Header Ads

Header ADS

128 পরোপকার

128 পরোপকার


* আল্লাহ বান্দাকে পরোপকারের নির্দেশ দিয়ে বলেন১৬: আন্-নহল:৯০,




اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآئِ ذِی الْقُرْبٰى وَ یَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ وَ الْبَغْیِۚ یَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ


* প্রত্যেকটা উপকারের বিনিময় রয়েছে,কুকুরকে পানি পান করে ক্ষমা লাভ,বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


غُفِرَ لاِمْرَأَةٍ


* একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে,যতক্ষন পরোপকার করতে থাকবে,মুসলিম-৬৪১৯


لاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ


* উপকার করে খোটা দেওয়া যাবেনা,তিন শ্রেনীর সাথে সেদিন আল্লাহ তাকাবেন না ,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১


الْمَنَّانُ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِب


* মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর নবী এক বৃদ্ধার প্রতি পরোপকারের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন-ইসলামী আখলাক-187


* উপকারের বিনিময়ে উপকার করার চেষ্টা করা ,একজন মোমিনের চিন্তা থাকবে,রহমান:৬০,


هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ


* হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া অসুস্হ হয়ে বেহুশ হয়ে যায়,দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায়




___________




* আল্লাহ বান্দাকে পরোপকারের নির্দেশ দিয়ে বলেন১৬: আন্-নহল:৯০,




اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآئِ ذِی الْقُرْبٰى وَ یَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ وَ الْبَغْیِۚ یَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ




আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে দান করার হুকুম দেন৮৮ এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন।৮৯ তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো।




* একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে,যতক্ষন পরোপকার করতে থাকবে,মুসলিম-৬৪১৯


حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي قَرَابَةً أَصِلُهُمْ وَيَقْطَعُونِي وَأُحْسِنُ إِلَيْهِمْ وَيُسِيئُونَ إِلَىَّ وَأَحْلُمُ عَنْهُمْ وَيَجْهَلُونَ عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ لَئِنْ كُنْتَ كَمَا قُلْتَ فَكَأَنَّمَا تُسِفُّهُمُ الْمَلَّ وَلاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏




আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার আত্মীয়-স্বজন আছেন। আমি তাদের সাথে সদাচরণ করি; কিন্তু তারা আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। আমি তাদের উপকার করে থাকি; কিন্তু তারা আমার অপকার করে। আমি তাদের সহনশীলতা প্রদর্শন করে থাকি আর তারা আমার সঙ্গে মূর্খসুলভ আচরণ করে। তখন তিনি বললেন, তুমি যা বললে, তাহলে যদি প্রকৃত অবস্থা তাই হয় তুমি যেন তাদের উপর জ্বলন্ত অঙ্গার নিক্ষেপ করছ। আর সর্বদা তোমার সঙ্গে আল্লাহর তরফ থেকে তাদের বিপক্ষে একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে, যতক্ষণ তুমি এ অবস্থায় বহাল থাকবে। (ই. ফা. ৬২৯৪, ই. সে. ৬৩৪৩)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪১৯


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর নবী এক বৃদ্ধার প্রতি পরোপকারের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ইসলামী আখলাক-187




