Header Ads

Header ADS

 

70/182  মিথ্যা বলা

* সত্য কথা বলার মধ্যে রয়েছে আমলের সংশোধন এবং ক্ষমা,৩৩: আল-আহযাব:৭০-৭১

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ قُوْلُوْا قَوْلًا سَدِیْدًاۙ

یُّصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِیْمًا

* সে জন্য আল্লাহ্ তায়ালা সত্যবাদী লোকদের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন,৯: আত-তওবা:১১৯

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِیْنَ

* সত্য মিথ্যা। দুটি শব্দই দুই অক্ষরের। কিন্তু দুই শব্দের মাঝে ব্যবধান রাত দিনের, আলো আঁধারের,Nobody believes a liar.

(মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না

* আর মিথ্যাবাদীগন হলো সীমালংঘনকারী আর সীমালংঘনকারী মিথ্যাবাদী লোকগন আল্লাহর হিদায়াত থেকে বঞ্চিত থাকে,৪০: আল-মু’মিন:২৮

اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ

অর্থ- আল্লাহ‌ কোন সীমালংঘনকারী মিথ্যাবাদী লোককে হিদায়াত দান করেন না

* মিথ্যা বলা মুনাফিকদের স্বভাব,এরা মুনাফিকদের দলভুক্ত,সহিহ মুসলিম-১১৪

آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ

* কোন মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা তার সাথে থাকেনা, জামে' আত-তিরমিজি-১৯৭২

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مِيلاً مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِهِ

অর্থ- ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূল (সা:) বলেছেনঃ কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা এক মাইল (বা দৃষ্টি সীমার বাইরে) দূরে সরে যায়

* যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলার পরও মিথ্যুক নয় সে কে ? ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূল (সা:) মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। সহিহ মুসলিম- ৬৫২৭ 

أَنَّ أُمَّهُ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَكَانَتْ، مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَمْ أَسْمَعْ يُرَخَّصُ فِي شَىْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ الْحَرْبُ وَالإِصْلاَحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا

অর্থ-হিজরতকারিণীদের মধ্যে রাসূল (সা:) এর হাতে প্রথম বাই’আত গ্রহণকারিণীদের অন্যতমা সাহাবীয়া উম্মু কুলসূম বিনতু ‘উকবাহ ইবনু আবূ মু’আয়ত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি রসূল (সা;)-কে বলতে শুনেছেন যে, সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয়,যে লোকের মধ্যে আপোষে সমাধা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই মিথ্যা বলে এবং কল্যাণের জন্যেই চোগলখোরী করে।

ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূল (সা:) মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। 1. যুদ্ধ কৌশলের ক্ষেত্রে,তাওরিয়া অর্থাৎ Deception by ambiguity ত্যাড়া ব্যাঁকা কথা দিয়ে, লুকোচুরি করে ধর্মের জিহাদ চালানো। 2. মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংশা করার জন্য, 3. সহধর্মিণীর সাথে স্বামীর কথা ও স্বামীর সাথে সহধর্মিণীর কথা বলার ক্ষেত্রে। সহিহ মুসলিম ৬৫২৭ সহিহ

* নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে,রিয়াদুস সলেহিন,১৫৫০

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى البِرِّ، وَإِنَّ البِرَّ يَهْدِي إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقاً . وَإِنَّ الكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الفُجُورِ، وَإِنَّ الفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذَّاباً. متفقٌ عَلَيْهِ

অর্থ- ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, রাসূল সা: বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে মহাসত্যবাদী’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে মহামিথ্যাবাদী রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়

* মিথ্যা কথা বলার পরিনাম, নিজের হাত মৃত ব্যক্তির উরুর সাথে লেগে যায় (উৎসঃ মুহাম্মাদ ইবনে যারক্বানী/ মুয়াত্তা ইমাম মালিক)

মিথ্যা কথা বলার পরিনাম একটি আজব ঘটনা!

মদীনার পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় একজন মহিলা

মৃত্যুবরণ করলে অপর এক মহিলা তাঁকে গোসল দিতে

লাগলেন। যে মহিলা গোসল দিচ্ছিলো,তার হাত যখন মৃত মহিলার উরুতে পৌঁছুলো, তখন সে আশে পাশে বসা ২/৪ জন মহিলাকে বলে উঠলো; ওহে আমার বোনেরা! 

