126 হযরত আমর ইবনে জুমুহ রা এর ঈমান
126 হযরত আমর ইবনে জুমুহ রা এর ঈমান
যে ইমান জাগতিক ভয় দুর করে দিয়েছিল
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
* আমাদের ঈমানের হালত আর সাহাবীদের ঈমানের হালত। জান্নাতের তামান্না আমাদের আর আমর ইবনে জুমুহ রা: এর মধ্যে পার্থক্য কি?
* কালিমা পড়ে সবাই ঈমান আনে আমাদের কালিমা আর সাহাবীদের কালিমাতো এক কালিমা ছিল। কালিমার অর্থ আল্লাহ আল্লাহ রাসুল ছাড়া আর কিছু নেই অর্থাৎ জীবন চলবে আল্লাহ আল্লাহ রাসূলের নির্দেশে। যে ঈমানের মধ্যে আমল নাই সেটা পরিপূর্ণ ঈমান নয়। অসম্পূর্ণ ঈমানদার লোক জাহান্নামে যাবে। অসম্পূর্ণ ডাক্তারের হাতে রোগী মারা যায়।অসম্পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ার এর হাতে বিল্ডিং ধসে যায়।
* #ডাক্তার হতে হলে ডাক্তারি পড়া লাগে ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে ইঞ্জিনিয়ারি পড়া লাগে। ঈমানদার হতে হলে ঈমানের কাজ করতে হবে
* আমাদের সমাজে কিছু বেদুইন মার্কা লোক আছে। যারা বলে নামাজ পড়ি না কি হইছে ঈমান ঠিক আছে। বেদুইন মার্কা সুবিধাবাদী মুসলমান হলে চলবে না। বেদুইনদের ঈমান এর হালাত আল্লাহ প্রকাশ করে দিয়েছেন ৪৯: হুজুরাত:১৪
قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا١ؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَ لٰكِنْ قُوْلُوْۤا اَسْلَمْنَا وَ لَمَّا یَدْخُلِ الْاِیْمَانُ فِیْ قُلُوْبِكُمْ
* ঈমান মানুষের ঘুমন্ত বিবেককে জাগ্রত করে দেয়। ঈমান মজবুত করার মেডিসিন আল্লাহ কোরআনে উল্লেখ করেছেন,৮: আল-আনফাল:২
وَ اِذَا تُلِیَتْ عَلَیْهِمْ اٰیٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِیْمَانًا
* জান্নাতের তামান্না আমাদের আর আমর ইবনে জুমুহ রা: এর মধ্যে পার্থক্য
* বদর যুদ্ধ ইসলামের প্রথম যুদ্ধ কাফেরগন শোচনীয় পরাজয় বরণ করে। এক বছরের মধ্যে ওহুদের বাঝিয়ে দেয়। #ওহুদ যুদ্ধে শহীদ আমর ইবনে জুমুহ চার সন্তান ছিল
* একজন বেদুইন ঈমান এনে #খায়বারের যুদ্ধে সে যোগ দিয়েছিল। যুদ্ধলব্দ সম্পদ বন্টন করে তাকে দেওয়া হলে সে বলে উঠলো হে আল্লাহর রাসূল আমি এই সম্পদের আশায় ঈমান আনেনি। #আমি ঈমান এনেছি যেন আমার কন্ঠে শত্রুর তীর বিদ্ধ হয়। আমি শাহাদাত বরণ করি এবং জান্নাতে যেতে পারি
________________________________________________________
৩ আলে-ইমরান, আয়াত: ১০২
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
তাফহীমুল কুরআন:
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যথাযথভাবে আল্লাহকে ভয় করো। মুসলিম থাকা অবস্থায় ছাড়া যেন তোমাদের মৃত্যু না হয়।
ফী যিলালিল কুরআন:
হে মানুষ, তোমরা যারা ঈমান এনেছো, আল্লাহ্কে ভয় করো, ঠিক যতোটুকু ভয় তাঁকে করা উচিত, (আল্লাহ্র কাছে সম্পূর্ণ) আত্মসমর্পণকারী না হয়ে তোমরা কখনো মৃত্যু বরণ করো না।
* ওহুদ যুদ্ধে শহীদ আমর ইবনে জুমুহ