মক্কা বিজয়ের পর, গুজব রোটলো, আমাদের নবীজী নাকি সব কাফিরদের মেরে ফেলছে, তাই শুনে এক বৃদ্ধা কাফির বস্তা নিয়া রাস্তায় দারায় অন্য কাফিরদের বলতেছিল কেও আমার বস্তা টা নিয়া আমাকে হাটতে সাহায্য করো,কিন্তুু কেউ তার ডাকে সারা দিলো না, তারপর একজন লোক এসে তার বস্তা কাধে তুলে হাটতে হাটতে বলতিছিলো আপনি এই বুড় বয়সে বাসা থিকা বের হইয়া কই যাচ্ছেন,কেন যাচ্ছেন,বৃদ্ধা বললো,আমি শুনেছি মোহাম্মদ সবাইকে মেরে ফেলতিছে, তখন ঐ লোক বৃদ্ধা কে বললো, আপনি কি মোহাম্মদ কে দেখেছেন, তাকে চিনেন??? বৃদ্ধা বললো না, আমি তাকে চিনি না,দেখি নাই, তখন ঐ লোক যে তার বস্তা কে কাধে নিয়েছিল বৃদ্ধা কে বললো "আমি ই সেই মোহাম্মদ যার ভয়ে আপনি পলায়ন করতিছেন।বৃদ্ধা সবাইকে তখন ডেকে বললো আরে তোমরা পলাইও না।এই সেই মোহাম্মদ, সবাই নবীজির এমন ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়ে ইসলাম কবুল করলেন।


এটাই ইসলাম, 


( ইসলামী আখলাক-187 )




* উপকারের বিনিময়ে উপকার করার চেষ্টা করা ,একজন মোমিনের চিন্তা থাকবে,রহমান:৬০,


هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ


সদাচারের প্রতিদান সদাচার ছাড়া আর কি হতে পারে? ৪৭




* হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া অসুস্হ হয়ে বেহুশ হয়ে যা৷য়,দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায়:-


* দৃষ্টি দিয়ে রুগী সুস্থ করা ও হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রূহানী এছলাহের উদ্দেশ্যে দিল্লীতে মানুষকে নিয়মিত তা'লীম তরবিয়ত দিতেন । নিজেও আল্লাহ পাকের যিকির ও মুরাকাবায় লিপ্ত হতেন । কখনও কখনও দেহে যিকির সংক্রমনের ফলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়তাে । দীর্ঘক্ষণ বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতেন । মুরীদগণ তথন বড় পেরেশান হয়ে যেতাে । কারণ শায়ুখের সাথে মুরীদের মহব্বত থাকে এশক পর্যায়ের । একদিন শােনা গেল দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায় । মুরীদগণ পরস্পর পরামর্শ করে হযরতকে প্রস্তাব দিল যে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়বেন তখন তার খাট । সবাই কাঁধে করে নিয়ে সেই সাধুর বাড়ী যাবে । সাধুর দৃষ্টি পড়লে তিনি সুস্থ হয়ে পড়বেন । কিন্তু এই প্রস্তাবে হযরত সম্মতি দিলেন না । তিনি বললেন , ' খবরদার এমন কাজ করিও না । তাহলে সাধারণ অজ্ঞ মানুষের এই বিশ্বাস জন্মাবে যে সাধুই তাহলে হক - পন্থী । ফলে সকল মানুষ গুমরাহ হয়ে যাবে । একথা শুনে মুরীদগণ চুপ হয়ে গেল । কিছুদিন পর হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন । শায়খের কষ্ট দেখে মুরীদগণ অস্থির হয়ে পড়লাে । তারা সিদ্ধান্ত ছিল হযরতের খাট ঘাড়ে করে সবাই সাধুর বাড়ী নিয়ে যাবে । পরে সখন হযরত রাগ হবেন তখন মাফ চেয়ে নিলেই হবে । তা - ই করা হলাে । হযরতকে বহন করে সবাই সাধুর বাড়ী নিয়ে গেল । সাধু যখন জানতে পারলাে যে তার বাড়ীতে নিযামুদ্দীন আউলিয়া এসেছে তথন হাতের সব কাজ ফেলে রেখে হযরতের খাটের কাছে এসে দাঁড়ালাে । তার দিকে তাকাতেই হযরত সুস্থ হয়ে উঠে বসলেন । দেখেন এটা সাধুর বাড়ী । মুৱীদরা আমার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে । তিনি মুরীদদেরকে কিছু বললেন না । সাধুকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু । তুমি এই ক্ষমতা কোথায় পেয়েছে যে রোগীর দিকে তাকালেই রোগী সুস্থ হয়ে যায় ? " সাধু বললাে , “ এটা একটা গােপন বিষয় যা ' জানি আজ পর্যন্ত কাহাকেও বলিনি । তবে আপনার মত একজন মহৎ ব্যক্তিকে বলতে দোষ নাই । আমার গুরুর হকুম ছিল , সব সময় মনের বিরুদ্ধে চলি । মন ' চায় তা করিও না । আর মন যা ' না চায় তা - ই করি । আমিও তাই করেছি । মন যা চায় না । আমি জোর করে করেছি এবং মন যা চায় তা " আমি করেনি । তাতে মনকে আমার বারবার চাবুক মেরে ঠিক করতে হয়েছে । এখন মন আমার এমন সােজা এবং শক্তিশালী । হয়েছে যে রুগীর দিকে তাকালেই রুগী সুস্থ হয়ে যায় । হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া ভাবলেন লােকটি আমার উপকার করেছে , সুতরাং তারও উপকার করা দরকার । মানুষের সবচেয়ে বড় উপকার হলাে তাকে আল্লাহর এবাদতে নিয়ােগ করা । কিন্তু ঈমান না থাকার কারণে তাকে এবাদতে নিয়ােগ করা যাচ্ছে না । রূহের রােগ হলাে কুফুরী । তার সেই কুকুরী রােগটি দূর করতে হবে । সে আমার দেহের রােগ দূর করেছে , আমি তার রূহের রােগ দূর করবাে । তিনি সাধুর দিকে তাওজ্জুহ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু ! তোমার কি মুসলমান হতে চায় ? সাধু এই প্রশ্নের জওয়াব কী দিবে ভাবনায় পড়ে গেল । এদিকে হযরত নিযামুদ্দীন আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে লাগলেন , “ হে আল্লাহ , রব্বে মজীদ । আপনিই তাে বলেছেন- 


