83/190 রাগ করা ও ক্ষমা করা
* আল্লাহপাক দয়াশীল। আর তিনি দয়াশীলদেরকে ভালবাসেন। মানুষের মধ্যে যখন রাগ আসে তখন আর দয়া আসে না। কিন্তু আল্লাহ রাগ হলেও দয়া করেন
* রাগ দমন অন্যের দোষ–ত্রুটি ক্ষমা কারীকে আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন 3:আলে-ইমরান:134
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِى السَّرَّآءِ وَالضَّرَّآءِ وَالْكٰظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
* নবীর উপর উটের ভুরি নবীজি রাগ করে বদ দোয়া করেননি ( আর রাহীকুল মাখতুম পৃ:-১১২)
* তায়েফের জমিনে রক্তার্থ হয়েছে নবীজি রাগ হয়ে বদ দোয়া করেননি
* রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরাম এক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক উপত্যকায় এসে ছাউনি ফেললেন। তরবারি গাছের ডালে রাখলে এক ইহুদি তরবারি হাতে নেয়। কয় এখন তোমাকে কে বাচাবে? লোকটি ছিল কওমের নেতা
* আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) কখনো নিজের কোনো ব্যাপারে কারোর কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে মহান আল্লাহর নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেললে তার জন্য যথাবিহিত শাস্তির ব্যবস্থা করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৩৫৬০
* আলী রা: প্রতি জীহাদের মাঠে সেনা প্রধানের থুতু নিক্ষেপ
* এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশত তালাক দিলে ওমর রাঃ তার গায়ে সাতানব্বই বেত হাতে মারার নির্দেশ দেন
* রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদ্ধতি। সুনানে আবু দাউদ,৪৭৮২
إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلاَّ فَلْيَضْطَجِعْ
রাগ নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় পদ্ধতি সুনানে আবু দাউদ, ৪৭৮৪
إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَإِنَّمَا يُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ
____________________________________
83/190 রাগ করা ও ক্ষমা করা
* রাগ দমন অন্যের দোষ–ত্রুটি ক্ষমা কারীকে আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন 3:আলে-ইমরান:134
الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِى السَّرَّآءِ وَالضَّرَّآءِ وَالْكٰظِمِينَ الْغَيْظَ وَالْعَافِينَ عَنِ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
শব্দার্থ: الَّذِينَ = যারা, يُنْفِقُونَ = খরচকরে, فِي = মধ্যে, السَّرَّاءِ = খুশীর (স্বচ্ছল অবস্থায় ) , وَالضَّرَّاءِ = ওকষ্টে (দুরাবস্থায়) , وَالْكَاظِمِينَ = এবং দমনকারী, الْغَيْظَ = রাগ, وَالْعَافِينَ = ওমাফকারী, عَنِ = (প্রায়) , النَّاسِ = লোকদের, وَاللَّهُ = আরআল্লাহ, يُحِبُّ = ভালোবাসেন, الْمُحْسِنِينَ = নেকলোকদেরকে,
যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল সব অবস্থায়ই অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ দমন করে ও অন্যের দোষ–ত্রুটি মাফ করে দেয়। এ ধরনের সৎলোকদের আল্লাহ অত্যন্ত ভালোবাসেন।
* নবীর উপর উটের ভুরি নবীজি রাগ করে বদ দোয়া করেননি ( আর রাহীকুল মাখতুম পৃ:-১১২)
(সা.) একবার নামাজের সেজদায় ছিলেন..। আবু জাহল ও তার সহযোগীরা উটের নাড়িভুড়ি এনে নবীজীর উপর ফেলে দিল। রাসুল (সা.) সেই অবস্থায় সেজদায় পড়ে রইলেন। হযরত ফাতেমা এসে সরিয়ে দিলেন অপবিত্র নাড়িভুড়িগুলো।
হযরত ফাতেমা রাঃ বললেন আমার বাবার উপরে এই নাড়ি বুড়ি কে রেখেছে আমি তাদের জন্য বদদোয়া দেব নবীজি বললেন ফাতেমা তুমি বদদোয়া দিওনা কারণ তুমি যদি তাদের জন্য বদদোয়া করো আর আমি নবী যদি আমিন বলি তাহলে মক্কার সব লোক ধ্বংস হয়ে যাবে সবাই যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে আমি কার কাছে কলমের দাওয়াত দিব কার কাছে গিয়ে বলিবো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
* তায়েফের জমিনে রক্তার্থ হয়েছে নবীজি রাগ হয়ে বদ দোয়া করেননি
* জীবনের এক কঠিনতম সময়ে আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) তায়েফে গিয়েছিলেন, আশা করেছিলেন তায়েফবাসী তাঁর কথা শুনবে, তাঁকে সহযোগিতা করবে। কিন্তু সহযোগিতার পরিবর্তে তিনি পেলেন অপমান। তাঁর শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পায়ে গিয়ে জমাট বাঁধল। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে একজন ফেরেশতা এলেন। ফেরেশতা তায়েফের দুপাশের পাহাড় এক করে দিয়ে তায়েফবাসীকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন। কিন্তু দয়াল নবী (সা.)-এর উত্তর ছিল, ‘ (না, তা হতে পারে না) বরং আমি আশা করি মহান আল্লাহ তাদের বংশে এমন সন্তান দেবেন, যারা এক আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সঙ্গে শরিক করবে না।’ (বুখারি, খণ্ড: ৪, অধ্যায়: ৫৪, হাদিস: ৪৫৪)।
* রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরাম এক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক উপত্যকায় এসে ছাউনি ফেললেন। তরবারি গাছের ডালে রাখলে এক ইহুদি তরবারি হাতে নেয়। কয় এখন তোমাকে কে বাচাবে? লোকটি ছিল কওমের নেতা
* রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরাম এক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক উপত্যকায় এসে ছাউনি ফেললেন। তরবারি গাছের ডালে রাখলে এক ইহুদি তরবারি হাতে নেয়। কয় এখন তোমাকে কে বাচাবে?
