61 ইসলামে বৃক্ষ রোপনে
গাছ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত। এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য আল্লাহতাআলা মানুষকে যত নিআমত দান করেছেন তার অন্যতম হল গাছ। বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন। ফলে-ফুলে আমাদের ভরিয়েদিয়েছেন। আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। আমাদের দান করেছেন সবুজ পৃথিবী। আমাদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনÑ
إِنَّ اللهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَالنَّوَى يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَمُخْرِجُ الْمَيِّتِ مِنَ الْحَيِّ ذَلِكُمُ اللهُ فَأَنَّى تُؤْفَكُونَ... وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ نَبَاتَ كُلِّ شَيْءٍ فَأَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُّتَرَاكِبًا وَّمِنَ النَّخْلِ مِنْ طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِيَةٌ وَّجَنَّاتٍ مِّنْ أَعْنَابٍ وَّالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَّغَيْرَ مُتَشَابِهٍ انْظُرُوا إِلٰى ثَمَرِه إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِه إِنَّ فِي ذٰلِكُمْ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ.
‘নিশ্চয় আল্লাহ শস্যবীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি প্রাণহীন বস্তু হতে প্রাণবান বস্তু নির্গতকরেন এবং তিনিই প্রাণবান বস্তু হতে নিষ্প্রাণ বস্তুর নির্গতকারী। হে মানুষ! তিনিই আল্লাহ।সুতরাং তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে কোন্ অজ্ঞাত দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?...আর তিনিই ঐসত্তা, যিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তারপর আমি তা দ্বারাসর্বপ্রকার উদ্ভিদের চারা উদগত করেছি, তারপর তা থেকে সবুজ গাছপালা জন্মিয়েছি, যাথেকে আমি থরে থরে বিন্যস্ত শস্যদানা উৎপন্ন করি এবং খেজুর গাছের চুম্রি থেকে (ফল-ভারে) ঝুলন্ত কাঁদি নির্গত করি এবং আমি আঙ্গুর বাগান উদগত করেছি এবং যায়তুন ওআনারও। তার একটি অন্যটির সদৃশ ও বিসদৃশও। যখন সে বৃক্ষ ফল দেয়, তখন তারফলের প্রতি ও তার পাকার অবস্থার প্রতি গভীরভাবে লক্ষ ক। এসবের মধ্যে সেই সকললোকের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা ঈমান আনে।’ Ñসূরা আনআম (৬) : ৯৫, ৯৯
তিনি আমাদের জন্য সামান্য আঁটি থেকে অঙ্কুরিত করেন শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ।শস্যদানা থেকে উদগত করেন হরেক রকম ফস। এ যে তাঁর কৃপা, একমাত্র তাঁরই দানÑএকথা তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমরা তাঁর শুকরিয়া আদায় করি।
قُلِ الْحَمْدُ لِلهِ وَسَلامٌ عَلٰى عِبادِه الَّذِينَ اصْطَفٰى آللهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ ، أَمَّنْ خَلَقَ السَّمٰواتِ وَالْأَرْضَ وَأَنْزَلَ لَكُمْ مِنَ السَّماءِ مَاءً فَأَنْبَتْنَا بِه حَدائِقَ ذاتَ بَهْجَةٍ، مَا كانَ لَكُمْ أَنْ تُنْبِتُوْا شَجَرَهَا أَإِلٰهٌ مَّعَ اللهِ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَّعْدِلُوْنَ.
‘বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই এবং সালাম তাঁর সেই বান্দাদের প্রতি যাদেরকে তিনিমনোনীত করেছেন। বল তো, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, নাকি যাদেরকে তারা আল্লাহর প্রভুত্বেঅংশীদার বানিয়েছে তারা? তবে কে তিনি যিনি আকাশম-লী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবংআসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন? তারপর আমি সে পানি দ্বারা উদগত করেছি মনোরমউদ্যানরাজি। তার বৃক্ষরাজি উদগত করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না...।’ Ñসূরা নাম্ল(২৭) : ৫৯-৬০
এ আয়াতের শেষে বান্দাকে আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেনÑ বান্দা! এ বৃক্ষরাজি উদগতকরার ক্ষমতা তোমার নেই। এ আমি উদগত করি। এ আমার দান। সুতরাং আমারইশুকরিয়া আদায় কর
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি যে মহান আল্লাহ্তায়ালার একটি বড় নেয়ামত সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে-
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
(ইয়াসীন - ৮০)
যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
[১] বলা হয় যে, আরবে দুটি এমন গাছ আছে যার নাম হল মার্খ্ ও আফার। এই গাছের দুটি ডাল একত্রিত করে ঘষা দিলে তা থেকে আগুন বের হয়। এখানে সবুজ বৃক্ষ থেকে অগ্নি উৎপাদন বলে ঐ গাছের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে
গাছ আমাদের কী কী উপকার করে তার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরাদেখি, গাছ আমাদের ফল-ফসল দেয়, ফুল দেয়, ছায়া দেয়, কাঠ দেয়। আর বিজ্ঞানেরকল্যাণে আমরা জানতে পেরেছিÑ গাছ আমাদের আরো অনেক উপকার করে। গাছপরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। আমরা গাছ থেকেঅক্সিজেন গ্রহণ করি আর আমাদের শরীর থেকে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়, তাশুষে নেয়Ñ এভাবে গাছ আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে, পরিবেশে ভারসাম্য আনে।একটি গাছ বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডেরও বেশি ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করে এবং ১০টিশীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আর যেখানে গাছ বেশি থাকেসেখানে বৃষ্টিও বেশি হয়Ñ এ কথা তো সবারই জানা। গাছ থেকে আমরা কাঠ পাই, যা দ্বারাআসবাব-পত্র তৈরি করি। ঔষধি গাছ থেকে আমরা ঔষধ বানাই। ফুল গাছ আমাদেরআঙিনা সুন্দর করে; রং-বে রঙের ফুল আমাদের হৃদয়কে রাঙিয়ে দেয়। বিভিন্ন মৌসুমেনানান রকম ফলের স্বাদে-ঘ্রাণে আমরা বিমোহিত হই। এছাড়াও আমরা আরো কত শতউপকার লাভ করি গাছ থেকে। মোটকথা পৃথিবী বাসোপযোগী থাকা ও মানুষের জীবনধারণের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে গাছ বা বৃক্ষ। ফলে ইসলাম বৃক্ষরোপণের প্রতিউৎসাহিত করেছে, একে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য করেছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
* حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ ". وَقَالَ لَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে কোন মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোন ফসল ফলায় আর তা হতে পাখী কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায় তবে তা তার পক্ষ হতে সদাকা বলে গণ্য হবে।
মুসলিম (রহঃ) ...... আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫৩) আরেক বর্ণনায় এসেছেÑ “কিয়ামত পর্যন্ত (অর্থাৎযতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে বা তা থেকে উপকার গ্রহণ করা হবে) সে গাছ তার জন্যসদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে।” Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫২
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ
দুনিয়াবী অনেক কাজের ক্ষেত্রেই -সে কাজের প্রতি গুরুত্বারোপের সাথে সাথে- নবীজী তাঁরসাহাবীদের মানসিকতাকে আখেরাতমুখি করেছেন। তো বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রেও নবীজীএমনটি করেছেন। তাঁর প্রিয় সাহাবী গাছ লাগাচ্ছে তো তাকে জান্নাতে গাছ লাগানোরপথও বাতলে দিচ্ছেনÑদ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا، فَقَالَ : يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، مَا الَّذِي تَغْرِسُ؟ قُلْتُ : غِرَاسًا لِي، قَالَ : أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى غِرَاسٍ خَيْرٍ لَكَ مِنْ هَذَا؟ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ : " قُلْ : سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، يُغْرَسْ لَكَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ "
হযরত আবু হুরাইরা রা. একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজী পাশ দিয়েযাচ্ছিলেন। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরাইরা! কী লাগাচ্ছো? তিনি বললেন, একটিচারা রোপণ করছি। নবীজী বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম রোপণের কথাবলে দেব? আবু হুরায়রা বললেন, আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বল,
سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ.
এর প্রতিটির বিনিময়ে জান্নাতে তোমার জন্য একটি করে গাছ লাগানো হবে। Ñসুনানেইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৮০৭
* বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
(বনী-ইসরাঈল - ৪৪)
সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ ۖ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ ۗ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩
(আল হাজ্জ্ব - ১৮)
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ
(আর রহমান - ৬)
এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।
* সবুজায়নে নবীজীর অভিনব পদ্ধতি
মানুষের কল্যাণেই যেহেতু বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন, সবুজ ভূমির প্রয়োজন, ফলেনবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করেই ক্ষান্তহননি বরং সবুজায়নের নতুন পথও উদ্ভাবন করেছেন। যে সকল জমি অনাবাদী পড়েআছে সেগুলো যেন আবাদ হয়, সবুজ ভূমি বৃদ্ধি পায়, তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করলেন। তিনি ঘোষণা করলেনÑ
مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ.
যে ব্যক্তি কোনো পতিত ভূমি আবাদ করবে তা তার মালিকানায় চলে আসবে। Ñজামেতিরমিযী, হাদীস ১৩৭৮
*বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এক হাদীসে তিনি ইরশাদকরেনÑ
إِنْ قَامَتْ عَلَى أَحَدِكُمُ الْقِيَامَةُ، وَفِي يَدِهِ فَسِيلَةٌ فَلْيَغْرِسْهَا.
যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহূর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছথাকে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৯০২;আলআদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ৪৭৯
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত: —
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَجُلًا، مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ : أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ : لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ سَمِعْتُ، رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ غَرَسَ غَرْسًا لَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ آدَمِيٌّ، وَلَا خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةً.
হযরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি গাছ লাগাচ্ছিলেন, এমন সময় তার পাশ দিয়েএক ব্যক্তি যাচ্ছিলো। তাঁকে গাছ লাগাতে দেখে লোকটি বলে উঠলোÑ আপনি রাসূলেরসাহাবী হয়ে গাছ লাগাচ্ছেন! তখন আবু দারদা রা. তাকে বললেন, একটু শুনে যাও; আমিরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন কেউ গাছ লাগায়, আরতা থেকে কোনো মানুষ বা কোনো প্রাণী খায়, এটা তার জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হয়।Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬
--------------------------------
* বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন।---- নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বলেছেন
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি যে মহান আল্লাহ্তায়ালার একটি বড় নেয়ামত
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
** বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
(বনী-ইসরাঈল - ৪৪)
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ ۖ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ ۗ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩
(আল হাজ্জ 18
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَان(আর রহমান - ৬)
বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সা: এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন
সবুজায়নে নবীজীর অভিনব পদ্ধতি
مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ.
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত: —
* হযরত আবু দারদা রা.
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ
,,হযরত আবু হুরাইরা রা. একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজী পাশ দিয়েযাচ্ছিলেন। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরাইরা! কী লাগাচ্ছো? তিনি বললেন, একটিচারা রোপণ করি
سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ.
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنْ قَامَتِ السَّاعَةُ وَفِي يَدِ أَحَدِكُمْ فَسِيلَةٌ، فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا تَقُومَ حَتَّى يَغْرِسَهَا فَلْيَغْرِسْهَا»
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাঃ) বলেনঃ যদি কিয়ামত এসে যায় এবং তখন তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তবে কিয়ামত হওয়ার আগেই তার পক্ষে সম্ভব হলে যেন চারাটি রোপন করে (আহমাদ হা/১২৯৩৩ ও ১৩০১২)।
আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৪৮১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ ـ شَكَتْ مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى، فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُهُ خَادِمًا، فَلَمْ تَجِدْهُ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ، فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْهُ. قَالَ فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْتُ أَقُومُ فَقَالَ " مَكَانَكِ ". فَجَلَسَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ، إِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا، أَوْ أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا، فَكَبِّرَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، فَهَذَا خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ". وَعَنْ شُعْبَةَ عَنْ خَالِدٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ التَّسْبِيحُ أَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ.
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
একবার গম পেষার যাঁতা ঘুরানোর কারণে ফাতেমাহ (রাঃ) এর হাতে ফোস্কা পড়ে গেল। তখন তিনি একটি খাদিম চেয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে পেলেন না। তখন তিনি আসার উদ্দেশ্যটি 'আয়িশাহ (রাঃ) -এর নিকট ব্যক্ত করে গেলেন। এরপর তিনি যখন গৃহে ফিরলেন তখন 'আয়িশাহ (রাঃ) এ বিষয়টি তাঁকে জানালেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে এমন সময় আগমন করলেন যখন আমরা বিশ্রাম গ্রহণ করেছি। তখন আমি উঠতে চাইলে তিনি বললেনঃ নিজ স্থানেই অবস্থান কর। তারপর আমাদের মাঝখানেই তিনি এমনিভাবে বসে গেলেন যে, আমি তার দু'পায়ের শীতল স্পর্শ আমার বুকে অনুভব করলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের এমন একটি 'আমাল বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমারা আল্লাহু আকবর ৩৩ বার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আল্হামদু লিল্লাহ ৩৩ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক কল্যাণকর। ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেনঃ তাসবীহ হলো ৩৪ বার।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৭৩,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৬)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَتَّابٌ هُوَ ابْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَمُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ الْفُقَرَاءُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْأَغْنِيَاءَ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَلَهُمْ أَمْوَالٌ يَتَصَدَّقُونَ وَيُنْفِقُونَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَقُولُوا: سُبْحَانَ اللَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ عَشْرًا، فَإِنَّكُمْ تُدْرِكُونَ بِذَلِكَ مَنْ سَبَقَكُمْ، وَتَسْبِقُونَ مَنْ بَعْدَكُمْ "
