124 দান সদকা ২
124 দুনিয়া হলো আখেরাত শস্যক্ষেত্র
* জমিতে কেউ যদি তেতুল গাছ লাগায় ফল দিবে তেতুল। আমের চারা লাগলে ফল দিবে আম। তেঁতুল বুনে মিষ্টি আমের আশা করা যাবে না
* ভালো এবং মন্দ যেটার বীজ রোপন করবে পরকালে সেই ফল ভোগ করবে। কুসন্তান রেখে গেলে তার ফলাফল হবে একরকম। নেককার সন্তান রেখে গেলে তার ফলাফল হবে আরেকরকম। মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করে গেলে তার ফলাফল হবে একরকম। যেমন কর্ম তেমন ফল
* সন্তান নেক আমল করলে পিতা মাতা তার অংশীদার হবে। সন্তানের নেক কমবে না।
নিসা ৮৫
مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً یَّكُنْ لَّهٗ نَصِیْبٌ مِّنْهَا١ۚ وَ مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَیِّئَةً یَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا١ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ مُّقِیْتًا
* সেই হিসেবে আপনারা দান করবেন পিতা মাতা ও সওয়াবের অংশীদার হবে
* ফল দুনিয়ায় ভোগ করতে চাইলে দুনিয়ায় দিবে পরকালে চাইলে পরকালে রাখবে কোনটা চান ? ইমরান ১৪৫
وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ۚ وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الْاٰخِرَةِ نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ؕ وَ سَنَجْزِی الشّٰكِرِیْنَ
* পরকালে রাখবে চাইলে জ্ববানের কিছু আমল আছে কিছু আমল দেহ ও জ্ববানের সাথে জড়িত। সুবহানাল্লাহি ওয়াল
* কিছু আমল সম্পদের সাথে সম্পৃক্ত, দান করা মানে পরকালের শস্য বীজ রোপন করা। বাক্বারাহ ২৬১
مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ
* যারা দান করবে কেউ জানে না তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে তাদের চোখের শীতলতার কি সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ৩২: আস-সাজদাহ ১৬-১৭
تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّ طَمَعًا٘ وَّ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ اُخْفِیَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْیُنٍۚ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ
________________________________________________________
এই দুনিয়া হলো আখেরাত শস্যক্ষেত্র
এই দুনিয়ায় গাছ লাগাবে ফল ভোগ করবে পরকালে বা জান্নাতে
* আখেরাতে ফল ভোগ করতে হলে দুনিয়া আমল করতে হবে। কিছু কিছু আমল দেহের সাথে জড়িত। নামাজ রোজা হজ্ব জ্ববানের কিছু আমল যেমন সুবহানাল্লাহ
* কিছু আমল সম্পদের সাথে সম্পৃক্ত, দান করা মানে পরকালের শস্য বীজ রোপন করা। বাক্বারাহ ২৬১
مَثَلُ الَّذِیْنَ یُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَهُمْ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِیْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍؕ وَ اللّٰهُ یُضٰعِفُ لِمَنْ یَّشَآءُؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیْمٌ
* ফল দুনিয়ায় ভোগ করতে চাইলে দুনিয়ায় দিবে পরকালে চাইলে পরকালে রাখবে কোনটা চান ?
৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১৪৫
وَ مَا كَانَ لِنَفْسٍ اَنْ تَمُوْتَ اِلَّا بِاِذْنِ اللّٰهِ كِتٰبًا مُّؤَجَّلًا١ؕ وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الدُّنْیَا نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ۚ وَ مَنْ یُّرِدْ ثَوَابَ الْاٰخِرَةِ نُؤْتِهٖ مِنْهَا١ؕ وَ سَنَجْزِی الشّٰكِرِیْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
কোন প্রাণীই আল্লাহর অনুমতি ছাড়া মরতে পারে না। মৃত্যুর সময় তো লেখা আছে। যে ব্যক্তি দুনিয়াবী পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে আমি তাকে দুনিয়া থেকেই দেবো। আর যে ব্যক্তি পরকালীন পুরস্কার লাভের আশায় কাজ করবে সে পরকালের পুরস্কার পাবে এবং শোকরকারীদেরকে আমি অবশ্যি প্রতিদান দেবো।
ফী যিলালিল কুরআন:
কোনো প্রাণীই আল্লাহ্র (সিদ্ধান্ত ও) অনুমতি ছাড়া মরবে না, (আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রত্যেকটি প্রাণীরই মৃত্যুর) দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট (হয়ে আছে,) যে ব্যক্তি পার্থিব পুরস্কারের প্রত্যাশা করে আমি তাকে (এ দুনিয়াতেই) তার কিছু অংশ দান করবো, আর যে ব্যক্তি আখেরাতের পুরস্কারের ইচ্ছা পোষণ করবে আমি তাকে সে (চিরন্তন পাওনা) থেকেই এর প্রতিফল দান করবো এবং অচিরেই আমি (আমার প্রতি) কৃতজ্ঞদের (যথার্থ) প্রতিফল দান করবো।
* দান করলে একদিকে সোয়াবের কথা বলা হয়েছে
* যারা দান করবে কেউ জানে না তাদের কাজের পুরস্কার হিসেবে তাদের চোখের শীতলতার কি সরঞ্জাম লুকিয়ে রাখা হয়েছে,৩২: আস-সাজদাহ:১৬-১৭
تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّ طَمَعًا٘ وَّ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّاۤ اُخْفِیَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْیُنٍۚ جَزَآءًۢ بِمَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَ
124 কবরে সন্তান সবচেয়ে বর সম্পদ
* হযরত যাকারিয়া (আঃ) এক বুযুর্গের স্বপ্ন বর্ণনা করে বলেন। মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) নামক প্রখ্যাত এক বুযুর্গ বলেন, আমি একদিন রাতে ঘুমে স্বপ্নে এক কবরস্থান দেখলাম। কবরবাসী কি যেন মাটি থেকে কুড়াচ্ছে। তবে এক বৃদ্ধলোক তাদের থেকে আলাদা। তিনি এদের থেকে একটু দূরে এক জায়গায় বসে আছেন, আমি তাঁর নিকট এগিয়ে গেলাম।
জিজ্ঞেস করলাম, এরা কি কুড়াচ্ছে?
