122 কোরআন তেলাওয়াত কারীর জন্য ১০টি সুসংবাদ
* কোরআনে পাক হচ্ছে আল্লাহ পাকের অমীয় বানী ও তাঁর পবিত্র জবান। দুনিয়ার কোন ধর্মগ্রন্থ একবার পড়লে দ্বিতীয় বার পড়তে ইচ্ছে হয় না কিন্তু কোরআন পড়তেই মন চায়
১। কোরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহর সাথে কথা বলা হয়।
* সে জন্য মনোযোগ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত শুনার নির্দেশ,৭: আরাফ: ২০৪
وَ اِذَا قُرِئَ الْقُرْاٰنُ فَاسْتَمِعُوْا لَهٗ وَ اَنْصِتُوْا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ
২। যে হৃদয়ে কোরআন আছে সে হৃদয় সেরা হৃদয়, যে পেটে কুরআনের কিছু নেই তা শূন্য (ধ্বংসপ্রাপ্ত) ঘরের মতো। মিশকাতুল মাসাবিহ, ২১৩৫ দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ الَّذِىْ لَيْسَ فِىْ جَوْفِه شَىْءٌ مِنَ الْقُرْاٰنِ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ
৩। কোরআন তেলাওয়াত একটি লাভজনক ব্যবসা,৩৫: ফাতির: ২৯-৩০
اِنَّ الَّذِیْنَ یَتْلُوْنَ كِتٰبَ اللّٰهِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّ عَلَانِیَةً یَّرْجُوْنَ تِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَۙ
لِیُوَفِّیَهُمْ اُجُوْرَهُمْ وَ یَزِیْدَهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ١ؕ اِنَّهٗ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ
* কোরআন এর এক নাম জিকির,15: আল-হিজর:9
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحٰفِظُونَ
৪। এই জিকির তেলাওয়াত করলে আত্বায় শান্তি আসে। ইহা আত্বার খোরাক,13:আর-রাদ:28
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
৫। কোরআন তেলাওয়াতে ইমান বৃদ্বি পায়। 8:আল-আনফাল:2
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ءَايٰتُهُۥ زَادَتْهُمْ إِيمٰنًا وَعَلٰى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
৬। কোরআন তেলাওয়াত করিলে ক্বলবের মরিচা দুর হয়,মিশকাতুল মাসাবিহ,২১৬৮ দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ هٰذِهِ الْقُلُوبَ تَصْدَأُ كَمَا يَصْدَأُ الْحَدِيدُ إِذَا أَصَابَهُ الْمَاءُ . قِيلَ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ وَمَا جِلَاؤُهَا؟ قَالَ: كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْاٰنِ
৭। কোরআন তেলাওয়াতে প্রতিটি হরুফে দশ নেক জামে'আত তিরমিজি,২৯১০ সহিহ
مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ
* আল্লাহ কোরআন নাজিলের সুরুতে পড়ার জন্য ও বলেছেন, 96:আল-আলাক্ব:1
اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِى خَلَقَ
خَلَقَ الْإِنسٰنَ مِنْ عَلَقٍ
اقْرَأْ وَرَبُّكَ الْأَكْرَمُ
الَّذِى عَلَّمَ بِالْقَلَمِ
عَلَّمَ الْإِنسٰنَ مَا لَمْ يَعْلَمْ
29:আল আনকাবুত:45
اتْلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ وَأَقِمِ الصَّلٰوةَ ۖ إِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
* সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তাঁরা যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
অর্থ: আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯ সহিহ ,বুখারী: ৫০২৭
* ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআন অনুযায়ী যারা ‘আমল করত তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আনা হবে। সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সুরাহ্ আল ‘ইমরান অগ্রভাগে থাকবে। সহিহ মুসলিম,১৭৬১ সহিহ
تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا
৮। কোরআনের পাঠক ও আমলকারীকে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হবে। তিরমিযী হা/২৯০৫
مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ
* এতোদিন কেউই আমাকে সালাম দেয়না।পোলায় চেয়ারম্যান হলে সালাম লয়ে কুল পাইনা। চেয়ারম্যান এর বাবার মূল্য হলে হাফেজের পিতার কি মূল্য হবেনা?