৫৫: আর-রহমান:৬০,




هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ




সদাচারের প্রতিদান সদাচার ছাড়া আর কি হতে পারে? ৪৭




 উপকারের বদলে উপকার ছাড়া আর কী হতে পারে । সুতরাং সে আমার উপকার করেছে , আমিও তার উপকার করতে চাই । সে আমার দেহের রােগ দূর করেছে , আমি তার রুহের রােগ দূর করতে চাই । তার রুহু কুফুরী দ্বারা রোগাক্রান্ত হয়েছে । কিন্তু তার রূহের উপরে আমার কোন ক্ষমতা নাই , আপনার ক্ষমতা আছে । আপনি তার কুফুরী রােগ দূর করে ঈমান দিয়ে রূহুকে সুস্থ করে দিন । এই দোয়া করতে করতে তিনি আবার সাধুকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু । তােমার কি মুসলমান হতে মন চায় ? ” সাধু জওয়াব দিল , “ না , আমার মুসলমান হতে মন চায় না । হযরত নিযামুদ্দীন বললেন , “ তাহলে তােমার গুরুর নির্দেশ পালন করা হবে কিভাবে ? সারা জীবন গুরুর নির্দেশ পালন করে মনের বিরুদ্ধে চলে এসেছে , এখন কি মনের কাছে পরাজিত হতে চাও ? ” সাধু বললাে , “ আমি জীবনে কখনও মনের কাছে পরাজিত হইনি , আজও পরাজিত হবো না । আমি এখনই মনের বিরুদ্ধে গিয়ে মুসলমান হয়ে যাচ্ছি । এই বলে * সঙ্গে সঙ্গে কলেমায়ে শাহাদাত




পরে নিযামুদ্দীন এর হাতে মুসলমান হয়ে গেল ৷ মনের বিরুদ্ধে চলার ফলেই সাধু উপকৃত হলো ৷ এই জন্য বলা হয় মনটাই মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন ( ওয়াজ ও খুতবা- পৃ:-1/92 )