হক ও বাতিল এবং ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ছিল ‘বদর’ যুদ্ধ। এতে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল মক্কার কাফের-মোশরেকদের। এ পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে না পেরে বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী বছর ঐ পরাজিত শক্তি ‘ওহোদ’ যুদ্ধ সংঘটিত করে, যার বিশদ বিবরণ সীরাত গ্রন্থগুলোতে রয়েছে। এখানে আমরা ‘ওহোদ’ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজনের নাম ‘আমর ইবনে জুমুহ’ (বৃদ্ধ খোঁড়া), যিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য রসূলুল্লাহ (সা.) এর অনুমতি লাভ করেছিলেন
বৃদ্ধ খোঁড়া আমর ইবনে জুমুহ: ওহোদ যুদ্ধের জন্য মহানবী (সা.) সাহাবাদের প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিলেন। আগের বছর বদর যুদ্ধে যারা ইচ্ছা থাকা সত্তে ও যোগদান করতে পারেননি, অন্যদের সঙ্গে তারাও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ওহোদ যুদ্ধে গাজী কিংবা শহীদ হওয়ার জন্য প্রত্যেকেই হযরতের দরবারে উপস্থিত হতে লাগলেন এবং যুুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করতে লাগলেন। মদিনার উপকণ্ঠ হতে দলে দলে যুবকেরা এসেও তাদের আত্মত্যাগের প্রতিশ্রতি দিতে লাগলেন। তাদের এই জিহাদি মনোভাব দেখে হযরত মুগ্ধ হলেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য সকল শ্রেণীর লোকই উপস্থিত। আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা কেউ বাদ নেই। বিধর্মী কোরেশদের সাথে যুদ্ধের জন্য পাগলপারা মুসলমানদের এই প্রতিযোগিতামূলক যোগদান এক অভ‚তপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করে।
সত্যের জন্য আত্মত্যাগের কী বিচিত্র উদাহরণ! এই সময় একজন খোঁড়া বৃদ্ধ লাঠিতে ভর করে মহানবী (সা.) এর দরবারে দন্ডয়মান। সঙ্গে তাঁর চারজন যুবক পুত্রও। এই খোঁড়া বৃদ্ধের যুবক পুত্ররা হুজুর (সা.) কে জানালো যে, তারা চারজনই ওহোদ যুদ্ধে যোগদানের জন্য প্রস্তুত, হুজুর (সা.) এর অনুমতি চাই। তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। তাদের প্রতিবেশী লোকেরা সবিস্ময়ে তাদের খোঁড়া পিতার দিকে তাকাতে লাগল। বৃদ্ধ তাঁর লাঠির ওপর ভর করে হুজুর (সা.) এর সামনে সবকিছু অবলোকন করছিলেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ তাঁর ছেলেদের ন্যায় যুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠলেন। যুদ্ধের জন্য তাঁর নামও তালিকাভুক্ত করতে হবে। তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন; ‘আমিও যাব।’ উপস্থিত লোকজন তাঁর কথা শুনে বলতে লাগল, ‘আপনি মা’জুর (অক্ষম), মাজুরের ওপর জিহাদ ফরজ নয়।’ বৃদ্ধ নীরবে তাদের কথা শুনতে লাগলেন। কিন্তু যখন তাঁর যুবক ছেলেরাও তাঁকে বাধাদান করল তখন রাগান্বিত হয়ে তিনি বলতে শুরু করলেন; ‘তোমরা চুপ থাক। আমাকে তোমরা বদর যুদ্ধে যোগদান থেকে বিরত রেখেছিলে, জিহাদের সকল পুণ্য তোমরাই অর্জন করতে চাচ্ছ, আমি কি এর অংশীদার নই? কী বিস্ময়কর ব্যাপার যে, আমার ছেলেরা বেহেশতে গমন করবে, আর আমি তা থেকে বঞ্চিত থাকব।’