৯। কোরআন তেলাওয়াত ও আমলকারীর পিতার মাথায় নূরের তাজ পরিয়ে দেওয়া হবে، রহমতের ফেরেশতারা ঘুরে ঘুরে আলেম ও হাফেজের পিতাদের তালাশ করেবে। সুনানে আবু দাউদ, ১৪৫৩ দুর্বল
مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ ، أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ ، فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا
১০। জান্নাতে বলা হবে পড়তে থাকো উপড়ে উঠতে থাকো
বিশ্বনবি সা: বলেছেন, ‘কুরআনের আয়াতের সংখ্যা পরিমাণ হবে জান্নাতের সিঁড়ি। আর কুরআনের পাঠককে বলা হবে, ‘তুমি যতটুকু কুরআন পড়েছো ততটুকু সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠো। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছে সে আখেরাতে জান্নাতের সর্বশেষ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাবে। যে ব্যক্তি কুরআনের কিছু অংশ পড়েছে সে সম পরিমাণ উপরে উঠবে। আর তার কুরআন পড়ার সীমানা যেখানে শেষ হবে সেখানে তার সাওয়াবের সীমানাও শেষ হবে।জামে'আত তিরমিজি ২৯১৪ হাসান সহিহ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَأُ بِهَا
____________________________________
149 কোরআন তেলাওয়াত কারীর জন্য ৯টি সুসংবাদ
* কোরআনে পাক হচ্ছে আল্লাহ পাকের অমীয় বানী ও তাঁর পবিত্র জবান। দুনিয়ার কোন ধর্মগ্রন্থ একবার পড়লে দ্বিতীয় বার পড়তে ইচ্ছে হয় না কিন্তু কোরআন পড়তেই মন চায়
১। কোরআন তেলাওয়াত করলে আল্লাহর সাথে কথা বলা হয়
* সে জন্য মনোযোগ সহকারে কোরআন তেলাওয়াত শুনার নির্দেশ,৭: আরাফ: ২০৪
)
وَ اِذَا قُرِئَ الْقُرْاٰنُ فَاسْتَمِعُوْا لَهٗ وَ اَنْصِتُوْا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ
শব্দার্থ: وَإِذَا = এবং যখন , قُرِئَ = তিলাওয়াত করাহয়, الْقُرْآنُ = কুরআন, فَاسْتَمِعُوا = তখন তোমরা মনোযোগদিয়েশুনো, لَهُ = প্রতিতার, وَأَنْصِتُوا = এবং তোমরা চুপথাকো, لَعَلَّكُمْ = যাতে তোমরা , تُرْحَمُونَ = দয়াপ্রাপ্তহও,
অনুবাদ: যখন কুরআন তোমাদের সামনে পড়া হয়, তা শোনো মনোযোগ সহকারে এবং নীরব থাকো, হয়তো তোমাদের প্রতিও রহমত বর্ষিত হবে।
২। যে হৃদয়ে কোরআন আছে সে হৃদয় সেরা হৃদয়, যে পেটে কুরআনের কিছু নেই তা শূন্য (ধ্বংসপ্রাপ্ত) ঘরের মতো। মিশকাতুল মাসাবিহ, ২১৩৫ দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِنَّ الَّذِىْ لَيْسَ فِىْ جَوْفِه شَىْءٌ مِنَ الْقُرْاٰنِ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَالدَّارِمِىُّ. وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ: هٰذَا حَدِيْثٌ صَحِيْحٌ
لَيْسَ فِىْ جَوْفِه = কিছু নেই
جَوْفِه = শূন্য,শূন্যগর্ভ ফাঁপা
ধ্বংসাবশেষ = الْخَرِبِ
অর্থ- আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে পেটে কুরআনের কিছু নেই তা শূন্য (ধ্বংসপ্রাপ্ত) ঘরের মতো। (তিরমিযী ও দারিমী; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি সহীহ)
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৩৫
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
৩। কোরআন তেলাওয়াত একটি লাভজনক ব্যবসা,৩৫: ফাতির: ২৯-৩০
اِنَّ الَّذِیْنَ یَتْلُوْنَ كِتٰبَ اللّٰهِ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّ عَلَانِیَةً یَّرْجُوْنَ تِجَارَةً لَّنْ تَبُوْرَۙ