এই যে মহিলা আজ মৃত্যুবরণ

করেছে, তাঁর তো অমুক পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো।গোসল প্রদানকারী মহিলা যখনি এই কথা বললো,অমনি অলৌকিকভাবে তার হাত মৃত মহিলার উরুর সাথে আটকে গেলো। ছুটানোর জন্য অনেক টানাটানি করলো, কিন্তু ছুটাতে পারলো না। বেশি জোরাজোরি করলে হাতের সাথে উরুও চলে আসতে লাগলো। এভাবে সময় অতিবাহিত হতে লাগলো। মৃত মহিলার আত্মীয় স্বজনেরা বলতে লাগলো। বিবি! দ্রুত গোসল শেষ করুন। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। জানাযা শেষে আমাদের দাফনও করতে হবে। মহিলা বললো : আমি তো

তোমাদের মৃত মহিলাকে ছাড়তে চাই, কিন্তু সে আমাকে ছাড়তে চায় না। এভাবে রাত হয়ে গেলো আর হাতও উরুর সাথে আটকে রইলো। ভোর হলো কিন্তু এভাবেই রইলো। তখন সমস্যার জটিলতা দেখে মহিলার পরিবারের

সদস্যগণ উলামায়ে কেরামের কাছে গেলেন এবং একজন আলেমকে বললেন : মৌলভী সাহেব! একজন

মহিলা অন্যজনকে

গোসল দিচ্ছিলো, তখন তার হাত মৃত মহিলার উরুর সাথে আটকে গেছে। এখন কি করা যায়? তিনি ফতোয়া দিলেন : ছুরি দিয়ে জ্যান্ত মহিলার হাত কেটে দাও। তখন গোসল প্রদানকারী মহিলার আত্মীয়রা

বললো : আমরা আমাদের মহিলাকে ত্রুটিযুক্ত বানাতে চাই না। আমরা তার হাত কাটতে

দেবো না। সবাই অন্য মৌলভীর কাছে গেলেন। তাঁকে সবকিছু বললে তিনি বললেন :ছুরি দিয়ে মৃত মহিলার গোশত আলাদা করে দাও। তখন মৃত মহিলার আত্মীয়রা বললো : আমরা আমাদের মৃতকে খারাপ বানাতে চাই না।

এভাবে তিনদিন তিন-রাত অতিবাহিত হয়ে গেলো। প্রচণ্ড গরম ছিলো। সূর্যের তাপ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিলো। ফলে দুর্গন্ধ ছড়াতে

লাগলো। আশেপাশের

অনেক এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়লো। সবাই ভাবলো; এখানে তো সমাধান হচ্ছে না। চলো মদীনায় যাই। সেখানে তখন ইমাম মালিক

(রহঃ) প্রধান ক্বাযীর মর্যাদায় ছিলেন। লোকেরা মালিক (রহঃ)–এর দরবারে পৌঁছে বললো,হযরত! একজন মহিলা অপর মৃত একজনকে

গোসল দিচ্ছিলো, তখন তার হাত মৃত মহিলার উরুর সাথে আটকে গেছে। ছাড়ানোই যাচ্ছে না। তিনদিন হয়ে গেছে। এখন কি ফতোয়া? ইমাম মালিক (রহঃ) বললেন,আমাকে

সেখানে নিয়ে চলো। সেখানে গেলেন এবং চাদর

দিয়ে আড়াল দেয়া

পর্দার ভেতর দাঁড়িয়ে গোসল প্রদানকারী

মহিলাকে বললেন : বিবি! যখন তোমার হাত আটকে যায় তখন তুমি কিছু বলোনি তো? মহিলা বললো : আমি তো শুধু এটুকু বলেছি :

এই যে মহিলা মৃত্যুবরণ করেছে; তার তো অমুক

পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো। ইমাম মালিক (রহঃ) বললেন : বিবি! তুমি যে অপবাদ দিয়েছো; এর

স্বপক্ষে নিজ চোখে

দেখেছে এমন চারজন সাক্ষী তোমার কাছে আছে কি? মহিলা বললো : না। তখন ইমাম মালিক বললেন : ঐ মহিলা তোমার সামনে স্বীয় পাপের স্বীকারোক্তি দিয়েছে কি? মহিলা বললো : না। তখন বললেন : তবে তুমি

