162 তাকওয়ার পোশাক
* এই আয়াতসমূহ আরবদের একটা অদ্ভুত রেওয়াজের প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে। রেওয়াজটি নিম্নরূপ, কুরাইশ গোত্র এবং মক্কা মুকাররমার আশপাশের আরও কিছু গোত্র হুম্স (কঠোর ধর্মপরায়ণ) নামে পরিচিত ছিল। হারাম শরীফের সেবায়েত হওয়ার কারণে আরবের অন্যান্য গোত্র তাদেরকে বড় সম্মান করত। এক্ষেত্রে আরবদের বাড়াবাড়ি এ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের বিশ্বাস ছিল কাপড় পরে তাওয়াফ করার অধিকার কেবল তাদেরই (হুমস্দেরই) জন্য সংরক্ষিত। তারা (অন্যান্য আরবগণ) বলত, আমরা যে কাপড় পরে গুনাহও করে থাকি, তা নিয়ে কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে পারি না। সুতরাং তারা যখন তাওয়াফ করতে আসত, তখন 'হুম্স' এর কোনও লোকের কাছে কাপড় চাইত, তার কাছে কাপড় পাওয়া গেলে তাই পরে বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করত। যদি কোনও হুমসের কাছে কাপড় পাওয়া না যেত, তবে তারা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়েই তাওয়াফ করত। পুরুষগণ দিনে নারীগন রাত্রে তাওয়াফ করতো। এটা ছিল কুত্তার ন্যায় পরহেজগারী। তাদের এই বেহুদা রসমের মূলোৎপাটনের জন্যই এ আয়াত সমূহ নাযিল হয়েছে। ইসলাম নগ্নতা পছন্দ করে না
* নগ্নতা আল্লাহর কাছে অপছন্দনীয়, সেজন্যই নগ্নতা ডাকার জন্য আল্লাহ পোশাক নাযিল করেছেন। আরাফ -২৬
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
* দামী পোশাক নাজায়েজ নয়, রাসূল সা: এর রাষ্ট্রীয় জীবনের পোশাকটির মূল্য ছিল তিন হাজার দিরহাম। কোরআনে এসেছে প্রত্যেক ইবাদাতের সময় তোমরা নিজ নিজ সুন্দর সাজে সজ্জিত হও ৭: আরাফ :৩১
یٰبَنِیْۤ اٰدَمَ خُذُوْا زِیْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّ كُلُوْا وَ اشْرَبُوْا وَ لَا تُسْرِفُوْا١ۚ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُسْرِفِیْنَ۠
* বাহৃিক তাকওয়ার পোশাক ও আল্লাহর কাছে অনেক দাম, যদি হয় এটি সুন্নাতি পোশাক, নবীদের পোশাক, এই পোষাক পরিধান কারীকে মানুষ সম্মান করে। এই পোষাকে সাজ নেয়ায় নীল নদ থেকে বহুরূপী বেচে যায় ( ওয়ায়েজে বেনজীর 2/192
* তাকওয়ার পোশাক আল্লাহ ভীতির পোশাকই হলো সর্বোত্তম পোষাক
وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
* মানুষ যখন পাপ করে তখন অন্তর থেকে তাকওয়ার পোশাক তথা আল্লাহ ভীতির পোশাক সর্বোত্তম পোশাকটি ঝরে যায়। মুরতায়েশ র: বাগদাদের পল্লি গ্রামের পথ দিয়ে গমন কালে পিপাসায় কাতর হয়ে এক গৃহস্থের বাড়ির দরজায় জন্য আওয়াজ দিলেন। গৃহস্থের দুহিতা এক গ্লাস পানি নিয়ে তার সামনে হাজির হল। মোরতায়েশ রহ: সেই বালিকার রুপ দেখে মুগ্ধ হলেন যে, তার গ্লাস হস্তচ্যুত হওয়ার উপক্রম হলো (তাজ:আউ: 314
* তাকওয়ার পোশাক যদি সুন্দর হয়, কথা বার্তায় আচার আচরণ লেনদেন সুন্দর হবে। তাকওয়া উন্নত কিনা সেটা বাহিরের আমল আখলাক কথা বার্তায় বুঝা যায় যেমন আম পাকছে কিনা সেটা বাহিরের রং বলে দেয়। যার অন্তরে আল্লাহ ভীতির পোশাক থাকে না ঐ ব্যাক্তির দ্বারা সকল প্রকার পাপের কাজ সম্ভব। খোশ,সূদ, মিথ্যা কথা বলা, অন্যায় ভাবে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা স্বাভাবিক ব্যাপার