খোঁড়া বৃদ্ধ যখন দারুণ আবেগ ও আক্ষেপের সাথে এ মনোভাব ব্যক্ত করছিলেন তখন তাঁর খোঁড়া পা থরথর করে কাঁপছিল, লাঠিতে ভর করে অতি কষ্টেই তিনি স্থির ছিলেন। তার এই অবস্থা দেখে জনৈক প্রবীণ বন্ধু তার কাঁধে হাত রেখে বললেন; ‘আমর ইবনে জুমুহ! তুমি ঠিকই বলছ। কিন্তু প্রশ্ন হল, তুমি কীরূপে যুদ্ধে গমন করবে?’ বৃদ্ধ আল্লাহর কসম করে বললেন; ‘আমার খোঁড়া পা টেনে টেনেই আমি যাব।’ বৃদ্ধ আমর ইবনে জুমুহকে লোকেরা অনেক বুঝিয়েও যখন যুদ্ধে যোগদান থেকে বিরত থাকতে রাজি করাতে পারলো না তখন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে অনুমতি দান করলে তিনি যুদ্ধে যেতে পারবেন। সকলেরই বিশ্বাস ছিল যে, হুজুর (সা.) তাকে অনুমতি দান করবেন না। আমর ইবনে জুমুহ পা টেনে টেনেই হুজুর (সা.) এর কাছে গমন করলেন এবং বললেন; ‘হে আল্লাহর রসূল! আমার আকাক্সক্ষা এই যে, আমি এই খোঁড়া পা নিয়ে বেহেশতে গমন করব।’ হুজুর (সা.) তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করে বললেন; ‘আল্লাহ তোমাকে অক্ষম করেছেন, কাজেই তোমার যোগদান না করাতে এমন কি ক্ষতি আছে?’ আমর ইবনে জুমুহ কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার অতি বিনয়ের সাথে তাঁর বাসনার কথা পুনরুল্লেখ করলেন। তাঁর পীড়াপীড়িতে হুজুর তাকে যুদ্ধে গমনের অনুমতি দান করেন।
হুজুর (সা.) এর অনুমতি লাভ করার পর আমর ইবনে জুমুহ খুবই আনন্দিত হলেন। তিনি লাঠিতে ভর করে দ্রত পা টেনে টেনে তাঁর লোকজনের নিকট আসেন এবং কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন; ‘আমি অনুমতি লাভ করেছি। হুজুর (সা.) বলেছিলেন, যোগদান না করাতে ক্ষতির কি আছে? তোমরা জান, এর উত্তরে আমি কি বলেছিলাম?’ লোকেরা প্রশ্ন করল; ‘আপনি কী জবাব দিয়েছিলেন?’ আমর ইবনে জুমুহ বললেন; ‘আমি বলেছিলাম, হুজুর! আল্লাহর কসম, আমার বিশ্বাস যে, আমি এই খোঁড়া পা টেনে টেনেই বেহেশতে প্রবেশ করব এবং এরপর আল্লাহর রসূল (সা.) আমকে অনুমতি দান করেন।’
যে দিন ভোরে মদিনা বাহিনী ওহোদের পানে যাওয়ার জন্য বের হয় সে সময় আমর ইবনে জুমুহের গৃহ থেকে চারজন সুস্থ সশস্ত্র যুবককে বের করা হয় এবং তাদের অগ্রভাগের প্রথম সৈনিক ছিলেন স্বয়ং আমর ইবনে জুমুহ। তিনি পা টেনে টেনে বের হচ্ছিলেন। তখন তাঁর হাতে ছিল লাঠির পরিবর্তে একটি লম্বা বল্লম এবং তাকে অতি উৎসাহী ও উৎফুল্ল মনে হচ্ছিল। তাঁর স্ত্রী মশকের মুখ বন্ধ করতে করতে বলছিলেন; আমি দেখছি যে, সে যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পালিয়ে আসছে। আমর ইবনে জুমুহ তাঁর স্ত্রীর এই কৌতুক বাক্য শুনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠলেন এবং কেবলামুখী হয়ে দোয়া করতে লাগলেন; ‘আল্লাহুম্মা লা-তারুদ্দুনি ইলা আহলি।’ (অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে আমার গৃহের দিকে যেন প্রত্যাবর্তন করতে না হয়।)
রণক্ষেত্রে তুমুল যুদ্ধ চলছিল। হযরত আবু তালহা একটি টিলার ওপর দাঁড়িয়ে যুদ্ধের দৃশ্য দেখছিলেন। তিনি দেখে বিস্মিত হলেন যে, সেই খোঁড়া এবং প্রবীণতম বৃদ্ধ তাঁর বল্লমের ওপর ভর করে অতি উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে দুশমনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন, বৃদ্ধ এত দ্রত অগ্রসর হচ্ছিলেন যে, তার হেফাজতে নিয়োজিত তার ছেলে খাল্লাদ পিতার পেছনে দৌড়াচ্ছিল। ক্ষণিকের মধ্যেই খোঁড়া মোজাহিদ এক পায়ের ওপর ভর করে নিজের ভারসাম্য রক্ষা করলেন এবং অপর হাত দ্বারা লম্বা বল্লমটি আল্লাহর এক দুশমনের গলায় নিক্ষেপ করে চিৎকার করে উঠলেন; ‘আল্লাহর কসম! আমি জান্নাত কামনা করছি।’