---
[حكم الألباني] منكر بتعشير التهليل
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, কিছু দরিদ্র লোক (একদা) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে সে বলল, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! ধনীরাও সালাত আদায় করে থাকে যেমনিভাবে আমরা আদায় করে থাকি আর তারাও সিয়াম পালন করে থাকে যেমনিভাবে আমরা পালন করে থাকি, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে সম্পদ, যা থেকে তারা দান-সদকা করে থাকে এবং গোলাম (কিনে) আযাদ করে থাকে। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তখন বলবে, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ১০ বার। কেননা, এর দ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের সমপর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারবে এবং তোমাদের পরবর্তী থেকে অগ্রগামী হয়ে যেতে পারবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩৫৩
হাদিসের মান: অন্যান্য
18-বৃক্ষ রোপন
* বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি মহান আল্লাহ্ তায়ালার একটি বড় নেয়ামত,অক্সিজেন,ঘর আসবাব পত্র,একটি গাছ ১০টি এসির সমান, আগুন পাই,ফলমুল
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
* বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা (বনী-ইসরাঈল-৪৪
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
* আল হাজ্জে বলা হয়েছে 18
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَان
* বৃক্ষরোপনে সরকারের ভূমিকা গাছ লাগান পরিবেশ বাচান
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত:—বুখারী, হাদিস নং ২৩২০
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَة
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত:মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬—
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَجُلًا، مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ : أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ : لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ سَمِعْتُ، رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ غَرَسَ غَرْسًا لَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ آدَمِيٌّ، وَلَا خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةً
* বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সা: এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।আল আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ৪৮১
إِنْ قَامَتِ السَّاعَةُ وَفِي يَدِ أَحَدِكُمْ فَسِيلَةٌ، فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا تَقُومَ حَتَّى يَغْرِسَهَا فَلْيَغْرِسْهَا
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬ সুনানে ইবনে মাজাহ-হাদীস ৩৮০৭
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا، فَقَالَ : يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، مَا الَّذِي تَغْرِسُ؟ قُلْتُ : غِرَاسًا لِي، قَالَ : أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى غِرَاسٍ خَيْرٍ لَكَ مِنْ هَذَا؟ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ : " قُلْ : سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، يُغْرَسْ لَكَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ
* একবার গম পেষার যাঁতা ঘুরানোর কারণে ফাতেমাহ (রাঃ) এর হাতে ফোস্কা পড়ে গেল।সহিহ বুখারী ৬৩১৮
أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِم
* আরবে দুটি এমন গাছ আছে যার নাম হল মার্খ্ ও আফার। এই গাছের দুটি ডাল একত্রিত করে ঘষা দিলে তা থেকে আগুন বের হয়। এখানে সবুজ বৃক্ষ থেকে অগ্নি উৎপাদন বলে ঐ গাছের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে
----------++++------+++++
ইসলামেবৃক্ষরোপনের ফজিলত
গাছ আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নিআমত। এই পৃথিবীতে বসবাসের জন্য আল্লাহতাআলা মানুষকে যত নিআমত দান করেছেন তার অন্যতম হল গাছ। বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন। ফলে-ফুলে আমাদের ভরিয়েদিয়েছেন। আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন। আমাদের দান করেছেন সবুজ পৃথিবী। আমাদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনÑ
إِنَّ اللهَ فَالِقُ الْحَبِّ وَالنَّوَى يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَمُخْرِجُ الْمَيِّتِ مِنَ الْحَيِّ ذَلِكُمُ اللهُ فَأَنَّى تُؤْفَكُونَ... وَهُوَ الَّذِي أَنْزَلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً فَأَخْرَجْنَا بِهِ نَبَاتَ كُلِّ شَيْءٍ فَأَخْرَجْنَا مِنْهُ خَضِرًا نُخْرِجُ مِنْهُ حَبًّا مُّتَرَاكِبًا وَّمِنَ النَّخْلِ مِنْ طَلْعِهَا قِنْوَانٌ دَانِيَةٌ وَّجَنَّاتٍ مِّنْ أَعْنَابٍ وَّالزَّيْتُونَ وَالرُّمَّانَ مُشْتَبِهًا وَّغَيْرَ مُتَشَابِهٍ انْظُرُوا إِلٰى ثَمَرِه إِذَا أَثْمَرَ وَيَنْعِه إِنَّ فِي ذٰلِكُمْ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ.