* তাকওয়া কাকে বলে। জনৈক মুসলমান ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে চুপি চুপি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই স্বামি বেচারা ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা তার সহায়-সম্পত্তি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। এমন সময় প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের ডেকে বললেন যে তোমাদের পিতার একজন দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন, অতএব তার অংশ যেন আলাদা করে রাখা হয়। একথা শুনে সকলেই বিশ্ময় প্রকাশ করলেন একেই বলে তাকওয়া
* তাকাওয়া ও চারিত্রিক মাধু্র্যের জন্য দোয়া। জামে' আত-তিরমিজি, ৩৪৮৯ সহিহ
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সা:) এ দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”।
* তাকওয়াবান লোক প্রতিটি কদম রাখার সময় আগে চিন্তা করে। ধরা যাক আপনার সামনে একটা ক্ষেত এবং ক্ষেতের মাঝে একটা সংকীর্ণ আইল। ক্ষেতে আছে বিভিন্নরকম ফসল
* লেবাসুত তাকওয়া হলো আত্বার জগতে আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভের মাধ্যম। ওমর রা: আলী রা: এর স্বপ্নের খবর রাখেন। ইসলামের জীবন্ত কাহিনী-১১৫
__________________
93 লেবাসুত তাকওয়া
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
(আল আরাফ - ২৬)
হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
* দামী পোশাক নাজায়েজ নয়, রাসূল সা: এর রাষ্ট্রীয় জীবনের পোশাকটির মূল্য ছিল তিন হাজার দিরহাম। প্রত্যেক ইবাদাতের সময় তোমরা নিজ নিজ সুন্দর সাজে সজ্জিত হও ৭: আল-আরাফ :৩১
یٰبَنِیْۤ اٰدَمَ خُذُوْا زِیْنَتَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّ كُلُوْا وَ اشْرَبُوْا وَ لَا تُسْرِفُوْا١ۚ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الْمُسْرِفِیْنَ۠
হে বনী আদম! প্রত্যেক ইবাদাতের সময় তোমরা নিজ নিজ সুন্দর সাজে সজ্জিত হও। আর খাও ও পান করো কিন্তু সীমা অতিক্রম করে যেয়ো না, আল্লাহ সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
* নাযিল হওয়ার সময় কাল,নগ্নতা শয়তানের কাজ,শয়তান তাকায়,ঘরে থাকলে ডিমান্ড বাড়বে
* পাপ করলে অন্তর থেকে তাকওয়ার পোশাক ঝরে যায়। মুরতায়েশ বাগদাদের পল্লি গ্রামের পথ দিয়ে যায় পানির প্রাণী সুন্দরী মেয়ে দেয় ( তাজ: আউ: 314)
একবার হযরত মোরতায়েশ রহমাতুল্লাহ আলাই বাগদাদের এক পল্লী গ্রামের পথ দিয়ে গমনকালে পিপাসায় কাতর হয়ে এক গৃহস্থের বাড়ির দরজায় জন্য আওয়াজ দিলেন। গৃহস্থের দুহিতা এক গ্লাস পানি নিয়ে তার সামনে হাজির হল। মোরতায়েশ রহমাতুল্লাহ আলাই সেই বালিকার রুপ দেখে মুগ্ধ হলেন যে, তার গ্লাস হস্তচ্যুত হওয়ার উপক্রম হলো । তিনি পানি পান করে ওই স্থানেই বসে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর গৃহকর্তা উপস্থিত হলে মোরতায়েশ রহমতুল্লাআলাই তাকে বললেন, আপনার ঘর থেকে আমাকে এক গ্লাস পানি পান করতে গিয়ে তার বিনিময়ে আমার প্রাণ হরণ করে নেওয়া হয়েছে। গৃহকর্তা ছিল আহলে দিল এবং উচ্চ পর্যায়ের লোক ছিলেন এবং মোরতায়েশ রহমতুল্লাআলাই কেউ চিনতেন। তিনি বললেন ওহে শেখ,সে যে আমারই কন্যা। যদি তোমার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমি তাকে তোমার হস্তে সমর্পণ করতে প্রস্তুত।