কিসের ভিত্তিতে

অপবাদ দিলে? মহিলা বললো : আমি তো এজন্য বলে দিয়েছি যে, মৃত মহিলা কলস উঠিয়ে অমুকের

দরজার সামনে

দিয়ে যাচ্ছিলো।

একথা শুনতেই ইমাম মালিক (রহঃ) সেখানে দাঁড়িয়ে পুরো কুরআন শরীফের প্রতি দৃষ্টি দিলেন এবং বললেন, কুরআন শরীফের মধ্যে এসেছে,24: সুরা নূর-4

وَ الَّذِیْنَ یَرْمُوْنَ الْمُحْصَنٰتِ ثُمَّ لَمْ یَاْتُوْا بِاَرْبَعَةِ شُهَدَآءَ فَاجْلِدُوْهُمْ ثَمٰنِیْنَ جَلْدَةً وَّ لَا تَقْبَلُوْا لَهُمْ شَهَادَةً اَبَدًا١ۚ وَ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَۙ

অর্থ-আর যারা সতী-সাধ্বী নারীর ওপর অপবাদ লাগায়, তারপর চারজন সাক্ষী আনে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করো এবং তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করো না। তারা নিজেরাই ফাসেক। যেহেতু তুমি কোনোরূপ

প্রমাণ ছাড়া একজন মৃত মহিলার উপর অপবাদ আরোপ করেছো। আমি প্রধান ক্বাযী

হিসেবে নির্দেশ

দিচ্ছি; জল্লাদ! তাকে বেত্রাঘাত করতে শুরু করো।

জল্লাদ তাকে প্রহার করতে শুরু করলো। তাকে বেত্রাঘাত করা

হচ্ছিলো। সত্তরটি

বেত্রাঘাত মারা হলেও হাত পূর্বের মতো আটকে রইলো। পঁচাত্তরটি

বেত্রাঘাতের পরও

পূর্বের মতো রইলো। উনআশি বেত্রাঘাতের পরও

হাত উরুর সাথে আটকে রইলো।

অতঃপর যখন আশিটি বেত্রাঘাত সম্পন্ন হলো,অমনি হাত উরু থেকে এমনিতেই পৃথক হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহ। এই হলো মিথ্যার পরিনীতি (উৎসঃ মুহাম্মাদ ইবনে

যারক্বানী/ মুয়াত্তা

ইমাম মালিক)

* যে কথাতে দুনিয়া আখেরাতের লাভ-ক্ষতি কিছুই নেই। অর্থাৎ অনর্থক কথা। কল্যাণকর কথার ক্ষেত্রে শরয়ী বিধান হল পুরোপুরি জেনেশুনে কথা বলা। অনুমান করে কথাবার্তা বলবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-সূরা বনী ইসরাঈল-১৭:৩৬

ﻭَ ﻟَﺎ ﺗَﻘْﻒُ ﻣَﺎ ﻟَﯿْﺲَ ﻟَﻚَ ﺑِﻪٖ ﻋِﻠْﻢٌ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﺴَّﻤْﻊَ ﻭَ ﺍﻟْﺒَﺼَﺮَ ﻭَ ﺍﻟْﻔُﺆَﺍﺩَ ﻛُﻞُّ ﺍُﻭﻟٰٓﻯِٕﻚَ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺴْـُٔﻮْﻟًﺎ .

অর্থ- যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার পিছে পড়ো না। জেনে রেখো, কান, চোখ হৃদয়- এর প্রতিটি সম্পর্কে (তোমাদেরকে) জিজ্ঞেস করা হবে

* বেখেয়ালে মিথ্যা বলে ফেলি। যেমন কিছু দেওয়ার বাহানা করে ছোট বাচ্চাকে ডাকা হল অথচ আহ্বানকারীর কাছে দেওয়ার মত কিছুই নেই। এটি মিথ্যার শামিল।

উম্মে আবদুল্লাহ ইবনে আমের রা. ছোট বাচ্চাকে কিছু দেওয়ার কথা বলে ডাকছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষয়টি লক্ষ করলেন। বললেন, তুমি কি তাকে কিছু দেওয়ার জন্য ডাকছ (নাকি কিছু দেওয়ার বাহানা করে তাকে কাছে ডাকছ?)। তিনি বললেন, হাঁ, আমি তাকে খেজুর দেওয়ার জন্য ডাকছি। তখন নবীজী বললেন-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৯১

ﺃَﻣَﺎ ﺇِﻧّﻚِ ﻟَﻮْ ﻟَﻢْ ﺗُﻌْﻄِﻴﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻛُﺘِﺒَﺖْ ﻋَﻠَﻴْﻚِ ﻛِﺬْﺑَﺔ .