‘নিশ্চয় আল্লাহ শস্যবীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী। তিনি প্রাণহীন বস্তু হতে প্রাণবান বস্তু নির্গতকরেন এবং তিনিই প্রাণবান বস্তু হতে নিষ্প্রাণ বস্তুর নির্গতকারী। হে মানুষ! তিনিই আল্লাহ।সুতরাং তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে কোন্ অজ্ঞাত দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?...আর তিনিই ঐসত্তা, যিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তারপর আমি তা দ্বারাসর্বপ্রকার উদ্ভিদের চারা উদগত করেছি, তারপর তা থেকে সবুজ গাছপালা জন্মিয়েছি, যাথেকে আমি থরে থরে বিন্যস্ত শস্যদানা উৎপন্ন করি এবং খেজুর গাছের চুম্রি থেকে (ফল-ভারে) ঝুলন্ত কাঁদি নির্গত করি এবং আমি আঙ্গুর বাগান উদগত করেছি এবং যায়তুন ওআনারও। তার একটি অন্যটির সদৃশ ও বিসদৃশও। যখন সে বৃক্ষ ফল দেয়, তখন তারফলের প্রতি ও তার পাকার অবস্থার প্রতি গভীরভাবে লক্ষ ক। এসবের মধ্যে সেই সকললোকের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা ঈমান আনে।’ Ñসূরা আনআম (৬) : ৯৫, ৯৯
তিনি আমাদের জন্য সামান্য আঁটি থেকে অঙ্কুরিত করেন শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট বিশাল বৃক্ষ।শস্যদানা থেকে উদগত করেন হরেক রকম ফস। এ যে তাঁর কৃপা, একমাত্র তাঁরই দানÑএকথা তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যাতে আমরা তাঁর শুকরিয়া আদায় করি।
قُلِ الْحَمْدُ لِلهِ وَسَلامٌ عَلٰى عِبادِه الَّذِينَ اصْطَفٰى آللهُ خَيْرٌ أَمَّا يُشْرِكُونَ ، أَمَّنْ خَلَقَ السَّمٰواتِ وَالْأَرْضَ وَأَنْزَلَ لَكُمْ مِنَ السَّماءِ مَاءً فَأَنْبَتْنَا بِه حَدائِقَ ذاتَ بَهْجَةٍ، مَا كانَ لَكُمْ أَنْ تُنْبِتُوْا شَجَرَهَا أَإِلٰهٌ مَّعَ اللهِ بَلْ هُمْ قَوْمٌ يَّعْدِلُوْنَ.
‘বল, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই এবং সালাম তাঁর সেই বান্দাদের প্রতি যাদেরকে তিনিমনোনীত করেছেন। বল তো, আল্লাহ শ্রেষ্ঠ, নাকি যাদেরকে তারা আল্লাহর প্রভুত্বেঅংশীদার বানিয়েছে তারা? তবে কে তিনি যিনি আকাশম-লী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবংআসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন? তারপর আমি সে পানি দ্বারা উদগত করেছি মনোরমউদ্যানরাজি। তার বৃক্ষরাজি উদগত করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না...।’ Ñসূরা নাম্ল(২৭) : ৫৯-৬০
এ আয়াতের শেষে বান্দাকে আল্লাহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেনÑ বান্দা! এ বৃক্ষরাজি উদগতকরার ক্ষমতা তোমার নেই। এ আমি উদগত করি। এ আমার দান। সুতরাং আমারইশুকরিয়া আদায় কর
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি যে মহান আল্লাহ্তায়ালার একটি বড় নেয়ামত সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে-
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
(ইয়াসীন - ৮০)
যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
[১] বলা হয় যে, আরবে দুটি এমন গাছ আছে যার নাম হল মার্খ্ ও আফার। এই গাছের দুটি ডাল একত্রিত করে ঘষা দিলে তা থেকে আগুন বের হয়। এখানে সবুজ বৃক্ষ থেকে অগ্নি উৎপাদন বলে ঐ গাছের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে
গাছ আমাদের কী কী উপকার করে তার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরাদেখি, গাছ আমাদের ফল-ফসল দেয়, ফুল দেয়, ছায়া দেয়, কাঠ দেয়। আর বিজ্ঞানেরকল্যাণে আমরা জানতে পেরেছিÑ গাছ আমাদের আরো অনেক উপকার করে। গাছপরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। আমরা গাছ থেকেঅক্সিজেন গ্রহণ করি আর আমাদের শরীর থেকে যে কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়, তাশুষে নেয়Ñ এভাবে গাছ আমাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করে, পরিবেশে ভারসাম্য আনে।একটি গাছ বাতাস থেকে ৬০ পাউন্ডেরও বেশি ক্ষতিকারক গ্যাস শোষণ করে এবং ১০টিশীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সমপরিমাণ তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আর যেখানে গাছ বেশি থাকেসেখানে বৃষ্টিও বেশি হয়Ñ এ কথা তো সবারই জানা। গাছ থেকে আমরা কাঠ পাই, যা দ্বারাআসবাব-পত্র তৈরি করি। ঔষধি গাছ থেকে আমরা ঔষধ বানাই। ফুল গাছ আমাদেরআঙিনা সুন্দর করে; রং-বে রঙের ফুল আমাদের হৃদয়কে রাঙিয়ে দেয়। বিভিন্ন মৌসুমেনানান রকম ফলের স্বাদে-ঘ্রাণে আমরা বিমোহিত হই। এছাড়াও আমরা আরো কত শতউপকার লাভ করি গাছ থেকে। মোটকথা পৃথিবী বাসোপযোগী থাকা ও মানুষের জীবনধারণের সাথে ওতপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে গাছ বা বৃক্ষ। ফলে ইসলাম বৃক্ষরোপণের প্রতিউৎসাহিত করেছে, একে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য করেছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
* حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ح وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ ". وَقَالَ لَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে কোন মুসলমান ফলবান গাছ রোপণ করে কিংবা কোন ফসল ফলায় আর তা হতে পাখী কিংবা মানুষ বা চতুষ্পদ জন্তু খায় তবে তা তার পক্ষ হতে সদাকা বলে গণ্য হবে।
মুসলিম (রহঃ) ...... আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৩২০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫৩) আরেক বর্ণনায় এসেছেÑ “কিয়ামত পর্যন্ত (অর্থাৎযতদিন গাছটি বেঁচে থাকবে বা তা থেকে উপকার গ্রহণ করা হবে) সে গাছ তার জন্যসদাকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে।” Ñসহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৫২
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ
দুনিয়াবী অনেক কাজের ক্ষেত্রেই -সে কাজের প্রতি গুরুত্বারোপের সাথে সাথে- নবীজী তাঁরসাহাবীদের মানসিকতাকে আখেরাতমুখি করেছেন। তো বৃক্ষরোপণের ক্ষেত্রেও নবীজীএমনটি করেছেন। তাঁর প্রিয় সাহাবী গাছ লাগাচ্ছে তো তাকে জান্নাতে গাছ লাগানোরপথও বাতলে দিচ্ছেনÑদ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا، فَقَالَ : يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، مَا الَّذِي تَغْرِسُ؟ قُلْتُ : غِرَاسًا لِي، قَالَ : أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى غِرَاسٍ خَيْرٍ لَكَ مِنْ هَذَا؟ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ : " قُلْ : سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، يُغْرَسْ لَكَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ "
হযরত আবু হুরাইরা রা. একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজী পাশ দিয়েযাচ্ছিলেন। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরাইরা! কী লাগাচ্ছো? তিনি বললেন, একটিচারা রোপণ করছি। নবীজী বললেন, আমি কি তোমাকে এর চেয়ে উত্তম রোপণের কথাবলে দেব? আবু হুরায়রা বললেন, আল্লাহর রাসূল! অবশ্যই বলুন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বল,
سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ.
এর প্রতিটির বিনিময়ে জান্নাতে তোমার জন্য একটি করে গাছ লাগানো হবে। Ñসুনানেইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৮০৭
* বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
(বনী-ইসরাঈল - ৪৪)
সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যে যাকিছু আছে সমস্ত কিছু তাঁরই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষনা করে না। কিন্তু তাদের পবিত্রতা, মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না। নিশ্চয় তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ ۖ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ ۗ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩
(আল হাজ্জ্ব - ১৮)
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَانِ
(আর রহমান - ৬)
এবং তৃণলতা ও বৃক্ষাদি সেজদারত আছে।
* সবুজায়নে নবীজীর অভিনব পদ্ধতি
মানুষের কল্যাণেই যেহেতু বেশি বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন, সবুজ ভূমির প্রয়োজন, ফলেনবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহিত করেই ক্ষান্তহননি বরং সবুজায়নের নতুন পথও উদ্ভাবন করেছেন। যে সকল জমি অনাবাদী পড়েআছে সেগুলো যেন আবাদ হয়, সবুজ ভূমি বৃদ্ধি পায়, তাই নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করলেন। তিনি ঘোষণা করলেনÑ
مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ.
যে ব্যক্তি কোনো পতিত ভূমি আবাদ করবে তা তার মালিকানায় চলে আসবে। Ñজামেতিরমিযী, হাদীস ১৩৭৮
*বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। এক হাদীসে তিনি ইরশাদকরেনÑ
إِنْ قَامَتْ عَلَى أَحَدِكُمُ الْقِيَامَةُ، وَفِي يَدِهِ فَسِيلَةٌ فَلْيَغْرِسْهَا.
যদি কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার আগ মুহূর্তেও তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছথাকে, তাহলে সে যেন তা রোপণ করে দেয়। Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১২৯০২;আলআদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ৪৭৯
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত: —
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَجُلًا، مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ : أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ : لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ سَمِعْتُ، رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ غَرَسَ غَرْسًا لَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ آدَمِيٌّ، وَلَا خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةً.
হযরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি গাছ লাগাচ্ছিলেন, এমন সময় তার পাশ দিয়েএক ব্যক্তি যাচ্ছিলো। তাঁকে গাছ লাগাতে দেখে লোকটি বলে উঠলোÑ আপনি রাসূলেরসাহাবী হয়ে গাছ লাগাচ্ছেন! তখন আবু দারদা রা. তাকে বললেন, একটু শুনে যাও; আমিরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন কেউ গাছ লাগায়, আরতা থেকে কোনো মানুষ বা কোনো প্রাণী খায়, এটা তার জন্য সদাকা হিসেবে গণ্য হয়।Ñমুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬
--------------------------------
* বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন।---- নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বলেছেন
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি যে মহান আল্লাহ্তায়ালার একটি বড় নেয়ামত
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
** বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
(বনী-ইসরাঈল - ৪৪)
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ ۖ وَكَثِيرٌ حَقَّ عَلَيْهِ الْعَذَابُ ۗ وَمَن يُهِنِ اللَّهُ فَمَا لَهُ مِن مُّكْرِمٍ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَفْعَلُ مَا يَشَاءُ ۩
(আল হাজ্জ 18
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَان(আর রহমান - ৬)
বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সা: এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন
সবুজায়নে নবীজীর অভিনব পদ্ধতি
مَنْ أَحْيَا أَرْضًا مَيِّتَةً فَهِيَ لَهُ.
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত: —
* হযরত আবু দারদা রা.
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ
,,হযরত আবু হুরাইরা রা. একদিন গাছ লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় নবীজী পাশ দিয়েযাচ্ছিলেন। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, আবু হুরাইরা! কী লাগাচ্ছো? তিনি বললেন, একটিচারা রোপণ করি
سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ.
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنْ قَامَتِ السَّاعَةُ وَفِي يَدِ أَحَدِكُمْ فَسِيلَةٌ، فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا تَقُومَ حَتَّى يَغْرِسَهَا فَلْيَغْرِسْهَا»
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাঃ) বলেনঃ যদি কিয়ামত এসে যায় এবং তখন তোমাদের কারো হাতে একটি চারাগাছ থাকে, তবে কিয়ামত হওয়ার আগেই তার পক্ষে সম্ভব হলে যেন চারাটি রোপন করে (আহমাদ হা/১২৯৩৩ ও ১৩০১২)।
আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৪৮১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، أَنَّ فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ ـ شَكَتْ مَا تَلْقَى فِي يَدِهَا مِنَ الرَّحَى، فَأَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَسْأَلُهُ خَادِمًا، فَلَمْ تَجِدْهُ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ، فَلَمَّا جَاءَ أَخْبَرَتْهُ. قَالَ فَجَاءَنَا وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْتُ أَقُومُ فَقَالَ " مَكَانَكِ ". فَجَلَسَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي فَقَالَ " أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ، إِذَا أَوَيْتُمَا إِلَى فِرَاشِكُمَا، أَوْ أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا، فَكَبِّرَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَاحْمَدَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، فَهَذَا خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ". وَعَنْ شُعْبَةَ عَنْ خَالِدٍ عَنِ ابْنِ سِيرِينَ قَالَ التَّسْبِيحُ أَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ.
আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
একবার গম পেষার যাঁতা ঘুরানোর কারণে ফাতেমাহ (রাঃ) এর হাতে ফোস্কা পড়ে গেল। তখন তিনি একটি খাদিম চেয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) -এর কাছে এলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে পেলেন না। তখন তিনি আসার উদ্দেশ্যটি 'আয়িশাহ (রাঃ) -এর নিকট ব্যক্ত করে গেলেন। এরপর তিনি যখন গৃহে ফিরলেন তখন 'আয়িশাহ (রাঃ) এ বিষয়টি তাঁকে জানালেন। তারপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে এমন সময় আগমন করলেন যখন আমরা বিশ্রাম গ্রহণ করেছি। তখন আমি উঠতে চাইলে তিনি বললেনঃ নিজ স্থানেই অবস্থান কর। তারপর আমাদের মাঝখানেই তিনি এমনিভাবে বসে গেলেন যে, আমি তার দু'পায়ের শীতল স্পর্শ আমার বুকে অনুভব করলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের এমন একটি 'আমাল বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক উত্তম। যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমারা আল্লাহু আকবর ৩৩ বার, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আল্হামদু লিল্লাহ ৩৩ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদিমের চেয়েও অনেক অধিক কল্যাণকর। ইবনু সীরীন (রহঃ) বলেনঃ তাসবীহ হলো ৩৪ বার।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৮৭৩,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৭৬৬)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৩১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَتَّابٌ هُوَ ابْنُ بَشِيرٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَمُجَاهِدٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ الْفُقَرَاءُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ الْأَغْنِيَاءَ يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَلَهُمْ أَمْوَالٌ يَتَصَدَّقُونَ وَيُنْفِقُونَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا صَلَّيْتُمْ فَقُولُوا: سُبْحَانَ اللَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ عَشْرًا، فَإِنَّكُمْ تُدْرِكُونَ بِذَلِكَ مَنْ سَبَقَكُمْ، وَتَسْبِقُونَ مَنْ بَعْدَكُمْ "