মোরতায়েশ রহমতুল্লাআলাই বললেন, তাহলে আমি তা আপনার বড়ই মেহেরবানী মনে করবো। তখন গৃহকর্তা নীজ আত্বীয় স্বজনদের ডেকে ধুম-ধামের সহিত কন্যার বিবাহ দিলেন।লোকজন মোরতায়েশ রহমতুল্লাআলাই কে গোসল করার জন্য হাম্মামে নিয়ে গেল। এবং তার খেরকা খুলে ফেলে দিয়ে তাকে মূল্যবান পোশাক পরিধান করালো। বিবাহ হওয়ার পর তিনি বাসর গৃহে প্রবেশ করলেন, অতঃপর তিনি নামাজে রত হয়ে গেলেন, নামাজের মধ্যেই তিনি হঠাৎ চিৎকার করে বলে উঠলেন ওহে আমার গুদুরী কোথায়? তোমরা শীঘ্রই আমার গুদুরী প্রত্যার্পণ কর। পরে তিনি সেই মূল্যবান পোশাক ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নিজের ফকিরি পোশাক পরিধান করলেন তারপর বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দিয়ে অন্তপুর থেকে বের হয়ে পড়লেন। লোকজন জিজ্ঞাসা করল কিহে মোরতায়েশ রহমতুল্লাআলাই ব্যাপার, কি তিনি বললেন নামাজের মধ্যে আমি এরূপ গায়েবি আওয়াজ শুনতে পেলাম ওহে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুমি যে একবার নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছ তাতেই নেককারদের খেরকা তোমার শরীর হতে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যদি পুনরায় তার প্রতি দৃষ্টিপাত করো তবে তোমার অন্তর থেকেও গুপ্ত লেবাস হরণ করে নেওয়া হবে।
* বাহৃিক তাকওয়ার পোশাক ও অনেক দাম,নীল নদ থেকে বহুরূপী বেচে যায় ( ওয়াজেদ বেনজীর 2/192)
মহান আল্লাহ যখন ফেরাউন ও তার সম্প্রদায়কে নীলনদে সলিল সমাধি করলেন। তখন সেই দলের একজন বহুরূপী বেঁচে যায় । সে বিভিন্ন পোশাকে ভালো সেজে মানুষের সাথে মজা করত । তার এই অবস্থা দেখে হযরত মুসা আলাই সাল্লাম মহান আল্লাহর সমীপে সবিনয়ে জানতে চাইলেন। হে প্রভু এই বহুরূপী বাঁচল কিভাবে?। মহান আল্লাহ জানালেন। ওহে মুসা এ ব্যক্তির ডুবে মরার কথা ছিল কিন্তু সে ভালো পোশাক পরতে যেয়ে তোমার পোশাক পরে লোকদের সাথে মজা করেছিল। তুমি দেখ তোমার গায়ে যে পোশাক তার গায়ে ও সেই পোশাক। তাই কেউ যদি আমার প্রিয় বন্ধুর সাজ নেয়, তাঁর অনুকরণ করে, তাকে শত্রুর সাথে নদীতে ডুবিয়ে মারতে আমার পছন্দ নয়।
* জনৈক মুসলমান ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে চুপি চুপি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। অনেকদিন যাবত গোপনেই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে দেখাসাক্ষাত করতে থাকেন। স্বামীর আচারনের প্রতি লক্ষ করে প্রথম স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে। প্রথম স্ত্রী একদিন আতি গোপনে তার একজন বিশ্বস্থ খাদেমাকে তার স্বামীর ব্যপারে খোজ-খবর নিতে বললেন। খাদেমা গোপনে খোজ নিয়ে জানালেন যে সে দ্বিতীয় একটি বিবাহ করেছে। প্রথমা স্ত্রী এ খবর শুনে অত্যান্ত মর্মাহত হলেন, কিন্তু স্বামীকে তিনি কিছুই বুঝতে দিলেন না যে সে তার দ্বিতীয় বিবাহের খবর জানেন। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই স্বামি বেচারা ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা তার সহায়-সম্পত্তি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। এমন সময় প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের ডেকে বললেন যে তোমাদের পিতার একজন দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন, অতএব তার অংশ যেন আলাদা করে রাখা হয়। একথা শুনে সকলেই বিশ্ময় প্রকাশ করলেন। কিন্তু মায়ের আদেশ শিরধার্য করে দ্বিতিয় স্ত্রীর জন্য তার অংশ আলাদাভাবে রেখে দিলেন। প্রথম স্ত্রী তার একজন খাদেমাকে এই বলে তার সতিনের কাছে পাঠালেন যে, আপনার স্বামীর সম্পত্তির যেটুকু অংশ আপনি পাবেন। তা আলাদা করে রাখা হয়েছে এবং সেটুকু যেন সে নিয়ে নেন।এই খবর শুনে দ্বিতীয়া স্ত্রী এই বলে খবর পাঠালেন যে, তার স্বামী ইন্তেকালের কিছুদিন পুর্বে তাকে তালাক দিয়েছিলেন।
অতএব এই সম্পদে আমার কোনো অধিকার নেই।লক্ষণীয় : দ্বিতীয় বিবাহের কথা যেহেতু প্রথম স্ত্রী ছাড়া আর কেউ জানেন না তাই তিনি ইচ্ছা করলেই বিষয়টা গোপন রেখে স্বামীর সম্পদের অংশ তার স্বতিনের জন্য না পাঠিয়ে নিজেই ভোগ করতে পারতেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রীও তার তালাকের কথা গোপন রেখে সেই সম্পদ ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু তারা কেউই তা করেন নি।একেই বলে তাকওয়া। শুধুমাত্র আখেরাতে নাজাতের চিন্তাই এই দুই মহিলা পার্থিব সম্পদের আকাংখাকে কোরবানি দিয়েছেন। অথচ ইচ্ছা করলেই তারা সে সম্পত্তি গ্রহন করতে পারতেন।আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে তাকওয়া এবং পরহেজগারের সাথে জীবন জাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
* তাকওয়াবান লোক প্রতিটি কদম রাখার সময় আগে চিন্তা করে। ধরা যাক আপনার সামনে একটা ক্ষেত এবং ক্ষেতের মাঝে একটা সংকীর্ণ আইল। ক্ষেতে আছে বিভিন্নরকম ফসল।
যারা গড়পরতা মুসলিম, যাদের হালাল-হারামের বালাই নেই, তারা আইলে হাঁটছে, না ক্ষেতে হাঁটছে তা নিয়ে খুব বেশি পেরেশান হবে না। ফসল মাড়ালে যে অন্যের ক্ষতি হবে, এবং অন্যের ক্ষতি করা যে একটা বড় ধরণের গুনাহের কাজ— এই ব্যাপারে ভাববার ফুরসত তাদের একদম-ই নেই।
যারা সচেতন মুসলিম, তারা আইলে পা দেওয়ার আগেই সতর্ক হয়ে যাবে। খুব সাবধানতার সাথে তারা হাঁটার চেষ্টা করবে, পাছে তার দ্বারা একজন কৃষকের ক্ষতি না হয়ে যায়।
আর, তাকওয়ার সর্বোচ্চ স্তরের মুসলিম যারা, তারা নিজেদের সতর্কতার ওপরেও ভরসা করতে পারবে না। তারা ভাববে— 'যতোই সতর্ক হয়ে হাঁটি না কেনো, যদি কোনোভাবে পা পিছলে ফসল নষ্ট করে ফেলি?'
ফলে, তারা ওই আইল দিয়েই হাঁটবে না। দূর হোক, একটু কষ্ট হোক, তবু তারা ভিন্ন রাস্তা ধরবে যে রাস্তা দিয়ে গেলে কারো ক্ষতি হওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
জীবনধারণের এটা হলো তিনটা স্তর। যারা গড়পরতা মুসলিম, তারা আল্লাহর হুকুম-আহকামের ব্যাপারে একেবারে উদাসীন। জীবনটা তার যেমন-তেমন! সে যেভাবে জীবন পরিচালনা করছে, তাতে আল্লাহর হুকুম-আহকাম কতোখানি মানা হচ্ছে সেটা সে একেবারে পাত্তা দেয় না।
যারা সচেতন, তারা খুব সাবধানে হারাম এড়িয়ে, হালালটাকে বেছে নেয়।
আর যারা ততোধিক সচেতন মুসলিম, তারা হালাল পথটাকেও মাঝে মাঝে পাশ কেটে, অন্য এক নিরাপদ হালাল রাস্তা ধরে যে রাস্তায় ধারেকাছে হারামের কোন আনাগোনা নেই।
প্রথম স্তরের মানুষগুলোর জন্য দুঃসংবাদ।
যারা দ্বিতীয় স্তরের মানুষ, তাদের সাধুবাদ।
যারা তৃতীয় স্তরে উন্নীত করতে পেরেছেন নিজেদের, তাদের অভিনন্দন!