* উপকার করে খোটা দেওয়া যাবেনা,তিন শ্রেনীর সাথে সেদিন আল্লাহ তাকাবেন না ,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১




حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا فَقَالَ ‏"‏ الْمَنَّانُ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏




আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামাতের দিবসে তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হল। তিনি বললেনঃ (তারা হল) উপকার করার পর তার খোঁটাদানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।




সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২০৮)




ফুটনোটঃ


ইবনু মাসঊদ, আবূ হুরাইরা, আবূ উমামা ইবনু সা’লাবা, ইমরান ইবনু হুসাইন ও মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। 




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* প্রত্যেকটা উপকারের বিনিময় রয়েছে,কুকুরকে পানি পান করে ক্ষমা লাভ,বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الْحَسَنِ، وَابْنِ، سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ غُفِرَ لاِمْرَأَةٍ مُومِسَةٍ مَرَّتْ بِكَلْبٍ عَلَى رَأْسِ رَكِيٍّ يَلْهَثُ، قَالَ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، فَنَزَعَتْ خُفَّهَا، فَأَوْثَقَتْهُ بِخِمَارِهَا، فَنَزَعَتْ لَهُ مِنَ الْمَاءِ، فَغُفِرَ لَهَا بِذَلِكَ ‏"‏‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, ‘এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে উড়নার সাথে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল।’


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَنَزَعَتْ مُوقَهَا فَسَقَتْهُ، فَغُفِرَ لَهَا بِهِ ‏"‏‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে, একবার একটি কুকুর এক কূপের চতুর্দিকে ঘুরছিল এবং অত্যন্ত পিপাসার কারণে সে মৃত্যুর কাছে পৌঁছেছিল। তখন বনী ইসরাঈলের ব্যভিচারিণীদের একজন কুকুরটির অবস্থা লক্ষ্য করল, এবং তার পায়ের মোজা দিয়ে পানি সংগ্রহ করে কুকুরটিকে পান করাল। এ কাজের বিনিময়ে আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দিলেন।


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪৬৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ بَيْنَا رَجُلٌ يَمْشِي فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ، فَنَزَلَ بِئْرًا فَشَرِبَ مِنْهَا، ثُمَّ خَرَجَ فَإِذَا هُوَ بِكَلْبٍ يَلْهَثُ، يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ، فَقَالَ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا مِثْلُ الَّذِي بَلَغَ بِي فَمَلأَ خُفَّهُ ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ، ثُمَّ رَقِيَ، فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ أَجْرًا قَالَ ‏"‏ فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَالرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল যে, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মত পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে মুখ দিয়ে সেটি ধরে উপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তা’আলা তার আমল কবূল করলেন এবং আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সাওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই পূণ্য রয়েছে।


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩৬৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




________________




* আল্লাহ বান্দাকে পরোপকারের নির্দেশ দিয়ে বলেন১৬: আন্-নহল:৯০,




اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآئِ ذِی الْقُرْبٰى وَ یَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ وَ الْبَغْیِۚ یَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ


* প্রত্যেকটা উপকারের বিনিময় রয়েছে,কুকুরকে পানি পান করে ক্ষমা লাভ,বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


غُفِرَ لاِمْرَأَةٍ


* একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে,যতক্ষন পরোপকার করতে থাকবে,মুসলিম-৬৪১৯


لاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ


* উপকার করে খোটা দেওয়া যাবেনা,তিন শ্রেনীর সাথে সেদিন আল্লাহ তাকাবেন না ,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১


الْمَنَّانُ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِب


* মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর নবী এক বৃদ্ধার প্রতি পরোপকারের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন-ইসলামী আখলাক-187


* উপকারের বিনিময়ে উপকার করার চেষ্টা করা ,একজন মোমিনের চিন্তা থাকবে,রহমান:৬০,


هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ


* হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া অসুস্হ হয়ে বেহুশ হয়ে যায়,দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায়