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنَا سِنَانُ بْنُ أَبِيْ سِنَانٍ وَأَبُوْ سَلَمَةَ أَنَّ جَابِرًا أَخْبَرَهُ ح و حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيْمُ بْنُ سَعْدٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ عَنْ سِنَانِ بْنِ أَبِيْ سِنَانٍ الدُّؤَلِيِّ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّهُ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَدْرَكَتْهُمْ الْقَائِلَةُ فِيْ وَادٍ كَثِيْرِ الْعِضَاهِ فَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الْعِضَاهِ يَسْتَظِلُّوْنَ بِالشَّجَرِ فَنَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَحْتَ شَجَرَةٍ فَعَلَّقَ بِهَا سَيْفَهُ ثُمَّ نَامَ فَاسْتَيْقَظَ وَعِنْدَهُ رَجُلٌ وَهُوَ لَا يَشْعُرُ بِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا اخْتَرَطَ سَيْفِيْ فَقَالَ مَنْ يَمْنَعُكَ قُلْتُ اللهُ فَشَامَ السَّيْفَ فَهَا هُوَ ذَا جَالِسٌ ثُمَّ لَمْ يُعَاقِبْهُ
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একটি যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। তাদের দুপুরের বিশ্রামের সময় হল এমন একটি উপত্যকায় যাতে কাঁটাদার প্রচুর বৃক্ষ ছিল। লোকেরা কাঁটাদার বৃক্ষরাজির ছায়ায় বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ল। আর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি বৃক্ষের নীচে অবতরণ করেন এবং একটি বৃক্ষে তাঁর তরবারী ঝুলিয়ে সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। তিনি জেগে উঠলেন এবং হঠাৎ তাঁর পার্শ্বে দেখতে পেলেন যে, জনৈক ব্যক্তি, অথচ তিনি তার ব্যাপারে টের পাননি। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই ব্যক্তিটি হঠাৎ আমার তরবারীটি উঁচিয়ে বলল, কে তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ্! তখন সে ব্যক্তি তলোয়ারটি খাপে রেখে দিল। আর এই সে ব্যক্তি, এখনো বসা, কিন্তু তিনি তার প্রতিশোধ নেননি।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯১৩
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
কে বাঁচাবে তোমায়?
________
রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরাম এক যুদ্ধ থেকে ফিরে আসছিলেন। পথিমধ্যে এক উপত্যকায় এসে ছাউনি ফেললেন তাঁরা। স্থানটি ছিল সবুজ, শ্যামল। সাহাবায়ে কেরাম বিক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন গাছের নীচে ঘুমিয়ে পড়লেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-ও একটি গাছের কাছে এগিয়ে গেলেন। তলোয়ারখানা একটি ডালের সাথে ঝুলিয়ে রেখে নীচে চাদর বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন।
এ সময় এক মুশরিক তাঁদেরকে অনুসরণ করছিল। যখন সে দেখল রসুলুল্লাহ একা, তখন সে পা টিপে টিপে এগিয়ে এল। তলোয়ারখানা গাছের উপর থেকে নামিয়ে ফেলল সে। এরপর গর্জন দিয়ে বলল, মুহাম্মাদ! এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাচাবে?