পিতা-পুত্র দুইজনই শাহাদত বরণ করেন। যুদ্ধ শেষ হলে আমর ইবনে জুমুহের স্ত্রী-পুত্ররা তাদের লাশের নিকটে আসেন। তাঁর স্ত্রী একটি উটে স্বামী ও পুত্রের লাশ উঠিয়ে মদিনার দিকে রওনা হন। কিন্তু উট কয়েক কদম চলার পর বসে যায়। অনেক চেষ্টা করে উটটিকে সামনের দিকে চালাবার চেষ্টা করা হলেও শেষ পর্যন্ত সে ওহোদের দিকে দৌড়াতে থাকে। আমরের স্ত্রী বিস্মিত হয়ে হুজুর (সা.) এর খেদমতে উপস্থিত হলে হুজুর (সা.) তাকে বললেন; ‘উটের প্রতি এটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমর যাওয়ার কালে কিছু বলেছিল কি?’ স্ত্রী বললেন, ‘হ্যাঁ, তিনি যাওয়ার সময় কেবলামুখী হয়ে দোয়া করেছিলেন যে, তাকে যেন আর গৃহের দিকে প্রত্যাবর্তন করতে না হয়।’ হুজুর (সা.) বললেন; ‘হ্যাঁ, এ কারণেই উট সেদিকে যাচ্ছে না।’ হুজুর (সা.) যখন ওহোদের শহীদগণকে পরিদর্শন করে এই খোঁড়া শহীদের নিকট গমন করেন, তখন তাকে দেখে বললেন; ‘আল্লাহতায়ালা তাঁর কোন কোন বান্দার দোয়া কবুল করেন। আমর তাঁদেরই একজন এবং আমি তাঁকে বেহেশতে এই খোঁড়া পা দ্বারা চলাফেরা করতে দেখছি।’ তাফসীরে সাঈদী সূরা আল আসর পৃষ্ঠা:-৪৭৮
* একজন বেদুইন ঈমান এনে আল্লাহর রাসূল সা: কে বললেন। আমি আপনার সাথে হিজরত করতে আগ্রহী। খায়বারের যুদ্ধে সে যোগ দিয়েছিল। যুদ্ধলব্দ সম্পদ বন্টন করার সময় আল্লাহর রাসূল সা: সেই বেদুইনের অংশ পৃথক করে রাখলেন। তাকে যখন তার অংশ দেওয়া হল তখন তিনি জানতে চাইলেন এই সম্পদ তাকে কেন দেওয়া হচ্ছে। তাকে জানানো হলো এটা তোমার প্রাপ্য অংশ। বেদুইন সেই সম্পদের অংশ হাতে নিয়ে আল্লাহর রাসূলের কাছে উপস্থিত হয় বেথিত কন্ঠে বলল। হে আল্লাহর রাসূল আমি এই সম্পদের আশায় ঈমান আনেনি। আমি ঈমান এনেছি যেন আমার কন্ঠে শত্রুর তীর বিদ্ধ হয়। আমি শাহাদাত বরণ করি এবং জান্নাতে যেতে পারি। আল্লাহর রাসূল বললেন আল্লাহর সাথে তোমার চুক্তি যদি সত্য হয় তাহলে তিনি তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন। যুদ্ধ শেষে সেই বেদুঈনের লাশ যখন পাওয়া গেল। তখন আল্লাহ রাসুল বললেন, আল্লাহর সাথে তার চুক্তি সঠিক ছিল। আল্লাহ ও তার আশা পূরণ করেছেন। ঈমানের মূল্য ছিল তাদের কাছে। কতো মজবুত ছিল তাদের ঈমান ( তাফ: সূরা আসর পৃ:-483)
____________________________
* মোল্লা,পীর, ভুঁইয়া বংশের লোক,আরব সম্প্রদায়ের লোকজন হলেই সম্মানিত নয়, একমাত্র আল্লাহর কাছে সম্মানিত কারা, আল্লাহ নিজেই পরিচয় দিচ্ছেন ৪৯: আল-হুজুরাত: ১৩
یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقْنٰكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّ اُنْثٰى وَ جَعَلْنٰكُمْ شُعُوْبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا١ؕ اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللّٰهِ اَتْقٰىكُمْ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیْمٌ خَبِیْرٌ
* আমরা কি নিজেকে মুত্তাকী ব্যাক্তি হিসেবে পরিচয় দিতে পারবো। মুত্তাকী ব্যক্তি কখনো কি সূদ,ঘোষ, অবৈধ টাকা, অন্যায় ভাবে অন্যর সম্পদ আত্মসাৎ করতে পারে?
