129 গুনাহ ছাড়ার সহজ উপায় কি ?
129 গুনাহ ছাড়ার সহজ উপায় কি ?
* আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার ভয় থাকলে কান চক্ষু জবান হাত পা গুনাহ থেকে বাঁচানো সম্ভব হবে
* যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায়না
* গুনাহ করার সাথে সাথে তৌবাহ করে নিতে হবে,২৫: আল-ফুরকান: ৭০,
اِلَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِكَ یُبَدِّلُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ١ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا
_______________
* গুনাহ করার সাথে সাথে তৌবাহ করে নিতে হবে,২৫: আল-ফুরকান: ৭০,
اِلَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓئِكَ یُبَدِّلُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ١ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا
তবে তারা ছাড়া যারা (ঐসব গোনাহের পর) তাওবা করেছে এবং ইমান এনে সৎকাজ করতে থেকেছে। এ ধরনের লোকদের অসৎ কাজগুলোকে আল্লাহ সৎকাজের দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন এবং আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল ও মেহেরবান।
- প্রত্যেক আদম সন্তানই গুনাহগার, আর গুনাহগারীদের মধ্যে তওবাকারীগন উত্তম।
- যখনই বিসমিল্লাহ বলে অজু করেন তখন হাতটা ধুইতে থাকেন তখন ভাবুন না হাত ধুয়ে নিচ্ছি হাতের গুনাহ আর করবো না, মুখ ধুয়ে নিচ্ছি চোখের গুনাহ আর করবো না, নাকে পানি কুলি করতেছি আর মুখ থেকে গীবত অপ্রয়োজনীয় কথা বের করবো না, নাকে পানি দিচ্ছি গুনাহের গন্ধ নাকে লাগতে দিবো না, পা ধুয়ে নিচ্ছি গুনাহের দিকে এগিয়ে যাবো না, মাথা মাসেহ করতেছি আমার মাথা রব ছাড়া কারো কাছে নত করবো না। কান মাসেহ করে নিলাম কান দিয়ে অন্যের কথা শুনবো না, গুনাহের আওয়াজ আর কানে আনবো না। এভাবে অজু করতে করতে ভাবছেন? তাহলে তো গুনাহগুলো তখনই ঝরাতে সহজ হতো।
- যখন দেখবেন আপনার বাবা, মা, ভাই, বন্ধু, আপনার কথা শুনে না। তখন ভাবুন, আমিও তো আমার রবের কথা শুনি না। তখন গুনাহ ছাড়া সহজ হবে।
- গান, নাটক, মুভি, নন মাহরম মাহরমকে দেখা অনলাইনে অফলাইনে ফেসবুকে Watch এ বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপ গুলা দেখা বন্ধ করুন। মাঠে বাজারে, দোকানে, আড্ডা কমিয়ে দেন। গুনাহ ছাড়া সহজ হবে।
- যে চোখ দিয়ে গুনাহ করেন, ঐ চোখ তো নায়ক নায়িকা দেয় নাই। কান দিয়া গান শুনেন ঐ কান তো গায়ক গায়িকা দেয় নাই, প্রত্যেকটা কাজ করতে এভাবে চিন্তা করুন। গুনাহ ছাড়া সহজ হবে।
- আফসোস করা বন্ধ করুন। আফসোস গুনাহ থেকে আসে ধরুন, ধরুন আপনার একটা ভাই-বন্ধুর বাইক আছে, আপনার কাছে নেই, আপনার কাছে যা আছে তাই নিয়ে শুকরিয়া করুন। আপনি আপনার নিচের দিকে তাকান আপনার অবস্থানে অনেকই আসতে চায়, চিন্তা ভাবনা পাল্টান গুনাহ ছাড়া সহজ হবে।
- চেহারা ধুইতে কষ্ট লাগে, কাপড় ধুইতেও কষ্ট লাগে, বিছানা ঝাড়তেও কষ্ট লাগে, অথচ যেটা ধুইতে পরিস্কার করতে কষ্ট লাগেনা! ঐ ক্বলব টাকে ময়লা আবর্জনা রেখে ঘুমাতে যান? অথচ উচিত ছিলো আগে ভিতরে পরিস্কার করার তারপর বাহিরে কিন্তু উল্টাটা করছেন প্রতিদিন !