আরিফ আজাদ ❤️❤️❤️
বাড়িতে গায়রে মাহরাম দেখে আপনি দৌড় দিয়ে নিজের ঘরে ঢুকতে গিয়ে দরজায় ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলেন কিন্তু আপনার মুখে তবুও হাসি হ্যাঁ এটাই তাকওয়া,
গায়রে মাহরাম ভর্তি বাসায় আপনি সারাদিন নিকাব করে চলছেন এটাই তাকওয়া,
গায়রে মাহরামের সাথে কথা বললে আপনার কন্ঠের পরদা নষ্ট হবে তাই আপনি আগের শত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এড়িয়ে চলছেন এটাই তাকওয়া,
আল্লাহর জন্য হারাম সম্পর্ক ত্যাগ এটাই তাকওয়া।
আপনার এই তাকওয়া যদি হয় মজবুত এবং আপনার চেষ্টায় ত্রুটি না থাকলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নিশ্চয়ই এই পরীক্ষার বিনিময়ে উত্তম ফল দিবেন।
চিন্তা করেন আপনি রাসুলের জান্নাতের প্রতিবেশী। রাসুল,খুলাফায়ে রাশিদিন,সাহাবিরা একত্রে মজলিসে বসে রয়েছেন আর আপনি আপনার হাতের রান্না করা গরুর মাংস হাদিয়া নিয়ে গেলেন সবার জন্য। মায়েরা তথা উম্মুল মুমিনীনরা আদর করে আপনাকে তাদের সাথে ঘরে জান্নাতি নারীদের বৈঠকখানায় ডেকে নিল।
কতই সুন্দর না সে মুহুর্ত। এর জন্য আপনাকে তাকওয়া লালন করতে হবে এবং দুনিয়ার মোহ পরিত্যাগ করতে হবে। দুনিয়ায় চলবেন কারাগারের মতো আর জান্নাতে মুক্ত বাগানে যা ইচ্ছা তাই করবেন।
আর কি চাই?
ক্ষণস্থায়ী জীবনকে ত্যাগ করুন অন্তত জীবনের জন্য।
আর যদি জনপদসমূহের অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং তাকওয়া অবলম্বন করতো তাহলে আমি অবশ্যই আসমান ও জমিন থেকে বরকতসমূহ তাদের ওপর খুলে দিতাম; কিন্তু তারা অস্বীকার করলো।
(সূরা আরাফ-৭ : ৯৬)
* এই আয়াতসমূহ আরবদের একটা অদ্ভুত রেওয়াজের প্রেক্ষাপটে নাযিল হয়েছে। রেওয়াজটি নিম্নরূপ, কুরাইশ গোত্র এবং মক্কা মুকাররমার আশপাশের আরও কিছু গোত্র হুম্স (কঠোর ধর্মপরায়ণ) নামে পরিচিত ছিল। হারাম শরীফের সেবায়েত হওয়ার কারণে আরবের অন্যান্য গোত্র তাদেরকে বড় সম্মান করত। এক্ষেত্রে আরবদের বাড়াবাড়ি এ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, তাদের বিশ্বাস ছিল কাপড় পরে তাওয়াফ করার অধিকার কেবল তাদেরই (হুমস্দেরই) জন্য সংরক্ষিত। তারা (অন্যান্য আরবগণ) বলত, আমরা যে কাপড় পরে গুনাহও করে থাকি, তা নিয়ে কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে পারি না। সুতরাং তারা যখন তাওয়াফ করতে আসত, তখন 'হুম্স' এর কোনও লোকের কাছে কাপড় চাইত, তার কাছে কাপড় পাওয়া গেলে তাই পরে বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করত। যদি কোনও হুমসের কাছে কাপড় পাওয়া না যেত, তবে তারা সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়েই তাওয়াফ করত। তাদের এই বেহুদা রসমের মূলোৎপাটনের জন্যই এ আয়াতসমূহ নাযিল হয়েছে। এর ভেতর মানুষের জন্য পোশাক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তাও তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, পোশাকের মূল উদ্দেশ্য দেহ আবৃত করা। সেই সঙ্গে পোশাক মানব দেহের ভূষণ ও সৌন্দর্যের উপকরণও বটে। যে পোশাকের ভেতর এই উভয়বিধ গুণ পাওয়া যায়, সেটাই উৎকৃষ্ট পোশাক। আর যে পোশাক দ্বারা মানব দেহ যথাযথভাবে আবৃত হয় না, তা মানব-স্বভাবেরই পরিপন্থী।
