ামানের বন্দর নগরী) থেকে আইলা (আরবের উত্তরাঞ্চলীয় শহর)-এর যত দূরত্ব তার থেকেও বেশি দীর্ঘ। আর তা হবে বরফের থেকেও সাদা এবং দুধ মধু থেকে মিষ্টি। আর তার পাত্রের সংখ্যা হবে তারকারাজির চেয়েও অধিক। আমি কিছু সংখ্যক লোককে তা থেকে ফিরিয়ে দিতে থাকবো যেমনিভাবে লোকে তার হাওয থেকে অন্যের উট ফিরিয়ে দেয়। সহাবায়ে কিরাম আরয করলেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ! সেদিন কি আপনি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? তিনি বললেন, “হ্যাঁ, তোমাদের এমন চিহ্ন হবে যা অন্য কোন উম্মাতের হবে না। ওযূর বিনিময়ে তোমাদের মুখমন্ডল জ্যোতির্ময় ও হাত-পা দীপ্তিমান অবস্থায় তোমরা আমার কাছে আসবে”। (ই.ফা. ৪৭২, ই.সে. ৪৮৮)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৬৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* * রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) কবরস্থানের দিকে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছার পর বললেন,মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ৫৮
و حَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْمَقْبُرَةِ فَقَالَ
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ وَدِدْتُ أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ إِخْوَانَنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ أَلَسْنَا بِإِخْوَانِكَ قَالَ بَلْ أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ يَأْتِي بَعْدَكَ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لِرَجُلٍ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ فِي خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَا يَعْرِفُ خَيْلَهُ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَلَا يُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ فَسُحْقًا فَسُحْقًا فَسُحْقًا
_____________
لَاحِقُونَ - মিলিত হবো
لاحق:পরে
_______________
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) কবরস্থানের দিকে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছার পর বললেন,
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ.
“তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক হে মু’মিন সম্প্রদায়ের বাসস্থানে (অর্থাৎ কবরস্থানে) বসবাসকারিগণ আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব, ইনশাআল্লাহ।” আমার আকাঙ্ক্ষা, যদি আমার ভাইদেরকে দেখতাম! তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনার ভাই নই কি? তিনি বললেন, তোমরা আমার আসহাব, আমার ভাই তাঁরা যাঁরা এখনও (ইহজগতে) আসেননি। আমি তাঁদের অগ্রদূত হব হাওযের কাছে। তাঁরা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! আপনার উম্মতের মধ্যে যাঁরা আপনার পরে আগমন করবে আপনি তাঁদের পরিচয় পাবেন কিভাবে? তিনি বললেন, তোমরা আমাকে বল দেখি, যদি কোন ব্যক্তির কাছে পায়ে ও ললাটে সাদা চিহ্নযুক্ত ঘোড়া থাকে এবং সেগুলি গাঢ় কাল রং-এর ঘোড়ার সাথে একত্র থাকে, তবে সেই ব্যক্তি কি তার (সাদা চিহ্নযুক্ত) ঘোড়া চিনতে পারবে না? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রসূলাল্লাহ! চিনতে পারবে। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মতকে আমি চিনতে পারব। কারণ তাঁরা ওযূর কারণে রোজ কিয়ামতে জ্যোতির্ময় চেহারা এবং জ্যোতির্ময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে উপস্থিত হবে। আমি হাওযে তাঁদের অগ্রদূত থাকব। দলভ্রষ্ট উটকে যেভাবে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, আমার হাওয হতে কাউকেও তদ্রুপ তাড়িয়ে দেওয়া হলে আমি তাকে আহ্বান করব, أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ ‘ওহে, (আমার নিকট) আস, (আমার নিকট) আস, (আমার নিকট) আস।’ তারপর আমাকে বলা হবে, এরা (আপনার সুন্নতকে) আপনার পরে পরিবর্তন করেছে। আমি বলব, فَسُحْقًا فَسُحْقًا فَسُحْقًا -‘তবে দূর হও, দূর হও, দূর হও।’ (সহীহ, মুসলিম ২৪৯, মূলত হাদীসটি মুত্তাফাক আলাইহ)
মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ৫৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে, তার পাপসমূহ তার দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে । এমনকি তার নখগুলোর নিচে থেকেও (পাপ) বেরিয়ে যাবে ।”সহীহুল রিয়াদুস সলেহিন, ১০৩৩ বুখারী ২৪৫, আহমাদ ৪৭৪
وَعَنْ عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم ِ «مَن تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ، خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُج مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِه». رواه مسلم
উসমান ইবনে ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে, তার পাপসমূহ তার দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে । এমনকি তার নখগুলোর নিচে থেকেও (পাপ) বেরিয়ে যাবে ।”
ফুটনোটঃ
(সহীহুল বুখারী ২৪৫, আহমাদ ৪৭৪)
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৩৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে,যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দু’আ পড়বে-সহিহ মুসলিম, ৪৪১
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، - يَعْنِي ابْنَ يَزِيدَ - عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، ح
وَحَدَّثَنِي أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِي فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَىَّ يَقُولُ الَّتِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ " .
‘উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। তারপর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তাঁর এ কথা শুনতে পেলাম, “যে মুসলিম সুন্দরভাবে ওযু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে আল্লাহ্র প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু রাক’আত সলাত আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। ‘উকবাহ্ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলামঃ বাহ! হা্দীসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সেদিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ‘উমার। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছো। রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগে বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দু’আ পড়বে- “আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রসূলুহূ”। তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (ই.ফা. ৪৪৪, ই.সে. ৪৬০)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* মুখমন্ডল ধৌত করবে মুখের গুনাহ মাফ করবে ,রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৩৫, মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০, মুওয়াত্তা মালিক ৬৩, দারেমী ৭১৮)
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ المُسْلِمُ - أَو المُؤْمِنُ - فَغَسَلَ وَجْهَهُ، خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإذَا غَسَلَ يَدَيْهِ، خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ المَاءِ، أَو مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ، خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ المَاءِ، أَو مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيَّاً مِنَ الذُّنُوبِ». رواه مسلم
__________
نَقِيَّاً - نقي:বিশুদ্ধ
পাক পবিত্র হয়ে
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দাহ যখন ওযূ করবে এবং যখন সে নিজ মুখমণ্ডল ধৌত করবে, তখন তার মুখমণ্ডল হতে সেই গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যাবে, যে সব গোনাহ তার দু’টি চোখ দিয়ে দেখার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । (অনুরূপভাবে) যখন সে নিজ হাত দু’টি ধোবে, তখন তা হতে সে সব পাপ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে নির্গত হয়ে যাবে, যে সব পাপ তার দুই হাত দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল । আর যখন সে নিজ পা দু’টি ধৌত করবে, তখন তার পা দু’টি হতে সে সমস্ত পাপরাশি পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যাবে, যেগুলি তার দু’টি পায়ে চলার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । শেষ অবধি সে (ক্ষুদ্র) পাপরাশি হতে পাক-পবিত্র হয়ে বেরিয়ে আসবে ।” (মুসলিম)
ফুটনোটঃরিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৩৫
(মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০, মুওয়াত্তা মালিক ৬৩, দারেমী ৭১৮)
রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১০৩৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
_________
* নামাজের পূর্বে অযুর নির্দেশ-মায়িদাহ:6
يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوٓا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلٰوةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ ۚ وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضٰىٓ أَوْ عَلٰى سَفَرٍ أَوْ جَآءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَآئِطِ أَوْ لٰمَسْتُمُ النِّسَآءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَآءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ ۚ مَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُۥ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
* নু’আয়ম মুজমির (রহঃ) বলেন, আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম,তিনি অযু করে বলেন,সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৬
عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ، قَالَ رَقِيتُ مَعَ أَبِي هُرَيْرَةَ عَلَى ظَهْرِ الْمَسْجِدِ، فَتَوَضَّأَ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ ﷺ يَقُولُ " إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ
* রসূলুল্লাহ্ (সা:) বলেন, আমার হাওযে কাওসার হবে ‘আদান (ইয়ামানের বন্দর নগরী) থেকে আইলা (আরবের উত্তরাঞ্চলীয় শহর)-এর যত দূরত্ব তার থেকেও বেশি দীর্ঘ-সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৬৯