বৃদ্ধ বললেন, পথচারীরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কুরআনের কিছু তেলাওয়াত করে বা দরূদ পাঠ করে—এর সওয়াব পৌঁছে দিয়ে যায়। এরা সেই সওয়াবই কুড়াচ্ছে ।
আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেন ওদের সাথে সওয়াব কুড়াচ্ছেন না?
বৃদ্ধ বললেন—আমার এর কোন দরকার নেই। কেননা, প্রত্যেক দিন আমার নিকট বিশাল অংকের সওয়াব পৌঁছে যায়।
আমি বললাম, আপনার কেন দরকার নেই? আর প্রত্যেক দিন কতটুকু সওয়াব আপনার নিকট পৌঁছে? সেটা কিভাবে পৌঁছে?
বৃদ্ধ বললেন—আমার এক পুত্র হাফেযে কুরআন। সে অমুক বাজারে মিষ্টান্নের দোকানের মিষ্টির ব্যবসা করে। দিনভর সে বেচাকেনার সাথে সাথে পূর্ণাঙ্গ এক খতম কুরআন পাঠ করে তাঁর সওয়াব আমার নামে পৌঁছে দেয়। এজন্য আমার সওয়াব কুড়ানোর দরকার হয় না। আমার সঙ্গী কবরবাসীদের এই সওয়াবের প্রয়োজন রয়েছে। তাই ওরা এভাবে সওয়াব কুড়ায়। আর আমি এখানে বসে বসে সে দৃশ্য দেখি।
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) বলেন, পরের দিন ভোরে ঘুম ভাঙ্গার পর ফজরের নামায আদায় করে বের হয়ে পড়লাম। সেই বাজারে চলে গেলাম। খুঁজতে খুঁজতে একটি মিষ্টির দোকানে পেয়ে গেলাম। দোকানে এক যুবক মিষ্টান্ন বিক্রি করছে। আর সাথে সাথে মৃদু আওয়াজে কুরআন মাজীদে তেলাওয়াত করছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম বেটা! তুমি কি পাঠ করছো?
যুবক বললো, জি জনাব! কুরআন পাঠ করছি।
প্রত্যেক দিন কতটুকু পড়ো? আমি জিজ্ঞেস করলাম।
প্রত্যেক দিন এক খতম করে তেলাওয়াত করি জনাব! যুবক বলল।
এক খতম করে প্রত্যেক দিন কেন পড়ো? জিজ্ঞেস করলাম।
যুবক বললো, আমার পিতা আমার প্রতি অনেক বড় এহসান করে গিয়েছেন। আমি এই এহসানের কিছুটা বদলা পরিশোধ করতে চাই। আমাকে তিনি পবিইত্র কুরআনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আমি এই পরম অনুগ্রহের বিনিময় দিতে চাই।
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) অনেক বড় আলেম ছিলেন। ছিলেন যমানার খ্যাতিমান মুহাদ্দিস, মুফাসসির, এবং লেখকও। তিনি ঘটনা এ পর্যন্ত লিখে রাখলেন।
তিনি লিখেন—আরো কয়েক বছর কেটে গেলো। এক রাতে আবার সেই কবর স্থান স্বপ্নে দেখলাম। কবরবাসী পূর্বের মতোই সওয়াব কুড়াচ্ছে। সাথে সেই বৃদ্ধ লোকটিও রয়েছে। বৃদ্ধও সবার সাথে ব্যস্ত হয়ে সওয়াব কুড়াচ্ছেন।
আমার ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হলো-আজ এই নগরে কোন কিছু হয়ে গেছে। ফজরের নামাযের পর সেই দোকানে গেলাম। আশে পাশের দোকানগুলো ততক্ষণে খুলে ফেলেছে। অথচ এই মিষ্টির দোকানটি বন্ধ। লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, এই দোকানের সেই যুবক মালিক কোথায়?