____________________________________
* নাযিল হওয়ার সময় কাল,নগ্নতা শয়তানের কাজ,শয়তান তাকায়,ঘরে থাকলে ডিমান্ড বাড়বে
* নগ্নতা ডাকার জন্যই পোশাক,দামী পোশাক নাজায়েয নয়,
يَا بَنِي آدَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَارِي سَوْآتِكُمْ وَرِيشًا ۖ وَلِبَاسُ التَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
(আল আরাফ - ২৬)
হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
* রাসুল (সা:) এর দান নিতে ভিক্ষুকের অস্বিকার
রাসুল (সা:) এর জামার মূল্য,
* মুরতায়েশ বাগদাদের পল্লি গ্রামের পথ দিয়ে যায় পানির প্রাণী সুন্দরী মেয়ে দেয় ( তাজ: আউ: 314)
* বাহৃিক তাকওয়ার পোশাক ও অনেক দাম,নীল নদ থেকে বহুরূপী বেচে যায় ( ওয়াজেদ বেনজীর 2/192)
তাকাওয়া ও চারিত্রিক মাধু্র্যের জন্য দোয়া
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الأَحْوَصِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ্! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”।
সহীহঃ ইবনু মা’জাহ (হাঃ ৩৮৩২), মুসলিম।
জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৮৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
একটি গল্প একটি চেতনা...!!!
* তাকওয়ায় ভাগ্য পরিবর্তন করে,* তাকওয়ায় ভাগ্য পরিবর্তন করে, দুধে পানি মেশাননি, এই তাকওয়া ও সততার কারণে গরিব মেয়েটির ভাগ্য খুলে গেল:-
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর রা:। বিশাল সাম্রাজ্যের সম্রাট তিনি। মহান বীর।সাহসী পুরুষ। তাকে ভয় পায় না এমন বীর আরবে কেউ নেই। অথচ এই মানুষের মনটা ছিল কোমল, নরম।বিশাল মনের দরদি মানুষ তিনি। খলিফা হলে কী হবে, তার ভাবনার।যেন শেষ নেই। তিনি সারাক্ষণ জনগণের কথা ভাবেন। প্রজারা কে কষ্টে আছে, কেউ কি না খেয়ে আছেÑ এমন ভাবনায় তার মন সব সময় ছটফট করে। তিনি জানতে চান তার জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা। খলিফার মনে তাই স্বস্তি নেই। তিনি প্রায়ই রাতের আঁধারে মদিনার রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন। কখনো একা, কখনো ভৃত্য আসলামকে নিয়ে না রাতের মনোরম আকাশ,নয়নাভিরাম চাঁদ-তারকা দেখার জন্য নয়; ঘুরে বেড়ান প্রজাদের অবস্থা দেখার জন্য, জানার জন্য।একদিন গভীর রাত। মদিনা শহরের মানুষ ঘুমিয়ে পড়েছে। কোথাও সাড়া শব্দ নেই। এমনি এক রাতে মহামতি উমর রা: মদিনার রাস্তায় ঘুরছিলেন জনগণের অবস্থা দেখার জন্য।হাঁটতে হাঁটতে তিনি অনেক দূর এগিয়ে এলেন। চার দিকে নীরব লোকালয়। কেউ জেগে নেই। এক সময় খলিফা খুব কান্ত হয়ে পড়লেন।তাই তিনি এক ঘরের দেয়ালে হেলান দিয়ে খানিকটা বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করলেন। হঠাৎ তার কানে কিছু মহিলার কথা বলার শব্দ ভেসে এলো। তারা কী জানি বলাবলি করছিল। গভীর রাত অথচ মহিলারা জেগে আছে। কোনো আপদ-বিপদ হয়নি তো? খলিফার মন বিচলিত হয়ে উঠল। তাই খলিফা কান খাড়া করলেন। তিনি মহিলাদের কথা বোঝার চেষ্টা করলেন। একজন মহিলা বলছিল, ‘উঠো আমার মেয়ে। জলদি উঠো। দুধের মধ্যে খানিকটা পানি মেশাও। তাড়াতাড়ি করো।’ এ কথার পর খানিকটা বিরতি। সাড়াশব্দ নেই। উমর রা: উদগ্রীব হয়ে আছেন মেয়ের কথা শোনার জন্য। একটু পরেই মেয়েটি বলে উঠল, ‘মা,তুমি এটা কী বলছ? তুমি কি আমাদের খলিফার নির্দেশ জানো না? আমাদের খলিফা আদেশ জারি করেছেন,দুধে পানি মেশানো যাবে না।’ একথা শোনার পর মা আবারো বলল।‘তোমার খলিফার কথা শোনার দরকার নেই। যাও দুধে পানি মেশাও। তোমার খলিফা তো আর এখানে নেই। তুমি দুধে পানি মেশালে তিনি কী করে জানবেন?মিছেমিছি তুমি এসব কথা ভেবে সময় নষ্ট করো না।যা বলছি তা করো গিয়ে।’মেয়েটি বলল, ‘ও মা, মাগো! তুমি একী কথা বলছো! আমরা সামনা সামনি খলিফার কথা মান্য করব আর একাকী করব না, এটা হয় না।কেননা উমর আমাদের কাজ না দেখলেও তার স্রষ্টা তো দেখছেন। তার চোখকে ফাঁকি দেবে কিভাবে? মা ও মেয়ে উভয়ের কথা খলিফা উমর রা: মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। এবারে মেয়েটির কথা শুনে উমর রা: অবাক হলেন। তার খোদাভীতি ও সততায় খলিফা মোহিত হলেন। আর মহান আল্লাহর কাছে তার জন্য মনভরে দোয়া করলেন। সেদিন খলিফার সাথে ছিলেন তার গোলাম আসলাম। রাত গভীর হয়ে এলো। খলিফা আজ আর দেরি করলেন না। তিনি ফিরে চললেন আপন ঠিকানায়। তবে রওনা দেয়ার সময় উমর রা: আসলামকে বললেন, ‘এ বাড়ির ঠিকানা তুমি জেনে রেখো।’ এ কথা বলার পর খলিফা সেই স্থান ত্যাগ করলেন। নীরব শহর মদিনার পথে যখন হাঁটছেন তখন খলিফার মনে বারবার নাড়া দিচ্ছিল মেয়েটির সেই সুন্দর কথাগুলো। পরদিন সকালে উমর রা: ভৃত্য আসলামকে ডেকে মহিলার বাড়িতে পাঠালেন। আর বলে দিলেন মা ও মেয়ের খোঁজ নিতে। আসলাম আর দেরি করলেন না। তিনি দ্রুত ছুটে গেলেন ওই বাড়িতে। তাদের খোঁজখবর নিলেন। তিনি জানতে পারলেন ওই বাড়িতে মা ও মেয়ে দু’জনই থাকেন। মেয়েটির বাবা নেই। আরো জানা গেল মেয়েটি বিবাহিত নয়। আসলাম ফিরে এসে সব কিছু খলিফাকে খুলে বললেন। আসলামের কথা শুনে খলিফার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তিনি খুশি হলেন।এক অজানা তৃপ্তির আলোয় খলিফার মন যেন ভরে উঠল। হজরত উমর রা:-এর তিন ছেলে। এরা হলেন আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান ও আসিম।আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান বিয়ে করেছেন আসিমের এখনো বিয়ে হয়নি। উমর রা: ভাবলেন মেয়েটির সাথে আসিমের বিয়ে দেবেন। খলিফা মেয়েটির সুন্দর চরিত্র ও সততার কথা পুত্র আসিমকে খুলে বললেন। আর তাকে বিয়ে করার প্রস্তাবও ছেলেকে জানালেন। আসিম বাবার কথায় রাজি হয়ে গেলেন।ষ অবশেষে মেয়েটি হজরত উমর রা: এর ঘরে এলো পুত্র আসিমের বউ হয়ে। সততার কারণে গরিব মেয়েটির ভাগ্য বদলে গেল।
#পোশাক হচ্ছে মহান আল্লাহ পাকের প্রদত্ত এক নেয়ামত । শালীন পোশাকের মাধ্যমে লজ্জা লালিত হয়, একটি প্রবাদ প্রচলিত লজ্জাই নারীর ভূষণ । আজ পুরুষ ও নারীকে এ ভূষণ থেকে মুক্ত করতে বেহায়াপনা অশ্লীলতার মতো মরনপথ প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিচ্ছে, অথচ মুুসলিম মাত্রই জানার কথা লজ্জাহীন ঈমান অর্থহীন । তাই ঈমানদার নারী পুরুষ সবার জন্যই লজ্জা ঈমানের অংশ । একজন নারী কিংবা পুরুষের লজ্জা যদি না থাকে তবে সে যা ইচ্ছা তা করতে পারে ।