অর্থ- জেনে রাখ, তুমি যদি তাকে কিছু না দিতে, তাহলে তোমার গুনাহের খাতায় একটি মিথ্যা লেখা হত

* কোনো তথ্য বা সংবাদ বর্ণনা করার আগে যাচাই-বাছাই করা কর্তব্য। অন্যথায় মিথ্যা হওয়ার প্রবল আশংকা থাকে। রাসূল সা: বলেন-সহীহ মুসলিম, হাদীস-৪

ﻛَﻔَﻰ ﺑِﺎﻟْﻤَﺮْﺀِ ﻛَﺬِﺑًﺎ ﺃَﻥْ ﻳُﺤَﺪِّﺙَ ﺑِﻜُﻞِّ ﻣَﺎ ﺳَﻤِﻊَ

অর্থ- ব্যক্তি যা শুনে তা বর্ণনা করা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট

* এক একটা মিথ্যা কথা বলার ফলে আমল নামায় এক একটা কবিরা গুনাহ লেখা হয়। এক একটা কবিরা গুনাহের জন্য সাত হাজার বছর ধরে জাহান্নামে জ্বলতে হবে


________________________


182 কবিরা গুনাহ মিথ্যা বলা


* কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা এক মাইল (বা দৃষ্টি সীমার বাইরে) দূরে সরে যায়।জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৯৭২ 

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَذَبَ الْعَبْدُ تَبَاعَدَ عَنْهُ الْمَلَكُ مِيلاً مِنْ نَتْنِ مَا جَاءَ بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَحْيَى فَأَقَرَّ بِهِ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ هَارُونَ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ هَارُونَ ‏.‏


ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: রাসূল (সা:) বলেছেনঃ কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা কথনের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতা এক মাইল (বা দৃষ্টি সীমার বাইরে) দূরে সরে যায়।

 

খুবই দুর্বল, যইফা (১৮২৮)।


ফুটনোটঃ

ইয়াহ্‌ইয়া বলেনঃ আবদুর রহীম ইবনু হারূন কি তার স্বীকারোক্তি করেছেন? ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু মূসা বলেন, হ্যাঁ। আবূ ঈসা বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান, উত্তম, গারীব। শুধু উল্লেখিত সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। এটি আবদুর রহীম ইবনু হারূনের একক রিওয়ায়াত। 


জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৯৭২

হাদিসের মান: খুবই দুর্বল


* তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূলুল্লাহ (সা:) মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। যুদ্ধ কৌশলের ক্ষেত্রে, মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংশা করার জন্য, সহধর্মিণীর সাথে স্বামীর কথা ও স্বামীর সাথে সহধর্মিণীর কথা বলার ক্ষেত্রে,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৫২৭

৩. তাওরিয়া অর্থাৎ Deception by ambiguity ত্যাড়া ব্যাঁকা কথা দিয়ে, লুকোচুরি করে ধর্মের জিহাদ চালানো।  

أَنَّ أُمَّهُ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، وَكَانَتْ، مِنَ الْمُهَاجِرَاتِ الأُوَلِ اللاَّتِي بَايَعْنَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقُولُ ‏ "‏ لَيْسَ الْكَذَّابُ الَّذِي يُصْلِحُ بَيْنَ النَّاسِ وَيَقُولُ خَيْرًا وَيَنْمِي خَيْرًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلَمْ أَسْمَعْ يُرَخَّصُ فِي شَىْءٍ مِمَّا يَقُولُ النَّاسُ كَذِبٌ إِلاَّ فِي ثَلاَثٍ الْحَرْبُ وَالإِصْلاَحُ بَيْنَ النَّاسِ وَحَدِيثُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَحَدِيثُ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا

হিজরতকারিণীদের মধ্যে রাসূল (সা:) এর হাতে প্রথম বাই’আত গ্রহণকারিণীদের অন্যতমা সহাবীয়া উম্মু কুলসূম বিনতু ‘উকবাহ ইবনু আবূ মু’আয়ত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি রসূল (সা;)-কে বলতে শুনেছেন যে, সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয়, যে লোকের মধ্যে আপোষে সমাধা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই মিথ্যা বলে এবং কল্যাণের জন্যেই চোগলখোরী করে।

ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূল (সা:) মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। যুদ্ধ কৌশলের ক্ষেত্রে, মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংশা করার জন্য, সহধর্মিণীর সাথে স্বামীর কথা ও স্বামীর সাথে সহধর্মিণীর কথা বলার ক্ষেত্রে।

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৫২৭

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

* মিথ্যা বলা মুনাফিকের আলামতের অন্তর্ভুক্ত,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১১৪

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سُهَيْلٍ، نَافِعُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي عَامِرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ ‏"‏ ‏.


আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:


রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটি-(১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে; (২) ওয়া‘দা করলে তা ভঙ্গ করে; (৩) এবং তার কাছে আমানাত রাখা হলে সে তা খেয়ানাত করে। (ই.ফা. ১১৫; ই.সে. ১১৯)

  


সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১১৪

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

* অন্যাত্রে বলেন,সীমালংঘনকারী মিথ্যাবাদী লোককে হিদায়াত দান করেন না।,৪০: আল-মু’মিন:২৮,


وَ قَالَ رَجُلٌ مُّؤْمِنٌ ط مِّنْ اٰلِ فِرْعَوْنَ یَكْتُمُ اِیْمَانَهٗۤ اَتَقْتُلُوْنَ رَجُلًا اَنْ یَّقُوْلَ رَبِّیَ اللّٰهُ وَ قَدْ جَآءَكُمْ بِالْبَیِّنٰتِ مِنْ رَّبِّكُمْؕ وَ اِنْ یَّكُ كَاذِبًا فَعَلَیْهِ كَذِبُهٗۚ وَ اِنْ یَّكُ صَادِقًا یُّصِبْكُمْ بَعْضُ الَّذِیْ یَعِدُكُمْؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ


এ সময় ফেরাউনের দরবারের এক ব্যক্তি যে তার ঈমান গোপন রেখেছিলো- বললোঃ তোমরা কি এক ব্যক্তিকে শুধু এ কারণে হত্যা করবে যে, সে বলে, আল্লাহ‌ আমার রব? অথচ সে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছে। সে মিথাবাদী হয়ে থাকলে তার মিথ্যার দায়-দায়িত্ব তারই। কিন্তু সে যদি সত্যবাদী হয়ে থাকে তাহলে যেসব ভয়ানক পরিণামের কথা সে বলছে তার কিছুটা তো অবশ্যই তোমাদের ওপর আসবে। আল্লাহ‌ কোন সীমালংঘনকারী মিথ্যাবাদী লোককে হিদায়াত দান করেন না।


* হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগি হও,অন্তর্ভুক্ত হও,৯: আত-তওবা:১১৯,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِیْنَ


হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগি হও।


* সত্য কথা বলার নির্দেশ,৩৩: আল-আহযাব:৭০,


یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ قُوْلُوْا قَوْلًا سَدِیْدًاۙ


হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।

৩৩: আল-আহযাব:৭১,


یُّصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِیْمًا


আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ ঠিকঠাক করে দেবেন এবং তোমাদের অপরাধসমূহ মাফ করে দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ‌ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে সে বড় সাফল্য অর্জন করে।


 


* নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে,রিয়াদুস সলেহিন-১৫৫০

وَعَنِ ابنِ مَسعُودٍ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إنَّ الصِّدْقَ يَهْدِي إِلَى البِرِّ، وَإِنَّ البِرَّ يَهْدِي إِلَى الجَنَّةِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَصْدُقُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ صِدِّيقاً . وَإِنَّ الكَذِبَ يَهْدِي إِلَى الفُجُورِ، وَإِنَّ الفُجُورَ يَهْدِي إِلَى النَّارِ، وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَكْذِبُ حَتَّى يُكْتَبَ عِنْدَ اللهِ كَذَّاباً. متفقٌ عَلَيْهِ


ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘নিশ্চয় সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের দিকে পথ নির্দেশনা করে। আর মানুষ সত্য কথা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহাসত্যবাদী’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়। আর নিঃসন্দেহে মিথ্যাবাদিতা নির্লজ্জতা ও পাপাচারের দিকে নিয়ে যায়। আর পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানুষ মিথ্যা বলতে থাকে, শেষ পর্যন্ত আল্লাহর নিকট তাকে ‘মহামিথ্যাবাদী’ রূপে লিপিবদ্ধ করা হয়।

রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ১৫৫০

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস


* There is nobody who believes a liar.