______________


* আল্লাহ বান্দাকে পরোপকারের নির্দেশ দিয়ে বলেন১৬: আন্-নহল:৯০,




اِنَّ اللّٰهَ یَاْمُرُ بِالْعَدْلِ وَ الْاِحْسَانِ وَ اِیْتَآئِ ذِی الْقُرْبٰى وَ یَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ وَ الْبَغْیِۚ یَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ




আল্লাহ ন্যায়-নীতি, পরোপকার ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে দান করার হুকুম দেন৮৮ এবং অশ্লীল-নির্লজ্জতা ও দুষ্কৃতি এবং অত্যাচার-বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন।৮৯ তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষালাভ করতে পারো।




* একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে,যতক্ষন পরোপকার করতে থাকবে,মুসলিম-৬৪১৯


حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ الْمُثَنَّى - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ الْعَلاَءَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي قَرَابَةً أَصِلُهُمْ وَيَقْطَعُونِي وَأُحْسِنُ إِلَيْهِمْ وَيُسِيئُونَ إِلَىَّ وَأَحْلُمُ عَنْهُمْ وَيَجْهَلُونَ عَلَىَّ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ لَئِنْ كُنْتَ كَمَا قُلْتَ فَكَأَنَّمَا تُسِفُّهُمُ الْمَلَّ وَلاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏




আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার আত্মীয়-স্বজন আছেন। আমি তাদের সাথে সদাচরণ করি; কিন্তু তারা আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে। আমি তাদের উপকার করে থাকি; কিন্তু তারা আমার অপকার করে। আমি তাদের সহনশীলতা প্রদর্শন করে থাকি আর তারা আমার সঙ্গে মূর্খসুলভ আচরণ করে। তখন তিনি বললেন, তুমি যা বললে, তাহলে যদি প্রকৃত অবস্থা তাই হয় তুমি যেন তাদের উপর জ্বলন্ত অঙ্গার নিক্ষেপ করছ। আর সর্বদা তোমার সঙ্গে আল্লাহর তরফ থেকে তাদের বিপক্ষে একজন সাহায্যকারী (ফেরেশ্‌তা) থাকবে, যতক্ষণ তুমি এ অবস্থায় বহাল থাকবে। (ই. ফা. ৬২৯৪, ই. সে. ৬৩৪৩)


  




সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪১৯


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* মক্কা বিজয়ের দিন আল্লাহর নবী এক বৃদ্ধার প্রতি পরোপকারের সর্বোত্তম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন ইসলামী আখলাক-187




মক্কা বিজয়ের পর, গুজব রোটলো, আমাদের নবীজী নাকি সব কাফিরদের মেরে ফেলছে, তাই শুনে এক বৃদ্ধা কাফির বস্তা নিয়া রাস্তায় দারায় অন্য কাফিরদের বলতেছিল কেও আমার বস্তা টা নিয়া আমাকে হাটতে সাহায্য করো,কিন্তুু কেউ তার ডাকে সারা দিলো না, তারপর একজন লোক এসে তার বস্তা কাধে তুলে হাটতে হাটতে বলতিছিলো আপনি এই বুড় বয়সে বাসা থিকা বের হইয়া কই যাচ্ছেন,কেন যাচ্ছেন,বৃদ্ধা বললো,আমি শুনেছি মোহাম্মদ সবাইকে মেরে ফেলতিছে, তখন ঐ লোক বৃদ্ধা কে বললো, আপনি কি মোহাম্মদ কে দেখেছেন, তাকে চিনেন??? বৃদ্ধা বললো না, আমি তাকে চিনি না,দেখি নাই, তখন ঐ লোক যে তার বস্তা কে কাধে নিয়েছিল বৃদ্ধা কে বললো "আমি ই সেই মোহাম্মদ যার ভয়ে আপনি পলায়ন করতিছেন।বৃদ্ধা সবাইকে তখন ডেকে বললো আরে তোমরা পলাইও না।এই সেই মোহাম্মদ, সবাই নবীজির এমন ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়ে ইসলাম কবুল করলেন।