ইসলাম পুরুষকে পুরুষ হিসেবেই দেখতে চায় আর নারীকে নারী হিসেবেই দেখতে চায় । এটাই শৃঙ্খলা ও শাশ্বত । তাই পুরুষ যদি নারীর পোশাক পরে কিংবা নারী যদি পুরুষের পোশাক পরে এটি যেমন ভুল তেমনি রাসুল (সাঃ) এদের উপর লানত করেছেন । সুতরাং এই লানত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের বিপরীত লিঙ্গের এবং অশ্লীল পোশাক
এসব পরিত্যাগ করতে হবে । মুসলমান বলতেই আমাদের মনে রাখতে হবে, মানব সভ্যতা বিকাস একমাত্র ইসলামই দিয়েছে ।
ইংলিশ বোখারী ও মেশকাত-(২২১/৩৩১)
তাই পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, হে বনি আদম আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের শরীরের যে অংশ প্রকাশ করা দূষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্যও উপকরণ । বসত তাকওয়ার যে পোশাক সেটাই সর্বোত্তম, এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে, এবং নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য জীবনধারা হচ্ছে একমাত্রই ইসলাম ।
সুরাঃ আরাফ—(২৬)- ইমরান-(১৯)
সুন্নতী পোশাক শুধু বাইরের বিষয় নয়, তা মনের গতিবিধিকেও নিয়ন্ত্রণ করে, কোন পোশাক মানুষকে অহংকারী করে, কোন পোশাক বিনয় দান করে, কোনটা উশৃঙ্খল হওয়ার উস্কানি দেয় আর কোনটা করে শান্ত সমাহিত । এজন্য ইসলামি শরিয়তে লেবাস-পোশাকের কিছু নীতি রয়েছে, যা অনুকরণ করে মানুষ পোশাকের কল্যাণ লাভ করতে পারে এবং পোশাকের অকল্যাণ থেকে রক্ষা পেতে পারে । লেবাস অবশ্যই সতর আবৃতকারী হতে হবে এটাই ইসলামের নির্দেশ ।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক বলেন, হে বনি আদম শয়তান যেন তোমাদের ঠিক তেমনি ভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে নিক্ষেপ না করে যেমনভাবে সে তোমাদের পিতামাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল এবং তাদের লজ্জাস্থান পরস্পরের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য তাদেরকে বিবস্ত্র করেছিল । যারা আমার প্রতি ঈমান আনেনা আমি তাদের প্রতি শয়তানদেরকে অভিভাবক করে দিয়েছি ।
সুুরাঃ আরাফ—(২৭)
যারা বোরখা পরেন এবং সঠিক পর্দার আইন মেনে চলেন তাদের জন্য মোবারকবাদ ও শুভ কামনা । আমি বলছি না যে বোরখা পরলেই পর্দা হয়ে গেল, বোরখা পর্দার একটি বড় মাধ্যম । আসল কথা হল আল্লাহ ও তাঁর রাসুল পর্দার বিষয়ক যত নির্দেশনা দিয়েছেন তা যথাযথ মেনে চলতে সচেষ্ট হওয়া । যারা বোরখা পরেন তাদের ভাবা দরকার আমাদের পর্দা যেন দিন দিন উন্নতি হয়, আমি তাকওয়ার আরো নিকটবর্তী হতে পারি ।
যাকে এক বিদেশী সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিল, এই প্রচন্ড গ্রীষ্মের গরমে আপনি কিভাবে বোরকাবৃত থাকেন, আপনার কি গরম লাগে না, তরুণীটি এর উত্তরে পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলওয়াত করলেন— বলে দিন জাহান্নামের আগুন এর চেয়ে অনেক উত্তপ্ত ।
সকল প্রতিকূল পরিবেশে পর্দার বিষয়ে আল্লাহ পাক আমাদেরকে ঐ নারীর মত অবিচল থাকার তৌফিক দান করুন—
No comments