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ قَالَ " إِنَّ حَوْضِي أَبْعَدُ مِنْ أَيْلَةَ مِنْ عَدَنٍ لَهُوَ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ الثَّلْجِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ بِاللَّبَنِ وَلآنِيَتُهُ أَكْثَرُ مِنْ عَدَدِ النُّجُومِ وَإِنِّي لأَصُدُّ النَّاسَ عَنْهُ كَمَا يَصُدُّ الرَّجُلُ إِبِلَ النَّاسِ عَنْ حَوْضِهِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ " نَعَمْ لَكُمْ سِيمَا لَيْسَتْ لأَحَدٍ مِنَ الأُمَمِ تَرِدُونَ عَلَىَّ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ أَثَرِ الْوُضُوءِ
* রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একদা) কবরস্থানের দিকে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছার পর বললেন,মুয়াত্তা ইমাম মালিক, হাদিস নং ৫৮
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُون
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺَ خَرَجَ إِلَى الْمَقْبُرَةِ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَاحِقُونَ وَدِدْتُ أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ إِخْوَانَنَا فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ أَلَسْنَا بِإِخْوَانِكَ قَالَ بَلْ أَنْتُمْ أَصْحَابِي وَإِخْوَانُنَا الَّذِينَ لَمْ يَأْتُوا بَعْدُ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ تَعْرِفُ مَنْ يَأْتِي بَعْدَكَ مِنْ أُمَّتِكَ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لِرَجُلٍ خَيْلٌ غُرٌّ مُحَجَّلَةٌ فِي خَيْلٍ دُهْمٍ بُهْمٍ أَلَا يَعْرِفُ خَيْلَهُ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ فَإِنَّهُمْ يَأْتُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ الْوُضُوءِ وَأَنَا فَرَطُهُمْ عَلَى الْحَوْضِ فَلَا يُذَادَنَّ رِجَالٌ عَنْ حَوْضِي كَمَا يُذَادُ الْبَعِيرُ الضَّالُّ أُنَادِيهِمْ أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ أَلَا هَلُمَّ فَيُقَالُ إِنَّهُمْ قَدْ بَدَّلُوا بَعْدَكَ فَأَقُولُ فَسُحْقًا فَسُحْقًا فَسُحْقًا
* যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে, তার পাপসমূহ তার দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে । এমনকি তার নখগুলোর নিচে থেকেও (পাপ) বেরিয়ে যাবে ।”সহীহুল রিয়াদুস সলেহিন, ১০৩৩ বুখারী ২৪৫, আহমাদ ৪৭৪
وَعَنْ عُثمَانَ بنِ عَفَّانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَن تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الوُضُوءَ، خَرَجَتْ خَطَايَاهُ مِنْ جَسَدِهِ حَتَّى تَخْرُج مِنْ تَحْتِ أَظْفَارِه». رواه مسلم
* মুখমন্ডল ধৌত করবে মুখের গুনাহ মাফ করবে ,রিয়াদুস সলেহিন, ১০৩৫, মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০, মুওয়াত্তা মালিক ৬৩, দারেমী ৭১৮)
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِذَا تَوَضَّأ العَبْدُ المُسْلِمُ - أَو المُؤْمِنُ - فَغَسَلَ وَجْهَهُ، خَرَجَ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ المَاءِ، أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإذَا غَسَلَ يَدَيْهِ، خَرَجَ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ كَانَ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ المَاءِ، أَو مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، فَإذَا غَسَلَ رِجْلَيْهِ، خَرَجَتْ كُلُّ خَطِيئَةٍ مَشَتْهَا رِجْلاَهُ مَعَ المَاءِ، أَو مَعَ آخِرِ قَطْرِ المَاءِ، حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيَّاً مِنَ الذُّنُوبِ». رواه مسلم
* জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে,যে ব্যক্তি উত্তম ও পূর্ণরূপে ওযু করে এ দু’আ পড়বে-সহিহ মুসলিম, ৪৪১
عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ كَانَتْ عَلَيْنَا رِعَايَةُ الإِبِلِ فَجَاءَتْ نَوْبَتِي فَرَوَّحْتُهَا بِعَشِيٍّ فَأَدْرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا يُحَدِّثُ النَّاسَ فَأَدْرَكْتُ مِنْ قَوْلِهِ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَتَوَضَّأُ فَيُحْسِنُ وُضُوءَهُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ مُقْبِلٌ عَلَيْهِمَا بِقَلْبِهِ وَوَجْهِهِ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ الْجَنَّةُ " . قَالَ فَقُلْتُ مَا أَجْوَدَ هَذِهِ . فَإِذَا قَائِلٌ بَيْنَ يَدَىَّ يَقُولُ الَّتِي قَبْلَهَا أَجْوَدُ . فَنَظَرْتُ فَإِذَا عُمَرُ قَالَ إِنِّي قَدْ رَأَيْتُكَ جِئْتَ آنِفًا قَالَ " مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوُضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ إِلاَّ فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ
: গুররান মুহাজ্জালীন (উজ্জ্বল মুখমন্ডল ও হাত পা)
No comments