লোকেরা বলল, জনাব! ছেলেটা গতকাল ইন্তেকাল করেছে।
আহা! সওয়াবের কি সুনিশ্চিত এক ধারা চলছিলো। সেটা বন্ধ হয়ে গেলো। আর সন্তানের পিতাও সওয়াব কুড়ানোদের দলে ভিড়ে গেলেন।
_____________________________________
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186
সূত্রঃ তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী বই থেকে নেওয়া।
* হযরত যাকারিয়া (আঃ) এক বুযুর্গের স্বপ্ন বর্ণনা করে বলেন।মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) নামক প্রখ্যাত এক বুযুর্গ বলেন, আমি একদিন রাতে ঘুমে স্বপ্নে এক কবরস্থান দেখলাম। একটি ফিরেস্তা কবরে আমল বন্টন করেতেছেন। সমস্ত কবর বাসি আমল নিতে লাইনে কাতার বদ্ধ ভাবে দারিয়ে আছেন। অন্যদিকে একটি মহিলা তার কবরে বসে আছেন। আল্লাহর ওলি বুযুর্গ বলেন, এই মহিলা সকলে আমল নেয়ার জন্য ছোঁটছে আপনি কেন বসে আছেন আমল নিবেন না।
মহিলা বলেন না আমি নিবো না।
কেন নিবেন না, কেন নিবেন না।
মহিলা বলেন, দোনিয়ায় আমার একটা নেক সন্তান আছে। সে নেক আমল করে, আর এই নেক আমলের নেক গোলা আমি মায়ের কবরে পৌঁছতে থাকে, আমার কবর নেকে নেকে বরপুর। তাই আমার ঐ আমলের দিকে চাহিদা কম। আল্লাহর ওলি বলেন কি তার পরিচয়। কোথায় থাকে আপনার সন্তান। মহিলা বলেন ওমক এলাকায় দোকান্দারি করেন, নাম ওমক। বুযুর্গের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তাহাজ্জুদ আদায় করে, ফজর পড়ে, সূর্যোউদয় হলে এশরাক নামায আদায় করে ঐ ছেলের সন্ধানে বের হলেন। ছেলেকে খোঁজে পেয়ে, আল্লাহুআকবর দেখেন ঐ যুবক কোরআন তেলোয়াত করেন খরিদদ্বার এলে কিছু সময় তেলোয়াত বন্ধ করে আবার তেলোয়াতে মশগুল, আল্লাহর ওলি বলেন। ঐ কবরস্থানে কি তোমার মাকে দাফন করেছ, যুবক বলেন জি। তোমার নাম কি ওমক। যুবক বলেন জি। আল্লাহর ওলি দুইটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন আয় বাবা আয় আমার বুকে আয় যে সন্তানের জন্য মা-বাবা ধন্য। এমন সন্তানে বুকটা আমার বুকের সাথে লাগাই আমার ইচ্ছে করে তুকে বুকে নিতে আয় বাবা আয় আমার বুকে আয়। আল্লাহর ওলি যুবক কে জড়িয়ে ধরে চোখের পনি নিয়ে বলে ওযুবক, তোমার এই আমল তোমার মায়ে কবরে যায়। তোমার মা অনেক সুখে আছে, তোমার মা খুব আনন্দে আছে। তুমি আমল ছেড়না বাবা তেমার মায়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। তোমার মা, তোমার আমলের নেক কবরে বসে বসে পায়, তুমি আমল করতে থাক, তোমার জন্য তোমার মা ধন্য। এমন নেক সন্তান দোনিয়ায় রেখে যেতে পারলে মা বাবা ধন্য।
(#ওযুবক_যুবতি) আমাদের সমজে তো আজ (মুসলান) আমরা প্রহেলা বৈশাখ, থার্টি ফাস্ট নাইট, হলি ডে, মেরিষ্ট ডে, ইত্যাদি দিবস নিয়ে ব্যস্থ আফসোস আহ আফসোস ঐ জাতির জন্য।তোমাদের দিকে তোমাদের মা-বাবা আত্যিয় সজন তাকিয়ে আছেন, তোমরা আমল করো আমর করো।
আবার কিছুদিন পর আল্লাহর ওলি বুযুর্গ স্বপ্নে দেখেন ঐ মহিলা সকল লোকের ভিড়ে ঠেলে সামনে যাচ্ছেন নেক আমলের ফিরিস্তা থেকে নেক নিতে। আল্লাহর ওলি বলেন, এই মহিলা কিছুদিন আগে তুমি নেক নেওনি এখন কেন নেকের জন্য এতো পিড়াপিড়ি করছো। মহিলা বলেন, আমার নেক সন্তান টি কিছু দিন হয় মারা গেছেন এখন আর আমার কবরে নেক আসে না তাই আমি এখন নেকের পিছে দৌড়াই।
এদ্বারা এটাই বুঝায়,, দোনিয়াতে নেক সন্তানের নেক গুলা তার মা বাবার কবরে পৌঁছায়।
মা-বাবার কথা স্বরণ করে আমল করো মা-বাবার কবরে পৌঁছাবে মা-বাবার আত্যা শান্তি পাবে।
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186
No comments