* ঈমানদার এর অন্তরে ভয় আছে কার? যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়, তারা কভু পথ ভুলে যায় না। আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছে কোনো কিছু চায় ন
* ওহুদের যুদ্ধে শহীদ, বৃদ্ধ খোঁড়া সাহাবী হযরত আমর ইবনে জমুহ রা: চার ছেলে জিহাদের জন্য ওহুদের ময়দানে পাঠিয়ে দিলেন। নবীজীর অনুমতি না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না, অহুদের ময়দানে চলে যান। যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে যান (তাফ: সূরা আসর পৃ:-478)
* বদরী সাহাবীদের ন্যায় আমাদের ঈমান মজবুত নয় ফলে বেইমান আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে মুসলমান মার খাচ্ছে।২০: ত্ব-হা:১
طٰهٰۚ
مَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَیْكَ الْقُرْاٰنَ لِتَشْقٰۤىۙ
* মুসলমানদের অধঃপতনের প্রধান কারণ হলো ঐক্যর অভাব,৩: আলে-ইমরান: ১০৩
وَ اعْتَصِمُوْا بِحَبْلِ اللّٰهِ جَمِیْعًا وَّ لَا تَفَرَّقُوْا١
* আল্লাহ মোমেনদের সান্তনা দিয়ে বলেন, দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো,আলে-ইমরান:১৩৯
وَ لَا تَهِنُوْا وَ لَا تَحْزَنُوْا وَ اَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ
________________________________
* আমরা কি নিজেকে মুত্তাকী বলে পরিচয় দিতে পারবো? আমাদের অবস্থা ঐ ব্যক্তির ন্যায়,যাদের ঈমান আনার পরও আল্লাহ বলেন তোমরা ঈমান আন নাই। কারণ তারা যুদ্ধের গনিমতের মাল ভোগ ও জান মালের নিরাপত্তার সুবিধা ভোগ করার জন্য ঈমান এনেছিল। আজকেও এমন নামধারী অনেক মুসলমান আছে যারা ঈমানের চেয়ে নিজের ক্ষমতা ও অর্থ সম্পদকে বেশি ভালোবাসে, এরা হচ্ছে সেই বেদুইন মার্কা মুসলমান ৪৯: হুজুরাত:১৪
قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا١ؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَ لٰكِنْ قُوْلُوْۤا اَسْلَمْنَا وَ لَمَّا یَدْخُلِ الْاِیْمَانُ فِیْ قُلُوْبِكُمْ١ؕ
* সেজন্য আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারগণ কে আল্লাহকে ভয় করার মতো ভয় করতে বলেছেন,৩: আলে-ইমরান:১০২
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوْتُنَّ اِلَّا وَ اَنْتُمْ مُّسْلِمُوْنَ
* আল্লাহর ভয় যখন মানুষের অন্তরে কাজ করে তখন আল্লাহর বান্দা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সন্তূষ্টির জন্য জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঈমানী মৃত্যুকে গ্রহণ করেন
৮: আল-আনফাল,:আয়াত: ২,
اِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِیْنَ اِذَا ذُكِرَ اللّٰهُ وَ جِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَ اِذَا تُلِیَتْ عَلَیْهِمْ اٰیٰتُهٗ زَادَتْهُمْ اِیْمَانًا وَّ عَلٰى رَبِّهِمْ یَتَوَكَّلُوْنَۚۖ
সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই, আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের হৃদয় কেঁপে ওঠে। আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয়, তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা নিজেদের রবের ওপর ভরসা করে।
* দুঃখ করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকো,আলে-ইমরান:১৩৯
وَ لَا تَهِنُوْا وَ لَا تَحْزَنُوْا وَ اَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِیْنَ
* ইয়ারমুকের যুদ্ধে হযরত জায়েদ রা:
* হযরত ইব্রাহীম নবীকে আক্রমণ করলো নমরুদ বাহিনী, ইব্রাহীম আ: সাহায্য চাইলেন কার কাছে? ৩০: আর-রূম:৪৭
وَ كَانَ حَقًّا عَلَیْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِیْنَ
* সহিহ মুসলিম,৪৩২৪ সহিহ
أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ الأَسْلَمِيَّ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَزَنَيْتُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي . فَرَدَّهُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ . فَرَدَّهُ الثَّانِيَةَ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ " أَتَعْلَمُونَ بِعَقْلِهِ بَأْسًا تُنْكِرُونَ مِنْهُ شَيْئًا " . فَقَالُوا مَا نَعْلَمُهُ إِلاَّ وَفِيَّ الْعَقْلِ مِنْ صَالِحِينَا فِيمَا نُرَى فَأَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمْ أَيْضًا فَسَأَلَ عَنْهُ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُ لاَ بَأْسَ بِهِ وَلاَ بِعَقْلِهِ فَلَمَّا كَانَ الرَّابِعَةَ حَفَرَ لَهُ حُفْرَةً ثُمَّ أَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ . قَالَ فَجَاءَتِ الْغَامِدِيَّةُ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ فَطَهِّرْنِي . وَإِنَّهُ رَدَّهَا فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ تَرُدُّنِي لَعَلَّكَ أَنْ تَرُدَّنِي كَمَا رَدَدْتَ مَاعِزًا فَوَاللَّهِ إِنِّي لَحُبْلَى . قَالَ " إِمَّا لاَ فَاذْهَبِي حَتَّى تَلِدِي " . فَلَمَّا وَلَدَتْ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي خِرْقَةٍ قَالَتْ هَذَا قَدْ وَلَدْتُهُ . قَالَ " اذْهَبِي فَأَرْضِعِيهِ حَتَّى تَفْطِمِيهِ " . فَلَمَّا فَطَمَتْهُ أَتَتْهُ بِالصَّبِيِّ فِي يَدِهِ كِسْرَةُ خُبْزٍ فَقَالَتْ هَذَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ قَدْ فَطَمْتُهُ وَقَدْ أَكَلَ الطَّعَامَ . فَدَفَعَ الصَّبِيَّ إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ثُمَّ أَمَرَ بِهَا فَحُفِرَ لَهَا إِلَى صَدْرِهَا وَأَمَرَ النَّاسَ فَرَجَمُوهَا فَيُقْبِلُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ بِحَجَرٍ فَرَمَى رَأْسَهَا فَتَنَضَّحَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِ خَالِدٍ فَسَبَّهَا فَسَمِعَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَبَّهُ إِيَّاهَا فَقَالَ " مَهْلاً يَا خَالِدُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ تَابَتْ تَ
বুরাইদাহ্ (রাঃ)-এর বরাতে তার পিতা থেকে বর্ণিতঃ: মা’ইয ইবনু মালিক আসলামী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর জুলুম করেছি, অর্থাৎ ব্যভিচার করেছি। আমি চাই যে, আপনি আমাকে পবিত্র করবেন।’ তখন তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরের দিন সে আবার তাঁর (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ) কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি। এবারও তিনি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কোন এক ব্যক্তিকে তার সম্প্রদায়ের লোকের কাছে পাঠালেন। লোক সেখানে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা কি মনে করেন যে, তার মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটেছে এবং সে মন্দ কাজে লিপ্ত হয়েছে? তারা প্রতি উত্তরে বললেন, আমরা তো তার মস্তিষ্কের বিকৃতি সম্পর্কে কোন কিছু জানি না। আমরা তো জানি যে, সে সম্পূর্ণ সুস্থ প্রকৃতির। এরপর মা’ইয তৃতীয়বার রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে আগমন করলো। তখন তিনি আবারও একজন লোককে তার গোত্রের কাছে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেরণ করলেন। তখনও তারা তাঁকে জানালো যে, আমরা তার সম্পর্কে খারাপ কোন কিছু জানি না এবং তার মস্তিষ্কেরও কোন বিকৃতি ঘটেনি। এরপর যখন চতুর্থবার সে আগমন করলো, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হলো এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ প্রদান করলেন। সুতরাং তাকে পাথর নিক্ষেপ করা হলো।
বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামিদী এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি। সুতরাং আপনি আমাকে পবিত্র করুন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ফিরিয়ে দিলেন। পরবর্তী দিন আবার ঐ মহিলা আগমন করলো এবং বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! আপনি কেন আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। আপনি সম্ভবত আমাকে ঐভাবে ফিরিয়ে দিতে চান, যেমনভাবে আপনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইযকে? আল্লাহর শপথ করে বলছি, ‘নিশ্চয়ই আমি গর্ভবতী’। তখন তিনি বললেন, তুমি যদি ফিরে যেতে না চাও, তবে আপাততঃ এখনকার মত চলে যাও এবং প্রসবকাল পর্যন্ত অপেক্ষা কর। রাবী বলেন, এরপর যখন সে সন্তান প্রসব করলো- তখন ভূমিষ্ঠ সন্তানকে এক টুকরা কাপড়ের মধ্যে নিয়ে তাঁর কাছে আগমন করলো এবং বলল, এ সন্তান আমি প্রসব করেছি। তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তাকে (সন্তানকে) দুধপান করাও। দুধপান করানোর সময় পার হলে পরে এসো। এরপর যখন তার দুধপান করানোর সময় শেষ হলো তখন ঐ মহিলা শিশু সন্তানটিকে নিয়ে তাঁর কাছে মহিলাটি আবার আগমন করলো-এমন অবস্থায় যে, শিশুটির হাতে এক টুকরা রুটি ছিল। এরপর বলল, হে আল্লাহর নবী! এইতো সেই শিশু, যাকে আমি দুধপান করানোর কাজ শেষ করেছি। সে এখন খাদ্য খায়। তখন শিশু সন্তানটিকে তিনি কোন একজন মুসলিমকে প্রদান করলেন। এরপর তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি) প্রদানের নির্দেশ দিলেন। মহিলার বক্ষ পর্যন্ত গর্ত খনন করানো হলো এরপর জনগণকে (তার প্রতি পাথর নিক্ষেপের) নির্দেশ দিলেন। তারা তাকে পাথর মারতে শুরু করলো। খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) একটি পাথর নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং মহিলার মাথায় নিক্ষেপ করলেন, তাতে রক্ত ছিটকে পড়লো খালিদ (ইবনু ওয়ালীদ) (রাঃ)-এর মুখমন্ডলে। তখন তিনি মহিলাকে গালি দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার গালি শুনতে পেলেন। তিনি বললেন, সাবধান! হে খালিদ! সে মহান আল্লাহর শপথ, যাঁর হস্তে আমার জীবন, জেনে রেখো! নিশ্চয়ই সে এমন তাওবাহ্ করেছে, যদি কোন “হক্কুল ইবাদ” বিনষ্টকারী ব্যক্তিও এমন তাওবাহ্ করতো, তবে তারও ক্ষমা হয়ে যেত। এরপর তার জানাযার সলাত আদায়ের নির্দেশ দিলেন। তিনি তার জানাযায় সলাত আদায় করলেন। এরপর তাকে দাফন করা হলো। (ই. ফা. ৪২৮৩, ই. সে. ৪২৮৪)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪৩২৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
* আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন যারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাঁদের কাজে যারা বাধা দেয় তাদেরকে যারা কষ্ট দেয়। আল্লাহ বলেন আমি তাদের থেকে প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বো,৩০: আর-রূম:৪৭
وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ رُسُلًا اِلٰى قَوْمِهِمْ فَجَآءُوْهُمْ بِالْبَیِّنٰتِ فَانْتَقَمْنَا مِنَ الَّذِیْنَ اَجْرَمُوْا١ؕ وَ كَانَ حَقًّا عَلَیْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِیْنَ
আমি তোমার পূর্বে রসূলদেরকে তাদের সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাই এবং তারা তাদের কাছে আসে উজ্জ্বল নিদর্শনাবলী নিয়ে। তারপর যারা অপরাধ করে তাদের থেকে আমি প্রতিশোধ নিই আর মুমিনদেরকে সাহায্য করা ছিল আমার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
No comments