---
[حكم الألباني] منكر بتعشير التهليل
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, কিছু দরিদ্র লোক (একদা) রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে সে বলল, ইয়া রাসুল্লাল্লাহ! ধনীরাও সালাত আদায় করে থাকে যেমনিভাবে আমরা আদায় করে থাকি আর তারাও সিয়াম পালন করে থাকে যেমনিভাবে আমরা পালন করে থাকি, কিন্তু তাদের জন্য রয়েছে সম্পদ, যা থেকে তারা দান-সদকা করে থাকে এবং গোলাম (কিনে) আযাদ করে থাকে। তখন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, যখন তোমরা সালাত আদায় করবে, তখন বলবে, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবর ৩৩ বার এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ১০ বার। কেননা, এর দ্বারা তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের সমপর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারবে এবং তোমাদের পরবর্তী থেকে অগ্রগামী হয়ে যেতে পারবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৩৫৩
হাদিসের মান: অন্যান্য
18-বৃক্ষ রোপন
* বিভিন্ন প্রকারেরগাছ-পালা দিয়ে আল্লাহ পৃথিবীকে সুশোভিত করেছেন
* গাছপালা, উদ্ভিদরাজি মহান আল্লাহ্ তায়ালার একটি বড় নেয়ামত,অক্সিজেন,ঘর আসবাব পত্র,একটি গাছ ১০টি এসির সমান, আগুন পাই,ফলমুল
الَّذِي جَعَلَ لَكُم مِّنَ الشَّجَرِ الْأَخْضَرِ نَارًا فَإِذَا أَنتُم مِّنْهُ تُوقِدُونَ
* বিনা প্রয়োজনে গাছের পাতা ও কাটা যাবেনা (বনী-ইসরাঈল-৪৪
تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَن فِيهِنَّ ۚ وَإِن مِّن شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَـٰكِن لَّا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ ۗ إِنَّهُ كَانَ حَلِيمًا غَفُورًا
* আল হাজ্জে বলা হয়েছে 18
أَلَمْ تَرَ أَنَّ اللَّهَ يَسْجُدُ لَهُ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَمَن فِي الْأَرْضِ وَالشَّمْسُ وَالْقَمَرُ وَالنُّجُومُ وَالْجِبَالُ وَالشَّجَرُ وَالدَّوَابُّ وَكَثِيرٌ مِّنَ النَّاسِ
وَالنَّجْمُ وَالشَّجَرُ يَسْجُدَان
* বৃক্ষরোপনে সরকারের ভূমিকা গাছ লাগান পরিবেশ বাচান
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত:—বুখারী, হাদিস নং ২৩২০
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا، أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا، فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ، إِلاَّ كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَة
* বৃক্ষ রোপনের ফজিলত:মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬—
عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، أَنَّ رَجُلًا، مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا بِدِمَشْقَ فَقَالَ لَهُ : أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ : لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ سَمِعْتُ، رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ غَرَسَ غَرْسًا لَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ آدَمِيٌّ، وَلَا خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا كَانَ لَهُ صَدَقَةً
* বৃক্ষরোপণের বিভিন্ন ফযীলতের ঘোষণার সাথে সাথে নবীজী সা: এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।আল আদাবুল মুফরাদ, বুখারী, হাদীস ৪৮১
إِنْ قَامَتِ السَّاعَةُ وَفِي يَدِ أَحَدِكُمْ فَسِيلَةٌ، فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ لَا تَقُومَ حَتَّى يَغْرِسَهَا فَلْيَغْرِسْهَا
* অন্যরকম বৃক্ষরোপণ-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৭৫০৬ সুনানে ইবনে মাজাহ-হাদীস ৩৮০৭
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِهِ وَهُوَ يَغْرِسُ غَرْسًا، فَقَالَ : يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، مَا الَّذِي تَغْرِسُ؟ قُلْتُ : غِرَاسًا لِي، قَالَ : أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى غِرَاسٍ خَيْرٍ لَكَ مِنْ هَذَا؟ قَالَ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ : " قُلْ : سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، يُغْرَسْ لَكَ بِكُلِّ وَاحِدَةٍ شَجَرَةٌ فِي الْجَنَّةِ
* একবার গম পেষার যাঁতা ঘুরানোর কারণে ফাতেমাহ (রাঃ) এর হাতে ফোস্কা পড়ে গেল।সহিহ বুখারী ৬৩১৮
أَلاَ أَدُلُّكُمَا عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِم
* আরবে দুটি এমন গাছ আছে যার নাম হল মার্খ্ ও আফার। এই গাছের দুটি ডাল একত্রিত করে ঘষা দিলে তা থেকে আগুন বের হয়। এখানে সবুজ বৃক্ষ থেকে অগ্নি উৎপাদন বলে ঐ গাছের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে
No comments