এমন কেও নেই যে মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে।


# সত্য মিথ্যা। দুটি শব্দই দুই অক্ষরের। কিন্তু দুই শব্দের মাঝে ব্যবধান রাত দিনের, আলো আঁধারের। সত্য আলো, মিথ্যা অন্ধকার। সত্য জান্নাতের পথ, মিথ্যা জাহান্নামের পথ। সত্য পূণ্যের পথ দেখায়, মিথ্যা পাপের পথে নিয়ে যায়। সত্যকে সবাই ভালবাসে, মিথ্যাকে ঘৃণা করে। সত্যবাদী সবার প্রিয়, মিথ্যাবাদীকে কেউ দেখতে পারে না। এমনকি মিথ্যাবাদী যদি বাস্তবেও সত্য বলে তবুও বিশ্বাস করে না। কারণ আগের মিথ্যার কারণে সে বিশ্বাস হারিয়েছে। মিথ্যার মাধ্যমে মানুষ নিজেকে বাঁচানোর মিছে চেষ্টা করে। কিন্তু আরো ফাঁদে পড়ে। একটি মিথ্যা থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি মিথ্য বলে, তবুও বাঁচতে পারে না। বরং মিথ্যার ফাঁদে আরো জড়িয়ে যায়। এক পর্যায়ে নিজের মিথ্যার উপর নিজেরই আক্ষেপ হয়। কেন মিথ্যা বলতে গেলাম, সত্য বললে তো এত বিপদ হতো না।


মিথ্যা হল কাপুরুষতা আর সত্য হল সৎসাহস। যে সৎসাহস দেখিয়ে সত্য বলে দেয়; বর্তমানের অন্যায়ের কারণে হয়ত তাকে সাময়িক শাস্তি বা ঘৃণার সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু পরবর্তীতে সত্য বলার সৎসাহসের কারণে সে প্রসংসিত হয়। আর বিশ্বাসের যে সম্পদ সে লাভ করে তার কাছে হাজারও শাস্তি বা ঘৃণা তুচ্ছ।  


আর যে মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিচিতি পায়, সে দশবার কসম করে একটি সত্য কথা বললেও মানুষ ভাবে সে মিথ্যা বলছে। ফলে সে সত্য বলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।


তাই এসো হে ভাই শপথ করি, সদা সত্য বলব। আল্লাহর প্রিয় হব, মানুষের আস্থাভাজন হব; কখনো মিথ্যা বলব না। মানুষের আস্থা হারাবো না, আল্লাহকে নারাজ করব না। হাদীস শরীফে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় সত্য পূণ্য ও নেক আমলের পথ দেখায়। আর নেক আমল জান্নাতের পথ দেখায়। আর ব্যক্তি সত্য বলতে বলতে আল্লাহর কাছে ‘সিদ্দীক’ (মহাসত্যবাদী) হিসেবে পরিগণিত হয়।


আর মিথ্যা পাপের পথ দেখায়। আর পাপ পাপিকে জাহান্নামে নিয়ে ফেলে। ব্যক্তি মিথ্যা বলতে বলতে আল্লাহর খাতায় ‘কাযযাব’ (চরম মিথ্যুক) বলে চিহ্নিত হয়ে যায়। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬০৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস, ১০৩)


# ✔Telling lies is a serious defect.

(মিথ্যা বলা বড় দোষ)


✔Nobody believes a liar.

(মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না)


✔Everybody hates him.

(সকলেই তাকে ঘৃণা করে)


✔The suffering to the liar knows no bounds.

(মিথ্যাবাদীদের দুঃখের সীমা নেই)


✔He cannot prosper in life.

(সে জীবনে উন্নতি করতে পারে না)


✔So, don't tell a lie .

(সুতরাং কখনো মিথ্যা বলো না )

Rain


No comments

Powered by Blogger.