রসুলুল্লাহ জাগ্রত হলেন। লোকটি তাঁর মাথার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার খোলা তলোয়ার। তাতে মৃত্যুর ঝলক। নবীজী একা। সাথী-সঙ্গীরা দূরে বিক্ষিপ্ত। সবাই ঘুমিয়ে। দুশমন বিজয় ও সাফল্যের নেশায় হতবিহ্বল। বার বার সে বলে যাচ্ছে, কে তোমাকে বাচাবে? কে তোমাকে বাচাবে?
অত্যন্ত শান্ত ও দৃঢ়চিত্তে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জওয়াব দিলেন- #আল্লাহ।
জওয়াব শুনে লোকটি কেঁপে উঠল। ঝপ করে তার হাত থেকে পড়ে গেল তলোয়ারখানা। নবীজী উঠে দাঁড়ালেন। তলোয়ারখানা হাতে নিলেন। বললেন- এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে?
বিবর্ণ হয়ে গেল লোকটি। থতমত করতে লাগল সে। রসুলুল্লাহর কাছে অনুগ্রহের জন্য অনুনয় করতে করতে বলল, কেউ নেই। আপনার কাছে উত্তম আচরণ আশা করি।
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
ইসলাম কবুল করবে?
লোকটি জওয়াব দিল, না; তা করব না। তবে আমি সেই সম্প্রদায়ের সাথে যোগ দিব না, যারা আপনার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। নবীজী তাকে মাফ করে দিলেন।
তার উপর দয়া করলেন। লোকটি ছিল তার কওমের সর্দার। সে তার সম্প্রদায়ের নিকট ফিরে গেল। কিছুদিন যেতে না যেতেই লোকটি ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহন করে সাহাবা হয়ে গেলেন।
[সহীহ বুখারী, হা/২৯১০, সহীহ মুসলিম, হা/৮৪৩]
* আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) কখনো নিজের কোনো ব্যাপারে কারোর কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে মহান আল্লাহর নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেললে তার জন্য যথাবিহিত শাস্তির ব্যবস্থা করতেন। (মুসলিম, হাদিস : ৩৫৬০
* আলী রা: প্রতি জীহাদের মাঠে সেনা প্রধানের থুতু নিক্ষেপ
হজরত আলী (রা.) এক যুদ্ধে অমুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধানকে সম্মুখযুদ্ধে ধরাশায়ী করলেন এবং যখন তাকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন, তখন তিনি আলী (রা.)-এর মুখে থুতু নিক্ষেপ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে আলী (রা.) লোকটিকে ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলেন। তখন ওই সেনাপ্রধান বললেন, ‘আপনি আমাকে হত্যা করতে পারতেন, কিন্তু তা করলেন না কেন?’ উত্তরে আলী (রা.) বললেন, ‘আপনার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। আপনার সঙ্গে আমি যুদ্ধ করেছি শুধু আপনার অবিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহের কারণে। আমার মুখে থুতু নিক্ষেপের পর আমি যদি আপনাকে হত্যা করতাম, তবে তা হয়ে পড়ত আমার ব্যক্তিগত ক্ষোভ ও প্রতিশোধস্পৃহার বহিঃপ্রকাশ, যা আমি কখনোই চাই না।’ (সাহাবা চরিত)।
* এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে একশত তালাক দিলে ওমর রাঃ তার গায়ে সাতানব্বই বেত হাতে মারার নির্দেশ দেন
* রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রথম পদ্ধতি। সুনানে আবু দাউদ,৪৭৮২
إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلاَّ فَلْيَضْطَجِعْ
* রাগ নিয়ন্ত্রণের দ্বিতীয় পদ্ধতি সুনানে আবু দাউদ, ৪৭৮৪
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو وَائِلٍ الْقَاصُّ، قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عُرْوَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ السَّعْدِيِّ فَكَلَّمَهُ رَجُلٌ فَأَغْضَبَهُ فَقَامَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ رَجَعَ وَقَدْ تَوَضَّأَ فَقَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ جَدِّي عَطِيَّةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَإِنَّمَا تُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ " .
আবু ওয়াইল আল-ক্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন , একদা আমরা ‘উরওয়াহ ইবনু মুহাম্মাদ আস-সা’দীর নিকট গেলাম। তখন এক ব্যক্তি তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে তাকে রাগিয়ে দিলো। অতএব তিনি দাঁড়ালেন এবং উযু করলেন। অতঃপর বললেনঃ আমার পিতা আমার দাদা ‘আত্বিয়্যাহ (র) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ রাগ হচ্ছে শয়তানী প্রভাবের ফল। শয়তানকে আগুন হতে সৃস্টি করা হয়েছে। আর আগুন পানি দিয়ে নিভানো যায়। অতএব তোমাদের কারো রাগ হলে সে যেন উযু করে নেয়।৪৭৮৩
দূর্বল।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৭৮৪
হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস
__________________
* রাগ আসে শয়তানের পক্ষ থেকে
وَعَن عَطِيَّة بن عُرْوَة السعديّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْغَضَبَ مِنَ الشَّيْطَانِ وَإِنَّ الشَّيْطَانَ خُلِقَ مِنَ النَّارِ وَإِنَّمَا يُطْفَأُ النَّارُ بِالْمَاءِ فَإِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
’আতিয়্যাহ্ ইবনু ’উরওয়াহ্ আস্ সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে এবং শয়তানকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আগুন পানি দ্বারা নেভানো যায়। যখন তোমাদের মধ্যে কারো রাগ আসে, তবে সে যেন উযূ করে। (আবূ দাঊদ)
[1] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৪৭৮৪
* রাগ দমন ও ক্ষমার সর্বোচ্ছ মডেল রাসূল (সা:)
* ওমর রা: রাগী ইহুদী মসজিদে প্রশাব
* নবীর উপর ঠটের ভুরি ( আর রাহীকুল মাখতুম পৃ:-১১২)
“কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা”
[সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]
* মক্কা বিজয়ে নবী ক্ষমা করে দেন
* তালাক দেয়,
* রাগ ২ টি পন্হা ১,বসে পরা ২,গোসল করা
৩,
7:আল-আরাফ:200
وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِن
َ الشَّيْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
যদি কখনো শয়তান তোমাকে উত্তেজিত করে, তাহলে আল্লাহর আশ্রয় চাও। তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন।
রাগ দমনে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপদেশ তুলে ধরা হলো-
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ صُرَدٍ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَجُلاَنِ يَسْتَبَّانِ، فَأَحَدُهُمَا احْمَرَّ وَجْهُهُ وَانْتَفَخَتْ أَوْدَاجُهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَعْلَمُ كَلِمَةً لَوْ قَالَهَا ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ، لَوْ قَالَ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ. ذَهَبَ عَنْهُ مَا يَجِدُ ". فَقَالُوا لَهُ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ ". فَقَالَ وَهَلْ بِي جُنُونٌ
সুলাইমান ইব্নু সুরাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন দু’জন লোক গালাগালি করছিল। তাদের এক জনের চেহারা লাল হয়ে গিয়েছিল এবং তার রগগুলো ফুলে গিয়েছিল। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আমি এমন একটি দু’আ জানি, যদি এ লোকটি পড়ে তবে তার রাগ দূর হয়ে যাবে। সে যদি পড়ে “আ’উযুবিল্লাহি মিনাশ শায়তান”- আমি শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। তবে তার রাগ চলে যাবে। তখন তাকে বলল, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তুমি আল্লাহর নিকট শয়তান থেকে আশ্রয় চাও। সে বলল, আমি কি পাগল হয়েছি?
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩২৮২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنْ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم أَوْصِنِي. قَالَ: لَا تَغْضَبْ، فَرَدَّدَ مِرَارًا، قَالَ: لَا تَغْضَبْ” . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ:
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলল, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘রাগ করো না।’ লোকটি বার বার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট উপেদশ চায় আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রাগ করো না।’ (বুখারি)
যেহেতু রাগ দমন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। আর যে ব্যক্তি তা করতে সক্ষম হবে সেই দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব। রাগ দমনকারীদের প্রশংসায় আল্লাহ বলেন, ‘যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, (তারাই মহসিন বা সৎকর্মশীল) বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। (সুরা ইমরান : আয়াত ১৩৪)
রাগের সময় মানুষ এমন কথা বলে ও এমন কাজ করে যার কারণে তার অন্তরে পরবর্তীতে অশান্তি সৃষ্টি হয় এবং সে লজ্জিত হয়। এমনকি রাগের কারণে অন্তর হতে পবিত্র ঈমান দূরীভূত হয়ে যায়।
সুতরাং রাগকে দমন করাই হবে নফস ও শয়তানের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম জিহাদ। তাইতো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে মানুষকে ধরাশায়ী করে ফেলে। বরং শক্তিশালী ওই ব্যক্তি, যে রাগের সময় নিজের নফসকে সংযত করতে সক্ষম।’ আল্লাহ তাআলা সমগ্র মানব জাতিকে রাগ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণে ধীরস্থিরভাবে কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي حَرْبِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَنَا " إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ وَهُوَ قَائِمٌ فَلْيَجْلِسْ فَإِنْ ذَهَبَ عَنْهُ الْغَضَبُ وَإِلاَّ فَلْيَضْطَجِعْ " .
আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারোর যদি দাড়াঁনো অবস্হায় রাগের উদ্রেক হয় তাহলে সে যেন বসে পরে। এতে যদি তার রাগ দুর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেনো শুয়ে পরে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৭৮২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিসহ
No comments