শব্দার্থ: إِنَّ = নিশ্চয়ই, الَّذِينَ = যারা, يَتْلُونَ = পাঠকরে, كِتَابَ = কিতাব, اللَّهِ = আল্লাহর, وَأَقَامُوا = এবং প্রতিষ্ঠা করে, الصَّلَاةَ = সালাত, وَأَنْفَقُوا = ওব্যয়করে, مِمَّا = তাহতে যা, رَزَقْنَاهُمْ = তাদের কে আমরা জীবিকা দিয়েছি, سِرًّا = গোপনে, وَعَلَانِيَةً = ও প্রকাশ্যে, يَرْجُونَ = তারা ইআশা করতে পারে, تِجَارَةً = (এমন) ব্যবসার, لَنْ = (যার)কখনও না, تَبُورَ = ব্যর্থ হবে ,
অনুবাদ: যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যা রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে খরচ করে, নিঃসন্দেহে তারা এমন একটি ব্যবসায়ের প্রত্যাশী যাতে কোনক্রমেই ক্ষতি হবে না।
(35:30)
لِیُوَفِّیَهُمْ اُجُوْرَهُمْ وَ یَزِیْدَهُمْ مِّنْ فَضْلِهٖ١ؕ اِنَّهٗ غَفُوْرٌ شَكُوْرٌ
শব্দার্থ: لِيُوَفِّيَهُمْ = তাদের পূর্ণমাত্রায় (আল্লাহ) দেনযেন, أُجُورَهُمْ = তাদের প্রতিফল ন, وَيَزِيدَهُمْ = এবং তাদের আরোবেশীদেন, مِنْ = থেকে, فَضْلِهِ = তাঁরঅনুগ্রহ, إِنَّهُ = তিনি নিশ্চয়ই, غَفُورٌ = ক্ষমাশীল , شَكُورٌ = গুণগ্রাহী,
অনুবাদ: (এ ব্যবসায়ে তাদের নিজেদের সবকিছু নিয়োগ করার কারণ হচ্ছে এই যে) যাতে তাদের প্রতিদান পুরোপুরি আল্লাহ তাদেরকে দিয়ে দেন এবং নিজের অনুগ্রহ থেকে আরো বেশী করে তাদেরকে দান করবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও গুণগ্রাহী।
* কোরআন এর এক নাম জিকির,15: আল-হিজর:9
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحٰفِظُونَ
৪। কোরআন তেলাওয়াতে আত্বায় শান্তি আসে। ইহা আত্বার খোরাক।,13:আর-রাদ:28
الَّذِينَ ءَامَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
তারাই এ ধরনের লোক যারা (এ নবীর দাওয়াত) গ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর স্মরণে তাদের চিত্ত প্রশান্ত হয়।
৫। কোরআন তেলাওয়াতে ইমান বৃদ্বি পায়। 8:আল-আনফাল:2
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ ءَايٰتُهُۥ زَادَتْهُمْ إِيمٰنًا وَعَلٰى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই, আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে। আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায়২ এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে।
* কোরআনমিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৬৮
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ هٰذِهِ الْقُلُوبَ تَصْدَأُ كَمَا يَصْدَأُ الْحَدِيدُ إِذَا أَصَابَهُ الْمَاءُ». قِيلَ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ وَمَا جِلَاؤُهَا؟ قَالَ: «كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْاٰنِ. رَوَى الْبَيْهَقِىُّ الْأَحَادِيثَ الْأَرْبَعَةَ فِىْ شُعَبِ الْإِيمَانِ
تَصْدَأُ = মরিচা ধরে
أَصَابَهُ = তাকে লাগে
جِلَاؤُهَا = তা পরিষ্কারের উপায়
كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ = মৃত্যুর কথা অধিক স্বরণ করা
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কুরআন তিলাওয়াত করা। (উপরে বর্ণিত এ চারটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী তাঁর ‘‘শু‘আবূল ঈমান’’-এ বর্ণনা করেছেন)[১]
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৬৮
* কোরআন তেলাওয়াত করিলে ক্বলবের মরিচা দুর হয়,মিশকাতুল মাসাবিহ,২১৬৮ দুর্বল