এটাই ইসলাম, 


( ইসলামী আখলাক-187 )




* উপকারের বিনিময়ে উপকার করার চেষ্টা করা ,একজন মোমিনের চিন্তা থাকবে,রহমান:৬০,


هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ


সদাচারের প্রতিদান সদাচার ছাড়া আর কি হতে পারে? ৪৭




* হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া অসুস্হ হয়ে বেহুশ হয়ে যা৷য়,দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায়:-


* দৃষ্টি দিয়ে রুগী সুস্থ করা ও হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া রূহানী এছলাহের উদ্দেশ্যে দিল্লীতে মানুষকে নিয়মিত তা'লীম তরবিয়ত দিতেন । নিজেও আল্লাহ পাকের যিকির ও মুরাকাবায় লিপ্ত হতেন । কখনও কখনও দেহে যিকির সংক্রমনের ফলে দেহ অসুস্থ হয়ে পড়তাে । দীর্ঘক্ষণ বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতেন । মুরীদগণ তথন বড় পেরেশান হয়ে যেতাে । কারণ শায়ুখের সাথে মুরীদের মহব্বত থাকে এশক পর্যায়ের । একদিন শােনা গেল দিল্লী শহরে এক হিন্দু সাধু আছে , সে রুগীর দিকে দৃষ্টি দিলে রুগী সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ হয়ে যায় । মুরীদগণ পরস্পর পরামর্শ করে হযরতকে প্রস্তাব দিল যে তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়বেন তখন তার খাট । সবাই কাঁধে করে নিয়ে সেই সাধুর বাড়ী যাবে । সাধুর দৃষ্টি পড়লে তিনি সুস্থ হয়ে পড়বেন । কিন্তু এই প্রস্তাবে হযরত সম্মতি দিলেন না । তিনি বললেন , ' খবরদার এমন কাজ করিও না । তাহলে সাধারণ অজ্ঞ মানুষের এই বিশ্বাস জন্মাবে যে সাধুই তাহলে হক - পন্থী । ফলে সকল মানুষ গুমরাহ হয়ে যাবে । একথা শুনে মুরীদগণ চুপ হয়ে গেল । কিছুদিন পর হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন । শায়খের কষ্ট দেখে মুরীদগণ অস্থির হয়ে পড়লাে । তারা সিদ্ধান্ত ছিল হযরতের খাট ঘাড়ে করে সবাই সাধুর বাড়ী নিয়ে যাবে । পরে সখন হযরত রাগ হবেন তখন মাফ চেয়ে নিলেই হবে । তা - ই করা হলাে । হযরতকে বহন করে সবাই সাধুর বাড়ী নিয়ে গেল । সাধু যখন জানতে পারলাে যে তার বাড়ীতে নিযামুদ্দীন আউলিয়া এসেছে তথন হাতের সব কাজ ফেলে রেখে হযরতের খাটের কাছে এসে দাঁড়ালাে । তার দিকে তাকাতেই হযরত সুস্থ হয়ে উঠে বসলেন । দেখেন এটা সাধুর বাড়ী । মুৱীদরা আমার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে । তিনি মুরীদদেরকে কিছু বললেন না । সাধুকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু । তুমি এই ক্ষমতা কোথায় পেয়েছে যে রোগীর দিকে তাকালেই রোগী সুস্থ হয়ে যায় ? " সাধু বললাে , “ এটা একটা গােপন বিষয় যা ' জানি আজ পর্যন্ত কাহাকেও বলিনি । তবে আপনার মত একজন মহৎ ব্যক্তিকে বলতে দোষ নাই । আমার গুরুর হকুম ছিল , সব সময় মনের বিরুদ্ধে চলি । মন ' চায় তা করিও না । আর মন যা ' না চায় তা - ই করি । আমিও তাই করেছি । মন যা চায় না । আমি জোর করে করেছি এবং মন যা চায় তা " আমি করেনি । তাতে মনকে আমার বারবার চাবুক মেরে ঠিক করতে হয়েছে । এখন মন আমার এমন সােজা এবং শক্তিশালী । হয়েছে যে রুগীর দিকে তাকালেই রুগী সুস্থ হয়ে যায় । হযরত নিযামুদ্দীন আউলিয়া ভাবলেন লােকটি আমার উপকার করেছে , সুতরাং তারও উপকার করা দরকার । মানুষের সবচেয়ে বড় উপকার হলাে তাকে আল্লাহর এবাদতে নিয়ােগ করা । কিন্তু ঈমান না থাকার কারণে তাকে এবাদতে নিয়ােগ করা যাচ্ছে না । রূহের রােগ হলাে কুফুরী । তার সেই কুকুরী রােগটি দূর করতে হবে । সে আমার দেহের রােগ দূর করেছে , আমি তার রূহের রােগ দূর করবাে । তিনি সাধুর দিকে তাওজ্জুহ দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু ! তোমার কি মুসলমান হতে চায় ? সাধু এই প্রশ্নের জওয়াব কী দিবে ভাবনায় পড়ে গেল । এদিকে হযরত নিযামুদ্দীন আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে লাগলেন , “ হে আল্লাহ , রব্বে মজীদ । আপনিই তাে বলেছেন- 