- দুনিয়ায় মানুষ অপরাধীকে খুঁজে শাস্তি দেওয়ার জন্য, আর রব খুঁজে অপরাধীকে মাফ করার জন্য! প্রত্যেকদিন শেষ রাতে শেষ আসমানে চলে আসেন। আইসা ডাকতে থাকেন কে কে আছো গুনাহ করছো, করে ফেলছো আরকি, আমি তোমাকে পরিক্ষায় পালাইছি, তোমার নফস তোমাকে ধোঁকায় ফেলছে, এখন আসো না আমার কাছে মাফ চাও তো আমি মাফ করে দিবো।
* গুনাহ ছাড়ার সহজ একটি উপায়।
-
আমরা প্রত্যেকেই ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক
অনেক পাপ কাজ করে ফেলি, আবার এমন অনেক গুনা
রয়েছে যেগুলি আমরা চাইলেও সহজে ছাড়তে
পারিনা। এমন অনেক ভাই আছেন, যারা নামাজ পড়ে
কিন্তু দৃষ্টির হেফাজত করতে পারেন না। এমন না যে
তারা চেষ্টা করে না! চেষ্টা করে কিন্তু চেষ্টায়
সফল হতে পারে না। আবার অনেকে আছেন দৃষ্টির
হেফাজত করলেও non-mahram পারসনদের সাথে
চ্যাট করা বন্ধ করতে পারেন না।"
·
ইনশাল্লাহ হাদিস থেকে পাওয়া এমন একটি টিপস
আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করছি আশা
করা যায় এটার উপর আমল করলে অনেক গুনা ছেড়ে
দিতে পারবেন। (অবশ্যই সবার আগে অন্তরে আল্লাহর
ভয় থাকতে হবে, আল্লাহর প্রতি ভয় না থাকলে যত
টিপসই ফলো করেন না কোন কাজে আসবে না)
·
হাদিস: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যেখানেই থাকবে
আল্লাহতা'আলাকে ভয় করবে। গুনাহ করার পরপরই
সৎকাজ করবে. তাতে গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
আর মানুষের সাথে সুন্দর ব্যবহার করবে।[তিরমিজি-
৪/১৯৯৩]
·
হাদীসটির দিকে লক্ষ্য করুন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ ) আগে
বলেছেন, যেখানেই থাকবে আল্লাহতা'আলাকে ভয়
করবে। তাই গুনা থেকে বাঁচতে হলে আগে আল্লাহকে
ভয় করতে হবে। তারপরও শয়তানের প্ররোচনায় অনেক
গুনা আমরা করে ফেলি এমনকি অনেক সময় তা
নিয়মিত হতে থাকে। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ ) বলছেন,
গুনাহ করার পরপরই সৎকাজ করবে. তাতে গুনাহ মাফ
করে দেওয়া হবে।
·
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেন
বললেন গুনা করে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে সৎ আমল
করতে?।এটি বুঝতে পারবেন নিচের টিপসটি থেকে।"
·
টিপস: উদাহরণত ধরে নিন আপনি দৃষ্টির হেফাজত
করতে পারছেন না, এখন আপনি যা করবেন: দৃঢ়
প্রতিজ্ঞা করবেন। যতবার আপনি দৃষ্টির হেফাজত
করতে পারবেন না ততবার দু'রাকাত সালাত আদায়
করবেন।(সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে দৃষ্টির হেফাজত
করার। যদি তারপরও প্রবৃত্তির তাড়নায় করে ফেলেন
তাহলে সালাত আদায় করাটা হবে আপনার জন্য
শাস্তি বা কাফফারা)
·
অথবা বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে চ্যাট করে
ফেললেন (যার কোন প্রয়োজন ছিল না) এর
কাফফারা হিসেবে দু'রাকাত সালাত আদায় করে
ফেলুন। সালাত ই আদায় করতে হবে এমন কোন কথা
নেই, যে কোন সৎ কাজ করতে পারেন আপনি,
সাদাকা করতে পারেন, কোরআন তিলাওয়াত করতে,
পারেন কোরআন থেকে একটি সূরা মুখস্ত করতে
পারেন। যেকোনো সৎকাজই করেন, মনে করে নেবেন
এটা আপনার জন্য শাস্তি বা কাফফারা। (অবশ্যই
চেষ্টা থাকতে হবে ওই কাজটি যেন পুনরায় না হয়)
·
এটি করার ফায়দা কি? ফায়দা হলো এই যে: শয়তান
যখন দেখবে আপনি গুনা করে ফেলার পর পরই নেক
কাজ করছেন তখন সে আর আপনাকে গুনা করার জন্য
ওয়াসওয়াসা দিবে না। কিন্তু গুনা করে ফেলার পর
সৎকাজ করাটাই অনেক কঠিন। আপনি সাদাকা করতে
গেলে সে আপনাকে দরিদ্রতার ভয় দেখাবে। সালাত
আদায় করতে গেলে, না করার জন্য কুমন্ত্রণা দিবে।
·
যত কষ্টই হোক নিজের সাথে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করুন। যতই
অলসতা লাগুক। আপনার গুনার কাফফারা না দিয়ে
আপনি ঘুমুতে যাবেন না যত রাকাত সালাত ই হোক
আপনি আদায় করবেন তো করবেনই। এখন থেকেই
প্রতিজ্ঞা করুন।
·
আমার ব্যক্তিগত চয়েজ হলো: সালাত আদায় করা,
কেননা সালাত আদায় করতে গেলে ওযু করতে হয় আর
আমরা সবাই জানি ওযু করার সময় আমাদের গুনা গুলো
ঝরে পড়ে যায়, সালাতে দাঁড়ালে আমাদের গুনাহের
অনুশোচনা হয়। আমরা আরও আল্লার নিকটবর্তী হতে
পারি। তাছাড়া হাদীসে বলা হয়েছে সালাত হল:
সর্বোত্তম ইবাদত।
·
হতে পারে শয়তান আপনাকে ওয়াসওয়াসা দিবে,
কোন লাভ নাই সালাত আদায় করে, গুনা করে আবার
ক্ষমা চাচ্ছ লজ্জা লাগেনা? তার কোন কথায় কান
দিবেন না। তার কথা শুনছেন তো আপনি হেরে
গেছেন।
:কোন ভুলত্রুটি থাকলে জানাতে ভুলবেন না।
–ওমার ইবনে আব্দুল্লাহ কাদির।",
No comments