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ هٰذِهِ الْقُلُوبَ تَصْدَأُ كَمَا يَصْدَأُ الْحَدِيدُ إِذَا أَصَابَهُ الْمَاءُ». قِيلَ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ وَمَا جِلَاؤُهَا؟ قَالَ: «كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْاٰنِ. رَوَى الْبَيْهَقِىُّ الْأَحَادِيثَ الْأَرْبَعَةَ فِىْ شُعَبِ الْإِيمَانِ
تَصْدَأُ = মরিচা ধরে
أَصَابَهُ = তাকে লাগে
جِلَاؤُهَا = তা পরিষ্কারের উপায়
كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ = মৃত্যুর কথা অধিক স্বরণ করা
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয় হৃদয়ে মরিচা ধরে, যেভাবে পানি লাগলে লোহায় মরিচা ধরে। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! এ মরিচা দূর করার উপায় কী? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা ও কুরআন তিলাওয়াত করা। (উপরে বর্ণিত এ চারটি হাদীস ইমাম বায়হাক্বী তাঁর ‘‘শু‘আবূল ঈমান’’-এ বর্ণনা করেছেন)
মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২১৬৮
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
৬। কোরআন তেলাওয়াতে প্রতিটি হরুফে দশ নেক জামে'আত তিরমিজি,২৯১০ সহিহ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ " . وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَرَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَوَقَفَهُ بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ بَلَغَنِي أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ يُكْنَى أَبَا حَمْزَةَ .
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সাওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৯১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আল্লাহ কোরআন নাজিলের সুরুতে পড়ার জন্য ও বলেছেন, 96:আল-আলাক্ব:1
৯৬-আলাক্ব
(96:1)
اِقْرَاْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِیْ خَلَقَۚ
শব্দার্থ: اقْرَأْ = (হেনবী) পড়, بِاسْمِ = নামে, رَبِّكَ = তোমার রবের, الَّذِي = যিনি, خَلَقَ = সৃষ্টি করেছেন ,
অনুবাদ: পড়ো (হে নবী) , তোমার রবের নামে। যিনি সৃষ্টি করেছেন।
(96:2)
خَلَقَ الْاِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍۚ
শব্দার্থ: خَلَقَ = সৃষ্টি করেছেন , الْإِنْسَانَ = মানুষকে, مِنْ = থেকে, عَلَقٍ = জমাটরক্তপিণ্ড,
অনুবাদ: জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।
(96:3)
اِقْرَاْ وَ رَبُّكَ الْاَكْرَمُۙ
শব্দার্থ: اقْرَأْ = পড়, وَرَبُّكَ = আর তোমার রব, الْأَكْرَمُ = বড়ইঅনুগ্রহশীল,
অনুবাদ: পড়ো এবং তোমার রব বড় মেহেরবান,
(96:4)
الَّذِیْ عَلَّمَ بِالْقَلَمِۙ
শব্দার্থ: الَّذِي = যিনি, عَلَّمَ = শিখিয়েছেন, بِالْقَلَمِ = কলমদিয়ে,
অনুবাদ: যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন।
(96:5)
عَلَّمَ الْاِنْسَانَ مَا لَمْ یَعْلَمْؕ
শব্দার্থ: عَلَّمَ = শিখিয়েছেন, الْإِنْسَانَ = মানুষকে (এমনজ্ঞান) , مَا = যা, لَمْ = না, يَعْلَمْ = সেজানতো,
অনুবাদ: মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা সে জানতো না।
* সূরা আনকাবুতে বলা হয়েছে। হে নবী! তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে তা তেলাওয়াত করো 29:আল আনকাবুত:45
اتْلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتٰبِ وَأَقِمِ الصَّلٰوةَ ۖ إِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَالْمُنكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ
(হে নবী!) তোমার প্রতি অহির মাধ্যমে যে কিতাব পাঠানো হয়েছে তা তেলাওয়াত করো এবং নামায কায়েম করো,৭৭ নিশ্চিতভাবেই নামায অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।৭৮ আর আল্লাহর স্মরণ এর চাইতেও বড় জিনিস।৭৯ আল্লাহ জানেন তোমরা যা কিছু করো।
* সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তাঁরা যারা কোরআন শিখে ও শিক্ষা দেয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ
অর্থ: আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত , রাসূলুল্লাহ্ সা. বলেছেন তোমাদের মাঝে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিখে এবং তা শিখায়। তিরমিজি, হাদিস: ২৯০৯ সহিহ ,বুখারী: ৫০২৭
* ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআন অনুযায়ী যারা ‘আমল করত তাদেরকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় আনা হবে। সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সুরাহ্ আল ‘ইমরান অগ্রভাগে থাকবে। সহিহ মুসলিম,১৭৬১ সহিহ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّوَّاسَ، بْنَ سَمْعَانَ الْكِلاَبِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " يُؤْتَى بِالْقُرْآنِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَهْلِهِ الَّذِينَ كَانُوا يَعْمَلُونَ بِهِ تَقْدُمُهُ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَآلُ عِمْرَانَ " . وَضَرَبَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَلاَثَةَ أَمْثَالٍ مَا نَسِيتُهُنَّ بَعْدُ قَالَ " كَأَنَّهُمَا غَمَامَتَانِ أَوْ ظُلَّتَانِ سَوْدَاوَانِ بَيْنَهُمَا شَرْقٌ أَوْ كَأَنَّهُمَا حِزْقَانِ مِنْ طَيْرٍ صَوَافَّ تُحَاجَّانِ عَنْ صَاحِبِهِمَا
يُؤْتَى = আনা হবে
تَقْدُمُهُ = তার সামনে দাঁড়াবে
تُحَاجَّانِ = তার উভয়ে আল্লাহর নিকট সুপারিশ করবে
عَنْ صَاحِبِهِمَا = তাদের পাঠকের পক্ষে
নাও্ওয়াস ইবনু সাম’আন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও কুরআন অনুযায়ী যারা ‘আমল করত তাদেরকে আনা হবে। সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ এবং সুরাহ্ আল ‘ইমরান অগ্রভাগে থাকবে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুরাহ্ দু’টি সম্পর্কে তিনটি উদাহরণ দিয়েছিলেন যা আমি কখনো ভুলিনি। তিনি বলেছিলেনঃ এ সুরাহ্ দু'টি দু’ খণ্ড ছায়াদানকারী মেঘের আকারে অথবা দু’টি কালো চাদরের মত ছায়াদানকারী হিসেবে আসবে যার মধ্যখানে আলোর ঝলকানি অথবা সারিবদ্ধ দু’ ঝাঁক পাখীর আকারে আসবে এবং পাঠকারীদের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিতে থাকবে। (ই.ফা.১৭৪৬, ই.সে.১৭৫৩)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭৬১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
৭। কোরআনের পাঠক ও আমলকারীকে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করার অধিকার দেওয়া হবে। তিরমিযী হা/২৯০৫
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا حَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ . وَحَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .
وَاسْتَظْهَرَهُ = মুখস্থ রেখেছে
وَشَفَّعَهُ = তার সুপারিশ কবুল করবেন
অর্থঃ“আলী ؓ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলওয়াত ও মুখস্থ রেখেছে এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে। তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক ছিলো।” [তিরমিযী হা/২৯০৫;
* এতোদিন কেউই আমাকে সালাম দেয়না।পোলায় চেয়ারম্যান হলে সালাম লয়ে কুল পাইনা। চেয়ারম্যান এর বাবার মূল্য হলে হাফেজের পিতার কি মূল্য হবেনা?
৮। কোরআন তেলাওয়াত ও আমলকারীর পিতার মাথায় নূরের তাজ পরিয়ে দেওয়া হবে، রহমতের ফেরেশতারা ঘুরে ঘুরে আলেম ও হাফেজের পিতাদের তালাশ করেবে। সুনানে আবু দাউদ, ১৪৫৩ দুর্বল,(আবু দাউদ, আহমাদ পৃ. ১৮৬)।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ضَوْؤُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا " .
সাহল ইবনু মু‘আয আল-জুহানী (রহঃ) হতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তদনুযায়ী আমল করে, ক্বিয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে এমন মুকুট পরানো হবে যার আলো সূর্যের আলোর চাইতেও উজ্জ্বল হবে। ধরে নাও, যদি সূর্য তোমাদের ঘরে বিদ্যমান থাকে (তাহলে তার আলো কিরূপ হবে?)। তাহলে যে ব্যক্তি কুরআন অনুযায়ী আমল করে তার ব্যাপারটি কেমন হবে, তোমরা ধারণা করো তো!
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৪৫৩
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَعَمِلَ بِمَا فِيهِ ، أُلْبِسَ وَالِدَاهُ تَاجًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ، ضَوْءُهُ أَحْسَنُ مِنْ ضَوْءِ الشَّمْسِ فِي بُيُوتِ الدُّنْيَا لَوْ كَانَتْ فِيكُمْ ، فَمَا ظَنُّكُمْ بِالَّذِي عَمِلَ بِهَذَا
হজরত মুয়াজ জুহানি রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূলুল্লাহ সা: এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করেছে এবং তাতে যা আছে সে অনুযায়ী আমল করেছে, তাহলে তার মা-বাবাকে কিয়ামত দিবসে একটি (নূরের) তাজ (টুপি) পরানো হবে। যদি সূর্য তোমাদের গৃহে প্রবেশ করত, তাহলে ওই সূর্যের আলো অপেক্ষাও ওই টুপির আলো উজ্জ্বলতর হবে। এখন তোমরা চিন্তা করো, যে ব্যক্তি কুরআনের নির্দেশ অনুসারে আমল করে, তার মর্যাদা ও অবস্থা কত উত্তম হবে?’ (আবু দাউদ, আহমাদ পৃ. ১৮৬)।
৯। জান্নাতে বলা হবে পড়তে থাকো উপড়ে উঠতে থাকো
বিশ্বনবি সা: বলেছেন, ‘কুরআনের আয়াতের সংখ্যা পরিমাণ হবে জান্নাতের সিঁড়ি। আর কুরআনের পাঠককে বলা হবে, ‘তুমি যতটুকু কুরআন পড়েছো ততটুকু সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠো। যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছে সে আখেরাতে জান্নাতের সর্বশেষ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাবে। যে ব্যক্তি কুরআনের কিছু অংশ পড়েছে সে সম পরিমাণ উপরে উঠবে। আর তার কুরআন পড়ার সীমানা যেখানে শেষ হবে সেখানে তার সাওয়াবের সীমানাও শেষ হবে।জামে'আত তিরমিজি ২৯১৪ হাসান সহিহ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَأُ بِهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَارْتَقِ = এবং আরোহণ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ (ক্বিয়ামাতের দিন) কুরআনের বাহককে বলা হবে, পাঠ করতে থাক ও উপরে আরোহণ করতে থাক এবং দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে সুস্থে পাঠ করতে ঠিক সেরূপে ধীরে সুস্থে পাঠ করতে থাক। যে আয়াতে তোমার পাঠ সমাপ্ত হবে সেখানেই তোমার স্থান।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৯১৪
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
_________________
No comments