৫৫: আর-রহমান:৬০,




هَلْ جَزَآءُ الْاِحْسَانِ اِلَّا الْاِحْسَانُۚ




সদাচারের প্রতিদান সদাচার ছাড়া আর কি হতে পারে? ৪৭




 উপকারের বদলে উপকার ছাড়া আর কী হতে পারে । সুতরাং সে আমার উপকার করেছে , আমিও তার উপকার করতে চাই । সে আমার দেহের রােগ দূর করেছে , আমি তার রুহের রােগ দূর করতে চাই । তার রুহু কুফুরী দ্বারা রোগাক্রান্ত হয়েছে । কিন্তু তার রূহের উপরে আমার কোন ক্ষমতা নাই , আপনার ক্ষমতা আছে । আপনি তার কুফুরী রােগ দূর করে ঈমান দিয়ে রূহুকে সুস্থ করে দিন । এই দোয়া করতে করতে তিনি আবার সাধুকে জিজ্ঞাসা করলেন , “ সাধু । তােমার কি মুসলমান হতে মন চায় ? ” সাধু জওয়াব দিল , “ না , আমার মুসলমান হতে মন চায় না । হযরত নিযামুদ্দীন বললেন , “ তাহলে তােমার গুরুর নির্দেশ পালন করা হবে কিভাবে ? সারা জীবন গুরুর নির্দেশ পালন করে মনের বিরুদ্ধে চলে এসেছে , এখন কি মনের কাছে পরাজিত হতে চাও ? ” সাধু বললাে , “ আমি জীবনে কখনও মনের কাছে পরাজিত হইনি , আজও পরাজিত হবো না । আমি এখনই মনের বিরুদ্ধে গিয়ে মুসলমান হয়ে যাচ্ছি । এই বলে * সঙ্গে সঙ্গে কলেমায়ে শাহাদাত




পরে নিযামুদ্দীন এর হাতে মুসলমান হয়ে গেল ৷ মনের বিরুদ্ধে চলার ফলেই সাধু উপকৃত হলো ৷ এই জন্য বলা হয় মনটাই মানুষের সবচেয়ে বড় দুশমন ( ওয়াজ ও খুতবা- পৃ:-1/92 )




* উপকার করে খোটা দেওয়া যাবেনা,তিন শ্রেনীর সাথে সেদিন আল্লাহ তাকাবেন না ,জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১




حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا زُرْعَةَ بْنَ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنْ خَرَشَةَ بْنِ الْحُرِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ ثَلاَثَةٌ لاَ يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَدْ خَابُوا وَخَسِرُوا فَقَالَ ‏"‏ الْمَنَّانُ وَالْمُسْبِلُ إِزَارَهُ وَالْمُنْفِقُ سِلْعَتَهُ بِالْحَلِفِ الْكَاذِبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ بْنِ ثَعْلَبَةَ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَمَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي ذَرٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏




আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা কিয়ামাতের দিবসে তিন শ্রেণীর লোকের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। আমরা প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল। এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হল। তিনি বললেনঃ (তারা হল) উপকার করার পর তার খোঁটাদানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।




সহীহ্‌, ইবনু মা-জাহ (২২০৮)




ফুটনোটঃ


ইবনু মাসঊদ, আবূ হুরাইরা, আবূ উমামা ইবনু সা’লাবা, ইমরান ইবনু হুসাইন ও মা’কিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ্‌। 




জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১২১১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




* প্রত্যেকটা উপকারের বিনিময় রয়েছে,কুকুরকে পানি পান করে ক্ষমা লাভ,বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ الأَزْرَقُ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الْحَسَنِ، وَابْنِ، سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ غُفِرَ لاِمْرَأَةٍ مُومِسَةٍ مَرَّتْ بِكَلْبٍ عَلَى رَأْسِ رَكِيٍّ يَلْهَثُ، قَالَ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، فَنَزَعَتْ خُفَّهَا، فَأَوْثَقَتْهُ بِخِمَارِهَا، فَنَزَعَتْ لَهُ مِنَ الْمَاءِ، فَغُفِرَ لَهَا بِذَلِكَ ‏"‏‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ:




তিনি বলেন, ‘এক ব্যভিচারিণীকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। সে একটি কুকুরের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন সে দেখতে পেল কুকুরটি একটি কূপের পাশে বসে হাঁপাচ্ছে। রাবী বলেন, পানির পিপাসা তাকে মুমূর্ষ করে দিয়েছিল। তখন সেই নারী তার মোজা খুলে উড়নার সাথে বাঁধল। অতঃপর সে কূপ হতে পানি তুলল (এবং কুকুরটিকে পানি পান করালো) এ কারণে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হল।’


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩২১


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَنَزَعَتْ مُوقَهَا فَسَقَتْهُ، فَغُفِرَ لَهَا بِهِ ‏"‏‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে, একবার একটি কুকুর এক কূপের চতুর্দিকে ঘুরছিল এবং অত্যন্ত পিপাসার কারণে সে মৃত্যুর কাছে পৌঁছেছিল। তখন বনী ইসরাঈলের ব্যভিচারিণীদের একজন কুকুরটির অবস্থা লক্ষ্য করল, এবং তার পায়ের মোজা দিয়ে পানি সংগ্রহ করে কুকুরটিকে পান করাল। এ কাজের বিনিময়ে আল্লাহ্‌ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দিলেন।


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৪৬৭


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস




حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ سُمَىٍّ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ بَيْنَا رَجُلٌ يَمْشِي فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ، فَنَزَلَ بِئْرًا فَشَرِبَ مِنْهَا، ثُمَّ خَرَجَ فَإِذَا هُوَ بِكَلْبٍ يَلْهَثُ، يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ، فَقَالَ لَقَدْ بَلَغَ هَذَا مِثْلُ الَّذِي بَلَغَ بِي فَمَلأَ خُفَّهُ ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ، ثُمَّ رَقِيَ، فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللَّهُ لَهُ، فَغَفَرَ لَهُ ‏"‏‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ أَجْرًا قَالَ ‏"‏ فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ ‏"‏‏.‏ تَابَعَهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ وَالرَّبِيعُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ‏.‏




আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:




আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল যে, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মত পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে মুখ দিয়ে সেটি ধরে উপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তা’আলা তার আমল কবূল করলেন এবং আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সাওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই পূণ্য রয়েছে।


  




সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩৬৩


হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

No comments

Powered by Blogger.